অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ড গাজার আরও অঞ্চল দখল করে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, হামাস যদি বাকি ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিতে গড়িমসি করে তবে গাজা দখল করে নেওয়া হবে। লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নেতানিয়াহু এমন এক সময়ে এই হুমকি দিলেন, যারা মাত্র সপ্তাহ খানেক আগে তাঁর দেশ গাজায় নতুন করে হামলা চালানো শুরু করেছে। এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৭ শতাধিক ফিলিস্তিনি নতুন করে নিহত হয়েছেন আর সর্বমোট নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫০ হাজার।
ইসরায়েলি পার্লামেন্টে নেসেটের শুনানিতে নেতানিয়াহু বলেন, ‘হামাস আমাদের বন্দীদের মুক্তি দিতে যত বেশি গড়িমসি করবে, আমরা তত বেশি শক্তিশালী দমন চালাব।’ এ সময় বিরোধী দলীয় সদস্যরা তাঁকে বারবার বাধা দিচ্ছিলেন। তিনি ইসরায়েলি আইনপ্রণেতা ও হামাসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমি বলছি—এর মধ্যে অঞ্চল দখল করা এবং অন্যান্য পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা আমি এখানে বিস্তারিত বলব না।’
এর আগে, গতকাল বুধবার হামাস সতর্ক করে বলেছে, ইসরায়েল সামরিক অভিযান চালিয়ে বন্দীদের উদ্ধারের চেষ্টা করলে তাদের হত্যা করা হতে পারে। গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘যতবার দখলদার বাহিনী জোরপূর্বক তাদের বন্দীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছে, ততবারই তারা কফিনে করে তাদের ফেরত নিয়ে গেছে।’
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি উল্লেখ করেছে, তারা (ইসরায়েলি) দখলদারদের বন্দীদের ‘জীবিত রাখার জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করছে, কিন্তু নির্বিচারে জায়নবাদী বোমা হামলা তাদের জীবন বিপন্ন করছে।’ এর আগে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে অভিযান চালানোর সময় ২৫১ জন বন্দীকে আটক করে আনে। যাদের মধ্যে ৫৮ জন এখনো গাজায় আছেন। ইসরায়েলি বাহিনী মনে করে, এই ৫৮ জনের মধ্যে ৩৪ জন মৃত।
এদিকে, গতকাল বুধবার ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, দখলদার বাহিনী ‘শিগগিরই গাজার অতিরিক্ত এলাকায় পূর্ণ শক্তিতে অভিযান চালাবে’ এবং শিগগির আরও বেশিসংখ্যক লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে। গত সপ্তাহে তিনি হুমকি দিয়েছিলেন, হামাস অবশিষ্ট ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তি না দিলে গাজা ভূখণ্ডের কিছু অংশ ইসরায়েলের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে কাৎজ বলেন, ‘আমি (সেনাবাহিনীকে) গাজায় আরও বেশি অঞ্চল দখলের নির্দেশ দিয়েছি...হামাস যত বেশি বন্দীদের মুক্তি দিতে অস্বীকার করবে, তত বেশি অঞ্চল তারা হারাবে, যা ইসরায়েলের অন্তর্ভুক্ত হবে।’
অপরদিকে, গতকাল বুধবার মধ্য গাজায় দুটি পৃথক ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত নয়জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। এক হামলায় নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরে একটি দাতব্য সংস্থার বিতরণ করা গরম খাবার সংগ্রহের জন্য জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের একটি দল আক্রান্ত হয়। আল-আওদা হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে একজন নারী ও তার প্রাপ্তবয়স্ক কন্যাসহ অন্তত পাঁচজন রয়েছেন।
জাতিসংঘ বুধবার জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের নতুন সামরিক অভিযানের ফলে মাত্র সাত দিনে ১ লাখ ৪২ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং মানবিক সহায়তার সরবরাহ কমে যাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র উল্লেখ করেছেন, ‘মাত্র এক সপ্তাহে, ১ লাখ ৪২ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে’, এবং জোর দিয়ে বলেন, গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত একবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ৫০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ১ লাখ ১৩ হাজার ৪০৮ জন আহত হয়েছেন এবং ইসরায়েল ১৮ মার্চ পুনরায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ৮৩০ জন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ড গাজার আরও অঞ্চল দখল করে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, হামাস যদি বাকি ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিতে গড়িমসি করে তবে গাজা দখল করে নেওয়া হবে। লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নেতানিয়াহু এমন এক সময়ে এই হুমকি দিলেন, যারা মাত্র সপ্তাহ খানেক আগে তাঁর দেশ গাজায় নতুন করে হামলা চালানো শুরু করেছে। এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৭ শতাধিক ফিলিস্তিনি নতুন করে নিহত হয়েছেন আর সর্বমোট নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫০ হাজার।
ইসরায়েলি পার্লামেন্টে নেসেটের শুনানিতে নেতানিয়াহু বলেন, ‘হামাস আমাদের বন্দীদের মুক্তি দিতে যত বেশি গড়িমসি করবে, আমরা তত বেশি শক্তিশালী দমন চালাব।’ এ সময় বিরোধী দলীয় সদস্যরা তাঁকে বারবার বাধা দিচ্ছিলেন। তিনি ইসরায়েলি আইনপ্রণেতা ও হামাসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমি বলছি—এর মধ্যে অঞ্চল দখল করা এবং অন্যান্য পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা আমি এখানে বিস্তারিত বলব না।’
এর আগে, গতকাল বুধবার হামাস সতর্ক করে বলেছে, ইসরায়েল সামরিক অভিযান চালিয়ে বন্দীদের উদ্ধারের চেষ্টা করলে তাদের হত্যা করা হতে পারে। গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘যতবার দখলদার বাহিনী জোরপূর্বক তাদের বন্দীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছে, ততবারই তারা কফিনে করে তাদের ফেরত নিয়ে গেছে।’
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি উল্লেখ করেছে, তারা (ইসরায়েলি) দখলদারদের বন্দীদের ‘জীবিত রাখার জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করছে, কিন্তু নির্বিচারে জায়নবাদী বোমা হামলা তাদের জীবন বিপন্ন করছে।’ এর আগে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে অভিযান চালানোর সময় ২৫১ জন বন্দীকে আটক করে আনে। যাদের মধ্যে ৫৮ জন এখনো গাজায় আছেন। ইসরায়েলি বাহিনী মনে করে, এই ৫৮ জনের মধ্যে ৩৪ জন মৃত।
এদিকে, গতকাল বুধবার ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, দখলদার বাহিনী ‘শিগগিরই গাজার অতিরিক্ত এলাকায় পূর্ণ শক্তিতে অভিযান চালাবে’ এবং শিগগির আরও বেশিসংখ্যক লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে। গত সপ্তাহে তিনি হুমকি দিয়েছিলেন, হামাস অবশিষ্ট ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তি না দিলে গাজা ভূখণ্ডের কিছু অংশ ইসরায়েলের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে কাৎজ বলেন, ‘আমি (সেনাবাহিনীকে) গাজায় আরও বেশি অঞ্চল দখলের নির্দেশ দিয়েছি...হামাস যত বেশি বন্দীদের মুক্তি দিতে অস্বীকার করবে, তত বেশি অঞ্চল তারা হারাবে, যা ইসরায়েলের অন্তর্ভুক্ত হবে।’
অপরদিকে, গতকাল বুধবার মধ্য গাজায় দুটি পৃথক ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত নয়জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। এক হামলায় নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরে একটি দাতব্য সংস্থার বিতরণ করা গরম খাবার সংগ্রহের জন্য জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের একটি দল আক্রান্ত হয়। আল-আওদা হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে একজন নারী ও তার প্রাপ্তবয়স্ক কন্যাসহ অন্তত পাঁচজন রয়েছেন।
জাতিসংঘ বুধবার জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের নতুন সামরিক অভিযানের ফলে মাত্র সাত দিনে ১ লাখ ৪২ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং মানবিক সহায়তার সরবরাহ কমে যাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র উল্লেখ করেছেন, ‘মাত্র এক সপ্তাহে, ১ লাখ ৪২ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে’, এবং জোর দিয়ে বলেন, গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত একবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ৫০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ১ লাখ ১৩ হাজার ৪০৮ জন আহত হয়েছেন এবং ইসরায়েল ১৮ মার্চ পুনরায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ৮৩০ জন নিহত হয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানে হামলার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তবে, এর অনেক সমালোচক বা এমনকি অনেক সমর্থকও এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হবেন বলে মনে হয় না। কারণ, তিনি কোথাও উল্লেখ করেননি যে, যুক্তরাষ্ট্র আসন্ন হুমকির মুখে ছিল, যার কারণে মার্কিন সংবিধান অনুসারে এই হামলাকে বৈধতা দেওয়া যেতে পারে।
১৯ মিনিট আগেইরানের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা ফোরদো, নাতানজ ও ইস্পাহানের শক্তিশালী বোমা নিক্ষেপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বোমার পর তাৎক্ষণিক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেছেন, ‘ফোরদো শেষ!’ বাকি দুটি অবস্থা অবশ্য এখনো জানানো হয়নি।
১ ঘণ্টা আগেইরানের পারমাণবিক সংস্থা মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়েছে, বলেছে তাদের পরমাণু শিল্প বন্ধ হবে না। সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইরানের পারমাণবিক সংস্থা দেশটির তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়েছে এবং তাদের পরমাণু কর্মসূচি ‘কখনোই’ বন্ধ না করার অঙ্গ
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা করেছে বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প এই হামলাগুলোকে একটি ‘দর্শনীয় সামরিক সাফল্য’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন’ হয়ে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে