Ajker Patrika

আইন ভেঙে সৌদিকে অস্ত্র বিক্রি কানাডার

আইন ভেঙে সৌদিকে অস্ত্র বিক্রি কানাডার

উত্তর আমেরিকার সুখী সমৃদ্ধিশালী দেশ কানাডা সৌদি আরবের কাছে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে অস্ত্র বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কানাডা এবং স্থানীয় এনজিও প্রজেক্ট প্লাউশেয়ারসের এক গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তবে কানাডা এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। 

সংস্থা দুটির গত বুধবারের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, অস্ত্র ব্যবসা চুক্তি (এটিটি) লঙ্ঘন করে কানাডা সৌদি আরবে অস্ত্র রপ্তানি করছে। এটি অনেকগুলো গবেষণা এবং বিশেষজ্ঞদের প্রতিবেদনে বেরিয়ে এসেছে। 
এতে আরও বলা হয়, সৌদি আরবে কানাডার রপ্তানিকৃত অস্ত্র ইয়েমেন যুদ্ধ ব্যবহৃত হচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের হাতে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। এ অবস্থায় সৌদির সঙ্গে অস্ত্র রপ্তানি চুক্তি বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থা দুটি। তা ছাড়া ২০১৪ সাল থেকে কার্যকর হওয়া এটিটির স্বাক্ষরকারী হওয়ায় কানাডা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। 

কিন্তু কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লামা খোদার কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল–জাজিরাকে জানান, আমাদের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যবস্থার অন্যতম। মানবাধিকারের লঙ্ঘনের বিষয়টি আমাদের রপ্তানি ব্যবস্থার কেন্দ্রীয় বিষয় হিসেবে বিবেচিত। তবে অনেক বছর ধরে কানাডার নাগরিক সমাজের বিভিন্ন সংগঠন দেশটিকে সৌদির আরবের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল করতে আহ্বান জানিয়ে আসছে। তাদের উদ্বেগ এসব অস্ত্র দেশটি বা ইয়েমেনের সাধারণ নাগরিক বিরুদ্ধ ব্যবহৃত হতে পারে। 

তথ্য অনুসারে, কানাডা–সৌদি আরবের মধ্যে অস্ত্র চুক্তির অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার। ২০২০ সালের এপ্রিলে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি খুন হওয়ার পর চাপ থাকা সত্ত্বেও রিয়াদে অস্ত্র রপ্তানি অব্যাহত রাখে অটোয়া। একই বছর দেশটি সৌদিতে অস্ত্র রপ্তানি করে ১০৫ কোটি ডলার, যা যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয়। 

কানাডার সঙ্গে সৌদি আরবের এ চুক্তি শুরু হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্টেফান হারপারের আমলে। কিন্তু এ চুক্তি অনুমোদন পায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সময়ে। এ চুক্তির সমর্থনে ট্রুডোকেও বারবার সাফাই গাইতে দেখা গেছে। 

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে ইয়েমেনে এ পর্যন্ত অন্তত ২ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যাদের অধিকাংশ মারা গেছে দুর্ভিক্ষে। অর্থাৎ মানবিক সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। সেখানে প্রেসিডেন্ট আব্দ–রাব্বু মানসুর হাদিকে সর্বাত্মক সহায়তা করছে রিয়াদ ও আবুধাবি। আর বিদ্রোহী হুথির সঙ্গে রয়েছে ইরান। 

এদিকে সৌদি আরবের পর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অস্ত্র আমদানিকারক দেশ কাতার। এসব দেশে যারা অস্ত্র রপ্তানি করে তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পর রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন ও যুক্তরাজ্য অন্যতম। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত