আজকের পত্রিকা ডেস্ক
রমজান মাসে সিরিয়ান ড্রামা একসময় মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে তুমুল জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে অর্থ ও আন্তর্জাতিক সংযোগের ঘাটতির ফলে সেই গৌরব ধূসর হয়ে যায়। তবে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে নিষেধাজ্ঞা, রাজনৈতিক নিঃসঙ্গতা ও অর্থনৈতিক অচলাবস্থার মধ্য দিয়ে চলা সিরিয়ার টেলিভিশন ও বিনোদনশিল্পে অবশেষে আশার আলো দেখা দিয়েছে।
আজ সোমবার আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, নাটক ও বিনোদনশিল্পের অচলাবস্থা ভাঙতে সিরিয়ার নতুন সরকার কাতারভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আল মাহা ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে একটি বড় চুক্তিতে পৌঁছেছে। এই চুক্তির অংশ হিসেবে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের এক প্রান্তে নির্মিত হবে একটি আধুনিক মিডিয়া ও বিনোদন কমপ্লেক্স। ‘সিটি অব দামেস্ক গেট’ নামে প্রায় ২০ লাখ বর্গমিটারজুড়ে প্রকল্পটি দেশটির সিনেমা, টেলিভিশন ও পর্যটন খাতে নতুন প্রাণসঞ্চার করতে যাচ্ছে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে ৪ হাজারেরও বেশি স্থায়ী ও ৯ হাজার মৌসুমি চাকরি তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি এটি আরব বিশ্বের টেলিভিশন চ্যানেল ও নির্মাতাদের কাছে সিরিয়াকে একটি ব্যবসাবান্ধব ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ চিত্রায়ণ গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে সিরিয়ার ওপর দীর্ঘদিন ধরে চলা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরই এই চুক্তির অন্যতম প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। এর ফলে সিরিয়ার বিনোদনজগতে আন্তর্জাতিক আগ্রহ ফিরে এসেছে। এ ছাড়া পর্যটন, রিয়েল এস্টেট ও মিডিয়া খাতগুলোতেও এই ধরনের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
সিরিয়ার প্রবীণ নির্মাতা আহমদ আলশেইখ বলেন, ‘এটা নিছক কূটনৈতিক সংকেত নয়, বরং আমাদের টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রশিল্পের জন্য এক নতুন সূচনা।’ তাঁর মতে, দশ বছর ধরে যেসব মৌলিক যন্ত্রপাতি, অংশীদারত্ব ও অর্থায়নের সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিল সিরিয়া, এখন আবার সেগুলোর দরজা খুলছে।
এই পরিবর্তন শুধু অর্থনৈতিক নয়, মানসিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। আলশেইখ বলেন, ‘আইনি ও আর্থিক ভয় কেটে গেলে স্বাভাবিকভাবেই দরজা খুলে যায়। আমি আশা করি, শিগগির বিজ্ঞাপনদাতা, সম্প্রচার সংস্থা ও পরিবেশকেরা ফিরবে এবং প্রযোজনার মানও বাড়বে।’
তাঁর মতে, সিরিয়ান নাটকের শক্ত ভিত হিসেবে আছে সংবেদনশীলতা ও সমাজমনস্ক গল্প। তাই এর পুনর্জন্ম সম্ভব। তবে এর জন্য চাই পেশাগত মান, আন্তর্জাতিক অংশীদারত্ব এবং নতুন বিনিয়োগের প্রতি আস্থা।
এই প্রেক্ষাপটে নেটফ্লিক্স ও শাহিদের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর দৃষ্টি সিরিয়ার দিকে পড়ছে বলেও মত দিয়েছেন আলশেইখ। তাঁর বিশ্বাস, ২০২৬ সালের রমজান হবে সিরিয়ান ড্রামা পুনরুদ্ধারের মোক্ষম সময়।
এই আশা নিয়ে এগোচ্ছেন দেশটির তরুণ নির্মাতারাও। তাঁদের একজন পুরস্কারজয়ী পরিচালক আনাস জাওয়াহরি বলেন, ‘এক যুগ ধরে আমরা সৃজনশীল ও আর্থিকভাবে পঙ্গু ছিলাম। অবশেষে এখন আমরা সহযোগিতা করতে পারছি। সিরিয়া এখনো গল্প বলার জন্য উর্বর মাটি।’
জাওয়াহরির আলোচিত ডকুমেন্টারি ‘মাই মেমরি ইজ ফুল অব গোস্টস’ যুদ্ধপীড়িত হোমস শহরের মানুষের স্মৃতি ও যন্ত্রণাকে তুলে ধরে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়। এখন তিনি মনে করছেন, আরও সাহসী ও সত্যনিষ্ঠ গল্প বলার সময় এসেছে।
তাঁর ভাষায়, ‘এখন আমাদের দরকার তহবিল, উৎসব ও প্ল্যাটফর্মে সহায়তা। আমরা মুখ বন্ধ করে অপেক্ষা করেছি। এখন আবার আমাদের কণ্ঠ তুলে ধরার সময় এসেছে।’
রমজান মাসে সিরিয়ান ড্রামা একসময় মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে তুমুল জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে অর্থ ও আন্তর্জাতিক সংযোগের ঘাটতির ফলে সেই গৌরব ধূসর হয়ে যায়। তবে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে নিষেধাজ্ঞা, রাজনৈতিক নিঃসঙ্গতা ও অর্থনৈতিক অচলাবস্থার মধ্য দিয়ে চলা সিরিয়ার টেলিভিশন ও বিনোদনশিল্পে অবশেষে আশার আলো দেখা দিয়েছে।
আজ সোমবার আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, নাটক ও বিনোদনশিল্পের অচলাবস্থা ভাঙতে সিরিয়ার নতুন সরকার কাতারভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আল মাহা ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে একটি বড় চুক্তিতে পৌঁছেছে। এই চুক্তির অংশ হিসেবে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের এক প্রান্তে নির্মিত হবে একটি আধুনিক মিডিয়া ও বিনোদন কমপ্লেক্স। ‘সিটি অব দামেস্ক গেট’ নামে প্রায় ২০ লাখ বর্গমিটারজুড়ে প্রকল্পটি দেশটির সিনেমা, টেলিভিশন ও পর্যটন খাতে নতুন প্রাণসঞ্চার করতে যাচ্ছে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে ৪ হাজারেরও বেশি স্থায়ী ও ৯ হাজার মৌসুমি চাকরি তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি এটি আরব বিশ্বের টেলিভিশন চ্যানেল ও নির্মাতাদের কাছে সিরিয়াকে একটি ব্যবসাবান্ধব ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ চিত্রায়ণ গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে সিরিয়ার ওপর দীর্ঘদিন ধরে চলা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরই এই চুক্তির অন্যতম প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। এর ফলে সিরিয়ার বিনোদনজগতে আন্তর্জাতিক আগ্রহ ফিরে এসেছে। এ ছাড়া পর্যটন, রিয়েল এস্টেট ও মিডিয়া খাতগুলোতেও এই ধরনের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
সিরিয়ার প্রবীণ নির্মাতা আহমদ আলশেইখ বলেন, ‘এটা নিছক কূটনৈতিক সংকেত নয়, বরং আমাদের টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রশিল্পের জন্য এক নতুন সূচনা।’ তাঁর মতে, দশ বছর ধরে যেসব মৌলিক যন্ত্রপাতি, অংশীদারত্ব ও অর্থায়নের সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিল সিরিয়া, এখন আবার সেগুলোর দরজা খুলছে।
এই পরিবর্তন শুধু অর্থনৈতিক নয়, মানসিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। আলশেইখ বলেন, ‘আইনি ও আর্থিক ভয় কেটে গেলে স্বাভাবিকভাবেই দরজা খুলে যায়। আমি আশা করি, শিগগির বিজ্ঞাপনদাতা, সম্প্রচার সংস্থা ও পরিবেশকেরা ফিরবে এবং প্রযোজনার মানও বাড়বে।’
তাঁর মতে, সিরিয়ান নাটকের শক্ত ভিত হিসেবে আছে সংবেদনশীলতা ও সমাজমনস্ক গল্প। তাই এর পুনর্জন্ম সম্ভব। তবে এর জন্য চাই পেশাগত মান, আন্তর্জাতিক অংশীদারত্ব এবং নতুন বিনিয়োগের প্রতি আস্থা।
এই প্রেক্ষাপটে নেটফ্লিক্স ও শাহিদের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর দৃষ্টি সিরিয়ার দিকে পড়ছে বলেও মত দিয়েছেন আলশেইখ। তাঁর বিশ্বাস, ২০২৬ সালের রমজান হবে সিরিয়ান ড্রামা পুনরুদ্ধারের মোক্ষম সময়।
এই আশা নিয়ে এগোচ্ছেন দেশটির তরুণ নির্মাতারাও। তাঁদের একজন পুরস্কারজয়ী পরিচালক আনাস জাওয়াহরি বলেন, ‘এক যুগ ধরে আমরা সৃজনশীল ও আর্থিকভাবে পঙ্গু ছিলাম। অবশেষে এখন আমরা সহযোগিতা করতে পারছি। সিরিয়া এখনো গল্প বলার জন্য উর্বর মাটি।’
জাওয়াহরির আলোচিত ডকুমেন্টারি ‘মাই মেমরি ইজ ফুল অব গোস্টস’ যুদ্ধপীড়িত হোমস শহরের মানুষের স্মৃতি ও যন্ত্রণাকে তুলে ধরে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়। এখন তিনি মনে করছেন, আরও সাহসী ও সত্যনিষ্ঠ গল্প বলার সময় এসেছে।
তাঁর ভাষায়, ‘এখন আমাদের দরকার তহবিল, উৎসব ও প্ল্যাটফর্মে সহায়তা। আমরা মুখ বন্ধ করে অপেক্ষা করেছি। এখন আবার আমাদের কণ্ঠ তুলে ধরার সময় এসেছে।’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির ৮০ বছর পূর্তির প্যারেডে যোগ দিতে ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো চীন সফরে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। আজ বৃহস্পতিবার, এ তথ্য জানিয়েছে দুই দেশ। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১১ সালে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার দায়িত্ব নেওয়ার পর এবারই প্রথম
২ ঘণ্টা আগেভারতে ২০১৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত চার বছরে যৌতুক সংক্রান্ত কারণে প্রায় ৩৬ হাজার নারীর মৃত্যু হয়েছে। দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর জরিপে উঠে এসেছে এই ভয়াবহ তথ্য। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত যৌতুক সংক্রান্ত নির্যাতনে মোট ৩৫ হাজার ৪৯৩ জন নারী নিহত হয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগেভারতের মহারাষ্ট্রের ভবন ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে। গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় গভীর রাতে ভেঙে পড়ে ‘রামাবাই অ্যাপার্টমেন্ট’ নামের চারতলা ভবনটি। টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সেখানে অব্যাহত রয়েছে উদ্ধারকাজ। কর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া মানুষদের উদ্ধারে একসঙ্গে কাজ করছে ভারতের জাতীয় বিপর
৫ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে আবারও বড় ধরনের ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। আজ বৃহস্পতিবার, স্থানীয় সময় ভোরে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে চালানো এ হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। এ হামলায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ৩০ জন।
৫ ঘণ্টা আগে