
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত ইসলামের দুই পবিত্র মসজিদে জুমার খুতবা সংক্ষিপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে পুরো গ্রীষ্মে জুমার খুতবা ও নামাজের সময়কাল কমিয়ে ১৫ মিনিট নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে জুমার খুতবা সাধারণত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট স্থায়ী হতো।
নির্দেশনায় প্রথম আজান এবং দ্বিতীয় আজানের মধ্যের সময়কে ১০ মিনিট করা হয়েছে। পেছানো হয়েছে প্রথম আজানের সময়। গ্র্যান্ড মসজিদ এবং মসজিদে নববির ধর্মবিষয়ক প্রেসিডেন্সি প্রধান শেখ আবদুল রহমান আল-সুদাইস এই ঘোষণা দিয়েছেন। সৌদি আরবভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সৌদি গেজেট এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
সরকারি নির্দেশের প্রশংসা করে শেখ আল-সুদাইস বলেছেন, আল্লাহর অতিথিদের সুস্বাস্থ্য, স্বাচ্ছন্দ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়ে বাদশাহ সালমান এবং ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের আগ্রহকে প্রতিফলিত করে এসব নির্দেশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে ইসলামের দুটি পবিত্রতম মসজিদে জুমার নামাজের আগে নির্ধারিত খুতবা চলমান গ্রীষ্ম মৌসুমের শেষ পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত করে কয়েক মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে। দেশটিতে চলমান গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে মুসল্লিদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মক্কায় এ বছর প্রচণ্ড গরমে ১ হাজার ৮১ জন হজযাত্রীর মৃত্যুর কথা জানিয়েছে প্রায় ১০টি দেশ।
হজের সময় নির্ধারিত হয় ইসলামিক চান্দ্র পঞ্জিকা অনুসারে। সে হিসাবে এ বছরও হজ পড়েছিল সৌদি আরবের গ্রীষ্মে, যখন দেশটিতে থাকে ভয়াবহ গরম। দেশটির জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র গত সপ্তাহে মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে ৫১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে।
গত মাসে প্রকাশিত সৌদি সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, প্রতি দশকে অঞ্চলটিতে তাপমাত্রা শূন্য দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দেশটির আবহাওয়া বিভাগ (এনসিএম) গতকাল শনিবার থেকে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত দেশটির বেশির ভাগ অংশে তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়ে বলেছে, এ সময় তাপমাত্রা ৪৮-৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত ইসলামের দুই পবিত্র মসজিদে জুমার খুতবা সংক্ষিপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে পুরো গ্রীষ্মে জুমার খুতবা ও নামাজের সময়কাল কমিয়ে ১৫ মিনিট নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে জুমার খুতবা সাধারণত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট স্থায়ী হতো।
নির্দেশনায় প্রথম আজান এবং দ্বিতীয় আজানের মধ্যের সময়কে ১০ মিনিট করা হয়েছে। পেছানো হয়েছে প্রথম আজানের সময়। গ্র্যান্ড মসজিদ এবং মসজিদে নববির ধর্মবিষয়ক প্রেসিডেন্সি প্রধান শেখ আবদুল রহমান আল-সুদাইস এই ঘোষণা দিয়েছেন। সৌদি আরবভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সৌদি গেজেট এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
সরকারি নির্দেশের প্রশংসা করে শেখ আল-সুদাইস বলেছেন, আল্লাহর অতিথিদের সুস্বাস্থ্য, স্বাচ্ছন্দ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়ে বাদশাহ সালমান এবং ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের আগ্রহকে প্রতিফলিত করে এসব নির্দেশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে ইসলামের দুটি পবিত্রতম মসজিদে জুমার নামাজের আগে নির্ধারিত খুতবা চলমান গ্রীষ্ম মৌসুমের শেষ পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত করে কয়েক মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে। দেশটিতে চলমান গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে মুসল্লিদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মক্কায় এ বছর প্রচণ্ড গরমে ১ হাজার ৮১ জন হজযাত্রীর মৃত্যুর কথা জানিয়েছে প্রায় ১০টি দেশ।
হজের সময় নির্ধারিত হয় ইসলামিক চান্দ্র পঞ্জিকা অনুসারে। সে হিসাবে এ বছরও হজ পড়েছিল সৌদি আরবের গ্রীষ্মে, যখন দেশটিতে থাকে ভয়াবহ গরম। দেশটির জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র গত সপ্তাহে মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে ৫১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে।
গত মাসে প্রকাশিত সৌদি সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, প্রতি দশকে অঞ্চলটিতে তাপমাত্রা শূন্য দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দেশটির আবহাওয়া বিভাগ (এনসিএম) গতকাল শনিবার থেকে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত দেশটির বেশির ভাগ অংশে তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়ে বলেছে, এ সময় তাপমাত্রা ৪৮-৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে।

দিল্লির লালকেল্লায় সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে এবার জড়িয়ে যাচ্ছে তুরস্কের নাম। তুরস্ক থেকে ‘উকাসা’ ছদ্মনামের এক ব্যক্তি এই হামলার নীলনকশা আঁকেন। তিনি ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক উমর উন নবির নেতৃত্বাধীন টিমকে দিতেন দিকনির্দেশনাও। এমনটিই বলছেন ভারতীয় তদন্ত কর্মকর্তারা।
১ সেকেন্ড আগে
এই চার চিকিৎসক দিল্লিজুড়ে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য ২০ লাখ টাকার একটি তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন। এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন অর্থাৎ আগামী ৬ ডিসেম্বর ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন (এনসিআর) বা রাজধানী দিল্লির বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের...
৩৪ মিনিট আগে
রাজধানী দিল্লিতে সাম্প্রতিক ঘটা গাড়ি বিস্ফোরণকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। গত সোমবার শহরের ঐতিহাসিক লালকেল্লার কাছে ওই বিস্ফোরণে অন্তত আটজন নিহত ও ২০ জন আহত হন।
২ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের পার্লামেন্ট দেশটির সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী পাস করেছে। এই বিতর্কিত সংশোধনী দেশটির সেনাপ্রধানের ক্ষমতা আরও বাড়াবে এবং তাঁকে আজীবন আইনি দায়মুক্তি দেবে। একই সঙ্গে এটি সুপ্রিম কোর্টের স্বাধীনতাও সীমিত করবে। সমালোচকেরা একে ‘গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দিল্লির লালকেল্লায় সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে এবার জড়িয়ে যাচ্ছে তুরস্কের নাম। তুরস্ক থেকে ‘উকাসা’ ছদ্মনামের এক ব্যক্তি এই হামলার নীলনকশা আঁকেন। তিনি ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক উমর উন নবির নেতৃত্বাধীন টিমকে দিতেন দিকনির্দেশনাও। এমনটিই বলছেন ভারতীয় তদন্ত কর্মকর্তারা।
নিরাপত্তা সূত্রে জানা গেছে, উকাসা ছিলেন দিল্লিভিত্তিক উমর নবির সন্ত্রাসী গ্রুপ নিষিদ্ধ সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ ও আনসার গাজওয়াতুল হিন্দের পাকিস্তানভিত্তিক পরিচালকদের মধ্যকার মূল সংযোগকারী।
কর্মকর্তারা জানান, এই ষড়যন্ত্রের বীজ রোপিত হয় ২০২২ সালে তুরস্কে। ওই সময় উমরসহ আরও তিনজন (যাঁরা দুটি পাকিস্তান-সমর্থিত সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত) তুরস্কে গিয়েছিলেনে।
উমর ২০২২ সালের মার্চ মাসে তুরস্কে যান এবং আঙ্কারায় দুই সপ্তাহ অবস্থান করেন। এক কর্মকর্তা বলেন, তাঁদের কথাবার্তা প্রথমে টেলিগ্রামে শুরু হয়েছিল, পরে সিগন্যাল ও সেশনের মতো এনক্রিপটেড অ্যাপে পরিকল্পনা আঁটতে থাকেন।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, উকাসাই তাঁদের গোপন সেল তৈরি ও ডিজিটাল ফাঁকি দেওয়ার কৌশল শেখান।
তদন্তকারীরা বিশ্বাস করেন, উকাসাই এই সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করে দেন। পরিকল্পনায় একাধিক যানবাহনে বিস্ফোরক ভর্তি করে ধারাবাহিক হামলা চালানোর ছক আঁকা হয়।
অভিযানের জন্য তিনটি গাড়ি কেনা হয়েছিল। একটি হুন্ডাই আই-২০, একটি লাল রঙের ফোর্ড ইকোস্পোর্ট এবং একটি মারুতি ব্রেজা।
গত সোমবার (১০ নভেম্বর) লালকেল্লার কাছে উমরের হুন্ডাই আই-২০ গাড়িটি বিস্ফোরিত হয়, এতে ঘটনাস্থলেই উমর নিহত হন। নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এরই মধ্যে ফরিদাবাদ থেকে ইকোস্পোর্টটি উদ্ধার করা হয়েছে এবং ব্রেজা গাড়িটির খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কর্মকর্তাদের সন্দেহ, অবশিষ্ট গাড়িগুলোতেও বিস্ফোরক লুকানো থাকতে পারে।
সূত্রগুলো জানায়, উমরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ডা. মুজাম্মিল এ বছরের জানুয়ারিতে একাধিকবার লালকেল্লা পরিদর্শন করেছেন। তিনিও আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত।
এক তদন্তকারী বলেন, তাঁরা স্মৃতিস্তম্ভটির নিরাপত্তাব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে চেয়েছিলেন, যাতে ২০২৬ সালের ভারতীয় প্রজাতন্ত্র দিবসের সময় বড় হামলা চালানো যায়।
২০২২ সাল থেকে দলটি ৩৫০ কেজির বেশি বিস্ফোরক পদার্থ সংগ্রহ করেছিল, যার মধ্যে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও অল্প পরিমাণ আরডিএক্স ছিল। এই বিস্ফোরকগুলো এ বছরের শুরুর দিকে ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার হয়, এর সূত্র ধরেই মুজাম্মিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপরই উমর পালিয়ে যান এবং দিল্লি-এনসিআরজুড়ে ১৬ ঘণ্টা ড্রাইভ করার পর বিস্ফোরকভর্তি আই-২০ গাড়িটির বিস্ফোরণ ঘটান।
তদন্তে আরও জানা গেছে, দিল্লির পাশাপাশি অযোধ্যাও তাঁদের লক্ষ্যবস্তু ছিল। এক সূত্র জানায়, তাঁরা ২৫ নভেম্বরের দিকে হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন, যখন রামমন্দিরে গেরুয়া পতাকা উত্তোলনের কথা ছিল।
উকাসার ডিজিটাল কর্মকাণ্ডের খুঁটিনাটি বের করতে ভারতীয় তদন্তকারীরা এখন বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সহযোগিতা চাচ্ছেন। একই সঙ্গে পাকিস্তানি সন্ত্রাসী পরিচালকদের সঙ্গে তার যোগসূত্রতা বের করার চেষ্টা করছেন।
এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতিটি এনক্রিপ্টেড চ্যাট ও বিদেশি অর্থ লেনদেন পরীক্ষা করা হচ্ছে। তুরস্ক সংযোগই এই মামলার মূল কেন্দ্রবিন্দু।

দিল্লির লালকেল্লায় সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে এবার জড়িয়ে যাচ্ছে তুরস্কের নাম। তুরস্ক থেকে ‘উকাসা’ ছদ্মনামের এক ব্যক্তি এই হামলার নীলনকশা আঁকেন। তিনি ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক উমর উন নবির নেতৃত্বাধীন টিমকে দিতেন দিকনির্দেশনাও। এমনটিই বলছেন ভারতীয় তদন্ত কর্মকর্তারা।
নিরাপত্তা সূত্রে জানা গেছে, উকাসা ছিলেন দিল্লিভিত্তিক উমর নবির সন্ত্রাসী গ্রুপ নিষিদ্ধ সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ ও আনসার গাজওয়াতুল হিন্দের পাকিস্তানভিত্তিক পরিচালকদের মধ্যকার মূল সংযোগকারী।
কর্মকর্তারা জানান, এই ষড়যন্ত্রের বীজ রোপিত হয় ২০২২ সালে তুরস্কে। ওই সময় উমরসহ আরও তিনজন (যাঁরা দুটি পাকিস্তান-সমর্থিত সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত) তুরস্কে গিয়েছিলেনে।
উমর ২০২২ সালের মার্চ মাসে তুরস্কে যান এবং আঙ্কারায় দুই সপ্তাহ অবস্থান করেন। এক কর্মকর্তা বলেন, তাঁদের কথাবার্তা প্রথমে টেলিগ্রামে শুরু হয়েছিল, পরে সিগন্যাল ও সেশনের মতো এনক্রিপটেড অ্যাপে পরিকল্পনা আঁটতে থাকেন।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, উকাসাই তাঁদের গোপন সেল তৈরি ও ডিজিটাল ফাঁকি দেওয়ার কৌশল শেখান।
তদন্তকারীরা বিশ্বাস করেন, উকাসাই এই সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করে দেন। পরিকল্পনায় একাধিক যানবাহনে বিস্ফোরক ভর্তি করে ধারাবাহিক হামলা চালানোর ছক আঁকা হয়।
অভিযানের জন্য তিনটি গাড়ি কেনা হয়েছিল। একটি হুন্ডাই আই-২০, একটি লাল রঙের ফোর্ড ইকোস্পোর্ট এবং একটি মারুতি ব্রেজা।
গত সোমবার (১০ নভেম্বর) লালকেল্লার কাছে উমরের হুন্ডাই আই-২০ গাড়িটি বিস্ফোরিত হয়, এতে ঘটনাস্থলেই উমর নিহত হন। নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এরই মধ্যে ফরিদাবাদ থেকে ইকোস্পোর্টটি উদ্ধার করা হয়েছে এবং ব্রেজা গাড়িটির খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কর্মকর্তাদের সন্দেহ, অবশিষ্ট গাড়িগুলোতেও বিস্ফোরক লুকানো থাকতে পারে।
সূত্রগুলো জানায়, উমরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ডা. মুজাম্মিল এ বছরের জানুয়ারিতে একাধিকবার লালকেল্লা পরিদর্শন করেছেন। তিনিও আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত।
এক তদন্তকারী বলেন, তাঁরা স্মৃতিস্তম্ভটির নিরাপত্তাব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে চেয়েছিলেন, যাতে ২০২৬ সালের ভারতীয় প্রজাতন্ত্র দিবসের সময় বড় হামলা চালানো যায়।
২০২২ সাল থেকে দলটি ৩৫০ কেজির বেশি বিস্ফোরক পদার্থ সংগ্রহ করেছিল, যার মধ্যে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও অল্প পরিমাণ আরডিএক্স ছিল। এই বিস্ফোরকগুলো এ বছরের শুরুর দিকে ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার হয়, এর সূত্র ধরেই মুজাম্মিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপরই উমর পালিয়ে যান এবং দিল্লি-এনসিআরজুড়ে ১৬ ঘণ্টা ড্রাইভ করার পর বিস্ফোরকভর্তি আই-২০ গাড়িটির বিস্ফোরণ ঘটান।
তদন্তে আরও জানা গেছে, দিল্লির পাশাপাশি অযোধ্যাও তাঁদের লক্ষ্যবস্তু ছিল। এক সূত্র জানায়, তাঁরা ২৫ নভেম্বরের দিকে হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন, যখন রামমন্দিরে গেরুয়া পতাকা উত্তোলনের কথা ছিল।
উকাসার ডিজিটাল কর্মকাণ্ডের খুঁটিনাটি বের করতে ভারতীয় তদন্তকারীরা এখন বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সহযোগিতা চাচ্ছেন। একই সঙ্গে পাকিস্তানি সন্ত্রাসী পরিচালকদের সঙ্গে তার যোগসূত্রতা বের করার চেষ্টা করছেন।
এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতিটি এনক্রিপ্টেড চ্যাট ও বিদেশি অর্থ লেনদেন পরীক্ষা করা হচ্ছে। তুরস্ক সংযোগই এই মামলার মূল কেন্দ্রবিন্দু।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত ইসলামের দুই পবিত্র মসজিদে জুমার খুতবা সংক্ষিপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে পুরো গ্রীষ্মে জুমার খুতবা ও নামাজের সময়কাল কমিয়ে ১৫ মিনিট নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে জুমার খুতবা সাধারণত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট স্থায়ী হতো।
২৩ জুন ২০২৪
এই চার চিকিৎসক দিল্লিজুড়ে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য ২০ লাখ টাকার একটি তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন। এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন অর্থাৎ আগামী ৬ ডিসেম্বর ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন (এনসিআর) বা রাজধানী দিল্লির বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের...
৩৪ মিনিট আগে
রাজধানী দিল্লিতে সাম্প্রতিক ঘটা গাড়ি বিস্ফোরণকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। গত সোমবার শহরের ঐতিহাসিক লালকেল্লার কাছে ওই বিস্ফোরণে অন্তত আটজন নিহত ও ২০ জন আহত হন।
২ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের পার্লামেন্ট দেশটির সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী পাস করেছে। এই বিতর্কিত সংশোধনী দেশটির সেনাপ্রধানের ক্ষমতা আরও বাড়াবে এবং তাঁকে আজীবন আইনি দায়মুক্তি দেবে। একই সঙ্গে এটি সুপ্রিম কোর্টের স্বাধীনতাও সীমিত করবে। সমালোচকেরা একে ‘গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী দিল্লি থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ফরিদাবাদের আল ফালাহ ইউনিভার্সিটি। সম্প্রতি লালকেল্লায় ঘটে যাওয়া গাড়ি বিস্ফোরণের পরিকল্পনার ‘কেন্দ্র’ হিসেবে দেখা হচ্ছে স্থানটিকে। এ ছাড়া বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত এখন ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই চার চিকিৎসককে কেন্দ্র করে এগোচ্ছে, যাঁদের পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, তাঁদের সঙ্গে এই চিকিৎসকদের কোনো সংযোগ নেই।
গত সোমবার লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে ধীরগতিতে চলতে থাকা একটি হুন্ডাই আই-২০ গাড়ি বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হন। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে গাড়িটির চালক হিসেবে ডা. উমর মুহাম্মদকে শনাক্ত করা হয়েছে।
এর আগে ওই দিনই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ হরিয়ানা আর উত্তর প্রদেশ থেকে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। তাঁদের মধ্যে তিন চিকিৎসক ছিলেন।
তদন্তকারী ও পুলিশের সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মুজাম্মিল শাকিল, আদিল ও শহীদ সাঈদ নামের ওই তিন চিকিৎসক ডা. উমরের সঙ্গে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে বসেই হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন আর তাঁদের পরিকল্পনার কেন্দ্র ছিল ৭০ একরজুড়ে বিস্তৃত আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ নম্বর বিল্ডিংয়ের ১৩ নম্বর কক্ষটি ছিল ডা. মুজাম্মিলের, সেখানেই সবাই মিলিত হতেন। পুলিশ সন্দেহ করছে, এই কক্ষেই দিল্লি ও উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন অংশে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
জানা গেছে, এই চার চিকিৎসক দিল্লিজুড়ে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য ২০ লাখ টাকার একটি তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন। এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন অর্থাৎ আগামী ৬ ডিসেম্বর ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন (এনসিআর) বা রাজধানী দিল্লির বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করা হচ্ছিল।
তহবিল থেকে পুরো অর্থ ডা. উমরকে সুরক্ষার জন্য দেওয়া হয়েছিল। পরে গুরুগ্রাম, নুহ ও অন্যান্য নিকটবর্তী বাজার থেকে ৩ লাখ টাকায় কেনা হয় প্রায় ২৬ কুইন্টাল (২৬০০ কেজি) এনপিকে (নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়াম) সার। এই সার আইইডি (বোমা) তৈরির জন্য ব্যবহার করার কথা ছিল।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, হামলাকারীরা প্রথমে বোমা তৈরির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি থেকে রাসায়নিক পাচারের পরিকল্পনা করে। ল্যাবটি মুজাম্মিলের কক্ষ থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে। ডা. উমর ও শাহীন উভয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি সদস্য ছিলেন, তাঁরা রাসায়নিকের ব্যবস্থা করেন। এরপর তা ফরিদাবাদের ধৌজ ও তাগা গ্রামের ভাড়া করা স্থানে মজুত করা হয়।
ডা. মুজাম্মিলের কক্ষটি এখন সিলগালা করা হয়েছে। সেখান থেকে একাধিক ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও পেন ড্রাইভ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া কোড শব্দ ও এনক্রিপ্টেড বার্তাভর্তি দুটি ডায়েরি পাওয়া গেছে।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা তাঁদের ব্যবহৃত কক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব উভয় স্থান থেকেই রাসায়নিকের অবশেষ খুঁজে পেয়েছেন। পুলিশের সন্দেহ, ল্যাব থেকে পাচার করা রাসায়নিকগুলো অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের সঙ্গে অক্সিডাইজার মিশিয়ে বিস্ফোরক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, দিল্লি বিস্ফোরণে এএনএফও (অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও জ্বালানি তেল মিশ্রিত একটি বিস্ফোরক যৌগ) ব্যবহৃত হয়েছিল। এর আগে ফরিদাবাদের অভিযানেও পুলিশ ৩৫০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটসহ ২ হাজার কেজির বেশি বিস্ফোরক উদ্ধার করেছিল।
পুলিশ এখনো ডা. উমরকে আটক করতে পারেনি। তবে ডা. মুজাম্মিল শাকিল, আদিল ও শহীদ সাঈদ বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

রাজধানী দিল্লি থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ফরিদাবাদের আল ফালাহ ইউনিভার্সিটি। সম্প্রতি লালকেল্লায় ঘটে যাওয়া গাড়ি বিস্ফোরণের পরিকল্পনার ‘কেন্দ্র’ হিসেবে দেখা হচ্ছে স্থানটিকে। এ ছাড়া বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত এখন ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই চার চিকিৎসককে কেন্দ্র করে এগোচ্ছে, যাঁদের পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, তাঁদের সঙ্গে এই চিকিৎসকদের কোনো সংযোগ নেই।
গত সোমবার লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে ধীরগতিতে চলতে থাকা একটি হুন্ডাই আই-২০ গাড়ি বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হন। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে গাড়িটির চালক হিসেবে ডা. উমর মুহাম্মদকে শনাক্ত করা হয়েছে।
এর আগে ওই দিনই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ হরিয়ানা আর উত্তর প্রদেশ থেকে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। তাঁদের মধ্যে তিন চিকিৎসক ছিলেন।
তদন্তকারী ও পুলিশের সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মুজাম্মিল শাকিল, আদিল ও শহীদ সাঈদ নামের ওই তিন চিকিৎসক ডা. উমরের সঙ্গে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে বসেই হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন আর তাঁদের পরিকল্পনার কেন্দ্র ছিল ৭০ একরজুড়ে বিস্তৃত আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ নম্বর বিল্ডিংয়ের ১৩ নম্বর কক্ষটি ছিল ডা. মুজাম্মিলের, সেখানেই সবাই মিলিত হতেন। পুলিশ সন্দেহ করছে, এই কক্ষেই দিল্লি ও উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন অংশে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
জানা গেছে, এই চার চিকিৎসক দিল্লিজুড়ে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য ২০ লাখ টাকার একটি তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন। এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন অর্থাৎ আগামী ৬ ডিসেম্বর ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন (এনসিআর) বা রাজধানী দিল্লির বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করা হচ্ছিল।
তহবিল থেকে পুরো অর্থ ডা. উমরকে সুরক্ষার জন্য দেওয়া হয়েছিল। পরে গুরুগ্রাম, নুহ ও অন্যান্য নিকটবর্তী বাজার থেকে ৩ লাখ টাকায় কেনা হয় প্রায় ২৬ কুইন্টাল (২৬০০ কেজি) এনপিকে (নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়াম) সার। এই সার আইইডি (বোমা) তৈরির জন্য ব্যবহার করার কথা ছিল।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, হামলাকারীরা প্রথমে বোমা তৈরির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি থেকে রাসায়নিক পাচারের পরিকল্পনা করে। ল্যাবটি মুজাম্মিলের কক্ষ থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে। ডা. উমর ও শাহীন উভয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি সদস্য ছিলেন, তাঁরা রাসায়নিকের ব্যবস্থা করেন। এরপর তা ফরিদাবাদের ধৌজ ও তাগা গ্রামের ভাড়া করা স্থানে মজুত করা হয়।
ডা. মুজাম্মিলের কক্ষটি এখন সিলগালা করা হয়েছে। সেখান থেকে একাধিক ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও পেন ড্রাইভ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া কোড শব্দ ও এনক্রিপ্টেড বার্তাভর্তি দুটি ডায়েরি পাওয়া গেছে।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা তাঁদের ব্যবহৃত কক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব উভয় স্থান থেকেই রাসায়নিকের অবশেষ খুঁজে পেয়েছেন। পুলিশের সন্দেহ, ল্যাব থেকে পাচার করা রাসায়নিকগুলো অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের সঙ্গে অক্সিডাইজার মিশিয়ে বিস্ফোরক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, দিল্লি বিস্ফোরণে এএনএফও (অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও জ্বালানি তেল মিশ্রিত একটি বিস্ফোরক যৌগ) ব্যবহৃত হয়েছিল। এর আগে ফরিদাবাদের অভিযানেও পুলিশ ৩৫০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটসহ ২ হাজার কেজির বেশি বিস্ফোরক উদ্ধার করেছিল।
পুলিশ এখনো ডা. উমরকে আটক করতে পারেনি। তবে ডা. মুজাম্মিল শাকিল, আদিল ও শহীদ সাঈদ বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত ইসলামের দুই পবিত্র মসজিদে জুমার খুতবা সংক্ষিপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে পুরো গ্রীষ্মে জুমার খুতবা ও নামাজের সময়কাল কমিয়ে ১৫ মিনিট নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে জুমার খুতবা সাধারণত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট স্থায়ী হতো।
২৩ জুন ২০২৪
দিল্লির লালকেল্লায় সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে এবার জড়িয়ে যাচ্ছে তুরস্কের নাম। তুরস্ক থেকে ‘উকাসা’ ছদ্মনামের এক ব্যক্তি এই হামলার নীলনকশা আঁকেন। তিনি ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক উমর উন নবির নেতৃত্বাধীন টিমকে দিতেন দিকনির্দেশনাও। এমনটিই বলছেন ভারতীয় তদন্ত কর্মকর্তারা।
১ সেকেন্ড আগে
রাজধানী দিল্লিতে সাম্প্রতিক ঘটা গাড়ি বিস্ফোরণকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। গত সোমবার শহরের ঐতিহাসিক লালকেল্লার কাছে ওই বিস্ফোরণে অন্তত আটজন নিহত ও ২০ জন আহত হন।
২ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের পার্লামেন্ট দেশটির সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী পাস করেছে। এই বিতর্কিত সংশোধনী দেশটির সেনাপ্রধানের ক্ষমতা আরও বাড়াবে এবং তাঁকে আজীবন আইনি দায়মুক্তি দেবে। একই সঙ্গে এটি সুপ্রিম কোর্টের স্বাধীনতাও সীমিত করবে। সমালোচকেরা একে ‘গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী দিল্লিতে সাম্প্রতিক ঘটা গাড়ি বিস্ফোরণকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। গত সোমবার শহরের ঐতিহাসিক লালকেল্লার কাছে ওই বিস্ফোরণে অন্তত আটজন নিহত ও ২০ জন আহত হন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার গভীর রাতে (স্থানীয় সময়) নিরাপত্তাসংক্রান্ত এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভা এ হামলার নিন্দা করেছে। মন্ত্রিসভা বলেছে, এটি ‘ভারতবিরোধী শক্তিগুলো’ দ্বারা সংঘটিত একটি কাপুরুষোচিত কাজ।
তবে এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ এ বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কারও নাম প্রকাশ করেনি বা কাউকে গ্রেপ্তারও করেনি।
গতকালের বৈঠকে মন্ত্রিসভা বলেছে, ভারতবিরোধী শক্তি দ্বারা সংঘটিত এ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশ আরও একটি জঘন্য সন্ত্রাসী ঘটনার সাক্ষী হয়েছে। মন্ত্রিসভা নির্দেশ দিচ্ছে, ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধী, তাদের সহযোগী ও পৃষ্ঠপোষকদের চিহ্নিত করা হোক এবং অবিলম্বে তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক।
মন্ত্রিসভা আরও বলেছে, সরকার নির্দোষ মানুষের প্রাণহানির কারণ হওয়া এই জঘন্য ও কাপুরুষোচিত হামলার নিন্দা জানাচ্ছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্স নীতি সব সময় অটল থাকবে।
গত সোমবার দিল্লির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক স্থান লালকেল্লার নিকটবর্তী একটি মেট্রো স্টেশনের কাছে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল।
দিল্লি পুলিশের কমিশনার সতীশ গোলচা সাংবাদিকদের জানান, সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। গাড়িটি ট্রাফিক সিগন্যালে আটকে ছিল। এর ফলে কাছাকাছি থাকা গাড়িগুলোরও ক্ষতি হয়।
দিল্লি পুলিশের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন, হুন্ডাই আই-২০ মডেলের একটি গাড়িতে এই বিস্ফোরণ ঘটেছিল। বিস্ফোরণের সময় গাড়িটি ধীরে ধীরে চলছিল এবং তাতে তিনজন আরোহী ছিলেন।
বিস্ফোরণের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দিল্লি পুলিশ আশপাশের এলাকায় হাই অ্যালার্ট বা উচ্চ সতর্কতা জারি করে।
সোমবার ঘটনার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, পুলিশ, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলো বিস্ফোরণের তদন্ত করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সমস্ত সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছি এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করব। তদন্তের ফলাফল আমরা জনগণের সামনে তুলে ধরব।’
প্রধানমন্ত্রী মোদি বিস্ফোরণে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী বিস্ফোরণের ঘটনাকে ‘অত্যন্ত হৃদয়বিদারক’ বলে অভিহিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, লালকেল্লা সপ্তদশ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল। ভারতের জনপ্রিয় পর্যটন স্পটগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক এটি পরিদর্শনে আসেন। প্রতিবছর ভারতের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ এই স্থান থেকেই দিয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী।

রাজধানী দিল্লিতে সাম্প্রতিক ঘটা গাড়ি বিস্ফোরণকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। গত সোমবার শহরের ঐতিহাসিক লালকেল্লার কাছে ওই বিস্ফোরণে অন্তত আটজন নিহত ও ২০ জন আহত হন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার গভীর রাতে (স্থানীয় সময়) নিরাপত্তাসংক্রান্ত এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভা এ হামলার নিন্দা করেছে। মন্ত্রিসভা বলেছে, এটি ‘ভারতবিরোধী শক্তিগুলো’ দ্বারা সংঘটিত একটি কাপুরুষোচিত কাজ।
তবে এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ এ বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কারও নাম প্রকাশ করেনি বা কাউকে গ্রেপ্তারও করেনি।
গতকালের বৈঠকে মন্ত্রিসভা বলেছে, ভারতবিরোধী শক্তি দ্বারা সংঘটিত এ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশ আরও একটি জঘন্য সন্ত্রাসী ঘটনার সাক্ষী হয়েছে। মন্ত্রিসভা নির্দেশ দিচ্ছে, ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধী, তাদের সহযোগী ও পৃষ্ঠপোষকদের চিহ্নিত করা হোক এবং অবিলম্বে তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক।
মন্ত্রিসভা আরও বলেছে, সরকার নির্দোষ মানুষের প্রাণহানির কারণ হওয়া এই জঘন্য ও কাপুরুষোচিত হামলার নিন্দা জানাচ্ছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্স নীতি সব সময় অটল থাকবে।
গত সোমবার দিল্লির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক স্থান লালকেল্লার নিকটবর্তী একটি মেট্রো স্টেশনের কাছে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল।
দিল্লি পুলিশের কমিশনার সতীশ গোলচা সাংবাদিকদের জানান, সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। গাড়িটি ট্রাফিক সিগন্যালে আটকে ছিল। এর ফলে কাছাকাছি থাকা গাড়িগুলোরও ক্ষতি হয়।
দিল্লি পুলিশের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন, হুন্ডাই আই-২০ মডেলের একটি গাড়িতে এই বিস্ফোরণ ঘটেছিল। বিস্ফোরণের সময় গাড়িটি ধীরে ধীরে চলছিল এবং তাতে তিনজন আরোহী ছিলেন।
বিস্ফোরণের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দিল্লি পুলিশ আশপাশের এলাকায় হাই অ্যালার্ট বা উচ্চ সতর্কতা জারি করে।
সোমবার ঘটনার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, পুলিশ, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলো বিস্ফোরণের তদন্ত করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সমস্ত সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছি এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করব। তদন্তের ফলাফল আমরা জনগণের সামনে তুলে ধরব।’
প্রধানমন্ত্রী মোদি বিস্ফোরণে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী বিস্ফোরণের ঘটনাকে ‘অত্যন্ত হৃদয়বিদারক’ বলে অভিহিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, লালকেল্লা সপ্তদশ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল। ভারতের জনপ্রিয় পর্যটন স্পটগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক এটি পরিদর্শনে আসেন। প্রতিবছর ভারতের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ এই স্থান থেকেই দিয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত ইসলামের দুই পবিত্র মসজিদে জুমার খুতবা সংক্ষিপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে পুরো গ্রীষ্মে জুমার খুতবা ও নামাজের সময়কাল কমিয়ে ১৫ মিনিট নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে জুমার খুতবা সাধারণত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট স্থায়ী হতো।
২৩ জুন ২০২৪
দিল্লির লালকেল্লায় সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে এবার জড়িয়ে যাচ্ছে তুরস্কের নাম। তুরস্ক থেকে ‘উকাসা’ ছদ্মনামের এক ব্যক্তি এই হামলার নীলনকশা আঁকেন। তিনি ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক উমর উন নবির নেতৃত্বাধীন টিমকে দিতেন দিকনির্দেশনাও। এমনটিই বলছেন ভারতীয় তদন্ত কর্মকর্তারা।
১ সেকেন্ড আগে
এই চার চিকিৎসক দিল্লিজুড়ে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য ২০ লাখ টাকার একটি তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন। এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন অর্থাৎ আগামী ৬ ডিসেম্বর ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন (এনসিআর) বা রাজধানী দিল্লির বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের...
৩৪ মিনিট আগে
পাকিস্তানের পার্লামেন্ট দেশটির সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী পাস করেছে। এই বিতর্কিত সংশোধনী দেশটির সেনাপ্রধানের ক্ষমতা আরও বাড়াবে এবং তাঁকে আজীবন আইনি দায়মুক্তি দেবে। একই সঙ্গে এটি সুপ্রিম কোর্টের স্বাধীনতাও সীমিত করবে। সমালোচকেরা একে ‘গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের পার্লামেন্ট দেশটির সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী পাস করেছে। এই বিতর্কিত সংশোধনী দেশটির সেনাপ্রধানের ক্ষমতা আরও বাড়াবে এবং তাঁকে আজীবন আইনি দায়মুক্তি দেবে। একই সঙ্গে এটি সুপ্রিম কোর্টের স্বাধীনতাও সীমিত করবে। সমালোচকেরা একে ‘গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার রাতে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি তথা জাতীয় পরিষদে বিলটি পাস হয়েছে। পাকিস্তানের ক্ষমতাধর সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির—যিনি দেশটির ডি–ফ্যাক্টো শাসক হিসেবে পরিচিত—এই ২৭ তম সংশোধনীর প্রধান উপকারভোগী।
বিলটি এখন সামান্য পরিবর্তনের জন্য সিনেটে ফেরত পাঠানো হবে। এর আগে উচ্চকক্ষ সিনেট গত সোমবার এটি অনুমোদন করে। এরপর প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এতে স্বাক্ষর করলে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে সংবিধানের অংশ হয়ে যাবে।
এই সংশোধনীর অধীনে এ বছর শুরুর দিকে পাঁচ তারকাবিশিষ্ট জেনারেল হিসেবে মনোনীত হওয়া সেনাপ্রধান আসিম মুনির অভূতপূর্ব ক্ষমতা অর্জন করবেন। তাঁকে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস—নামে নতুন একটি পদে উন্নীত করা হবে। এর ফলে তিনি কেবল সেনাবাহিনীই নয়, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীরও প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি তাঁকে আজীবন ফৌজদারি বিচারের হাত থেকে দায়মুক্তি দেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডজাঙ্কট অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এবং ‘The Army and Democracy: Military Politics in Pakistan’—বইয়ের লেখক আকিল শাহ বলেছেন, মুনির ‘সাংবিধানিকভাবে অভূতপূর্ব এক সুরক্ষিত পদ সৃষ্টির মাধ্যমে নিজে ও ভবিষ্যতের সেনাপ্রধানদের ক্ষমতায় স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।’ তিনি বলেন, সংশোধনীতে দেওয়া দায়মুক্তি ‘নাগরিক কর্তৃত্বের নীতিকে উপহাসে পরিণত করেছে, কারণ এটি তাকে সব ধরনের জবাবদিহির ঊর্ধ্বে স্থাপন করেছে।’
এই সংশোধনী সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা ও কার্যপরিধিও ব্যাপকভাবে খর্ব করেছে। পাকিস্তান রাষ্ট্রে এই প্রতিষ্ঠানটিই এত দিন নির্বাহী ক্ষমতার একমাত্র নিয়ামক হিসেবে টিকে ছিল। সংশোধনী অনুযায়ী—সুপ্রিম কোর্টের ঊর্ধ্বে একটি নতুন ফেডারেল সাংবিধানিক আদালত গঠন করা হবে, যার বিচারপতিদের মনোনয়ন দেবে নির্বাহী বিভাগ। সমালোচকেরা বলছেন, এতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অবশিষ্ট প্রতীকটিও ভেঙে পড়বে। বিচারপতিদের বদলি বা স্থানান্তর সংক্রান্ত সিদ্ধান্তও এখন থেকে এককভাবে প্রেসিডেন্টের হাতে থাকবে, ফলে বিচার বিভাগে জবাবদিহির ধারণা পুরোপুরি বিলুপ্ত হবে।
সাংবিধানিক আইনজীবী সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এই সংশোধনী ‘পাকিস্তানের বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ধারণাটিকেই ধ্বংস করে দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এর মাধ্যমে দেশটি কার্যত আজীবন একনায়কতন্ত্রের পথে হাঁটছে।’ বিরোধীরা বলছেন, এই আইন সামরিক শাসনকে সংবিধানে স্থায়ী রূপ দিচ্ছে এবং পাকিস্তানকে পূর্ণ কর্তৃত্ববাদে ঠেলে দিচ্ছে।
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকে পাকিস্তান কয়েক দশক সরাসরি সামরিক শাসনের অধীনে ছিল। সে সময় জেনারেলরা সংবিধান স্থগিত করে দিয়েছিলেন। তবে ২০০৮ সালে জেনারেল পারভেজ মুশাররফের পতনের পর দেশটি এক ভঙ্গুর গণতন্ত্রে রূপ নেয়—যেখানে নির্বাচিত বেসামরিক সরকারই মুখে নেতৃত্ব দেয়, কিন্তু পর্দার আড়ালে সেনাবাহিনীই নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেনাবাহিনী আবারও দেশের প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ কুক্ষিগত করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মাধ্যমে শীর্ষ সেনা কর্মকর্তারা আরও ক্ষমতাবান হচ্ছেন। ২০২২ সালে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর আসিম মুনির আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কার্যত রাষ্ট্রপ্রধানের মতো সফর করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে দুটি বৈঠক করেছেন, যেখানে ট্রাম্প তাঁকে ‘আমার প্রিয় ফিল্ড মার্শাল’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। সরকারি জোটের নেতা প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা এই সংশোধনীকে ন্যায়বিচার ও সেনাবাহিনীর ‘আধুনিকীকরণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি’র উদ্যোগ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।
অতীতে সংবিধান পরিবর্তনের প্রস্তাব নিয়ে সিনেট ও জাতীয় পরিষদে সপ্তাহজুড়ে বিতর্ক হতো। কিন্তু এবার তা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুই কক্ষেই পাস হয়ে যায়। বিশ্লেষকদের মতে, দুর্বল জোট সরকারের অসহায়ত্ব এবং মুনিরের অপ্রতিরোধ্য প্রভাবেরই প্রমাণ এটি। বুধবার কেবল চারজন সংসদ সদস্য বিলটির বিরোধিতা করেন।
পাকিস্তানের বৃহত্তম বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এই ভোট বর্জন করেছে। যদিও জনসমর্থনে দলটি এখনো শক্তিশালী, কিন্তু মুনির সেনাপ্রধান হওয়ার পর থেকে তাদের রাজনৈতিক শক্তি ও প্রভাব প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়েছে। দলের নেতা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে আছেন এবং তার মুক্তির সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
বহুদলীয় বিরোধী জোট তেহরিক-ই-তাহাফুজ-ই-আইন-ই-পাকিস্তান (টিটিএপি) অভিযোগ করেছে যে, সরকার ‘সংবিধানের ভিত্তি নড়িয়ে দিয়েছে।’ এক যৌথ চিঠিতে শতাধিক আইনজীবী ও অধিকারকর্মী এই সংশোধনীকে ‘সংবিধান বিকৃতি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তারা বলেন, এই প্রক্রিয়ায় ‘আইনজীবী সমাজ, বিচার বিভাগ এবং নাগরিক সমাজের সঙ্গে কোনো অর্থবহ আলোচনা বা মতবিনিময় হয়নি।’

পাকিস্তানের পার্লামেন্ট দেশটির সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী পাস করেছে। এই বিতর্কিত সংশোধনী দেশটির সেনাপ্রধানের ক্ষমতা আরও বাড়াবে এবং তাঁকে আজীবন আইনি দায়মুক্তি দেবে। একই সঙ্গে এটি সুপ্রিম কোর্টের স্বাধীনতাও সীমিত করবে। সমালোচকেরা একে ‘গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার রাতে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি তথা জাতীয় পরিষদে বিলটি পাস হয়েছে। পাকিস্তানের ক্ষমতাধর সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির—যিনি দেশটির ডি–ফ্যাক্টো শাসক হিসেবে পরিচিত—এই ২৭ তম সংশোধনীর প্রধান উপকারভোগী।
বিলটি এখন সামান্য পরিবর্তনের জন্য সিনেটে ফেরত পাঠানো হবে। এর আগে উচ্চকক্ষ সিনেট গত সোমবার এটি অনুমোদন করে। এরপর প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এতে স্বাক্ষর করলে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে সংবিধানের অংশ হয়ে যাবে।
এই সংশোধনীর অধীনে এ বছর শুরুর দিকে পাঁচ তারকাবিশিষ্ট জেনারেল হিসেবে মনোনীত হওয়া সেনাপ্রধান আসিম মুনির অভূতপূর্ব ক্ষমতা অর্জন করবেন। তাঁকে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস—নামে নতুন একটি পদে উন্নীত করা হবে। এর ফলে তিনি কেবল সেনাবাহিনীই নয়, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীরও প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি তাঁকে আজীবন ফৌজদারি বিচারের হাত থেকে দায়মুক্তি দেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডজাঙ্কট অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এবং ‘The Army and Democracy: Military Politics in Pakistan’—বইয়ের লেখক আকিল শাহ বলেছেন, মুনির ‘সাংবিধানিকভাবে অভূতপূর্ব এক সুরক্ষিত পদ সৃষ্টির মাধ্যমে নিজে ও ভবিষ্যতের সেনাপ্রধানদের ক্ষমতায় স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।’ তিনি বলেন, সংশোধনীতে দেওয়া দায়মুক্তি ‘নাগরিক কর্তৃত্বের নীতিকে উপহাসে পরিণত করেছে, কারণ এটি তাকে সব ধরনের জবাবদিহির ঊর্ধ্বে স্থাপন করেছে।’
এই সংশোধনী সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা ও কার্যপরিধিও ব্যাপকভাবে খর্ব করেছে। পাকিস্তান রাষ্ট্রে এই প্রতিষ্ঠানটিই এত দিন নির্বাহী ক্ষমতার একমাত্র নিয়ামক হিসেবে টিকে ছিল। সংশোধনী অনুযায়ী—সুপ্রিম কোর্টের ঊর্ধ্বে একটি নতুন ফেডারেল সাংবিধানিক আদালত গঠন করা হবে, যার বিচারপতিদের মনোনয়ন দেবে নির্বাহী বিভাগ। সমালোচকেরা বলছেন, এতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অবশিষ্ট প্রতীকটিও ভেঙে পড়বে। বিচারপতিদের বদলি বা স্থানান্তর সংক্রান্ত সিদ্ধান্তও এখন থেকে এককভাবে প্রেসিডেন্টের হাতে থাকবে, ফলে বিচার বিভাগে জবাবদিহির ধারণা পুরোপুরি বিলুপ্ত হবে।
সাংবিধানিক আইনজীবী সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এই সংশোধনী ‘পাকিস্তানের বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ধারণাটিকেই ধ্বংস করে দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এর মাধ্যমে দেশটি কার্যত আজীবন একনায়কতন্ত্রের পথে হাঁটছে।’ বিরোধীরা বলছেন, এই আইন সামরিক শাসনকে সংবিধানে স্থায়ী রূপ দিচ্ছে এবং পাকিস্তানকে পূর্ণ কর্তৃত্ববাদে ঠেলে দিচ্ছে।
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকে পাকিস্তান কয়েক দশক সরাসরি সামরিক শাসনের অধীনে ছিল। সে সময় জেনারেলরা সংবিধান স্থগিত করে দিয়েছিলেন। তবে ২০০৮ সালে জেনারেল পারভেজ মুশাররফের পতনের পর দেশটি এক ভঙ্গুর গণতন্ত্রে রূপ নেয়—যেখানে নির্বাচিত বেসামরিক সরকারই মুখে নেতৃত্ব দেয়, কিন্তু পর্দার আড়ালে সেনাবাহিনীই নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেনাবাহিনী আবারও দেশের প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ কুক্ষিগত করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মাধ্যমে শীর্ষ সেনা কর্মকর্তারা আরও ক্ষমতাবান হচ্ছেন। ২০২২ সালে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর আসিম মুনির আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কার্যত রাষ্ট্রপ্রধানের মতো সফর করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে দুটি বৈঠক করেছেন, যেখানে ট্রাম্প তাঁকে ‘আমার প্রিয় ফিল্ড মার্শাল’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। সরকারি জোটের নেতা প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা এই সংশোধনীকে ন্যায়বিচার ও সেনাবাহিনীর ‘আধুনিকীকরণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি’র উদ্যোগ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।
অতীতে সংবিধান পরিবর্তনের প্রস্তাব নিয়ে সিনেট ও জাতীয় পরিষদে সপ্তাহজুড়ে বিতর্ক হতো। কিন্তু এবার তা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুই কক্ষেই পাস হয়ে যায়। বিশ্লেষকদের মতে, দুর্বল জোট সরকারের অসহায়ত্ব এবং মুনিরের অপ্রতিরোধ্য প্রভাবেরই প্রমাণ এটি। বুধবার কেবল চারজন সংসদ সদস্য বিলটির বিরোধিতা করেন।
পাকিস্তানের বৃহত্তম বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এই ভোট বর্জন করেছে। যদিও জনসমর্থনে দলটি এখনো শক্তিশালী, কিন্তু মুনির সেনাপ্রধান হওয়ার পর থেকে তাদের রাজনৈতিক শক্তি ও প্রভাব প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়েছে। দলের নেতা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে আছেন এবং তার মুক্তির সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
বহুদলীয় বিরোধী জোট তেহরিক-ই-তাহাফুজ-ই-আইন-ই-পাকিস্তান (টিটিএপি) অভিযোগ করেছে যে, সরকার ‘সংবিধানের ভিত্তি নড়িয়ে দিয়েছে।’ এক যৌথ চিঠিতে শতাধিক আইনজীবী ও অধিকারকর্মী এই সংশোধনীকে ‘সংবিধান বিকৃতি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তারা বলেন, এই প্রক্রিয়ায় ‘আইনজীবী সমাজ, বিচার বিভাগ এবং নাগরিক সমাজের সঙ্গে কোনো অর্থবহ আলোচনা বা মতবিনিময় হয়নি।’

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত ইসলামের দুই পবিত্র মসজিদে জুমার খুতবা সংক্ষিপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে পুরো গ্রীষ্মে জুমার খুতবা ও নামাজের সময়কাল কমিয়ে ১৫ মিনিট নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে জুমার খুতবা সাধারণত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট স্থায়ী হতো।
২৩ জুন ২০২৪
দিল্লির লালকেল্লায় সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে এবার জড়িয়ে যাচ্ছে তুরস্কের নাম। তুরস্ক থেকে ‘উকাসা’ ছদ্মনামের এক ব্যক্তি এই হামলার নীলনকশা আঁকেন। তিনি ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক উমর উন নবির নেতৃত্বাধীন টিমকে দিতেন দিকনির্দেশনাও। এমনটিই বলছেন ভারতীয় তদন্ত কর্মকর্তারা।
১ সেকেন্ড আগে
এই চার চিকিৎসক দিল্লিজুড়ে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য ২০ লাখ টাকার একটি তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন। এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন অর্থাৎ আগামী ৬ ডিসেম্বর ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন (এনসিআর) বা রাজধানী দিল্লির বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের...
৩৪ মিনিট আগে
রাজধানী দিল্লিতে সাম্প্রতিক ঘটা গাড়ি বিস্ফোরণকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। গত সোমবার শহরের ঐতিহাসিক লালকেল্লার কাছে ওই বিস্ফোরণে অন্তত আটজন নিহত ও ২০ জন আহত হন।
২ ঘণ্টা আগে