
১৯৬৭ সালের ৬ দিনের যুদ্ধের জয়কে স্মরণীয় করে রাখতে গত বুধবার ইসরায়েলের দখল করা পূর্ব জেরুজালেমে পতাকা মিছিল করে কট্টর ইহুদি জাতীয়তাবাদীরা। সেদিন তাঁরা যে বর্বরতা দেখিয়েছে, তার ফটোগ্রাফিক প্রমাণাদির দিকে তাকানোও অসম্ভব। এর মধ্য দিয়ে মূলত ইহুদি জাতীয়তাবাদ তথা জায়োনিজমের সর্বশেষ ধাপ ‘ব্রুটালাইজেশন’ বা বর্বরকরণ সম্পন্ন হয়েছে।
প্রখ্যাত ইহুদি দার্শনিক অধ্যাপক ড. ইয়েশায়াহু লেবোউইৎস কট্টর ইহুদি জাতীয়তাবাদের পরিণতি প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘ছয় দিনের যুদ্ধের পরে যে জাতীয় গৌরব এবং উচ্ছ্বাস, তা অস্থায়ী এবং এটি আমাদের গর্বিত, উদীয়মান জাতীয়তাবাদ থেকে চরম, মেসিয়ানিক বা ত্রাতা মনোভাবসম্পন্ন অতিজাতিবাদের দিকে নিয়ে যাবে। তৃতীয় পর্যায় হবে বর্বরতা এবং চূড়ান্ত পর্যায় হবে ইহুদিবাদের অবসান।’
ইহুদি জাতীয়তাবাদের ব্রুটালাইজেশন বর্তমানে এর চরম পর্যায়ে আছে। মিছিলের দিনে কট্টর ইহুদিবাদীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছিলেন হারেৎজের সাংবাদিক নির হাসন। তাঁকে একদল কিশোর আক্রমণ করেছিল। তারা তাঁকে মাটিতে ফেলে নির্মমভাবে লাথি মেরে মেরে আহত করেছে। তিনি বলেছেন, বুধবারের মিছিলের ‘সাধারণ মনোভাব ছিল প্রতিশোধের।’
নির হাসন লিখেছেন, সেদিন যারা মিছিলে গিয়েছিল তাদের অধিকাংশই ইসরায়েলি কট্টরপন্থী কাহানিস্ট মতবাদের রাজনৈতিক প্রতীক ‘মুষ্টি’ আঁকা টি-শার্ট পরিধান করেছিল। এ সময় তাঁরা ‘আরবদের প্রতি মৃত্যু বর্ষিত হোক’, ‘তাদের গ্রামগুলো পুড়ে যাক’ ইত্যাদি আরববিদ্বেষী স্লোগান-গান গাইছিল। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কট্টরপন্থীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা ইতামার বেন গভির। সব মিলিয়ে মিছিলের চরিত্র ছিল খুবই ভীতিজনক।
সেদিন কেবল নির হাসন একাই আক্রমণের শিকার হননি। মিছিলে অংশ নেওয়া দাঙ্গাকারীরা ফিলিস্তিনি পথচারীদের হুমকি দিয়েছে, অভিশাপ দিয়েছে, ধাক্কা দিয়েছে এবং আক্রমণ করেছে। এবং যারা সাংবাদিক বলে পরিচয় দিয়েছে বা যারা ছবি তোলার চেষ্টা করে, তাদেরও আক্রমণ করেছে। সাংবাদিকদের ওপর তাদের আক্রমণের কারণ হলো—তাঁরা পর্যাপ্ত ফিলিস্তিনিকে ‘শিকার’ হিসেবে খুঁজে পায়নি। কারণ, মিছিল উপলক্ষে ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোকে বাড়িতে থেকেই বের হতে দেওয়া হয়নি, একপ্রকার বন্দী করে রাখা হয়েছিল তাদের। ফিলিস্তিনিরা এরই মধ্যে বুঝে গেছে যে, ইহুদিরা যখন জেরুজালেম দিবস উদ্যাপন করে তখন এলাকা খালি করাই ভালো, যাতে উদ্যাপনকারীরা তাদের ওপর নির্যাতন চালাতে প্রলুব্ধ হওয়ার কোনো কারণ খুঁজে না পায়।
আমরা এখন আর কেবল মুষ্টিমেয় কিছু উগ্র বিচ্ছিন্ন ব্যক্তি বা কাহানিস্ট গোষ্ঠীর মতো নির্দিষ্ট কোনো গোষ্ঠীর কথা বলছি না। বর্বরতা এখন আর প্রান্তিক ইহুদি সেটেলমেন্ট বা ও সেটেলমেন্টের নিরাপত্তাচৌকিতে সীমাবদ্ধ নয়; এটি সব দিকে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়ংকরভাবে। এমনকি এই বর্বরতা সামরিক বাহিনী, পার্লামেন্ট নেসেট এবং মন্ত্রিসভায়ও প্রবেশ করেছে।
ইসরায়েলি মন্ত্রীরা এবং অনেক নেসেট সদস্য হাজার হাজার মানুষের সেই মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন এবং কেউ কেউ আরবদের রক্ত কামনা করে গাওয়া প্রতিশোধের গানে নেচেছেন। মন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ এবং মিরি রেগেভও মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। আইনপ্রণেতা জভি সুকোত, সিমচা রথম্যান এবং আলমোগ কোহেন এবং অবশ্যই কাহানিস্টদের মধ্যমণি বেন গভিরও যোগ দিয়েছিলেন। মিছিলে টেম্পল মাউন্ট তথা আল-আকসা মসজিদ নিয়ে যে স্ট্যাটাস ক্যু আছে, তা ভেঙে ফেলার হুমকিও দিয়ে মূলত একটি ধর্মযুদ্ধকেই উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
ইসরায়েলের রাজনীতির ভারকেন্দ্র যদি সমাজের কোণে কোণে চরমপন্থীদের বিকাশ ঠেকাতে কাজ না করে, কাহানিস্টদের নির্মূল না করে এবং ইসরায়েলি সমাজের দেহ থেকে দখলদারি মনোভাবের বিষফোড়া সরিয়ে না ফেলে, তাহলে ইসরায়েলের চূড়ান্ত পতন কেবল সময়ের ব্যাপার। এরই মধ্যে ক্ষণগণনা বা কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে।

১৯৬৭ সালের ৬ দিনের যুদ্ধের জয়কে স্মরণীয় করে রাখতে গত বুধবার ইসরায়েলের দখল করা পূর্ব জেরুজালেমে পতাকা মিছিল করে কট্টর ইহুদি জাতীয়তাবাদীরা। সেদিন তাঁরা যে বর্বরতা দেখিয়েছে, তার ফটোগ্রাফিক প্রমাণাদির দিকে তাকানোও অসম্ভব। এর মধ্য দিয়ে মূলত ইহুদি জাতীয়তাবাদ তথা জায়োনিজমের সর্বশেষ ধাপ ‘ব্রুটালাইজেশন’ বা বর্বরকরণ সম্পন্ন হয়েছে।
প্রখ্যাত ইহুদি দার্শনিক অধ্যাপক ড. ইয়েশায়াহু লেবোউইৎস কট্টর ইহুদি জাতীয়তাবাদের পরিণতি প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘ছয় দিনের যুদ্ধের পরে যে জাতীয় গৌরব এবং উচ্ছ্বাস, তা অস্থায়ী এবং এটি আমাদের গর্বিত, উদীয়মান জাতীয়তাবাদ থেকে চরম, মেসিয়ানিক বা ত্রাতা মনোভাবসম্পন্ন অতিজাতিবাদের দিকে নিয়ে যাবে। তৃতীয় পর্যায় হবে বর্বরতা এবং চূড়ান্ত পর্যায় হবে ইহুদিবাদের অবসান।’
ইহুদি জাতীয়তাবাদের ব্রুটালাইজেশন বর্তমানে এর চরম পর্যায়ে আছে। মিছিলের দিনে কট্টর ইহুদিবাদীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছিলেন হারেৎজের সাংবাদিক নির হাসন। তাঁকে একদল কিশোর আক্রমণ করেছিল। তারা তাঁকে মাটিতে ফেলে নির্মমভাবে লাথি মেরে মেরে আহত করেছে। তিনি বলেছেন, বুধবারের মিছিলের ‘সাধারণ মনোভাব ছিল প্রতিশোধের।’
নির হাসন লিখেছেন, সেদিন যারা মিছিলে গিয়েছিল তাদের অধিকাংশই ইসরায়েলি কট্টরপন্থী কাহানিস্ট মতবাদের রাজনৈতিক প্রতীক ‘মুষ্টি’ আঁকা টি-শার্ট পরিধান করেছিল। এ সময় তাঁরা ‘আরবদের প্রতি মৃত্যু বর্ষিত হোক’, ‘তাদের গ্রামগুলো পুড়ে যাক’ ইত্যাদি আরববিদ্বেষী স্লোগান-গান গাইছিল। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কট্টরপন্থীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা ইতামার বেন গভির। সব মিলিয়ে মিছিলের চরিত্র ছিল খুবই ভীতিজনক।
সেদিন কেবল নির হাসন একাই আক্রমণের শিকার হননি। মিছিলে অংশ নেওয়া দাঙ্গাকারীরা ফিলিস্তিনি পথচারীদের হুমকি দিয়েছে, অভিশাপ দিয়েছে, ধাক্কা দিয়েছে এবং আক্রমণ করেছে। এবং যারা সাংবাদিক বলে পরিচয় দিয়েছে বা যারা ছবি তোলার চেষ্টা করে, তাদেরও আক্রমণ করেছে। সাংবাদিকদের ওপর তাদের আক্রমণের কারণ হলো—তাঁরা পর্যাপ্ত ফিলিস্তিনিকে ‘শিকার’ হিসেবে খুঁজে পায়নি। কারণ, মিছিল উপলক্ষে ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোকে বাড়িতে থেকেই বের হতে দেওয়া হয়নি, একপ্রকার বন্দী করে রাখা হয়েছিল তাদের। ফিলিস্তিনিরা এরই মধ্যে বুঝে গেছে যে, ইহুদিরা যখন জেরুজালেম দিবস উদ্যাপন করে তখন এলাকা খালি করাই ভালো, যাতে উদ্যাপনকারীরা তাদের ওপর নির্যাতন চালাতে প্রলুব্ধ হওয়ার কোনো কারণ খুঁজে না পায়।
আমরা এখন আর কেবল মুষ্টিমেয় কিছু উগ্র বিচ্ছিন্ন ব্যক্তি বা কাহানিস্ট গোষ্ঠীর মতো নির্দিষ্ট কোনো গোষ্ঠীর কথা বলছি না। বর্বরতা এখন আর প্রান্তিক ইহুদি সেটেলমেন্ট বা ও সেটেলমেন্টের নিরাপত্তাচৌকিতে সীমাবদ্ধ নয়; এটি সব দিকে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়ংকরভাবে। এমনকি এই বর্বরতা সামরিক বাহিনী, পার্লামেন্ট নেসেট এবং মন্ত্রিসভায়ও প্রবেশ করেছে।
ইসরায়েলি মন্ত্রীরা এবং অনেক নেসেট সদস্য হাজার হাজার মানুষের সেই মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন এবং কেউ কেউ আরবদের রক্ত কামনা করে গাওয়া প্রতিশোধের গানে নেচেছেন। মন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ এবং মিরি রেগেভও মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। আইনপ্রণেতা জভি সুকোত, সিমচা রথম্যান এবং আলমোগ কোহেন এবং অবশ্যই কাহানিস্টদের মধ্যমণি বেন গভিরও যোগ দিয়েছিলেন। মিছিলে টেম্পল মাউন্ট তথা আল-আকসা মসজিদ নিয়ে যে স্ট্যাটাস ক্যু আছে, তা ভেঙে ফেলার হুমকিও দিয়ে মূলত একটি ধর্মযুদ্ধকেই উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
ইসরায়েলের রাজনীতির ভারকেন্দ্র যদি সমাজের কোণে কোণে চরমপন্থীদের বিকাশ ঠেকাতে কাজ না করে, কাহানিস্টদের নির্মূল না করে এবং ইসরায়েলি সমাজের দেহ থেকে দখলদারি মনোভাবের বিষফোড়া সরিয়ে না ফেলে, তাহলে ইসরায়েলের চূড়ান্ত পতন কেবল সময়ের ব্যাপার। এরই মধ্যে ক্ষণগণনা বা কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে।

১৯৬৭ সালের ৬ দিনের যুদ্ধের জয়কে স্মরণীয় করে রাখতে গত বুধবার ইসরায়েলের দখল করা পূর্ব জেরুজালেমে পতাকা মিছিল করে কট্টর ইহুদি জাতীয়তাবাদীরা। সেদিন তাঁরা যে বর্বরতা দেখিয়েছে, তার ফটোগ্রাফিক প্রমাণাদির দিকে তাকানোও অসম্ভব। এর মধ্য দিয়ে মূলত ইহুদি জাতীয়তাবাদ তথা জায়োনিজমের সর্বশেষ ধাপ ‘ব্রুটালাইজেশন’ বা বর্বরকরণ সম্পন্ন হয়েছে।
প্রখ্যাত ইহুদি দার্শনিক অধ্যাপক ড. ইয়েশায়াহু লেবোউইৎস কট্টর ইহুদি জাতীয়তাবাদের পরিণতি প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘ছয় দিনের যুদ্ধের পরে যে জাতীয় গৌরব এবং উচ্ছ্বাস, তা অস্থায়ী এবং এটি আমাদের গর্বিত, উদীয়মান জাতীয়তাবাদ থেকে চরম, মেসিয়ানিক বা ত্রাতা মনোভাবসম্পন্ন অতিজাতিবাদের দিকে নিয়ে যাবে। তৃতীয় পর্যায় হবে বর্বরতা এবং চূড়ান্ত পর্যায় হবে ইহুদিবাদের অবসান।’
ইহুদি জাতীয়তাবাদের ব্রুটালাইজেশন বর্তমানে এর চরম পর্যায়ে আছে। মিছিলের দিনে কট্টর ইহুদিবাদীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছিলেন হারেৎজের সাংবাদিক নির হাসন। তাঁকে একদল কিশোর আক্রমণ করেছিল। তারা তাঁকে মাটিতে ফেলে নির্মমভাবে লাথি মেরে মেরে আহত করেছে। তিনি বলেছেন, বুধবারের মিছিলের ‘সাধারণ মনোভাব ছিল প্রতিশোধের।’
নির হাসন লিখেছেন, সেদিন যারা মিছিলে গিয়েছিল তাদের অধিকাংশই ইসরায়েলি কট্টরপন্থী কাহানিস্ট মতবাদের রাজনৈতিক প্রতীক ‘মুষ্টি’ আঁকা টি-শার্ট পরিধান করেছিল। এ সময় তাঁরা ‘আরবদের প্রতি মৃত্যু বর্ষিত হোক’, ‘তাদের গ্রামগুলো পুড়ে যাক’ ইত্যাদি আরববিদ্বেষী স্লোগান-গান গাইছিল। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কট্টরপন্থীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা ইতামার বেন গভির। সব মিলিয়ে মিছিলের চরিত্র ছিল খুবই ভীতিজনক।
সেদিন কেবল নির হাসন একাই আক্রমণের শিকার হননি। মিছিলে অংশ নেওয়া দাঙ্গাকারীরা ফিলিস্তিনি পথচারীদের হুমকি দিয়েছে, অভিশাপ দিয়েছে, ধাক্কা দিয়েছে এবং আক্রমণ করেছে। এবং যারা সাংবাদিক বলে পরিচয় দিয়েছে বা যারা ছবি তোলার চেষ্টা করে, তাদেরও আক্রমণ করেছে। সাংবাদিকদের ওপর তাদের আক্রমণের কারণ হলো—তাঁরা পর্যাপ্ত ফিলিস্তিনিকে ‘শিকার’ হিসেবে খুঁজে পায়নি। কারণ, মিছিল উপলক্ষে ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোকে বাড়িতে থেকেই বের হতে দেওয়া হয়নি, একপ্রকার বন্দী করে রাখা হয়েছিল তাদের। ফিলিস্তিনিরা এরই মধ্যে বুঝে গেছে যে, ইহুদিরা যখন জেরুজালেম দিবস উদ্যাপন করে তখন এলাকা খালি করাই ভালো, যাতে উদ্যাপনকারীরা তাদের ওপর নির্যাতন চালাতে প্রলুব্ধ হওয়ার কোনো কারণ খুঁজে না পায়।
আমরা এখন আর কেবল মুষ্টিমেয় কিছু উগ্র বিচ্ছিন্ন ব্যক্তি বা কাহানিস্ট গোষ্ঠীর মতো নির্দিষ্ট কোনো গোষ্ঠীর কথা বলছি না। বর্বরতা এখন আর প্রান্তিক ইহুদি সেটেলমেন্ট বা ও সেটেলমেন্টের নিরাপত্তাচৌকিতে সীমাবদ্ধ নয়; এটি সব দিকে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়ংকরভাবে। এমনকি এই বর্বরতা সামরিক বাহিনী, পার্লামেন্ট নেসেট এবং মন্ত্রিসভায়ও প্রবেশ করেছে।
ইসরায়েলি মন্ত্রীরা এবং অনেক নেসেট সদস্য হাজার হাজার মানুষের সেই মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন এবং কেউ কেউ আরবদের রক্ত কামনা করে গাওয়া প্রতিশোধের গানে নেচেছেন। মন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ এবং মিরি রেগেভও মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। আইনপ্রণেতা জভি সুকোত, সিমচা রথম্যান এবং আলমোগ কোহেন এবং অবশ্যই কাহানিস্টদের মধ্যমণি বেন গভিরও যোগ দিয়েছিলেন। মিছিলে টেম্পল মাউন্ট তথা আল-আকসা মসজিদ নিয়ে যে স্ট্যাটাস ক্যু আছে, তা ভেঙে ফেলার হুমকিও দিয়ে মূলত একটি ধর্মযুদ্ধকেই উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
ইসরায়েলের রাজনীতির ভারকেন্দ্র যদি সমাজের কোণে কোণে চরমপন্থীদের বিকাশ ঠেকাতে কাজ না করে, কাহানিস্টদের নির্মূল না করে এবং ইসরায়েলি সমাজের দেহ থেকে দখলদারি মনোভাবের বিষফোড়া সরিয়ে না ফেলে, তাহলে ইসরায়েলের চূড়ান্ত পতন কেবল সময়ের ব্যাপার। এরই মধ্যে ক্ষণগণনা বা কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে।

১৯৬৭ সালের ৬ দিনের যুদ্ধের জয়কে স্মরণীয় করে রাখতে গত বুধবার ইসরায়েলের দখল করা পূর্ব জেরুজালেমে পতাকা মিছিল করে কট্টর ইহুদি জাতীয়তাবাদীরা। সেদিন তাঁরা যে বর্বরতা দেখিয়েছে, তার ফটোগ্রাফিক প্রমাণাদির দিকে তাকানোও অসম্ভব। এর মধ্য দিয়ে মূলত ইহুদি জাতীয়তাবাদ তথা জায়োনিজমের সর্বশেষ ধাপ ‘ব্রুটালাইজেশন’ বা বর্বরকরণ সম্পন্ন হয়েছে।
প্রখ্যাত ইহুদি দার্শনিক অধ্যাপক ড. ইয়েশায়াহু লেবোউইৎস কট্টর ইহুদি জাতীয়তাবাদের পরিণতি প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘ছয় দিনের যুদ্ধের পরে যে জাতীয় গৌরব এবং উচ্ছ্বাস, তা অস্থায়ী এবং এটি আমাদের গর্বিত, উদীয়মান জাতীয়তাবাদ থেকে চরম, মেসিয়ানিক বা ত্রাতা মনোভাবসম্পন্ন অতিজাতিবাদের দিকে নিয়ে যাবে। তৃতীয় পর্যায় হবে বর্বরতা এবং চূড়ান্ত পর্যায় হবে ইহুদিবাদের অবসান।’
ইহুদি জাতীয়তাবাদের ব্রুটালাইজেশন বর্তমানে এর চরম পর্যায়ে আছে। মিছিলের দিনে কট্টর ইহুদিবাদীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছিলেন হারেৎজের সাংবাদিক নির হাসন। তাঁকে একদল কিশোর আক্রমণ করেছিল। তারা তাঁকে মাটিতে ফেলে নির্মমভাবে লাথি মেরে মেরে আহত করেছে। তিনি বলেছেন, বুধবারের মিছিলের ‘সাধারণ মনোভাব ছিল প্রতিশোধের।’
নির হাসন লিখেছেন, সেদিন যারা মিছিলে গিয়েছিল তাদের অধিকাংশই ইসরায়েলি কট্টরপন্থী কাহানিস্ট মতবাদের রাজনৈতিক প্রতীক ‘মুষ্টি’ আঁকা টি-শার্ট পরিধান করেছিল। এ সময় তাঁরা ‘আরবদের প্রতি মৃত্যু বর্ষিত হোক’, ‘তাদের গ্রামগুলো পুড়ে যাক’ ইত্যাদি আরববিদ্বেষী স্লোগান-গান গাইছিল। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কট্টরপন্থীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা ইতামার বেন গভির। সব মিলিয়ে মিছিলের চরিত্র ছিল খুবই ভীতিজনক।
সেদিন কেবল নির হাসন একাই আক্রমণের শিকার হননি। মিছিলে অংশ নেওয়া দাঙ্গাকারীরা ফিলিস্তিনি পথচারীদের হুমকি দিয়েছে, অভিশাপ দিয়েছে, ধাক্কা দিয়েছে এবং আক্রমণ করেছে। এবং যারা সাংবাদিক বলে পরিচয় দিয়েছে বা যারা ছবি তোলার চেষ্টা করে, তাদেরও আক্রমণ করেছে। সাংবাদিকদের ওপর তাদের আক্রমণের কারণ হলো—তাঁরা পর্যাপ্ত ফিলিস্তিনিকে ‘শিকার’ হিসেবে খুঁজে পায়নি। কারণ, মিছিল উপলক্ষে ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোকে বাড়িতে থেকেই বের হতে দেওয়া হয়নি, একপ্রকার বন্দী করে রাখা হয়েছিল তাদের। ফিলিস্তিনিরা এরই মধ্যে বুঝে গেছে যে, ইহুদিরা যখন জেরুজালেম দিবস উদ্যাপন করে তখন এলাকা খালি করাই ভালো, যাতে উদ্যাপনকারীরা তাদের ওপর নির্যাতন চালাতে প্রলুব্ধ হওয়ার কোনো কারণ খুঁজে না পায়।
আমরা এখন আর কেবল মুষ্টিমেয় কিছু উগ্র বিচ্ছিন্ন ব্যক্তি বা কাহানিস্ট গোষ্ঠীর মতো নির্দিষ্ট কোনো গোষ্ঠীর কথা বলছি না। বর্বরতা এখন আর প্রান্তিক ইহুদি সেটেলমেন্ট বা ও সেটেলমেন্টের নিরাপত্তাচৌকিতে সীমাবদ্ধ নয়; এটি সব দিকে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়ংকরভাবে। এমনকি এই বর্বরতা সামরিক বাহিনী, পার্লামেন্ট নেসেট এবং মন্ত্রিসভায়ও প্রবেশ করেছে।
ইসরায়েলি মন্ত্রীরা এবং অনেক নেসেট সদস্য হাজার হাজার মানুষের সেই মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন এবং কেউ কেউ আরবদের রক্ত কামনা করে গাওয়া প্রতিশোধের গানে নেচেছেন। মন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ এবং মিরি রেগেভও মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। আইনপ্রণেতা জভি সুকোত, সিমচা রথম্যান এবং আলমোগ কোহেন এবং অবশ্যই কাহানিস্টদের মধ্যমণি বেন গভিরও যোগ দিয়েছিলেন। মিছিলে টেম্পল মাউন্ট তথা আল-আকসা মসজিদ নিয়ে যে স্ট্যাটাস ক্যু আছে, তা ভেঙে ফেলার হুমকিও দিয়ে মূলত একটি ধর্মযুদ্ধকেই উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
ইসরায়েলের রাজনীতির ভারকেন্দ্র যদি সমাজের কোণে কোণে চরমপন্থীদের বিকাশ ঠেকাতে কাজ না করে, কাহানিস্টদের নির্মূল না করে এবং ইসরায়েলি সমাজের দেহ থেকে দখলদারি মনোভাবের বিষফোড়া সরিয়ে না ফেলে, তাহলে ইসরায়েলের চূড়ান্ত পতন কেবল সময়ের ব্যাপার। এরই মধ্যে ক্ষণগণনা বা কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৩৯ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে।
২ ঘণ্টা আগে
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আহ্বান জানাচ্ছেন— বিষয়টি নিয়ে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সিডনির বন্ডি বিচে দুই হামলাকারীর মধ্যে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে, হামলাকারী যুবক ২৪ বছর বয়সী নাভিদ আকরাম। তিনি সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমের বনিরিগ এলাকার বাসিন্দা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আত্মরক্ষার জন্য অনেক শিক্ষার্থী ডেস্কের নিচে লুকিয়ে পড়েছিলেন। তবে ভয়াবহ এই অভিজ্ঞতা অন্তত দুই শিক্ষার্থীর কাছে নতুন কিছু ছিল না। এর আগেও তাঁরা স্কুল জীবনে এই ধরনের গোলাগুলির মুখে পড়ে প্রাণে বেঁচেছিলেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২১ বছর বয়সী মিয়া ট্রেটা এবং ২০ বছর বয়সী জোয়ে ওয়েইসম্যান—দুজনেই অতীতে ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে বন্দুক হামলার শিকার হয়েছিলেন। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বেশি যে অনুভূতিটা হচ্ছে তা হলো—এই দেশ কীভাবে আমাকে দ্বিতীয়বারের মতো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে দিল?’
শনিবার কালো পোশাক পরা এক বন্দুকধারী ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনে গুলি চালানো শুরু করলে ক্যাম্পাসে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্দেহভাজন হামলাকারী দীর্ঘ সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় শত শত পুলিশ রাতভর ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায়।
ওয়েইসম্যান তখন নিজের ডরমিটরিতেই ছিলেন। এক বন্ধুর ফোন পেয়ে তিনি জানতে পারেন ক্যাম্পাসে গুলিবর্ষণ চলছে। প্রথমে ভয় পেলেও সেই আতঙ্ক দ্রুত ক্ষোভে রূপ নেয়। এনবিসিকে তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, জীবনে আর কখনো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হবে না। আট বছর পর আবারও সেই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি।’
২০১৮ সালে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডে নিজের মিডল স্কুলের পাশের একটি হাইস্কুলে ভয়াবহ শুটিং প্রত্যক্ষ করেছিলেন ওয়েইসম্যান। ওই ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছিল।
অন্যদিকে, মিয়া ট্রেটা ২০১৯ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে সগাস হাইস্কুলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তখন ১৬ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী হামলা চালিয়ে দুজনকে হত্যা করে, যাদের একজন ছিলেন ট্রেটার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। গুলিতে ট্রেটার পেট গুরুতরভাবে জখম হয়েছিল।
শনিবারের ঘটনার সময় নিজের ডরমিটরিতে পড়াশোনা করছিলেন ট্রেটা। তিনি মূলত যে ভবনে হামলাটি ঘটে সেখানে পড়তে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ক্লান্ত বোধ করায় শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলান—যা কার্যত তার প্রাণ বাঁচায়।
এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দীর্ঘদিনের দাবিকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্যমতে, চলতি বছরেই যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮৯টি গণ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৫০০-এর বেশি।
ট্রেটা ও ওয়েইসম্যান দুজনই বলছেন, তাঁরা কখনো ভাবেননি দ্বিতীয়বার এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমি নিজেকে বোঝাতাম—পরিসংখ্যান অনুযায়ী এটা আর কখনো ঘটবে না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আর কেউই এমন নিশ্চয়তা দিতে পারে না।’

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আত্মরক্ষার জন্য অনেক শিক্ষার্থী ডেস্কের নিচে লুকিয়ে পড়েছিলেন। তবে ভয়াবহ এই অভিজ্ঞতা অন্তত দুই শিক্ষার্থীর কাছে নতুন কিছু ছিল না। এর আগেও তাঁরা স্কুল জীবনে এই ধরনের গোলাগুলির মুখে পড়ে প্রাণে বেঁচেছিলেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২১ বছর বয়সী মিয়া ট্রেটা এবং ২০ বছর বয়সী জোয়ে ওয়েইসম্যান—দুজনেই অতীতে ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে বন্দুক হামলার শিকার হয়েছিলেন। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বেশি যে অনুভূতিটা হচ্ছে তা হলো—এই দেশ কীভাবে আমাকে দ্বিতীয়বারের মতো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে দিল?’
শনিবার কালো পোশাক পরা এক বন্দুকধারী ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনে গুলি চালানো শুরু করলে ক্যাম্পাসে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্দেহভাজন হামলাকারী দীর্ঘ সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় শত শত পুলিশ রাতভর ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায়।
ওয়েইসম্যান তখন নিজের ডরমিটরিতেই ছিলেন। এক বন্ধুর ফোন পেয়ে তিনি জানতে পারেন ক্যাম্পাসে গুলিবর্ষণ চলছে। প্রথমে ভয় পেলেও সেই আতঙ্ক দ্রুত ক্ষোভে রূপ নেয়। এনবিসিকে তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, জীবনে আর কখনো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হবে না। আট বছর পর আবারও সেই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি।’
২০১৮ সালে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডে নিজের মিডল স্কুলের পাশের একটি হাইস্কুলে ভয়াবহ শুটিং প্রত্যক্ষ করেছিলেন ওয়েইসম্যান। ওই ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছিল।
অন্যদিকে, মিয়া ট্রেটা ২০১৯ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে সগাস হাইস্কুলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তখন ১৬ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী হামলা চালিয়ে দুজনকে হত্যা করে, যাদের একজন ছিলেন ট্রেটার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। গুলিতে ট্রেটার পেট গুরুতরভাবে জখম হয়েছিল।
শনিবারের ঘটনার সময় নিজের ডরমিটরিতে পড়াশোনা করছিলেন ট্রেটা। তিনি মূলত যে ভবনে হামলাটি ঘটে সেখানে পড়তে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ক্লান্ত বোধ করায় শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলান—যা কার্যত তার প্রাণ বাঁচায়।
এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দীর্ঘদিনের দাবিকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্যমতে, চলতি বছরেই যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮৯টি গণ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৫০০-এর বেশি।
ট্রেটা ও ওয়েইসম্যান দুজনই বলছেন, তাঁরা কখনো ভাবেননি দ্বিতীয়বার এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমি নিজেকে বোঝাতাম—পরিসংখ্যান অনুযায়ী এটা আর কখনো ঘটবে না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আর কেউই এমন নিশ্চয়তা দিতে পারে না।’

ইসরায়েলের রাজনীতির ভারকেন্দ্র যদি সমাজের কোণে কোণে চরমপন্থীদের বিকাশ ঠেকাতে কাজ না করে, কাহানিস্টদের নির্মূল না করে এবং ইসরায়েলি সমাজের দেহ থেকে দখলদারি মনোভাবের বিষফোড়া সরিয়ে না ফেলে তাহলে ইসরায়েলের চূড়ান্ত পতন কেবল সময়ের ব্যাপার। এরই মধ্যে ক্ষণগণনা বা কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে
০৭ জুন ২০২৪
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে।
২ ঘণ্টা আগে
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আহ্বান জানাচ্ছেন— বিষয়টি নিয়ে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সিডনির বন্ডি বিচে দুই হামলাকারীর মধ্যে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে, হামলাকারী যুবক ২৪ বছর বয়সী নাভিদ আকরাম। তিনি সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমের বনিরিগ এলাকার বাসিন্দা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে যায়, আর মানুষ প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে হামলার মুহূর্তটির বর্ণনা দিয়েছেন মার্কোস কারভালহো নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী। গুলির শব্দকে আতশবাজি ভেবেছিলেন তিনিও। কারভালহো জানান, সারা দিন সমুদ্রসৈকতে থাকার পর তিনি নিজের জিনিসপত্র গোছাচ্ছিলেন। এমন সময়ই গুলির শব্দ ভেসে আসে।
তিনি বলেন, ‘এক মিলিয়ন বছরেও ভাবিনি, বন্ডির মতো জায়গায় এমন গুলিবর্ষণ হতে পারে।’ তিনি জানান, মানুষ যখন বুঝতে শুরু করে কী হচ্ছে, তখনই সবাই দিগ্বিদিক ছুটে পালাতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করেন তিনি নিজেও।
কারভালহো বলেন, ‘আমি প্রাণ বাঁচাতে নর্থ বন্ডি গ্রাসি নলের দিকে দৌড়াই। পরে আরও কয়েকজন সহ আমরা একটি একটি আইসক্রিম ভ্যানের পেছনে লুকাই।’
জরুরি সেবা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরই গুলির শব্দ থামে। এরপর হামলার জায়গাটির পাশ দিয়েই বাড়ি ফেরেন কারভালহো। এ সময় তিনি মাটিতে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, বন্ডাই বিচে উপস্থিত ছিলেন হাইম লেভি। তিনি ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-কে জানান, হানুকা উৎসবের সময় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি সৈকতে বসেছিলেন। তখনই হামলা শুরু হয়। লেভি বলেন, ‘হঠাৎ ধোঁয়া দেখলাম, আর গুলির শব্দ শুনলাম। প্রথমে বুঝতে পারিনি গুলি আকাশে ছোড়া হচ্ছে নাকি ভিড়ের দিকে। তবে তাৎক্ষণিকভাবেই বোঝা গেল ভয়াবহ কিছু ঘটছে।’
লেভি জানান, তিনি স্ত্রীকে দৌড়াতে বলেন। পরে মেয়েকে নিয়ে ছুটতে শুরু করেন স্ত্রী, আর ছেলেকে নিয়ে একটি গাড়ির পেছনে লুকিয়ে পড়েন তিনি। প্রায় ২০ মিনিট ধরে তাঁদের মাথার ওপর দিয়ে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। পরে একটি বেড়া টপকে ছেলেকে নিয়ে গাড়ির কাছে পৌঁছান। খুঁজে পান স্ত্রীকেও। তাঁরা দ্রুত সেখান থেকে কেটে পড়েন।
লেভি আরও জানান, হামলার মুহূর্তটিকে তাঁর দুই বছর বয়সী ছেলে কান্না করছিল। গুলিবর্ষণকারীরা শুনে ফেললে মেরে ফেলতে পারে—এমন ভয়ে তিনি ছেলের মুখ চেপে ধরেন।
অস্ট্রেলিয়ায় ক্রমবর্ধমান ইহুদিবিদ্বেষের সমালোচনা করে লেভি বলেন, ‘এমন কিছু যে ঘটবে, তা স্পষ্ট ছিল। কিন্তু কখনো ভাবিনি আমি নিজে পরিবার নিয়ে এর মাঝখানে পড়ব।’ গুলিবর্ষণের মধ্যে দিয়ে বেঁচে ফেরাকে তিনি ‘অলৌকিক’ বলেই মনে করছেন লেভি।
অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া দুজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই দুজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বন্ডি বিচ ও এর সংলগ্ন এলাকায় বড় আকারের অপারেশন শুরু করেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ ‘এক্স’ হ্যান্ডলে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পুলিশি অভিযান এখনো চলছে এবং জনসাধারণকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে যায়, আর মানুষ প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে হামলার মুহূর্তটির বর্ণনা দিয়েছেন মার্কোস কারভালহো নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী। গুলির শব্দকে আতশবাজি ভেবেছিলেন তিনিও। কারভালহো জানান, সারা দিন সমুদ্রসৈকতে থাকার পর তিনি নিজের জিনিসপত্র গোছাচ্ছিলেন। এমন সময়ই গুলির শব্দ ভেসে আসে।
তিনি বলেন, ‘এক মিলিয়ন বছরেও ভাবিনি, বন্ডির মতো জায়গায় এমন গুলিবর্ষণ হতে পারে।’ তিনি জানান, মানুষ যখন বুঝতে শুরু করে কী হচ্ছে, তখনই সবাই দিগ্বিদিক ছুটে পালাতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করেন তিনি নিজেও।
কারভালহো বলেন, ‘আমি প্রাণ বাঁচাতে নর্থ বন্ডি গ্রাসি নলের দিকে দৌড়াই। পরে আরও কয়েকজন সহ আমরা একটি একটি আইসক্রিম ভ্যানের পেছনে লুকাই।’
জরুরি সেবা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরই গুলির শব্দ থামে। এরপর হামলার জায়গাটির পাশ দিয়েই বাড়ি ফেরেন কারভালহো। এ সময় তিনি মাটিতে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, বন্ডাই বিচে উপস্থিত ছিলেন হাইম লেভি। তিনি ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-কে জানান, হানুকা উৎসবের সময় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি সৈকতে বসেছিলেন। তখনই হামলা শুরু হয়। লেভি বলেন, ‘হঠাৎ ধোঁয়া দেখলাম, আর গুলির শব্দ শুনলাম। প্রথমে বুঝতে পারিনি গুলি আকাশে ছোড়া হচ্ছে নাকি ভিড়ের দিকে। তবে তাৎক্ষণিকভাবেই বোঝা গেল ভয়াবহ কিছু ঘটছে।’
লেভি জানান, তিনি স্ত্রীকে দৌড়াতে বলেন। পরে মেয়েকে নিয়ে ছুটতে শুরু করেন স্ত্রী, আর ছেলেকে নিয়ে একটি গাড়ির পেছনে লুকিয়ে পড়েন তিনি। প্রায় ২০ মিনিট ধরে তাঁদের মাথার ওপর দিয়ে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। পরে একটি বেড়া টপকে ছেলেকে নিয়ে গাড়ির কাছে পৌঁছান। খুঁজে পান স্ত্রীকেও। তাঁরা দ্রুত সেখান থেকে কেটে পড়েন।
লেভি আরও জানান, হামলার মুহূর্তটিকে তাঁর দুই বছর বয়সী ছেলে কান্না করছিল। গুলিবর্ষণকারীরা শুনে ফেললে মেরে ফেলতে পারে—এমন ভয়ে তিনি ছেলের মুখ চেপে ধরেন।
অস্ট্রেলিয়ায় ক্রমবর্ধমান ইহুদিবিদ্বেষের সমালোচনা করে লেভি বলেন, ‘এমন কিছু যে ঘটবে, তা স্পষ্ট ছিল। কিন্তু কখনো ভাবিনি আমি নিজে পরিবার নিয়ে এর মাঝখানে পড়ব।’ গুলিবর্ষণের মধ্যে দিয়ে বেঁচে ফেরাকে তিনি ‘অলৌকিক’ বলেই মনে করছেন লেভি।
অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া দুজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই দুজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বন্ডি বিচ ও এর সংলগ্ন এলাকায় বড় আকারের অপারেশন শুরু করেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ ‘এক্স’ হ্যান্ডলে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পুলিশি অভিযান এখনো চলছে এবং জনসাধারণকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হচ্ছে।

ইসরায়েলের রাজনীতির ভারকেন্দ্র যদি সমাজের কোণে কোণে চরমপন্থীদের বিকাশ ঠেকাতে কাজ না করে, কাহানিস্টদের নির্মূল না করে এবং ইসরায়েলি সমাজের দেহ থেকে দখলদারি মনোভাবের বিষফোড়া সরিয়ে না ফেলে তাহলে ইসরায়েলের চূড়ান্ত পতন কেবল সময়ের ব্যাপার। এরই মধ্যে ক্ষণগণনা বা কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে
০৭ জুন ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৩৯ মিনিট আগে
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আহ্বান জানাচ্ছেন— বিষয়টি নিয়ে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সিডনির বন্ডি বিচে দুই হামলাকারীর মধ্যে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে, হামলাকারী যুবক ২৪ বছর বয়সী নাভিদ আকরাম। তিনি সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমের বনিরিগ এলাকার বাসিন্দা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলবের পর অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতিতে উত্থাপিত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। একই সঙ্গে তলব করে যে বক্তব্য জানানো হয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে নয়াদিল্লি নিজের অবস্থান তুলে ধরেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসনোটে উত্থাপিত অভিযোগগুলো ভারত দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে সব সময়ই ভারতের অবস্থান। ভারত আরও দাবি করে, বাংলাদেশের ‘জনগণের স্বার্থবিরোধী’ কোনো কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কখনোই ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি।
এতে আরও বলা হয়, ‘আমরা আশা করি, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনসহ অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।’
এর আগে দুপুরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতে অবস্থানরত পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সমর্থকদের আহ্বান জানাচ্ছেন—এ নিয়ে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়। এসব কর্মকাণ্ড আসন্ন সংসদ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা বলেও অভিযোগ করে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বিচারের মুখোমুখি করতে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে দ্রুত প্রত্যর্পণের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতে অবস্থানরত পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের ‘বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ড, পরিকল্পনা ও সন্ত্রাসী তৎপরতায়’ সহায়তার অভিযোগও তুলে ধরা হয়।
এ ছাড়া সম্প্রতি ইনকিলাব মঞ্চের নেতা শরিফ ওসমান হাদির ওপর হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজনেরা যেন ভারতে পালাতে না পারেন, সে বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়। কেউ ভারতে প্রবেশ করলে তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশে হস্তান্তরের আহ্বান জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানো ভারতের দায়িত্ব।
অন্য দিকে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বৈঠকে জানান, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় ভারত এবং এ লক্ষ্যে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে তাঁর দেশ।

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলবের পর অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতিতে উত্থাপিত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। একই সঙ্গে তলব করে যে বক্তব্য জানানো হয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে নয়াদিল্লি নিজের অবস্থান তুলে ধরেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসনোটে উত্থাপিত অভিযোগগুলো ভারত দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে সব সময়ই ভারতের অবস্থান। ভারত আরও দাবি করে, বাংলাদেশের ‘জনগণের স্বার্থবিরোধী’ কোনো কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কখনোই ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি।
এতে আরও বলা হয়, ‘আমরা আশা করি, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনসহ অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।’
এর আগে দুপুরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতে অবস্থানরত পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সমর্থকদের আহ্বান জানাচ্ছেন—এ নিয়ে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়। এসব কর্মকাণ্ড আসন্ন সংসদ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা বলেও অভিযোগ করে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বিচারের মুখোমুখি করতে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে দ্রুত প্রত্যর্পণের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতে অবস্থানরত পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের ‘বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ড, পরিকল্পনা ও সন্ত্রাসী তৎপরতায়’ সহায়তার অভিযোগও তুলে ধরা হয়।
এ ছাড়া সম্প্রতি ইনকিলাব মঞ্চের নেতা শরিফ ওসমান হাদির ওপর হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজনেরা যেন ভারতে পালাতে না পারেন, সে বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়। কেউ ভারতে প্রবেশ করলে তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশে হস্তান্তরের আহ্বান জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানো ভারতের দায়িত্ব।
অন্য দিকে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বৈঠকে জানান, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় ভারত এবং এ লক্ষ্যে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে তাঁর দেশ।

ইসরায়েলের রাজনীতির ভারকেন্দ্র যদি সমাজের কোণে কোণে চরমপন্থীদের বিকাশ ঠেকাতে কাজ না করে, কাহানিস্টদের নির্মূল না করে এবং ইসরায়েলি সমাজের দেহ থেকে দখলদারি মনোভাবের বিষফোড়া সরিয়ে না ফেলে তাহলে ইসরায়েলের চূড়ান্ত পতন কেবল সময়ের ব্যাপার। এরই মধ্যে ক্ষণগণনা বা কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে
০৭ জুন ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৩৯ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে।
২ ঘণ্টা আগে
সিডনির বন্ডি বিচে দুই হামলাকারীর মধ্যে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে, হামলাকারী যুবক ২৪ বছর বয়সী নাভিদ আকরাম। তিনি সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমের বনিরিগ এলাকার বাসিন্দা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিডনির বন্ডি বিচে দুই হামলাকারীর মধ্যে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে, হামলাকারী যুবক ২৪ বছর বয়সী নাভিদ আকরাম। তিনি সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমের বনিরিগ এলাকার বাসিন্দা।
অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম এবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় আকরাম গুলিবিদ্ধ হন। এরপর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে এবং বর্তমানে তিনি হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্য বন্দুকধারী ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
বর্তমানে বনিরিগের পাতিয়া এলাকায় আকরামের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এই সম্পত্তি তাঁর পরিবার এক বছর ধরে ব্যবহার করছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে বলছেন, নাভিদ আকরাম পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। তবে এ বিষয়ে এখনো তেমন শক্ত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এই ভয়াবহ হামলায় এখন পর্যন্ত শিশুসহ ১২ জন নিহত ও কমপক্ষে ১৭ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় বন্ডি বিচে ইহুদিদের অন্যতম প্রধান উৎসব হানুক্কার প্রথম দিনের একটি অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানটির নাম ছিল ‘চানুকা বাই দ্য সি ২০২৫’। আজ রোববার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে বিচসংলগ্ন শিশুদের খেলার মাঠে এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। চাবাদ অব বন্ডি নামের একটি ইহুদি কেন্দ্র এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আজ সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে ক্যাম্পবেল প্যারেডসংলগ্ন বন্ডি প্যাভিলিয়নের কাছে একটি গাড়ি থেকে দুই ব্যক্তি নেমে আসেন। এরপর তাঁরা গুলি চালাতে শুরু করেন।
এদিকে এ ঘটনার পর অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইমামস কাউন্সিল ও কাউন্সিল অব ইমামস এনএসডব্লিউ এক যৌথ বিবৃতিতে বন্ডি বিচে গুলিবর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের সমাজে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এ ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের পূর্ণ জবাবদিহি ও আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।’
তারা নিহত ব্যক্তিদের পরিবার, ক্ষতিগ্রস্ত ও এই ভয়াবহ হামলার প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম সম্প্রদায়সহ সব অস্ট্রেলিয়ানের উচিত ঐক্য, সহানুভূতি ও সংহতি নিয়ে একসঙ্গে দাঁড়ানো, সহিংসতাকে প্রত্যাখ্যান করা এবং সামাজিক সম্প্রীতি ও সব অস্ট্রেলিয়ানের নিরাপত্তার প্রতি আমাদের যৌথ অঙ্গীকার নিশ্চিত করা।’

সিডনির বন্ডি বিচে দুই হামলাকারীর মধ্যে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে, হামলাকারী যুবক ২৪ বছর বয়সী নাভিদ আকরাম। তিনি সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমের বনিরিগ এলাকার বাসিন্দা।
অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম এবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় আকরাম গুলিবিদ্ধ হন। এরপর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে এবং বর্তমানে তিনি হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্য বন্দুকধারী ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
বর্তমানে বনিরিগের পাতিয়া এলাকায় আকরামের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এই সম্পত্তি তাঁর পরিবার এক বছর ধরে ব্যবহার করছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে বলছেন, নাভিদ আকরাম পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। তবে এ বিষয়ে এখনো তেমন শক্ত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এই ভয়াবহ হামলায় এখন পর্যন্ত শিশুসহ ১২ জন নিহত ও কমপক্ষে ১৭ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় বন্ডি বিচে ইহুদিদের অন্যতম প্রধান উৎসব হানুক্কার প্রথম দিনের একটি অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানটির নাম ছিল ‘চানুকা বাই দ্য সি ২০২৫’। আজ রোববার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে বিচসংলগ্ন শিশুদের খেলার মাঠে এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। চাবাদ অব বন্ডি নামের একটি ইহুদি কেন্দ্র এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আজ সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে ক্যাম্পবেল প্যারেডসংলগ্ন বন্ডি প্যাভিলিয়নের কাছে একটি গাড়ি থেকে দুই ব্যক্তি নেমে আসেন। এরপর তাঁরা গুলি চালাতে শুরু করেন।
এদিকে এ ঘটনার পর অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইমামস কাউন্সিল ও কাউন্সিল অব ইমামস এনএসডব্লিউ এক যৌথ বিবৃতিতে বন্ডি বিচে গুলিবর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের সমাজে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এ ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের পূর্ণ জবাবদিহি ও আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।’
তারা নিহত ব্যক্তিদের পরিবার, ক্ষতিগ্রস্ত ও এই ভয়াবহ হামলার প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম সম্প্রদায়সহ সব অস্ট্রেলিয়ানের উচিত ঐক্য, সহানুভূতি ও সংহতি নিয়ে একসঙ্গে দাঁড়ানো, সহিংসতাকে প্রত্যাখ্যান করা এবং সামাজিক সম্প্রীতি ও সব অস্ট্রেলিয়ানের নিরাপত্তার প্রতি আমাদের যৌথ অঙ্গীকার নিশ্চিত করা।’

ইসরায়েলের রাজনীতির ভারকেন্দ্র যদি সমাজের কোণে কোণে চরমপন্থীদের বিকাশ ঠেকাতে কাজ না করে, কাহানিস্টদের নির্মূল না করে এবং ইসরায়েলি সমাজের দেহ থেকে দখলদারি মনোভাবের বিষফোড়া সরিয়ে না ফেলে তাহলে ইসরায়েলের চূড়ান্ত পতন কেবল সময়ের ব্যাপার। এরই মধ্যে ক্ষণগণনা বা কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে
০৭ জুন ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৩৯ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে।
২ ঘণ্টা আগে
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আহ্বান জানাচ্ছেন— বিষয়টি নিয়ে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে