হারেৎজের প্রতিবেদন
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ইসরায়েলি সেনাদের কোনো ধরনের হুমকি না থাকলেও ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালাতে নির্দেশ দিয়ে রেখেছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। আজ শুক্রবার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন ভয়াবহ তথ্য। অভিযানে থাকা সেনাসদস্যরাই এ তথ্য দিয়েছেন বলে দাবি করেছে হারেৎজ।
হারেৎজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক সেনাসদস্য জানিয়েছেন, তিনি যে এলাকায় দায়িত্বে ছিলেন, সেখানে প্রতিদিন সেনাবাহিনীর গুলিতে পাঁচজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়। ওই সেনার তথ্যমতে, ভিড় নিয়ন্ত্রণের মতো খুবই ছোট ইস্যুগুলোকে সামলাতে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তিনি বলেন, ‘গুলি না চালিয়েও অনায়াসেই এই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যেত। এটা নিঃসন্দেহে হত্যাকাণ্ড।’
গত এক মাসে ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছে ৫৪৯ ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪ হাজার। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আজ এ তথ্য জানিয়েছে। আর এরপরই এ ইস্যুতে মুখ খুললেন ইসরায়েলি সেনাসদস্যরা।
এই তথ্য ফাঁস হয় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির পর, যেখানে বলা হয়, গত ২৭ মে থেকে বিভিন্ন মানবিক সহায়তা কেন্দ্র ও জাতিসংঘের খাদ্য সরবরাহকারী ট্রাকের আশপাশে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৫৪৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং ৪ হাজার জনের বেশি আহত হয়েছে।
এক রিজার্ভ সেনাসদস্য বলেন, ‘আমরা আর গাজায় যুদ্ধ করতে আগ্রহী নই। এটি এমন এক জায়গা হয়ে উঠেছে, যেখানে মানুষের জীবনের কোনো দামই নেই!’ এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘যারা গুলি চালিয়েছে, তাদের কাছে আমরা কৈফিয়ত চেয়েছি যে কেন গুলি চালানো হলো? উত্তর ছিল—ওপরের নির্দেশ। আমি নিজ চোখে দেখেছি, নিহত হওয়া ওই মানুষগুলো সেনাদের খুব কাছেও ছিল না, তাদের হুমকি বলে গণ্য করার মতো কোনো পরিস্থিতিই তৈরি হয়নি। তবু তাদের হত্যা করা হয়েছে—একেবারে অকারণে। এখন এসব হত্যা যেন স্বাভাবিক একটা বিষয় হয়ে গেছে!’
প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনাবাহিনী এমন নৃশংস কর্মকাণ্ডকে ‘ভীতি প্রদর্শনের কৌশল’ বলে চালিয়ে দেয়। মর্টার শেল, ট্যাংক, এমনকি মেশিনগান ব্যবহার করেও ত্রাণ সংগ্রহকারীদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। সেনাদের ভাষ্যমতে, এসব অভিযানের একটি অপারেশনাল নাম রয়েছে—‘অপারেশন সল্টেড ফিশ’, যা শিশুদের খেলা ‘রেড লাইট, গ্রিন লাইট’–এর (বাংলাদেশের এলন্টি-বেলন্টি বা লণ্ঠন খেলা) ইসরায়েলি সংস্করণ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
হারেৎজ আরও জানায়, এই অভিযোগগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ‘ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং অ্যাসেসমেন্ট মেকানিজম’ কিছু ঘটনাকে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য করে তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তের আওতায় আসা ইউনিটগুলোর মধ্যে রয়েছে ডিভিশন ২৫২, যার নেতৃত্বে রয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইহুদা ভাখ। হারেৎজ জানায়, জাতিসংঘের ত্রাণসহায়তা ট্রাকের পাশে জড়ো হওয়া নিরস্ত্র বেসামরিকদের ওপর গুলি চালাতে সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন এই জেনারেল।
তবে কর্মকর্তাদের মতে, বাস্তবে এই তদন্তগুলো অর্থহীন ও কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ। এক আইনি সূত্র হারেৎজকে বলে, ‘এটা শুধু কয়েকজন নিহত হওয়ার বিষয় নয়। প্রতিদিন এখানে ডজন ডজন মানুষ হতাহত হচ্ছে। অথচ বাস্তবে তদন্তের কোনো গতি নেই, দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার উদ্যোগ নেই।’ এক সেনাসদস্য বলেন, ‘এই নীতিকে কোনো প্রশ্ন ছাড়াই মেনে নেওয়া হয়েছে। এর পেছনে যে মানসিকতাটা কাজ করে, তা হলো—ফিলিস্তিনিদের সরাতে হবে, এমনকি তারা শুধু খাবারের জন্য এলেও।’
সেনাদের বক্তব্য অনুযায়ী, গাজায় নিয়োজিত ঠিকাদারেরা এই সংকট আরও ঘনীভূত করছে। তাদের কার্যক্রম প্রায় নজরদারি ছাড়াই চলছে। একজন সেনাসদস্য বলেন, ‘প্রতিটি বাড়ি ভাঙার জন্য গাজায় কাজ করা ঠিকাদারেরা ৫ হাজার শেকেল (প্রায় ১ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার) করে পাচ্ছে।’
ইসরায়েলি সেনাদের কোনো ধরনের হুমকি না থাকলেও ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালাতে নির্দেশ দিয়ে রেখেছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। আজ শুক্রবার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন ভয়াবহ তথ্য। অভিযানে থাকা সেনাসদস্যরাই এ তথ্য দিয়েছেন বলে দাবি করেছে হারেৎজ।
হারেৎজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক সেনাসদস্য জানিয়েছেন, তিনি যে এলাকায় দায়িত্বে ছিলেন, সেখানে প্রতিদিন সেনাবাহিনীর গুলিতে পাঁচজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়। ওই সেনার তথ্যমতে, ভিড় নিয়ন্ত্রণের মতো খুবই ছোট ইস্যুগুলোকে সামলাতে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তিনি বলেন, ‘গুলি না চালিয়েও অনায়াসেই এই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যেত। এটা নিঃসন্দেহে হত্যাকাণ্ড।’
গত এক মাসে ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছে ৫৪৯ ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪ হাজার। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আজ এ তথ্য জানিয়েছে। আর এরপরই এ ইস্যুতে মুখ খুললেন ইসরায়েলি সেনাসদস্যরা।
এই তথ্য ফাঁস হয় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির পর, যেখানে বলা হয়, গত ২৭ মে থেকে বিভিন্ন মানবিক সহায়তা কেন্দ্র ও জাতিসংঘের খাদ্য সরবরাহকারী ট্রাকের আশপাশে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৫৪৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং ৪ হাজার জনের বেশি আহত হয়েছে।
এক রিজার্ভ সেনাসদস্য বলেন, ‘আমরা আর গাজায় যুদ্ধ করতে আগ্রহী নই। এটি এমন এক জায়গা হয়ে উঠেছে, যেখানে মানুষের জীবনের কোনো দামই নেই!’ এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘যারা গুলি চালিয়েছে, তাদের কাছে আমরা কৈফিয়ত চেয়েছি যে কেন গুলি চালানো হলো? উত্তর ছিল—ওপরের নির্দেশ। আমি নিজ চোখে দেখেছি, নিহত হওয়া ওই মানুষগুলো সেনাদের খুব কাছেও ছিল না, তাদের হুমকি বলে গণ্য করার মতো কোনো পরিস্থিতিই তৈরি হয়নি। তবু তাদের হত্যা করা হয়েছে—একেবারে অকারণে। এখন এসব হত্যা যেন স্বাভাবিক একটা বিষয় হয়ে গেছে!’
প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনাবাহিনী এমন নৃশংস কর্মকাণ্ডকে ‘ভীতি প্রদর্শনের কৌশল’ বলে চালিয়ে দেয়। মর্টার শেল, ট্যাংক, এমনকি মেশিনগান ব্যবহার করেও ত্রাণ সংগ্রহকারীদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। সেনাদের ভাষ্যমতে, এসব অভিযানের একটি অপারেশনাল নাম রয়েছে—‘অপারেশন সল্টেড ফিশ’, যা শিশুদের খেলা ‘রেড লাইট, গ্রিন লাইট’–এর (বাংলাদেশের এলন্টি-বেলন্টি বা লণ্ঠন খেলা) ইসরায়েলি সংস্করণ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
হারেৎজ আরও জানায়, এই অভিযোগগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ‘ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং অ্যাসেসমেন্ট মেকানিজম’ কিছু ঘটনাকে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য করে তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তের আওতায় আসা ইউনিটগুলোর মধ্যে রয়েছে ডিভিশন ২৫২, যার নেতৃত্বে রয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইহুদা ভাখ। হারেৎজ জানায়, জাতিসংঘের ত্রাণসহায়তা ট্রাকের পাশে জড়ো হওয়া নিরস্ত্র বেসামরিকদের ওপর গুলি চালাতে সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন এই জেনারেল।
তবে কর্মকর্তাদের মতে, বাস্তবে এই তদন্তগুলো অর্থহীন ও কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ। এক আইনি সূত্র হারেৎজকে বলে, ‘এটা শুধু কয়েকজন নিহত হওয়ার বিষয় নয়। প্রতিদিন এখানে ডজন ডজন মানুষ হতাহত হচ্ছে। অথচ বাস্তবে তদন্তের কোনো গতি নেই, দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার উদ্যোগ নেই।’ এক সেনাসদস্য বলেন, ‘এই নীতিকে কোনো প্রশ্ন ছাড়াই মেনে নেওয়া হয়েছে। এর পেছনে যে মানসিকতাটা কাজ করে, তা হলো—ফিলিস্তিনিদের সরাতে হবে, এমনকি তারা শুধু খাবারের জন্য এলেও।’
সেনাদের বক্তব্য অনুযায়ী, গাজায় নিয়োজিত ঠিকাদারেরা এই সংকট আরও ঘনীভূত করছে। তাদের কার্যক্রম প্রায় নজরদারি ছাড়াই চলছে। একজন সেনাসদস্য বলেন, ‘প্রতিটি বাড়ি ভাঙার জন্য গাজায় কাজ করা ঠিকাদারেরা ৫ হাজার শেকেল (প্রায় ১ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার) করে পাচ্ছে।’
কাশির সিরাপে কোডিন নামের একধরনের মাদক ব্যবহার করা হয়। এটি হালকা ওপিওয়েড শ্রেণির মাদক, যা উচ্চমাত্রায় নিলে উচ্ছ্বাস বা নেশার অনুভূতি দেয় এবং আসক্তির ঝুঁকি বাড়ায়। ফলে বড়রা দীর্ঘদিন এই সিরাপ খেলে এতে আসক্ত হয়ে পড়েন।
৩ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের জাফর এক্সপ্রেসে আবারও ভয়াবহ বোমা হামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দেশটির সিন্ধু প্রদেশের সুলতান কোট রেলস্টেশনের কাছে ওই বিস্ফোরণে ট্রেনটির চারটি বগি লাইনচ্যুত হয় এবং অন্তত সাতজন আহত হয়।
৪ ঘণ্টা আগেআফগানিস্তানে কিছু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কনটেন্টে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে। বুধবার রাতে (৮ অক্টোবর) তালেবান সূত্রের বরাতে এই খবর দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। তালেবান সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ওই সূত্রটি জানিয়েছে—ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং এক্স সহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের কিছু
৪ ঘণ্টা আগেঘটনার সূত্রপাত মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা জেলায়। সেখানেই প্রথম রহস্যজনকভাবে কয়েকটি শিশুর মৃত্যু হয়। পরে জানা যায়, তারা সবাই ‘কোল্ডরিফ’ নামের একটি কাশির সিরাপ খেয়েছিল। এই ওষুধ তৈরি করেছিল তামিলনাড়ুভিত্তিক একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। এই সিরাপ খেয়ে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে ১০টি শিশুর..
৫ ঘণ্টা আগে