যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করেই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে দেশটিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে প্রত্যাহার করে নেন। এবার তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আর্জেন্টিনাকেও সংস্থাটি থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। গতকাল বুধবার আর্জেন্টিনা সরকার এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্ত জানায়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, আর্জেন্টিনা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠানটির জন্য বড় আঘাত। এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের গত মাসের একই ধরনের সিদ্ধান্তের মতোই। উভয় দেশেই কট্টর ডানপন্থী সরকার ক্ষমতায় এবং আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেইয়ের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
এই দুই নেতাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-১৯ মহামারির ব্যবস্থাপনার সমালোচনা করেছেন। বুধবার মিলেই সংস্থাটির সামাজিক দূরত্ব সংক্রান্ত পরামর্শের বিরুদ্ধে বলেন, ‘এ কারণেই আমরা এমন এক নিকৃষ্ট সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামাজিক নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষার অন্যতম হাতিয়ার ছিল।’
মিলেই ২০২৩ সালে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। সে সময় আর্জেন্টিনায় মুদ্রাস্ফীতি চরমে পৌঁছেছিল। তিনি সরকারি ব্যয় ব্যাপকভাবে কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনে জয়ী হন। সরকারি ব্যয় হ্রাসে নিজের পরিকল্পনাকে তিনি ‘চেইন’স’ নীতির অংশ হিসেবে উল্লেখ করেন। তাঁর শাসনামলে মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা স্থিতিশীল হলেও দেশটির দারিদ্র্যের হার ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
সমালোচকদের অভিযোগ, মিলেইয়ের প্রশাসন দরিদ্রদের জন্য খাদ্য সরবরাহকারী স্যুপ কিচেনসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পরিষেবার অর্থায়ন কমিয়েছে, যা সংকট মোকাবিলায় সহায়ক হতে পারত।
আর্জেন্টিনা ২০২৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় আনুমানিক ৮ দশমিক ২৫৭ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছিল। তবে সরকারি বিবৃতিতে মিলেইয়ের প্রশাসন সংস্থাটির বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক সংকট আরও গভীর করার অভিযোগ আনে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘লকডাউন বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম বৃহত্তম অর্থনৈতিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে।’
বিবৃতিতে আরও অভিযোগ করা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ। কারণ তারা এমন সব নীতি গ্রহণ করেছিল যার ফলে শিশুরা বিদ্যালয়ে যেতে পারেনি, লাখ কর্মী তাদের আয়ের উৎস হারিয়েছিল। সংস্থাটির নীতি ব্যবসা ও ক্ষুদ্র উদ্যোগকে দেউলিয়া করেছে এবং তারপরও (আর্জেন্টিনায়) ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।’
মিলেইয়ের প্রশাসন সংস্থাটির গবেষণা ও নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আজ প্রমাণ দেখা যাচ্ছে যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ কার্যকর নয়। কারণ, সেগুলো বিজ্ঞানের ওপর নয়, বরং রাজনৈতিক প্রভাবের ভিত্তিতে গ্রহণ করা হয়েছিল।’
এর আগে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের জানুয়ারি ২০ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বের করে আনার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি সংস্থাটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের তহবিল প্রত্যাহারের আদেশও দেন তিনি। ট্রাম্পের অভিযোগ, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড-১৯ মহামারির ভুলভাবে ব্যবস্থাপনা করেছে এবং এটি অনুপযুক্ত রাজনৈতিক প্রভাব থেকে স্বাধীনতা প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্র সংস্থাটির সবচেয়ে বড় অনুদান দাতা। সংস্থাটির মোট বাজেটের ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ বা প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার তহবিল যুগিয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র সংস্থাটি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে এর ব্যয় সংকোচন এবং পরিষেবা হ্রাস হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করেই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে দেশটিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে প্রত্যাহার করে নেন। এবার তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আর্জেন্টিনাকেও সংস্থাটি থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। গতকাল বুধবার আর্জেন্টিনা সরকার এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্ত জানায়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, আর্জেন্টিনা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠানটির জন্য বড় আঘাত। এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের গত মাসের একই ধরনের সিদ্ধান্তের মতোই। উভয় দেশেই কট্টর ডানপন্থী সরকার ক্ষমতায় এবং আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেইয়ের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
এই দুই নেতাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-১৯ মহামারির ব্যবস্থাপনার সমালোচনা করেছেন। বুধবার মিলেই সংস্থাটির সামাজিক দূরত্ব সংক্রান্ত পরামর্শের বিরুদ্ধে বলেন, ‘এ কারণেই আমরা এমন এক নিকৃষ্ট সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামাজিক নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষার অন্যতম হাতিয়ার ছিল।’
মিলেই ২০২৩ সালে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। সে সময় আর্জেন্টিনায় মুদ্রাস্ফীতি চরমে পৌঁছেছিল। তিনি সরকারি ব্যয় ব্যাপকভাবে কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনে জয়ী হন। সরকারি ব্যয় হ্রাসে নিজের পরিকল্পনাকে তিনি ‘চেইন’স’ নীতির অংশ হিসেবে উল্লেখ করেন। তাঁর শাসনামলে মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা স্থিতিশীল হলেও দেশটির দারিদ্র্যের হার ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
সমালোচকদের অভিযোগ, মিলেইয়ের প্রশাসন দরিদ্রদের জন্য খাদ্য সরবরাহকারী স্যুপ কিচেনসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পরিষেবার অর্থায়ন কমিয়েছে, যা সংকট মোকাবিলায় সহায়ক হতে পারত।
আর্জেন্টিনা ২০২৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় আনুমানিক ৮ দশমিক ২৫৭ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছিল। তবে সরকারি বিবৃতিতে মিলেইয়ের প্রশাসন সংস্থাটির বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক সংকট আরও গভীর করার অভিযোগ আনে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘লকডাউন বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম বৃহত্তম অর্থনৈতিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে।’
বিবৃতিতে আরও অভিযোগ করা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ। কারণ তারা এমন সব নীতি গ্রহণ করেছিল যার ফলে শিশুরা বিদ্যালয়ে যেতে পারেনি, লাখ কর্মী তাদের আয়ের উৎস হারিয়েছিল। সংস্থাটির নীতি ব্যবসা ও ক্ষুদ্র উদ্যোগকে দেউলিয়া করেছে এবং তারপরও (আর্জেন্টিনায়) ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।’
মিলেইয়ের প্রশাসন সংস্থাটির গবেষণা ও নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আজ প্রমাণ দেখা যাচ্ছে যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ কার্যকর নয়। কারণ, সেগুলো বিজ্ঞানের ওপর নয়, বরং রাজনৈতিক প্রভাবের ভিত্তিতে গ্রহণ করা হয়েছিল।’
এর আগে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের জানুয়ারি ২০ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বের করে আনার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি সংস্থাটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের তহবিল প্রত্যাহারের আদেশও দেন তিনি। ট্রাম্পের অভিযোগ, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড-১৯ মহামারির ভুলভাবে ব্যবস্থাপনা করেছে এবং এটি অনুপযুক্ত রাজনৈতিক প্রভাব থেকে স্বাধীনতা প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্র সংস্থাটির সবচেয়ে বড় অনুদান দাতা। সংস্থাটির মোট বাজেটের ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ বা প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার তহবিল যুগিয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র সংস্থাটি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে এর ব্যয় সংকোচন এবং পরিষেবা হ্রাস হতে পারে।
এদিন রাখিবন্ধন উপলক্ষে ভারতের গুরুগ্রামভিত্তিক ১২ বছরের পুরোনো কুইক-কমার্স কোম্পানি ব্লিংকিট, যা শহুরে মধ্যবিত্তের কেনাকাটার ধরন বদলে দিয়েছে, সেখানে কার্ল মার্ক্স ও ফ্রেডরিক এঙ্গেলস রচিত ‘দ্য কমিউনিস্ট মেনিফেস্টো’ সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা সমগ্রের প্রথম খণ্ডের সঙ্গে ‘গিফট ফর সিস্টার্স’ বা ‘বোনদের...
৭ ঘণ্টা আগেইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজ করার অভিযোগে গত কয়েক মাসে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ইরান। দেশটির বিচার বিভাগ আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, এদের প্রতি কোনো দয়া দেখানো হবে না এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
৮ ঘণ্টা আগেইউক্রেন এক বিন্দু পিছপা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আজ শনিবার ভোরে তিনি বলেছেন, ইউক্রেনীয়রা তাদের জমি দখলদারদের হাতে তুলে দেবে না। এক ইঞ্চিও না।
৯ ঘণ্টা আগেগত বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে একাধিক পোস্ট করে স্বামীর প্রতি সহানুভূতি দেখানোর আহ্বান জানান আবির। তাঁর স্বামীর সাজা ঘোষণার কয়েক দিন পর এই পোস্ট করেন তিনি। পাকিস্তানে বসবাসরত আবিরের ইনস্টাগ্রাম ও টিকটক মিলিয়ে অনুসারী রয়েছে ৫ লাখের বেশি।
১০ ঘণ্টা আগে