অনলাইন ডেস্ক
ভারত দাবি করেছে, তারা গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তানে মাত্র ২৫ মিনিটে ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো পাকিস্তানের অভ্যন্তর ও পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরে ৯টি ‘জঙ্গি’ ঘাঁটিতে আঘাত হানে। এতে ৭০ জন সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির বরাত দিয়ে জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে (৭ মে) রাত ১টা ৫ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এই হামলা চলে। ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে এই অভিযান যৌথভাবে পরিচালনা করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী।
আজ বুধবার নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পরিমিত ও আনুপাতিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই অভিযান চালানো হয়। সেই হামলায় ২৬ জন নিহত হন। তাঁদের মধ্যে এক নেপালি নাগরিকও ছিলেন। হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করা হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংও উপস্থিত ছিলেন।
কর্নেল কুরেশি বলেন, ‘এই অভিযান কৌশলে একটি পরিবর্তন এনেছে।’ তিনি বলেন, ‘তিন দশক ধরে পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীর ও পাকিস্তানের ভেতরে সন্ত্রাসী অবকাঠামো—যেমন লোক নিয়োগ কেন্দ্র, প্রশিক্ষণ এলাকা ও অনুপ্রবেশের জন্য ঘাঁটি তৈরি করে আসছে। এই অভিযান সেই স্থাপনাগুলো ধ্বংস করার এবং ভবিষ্যতে হামলা প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে চালানো হয়েছে।’
পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি আরও বলেন, ‘আমাদের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, ভারতের বিরুদ্ধে আরও হামলা আসন্ন ছিল। তাই এ ধরনের আরও আন্তসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ প্রতিহত ও প্রতিরোধের জন্য হামলা চালানোটা জরুরি ছিল। ভারত তার প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার প্রয়োগ করেছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের পদক্ষেপ পরিমিত, উত্তেজনা না ছড়ানো, আনুপাতিক ও দায়িত্বশীল ছিল। এগুলোর মূল লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস করা।’
এই হামলায় পাকিস্তানের মুজাফফরাবাদ, কোটলি, বাহাওয়ালপুর, রাওয়ালকোট, চাকসওয়ারি, ভিম্বার, নীলম ভ্যালি, ঝিলাম ও চাকওয়ালের স্থাপনাগুলো লক্ষ্যবস্তু করা হয়। এই সব কটি এলাকায়ই গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী ঘাঁটি থাকার সন্দেহ করত। ধারণা করা হয়, এগুলো লস্কর-ই-তাইয়েবা এবং জয়শ-ই-মুহাম্মদের মতো গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যুক্ত ছিল।
আঘাত হানা ৯টি স্থানের মধ্যে পাঁচটি ছিল পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরে এবং চারটি ছিল মূল পাকিস্তানের ভেতরে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে বাহাওয়ালপুর জয়শ-ই-মুহাম্মদের একটি পরিচিত ঘাঁটি। ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলো মুজাফফরাবাদ ও ভিম্বারকে আগে থেকেই কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের জন্য পরিবহন ও সরবরাহ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছিল।
ভারত সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সব কটি হামলা সফল হয়েছে এবং তাদের নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করেছে। ড্রোন থেকে পাওয়া তথ্য নিশ্চিত করেছে যে কমান্ড সেন্টার, প্রশিক্ষণ শিবির, অস্ত্রাগার এবং অনুপ্রবেশের জন্য ব্যবহৃত ঘাঁটিগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। যদিও অভিযানটি বড় আকারের ছিল, তবে কোনো পাকিস্তানি সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, ৭০ জনের বেশি ‘সন্ত্রাসী’ নিহত এবং ৬০ জনের বেশি আহত হয়েছে। ভূমি ও আকাশ থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলাগুলো চালানো হয়। নজরদারি ড্রোন দিয়ে তাৎক্ষণিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস নিশ্চিত করা গেছে এবং বেসামরিক মানুষের ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে।
হামলার উচ্চ নির্ভুলতা নিশ্চিত করতে এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার ক্ষতি এড়াতে লেজার নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র ও স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত গ্লাইড বোমার মতো অত্যাধুনিক ও সুনির্দিষ্টভাবে লক্ষ্যভেদী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলো সম্পূর্ণ অকার্যকর করার জন্য আকাশ ও ভূমি থেকে আসা ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সমন্বিতভাবে একই সময়ে একাধিক ওয়ারহেড নিয়ে আঘাত হানে।
আরও খবর পড়ুন:
ভারত দাবি করেছে, তারা গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তানে মাত্র ২৫ মিনিটে ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো পাকিস্তানের অভ্যন্তর ও পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরে ৯টি ‘জঙ্গি’ ঘাঁটিতে আঘাত হানে। এতে ৭০ জন সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির বরাত দিয়ে জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে (৭ মে) রাত ১টা ৫ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এই হামলা চলে। ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে এই অভিযান যৌথভাবে পরিচালনা করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী।
আজ বুধবার নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পরিমিত ও আনুপাতিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই অভিযান চালানো হয়। সেই হামলায় ২৬ জন নিহত হন। তাঁদের মধ্যে এক নেপালি নাগরিকও ছিলেন। হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করা হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংও উপস্থিত ছিলেন।
কর্নেল কুরেশি বলেন, ‘এই অভিযান কৌশলে একটি পরিবর্তন এনেছে।’ তিনি বলেন, ‘তিন দশক ধরে পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীর ও পাকিস্তানের ভেতরে সন্ত্রাসী অবকাঠামো—যেমন লোক নিয়োগ কেন্দ্র, প্রশিক্ষণ এলাকা ও অনুপ্রবেশের জন্য ঘাঁটি তৈরি করে আসছে। এই অভিযান সেই স্থাপনাগুলো ধ্বংস করার এবং ভবিষ্যতে হামলা প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে চালানো হয়েছে।’
পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি আরও বলেন, ‘আমাদের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, ভারতের বিরুদ্ধে আরও হামলা আসন্ন ছিল। তাই এ ধরনের আরও আন্তসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ প্রতিহত ও প্রতিরোধের জন্য হামলা চালানোটা জরুরি ছিল। ভারত তার প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার প্রয়োগ করেছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের পদক্ষেপ পরিমিত, উত্তেজনা না ছড়ানো, আনুপাতিক ও দায়িত্বশীল ছিল। এগুলোর মূল লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস করা।’
এই হামলায় পাকিস্তানের মুজাফফরাবাদ, কোটলি, বাহাওয়ালপুর, রাওয়ালকোট, চাকসওয়ারি, ভিম্বার, নীলম ভ্যালি, ঝিলাম ও চাকওয়ালের স্থাপনাগুলো লক্ষ্যবস্তু করা হয়। এই সব কটি এলাকায়ই গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী ঘাঁটি থাকার সন্দেহ করত। ধারণা করা হয়, এগুলো লস্কর-ই-তাইয়েবা এবং জয়শ-ই-মুহাম্মদের মতো গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যুক্ত ছিল।
আঘাত হানা ৯টি স্থানের মধ্যে পাঁচটি ছিল পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরে এবং চারটি ছিল মূল পাকিস্তানের ভেতরে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে বাহাওয়ালপুর জয়শ-ই-মুহাম্মদের একটি পরিচিত ঘাঁটি। ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলো মুজাফফরাবাদ ও ভিম্বারকে আগে থেকেই কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের জন্য পরিবহন ও সরবরাহ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছিল।
ভারত সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সব কটি হামলা সফল হয়েছে এবং তাদের নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করেছে। ড্রোন থেকে পাওয়া তথ্য নিশ্চিত করেছে যে কমান্ড সেন্টার, প্রশিক্ষণ শিবির, অস্ত্রাগার এবং অনুপ্রবেশের জন্য ব্যবহৃত ঘাঁটিগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। যদিও অভিযানটি বড় আকারের ছিল, তবে কোনো পাকিস্তানি সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, ৭০ জনের বেশি ‘সন্ত্রাসী’ নিহত এবং ৬০ জনের বেশি আহত হয়েছে। ভূমি ও আকাশ থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলাগুলো চালানো হয়। নজরদারি ড্রোন দিয়ে তাৎক্ষণিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস নিশ্চিত করা গেছে এবং বেসামরিক মানুষের ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে।
হামলার উচ্চ নির্ভুলতা নিশ্চিত করতে এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার ক্ষতি এড়াতে লেজার নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র ও স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত গ্লাইড বোমার মতো অত্যাধুনিক ও সুনির্দিষ্টভাবে লক্ষ্যভেদী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলো সম্পূর্ণ অকার্যকর করার জন্য আকাশ ও ভূমি থেকে আসা ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সমন্বিতভাবে একই সময়ে একাধিক ওয়ারহেড নিয়ে আঘাত হানে।
আরও খবর পড়ুন:
ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় একটি বিমান বা বড় আকারের ড্রোন ভেঙে পড়েছে। গতকাল বুধবার ভোরে পাম্পোর শহরের কাছে বিধ্বস্ত হয় এটি। তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ভারতের যে পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করার কথা বলা হয়েছে; এটি সেগুলোর মধ্যে একটি কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
৩ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানে প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর পর জাতীয় পর্যায়ে বৃহৎ নাগরিক প্রতিরক্ষা মহড়া ‘অপারেশন অভ্যাস’ শুরু করেছে ভারত। বুধবার (৭ মে) ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে একযোগে অনুষ্ঠিত হয় এই মহড়া। মহড়াগুলোতে বিমান হামলা ও অগ্নিকাণ্ডের সময় নাগরিকদের উদ্ধার অভিযান শেখানো হয়।
৬ ঘণ্টা আগেকাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে দেশটির বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। বুধবার (৭ মে) মধ্যরাত ১টা ৫ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এই পাল্টা হামলা চালানো হয় পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু কাশ্মীর অঞ্চলে।
৬ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, ভারতকে তার ‘ভুলের খেসারত’ দিতেই হবে। তিনি আরও বলেন, তাঁর সামরিক বাহিনী মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শত্রুকে নতজানু করেছে...
৭ ঘণ্টা আগে