Ajker Patrika

বন্যায় বিপর্যস্ত দিল্লি, যমুনার জলে ডুবল বাজার-রাস্তাঘাট

কলকাতা প্রতিনিধি  
যমুনা নদীর পানির স্তর ২০৬ দশমিক ৮ মিটারে পৌঁছেছে, যা ২০২৩ সালের রেকর্ডের মাত্র ১ দশমিক ৮ মিটার নিচে। ছবি: এএনআই
যমুনা নদীর পানির স্তর ২০৬ দশমিক ৮ মিটারে পৌঁছেছে, যা ২০২৩ সালের রেকর্ডের মাত্র ১ দশমিক ৮ মিটার নিচে। ছবি: এএনআই

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগজনক আকার ধারণ করেছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, নয়ডা ও গাজিয়াবাদসহ বিভিন্ন অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাত এবং বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

লক্ষ্ণৌ আবহাওয়া কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে, গৌতম বুদ্ধ নগরে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে এবং গাজিয়াবাদে বজ্রসহ প্রবল বৃষ্টি হবে।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন নয়ডা ও গাজিয়াবাদে আজ বুধবার সব স্কুল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়। অভিভাবকদের বলা হয়, স্কুল খোলার সময়সূচি এবং অন্যান্য আপডেটের জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও স্কুল কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করতে।

এরই মধ্যে গত সোমবার ও মঙ্গলবার দিল্লি-এনসিআর এলাকায় জলমগ্নতা ও যানজটের সমস্যা দেখা দিয়েছে। নয়ডার সেক্টর ৬২, ১৮ এবং গ্রেটার নয়ডার কিছু অংশে প্রচণ্ড জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। গুরুগ্রাম ও গাজিয়াবাদেও একই অবস্থা বিরাজ করছে।

যমুনা নদীর পানির স্তর ২০৬ দশমিক ৮ মিটারে পৌঁছেছে, যা ২০২৩ সালের রেকর্ডের মাত্র ১ দশমিক ৮ মিটার নিচে।

উজানের ব্যারেজগুলো থেকে প্রচুর পানি ছাড়ার কারণে পানি বাড়ছে। হথিনকুন্ড থেকে ১ দশমিক ৭৬ লাখ কিউসেক, ওয়াজিরাবাদ থেকে ৯৩ হাজার ২৬০ কিউসেক এবং ওখলা থেকে ১ দশমিক ১৫ লাখ কিউসেক জল যমুনায় প্রবাহিত হয়েছে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে পুরনো রেলওয়ে ব্রিজ (ওআরবি) বন্ধ রাখা হয়েছে এবং নিম্নাঞ্চলগুলোতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নিচু এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, প্রতিমা বিসর্জনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।

ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আবহাওয়া দপ্তর ‘রেড নাওকাস্ট’ সতর্কতা জারি করেছে। প্রতি ঘণ্টায় ১৫ মিলিমিটার বা তারও বেশি বৃষ্টি এবং বজ্রসহ ঝড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ এবং পাঞ্জাবের বিভিন্ন জেলায় সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। বিশেষত পিলভীত, লখিমপুর, শাহজাহানপুর, ফতেহাবাদ, জিন্দ, হিসার, গুরুগ্রাম, রেওয়ারি ও মেওয়াত জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়।

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বজ্রসহ প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে যানবাহনে বিঘ্ন এবং দুর্বল কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বাসিন্দাদের ঘরে থাকার, জলমগ্ন এলাকা এড়ানোর এবং নিরাপত্তা নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ওড়িশা উপকূলের শহরগুলোতেও গত সোমবার রাত থেকে বন্যার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ভুবনেশ্বর ও কটকে জলমগ্নতার খবর পাওয়া গেছে।

বঙ্গোপসাগরের ওপর নতুন নিম্নচাপ বলয়ের কারণে আগামী চার দিনও ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। সমুদ্র অতি রুক্ষ থাকায় উপকূলীয় জেলাগুলোর মৎস্যজীবীদের আজ বুধবার পর্যন্ত সমুদ্রে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নিম্নচাপ বলয় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্ধ্রপ্রদেশেও আগামী শুক্রবার পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় বজ্রসহ ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চলে ঘণ্টায় ৪০–৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। আবহাওয়া দপ্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন ও সাধারণ জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তৌকীর-বিপাশা বিদেশে স্থায়ী হয়েছেন যে কারণে

ফিলিস্তিনকে আজই রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেবে আরও ৬ দেশ, বিরোধিতা ইসরায়েল–যুক্তরাষ্ট্রের

আশ্বিনে ৯ ঘণ্টায় ১০৫ মিলিমিটার বৃষ্টি কি স্বাভাবিক, যা বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর

বাজারের খোলা ভোজ্যতেলের ৫১ শতাংশ নমুনায় ভিটামিন ‘এ’ পায়নি বিএসটিআই

ভারতীয় দর্শকদের বিমান ধসের ইঙ্গিত দিয়ে পাকিস্তানি ক্রিকেটারের নতুন বিতর্ক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত