আজকের পত্রিকা ডেস্ক
মধ্যপ্রদেশে বিষাক্ত কাশির সিরাপ খেয়ে ২০ শিশু মারা গেছে। আরও সাত শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ মৃত্যুগুলো এখন রাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার ভয়াবহ ব্যর্থতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওষুধ প্রশাসনের এ ব্যবস্থা এমন একটি সিস্টেম, যা মানুষের জীবন রক্ষা করার কথা, এখন সেটিই ভেঙে পড়েছে নিজের দুর্বলতায়।
ঘটনার সূত্রপাত মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা জেলায়। সেখানেই প্রথম রহস্যজনকভাবে কয়েকটি শিশুর মৃত্যু হয়। পরে জানা যায়, তারা সবাই ‘কোল্ডরিফ’ (Coldrif) নামের একটি কাশির সিরাপ খেয়েছিল। এই ওষুধ তৈরি করেছিল তামিলনাড়ুভিত্তিক একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। এই সিরাপ খেয়ে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে ১০টি শিশুর মৃত্যু হয়।
কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ১০টি শিশুর মৃত্যুর পরেও সেই সন্দেহভাজন সিরাপের নমুনা কোনো জরুরি মাধ্যমে পাঠানো হয়নি। বরং সাধারণ ডাকযোগে কোনো নিরাপত্তা ছাড়াই পরীক্ষার জন্য পাঠায় স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে যখন নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, (ফল এখনো আসেনি) ঠিক এমন সময়ে মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেন্দ্র শুক্লা ১ ও ৩ অক্টোবর দুবার প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন, সিরাপটি ‘নিরাপদ’। এখন ২০টি শিশুর মৃত্যুর পর সেই ঘোষণাই সবচেয়ে নির্মম বৈপরীত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে তামিলনাড়ু সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। তাদের পরীক্ষাগারে একই সিরাপ পরীক্ষা করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিষাক্ত প্রমাণিত হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু মধ্যপ্রদেশে তখনো নমুনাগুলো ডাকঘরে ঘুরছিল। মাত্র ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বের ছিন্দওয়ারা থেকে ভোপাল পর্যন্ত যেতে লেগে যায় তিন দিন!
প্রথম সতর্কবার্তা আসে ১৯ সেপ্টেম্বর, নাগপুর থেকে। সেখান থেকে খবর আসে একধরনের দূষিত কফ সিরাপ শিশুদের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। ২২ সেপ্টেম্বর রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ২৬-২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ন্যাশনাল হেলথ মিশন ও ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের বিশেষজ্ঞরা তদন্ত করেন। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় প্রশাসন ছিন্দওয়ারা জেলায় কোল্ডরিফ বিক্রিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়।
কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা ছিল কেবল একটি জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ। পাশের জেলাগুলোতে ওষুধটি আরও কয়েক দিন বিক্রি চলতে থাকে। ১ অক্টোবর কেন্দ্রীয় সরকার দুটি সন্দেহভাজন সিরাপ কোলড্রিফ ও নেক্সট্রো-ডিএস (Nextro-DS) নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করে। এর দুই দিন পর ৩ অক্টোবর তামিলনাড়ুর পরীক্ষাগার নিশ্চিত করে—কোল্ডরিফ বিষাক্ত। তারপর ৪ অক্টোবর, অর্থাৎ প্রথম মৃত্যুর ঘটনার প্রায় এক মাস পর রাজ্যজুড়ে নিষেধাজ্ঞা দেয় মধ্যপ্রদেশ সরকার। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলার দিনেশ শ্রীবাস্তব স্বীকার করেন, নমুনা ডাকযোগে পাঠানো রুটিন প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, সাধারণত সব নমুনা রেজিস্টার্ড পোস্টে পাঠানো হয়। তবে জরুরি ক্ষেত্রে বিশেষ বাহকের মাধ্যমে পাঠানো উচিত। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে, দোষীদের বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ মন্তব্যই প্রকাশ করেছে, জরুরি পরিস্থিতিতেও রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা কতটা যান্ত্রিক ও সেকেলে প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভরশীল, যা জীবন বাঁচানোর বদলে কাগজে-কলমেই আটকে থাকে।
এ ঘটনার পর রাজ্যের ওষুধ পরীক্ষার অবকাঠামোর দুরবস্থাও সামনে এসেছে। ভোপাল, ইন্দোর ও জবলপুরে রাজ্যের মোট তিনটি ড্রাগ ল্যাব রয়েছে, যেগুলোর বার্ষিক নমুনা পরীক্ষণক্ষমতা মাত্র ৬ হাজার। কিন্তু সেখানে ৫ হাজার ৫০০-এর বেশি নমুনা জমে রয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষায় লাগে দুই-তিন দিন।
পুরো রাজ্যের ৫০ জেলার জন্য রয়েছে মাত্র ৮০ জন ওষুধ পরিদর্শক। সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা এনডিটিভিকে বলেন, এ গতিতে চললে সব নমুনা পরীক্ষা করতে এক বছরেরও বেশি সময় লাগবে।
এদিকে সরকারের ব্যর্থতার আরও এক দৃষ্টান্ত হলো—দুটি মোবাইল ড্রাগ টেস্টিং ভ্যান। এগুলো দ্রুত মান যাচাইয়ের জন্য কেনা হয়েছিল। কিন্তু এখন সেগুলো বছরের পর বছর অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে গ্যারেজে। একটি ২০২২ সাল থেকে নাড়াচাড়া হয়নি, অন্যটি কখনোই ব্যবহার করা হয়নি।
এদিকে যে সিরাপ মৃত্যুর কারণ হয়েছে, সেই কোল্ডরিফের ৬৬০ বোতলের মধ্যে ৪৫৭টি উদ্ধার করা গেছে। এর মধ্যে ২৮টি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
১৫৬টি বোতল শিশুদের দেওয়া হয়েছিল, আর ১৯টি বোতলের খোঁজই মেলেনি! সেগুলো এখন কোথায় আছে, কেউ জানে না। কিন্তু প্রতিটি হারানো বোতল অবশিষ্ট বিপদের প্রতীক।
এ ঘটনা শুধু একটি কোম্পানির অবহেলা নয়—বরং একটি ভাঙা সিস্টেমের নগ্ন প্রতিচ্ছবি। সরকার সময়মতো পদক্ষেপ নেয়নি, পরীক্ষাগারগুলো অকেজো যন্ত্রপাতি দিয়ে ভরা আর কর্মকর্তারা যেন বুঝতেই পারেননি তাঁরা একটি প্রাণঘাতী জরুরি পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
আজ যখন ২০টি শিশুর দেহ মাটিতে মিশে গেছে, আর সাতটি শিশু মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে, তখনো মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্য দপ্তর কাগজপত্রের জটেই আটকে আছে।
যতক্ষণ পর্যন্ত বিষাক্ত নমুনা সরকারি আলমারিতে ধুলো জমায় আর গ্যারেজে থাকা টেস্টিং ভ্যানে মরচে ধরে, ততক্ষণ পর্যন্ত প্রশ্ন থেকেই যায়—নিজেদের এই ভয়াবহ ব্যর্থতা থেকে মধ্যপ্রদেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা বা ওষুধ প্রশাসন আদৌ কোনো শিক্ষা নেবে, নাকি আরও একটি বিপর্যয়ের অপেক্ষায় থাকবে?
মধ্যপ্রদেশে বিষাক্ত কাশির সিরাপ খেয়ে ২০ শিশু মারা গেছে। আরও সাত শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ মৃত্যুগুলো এখন রাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার ভয়াবহ ব্যর্থতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওষুধ প্রশাসনের এ ব্যবস্থা এমন একটি সিস্টেম, যা মানুষের জীবন রক্ষা করার কথা, এখন সেটিই ভেঙে পড়েছে নিজের দুর্বলতায়।
ঘটনার সূত্রপাত মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা জেলায়। সেখানেই প্রথম রহস্যজনকভাবে কয়েকটি শিশুর মৃত্যু হয়। পরে জানা যায়, তারা সবাই ‘কোল্ডরিফ’ (Coldrif) নামের একটি কাশির সিরাপ খেয়েছিল। এই ওষুধ তৈরি করেছিল তামিলনাড়ুভিত্তিক একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। এই সিরাপ খেয়ে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে ১০টি শিশুর মৃত্যু হয়।
কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ১০টি শিশুর মৃত্যুর পরেও সেই সন্দেহভাজন সিরাপের নমুনা কোনো জরুরি মাধ্যমে পাঠানো হয়নি। বরং সাধারণ ডাকযোগে কোনো নিরাপত্তা ছাড়াই পরীক্ষার জন্য পাঠায় স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে যখন নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, (ফল এখনো আসেনি) ঠিক এমন সময়ে মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেন্দ্র শুক্লা ১ ও ৩ অক্টোবর দুবার প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন, সিরাপটি ‘নিরাপদ’। এখন ২০টি শিশুর মৃত্যুর পর সেই ঘোষণাই সবচেয়ে নির্মম বৈপরীত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে তামিলনাড়ু সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। তাদের পরীক্ষাগারে একই সিরাপ পরীক্ষা করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিষাক্ত প্রমাণিত হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু মধ্যপ্রদেশে তখনো নমুনাগুলো ডাকঘরে ঘুরছিল। মাত্র ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বের ছিন্দওয়ারা থেকে ভোপাল পর্যন্ত যেতে লেগে যায় তিন দিন!
প্রথম সতর্কবার্তা আসে ১৯ সেপ্টেম্বর, নাগপুর থেকে। সেখান থেকে খবর আসে একধরনের দূষিত কফ সিরাপ শিশুদের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। ২২ সেপ্টেম্বর রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ২৬-২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ন্যাশনাল হেলথ মিশন ও ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের বিশেষজ্ঞরা তদন্ত করেন। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় প্রশাসন ছিন্দওয়ারা জেলায় কোল্ডরিফ বিক্রিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়।
কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা ছিল কেবল একটি জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ। পাশের জেলাগুলোতে ওষুধটি আরও কয়েক দিন বিক্রি চলতে থাকে। ১ অক্টোবর কেন্দ্রীয় সরকার দুটি সন্দেহভাজন সিরাপ কোলড্রিফ ও নেক্সট্রো-ডিএস (Nextro-DS) নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করে। এর দুই দিন পর ৩ অক্টোবর তামিলনাড়ুর পরীক্ষাগার নিশ্চিত করে—কোল্ডরিফ বিষাক্ত। তারপর ৪ অক্টোবর, অর্থাৎ প্রথম মৃত্যুর ঘটনার প্রায় এক মাস পর রাজ্যজুড়ে নিষেধাজ্ঞা দেয় মধ্যপ্রদেশ সরকার। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলার দিনেশ শ্রীবাস্তব স্বীকার করেন, নমুনা ডাকযোগে পাঠানো রুটিন প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, সাধারণত সব নমুনা রেজিস্টার্ড পোস্টে পাঠানো হয়। তবে জরুরি ক্ষেত্রে বিশেষ বাহকের মাধ্যমে পাঠানো উচিত। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে, দোষীদের বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ মন্তব্যই প্রকাশ করেছে, জরুরি পরিস্থিতিতেও রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা কতটা যান্ত্রিক ও সেকেলে প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভরশীল, যা জীবন বাঁচানোর বদলে কাগজে-কলমেই আটকে থাকে।
এ ঘটনার পর রাজ্যের ওষুধ পরীক্ষার অবকাঠামোর দুরবস্থাও সামনে এসেছে। ভোপাল, ইন্দোর ও জবলপুরে রাজ্যের মোট তিনটি ড্রাগ ল্যাব রয়েছে, যেগুলোর বার্ষিক নমুনা পরীক্ষণক্ষমতা মাত্র ৬ হাজার। কিন্তু সেখানে ৫ হাজার ৫০০-এর বেশি নমুনা জমে রয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষায় লাগে দুই-তিন দিন।
পুরো রাজ্যের ৫০ জেলার জন্য রয়েছে মাত্র ৮০ জন ওষুধ পরিদর্শক। সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা এনডিটিভিকে বলেন, এ গতিতে চললে সব নমুনা পরীক্ষা করতে এক বছরেরও বেশি সময় লাগবে।
এদিকে সরকারের ব্যর্থতার আরও এক দৃষ্টান্ত হলো—দুটি মোবাইল ড্রাগ টেস্টিং ভ্যান। এগুলো দ্রুত মান যাচাইয়ের জন্য কেনা হয়েছিল। কিন্তু এখন সেগুলো বছরের পর বছর অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে গ্যারেজে। একটি ২০২২ সাল থেকে নাড়াচাড়া হয়নি, অন্যটি কখনোই ব্যবহার করা হয়নি।
এদিকে যে সিরাপ মৃত্যুর কারণ হয়েছে, সেই কোল্ডরিফের ৬৬০ বোতলের মধ্যে ৪৫৭টি উদ্ধার করা গেছে। এর মধ্যে ২৮টি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
১৫৬টি বোতল শিশুদের দেওয়া হয়েছিল, আর ১৯টি বোতলের খোঁজই মেলেনি! সেগুলো এখন কোথায় আছে, কেউ জানে না। কিন্তু প্রতিটি হারানো বোতল অবশিষ্ট বিপদের প্রতীক।
এ ঘটনা শুধু একটি কোম্পানির অবহেলা নয়—বরং একটি ভাঙা সিস্টেমের নগ্ন প্রতিচ্ছবি। সরকার সময়মতো পদক্ষেপ নেয়নি, পরীক্ষাগারগুলো অকেজো যন্ত্রপাতি দিয়ে ভরা আর কর্মকর্তারা যেন বুঝতেই পারেননি তাঁরা একটি প্রাণঘাতী জরুরি পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
আজ যখন ২০টি শিশুর দেহ মাটিতে মিশে গেছে, আর সাতটি শিশু মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে, তখনো মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্য দপ্তর কাগজপত্রের জটেই আটকে আছে।
যতক্ষণ পর্যন্ত বিষাক্ত নমুনা সরকারি আলমারিতে ধুলো জমায় আর গ্যারেজে থাকা টেস্টিং ভ্যানে মরচে ধরে, ততক্ষণ পর্যন্ত প্রশ্ন থেকেই যায়—নিজেদের এই ভয়াবহ ব্যর্থতা থেকে মধ্যপ্রদেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা বা ওষুধ প্রশাসন আদৌ কোনো শিক্ষা নেবে, নাকি আরও একটি বিপর্যয়ের অপেক্ষায় থাকবে?
কাশির সিরাপে কোডিন নামের একধরনের মাদক ব্যবহার করা হয়। এটি হালকা ওপিওয়েড শ্রেণির মাদক, যা উচ্চমাত্রায় নিলে উচ্ছ্বাস বা নেশার অনুভূতি দেয় এবং আসক্তির ঝুঁকি বাড়ায়। ফলে বড়রা দীর্ঘদিন এই সিরাপ খেলে এতে আসক্ত হয়ে পড়েন।
১ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের জাফর এক্সপ্রেসে আবারও ভয়াবহ বোমা হামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দেশটির সিন্ধু প্রদেশের সুলতান কোট রেলস্টেশনের কাছে ওই বিস্ফোরণে ট্রেনটির চারটি বগি লাইনচ্যুত হয় এবং অন্তত সাতজন আহত হয়।
১ ঘণ্টা আগেআফগানিস্তানে কিছু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কনটেন্টে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে। বুধবার রাতে (৮ অক্টোবর) তালেবান সূত্রের বরাতে এই খবর দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। তালেবান সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ওই সূত্রটি জানিয়েছে—ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং এক্স সহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের কিছু
২ ঘণ্টা আগেচীনের নতুন ইলেকট্রনিক-ওয়ারফেয়ার সংস্করণ জে-১৬ ডি। শত্রুর রাডার ও যোগাযোগ সিগন্যাল শনাক্ত করতে সক্ষম বহুমুখী এই যুদ্ধবিমান নজরদারি, আক্রমণ ও প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিমানটির ডিজাইনাররা।
৩ ঘণ্টা আগে