আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মধ্যপ্রদেশে বিষাক্ত কাশির সিরাপ খেয়ে ২০ শিশু মারা গেছে। আরও সাত শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ মৃত্যুগুলো এখন রাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার ভয়াবহ ব্যর্থতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওষুধ প্রশাসনের এ ব্যবস্থা এমন একটি সিস্টেম, যা মানুষের জীবন রক্ষা করার কথা, এখন সেটিই ভেঙে পড়েছে নিজের দুর্বলতায়।
ঘটনার সূত্রপাত মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা জেলায়। সেখানেই প্রথম রহস্যজনকভাবে কয়েকটি শিশুর মৃত্যু হয়। পরে জানা যায়, তারা সবাই ‘কোল্ডরিফ’ (Coldrif) নামের একটি কাশির সিরাপ খেয়েছিল। এই ওষুধ তৈরি করেছিল তামিলনাড়ুভিত্তিক একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। এই সিরাপ খেয়ে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে ১০টি শিশুর মৃত্যু হয়।
কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ১০টি শিশুর মৃত্যুর পরেও সেই সন্দেহভাজন সিরাপের নমুনা কোনো জরুরি মাধ্যমে পাঠানো হয়নি। বরং সাধারণ ডাকযোগে কোনো নিরাপত্তা ছাড়াই পরীক্ষার জন্য পাঠায় স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে যখন নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, (ফল এখনো আসেনি) ঠিক এমন সময়ে মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেন্দ্র শুক্লা ১ ও ৩ অক্টোবর দুবার প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন, সিরাপটি ‘নিরাপদ’। এখন ২০টি শিশুর মৃত্যুর পর সেই ঘোষণাই সবচেয়ে নির্মম বৈপরীত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে তামিলনাড়ু সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। তাদের পরীক্ষাগারে একই সিরাপ পরীক্ষা করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিষাক্ত প্রমাণিত হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু মধ্যপ্রদেশে তখনো নমুনাগুলো ডাকঘরে ঘুরছিল। মাত্র ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বের ছিন্দওয়ারা থেকে ভোপাল পর্যন্ত যেতে লেগে যায় তিন দিন!
প্রথম সতর্কবার্তা আসে ১৯ সেপ্টেম্বর, নাগপুর থেকে। সেখান থেকে খবর আসে একধরনের দূষিত কফ সিরাপ শিশুদের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। ২২ সেপ্টেম্বর রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ২৬-২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ন্যাশনাল হেলথ মিশন ও ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের বিশেষজ্ঞরা তদন্ত করেন। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় প্রশাসন ছিন্দওয়ারা জেলায় কোল্ডরিফ বিক্রিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়।
কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা ছিল কেবল একটি জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ। পাশের জেলাগুলোতে ওষুধটি আরও কয়েক দিন বিক্রি চলতে থাকে। ১ অক্টোবর কেন্দ্রীয় সরকার দুটি সন্দেহভাজন সিরাপ কোলড্রিফ ও নেক্সট্রো-ডিএস (Nextro-DS) নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করে। এর দুই দিন পর ৩ অক্টোবর তামিলনাড়ুর পরীক্ষাগার নিশ্চিত করে—কোল্ডরিফ বিষাক্ত। তারপর ৪ অক্টোবর, অর্থাৎ প্রথম মৃত্যুর ঘটনার প্রায় এক মাস পর রাজ্যজুড়ে নিষেধাজ্ঞা দেয় মধ্যপ্রদেশ সরকার। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলার দিনেশ শ্রীবাস্তব স্বীকার করেন, নমুনা ডাকযোগে পাঠানো রুটিন প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, সাধারণত সব নমুনা রেজিস্টার্ড পোস্টে পাঠানো হয়। তবে জরুরি ক্ষেত্রে বিশেষ বাহকের মাধ্যমে পাঠানো উচিত। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে, দোষীদের বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ মন্তব্যই প্রকাশ করেছে, জরুরি পরিস্থিতিতেও রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা কতটা যান্ত্রিক ও সেকেলে প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভরশীল, যা জীবন বাঁচানোর বদলে কাগজে-কলমেই আটকে থাকে।
এ ঘটনার পর রাজ্যের ওষুধ পরীক্ষার অবকাঠামোর দুরবস্থাও সামনে এসেছে। ভোপাল, ইন্দোর ও জবলপুরে রাজ্যের মোট তিনটি ড্রাগ ল্যাব রয়েছে, যেগুলোর বার্ষিক নমুনা পরীক্ষণক্ষমতা মাত্র ৬ হাজার। কিন্তু সেখানে ৫ হাজার ৫০০-এর বেশি নমুনা জমে রয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষায় লাগে দুই-তিন দিন।
পুরো রাজ্যের ৫০ জেলার জন্য রয়েছে মাত্র ৮০ জন ওষুধ পরিদর্শক। সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা এনডিটিভিকে বলেন, এ গতিতে চললে সব নমুনা পরীক্ষা করতে এক বছরেরও বেশি সময় লাগবে।
এদিকে সরকারের ব্যর্থতার আরও এক দৃষ্টান্ত হলো—দুটি মোবাইল ড্রাগ টেস্টিং ভ্যান। এগুলো দ্রুত মান যাচাইয়ের জন্য কেনা হয়েছিল। কিন্তু এখন সেগুলো বছরের পর বছর অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে গ্যারেজে। একটি ২০২২ সাল থেকে নাড়াচাড়া হয়নি, অন্যটি কখনোই ব্যবহার করা হয়নি।
এদিকে যে সিরাপ মৃত্যুর কারণ হয়েছে, সেই কোল্ডরিফের ৬৬০ বোতলের মধ্যে ৪৫৭টি উদ্ধার করা গেছে। এর মধ্যে ২৮টি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
১৫৬টি বোতল শিশুদের দেওয়া হয়েছিল, আর ১৯টি বোতলের খোঁজই মেলেনি! সেগুলো এখন কোথায় আছে, কেউ জানে না। কিন্তু প্রতিটি হারানো বোতল অবশিষ্ট বিপদের প্রতীক।
এ ঘটনা শুধু একটি কোম্পানির অবহেলা নয়—বরং একটি ভাঙা সিস্টেমের নগ্ন প্রতিচ্ছবি। সরকার সময়মতো পদক্ষেপ নেয়নি, পরীক্ষাগারগুলো অকেজো যন্ত্রপাতি দিয়ে ভরা আর কর্মকর্তারা যেন বুঝতেই পারেননি তাঁরা একটি প্রাণঘাতী জরুরি পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
আজ যখন ২০টি শিশুর দেহ মাটিতে মিশে গেছে, আর সাতটি শিশু মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে, তখনো মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্য দপ্তর কাগজপত্রের জটেই আটকে আছে।
যতক্ষণ পর্যন্ত বিষাক্ত নমুনা সরকারি আলমারিতে ধুলো জমায় আর গ্যারেজে থাকা টেস্টিং ভ্যানে মরচে ধরে, ততক্ষণ পর্যন্ত প্রশ্ন থেকেই যায়—নিজেদের এই ভয়াবহ ব্যর্থতা থেকে মধ্যপ্রদেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা বা ওষুধ প্রশাসন আদৌ কোনো শিক্ষা নেবে, নাকি আরও একটি বিপর্যয়ের অপেক্ষায় থাকবে?

মধ্যপ্রদেশে বিষাক্ত কাশির সিরাপ খেয়ে ২০ শিশু মারা গেছে। আরও সাত শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ মৃত্যুগুলো এখন রাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার ভয়াবহ ব্যর্থতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওষুধ প্রশাসনের এ ব্যবস্থা এমন একটি সিস্টেম, যা মানুষের জীবন রক্ষা করার কথা, এখন সেটিই ভেঙে পড়েছে নিজের দুর্বলতায়।
ঘটনার সূত্রপাত মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা জেলায়। সেখানেই প্রথম রহস্যজনকভাবে কয়েকটি শিশুর মৃত্যু হয়। পরে জানা যায়, তারা সবাই ‘কোল্ডরিফ’ (Coldrif) নামের একটি কাশির সিরাপ খেয়েছিল। এই ওষুধ তৈরি করেছিল তামিলনাড়ুভিত্তিক একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। এই সিরাপ খেয়ে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে ১০টি শিশুর মৃত্যু হয়।
কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ১০টি শিশুর মৃত্যুর পরেও সেই সন্দেহভাজন সিরাপের নমুনা কোনো জরুরি মাধ্যমে পাঠানো হয়নি। বরং সাধারণ ডাকযোগে কোনো নিরাপত্তা ছাড়াই পরীক্ষার জন্য পাঠায় স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে যখন নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, (ফল এখনো আসেনি) ঠিক এমন সময়ে মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেন্দ্র শুক্লা ১ ও ৩ অক্টোবর দুবার প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন, সিরাপটি ‘নিরাপদ’। এখন ২০টি শিশুর মৃত্যুর পর সেই ঘোষণাই সবচেয়ে নির্মম বৈপরীত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে তামিলনাড়ু সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। তাদের পরীক্ষাগারে একই সিরাপ পরীক্ষা করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিষাক্ত প্রমাণিত হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু মধ্যপ্রদেশে তখনো নমুনাগুলো ডাকঘরে ঘুরছিল। মাত্র ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বের ছিন্দওয়ারা থেকে ভোপাল পর্যন্ত যেতে লেগে যায় তিন দিন!
প্রথম সতর্কবার্তা আসে ১৯ সেপ্টেম্বর, নাগপুর থেকে। সেখান থেকে খবর আসে একধরনের দূষিত কফ সিরাপ শিশুদের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। ২২ সেপ্টেম্বর রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ২৬-২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ন্যাশনাল হেলথ মিশন ও ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের বিশেষজ্ঞরা তদন্ত করেন। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় প্রশাসন ছিন্দওয়ারা জেলায় কোল্ডরিফ বিক্রিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়।
কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা ছিল কেবল একটি জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ। পাশের জেলাগুলোতে ওষুধটি আরও কয়েক দিন বিক্রি চলতে থাকে। ১ অক্টোবর কেন্দ্রীয় সরকার দুটি সন্দেহভাজন সিরাপ কোলড্রিফ ও নেক্সট্রো-ডিএস (Nextro-DS) নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করে। এর দুই দিন পর ৩ অক্টোবর তামিলনাড়ুর পরীক্ষাগার নিশ্চিত করে—কোল্ডরিফ বিষাক্ত। তারপর ৪ অক্টোবর, অর্থাৎ প্রথম মৃত্যুর ঘটনার প্রায় এক মাস পর রাজ্যজুড়ে নিষেধাজ্ঞা দেয় মধ্যপ্রদেশ সরকার। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলার দিনেশ শ্রীবাস্তব স্বীকার করেন, নমুনা ডাকযোগে পাঠানো রুটিন প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, সাধারণত সব নমুনা রেজিস্টার্ড পোস্টে পাঠানো হয়। তবে জরুরি ক্ষেত্রে বিশেষ বাহকের মাধ্যমে পাঠানো উচিত। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে, দোষীদের বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ মন্তব্যই প্রকাশ করেছে, জরুরি পরিস্থিতিতেও রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা কতটা যান্ত্রিক ও সেকেলে প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভরশীল, যা জীবন বাঁচানোর বদলে কাগজে-কলমেই আটকে থাকে।
এ ঘটনার পর রাজ্যের ওষুধ পরীক্ষার অবকাঠামোর দুরবস্থাও সামনে এসেছে। ভোপাল, ইন্দোর ও জবলপুরে রাজ্যের মোট তিনটি ড্রাগ ল্যাব রয়েছে, যেগুলোর বার্ষিক নমুনা পরীক্ষণক্ষমতা মাত্র ৬ হাজার। কিন্তু সেখানে ৫ হাজার ৫০০-এর বেশি নমুনা জমে রয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষায় লাগে দুই-তিন দিন।
পুরো রাজ্যের ৫০ জেলার জন্য রয়েছে মাত্র ৮০ জন ওষুধ পরিদর্শক। সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা এনডিটিভিকে বলেন, এ গতিতে চললে সব নমুনা পরীক্ষা করতে এক বছরেরও বেশি সময় লাগবে।
এদিকে সরকারের ব্যর্থতার আরও এক দৃষ্টান্ত হলো—দুটি মোবাইল ড্রাগ টেস্টিং ভ্যান। এগুলো দ্রুত মান যাচাইয়ের জন্য কেনা হয়েছিল। কিন্তু এখন সেগুলো বছরের পর বছর অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে গ্যারেজে। একটি ২০২২ সাল থেকে নাড়াচাড়া হয়নি, অন্যটি কখনোই ব্যবহার করা হয়নি।
এদিকে যে সিরাপ মৃত্যুর কারণ হয়েছে, সেই কোল্ডরিফের ৬৬০ বোতলের মধ্যে ৪৫৭টি উদ্ধার করা গেছে। এর মধ্যে ২৮টি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
১৫৬টি বোতল শিশুদের দেওয়া হয়েছিল, আর ১৯টি বোতলের খোঁজই মেলেনি! সেগুলো এখন কোথায় আছে, কেউ জানে না। কিন্তু প্রতিটি হারানো বোতল অবশিষ্ট বিপদের প্রতীক।
এ ঘটনা শুধু একটি কোম্পানির অবহেলা নয়—বরং একটি ভাঙা সিস্টেমের নগ্ন প্রতিচ্ছবি। সরকার সময়মতো পদক্ষেপ নেয়নি, পরীক্ষাগারগুলো অকেজো যন্ত্রপাতি দিয়ে ভরা আর কর্মকর্তারা যেন বুঝতেই পারেননি তাঁরা একটি প্রাণঘাতী জরুরি পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
আজ যখন ২০টি শিশুর দেহ মাটিতে মিশে গেছে, আর সাতটি শিশু মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে, তখনো মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্য দপ্তর কাগজপত্রের জটেই আটকে আছে।
যতক্ষণ পর্যন্ত বিষাক্ত নমুনা সরকারি আলমারিতে ধুলো জমায় আর গ্যারেজে থাকা টেস্টিং ভ্যানে মরচে ধরে, ততক্ষণ পর্যন্ত প্রশ্ন থেকেই যায়—নিজেদের এই ভয়াবহ ব্যর্থতা থেকে মধ্যপ্রদেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা বা ওষুধ প্রশাসন আদৌ কোনো শিক্ষা নেবে, নাকি আরও একটি বিপর্যয়ের অপেক্ষায় থাকবে?
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মধ্যপ্রদেশে বিষাক্ত কাশির সিরাপ খেয়ে ২০ শিশু মারা গেছে। আরও সাত শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ মৃত্যুগুলো এখন রাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার ভয়াবহ ব্যর্থতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওষুধ প্রশাসনের এ ব্যবস্থা এমন একটি সিস্টেম, যা মানুষের জীবন রক্ষা করার কথা, এখন সেটিই ভেঙে পড়েছে নিজের দুর্বলতায়।
ঘটনার সূত্রপাত মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা জেলায়। সেখানেই প্রথম রহস্যজনকভাবে কয়েকটি শিশুর মৃত্যু হয়। পরে জানা যায়, তারা সবাই ‘কোল্ডরিফ’ (Coldrif) নামের একটি কাশির সিরাপ খেয়েছিল। এই ওষুধ তৈরি করেছিল তামিলনাড়ুভিত্তিক একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। এই সিরাপ খেয়ে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে ১০টি শিশুর মৃত্যু হয়।
কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ১০টি শিশুর মৃত্যুর পরেও সেই সন্দেহভাজন সিরাপের নমুনা কোনো জরুরি মাধ্যমে পাঠানো হয়নি। বরং সাধারণ ডাকযোগে কোনো নিরাপত্তা ছাড়াই পরীক্ষার জন্য পাঠায় স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে যখন নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, (ফল এখনো আসেনি) ঠিক এমন সময়ে মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেন্দ্র শুক্লা ১ ও ৩ অক্টোবর দুবার প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন, সিরাপটি ‘নিরাপদ’। এখন ২০টি শিশুর মৃত্যুর পর সেই ঘোষণাই সবচেয়ে নির্মম বৈপরীত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে তামিলনাড়ু সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। তাদের পরীক্ষাগারে একই সিরাপ পরীক্ষা করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিষাক্ত প্রমাণিত হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু মধ্যপ্রদেশে তখনো নমুনাগুলো ডাকঘরে ঘুরছিল। মাত্র ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বের ছিন্দওয়ারা থেকে ভোপাল পর্যন্ত যেতে লেগে যায় তিন দিন!
প্রথম সতর্কবার্তা আসে ১৯ সেপ্টেম্বর, নাগপুর থেকে। সেখান থেকে খবর আসে একধরনের দূষিত কফ সিরাপ শিশুদের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। ২২ সেপ্টেম্বর রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ২৬-২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ন্যাশনাল হেলথ মিশন ও ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের বিশেষজ্ঞরা তদন্ত করেন। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় প্রশাসন ছিন্দওয়ারা জেলায় কোল্ডরিফ বিক্রিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়।
কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা ছিল কেবল একটি জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ। পাশের জেলাগুলোতে ওষুধটি আরও কয়েক দিন বিক্রি চলতে থাকে। ১ অক্টোবর কেন্দ্রীয় সরকার দুটি সন্দেহভাজন সিরাপ কোলড্রিফ ও নেক্সট্রো-ডিএস (Nextro-DS) নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করে। এর দুই দিন পর ৩ অক্টোবর তামিলনাড়ুর পরীক্ষাগার নিশ্চিত করে—কোল্ডরিফ বিষাক্ত। তারপর ৪ অক্টোবর, অর্থাৎ প্রথম মৃত্যুর ঘটনার প্রায় এক মাস পর রাজ্যজুড়ে নিষেধাজ্ঞা দেয় মধ্যপ্রদেশ সরকার। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলার দিনেশ শ্রীবাস্তব স্বীকার করেন, নমুনা ডাকযোগে পাঠানো রুটিন প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, সাধারণত সব নমুনা রেজিস্টার্ড পোস্টে পাঠানো হয়। তবে জরুরি ক্ষেত্রে বিশেষ বাহকের মাধ্যমে পাঠানো উচিত। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে, দোষীদের বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ মন্তব্যই প্রকাশ করেছে, জরুরি পরিস্থিতিতেও রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা কতটা যান্ত্রিক ও সেকেলে প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভরশীল, যা জীবন বাঁচানোর বদলে কাগজে-কলমেই আটকে থাকে।
এ ঘটনার পর রাজ্যের ওষুধ পরীক্ষার অবকাঠামোর দুরবস্থাও সামনে এসেছে। ভোপাল, ইন্দোর ও জবলপুরে রাজ্যের মোট তিনটি ড্রাগ ল্যাব রয়েছে, যেগুলোর বার্ষিক নমুনা পরীক্ষণক্ষমতা মাত্র ৬ হাজার। কিন্তু সেখানে ৫ হাজার ৫০০-এর বেশি নমুনা জমে রয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষায় লাগে দুই-তিন দিন।
পুরো রাজ্যের ৫০ জেলার জন্য রয়েছে মাত্র ৮০ জন ওষুধ পরিদর্শক। সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা এনডিটিভিকে বলেন, এ গতিতে চললে সব নমুনা পরীক্ষা করতে এক বছরেরও বেশি সময় লাগবে।
এদিকে সরকারের ব্যর্থতার আরও এক দৃষ্টান্ত হলো—দুটি মোবাইল ড্রাগ টেস্টিং ভ্যান। এগুলো দ্রুত মান যাচাইয়ের জন্য কেনা হয়েছিল। কিন্তু এখন সেগুলো বছরের পর বছর অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে গ্যারেজে। একটি ২০২২ সাল থেকে নাড়াচাড়া হয়নি, অন্যটি কখনোই ব্যবহার করা হয়নি।
এদিকে যে সিরাপ মৃত্যুর কারণ হয়েছে, সেই কোল্ডরিফের ৬৬০ বোতলের মধ্যে ৪৫৭টি উদ্ধার করা গেছে। এর মধ্যে ২৮টি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
১৫৬টি বোতল শিশুদের দেওয়া হয়েছিল, আর ১৯টি বোতলের খোঁজই মেলেনি! সেগুলো এখন কোথায় আছে, কেউ জানে না। কিন্তু প্রতিটি হারানো বোতল অবশিষ্ট বিপদের প্রতীক।
এ ঘটনা শুধু একটি কোম্পানির অবহেলা নয়—বরং একটি ভাঙা সিস্টেমের নগ্ন প্রতিচ্ছবি। সরকার সময়মতো পদক্ষেপ নেয়নি, পরীক্ষাগারগুলো অকেজো যন্ত্রপাতি দিয়ে ভরা আর কর্মকর্তারা যেন বুঝতেই পারেননি তাঁরা একটি প্রাণঘাতী জরুরি পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
আজ যখন ২০টি শিশুর দেহ মাটিতে মিশে গেছে, আর সাতটি শিশু মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে, তখনো মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্য দপ্তর কাগজপত্রের জটেই আটকে আছে।
যতক্ষণ পর্যন্ত বিষাক্ত নমুনা সরকারি আলমারিতে ধুলো জমায় আর গ্যারেজে থাকা টেস্টিং ভ্যানে মরচে ধরে, ততক্ষণ পর্যন্ত প্রশ্ন থেকেই যায়—নিজেদের এই ভয়াবহ ব্যর্থতা থেকে মধ্যপ্রদেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা বা ওষুধ প্রশাসন আদৌ কোনো শিক্ষা নেবে, নাকি আরও একটি বিপর্যয়ের অপেক্ষায় থাকবে?

মধ্যপ্রদেশে বিষাক্ত কাশির সিরাপ খেয়ে ২০ শিশু মারা গেছে। আরও সাত শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ মৃত্যুগুলো এখন রাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার ভয়াবহ ব্যর্থতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওষুধ প্রশাসনের এ ব্যবস্থা এমন একটি সিস্টেম, যা মানুষের জীবন রক্ষা করার কথা, এখন সেটিই ভেঙে পড়েছে নিজের দুর্বলতায়।
ঘটনার সূত্রপাত মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা জেলায়। সেখানেই প্রথম রহস্যজনকভাবে কয়েকটি শিশুর মৃত্যু হয়। পরে জানা যায়, তারা সবাই ‘কোল্ডরিফ’ (Coldrif) নামের একটি কাশির সিরাপ খেয়েছিল। এই ওষুধ তৈরি করেছিল তামিলনাড়ুভিত্তিক একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। এই সিরাপ খেয়ে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে ১০টি শিশুর মৃত্যু হয়।
কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ১০টি শিশুর মৃত্যুর পরেও সেই সন্দেহভাজন সিরাপের নমুনা কোনো জরুরি মাধ্যমে পাঠানো হয়নি। বরং সাধারণ ডাকযোগে কোনো নিরাপত্তা ছাড়াই পরীক্ষার জন্য পাঠায় স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে যখন নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, (ফল এখনো আসেনি) ঠিক এমন সময়ে মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেন্দ্র শুক্লা ১ ও ৩ অক্টোবর দুবার প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন, সিরাপটি ‘নিরাপদ’। এখন ২০টি শিশুর মৃত্যুর পর সেই ঘোষণাই সবচেয়ে নির্মম বৈপরীত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে তামিলনাড়ু সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। তাদের পরীক্ষাগারে একই সিরাপ পরীক্ষা করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিষাক্ত প্রমাণিত হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু মধ্যপ্রদেশে তখনো নমুনাগুলো ডাকঘরে ঘুরছিল। মাত্র ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বের ছিন্দওয়ারা থেকে ভোপাল পর্যন্ত যেতে লেগে যায় তিন দিন!
প্রথম সতর্কবার্তা আসে ১৯ সেপ্টেম্বর, নাগপুর থেকে। সেখান থেকে খবর আসে একধরনের দূষিত কফ সিরাপ শিশুদের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। ২২ সেপ্টেম্বর রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ২৬-২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ন্যাশনাল হেলথ মিশন ও ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের বিশেষজ্ঞরা তদন্ত করেন। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় প্রশাসন ছিন্দওয়ারা জেলায় কোল্ডরিফ বিক্রিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়।
কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা ছিল কেবল একটি জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ। পাশের জেলাগুলোতে ওষুধটি আরও কয়েক দিন বিক্রি চলতে থাকে। ১ অক্টোবর কেন্দ্রীয় সরকার দুটি সন্দেহভাজন সিরাপ কোলড্রিফ ও নেক্সট্রো-ডিএস (Nextro-DS) নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করে। এর দুই দিন পর ৩ অক্টোবর তামিলনাড়ুর পরীক্ষাগার নিশ্চিত করে—কোল্ডরিফ বিষাক্ত। তারপর ৪ অক্টোবর, অর্থাৎ প্রথম মৃত্যুর ঘটনার প্রায় এক মাস পর রাজ্যজুড়ে নিষেধাজ্ঞা দেয় মধ্যপ্রদেশ সরকার। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলার দিনেশ শ্রীবাস্তব স্বীকার করেন, নমুনা ডাকযোগে পাঠানো রুটিন প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, সাধারণত সব নমুনা রেজিস্টার্ড পোস্টে পাঠানো হয়। তবে জরুরি ক্ষেত্রে বিশেষ বাহকের মাধ্যমে পাঠানো উচিত। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে, দোষীদের বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ মন্তব্যই প্রকাশ করেছে, জরুরি পরিস্থিতিতেও রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা কতটা যান্ত্রিক ও সেকেলে প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভরশীল, যা জীবন বাঁচানোর বদলে কাগজে-কলমেই আটকে থাকে।
এ ঘটনার পর রাজ্যের ওষুধ পরীক্ষার অবকাঠামোর দুরবস্থাও সামনে এসেছে। ভোপাল, ইন্দোর ও জবলপুরে রাজ্যের মোট তিনটি ড্রাগ ল্যাব রয়েছে, যেগুলোর বার্ষিক নমুনা পরীক্ষণক্ষমতা মাত্র ৬ হাজার। কিন্তু সেখানে ৫ হাজার ৫০০-এর বেশি নমুনা জমে রয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষায় লাগে দুই-তিন দিন।
পুরো রাজ্যের ৫০ জেলার জন্য রয়েছে মাত্র ৮০ জন ওষুধ পরিদর্শক। সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা এনডিটিভিকে বলেন, এ গতিতে চললে সব নমুনা পরীক্ষা করতে এক বছরেরও বেশি সময় লাগবে।
এদিকে সরকারের ব্যর্থতার আরও এক দৃষ্টান্ত হলো—দুটি মোবাইল ড্রাগ টেস্টিং ভ্যান। এগুলো দ্রুত মান যাচাইয়ের জন্য কেনা হয়েছিল। কিন্তু এখন সেগুলো বছরের পর বছর অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে গ্যারেজে। একটি ২০২২ সাল থেকে নাড়াচাড়া হয়নি, অন্যটি কখনোই ব্যবহার করা হয়নি।
এদিকে যে সিরাপ মৃত্যুর কারণ হয়েছে, সেই কোল্ডরিফের ৬৬০ বোতলের মধ্যে ৪৫৭টি উদ্ধার করা গেছে। এর মধ্যে ২৮টি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
১৫৬টি বোতল শিশুদের দেওয়া হয়েছিল, আর ১৯টি বোতলের খোঁজই মেলেনি! সেগুলো এখন কোথায় আছে, কেউ জানে না। কিন্তু প্রতিটি হারানো বোতল অবশিষ্ট বিপদের প্রতীক।
এ ঘটনা শুধু একটি কোম্পানির অবহেলা নয়—বরং একটি ভাঙা সিস্টেমের নগ্ন প্রতিচ্ছবি। সরকার সময়মতো পদক্ষেপ নেয়নি, পরীক্ষাগারগুলো অকেজো যন্ত্রপাতি দিয়ে ভরা আর কর্মকর্তারা যেন বুঝতেই পারেননি তাঁরা একটি প্রাণঘাতী জরুরি পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
আজ যখন ২০টি শিশুর দেহ মাটিতে মিশে গেছে, আর সাতটি শিশু মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে, তখনো মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্য দপ্তর কাগজপত্রের জটেই আটকে আছে।
যতক্ষণ পর্যন্ত বিষাক্ত নমুনা সরকারি আলমারিতে ধুলো জমায় আর গ্যারেজে থাকা টেস্টিং ভ্যানে মরচে ধরে, ততক্ষণ পর্যন্ত প্রশ্ন থেকেই যায়—নিজেদের এই ভয়াবহ ব্যর্থতা থেকে মধ্যপ্রদেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা বা ওষুধ প্রশাসন আদৌ কোনো শিক্ষা নেবে, নাকি আরও একটি বিপর্যয়ের অপেক্ষায় থাকবে?

মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি...
৬ ঘণ্টা আগে
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্র
৭ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
৭ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
৬৯ বছর বয়সী এ নেতার ভাষণের ভিডিও ক্লিপটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিজয়বর্গীয় তাঁর বক্তব্যে দাবি করেন, সম্রাট শাহজাহান একটি মন্দিরকে কবরে রূপান্তরিত করে তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন।
বিজয়বর্গীয় বলেন, মমতাজকে প্রথমে বুরহানপুরে সমাহিত করা হয়েছিল। পরে তাঁর দেহ এমন একটি স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়, যেখানে একটি মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছিল। সেই মন্দিরের ওপরই বর্তমান তাজমহল দাঁড়িয়ে রয়েছে।
একই অনুষ্ঠানে বিজেপির জাতীয় কার্যকরী সভাপতি নীতিন নবীনের উদ্দেশে বিজয়বর্গীয় বলেন, বিহারে জন্ম নিলেই যে একজন মানুষকে নম্র হতে হবে, তার কোনো মানে নেই, তবে নীতিন নবীন অত্যন্ত নম্রতার সঙ্গে এগিয়ে গেছেন। তাঁর এই মন্তব্যকে বিহারিদের প্রতি অবমাননাকর হিসেবে দেখছেন অনেকে।
বিজয়বর্গীয়ের এ বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র ভূপেন্দ্র গুপ্ত বলেন, বিজেপি মন্ত্রীরা সব সীমা লঙ্ঘন করছেন এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। ভূপেন্দ্র গুপ্ত বিদ্রূপ করে বলেন, একজন মন্ত্রী বলছেন ভাস্কো দা গামা ভারত আবিষ্কার করেননি, আরেকজন বলছেন তাজমহল আসলে মন্দির। তাঁদের উচিত বিশ্ববাসীর জন্য ইতিহাসের একটি নতুন বই লেখা। তাহলেই বোঝা যাবে, পৃথিবী তাঁদের সম্পর্কে কী ভাবে।
ভূপেন্দ্র প্রশ্ন তোলেন, যদি বিহারিদের সম্পর্কে বিজেপির এমন নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকে, তবে কেন তারা সেখানে নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোট বেঁধে রাজনীতি করছে?
তবে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের জন্য বিতর্ক নতুন কিছু নয়। এর আগেও তিনি একাধিকবার আপত্তিকর মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন।
সম্প্রতি ইন্দোরে দুই অস্ট্রেলীয় নারী ক্রিকেটার হেনস্তার শিকার হলে তিনি দায়ীদের ধরার বদলে খেলোয়াড়দেরই ‘শিক্ষা নেওয়া’র পরামর্শ দিয়েছিলেন। নারীদের পোশাক নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে তিনি এর আগে বলেছিলেন, ‘অল্প পোশাকে’ মেয়েদের দেখলে তাঁর ভালো লাগে না। এ ছাড়া রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর আন্তরিকতাকে ‘বিদেশি মূল্যবোধ’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি।
অনেকে বলছেন, তাজমহল নিয়ে এমন দাবি উগ্র ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আগে থেকেই ছিল। তবে একজন দায়িত্বশীল কেবিনেট মন্ত্রীর মুখে এমন কথা সামাজিক মেরুকরণকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ভারত, মধ্যপ্রদেশ, তাজমহল, বিতর্ক, মন্তব্য, মন্ত্রী, মন্দির, ইতিহাস

মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
৬৯ বছর বয়সী এ নেতার ভাষণের ভিডিও ক্লিপটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিজয়বর্গীয় তাঁর বক্তব্যে দাবি করেন, সম্রাট শাহজাহান একটি মন্দিরকে কবরে রূপান্তরিত করে তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন।
বিজয়বর্গীয় বলেন, মমতাজকে প্রথমে বুরহানপুরে সমাহিত করা হয়েছিল। পরে তাঁর দেহ এমন একটি স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়, যেখানে একটি মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছিল। সেই মন্দিরের ওপরই বর্তমান তাজমহল দাঁড়িয়ে রয়েছে।
একই অনুষ্ঠানে বিজেপির জাতীয় কার্যকরী সভাপতি নীতিন নবীনের উদ্দেশে বিজয়বর্গীয় বলেন, বিহারে জন্ম নিলেই যে একজন মানুষকে নম্র হতে হবে, তার কোনো মানে নেই, তবে নীতিন নবীন অত্যন্ত নম্রতার সঙ্গে এগিয়ে গেছেন। তাঁর এই মন্তব্যকে বিহারিদের প্রতি অবমাননাকর হিসেবে দেখছেন অনেকে।
বিজয়বর্গীয়ের এ বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র ভূপেন্দ্র গুপ্ত বলেন, বিজেপি মন্ত্রীরা সব সীমা লঙ্ঘন করছেন এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। ভূপেন্দ্র গুপ্ত বিদ্রূপ করে বলেন, একজন মন্ত্রী বলছেন ভাস্কো দা গামা ভারত আবিষ্কার করেননি, আরেকজন বলছেন তাজমহল আসলে মন্দির। তাঁদের উচিত বিশ্ববাসীর জন্য ইতিহাসের একটি নতুন বই লেখা। তাহলেই বোঝা যাবে, পৃথিবী তাঁদের সম্পর্কে কী ভাবে।
ভূপেন্দ্র প্রশ্ন তোলেন, যদি বিহারিদের সম্পর্কে বিজেপির এমন নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকে, তবে কেন তারা সেখানে নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোট বেঁধে রাজনীতি করছে?
তবে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের জন্য বিতর্ক নতুন কিছু নয়। এর আগেও তিনি একাধিকবার আপত্তিকর মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন।
সম্প্রতি ইন্দোরে দুই অস্ট্রেলীয় নারী ক্রিকেটার হেনস্তার শিকার হলে তিনি দায়ীদের ধরার বদলে খেলোয়াড়দেরই ‘শিক্ষা নেওয়া’র পরামর্শ দিয়েছিলেন। নারীদের পোশাক নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে তিনি এর আগে বলেছিলেন, ‘অল্প পোশাকে’ মেয়েদের দেখলে তাঁর ভালো লাগে না। এ ছাড়া রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর আন্তরিকতাকে ‘বিদেশি মূল্যবোধ’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি।
অনেকে বলছেন, তাজমহল নিয়ে এমন দাবি উগ্র ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আগে থেকেই ছিল। তবে একজন দায়িত্বশীল কেবিনেট মন্ত্রীর মুখে এমন কথা সামাজিক মেরুকরণকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ভারত, মধ্যপ্রদেশ, তাজমহল, বিতর্ক, মন্তব্য, মন্ত্রী, মন্দির, ইতিহাস

ঘটনার সূত্রপাত মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা জেলায়। সেখানেই প্রথম রহস্যজনকভাবে কয়েকটি শিশুর মৃত্যু হয়। পরে জানা যায়, তারা সবাই ‘কোল্ডরিফ’ নামের একটি কাশির সিরাপ খেয়েছিল। এই ওষুধ তৈরি করেছিল তামিলনাড়ুভিত্তিক একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। এই সিরাপ খেয়ে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে ১০টি শিশুর..
০৮ অক্টোবর ২০২৫
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্র
৭ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
৭ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্রিক নানা বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে।
নলবাড়ির সিনিয়র পুলিশ সুপার বিবেকানন্দ দাস ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, পানিগাঁওয়ের সেন্ট মেরিস ইংলিশ স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা স্কুলের বড়দিনের সাজসজ্জা নষ্ট করার পাশাপাশি শহরের একটি দোকানে বিক্রি হওয়া ক্রিসমাস অর্নামেন্টও ভাঙচুর করেন।
তবে বড়দিন উদ্যাপনের সময় সবচেয়ে বেশি উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে বিজেপিশাসিত রাজ্য ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে। ছত্তিশগড়ে রাজধানী রায়পুরের ম্যাগনেটো মলে লাঠিসোঁটা নিয়ে একদল লোক অতর্কিতে হামলা চালান এবং বড়দিনের সব সাজসজ্জা গুঁড়িয়ে দেন। কথিত ধর্মান্তরের প্রতিবাদে ‘সর্ব হিন্দু সমাজ’-এর ডাকা ধর্মঘট চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এফআইআর করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে বিজেপিশাসিত আরেক রাজ্য মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় একটি গির্জায় প্রার্থনা চলাকালে কট্টরপন্থী বজরং দলের কর্মীরা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে ভেতরে ঢুকে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এ ছাড়া কাটঙ্গা এলাকায় এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিজেপি নেত্রী অঞ্জু ভার্গবের বিরুদ্ধে। ওই নারীর অপরাধ ছিল, তিনি বড়দিন উদ্যাপনে গির্জায় গিয়েছিলেন। যদিও ওই নারী স্পষ্ট করেছেন, বড়দিন পালন করা মানেই ধর্ম পরিবর্তন করা নয়।
রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর জেলায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এক বিতর্কিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো স্কুল শিশুদের ‘সান্তা ক্লজ’ সাজতে বাধ্য করতে পারবে না। স্থানীয় এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়, যেখানে দাবি করা হয়েছে—সনাতন ধর্মাবলম্বী-অধ্যুষিত এই এলাকায় শিশুদের ওপর খ্রিষ্টীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানী দিল্লির লাজপতনগর এলাকায় বড়দিনের টুপি পরা একদল নারীকে হেনস্তা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বজরং দলের সদস্যরা ওই নারীদের ধর্মান্তরচেষ্টার অভিযোগে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেন। তবে দিল্লি পুলিশ বিষয়টিকে ‘তুচ্ছ ব্যক্তিগত বিতর্ক’ হিসেবে অভিহিত করে কোনো মামলা নেয়নি।

ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্রিক নানা বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে।
নলবাড়ির সিনিয়র পুলিশ সুপার বিবেকানন্দ দাস ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, পানিগাঁওয়ের সেন্ট মেরিস ইংলিশ স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা স্কুলের বড়দিনের সাজসজ্জা নষ্ট করার পাশাপাশি শহরের একটি দোকানে বিক্রি হওয়া ক্রিসমাস অর্নামেন্টও ভাঙচুর করেন।
তবে বড়দিন উদ্যাপনের সময় সবচেয়ে বেশি উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে বিজেপিশাসিত রাজ্য ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে। ছত্তিশগড়ে রাজধানী রায়পুরের ম্যাগনেটো মলে লাঠিসোঁটা নিয়ে একদল লোক অতর্কিতে হামলা চালান এবং বড়দিনের সব সাজসজ্জা গুঁড়িয়ে দেন। কথিত ধর্মান্তরের প্রতিবাদে ‘সর্ব হিন্দু সমাজ’-এর ডাকা ধর্মঘট চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এফআইআর করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে বিজেপিশাসিত আরেক রাজ্য মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় একটি গির্জায় প্রার্থনা চলাকালে কট্টরপন্থী বজরং দলের কর্মীরা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে ভেতরে ঢুকে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এ ছাড়া কাটঙ্গা এলাকায় এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিজেপি নেত্রী অঞ্জু ভার্গবের বিরুদ্ধে। ওই নারীর অপরাধ ছিল, তিনি বড়দিন উদ্যাপনে গির্জায় গিয়েছিলেন। যদিও ওই নারী স্পষ্ট করেছেন, বড়দিন পালন করা মানেই ধর্ম পরিবর্তন করা নয়।
রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর জেলায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এক বিতর্কিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো স্কুল শিশুদের ‘সান্তা ক্লজ’ সাজতে বাধ্য করতে পারবে না। স্থানীয় এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়, যেখানে দাবি করা হয়েছে—সনাতন ধর্মাবলম্বী-অধ্যুষিত এই এলাকায় শিশুদের ওপর খ্রিষ্টীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানী দিল্লির লাজপতনগর এলাকায় বড়দিনের টুপি পরা একদল নারীকে হেনস্তা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বজরং দলের সদস্যরা ওই নারীদের ধর্মান্তরচেষ্টার অভিযোগে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেন। তবে দিল্লি পুলিশ বিষয়টিকে ‘তুচ্ছ ব্যক্তিগত বিতর্ক’ হিসেবে অভিহিত করে কোনো মামলা নেয়নি।

ঘটনার সূত্রপাত মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা জেলায়। সেখানেই প্রথম রহস্যজনকভাবে কয়েকটি শিশুর মৃত্যু হয়। পরে জানা যায়, তারা সবাই ‘কোল্ডরিফ’ নামের একটি কাশির সিরাপ খেয়েছিল। এই ওষুধ তৈরি করেছিল তামিলনাড়ুভিত্তিক একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। এই সিরাপ খেয়ে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে ১০টি শিশুর..
০৮ অক্টোবর ২০২৫
মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি...
৬ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
৭ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক বিশ্বাস ও ঐক্য দখল করতে পারবে না।
পুতিনের নাম সরাসরি উল্লেখ না করলেও জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমরা সবাই একটি স্বপ্ন ভাগ করে নিচ্ছি। আর আমাদের সবার একটিই কামনা—সে ধ্বংস হোক; যেমনটা সবাই মনে মনে বলে।’ এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জেলেনস্কির এই ভাষণ এমন এক সময়ে এল, যখন বড়দিনের আগের দিনই রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
জেলেনস্কি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ক্রিসমাসের প্রাক্কালে রুশরা আবারও দেখিয়েছে তারা আসলে কারা। ব্যাপক গোলাবর্ষণ, শত শত শাহেদ ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, কিনঝাল হামলা—সবকিছুই ব্যবহার করা হয়েছে। এটাই ঈশ্বরহীন আঘাত।’
তবে যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেও শান্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তখন অবশ্যই আরও বড় কিছুর জন্য চাই। আমরা ইউক্রেনের জন্য শান্তি চাই। আমরা এর জন্য লড়ছি, প্রার্থনা করছি এবং আমরা এটি পাওয়ার যোগ্য।’
একই সময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে একটি ২০ দফা পরিকল্পনার কথাও জানান। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি বলেন—শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেন দেশের পূর্বাঞ্চলীয় শিল্পাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে পারে, তবে শর্ত হলো রাশিয়াকেও একইভাবে সেনা সরাতে হবে এবং ওই অঞ্চল আন্তর্জাতিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিরস্ত্রীকৃত এলাকায় পরিণত করতে হবে।
দনবাস অঞ্চল নিয়ে এটিই এখন পর্যন্ত জেলেনস্কির সবচেয়ে স্পষ্ট সমঝোতার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। একই ধরনের ব্যবস্থা রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের এলাকাতেও প্রযোজ্য হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে যে কোনো শান্তি পরিকল্পনাই গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে বলে জোর দেন জেলেনস্কি।
এদিকে রাশিয়া এখনো দখলকৃত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়নি। বর্তমানে লুহানস্কের অধিকাংশ ও দোনেৎস্কের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক বিশ্বাস ও ঐক্য দখল করতে পারবে না।
পুতিনের নাম সরাসরি উল্লেখ না করলেও জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমরা সবাই একটি স্বপ্ন ভাগ করে নিচ্ছি। আর আমাদের সবার একটিই কামনা—সে ধ্বংস হোক; যেমনটা সবাই মনে মনে বলে।’ এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জেলেনস্কির এই ভাষণ এমন এক সময়ে এল, যখন বড়দিনের আগের দিনই রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
জেলেনস্কি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ক্রিসমাসের প্রাক্কালে রুশরা আবারও দেখিয়েছে তারা আসলে কারা। ব্যাপক গোলাবর্ষণ, শত শত শাহেদ ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, কিনঝাল হামলা—সবকিছুই ব্যবহার করা হয়েছে। এটাই ঈশ্বরহীন আঘাত।’
তবে যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেও শান্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তখন অবশ্যই আরও বড় কিছুর জন্য চাই। আমরা ইউক্রেনের জন্য শান্তি চাই। আমরা এর জন্য লড়ছি, প্রার্থনা করছি এবং আমরা এটি পাওয়ার যোগ্য।’
একই সময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে একটি ২০ দফা পরিকল্পনার কথাও জানান। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি বলেন—শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেন দেশের পূর্বাঞ্চলীয় শিল্পাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে পারে, তবে শর্ত হলো রাশিয়াকেও একইভাবে সেনা সরাতে হবে এবং ওই অঞ্চল আন্তর্জাতিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিরস্ত্রীকৃত এলাকায় পরিণত করতে হবে।
দনবাস অঞ্চল নিয়ে এটিই এখন পর্যন্ত জেলেনস্কির সবচেয়ে স্পষ্ট সমঝোতার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। একই ধরনের ব্যবস্থা রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের এলাকাতেও প্রযোজ্য হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে যে কোনো শান্তি পরিকল্পনাই গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে বলে জোর দেন জেলেনস্কি।
এদিকে রাশিয়া এখনো দখলকৃত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়নি। বর্তমানে লুহানস্কের অধিকাংশ ও দোনেৎস্কের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা জেলায়। সেখানেই প্রথম রহস্যজনকভাবে কয়েকটি শিশুর মৃত্যু হয়। পরে জানা যায়, তারা সবাই ‘কোল্ডরিফ’ নামের একটি কাশির সিরাপ খেয়েছিল। এই ওষুধ তৈরি করেছিল তামিলনাড়ুভিত্তিক একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। এই সিরাপ খেয়ে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে ১০টি শিশুর..
০৮ অক্টোবর ২০২৫
মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি...
৬ ঘণ্টা আগে
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্র
৭ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদীবিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’, ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী, দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টারস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদীমুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এই অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদীবিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’, ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী, দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টারস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদীমুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এই অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

ঘটনার সূত্রপাত মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা জেলায়। সেখানেই প্রথম রহস্যজনকভাবে কয়েকটি শিশুর মৃত্যু হয়। পরে জানা যায়, তারা সবাই ‘কোল্ডরিফ’ নামের একটি কাশির সিরাপ খেয়েছিল। এই ওষুধ তৈরি করেছিল তামিলনাড়ুভিত্তিক একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। এই সিরাপ খেয়ে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে ১০টি শিশুর..
০৮ অক্টোবর ২০২৫
মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি...
৬ ঘণ্টা আগে
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্র
৭ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
৭ ঘণ্টা আগে