ইসরায়েলি আইনপ্রণেতা আভিগদর লিবারম্যান ফিলিস্তিন বিদ্বেষের জন্য সুপরিচিত। সর্বশেষ গতকাল রোববার তিনি গাজার সব ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে মিসরের সিনাই উপত্যকায় পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর এই আহ্বান মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার প্রতিধ্বনি। যেখানে, গাজাবাসীকে তাদের বাসভূমি থেকে উচ্ছেদের কথা বলা হয়েছে।
ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম আল-কুদসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটের সদস্য আভিগদর লিবারম্যান আবারও গাজার ফিলিস্তিনিদের মিসরের সিনাই অঞ্চলে স্থানান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন। এটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার অংশ, যার লক্ষ্য ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে গাজা দখল করা।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লিবারম্যান এই মন্তব্য করেন। লিবারম্যান এর আগে ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
লিবারম্যান বলেন, ‘গাজার অধিকাংশ ফিলিস্তিনিকে মিসরের সিনাইয়ে স্থানান্তর করাই বাস্তবসম্মত এবং কার্যকর সমাধান।’ তিনি আরও বলেন, ‘মিসরের উচিত গাজার অধিকাংশ ফিলিস্তিনিকে গ্রহণ করা। এতে ট্রাম্পের পরিকল্পনার মতো কোটি কোটি মানুষকে দূরবর্তী কোনো স্থানে অভিবাসন করতে হবে না।’
লিবারম্যানের দাবি, ‘গাজায় জনসংখ্যার ঘনত্ব অত্যন্ত বেশি, অথচ সিনাইয়ে বিশাল ভূমি অব্যবহৃত। গাজা ও সিনাইয়ের ফিলিস্তিনিরা ভাষা, সংস্কৃতি এবং পারিবারিক সম্পর্কের দিক থেকে মিল রাখে, যা তাদের একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক করে তুলবে।’
এ ছাড়া তিনি দাবি করেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে মিসর অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে, কারণ তারা ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে এবং রাফাহ সীমান্ত পারাপার ও সুড়ঙ্গপথে চোরাচালানের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করছে।’ লিবারম্যান ইসরায়েল-মিসর সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘কায়রোর উচিত গাজার দায়িত্ব নেওয়া, যেমনটা ১৯৬৭ সালের আগে ছিল আরব লীগের ম্যান্ডেটের আওতায়।’
এই প্রথমবার নয়, এর আগেও লিবারম্যান গাজার ফিলিস্তিনিদের মিসরে স্থানান্তরের আহ্বান জানিয়েছিলেন। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি বলেছিলেন, ‘মিশর যেন গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং ইসরায়েল ও জর্ডান যেন যৌথভাবে পশ্চিম তীরের দায়িত্ব গ্রহণ করে।’ তিনি ট্রাম্পের গাজা দখল ও ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের পরিকল্পনারও সমর্থন করেন এবং বলেন, ‘যদি মিসর সিনাইয়ের দরজা খুলে দেয়, তবে এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব।’
গত ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন, তিনি গাজা দখল এবং ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করতে চান। এতে ব্যাপক আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
২৫ জানুয়ারি থেকে ট্রাম্প গাজার ফিলিস্তিনিদের মিসর ও জর্ডানসহ আশপাশের দেশগুলোতে স্থানান্তরের পরিকল্পনা প্রচার করছেন, যা মিশর ও জর্ডান সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের সঙ্গে আরও কয়েকটি আরব দেশ ও আঞ্চলিক-আন্তর্জাতিক সংস্থাও এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থনে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে। এতে ১ লাখ ৫৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ ও আহত হয়েছেন। এর মধ্যে নিহতের সংখ্যা ৪৮ হাজারের বেশি। যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া ১৪ হাজারের বেশি মানুষ এখনো নিখোঁজ।
ইসরায়েলি আইনপ্রণেতা আভিগদর লিবারম্যান ফিলিস্তিন বিদ্বেষের জন্য সুপরিচিত। সর্বশেষ গতকাল রোববার তিনি গাজার সব ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে মিসরের সিনাই উপত্যকায় পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর এই আহ্বান মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার প্রতিধ্বনি। যেখানে, গাজাবাসীকে তাদের বাসভূমি থেকে উচ্ছেদের কথা বলা হয়েছে।
ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম আল-কুদসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটের সদস্য আভিগদর লিবারম্যান আবারও গাজার ফিলিস্তিনিদের মিসরের সিনাই অঞ্চলে স্থানান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন। এটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার অংশ, যার লক্ষ্য ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে গাজা দখল করা।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লিবারম্যান এই মন্তব্য করেন। লিবারম্যান এর আগে ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
লিবারম্যান বলেন, ‘গাজার অধিকাংশ ফিলিস্তিনিকে মিসরের সিনাইয়ে স্থানান্তর করাই বাস্তবসম্মত এবং কার্যকর সমাধান।’ তিনি আরও বলেন, ‘মিসরের উচিত গাজার অধিকাংশ ফিলিস্তিনিকে গ্রহণ করা। এতে ট্রাম্পের পরিকল্পনার মতো কোটি কোটি মানুষকে দূরবর্তী কোনো স্থানে অভিবাসন করতে হবে না।’
লিবারম্যানের দাবি, ‘গাজায় জনসংখ্যার ঘনত্ব অত্যন্ত বেশি, অথচ সিনাইয়ে বিশাল ভূমি অব্যবহৃত। গাজা ও সিনাইয়ের ফিলিস্তিনিরা ভাষা, সংস্কৃতি এবং পারিবারিক সম্পর্কের দিক থেকে মিল রাখে, যা তাদের একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক করে তুলবে।’
এ ছাড়া তিনি দাবি করেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে মিসর অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে, কারণ তারা ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে এবং রাফাহ সীমান্ত পারাপার ও সুড়ঙ্গপথে চোরাচালানের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করছে।’ লিবারম্যান ইসরায়েল-মিসর সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘কায়রোর উচিত গাজার দায়িত্ব নেওয়া, যেমনটা ১৯৬৭ সালের আগে ছিল আরব লীগের ম্যান্ডেটের আওতায়।’
এই প্রথমবার নয়, এর আগেও লিবারম্যান গাজার ফিলিস্তিনিদের মিসরে স্থানান্তরের আহ্বান জানিয়েছিলেন। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি বলেছিলেন, ‘মিশর যেন গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং ইসরায়েল ও জর্ডান যেন যৌথভাবে পশ্চিম তীরের দায়িত্ব গ্রহণ করে।’ তিনি ট্রাম্পের গাজা দখল ও ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের পরিকল্পনারও সমর্থন করেন এবং বলেন, ‘যদি মিসর সিনাইয়ের দরজা খুলে দেয়, তবে এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব।’
গত ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন, তিনি গাজা দখল এবং ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করতে চান। এতে ব্যাপক আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
২৫ জানুয়ারি থেকে ট্রাম্প গাজার ফিলিস্তিনিদের মিসর ও জর্ডানসহ আশপাশের দেশগুলোতে স্থানান্তরের পরিকল্পনা প্রচার করছেন, যা মিশর ও জর্ডান সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের সঙ্গে আরও কয়েকটি আরব দেশ ও আঞ্চলিক-আন্তর্জাতিক সংস্থাও এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থনে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে। এতে ১ লাখ ৫৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ ও আহত হয়েছেন। এর মধ্যে নিহতের সংখ্যা ৪৮ হাজারের বেশি। যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া ১৪ হাজারের বেশি মানুষ এখনো নিখোঁজ।
পারস্য উপসাগরের উপকূলে ইরানের বুশেহর শহরে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি কোনো হামলার শিকার হয়, তবে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। শুধু ইরান নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল পড়বে বিপদের মুখে।
৩ ঘণ্টা আগেবি-২ বিমানের সঙ্গে ছিল চারটি বোয়িং কেসি-৪৬ পেগাসাস ফুয়েল ট্যাংকার। এর মধ্যে দুটি ইতিমধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশে বি-২ বোমারুতে জ্বালানি সরবরাহ করেছে। বাকি দুটি প্রায় ৭৫ কিলোমিটার পেছনে অবস্থান করছে।
৩ ঘণ্টা আগেসামরিক শক্তিতে বরাবরই নিজেকে অপরাজেয় হিসেবে জাহির করা ইসরায়েলকে সত্যিই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলকে ইতিমধ্যেই ব্যতিব্যস্ত করার পর গতকাল শনিবার দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে সফল ড্রোন হামলা চালায় ইরান। ইরানের দুটি ড্রোন ইসরায়েলের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে...
৪ ঘণ্টা আগেইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত নবম দিনে গড়িয়েছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের পক্ষে সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে লোহিতসাগরে মার্কিন জাহাজগুলোতে হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। হুতি বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে
৪ ঘণ্টা আগে