অনলাইন ডেস্ক
৯ বছর বয়সী মাহমুদ আজ্জুর। ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ড গাজার পুরোনো শহরের বাসিন্দা। একসময় বাজারে গিয়ে মায়ের জন্য সবজি কিনে আনত, খেলাধুলা করত, বন্ধুদের সঙ্গে হাসত। এখন তা হাত দুটো নেই। গত বছরের মার্চে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় ধ্বংস হয়ে যায় মাহমুদের বাড়ি। বিস্ফোরণে মাহমুদ তার দুই হাত হারায়। সে তখনো বুঝতে পারেনি কী হয়েছে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য মাহমুদ এখন কাতারে অবস্থান করছে। সেখানেই দেশটির সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে মাহমুদ বলেছে, হামলার পর ‘আমি ভেবেছিলাম আমি শুধু পড়ে গেছি। কিন্তু আমি নিজেকে মাটিতে খুঁজে পেলাম, ক্লান্ত লাগছিল, আর ভাবছিলাম কী ঘটেছে।’
বাস্তবতা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়। মাহমুদ জানায়, ‘আমার একটা হাত উড়ে গিয়েছিল, আরেকটা হাত আমার পাশেই পড়ে ছিল।’ কিন্তু বিষয়টি ছোট্ট মাহমুদের মন মেনে নিতে পারেনি। সে বলেছে, ‘আমার মা তখন আমাকে বলেছিল, আমি আমার হাত হারিয়েছি। আমি কাঁদতে শুরু করেছিলাম। আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল। আমার মানসিক অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল।’
ইসরায়েলি হামলায় যে শুধু মাহমুদের দুটি হাতই গেছে, বিষয়টি এ রকম নয়। ইসরায়েলি হামলা আর অবরোধের কারণে গাজায় ওষুধ নেই, চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। মাহমুদের অস্ত্রোপচারের সময় তাকে অজ্ঞানও করা হয়নি। সেই অভিজ্ঞতা এখনো তার কণ্ঠে কাঁপন তোলে। মাহমুদ বলেছে, ‘যখন তারা আমার অস্ত্রোপচার করছিল, আমি জেগে ছিলাম। আমি ব্যথা সহ্য করতে পারছিলাম না, আমি খুব জোরে চিৎকার করছিলাম। আমার কণ্ঠস্বর হাসপাতাল করিডোরজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল।’
মাহমুদের মতো হাজার হাজার শিশু আছে গাজায়, যারা এই যুদ্ধে শরীরের কোনো না কোনো অংশ হারিয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০ জন শিশু তাদের হাত বা পা হারাচ্ছে। এমনকি অনেকের অস্ত্রোপচার হচ্ছে অ্যানেসথেসিয়া বা চেতনানাশক ছাড়াই।
এখন মাহমুদ তার পা দিয়ে লেখে, গেম খেলে, জামা পরার চেষ্টা করে। কিন্তু সবকিছুতেই কারও না কারও সাহায্য লাগে। সে আগের দিনগুলোর কথা খুব মনে করে। মাহমুদের কণ্ঠে সেই আক্ষেপ ঝরে পড়ে, ‘এখন সবকিছুই কঠিন, যেমন নিজে নিজে খাওয়া বা বাথরুমে যাওয়া...কিন্তু আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। আমি এভাবেই আমার জীবন সামলে নিই। আমি এটিকে কার্যকর করে তোলার চেষ্টা করছি।’
মাহমুদের স্বপ্ন আছে। সে চায় একদিন গাজায় ফিরবে। ধ্বংস হয়ে যাওয়া শহরটাকে আবার গড়বে। তার আশা, বিশ্ব একদিন এই যুদ্ধ বন্ধ করবে। সে বলেছে, ‘আমরা আমাদের ভূমিতে থাকতে চাই। আমরা চাই না ইসরাইলিরা তা কেড়ে নিক।’ কষ্ট আর রাগ মেশানো গলায় সে বলে, ‘সেখানে মানুষ মারা যাচ্ছে। আর আমার বাড়ি বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি এভাবে কীভাবে বাঁচব?’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৫১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১ লাখের বেশি। ২৩ লাখ মানুষের বেশির ভাগ এখন বাস্তুচ্যুত। ঘর নেই, খাবার নেই, ওষুধ নেই। সবকিছু ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এই ধ্বংসস্তূপের ভেতরেও ছোট্ট এক শিশুর স্বপ্ন বেঁচে আছে—যেখানে সে দুটো হাত ছাড়া, সাহস নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য লড়াই করে যাচ্ছে।
৯ বছর বয়সী মাহমুদ আজ্জুর। ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ড গাজার পুরোনো শহরের বাসিন্দা। একসময় বাজারে গিয়ে মায়ের জন্য সবজি কিনে আনত, খেলাধুলা করত, বন্ধুদের সঙ্গে হাসত। এখন তা হাত দুটো নেই। গত বছরের মার্চে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় ধ্বংস হয়ে যায় মাহমুদের বাড়ি। বিস্ফোরণে মাহমুদ তার দুই হাত হারায়। সে তখনো বুঝতে পারেনি কী হয়েছে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য মাহমুদ এখন কাতারে অবস্থান করছে। সেখানেই দেশটির সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে মাহমুদ বলেছে, হামলার পর ‘আমি ভেবেছিলাম আমি শুধু পড়ে গেছি। কিন্তু আমি নিজেকে মাটিতে খুঁজে পেলাম, ক্লান্ত লাগছিল, আর ভাবছিলাম কী ঘটেছে।’
বাস্তবতা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়। মাহমুদ জানায়, ‘আমার একটা হাত উড়ে গিয়েছিল, আরেকটা হাত আমার পাশেই পড়ে ছিল।’ কিন্তু বিষয়টি ছোট্ট মাহমুদের মন মেনে নিতে পারেনি। সে বলেছে, ‘আমার মা তখন আমাকে বলেছিল, আমি আমার হাত হারিয়েছি। আমি কাঁদতে শুরু করেছিলাম। আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল। আমার মানসিক অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল।’
ইসরায়েলি হামলায় যে শুধু মাহমুদের দুটি হাতই গেছে, বিষয়টি এ রকম নয়। ইসরায়েলি হামলা আর অবরোধের কারণে গাজায় ওষুধ নেই, চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। মাহমুদের অস্ত্রোপচারের সময় তাকে অজ্ঞানও করা হয়নি। সেই অভিজ্ঞতা এখনো তার কণ্ঠে কাঁপন তোলে। মাহমুদ বলেছে, ‘যখন তারা আমার অস্ত্রোপচার করছিল, আমি জেগে ছিলাম। আমি ব্যথা সহ্য করতে পারছিলাম না, আমি খুব জোরে চিৎকার করছিলাম। আমার কণ্ঠস্বর হাসপাতাল করিডোরজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল।’
মাহমুদের মতো হাজার হাজার শিশু আছে গাজায়, যারা এই যুদ্ধে শরীরের কোনো না কোনো অংশ হারিয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০ জন শিশু তাদের হাত বা পা হারাচ্ছে। এমনকি অনেকের অস্ত্রোপচার হচ্ছে অ্যানেসথেসিয়া বা চেতনানাশক ছাড়াই।
এখন মাহমুদ তার পা দিয়ে লেখে, গেম খেলে, জামা পরার চেষ্টা করে। কিন্তু সবকিছুতেই কারও না কারও সাহায্য লাগে। সে আগের দিনগুলোর কথা খুব মনে করে। মাহমুদের কণ্ঠে সেই আক্ষেপ ঝরে পড়ে, ‘এখন সবকিছুই কঠিন, যেমন নিজে নিজে খাওয়া বা বাথরুমে যাওয়া...কিন্তু আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। আমি এভাবেই আমার জীবন সামলে নিই। আমি এটিকে কার্যকর করে তোলার চেষ্টা করছি।’
মাহমুদের স্বপ্ন আছে। সে চায় একদিন গাজায় ফিরবে। ধ্বংস হয়ে যাওয়া শহরটাকে আবার গড়বে। তার আশা, বিশ্ব একদিন এই যুদ্ধ বন্ধ করবে। সে বলেছে, ‘আমরা আমাদের ভূমিতে থাকতে চাই। আমরা চাই না ইসরাইলিরা তা কেড়ে নিক।’ কষ্ট আর রাগ মেশানো গলায় সে বলে, ‘সেখানে মানুষ মারা যাচ্ছে। আর আমার বাড়ি বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি এভাবে কীভাবে বাঁচব?’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৫১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১ লাখের বেশি। ২৩ লাখ মানুষের বেশির ভাগ এখন বাস্তুচ্যুত। ঘর নেই, খাবার নেই, ওষুধ নেই। সবকিছু ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এই ধ্বংসস্তূপের ভেতরেও ছোট্ট এক শিশুর স্বপ্ন বেঁচে আছে—যেখানে সে দুটো হাত ছাড়া, সাহস নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য লড়াই করে যাচ্ছে।
ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি শ্রমিকদের শূন্যস্থান পূরণে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি ভারতীয় শ্রমিক দেশটিতে গেছে। এমনটাই জানিয়েছে ভারত সরকার জানিয়েছে। গাজায় ইসরায়েলের চলমান অভিযানের মধ্যেই এ খবর প্রকাশ্যে এল। এটি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ইসরায়েলের প্রতি চাপ বাড়ার সময় ভারতের গুরুত্বপ
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় একটি ইস্পাত কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। যাঁদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থাই সংকটাপন্ন। গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় সকালে পিটসবার্গের কাছে ইউএস স্টিলের ক্লেয়ারটন কারখানায় এ বিস্ফোরণ হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য শান্তি স্থাপন ও মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ ও আঞ্চলিক কয়েকটি দেশ যৌথভাবে একটি প্রতিনিধিদল পাঠাতে যাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্র মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এই ঘোষণা দেন। খবর সিঙ্গাপুরভিত্তিক
১ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির জান্তা সরকারকে কোনো জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে দেবে না স্থানীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত বাংলাদেশ সংলগ্ন এই রাজ্যটিতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলে চলতি বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের কোনো স্বীকৃতি তারা
২ ঘণ্টা আগে