সংখ্যালঘুদের ‘দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক’ বানিয়ে ফেলার কোনো চেষ্টা করলে ভারত ভাগ হয়ে যাবে বলে সতর্ক করেছেন রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) সাবেক গভর্নর রঘুরাম রাজন। এতে দেশে অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ বাড়বে বলেও শঙ্কা তাঁর। গত শনিবার অল ইন্ডিয়া প্রফেশনাল কংগ্রেসের পঞ্চম সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
অল ইন্ডিয়া প্রফেশনাল কংগ্রেস রায়পুরে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের একটি শাখা। সংগঠনটির পঞ্চম সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে রঘুরাম রাজন বলেন, ‘ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার এই যুগে, এটি আমাদের দুর্বল করবে এবং দেশকে বিদেশি হস্তক্ষেপের ঝুঁকিতে ফেলে দেবে।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম স্ক্রল ডট ইনে রোববার প্রকাশিত এক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রীলঙ্কার সংকটের উদাহরণ দিয়ে রঘুরাম রাজন বলেন, একটি দেশের রাজনীতিবিদেরা সংখ্যালঘুদের টার্গেট করে তাঁদের বাদ দিয়ে যখন চাকরিসংকট দূর করতে চায়, তখন যে অবস্থা হয় তার চিত্র এখন দেখা যাচ্ছে শ্রীলঙ্কায়।
রঘুরামের মতে, এখনো দেশের একটি অংশ মনে করে গণতন্ত্রের কারণে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। এর পরিবর্তে এরা শক্তিশালী নেতৃত্ব চায়। কর্তৃত্ববাদী শাসক এলেও তারা সমর্থন করবে।
রঘুরাম রাজন বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা নিয়ে তর্ক করা একদম অর্থহীন। এটি উন্নয়নের একটি পুরোনো মডেলের ওপর ভিত্তি করে করা, যা পণ্য এবং মূলধনের ওপর জোর দেয়। মানুষ এবং বিভিন্ন মতাদর্শের ওপর নয়।’
ভারতের বর্তমান রাজনৈতিক প্রবণতার প্রসঙ্গ টেনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নর বলেন, উদারবাদী গণতন্ত্র ও প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার মধ্যেই ভারতের ভবিষ্যৎ নিহিত, এগুলো ধ্বংস করার মধ্যে নয়। তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিবেচনায় দেশের যে অবস্থা, তা ইঙ্গিত করে বর্তমান পথ সম্পর্কে আমাদের নতুন করে ভাবা দরকার। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট শুরুর পর থেকেই অন্তত এক দশক ধরে আমাদের যা করা উচিত ছিল, তা আমরা করিনি। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, আমরা আমাদের তরুণদের জন্য ভালো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারিনি।’
তবে রাজনীতি ও চলমান ব্যবস্থার নানা সমালোচনা করলেও রঘুররাম রাজন ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রশংসা করেন। তাঁর মতে, আরবিআই বেশ ভালো কাজ করছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বেশ ভালো অবস্থানে আছে। ফলে পাকিস্তান বা শ্রীলঙ্কার মতো সংকটে ভারতকে পড়তে হবে না বলে মনে করেন তিনি।
সংখ্যালঘুদের ‘দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক’ বানিয়ে ফেলার কোনো চেষ্টা করলে ভারত ভাগ হয়ে যাবে বলে সতর্ক করেছেন রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) সাবেক গভর্নর রঘুরাম রাজন। এতে দেশে অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ বাড়বে বলেও শঙ্কা তাঁর। গত শনিবার অল ইন্ডিয়া প্রফেশনাল কংগ্রেসের পঞ্চম সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
অল ইন্ডিয়া প্রফেশনাল কংগ্রেস রায়পুরে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের একটি শাখা। সংগঠনটির পঞ্চম সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে রঘুরাম রাজন বলেন, ‘ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার এই যুগে, এটি আমাদের দুর্বল করবে এবং দেশকে বিদেশি হস্তক্ষেপের ঝুঁকিতে ফেলে দেবে।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম স্ক্রল ডট ইনে রোববার প্রকাশিত এক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রীলঙ্কার সংকটের উদাহরণ দিয়ে রঘুরাম রাজন বলেন, একটি দেশের রাজনীতিবিদেরা সংখ্যালঘুদের টার্গেট করে তাঁদের বাদ দিয়ে যখন চাকরিসংকট দূর করতে চায়, তখন যে অবস্থা হয় তার চিত্র এখন দেখা যাচ্ছে শ্রীলঙ্কায়।
রঘুরামের মতে, এখনো দেশের একটি অংশ মনে করে গণতন্ত্রের কারণে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। এর পরিবর্তে এরা শক্তিশালী নেতৃত্ব চায়। কর্তৃত্ববাদী শাসক এলেও তারা সমর্থন করবে।
রঘুরাম রাজন বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা নিয়ে তর্ক করা একদম অর্থহীন। এটি উন্নয়নের একটি পুরোনো মডেলের ওপর ভিত্তি করে করা, যা পণ্য এবং মূলধনের ওপর জোর দেয়। মানুষ এবং বিভিন্ন মতাদর্শের ওপর নয়।’
ভারতের বর্তমান রাজনৈতিক প্রবণতার প্রসঙ্গ টেনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নর বলেন, উদারবাদী গণতন্ত্র ও প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার মধ্যেই ভারতের ভবিষ্যৎ নিহিত, এগুলো ধ্বংস করার মধ্যে নয়। তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিবেচনায় দেশের যে অবস্থা, তা ইঙ্গিত করে বর্তমান পথ সম্পর্কে আমাদের নতুন করে ভাবা দরকার। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট শুরুর পর থেকেই অন্তত এক দশক ধরে আমাদের যা করা উচিত ছিল, তা আমরা করিনি। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, আমরা আমাদের তরুণদের জন্য ভালো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারিনি।’
তবে রাজনীতি ও চলমান ব্যবস্থার নানা সমালোচনা করলেও রঘুররাম রাজন ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রশংসা করেন। তাঁর মতে, আরবিআই বেশ ভালো কাজ করছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বেশ ভালো অবস্থানে আছে। ফলে পাকিস্তান বা শ্রীলঙ্কার মতো সংকটে ভারতকে পড়তে হবে না বলে মনে করেন তিনি।
চলমান যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর যুক্তি, ‘রাশিয়া খুবই বড় শক্তি, ইউক্রেন নয়। তাই যুদ্ধ এড়িয়ে টিকে থাকতে হলে চুক্তি ছাড়া ইউক্রেনের কোনো গতি নেই।’ এই মন্তব্য ট্রাম্পের আলাস্কা বৈঠকের পর এসেছে...
২ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ক্ষমতায় থাকাকালে চীন কখনোই তাইওয়ানে আক্রমণ করবে না। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন ট্রাম্প। খবর রয়টার্সের।
৩ ঘণ্টা আগেবোল্টন বলেছেন, ‘এই বৈঠকের পর ট্রাম্প কিছুই পাননি। যা পেয়েছেন তা হলো, আরও কিছু বৈঠকের প্রতিশ্রুতি। অন্যদিকে পুতিন ‘সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে অনেক দূর এগিয়ে গেছেন, যা আমি সব সময় তাঁর প্রধান লক্ষ্য বলে মনে করেছি।’
৪ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি হয়তো আশা করেছিলেন, এই বৈঠকে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে একটি চুক্তি হবে। কিন্তু এমন কোনো কিছুই হয়নি। তাই ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার জন্য সোমবার ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন জেলেনস্কি।
৪ ঘণ্টা আগে