অনলাইন ডেস্ক
ইরাকে ইরান-সমর্থিত একাধিক সশস্ত্র গোষ্ঠী অস্ত্র সমর্পণে সম্মত হয়েছে। গতকাল সোমবার গোষ্ঠীগুলোর ১০ জন কমান্ডার এবং ইরাকের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। মূলত মার্কিন প্রশাসনের ক্রমাগত চাপেই গোষ্ঠীগুলোকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রয়টার্সের তথ্যমতে, ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকেই ইরাক সরকারকে দেশটিতে সক্রিয় ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। এদের বাগে আনতে না পারলে বিমান হামলারও হুমকি দিয়েছেন একাধিকবার।
অস্ত্র সমর্পণে সম্মত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে রয়েছে—কাতাইব হিজবুল্লাহ, নুজাবা, কাতাইব সাইয়্যেদ আশ–শুহাদা ও আনসারুল্লাহ আল-আউফিয়া। এদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী কাতাইব হিজবুল্লাহর এক কমান্ডার বলেন, ‘ট্রাম্প আমাদের বিরুদ্ধে আরও কঠিন যুদ্ধে জড়াতে প্রস্তুত। আমরা এটি জানি। আমরা এমন একটি খারাপ পরিস্থিতি এড়াতে চাই।’
তিনি জানান, ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীও (আইআরজিসি) যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্ভাব্য ধ্বংসাত্মক সংঘাত এড়াতে মিলিশিয়া গ্রুপগুলোকে নিজেদের মতো করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে।
অবশ্য রয়টার্স এই তথ্য প্রকাশের পর কাতাইব হিজবুল্লাহ দাবি করেছে, তাদের কোনো প্রতিনিধি রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলেনি।
এদিকে, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতাদের মধ্যে আলোচনায় অনেকটাই অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইরাকের জোট সরকারের ঘনিষ্ঠ ঊর্ধ্বতন রাজনীতিবিদ ইজ্জাত আল-শাহবান্দার। তিনি বলেন, ‘গোষ্ঠীগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নিরস্ত্রীকরণের ডাকে সাড়া দিতে ইচ্ছুক। তারা এখন আর অনড় অবস্থানে নেই, বরং তারা ভালোভাবেই বুঝতে পারছে যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো সময় আঘাত হানতে পারে।’
রয়টার্সের তথ্যমতে, কিছু গোষ্ঠী ইতিমধ্যে তাদের সদর দপ্তর খালি করেছে। অস্ত্র ছেড়ে তারা মূলধারার রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হতে পারে অথবা সরকারি সামরিক বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে গোষ্ঠীগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
‘ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স ইন ইরাক’ নামে এক ছাতার নিচে দেশটিতে ইরান সমর্থিত প্রায় ১০টি কট্টরপন্থী শিয়া গোষ্ঠী রয়েছে। এরা ইরানের আইআরজিসি এবং কুদস ফোর্সের অনুগামী। এই গোষ্ঠীগুলোর প্রায় ৫০ হাজার যোদ্ধা এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিপুল অস্ত্রভান্ডার রয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে একাধিকবার হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি লক্ষ্য করে ড্রোন ও রকেট হামলা চালিয়েছে এসব গোষ্ঠী।
তবে, এই বাহিনীগুলোকে ইরাকের সেনাপ্রধানের অধীন রাখার জন্য ইরাক সরকারকে অনবরত চাপ দিয়ে যাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন।
ইরাকের প্রভাবশালী শিয়া রাজনীতিবিদ শাহবান্দার জানিয়েছেন, গোষ্ঠীগুলোর নেতাদের সঙ্গে এখন পর্যন্ত ইরাক সরকারের কোনো চূড়ান্ত চুক্তি হয়নি। গোষ্ঠীগুলোর অস্ত্র সমর্পণ প্রক্রিয়া কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে—তা নিয়ে আলোচনা চলমান।
ইরাকে ইরান-সমর্থিত একাধিক সশস্ত্র গোষ্ঠী অস্ত্র সমর্পণে সম্মত হয়েছে। গতকাল সোমবার গোষ্ঠীগুলোর ১০ জন কমান্ডার এবং ইরাকের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। মূলত মার্কিন প্রশাসনের ক্রমাগত চাপেই গোষ্ঠীগুলোকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রয়টার্সের তথ্যমতে, ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকেই ইরাক সরকারকে দেশটিতে সক্রিয় ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। এদের বাগে আনতে না পারলে বিমান হামলারও হুমকি দিয়েছেন একাধিকবার।
অস্ত্র সমর্পণে সম্মত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে রয়েছে—কাতাইব হিজবুল্লাহ, নুজাবা, কাতাইব সাইয়্যেদ আশ–শুহাদা ও আনসারুল্লাহ আল-আউফিয়া। এদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী কাতাইব হিজবুল্লাহর এক কমান্ডার বলেন, ‘ট্রাম্প আমাদের বিরুদ্ধে আরও কঠিন যুদ্ধে জড়াতে প্রস্তুত। আমরা এটি জানি। আমরা এমন একটি খারাপ পরিস্থিতি এড়াতে চাই।’
তিনি জানান, ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীও (আইআরজিসি) যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্ভাব্য ধ্বংসাত্মক সংঘাত এড়াতে মিলিশিয়া গ্রুপগুলোকে নিজেদের মতো করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে।
অবশ্য রয়টার্স এই তথ্য প্রকাশের পর কাতাইব হিজবুল্লাহ দাবি করেছে, তাদের কোনো প্রতিনিধি রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলেনি।
এদিকে, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতাদের মধ্যে আলোচনায় অনেকটাই অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইরাকের জোট সরকারের ঘনিষ্ঠ ঊর্ধ্বতন রাজনীতিবিদ ইজ্জাত আল-শাহবান্দার। তিনি বলেন, ‘গোষ্ঠীগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নিরস্ত্রীকরণের ডাকে সাড়া দিতে ইচ্ছুক। তারা এখন আর অনড় অবস্থানে নেই, বরং তারা ভালোভাবেই বুঝতে পারছে যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো সময় আঘাত হানতে পারে।’
রয়টার্সের তথ্যমতে, কিছু গোষ্ঠী ইতিমধ্যে তাদের সদর দপ্তর খালি করেছে। অস্ত্র ছেড়ে তারা মূলধারার রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হতে পারে অথবা সরকারি সামরিক বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে গোষ্ঠীগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
‘ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স ইন ইরাক’ নামে এক ছাতার নিচে দেশটিতে ইরান সমর্থিত প্রায় ১০টি কট্টরপন্থী শিয়া গোষ্ঠী রয়েছে। এরা ইরানের আইআরজিসি এবং কুদস ফোর্সের অনুগামী। এই গোষ্ঠীগুলোর প্রায় ৫০ হাজার যোদ্ধা এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিপুল অস্ত্রভান্ডার রয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে একাধিকবার হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি লক্ষ্য করে ড্রোন ও রকেট হামলা চালিয়েছে এসব গোষ্ঠী।
তবে, এই বাহিনীগুলোকে ইরাকের সেনাপ্রধানের অধীন রাখার জন্য ইরাক সরকারকে অনবরত চাপ দিয়ে যাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন।
ইরাকের প্রভাবশালী শিয়া রাজনীতিবিদ শাহবান্দার জানিয়েছেন, গোষ্ঠীগুলোর নেতাদের সঙ্গে এখন পর্যন্ত ইরাক সরকারের কোনো চূড়ান্ত চুক্তি হয়নি। গোষ্ঠীগুলোর অস্ত্র সমর্পণ প্রক্রিয়া কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে—তা নিয়ে আলোচনা চলমান।
পারস্য উপসাগরের উপকূলে ইরানের বুশেহর শহরে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি কোনো হামলার শিকার হয়, তবে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। শুধু ইরান নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল পড়বে বিপদের মুখে।
৭ ঘণ্টা আগেবি-২ বিমানের সঙ্গে ছিল চারটি বোয়িং কেসি-৪৬ পেগাসাস ফুয়েল ট্যাংকার। এর মধ্যে দুটি ইতিমধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশে বি-২ বোমারুতে জ্বালানি সরবরাহ করেছে। বাকি দুটি প্রায় ৭৫ কিলোমিটার পেছনে অবস্থান করছে।
৮ ঘণ্টা আগেসামরিক শক্তিতে বরাবরই নিজেকে অপরাজেয় হিসেবে জাহির করা ইসরায়েলকে সত্যিই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলকে ইতিমধ্যেই ব্যতিব্যস্ত করার পর গতকাল শনিবার দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে সফল ড্রোন হামলা চালায় ইরান। ইরানের দুটি ড্রোন ইসরায়েলের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে...
৮ ঘণ্টা আগেইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত নবম দিনে গড়িয়েছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের পক্ষে সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে লোহিতসাগরে মার্কিন জাহাজগুলোতে হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। হুতি বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে
৮ ঘণ্টা আগে