অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েলি হামলায় নিহত ইরানের সামরিক বাহিনী ও বিজ্ঞানীদের জানাজায় অংশ নিতে তেহরানের ইঙ্গেলাব (ইনকিলাব বা বিপ্লব) স্কয়ারে জমায়েত হয়েছিলেন হাজারো মানুষ। আজ শনিবার সেই শোকসভায় ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানসহ বাহরাইন, ইরাক ও আরও কয়েকটি আরব দেশের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন ইসলামি প্রজাতন্ত্রের প্রতি সংহতি প্রকাশের জন্য।
লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিনের খবরে বলা হয়েছে, আজ শনিবার ভোর থেকেই হাজারো নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী রাস্তায় নেমে আসেন। স্লোগান ওঠে, ‘আমেরিকার ধ্বংস চাই’, ‘ইসরায়েলের ধ্বংস চাই’, ‘আমরা ভুলব না, ক্ষমাও করব না’, ‘খামেনি, আমরা তোমার সঙ্গে আছি।’ মিছিল থেকে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) বিরুদ্ধে ক্ষোভও ঝড়ে পড়ে। সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসির বিচারও দাবি করেন অনেকে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সকালে ঘোষণা করা হয়, শহীদদের স্মরণে আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি শুরু হয়েছে। টেলিভিশনে দেখা যায়, শোকাহত মানুষ কালো পোশাকে, জাতীয় পতাকা ও শহীদদের ছবি নিয়ে মিছিল করছেন। ইসরায়েলি হামলায় নিহত কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীদের বহনকারী কফিনগুলো ইরানের জাতীয় পতাকায় মোড়ানো। সামরিক প্রতীকে সাজানো কফিনগুলো ইঙ্গেলাব স্কয়ারে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়। এরপর সেখান থেকে আজাদি (স্বাধীনতা) স্কয়ারের দিকে যাত্রা শুরু হয়।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) তেহরান শাখার কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান হাসানজাদে জানান, শহীদদের এই জানাজা ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩’ এরই অংশ। তিনি বলেন, ইঙ্গেলাব স্কয়ার থেকে আজাদি স্কয়ারের এই মিছিল ইরানের দৃঢ় অবস্থান এবং জাতীয় ঐক্যের প্রতীক।
তিনি আরও জানান, ইরানের সমাজের সব স্তরের মানুষ এই শোকযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। তাদের ত্যাগ শুধু ক্ষতি নয়, বরং গোটা জাতির জন্য প্রেরণার উৎস।
শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরির প্রতিও। তিনি স্ত্রী ও মেয়েসহ ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন। এ ছাড়া পরমাণুবিজ্ঞানী মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচি ও তাঁর স্ত্রী, যুদ্ধের প্রথম দিন নিহত আইআরজিসি প্রধান হোসেইন সালামিকেও স্মরণ করা হয়। শহীদদের তালিকায় ছিলেন ৩০ জন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও চারজন শিশু।
তেহরানের ইসলামি উন্নয়ন সমন্বয় পরিষদের প্রধান মোহসেন মাহমুদি বলেন, ‘ইসলামি ইরান ও বিপ্লবের ইতিহাসে আজকের দিনটি এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়।’
ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬২৭ জন নিহত ও ৪ হাজার ৮৭০ জন আহত হয়েছেন। সব কফিনের ভিড়ে সবচেয়ে ছোট কফিনগুলো যেন মানুষের মন কেড়ে নিচ্ছিল। শিশুদের কফিনগুলো কাঁপা হাতে বহন করছিলেন স্বজনেরা। যুদ্ধ কেড়ে নিয়েছে তাদের নিষ্পাপ জীবন। মায়েদের কান্না ভাসিয়ে দিয়েছিল চারপাশ। পুরো জাতি যেন সেই কফিনগুলো স্পর্শ করে তাদের বেদনা ভাগাভাগি করছিল।
এদিকে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও উত্তেজনা বাড়িয়েছেন। নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে তিনি দাবি করেন, তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনিকে ‘এক ভয়ংকর ও অপমানজনক মৃত্যু’ থেকে বাঁচিয়েছেন। তাঁর অবস্থানও জানতেন, কিন্তু আঘাত করেননি। ট্রাম্প বলেন, তিনি ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন, কিন্তু ইরানের ‘ঘৃণা ও ক্ষোভের’ কারণে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।
এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। তিনি এক্সে লিখেন, যদি ট্রাম্প সত্যিই সমঝোতা চান, তাহলে তাঁকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতি অবমাননাকর ভাষা বাদ দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলি শাসকেরা কীভাবে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের ভয়ে আমেরিকার শরণাপন্ন হয়েছে, তা গোটা বিশ্ব দেখেছে। আমাদের জাতি হুমকি-অপমান বরদাশত করে না।’
গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনায় ভয়াবহ হামলা চালায়। এরপর যুক্তরাষ্ট্র তিনটি ইরানি পরমাণু স্থাপনায় বিমান হামলা করে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তোলে। তবে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির মধ্যেও ইরান হার মানেনি। পাল্টা জবাব দিয়েছে, যার ফলে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশই শেষ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে বাধ্য হয়েছে। যদিও তারা নিজেদের সাফল্যের দাবি করেছে, কিন্তু ইরান তাদের সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, এই আগ্রাসনের মধ্যেও দেশের সার্বভৌমত্ব ও মনোবল অটুট রয়েছে।
ইসরায়েলি হামলায় নিহত ইরানের সামরিক বাহিনী ও বিজ্ঞানীদের জানাজায় অংশ নিতে তেহরানের ইঙ্গেলাব (ইনকিলাব বা বিপ্লব) স্কয়ারে জমায়েত হয়েছিলেন হাজারো মানুষ। আজ শনিবার সেই শোকসভায় ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানসহ বাহরাইন, ইরাক ও আরও কয়েকটি আরব দেশের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন ইসলামি প্রজাতন্ত্রের প্রতি সংহতি প্রকাশের জন্য।
লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিনের খবরে বলা হয়েছে, আজ শনিবার ভোর থেকেই হাজারো নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী রাস্তায় নেমে আসেন। স্লোগান ওঠে, ‘আমেরিকার ধ্বংস চাই’, ‘ইসরায়েলের ধ্বংস চাই’, ‘আমরা ভুলব না, ক্ষমাও করব না’, ‘খামেনি, আমরা তোমার সঙ্গে আছি।’ মিছিল থেকে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) বিরুদ্ধে ক্ষোভও ঝড়ে পড়ে। সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসির বিচারও দাবি করেন অনেকে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সকালে ঘোষণা করা হয়, শহীদদের স্মরণে আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি শুরু হয়েছে। টেলিভিশনে দেখা যায়, শোকাহত মানুষ কালো পোশাকে, জাতীয় পতাকা ও শহীদদের ছবি নিয়ে মিছিল করছেন। ইসরায়েলি হামলায় নিহত কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীদের বহনকারী কফিনগুলো ইরানের জাতীয় পতাকায় মোড়ানো। সামরিক প্রতীকে সাজানো কফিনগুলো ইঙ্গেলাব স্কয়ারে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়। এরপর সেখান থেকে আজাদি (স্বাধীনতা) স্কয়ারের দিকে যাত্রা শুরু হয়।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) তেহরান শাখার কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান হাসানজাদে জানান, শহীদদের এই জানাজা ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩’ এরই অংশ। তিনি বলেন, ইঙ্গেলাব স্কয়ার থেকে আজাদি স্কয়ারের এই মিছিল ইরানের দৃঢ় অবস্থান এবং জাতীয় ঐক্যের প্রতীক।
তিনি আরও জানান, ইরানের সমাজের সব স্তরের মানুষ এই শোকযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। তাদের ত্যাগ শুধু ক্ষতি নয়, বরং গোটা জাতির জন্য প্রেরণার উৎস।
শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরির প্রতিও। তিনি স্ত্রী ও মেয়েসহ ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন। এ ছাড়া পরমাণুবিজ্ঞানী মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচি ও তাঁর স্ত্রী, যুদ্ধের প্রথম দিন নিহত আইআরজিসি প্রধান হোসেইন সালামিকেও স্মরণ করা হয়। শহীদদের তালিকায় ছিলেন ৩০ জন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও চারজন শিশু।
তেহরানের ইসলামি উন্নয়ন সমন্বয় পরিষদের প্রধান মোহসেন মাহমুদি বলেন, ‘ইসলামি ইরান ও বিপ্লবের ইতিহাসে আজকের দিনটি এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়।’
ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬২৭ জন নিহত ও ৪ হাজার ৮৭০ জন আহত হয়েছেন। সব কফিনের ভিড়ে সবচেয়ে ছোট কফিনগুলো যেন মানুষের মন কেড়ে নিচ্ছিল। শিশুদের কফিনগুলো কাঁপা হাতে বহন করছিলেন স্বজনেরা। যুদ্ধ কেড়ে নিয়েছে তাদের নিষ্পাপ জীবন। মায়েদের কান্না ভাসিয়ে দিয়েছিল চারপাশ। পুরো জাতি যেন সেই কফিনগুলো স্পর্শ করে তাদের বেদনা ভাগাভাগি করছিল।
এদিকে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও উত্তেজনা বাড়িয়েছেন। নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে তিনি দাবি করেন, তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনিকে ‘এক ভয়ংকর ও অপমানজনক মৃত্যু’ থেকে বাঁচিয়েছেন। তাঁর অবস্থানও জানতেন, কিন্তু আঘাত করেননি। ট্রাম্প বলেন, তিনি ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন, কিন্তু ইরানের ‘ঘৃণা ও ক্ষোভের’ কারণে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।
এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। তিনি এক্সে লিখেন, যদি ট্রাম্প সত্যিই সমঝোতা চান, তাহলে তাঁকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতি অবমাননাকর ভাষা বাদ দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলি শাসকেরা কীভাবে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের ভয়ে আমেরিকার শরণাপন্ন হয়েছে, তা গোটা বিশ্ব দেখেছে। আমাদের জাতি হুমকি-অপমান বরদাশত করে না।’
গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনায় ভয়াবহ হামলা চালায়। এরপর যুক্তরাষ্ট্র তিনটি ইরানি পরমাণু স্থাপনায় বিমান হামলা করে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তোলে। তবে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির মধ্যেও ইরান হার মানেনি। পাল্টা জবাব দিয়েছে, যার ফলে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশই শেষ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে বাধ্য হয়েছে। যদিও তারা নিজেদের সাফল্যের দাবি করেছে, কিন্তু ইরান তাদের সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, এই আগ্রাসনের মধ্যেও দেশের সার্বভৌমত্ব ও মনোবল অটুট রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে ডেমোক্র্যাটদের আনা একটি প্রস্তাব স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার খারিজ হয়ে গেছে। এতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইরানের বিরুদ্ধে আর কোনো সামরিক অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে কংগ্রেসের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
১৮ মিনিট আগেট্রাম্প নিজেই ‘নারীদের বিষয়ে’ তাঁর একমাত্র আক্ষেপের কথা স্বীকার করেছেন। ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত ‘দ্য আর্ট অব দ্য কামব্যাক’ বইয়ে তিনি লেখেন, ‘লেডি ডায়ানা স্পেনসারকে কখনো আমি মন দিয়ে ভালোবাসার সুযোগই পেলাম না।’ তিনি আরও লেখেন, ‘আমি তাঁকে বেশ কয়েকবার দেখেছি। আমি লক্ষ করেছি, তিনি কীভাবে মানুষকে আকৃষ্ট করতে
৩২ মিনিট আগেফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস গাজায় এখন কঠিন চাপের মুখে। টানা ২০ মাস ধরে ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনে সংগঠনটির বড়ধরনের ক্ষতি হয়েছে। কমান্ডার-যোদ্ধাসংকট, টানেল বা সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কের বড় অংশ ধ্বংস, বিদ্রোহী গোত্রের উত্থান ও মিত্র ইরানের সহযোগিতা নিয়ে অনিশ্চয়তা—সব মিলিয়ে টিকে থাকার লড়াইয়ে ব্যস্ত
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন সুপ্রিম কোর্ট প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে একটি বড় রায় দিয়েছেন। এই রায়ের ফলে এখন থেকে নিম্ন আদালতগুলোর পক্ষে প্রেসিডেন্টের ঘোষিত নীতিগুলো দ্রুত দেশব্যাপী আটকে দেওয়া অনেক কঠিন হবে। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার ৬-৩ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় দেওয়া এই রায়ে বিচারপতিরা বিচারকদের ক্ষমতা সীমিত করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে