Ajker Patrika

বিরোধীদের বিরুদ্ধে বিজেপির ‘ওয়াশিং মেশিন’ রাজনীতি

কলকাতা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ আগস্ট ২০২২, ২২: ১৭
বিরোধীদের বিরুদ্ধে বিজেপির ‘ওয়াশিং মেশিন’ রাজনীতি

বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় চলছে ভারতে। ক্ষমতাসীন দল বিজেপির বিরোধী শিবিরের সব দলই কম বেশি দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত। তবে দলবদল করে শাসক শিবিরে নাম লেখালেই সমস্ত অভিযোগ ধামাচাপা। তাই বেড়ে গিয়েছে দলবদলের হার। শাসক দলের ‘ওয়াশিং মেশিন’ ব্যস্ত দলবদলকারীদের গায়ে থাকা কালির দাগ তুলতে। 

ভারতের একাধিক তদন্তকারী সংস্থার অতি সক্রিয়তায় প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস থেকে শুরু করে বিরোধী শিবিরের নেতাদের মধ্যে এক ধরনের ভীতি কাজ করছে। তাদের দাবি, গণতন্ত্রের মূল ভিত্তিও মোদির শাসনামলে কম্পমান! দিল্লি থেকে মুম্বাই, কলকাতা থেকে তিরুবন্তপুরম সর্বত্রই একই ছবি। 

ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ব্যস্ত বিরোধী শিবিরের নেতাদের দুর্নীতি প্রমাণে। অথচ, শাসক দল বা জোটের নেতারা বহাল তবিয়তে। তাঁদের টিকিটিও স্পর্শ করা হচ্ছে না। এমনকি, ‘বিরোধী শিবির ছেড়ে শাসক জোটে এলেও নাকি সাত খুন মাফ! বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে সব পাপ ধুয়ে সাফ!’ —এমন কটাক্ষ হজম করতে হচ্ছে শাসক দলকে। 

কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, তদন্তের নামে প্রকৃতপক্ষে করা হচ্ছে সরকারের সমালোচকদের। বিজেপির আমলে গণতন্ত্র আক্রান্ত হয়েছে। এসব নিয়ে দেশটির পার্লামেন্টেও আওয়াজ তুলেছেন বিরোধী এমপিরা। আর তাই বর্ষাকালীন অধিবেশন বিঘ্নিত হচ্ছে প্রতিদিন। 

দিল্লিতে আম আদমি পার্টির বর্ষীয়ান নেতা ও মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বেশ কিছুদিন ধরেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে আটক। মহারাষ্ট্রে সম্প্রতি বন্দী হয়েছেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। মন্ত্রী থাকাকালেই গ্রেপ্তার হন দুই এনসিপি নেতা অনিল দেশমুখ এবং নবাব মালিক। অনিল ছিলেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও শাসক দল তৃণমূলের মহাসচিব শিল্পমন্ত্রী থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার হন ইডির হাতে। কেরালার বামপন্থী মুখ্যমন্ত্রী পিলারাই বিজয়ননের মতো মানুষের বিরুদ্ধেও স্বর্ণ পাচারের অভিযোগকে মাঝেমধ্যেই খোঁচানো হচ্ছে। অন্ধ্রপ্রদেশ বা তামিলনাডুতেও সক্রিয়তা বাড়াচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা। কংগ্রেস শাসিত রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে একই ছবি। গোটা দেশেই কেন্দ্রীয় সরকারের তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই বা ইডি বিরোধী দলের নেতাদেরই নিশানা করছে। অথচ শাসক দলের কাউকেই তাঁদের নজরে দেখা যাচ্ছে না। 

এমনকি, এক সময়ে কংগ্রেসের ডাকসাইটে নেতা ও মন্ত্রী এবং বর্তমানে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বা সাবেক তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রী এবং বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়েও নীরব সিবিআই-ইডি। তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধেই রয়েছে আর্থিক অপরাধের একাধিক অভিযোগ। অথচ তাঁদের বিরুদ্ধে বন্ধ সিবিআই বা ইডির সক্রিয়তা। বিজেপিতে যোগদানের আগে হিমন্তের বিরুদ্ধে চিটফান্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে সোচ্চার ছিলেন বিজেপি নেতারা। তদন্তকারীরা তলব করেছিলেন তাঁর স্ত্রীকে। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে লুইস বার্গার কোম্পানি থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ। এমনকি, হিমন্তের স্ত্রীর সংস্থা কোভিড মহামারির সময় অনেক বেশি টাকায় করোনা চিকিৎসার সামগ্রী সরবরাহ করেছে বলেও অভিযোগ। কিন্তু এখন আর তিনি নেই গোয়েন্দাদের নজরে।

ঠিক তেমনি বিজেপি এক সময়ে ভিডিও ক্লিপিংস দেখিয়ে অভিযোগ করেছিল, শুভেন্দু নারদা গণমাধ্যমের স্টিং অপারেশন থেকে টাকা নিচ্ছেন। এই স্টিং অপারেশনে টাকা নিতে গিয়ে ধরা পড়ে তৃণমূলের অন্য নেতা-মন্ত্রীরা গ্রেপ্তার হলেও রহস্যজনকভাবে ছাড় পান শুভেন্দু। বিজেপিতে যোগদানের কারণেই নাকি তাঁর সাত খুন মাপ! ওয়াশিং মেশিন বিজেপি? 

খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে রয়েছে রাফাল যুদ্ধ বিমান কেনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ। কোভিড মোকাবিলায় পিএম কেয়ারস ফান্ড নিয়েও তিনি সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে জয় শাহের সম্পদ বৃদ্ধিও বিরোধীদের কাছে শুধু আর্থিক অপরাধই নয়, বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশ বা আসামে পুলিশের ভুয়া সংঘর্ষ বা হেফাজতে মৃত্যুর তদন্ত হচ্ছে না। 

ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট বহুবার মন্তব্য করেছেন, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই আসলে খাঁচায় বন্দী তোতাপাখি। তাদের স্ব–শাসনের কথা বলা হলেও তদন্ত চলে সরকারের মর্জিতেই। এখন কেন্দ্রীয় সংস্থাকে শাসক দলের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহারের অভিযোগ বাড়ছে। 

মোদী সরকারের এমন ভূমিকা নিয়ে তুমুল হট্টগোল চলছে জাতীয় সংসদে। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মতে, ‘বিজেপির ভূমিকা ওয়াশিং মেশিনের মতো। তাদের দলে যোগ দিলেই সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগ সাফ হয়ে যায়। অন্যের দল ভাঙ্গাতেই বিজেপি তাদের ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করছে।’ কুণালের সাফ কথা, ‘বিরোধীদের দল বা সরকার ভাঙাতে ব্যবহৃত হচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।’ 

কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা অনেক দিন ধরেই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে বিজেপির শাখা সংগঠন বলে কটাক্ষ করে চলেছেন। বিজেপি অবশ্য এই সব অভিযোগ মানতে নারাজ। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্রের পাল্টা দাবি, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি হাতে নিয়েছে মোদী সরকার। তাই বিরোধীরা নাকি এখন দিশেহারা। আর কংগ্রেস ব্যস্ত গান্ধী পরিবারকে বাঁচাতে।’ 

এর আগে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে ৫ দিনে ৫০ ঘণ্টা জেরা করেছে ইডি। কংগ্রেস সভানেত্রী ৭৫ বছরের অসুস্থ সোনিয়া গান্ধীকেও দুবার হাজিরা দিতে হয়েছে ইডির দপ্তরে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার টাকা নয়ছয়ের। অথচ, সাবেক মন্ত্রী ও প্রবীণ নেতা পি চিদাম্বরমের মতে, ‘মোদী সরকারের আমলেই ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেস নেতাদের ক্লিন চিট দেওয়া হয়।’ অথচ সংসদের অধিবেশন চলার সময় হাজিরা দিতে ডেকে পাঠানো হচ্ছে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেকে। খাড়গের অভিযোগ, ‘সংসদীয় রীতিনীতির প্রতি বিন্দুমাত্র আস্থা নেই মোদী সরকারের।’ তিনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অতি সক্রিয়তা নিয়ে সংসদে আলোচনারও দাবি তোলেন। 

কংগ্রেসসহ বিরোধীরা একাধিক মুলতবি প্রস্তাব জমা দিলেও সরকার আলোচনায় রাজি নয়। বিজেপির মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের পাল্টা দাবি, দুর্নীতি দমনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সরকার। তাই স্বশাসিত সংস্থাগুলি স্বাধীনভাবে কাজ করছে বলে মনে করেন তিনি। সেই সঙ্গে তাঁর পাল্টা অভিযোগ, কংগ্রেসের আমলেই বিরোধীদের ঘায়েল করতে ব্যবহৃত হতো আইনরক্ষকদের। 

অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই বিরোধীদের বিরুদ্ধে কলঙ্কের প্রলেপ দিন দিন বাড়ছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি পাল্টা আলকাতরা থিওরির কথা বললেও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় দৃশ্যতই বিরোধীরা দুর্নীতির জাঁতাকলে বিদ্ধ। রাহুল গান্ধী বা শারদ পাওয়াররা যাই বলেন না কেন, কেলেঙ্কারির বহর বেড়েই চলেছে। আর সেই কেলেঙ্কারির জাল থেকে অনেকেই বিজেপিতে যোগ দিয়ে মুক্তও হচ্ছেন বলেও শোনা যাচ্ছে। তাই দল ভাঙানোর খেলায় বা বিরোধীদের ঘায়েল করতে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহারের অভিযোগও ক্রমশই সাধারণ মানুষের কাছে নেতাদের দুর্নীতির মতোই বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠছে ভারতে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত, যুদ্ধ চলমান: আইএসপিআর

আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় বিএনপির প্রার্থীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর ওপর আইসিসের হামলার জবাব দেবেন ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ০৩
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।

তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে—ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের ওপর আইএসআইএসের হামলার জবাব আমরা দেব। যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর আবারও হামলা হয় সেটার জবাও আমরা দেব।’

এর আগে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকেন্দ্রিক কমান্ড ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, আইসিসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। সেন্টকম আরও বলেছে, ‘বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’

এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল। সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।

এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’

এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়। সানা আরও জানায়, আহত ব্যক্তিদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।

২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত, যুদ্ধ চলমান: আইএসপিআর

আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় বিএনপির প্রার্থীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গুলিতে নিহত ২, আহত ৮

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের এই আইভি লীগ ক্যাম্পাসে শনিবার যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।

রোড আইল্যান্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও পলাতক। তারা হামলাকারীকে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করেছেন, যিনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।

এক সংবাদ সম্মেলনে স্মাইলি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা প্রতিক্রিয়াকারীদের কাছে ৯১১ কল আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পারে। স্মাইলি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আজ বিকেলে দুইজন ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, যদিও তারা রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন।’

তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এই আঘাত বা হতাহতের খবর জানি। তবে যেমনটি আমি উল্লেখ করেছি—এবং জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ—এই সংখ্যাগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’

চলমান তদন্তের ওপর জোর দিয়ে স্মাইলি নিহতদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাক্সটন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি এমন একটি দিন যা আমরা আশা করেছিলাম যেন আমাদের সম্প্রদায়ে কখনও না আসে। এটি আমাদের সকলের জন্য গভীরভাবে হৃদয়বিদারক।’ তিনি ক্যাম্পাসের সবাইকে সতর্ক থাকার এবং লকডাউন প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো সমস্ত দরজা তালাবদ্ধ রাখা এবং ক্যাম্পাস জুড়ে কোনো চলাচল না করা নিশ্চিত করা।’

শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম জরুরি সতর্কতা জারি করে জানায়, বারাস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে একজন বন্দুকধারী রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সতর্কবার্তায় বলে, ‘দরজা লক করুন, ফোন নীরব করুন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকুন।’

এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন—দৌড়ান, যদি আপনি আক্রান্ত স্থানে থাকেন তবে নিরাপদে সরে যান; লুকান, যদি সরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আড়াল নিন; প্রতিরোধ করুন, শেষ অবলম্বন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন।’

প্রভিডেন্সের পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ও’হারা বলেন, ‘তারা ভবনটিতে পদ্ধতিগতভাবে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে সে সময় কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা সেই ভবনটি খালি করতে সক্ষম হন এবং সেই ভবনের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে দেন।’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন কীভাবে ভবনে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সে হোপ স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।

স্থানীয় সময় ৫ টা ২৭ মিনিটে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি জানায়, গভর্নর স্ট্রিটের কাছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্স ল্যাব থেকে প্রায় দুটি ব্লক দূরে, গুলি চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না, কারণ অনলাইনে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছিল।

উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাথমিক ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল যে, একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা লিখেছিল, ’পুলিশের হেফাজতে কোনো সন্দেহভাজন নেই এবং তারা সন্দেহভাজনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’

স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর ফেডারেল এজেন্টরাও যোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত, যুদ্ধ চলমান: আইএসপিআর

আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় বিএনপির প্রার্থীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাজায় হামলা চালিয়ে হামাসের শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৪৯
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গতকাল শনিবারের এই হামলায় ৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।

হামাস কোনো বিবৃতিতে রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, গাজা সিটির বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে আঘাত হানা হয়েছে এবং এটিকে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে।

টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, এই কমান্ডার হামাসের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন, যা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলার অন্যতম স্থপতি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

যদি সাদ নিহত হন, তবে চলতি বছরের অক্টোবরে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি হবে হামাসের একজন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ-পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড। এক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাদকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী বাহিনীর প্রধান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

হামাসের সূত্রগুলো তাকে ইজ আল-দিন আল-হাদ্দাদের পরে এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-কমান্ডার হিসেবেও বর্ণনা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাদ হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলোর মধ্যে একটি।

ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি মোড়ে একটি গাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা জানায়নি এবং স্পষ্ট নয় যে এই হামলাটিই সেই হামলা কি না, যেখানে কথিত হামাসের সদস্য নিহত হয়েছিলেন।

গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা প্রায় ৮০০ বার পৌঁছেছে এবং কমপক্ষে ৩৮৬ জনকে হত্যা করেছে, যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল এখনো ছিটমহলটিতে বেশির ভাগ সাহায্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা, জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, অর্থাৎ দখলদার শক্তি হিসেবে এর বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত, যুদ্ধ চলমান: আইএসপিআর

আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় বিএনপির প্রার্থীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরিয়ায় আইএসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং এক দোভাষী নিহত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সিরিয়ায় মার্কিন সেনা। ছবি: এএফপি
সিরিয়ায় মার্কিন সেনা। ছবি: এএফপি

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।

সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।

এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’

এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।

সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।

আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।

২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত, যুদ্ধ চলমান: আইএসপিআর

আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় বিএনপির প্রার্থীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত