আজকের পত্রিকা ডেস্ক

.বিশ্বজুড়ে নজরদারি সরঞ্জাম উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো সম্প্রতি ভারত সরকারের নতুন নিরাপত্তা বিধি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে। নতুন নিয়মে সিসিটিভি ক্যামেরা প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোকে তাদের হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং সোর্স কোড ভারতের সরকারি পরীক্ষাগারে মূল্যায়নের জন্য জমা দিতে হবে। সরকারি নথি এবং সংস্থার ই-মেইল থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নিরাপত্তা সরঞ্জাম পরীক্ষার নীতিকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট শিল্পমহল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশাসনের সঙ্গে বিদেশি সংস্থাগুলোর ‘নিয়ন্ত্রণমূলক’ বিভিন্ন বিষয় এবং দেশটির ‘সংরক্ষণবাদ নীতির’ কারণে যে বিতর্ক চলছে, এই ঘটনা সেই তালিকায় নতুন সংযোজন।
নীতি নির্ধারণের সঙ্গে যুক্ত এক শীর্ষ ভারতীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চীনের অত্যাধুনিক নজরদারি সক্ষমতার কারণে নয়া দিল্লির উদ্বেগের ফলে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালে মোদির তৎকালীন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পার্লামেন্টে জানিয়েছিলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানে থাকা ১০ লাখ ক্যামেরা চীনা সংস্থার তৈরি এবং এসব ক্যামেরার ভিডিও জমা হয় বিদেশি সার্ভারে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, এ ক্ষেত্রে ভিডিওর তথ্য চুরি হওয়ার আশঙ্কা আছে।
গত এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী—চীনের হিকভিশন, শাওমি ও দাহুয়া, দক্ষিণ কোরিয়ার হানওয়া এবং আমেরিকার মটোরোলা সলিউশনসের মতো সংস্থাগুলোকে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটিতে সিসি ক্যামেরা বিক্রি করার আগে সরকারি পরীক্ষাগারে জমা দিতে হবে। এই নীতি ৯ এপ্রিলের পর থেকে তৈরি বা আমদানি করা সব ইন্টারনেট সংযুক্ত সিসিটিভি মডেলের জন্য প্রযোজ্য।
ভারতে ২০১৫-২০১৯ সাল পর্যন্ত সাইবার নিরাপত্তা প্রধানের দায়িত্ব পালন করা গুলশান রাই রয়টার্সকে বলেন, ‘গুপ্তচরবৃত্তির ঝুঁকি সব সময়ই থাকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিপজ্জনক অবস্থানে বসে যে কেউ ইন্টারনেট-সংযুক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাই সেগুলোকে অবশ্যই শক্তিশালী এবং সুরক্ষিত হতে হবে।’
সরকারি কার্যবিবরণী অনুযায়ী, ৩ এপ্রিল ভারতীয় কর্মকর্তারা হানওয়া, মটোরোলা, দাহুয়া, হানিওয়েল এবং শাওমিসহ ১৭টি বিদেশি ও দেশীয় নজরদারি সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে অনেক প্রস্তুতকারক সংস্থা জানায়, তারা নতুন বিধির শর্তগুলো পূরণ করতে প্রস্তুত নয় এবং সময়সীমা পেছানোর তদবির করলেও তা ব্যর্থ হয়।
অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে ভারত সরকার জানায়, এই নীতি ‘একটি প্রকৃত নিরাপত্তা সমস্যার সমাধান করছে’ এবং এটি অবশ্যই কার্যকর করতে হবে। গত বছরের ডিসেম্বরে দেশটি জানিয়েছিল, সিসিটিভি সংক্রান্ত এই নিয়মের লক্ষ্য হলো—‘দেশের নজরদারি ব্যবস্থার গুণমান এবং সাইবার নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা।’
রয়টার্সের এই প্রতিবেদনটি কয়েক ডজন নথি পর্যালোচনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রস্তুতকারক এবং ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক ও ই-মেইলের রেকর্ড এবং ভারতের এই প্রযুক্তি নিরীক্ষার উদ্যোগের সঙ্গে পরিচিত ছয়জনের সাক্ষাৎকার অন্তর্ভুক্ত।
ক্যামেরা প্রস্তুতকারকেরা জানিয়েছেন, ভারতের অপর্যাপ্ত পরীক্ষার সক্ষমতা, দীর্ঘ সময় ধরে চলা কারখানা পরিদর্শন এবং সংবেদনশীল সোর্স কোডের সরকারি যাচাই-বাছাই দেশটিতে সিসিটিভি ক্যামের বাজারজাতকরণের অনুমোদনে দেরি করিয়েছে। এর ফলে অনির্দিষ্ট পরিকাঠামো ও বাণিজ্যিক প্রকল্পগুলি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। হানওয়ার দক্ষিণ এশিয়ার অধিকর্তা অজয় দুবে ৯ এপ্রিল ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে এক ই-মেইলে জানান, এমনটা হলে ‘শিল্পক্ষেত্রের লাখ লাখ ডলার ক্ষতি হবে, যা বাজারে কম্পন সৃষ্টি করবে।’
ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ৩ এপ্রিল কর্মকর্তাদের জানিয়েছিল, তারা আরও বেশি পরীক্ষাগারকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ বাড়াতে ভারতের শহর, অফিস এবং আবাসিক কমপ্লেক্সগুলোতে লাখ লাখ সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নয়াদিল্লিতে ২ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি ক্যামেরা রয়েছে, যার বেশির ভাগই গুরুত্বপূর্ণ স্থানে খুঁটিতে লাগানো।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের বিশ্লেষক বরুণ গুপ্ত রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এই দ্রুত অগ্রগতি ভারতের নজরদারি ক্যামেরার বাজারকে গত বছরের সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করবে। গুপ্ত আরও জানান, চীনের হিকভিশন এবং দাহুয়া বাজারের ৩০ শতাংশ দখল করে আছে। অবশ্য ভারতের সিপি প্লাসের শেয়ার ৪৮ শতাংশ। তিনি আরও যোগ করেন, প্রায় ৮০ শতাংশ সিসিটিভি যন্ত্রাংশ চীন থেকে আসে।
হানওয়া, মটোরোলা সলিউশনস এবং ব্রিটেনের নর্ডেন কমিউনিকেশন এপ্রিলে নিজ নিজ কর্মকর্তাদের ই-মেইলের মাধ্যমে জানায়, ৬ হাজার ক্যামেরা মডেলের ১ শতাংশেরও কম ভারতের নতুন নিয়মের অধীনে অনুমোদিত হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ২০২২ সালে হিকভিশন এবং দাহুয়ার সরঞ্জাম বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়। কারণ হিসেবে ওয়াশিংটন জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেছিল। ব্রিটেন-অস্ট্রেলিয়াও চীনের তৈরি ডিভাইসের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এই পথে হাঁটছে ভারতও। ভারতের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, একইভাবে, সিসিটিভি ক্যামেরার ক্ষেত্রে ভারতকে ‘নিশ্চিত হতে হবে যে, এই ডিভাইসগুলোতে কী ব্যবহৃত হচ্ছে, কোন চিপগুলো যাচ্ছে। কারণ, চীন আমাদের উদ্বেগের একটি অংশ।’
চীনের নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী বাণিজ্যিক কোম্পানিগুলোকেও রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা কাজে সহযোগিতা করতে হয়। রয়টার্স এ মাসে জানিয়েছে, মার্কিন বিশেষজ্ঞরা কিছু চীনা সৌরবিদ্যুৎ ইনভার্টার পরীক্ষা করে তাতে গোপন যোগাযোগের সরঞ্জাম খুঁজে পেয়েছেন।
২০২০ সালে ভারতীয় ও চীনা বাহিনী সীমান্তে সংঘর্ষে লিপ্ত হলে ভারত জাতীয় নিরাপত্তার কারণে টিকটকসহ কয়েক ডজন চীনা মালিকানাধীন অ্যাপ নিষিদ্ধ করে। নিজের সঙ্গে সীমান্ত আছে ভারত এমন দেশগুলোর জন্যও বিদেশি বিনিয়োগের নিয়মও কঠোর করেছে। গত বছর লেবাননে পেজারের সিরিজ বিস্ফোরণ প্রযুক্তি ডিভাইসের সম্ভাব্য অপব্যবহার এবং সিসিটিভি সরঞ্জামগুলোর পরীক্ষা দ্রুত কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ভারতীয় উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তোলে বলে জানান ওই শীর্ষ ভারতীয় কর্মকর্তা।
গত মাসে শাওমি জানায়, তারা ভারতে তাদের সরবরাহ করা সিসিটিভি ডিভাইস পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু ভারতীয় কর্মকর্তারা জানায়, শাওমি এই মূল্যায়ন এগিয়ে নিতে পারবে না। কারণ, ‘অভ্যন্তরীণ নির্দেশিকা’ অনুযায়ী চীনে শাওমি যে দুটি প্রস্তুতকারক কোম্পানিকে দিয়ে তাদের পণ্য তৈরি করায় তাদের বিষয়ে দিল্লিকে আরও বেশি তথ্য দিতে হবে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রয়টার্সকে জানিয়েছে, তারা ‘চীনা কোম্পানিগুলোকে কলঙ্কিত ও দমন করার জন্য জাতীয় নিরাপত্তার ধারণার সাধারণীকরণের’ বিরোধিতা করে এবং আশা করে যে, ভারত চীনা সংস্থাগুলোর জন্য একটি বৈষম্যহীন পরিবেশ নিশ্চিত করবে।
কাউন্টারপয়েন্টের মতে, ভারতে সিসিটিভি চাহিদার ২৭ শতাংশই সরকারি খাতের এবং বাকি ৭৩ শতাংশ করপোরেট ক্লায়েন্ট, শিল্প এবং অন্যান্য সংস্থা এবং বাড়ির জন্য। ভারতের নতুন নিয়ম অনুযায়ী সিসিটিভি ক্যামেরায় টেম্পার-প্রুফ ঘের থাকতে হবে। পাশাপাশি শক্তিশালী ম্যালওয়্যার শনাক্তকরণ এবং এনক্রিপশন থাকতে হবে। সিসি ক্যামেরা প্রস্তুতকারক দুটি কোম্পানি দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উৎপাদক সংস্থাগুলোকে সোর্স কোড পরীক্ষা করার সফটওয়্যার সরঞ্জাম পরিচালনা করতে হবে এবং সরকারি পরীক্ষাগারে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
নতুন নিয়ম ভারতের পরীক্ষাগারগুলোকে উৎপাদক কোম্পানির কাছে সোর্স কোড চাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, এটি ভারতীয় কর্মকর্তাদের বিদেশে ডিভাইস প্রস্তুতকারকদের কারখানা পরিদর্শন এবং সাইবার দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য যেসব স্থাপনা আছে সেগুলোও পরিদর্শন করার ক্ষমতা দেয়।
চীনা কোম্পানি ইনফিনোভার ভারতীয় শাখা গত মাসে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে জানায়, এ ধরনের ‘প্রয়োজনীয়তা চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।’ ইনফিনোভার বিপণন কর্মকর্তা সুমিত চানানা ১০ এপ্রিল এক ই-মেইলে বলেন, ‘সোর্স কোড শেয়ারিং, ফার্মওয়্যার আপগ্রেডের পরে পুনরায় পরীক্ষা এবং একাধিক কারখানা নিরীক্ষার মতো প্রত্যাশাগুলো অভ্যন্তরীণ সময়সীমাকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে।’
একই দিনে তাইওয়ানভিত্তিক ভিভোটেকের ভারত শাখার কর্মকর্তা সঞ্জীব গুলাটি ভারতীয় কর্মকর্তাদের সতর্ক করে বলেন, এমনটা হলে ‘চলমান সব প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে।’ তিনি এ মাসে রয়টার্সকে জানান, ভিভোটেক পণ্যের আবেদন জমা দিয়েছে এবং আশা করছে ‘শিগগিরই ছাড়পত্র পাবে।’
ভারতে নজরদারি সরঞ্জাম পরীক্ষাকারী সংস্থা হলো স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন টেস্টিং অ্যান্ড কোয়ালিটি সার্টিফিকেশন ডিরেক্টরেট। এটি তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন। সংস্থাটির ১৫টি পরীক্ষাগার রয়েছে যা একসঙ্গে ২৮টি আবেদন পর্যালোচনা করতে পারে এবং প্রতি আবেদনে সর্বোচ্চ ১০টি পর্যন্ত মডেল যাচাই করানো যেতে পারে।
সরকারি তথ্য বলছে, আজ ২৮ মে পর্যন্ত বিভিন্ন প্রস্তুতকারকের শত শত মডেল পরীক্ষার জন্য সংস্থাটিতে ৩৪২টি আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩৭টি নতুন। এর মধ্যে ৩৫ টির পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, যার মধ্যে শুধু একটি বিদেশি সংস্থার। ভারতের সিপি প্লাস রয়টার্সকে জানিয়েছে, তারা তাদের ফ্ল্যাগশিপ ক্যামেরাগুলোর ছাড়পত্র পেয়েছে তবে আরও বেশ কয়েকটি মডেল ছাড়পত্রের অপেক্ষায় রয়েছে।
দাহুয়া বলেছে, তারাও পরীক্ষার জন্য ডিভাইস জমা দিয়েছে, কিন্তু ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত পণ্যগুলোর ‘ব্যবসায়িক ধারাবাহিকতা’ বজায় রাখার অনুমতি দিতে।

.বিশ্বজুড়ে নজরদারি সরঞ্জাম উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো সম্প্রতি ভারত সরকারের নতুন নিরাপত্তা বিধি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে। নতুন নিয়মে সিসিটিভি ক্যামেরা প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোকে তাদের হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং সোর্স কোড ভারতের সরকারি পরীক্ষাগারে মূল্যায়নের জন্য জমা দিতে হবে। সরকারি নথি এবং সংস্থার ই-মেইল থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নিরাপত্তা সরঞ্জাম পরীক্ষার নীতিকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট শিল্পমহল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশাসনের সঙ্গে বিদেশি সংস্থাগুলোর ‘নিয়ন্ত্রণমূলক’ বিভিন্ন বিষয় এবং দেশটির ‘সংরক্ষণবাদ নীতির’ কারণে যে বিতর্ক চলছে, এই ঘটনা সেই তালিকায় নতুন সংযোজন।
নীতি নির্ধারণের সঙ্গে যুক্ত এক শীর্ষ ভারতীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চীনের অত্যাধুনিক নজরদারি সক্ষমতার কারণে নয়া দিল্লির উদ্বেগের ফলে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালে মোদির তৎকালীন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পার্লামেন্টে জানিয়েছিলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানে থাকা ১০ লাখ ক্যামেরা চীনা সংস্থার তৈরি এবং এসব ক্যামেরার ভিডিও জমা হয় বিদেশি সার্ভারে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, এ ক্ষেত্রে ভিডিওর তথ্য চুরি হওয়ার আশঙ্কা আছে।
গত এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী—চীনের হিকভিশন, শাওমি ও দাহুয়া, দক্ষিণ কোরিয়ার হানওয়া এবং আমেরিকার মটোরোলা সলিউশনসের মতো সংস্থাগুলোকে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটিতে সিসি ক্যামেরা বিক্রি করার আগে সরকারি পরীক্ষাগারে জমা দিতে হবে। এই নীতি ৯ এপ্রিলের পর থেকে তৈরি বা আমদানি করা সব ইন্টারনেট সংযুক্ত সিসিটিভি মডেলের জন্য প্রযোজ্য।
ভারতে ২০১৫-২০১৯ সাল পর্যন্ত সাইবার নিরাপত্তা প্রধানের দায়িত্ব পালন করা গুলশান রাই রয়টার্সকে বলেন, ‘গুপ্তচরবৃত্তির ঝুঁকি সব সময়ই থাকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিপজ্জনক অবস্থানে বসে যে কেউ ইন্টারনেট-সংযুক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাই সেগুলোকে অবশ্যই শক্তিশালী এবং সুরক্ষিত হতে হবে।’
সরকারি কার্যবিবরণী অনুযায়ী, ৩ এপ্রিল ভারতীয় কর্মকর্তারা হানওয়া, মটোরোলা, দাহুয়া, হানিওয়েল এবং শাওমিসহ ১৭টি বিদেশি ও দেশীয় নজরদারি সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে অনেক প্রস্তুতকারক সংস্থা জানায়, তারা নতুন বিধির শর্তগুলো পূরণ করতে প্রস্তুত নয় এবং সময়সীমা পেছানোর তদবির করলেও তা ব্যর্থ হয়।
অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে ভারত সরকার জানায়, এই নীতি ‘একটি প্রকৃত নিরাপত্তা সমস্যার সমাধান করছে’ এবং এটি অবশ্যই কার্যকর করতে হবে। গত বছরের ডিসেম্বরে দেশটি জানিয়েছিল, সিসিটিভি সংক্রান্ত এই নিয়মের লক্ষ্য হলো—‘দেশের নজরদারি ব্যবস্থার গুণমান এবং সাইবার নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা।’
রয়টার্সের এই প্রতিবেদনটি কয়েক ডজন নথি পর্যালোচনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রস্তুতকারক এবং ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক ও ই-মেইলের রেকর্ড এবং ভারতের এই প্রযুক্তি নিরীক্ষার উদ্যোগের সঙ্গে পরিচিত ছয়জনের সাক্ষাৎকার অন্তর্ভুক্ত।
ক্যামেরা প্রস্তুতকারকেরা জানিয়েছেন, ভারতের অপর্যাপ্ত পরীক্ষার সক্ষমতা, দীর্ঘ সময় ধরে চলা কারখানা পরিদর্শন এবং সংবেদনশীল সোর্স কোডের সরকারি যাচাই-বাছাই দেশটিতে সিসিটিভি ক্যামের বাজারজাতকরণের অনুমোদনে দেরি করিয়েছে। এর ফলে অনির্দিষ্ট পরিকাঠামো ও বাণিজ্যিক প্রকল্পগুলি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। হানওয়ার দক্ষিণ এশিয়ার অধিকর্তা অজয় দুবে ৯ এপ্রিল ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে এক ই-মেইলে জানান, এমনটা হলে ‘শিল্পক্ষেত্রের লাখ লাখ ডলার ক্ষতি হবে, যা বাজারে কম্পন সৃষ্টি করবে।’
ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ৩ এপ্রিল কর্মকর্তাদের জানিয়েছিল, তারা আরও বেশি পরীক্ষাগারকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ বাড়াতে ভারতের শহর, অফিস এবং আবাসিক কমপ্লেক্সগুলোতে লাখ লাখ সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নয়াদিল্লিতে ২ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি ক্যামেরা রয়েছে, যার বেশির ভাগই গুরুত্বপূর্ণ স্থানে খুঁটিতে লাগানো।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের বিশ্লেষক বরুণ গুপ্ত রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এই দ্রুত অগ্রগতি ভারতের নজরদারি ক্যামেরার বাজারকে গত বছরের সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করবে। গুপ্ত আরও জানান, চীনের হিকভিশন এবং দাহুয়া বাজারের ৩০ শতাংশ দখল করে আছে। অবশ্য ভারতের সিপি প্লাসের শেয়ার ৪৮ শতাংশ। তিনি আরও যোগ করেন, প্রায় ৮০ শতাংশ সিসিটিভি যন্ত্রাংশ চীন থেকে আসে।
হানওয়া, মটোরোলা সলিউশনস এবং ব্রিটেনের নর্ডেন কমিউনিকেশন এপ্রিলে নিজ নিজ কর্মকর্তাদের ই-মেইলের মাধ্যমে জানায়, ৬ হাজার ক্যামেরা মডেলের ১ শতাংশেরও কম ভারতের নতুন নিয়মের অধীনে অনুমোদিত হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ২০২২ সালে হিকভিশন এবং দাহুয়ার সরঞ্জাম বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়। কারণ হিসেবে ওয়াশিংটন জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেছিল। ব্রিটেন-অস্ট্রেলিয়াও চীনের তৈরি ডিভাইসের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এই পথে হাঁটছে ভারতও। ভারতের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, একইভাবে, সিসিটিভি ক্যামেরার ক্ষেত্রে ভারতকে ‘নিশ্চিত হতে হবে যে, এই ডিভাইসগুলোতে কী ব্যবহৃত হচ্ছে, কোন চিপগুলো যাচ্ছে। কারণ, চীন আমাদের উদ্বেগের একটি অংশ।’
চীনের নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী বাণিজ্যিক কোম্পানিগুলোকেও রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা কাজে সহযোগিতা করতে হয়। রয়টার্স এ মাসে জানিয়েছে, মার্কিন বিশেষজ্ঞরা কিছু চীনা সৌরবিদ্যুৎ ইনভার্টার পরীক্ষা করে তাতে গোপন যোগাযোগের সরঞ্জাম খুঁজে পেয়েছেন।
২০২০ সালে ভারতীয় ও চীনা বাহিনী সীমান্তে সংঘর্ষে লিপ্ত হলে ভারত জাতীয় নিরাপত্তার কারণে টিকটকসহ কয়েক ডজন চীনা মালিকানাধীন অ্যাপ নিষিদ্ধ করে। নিজের সঙ্গে সীমান্ত আছে ভারত এমন দেশগুলোর জন্যও বিদেশি বিনিয়োগের নিয়মও কঠোর করেছে। গত বছর লেবাননে পেজারের সিরিজ বিস্ফোরণ প্রযুক্তি ডিভাইসের সম্ভাব্য অপব্যবহার এবং সিসিটিভি সরঞ্জামগুলোর পরীক্ষা দ্রুত কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ভারতীয় উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তোলে বলে জানান ওই শীর্ষ ভারতীয় কর্মকর্তা।
গত মাসে শাওমি জানায়, তারা ভারতে তাদের সরবরাহ করা সিসিটিভি ডিভাইস পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু ভারতীয় কর্মকর্তারা জানায়, শাওমি এই মূল্যায়ন এগিয়ে নিতে পারবে না। কারণ, ‘অভ্যন্তরীণ নির্দেশিকা’ অনুযায়ী চীনে শাওমি যে দুটি প্রস্তুতকারক কোম্পানিকে দিয়ে তাদের পণ্য তৈরি করায় তাদের বিষয়ে দিল্লিকে আরও বেশি তথ্য দিতে হবে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রয়টার্সকে জানিয়েছে, তারা ‘চীনা কোম্পানিগুলোকে কলঙ্কিত ও দমন করার জন্য জাতীয় নিরাপত্তার ধারণার সাধারণীকরণের’ বিরোধিতা করে এবং আশা করে যে, ভারত চীনা সংস্থাগুলোর জন্য একটি বৈষম্যহীন পরিবেশ নিশ্চিত করবে।
কাউন্টারপয়েন্টের মতে, ভারতে সিসিটিভি চাহিদার ২৭ শতাংশই সরকারি খাতের এবং বাকি ৭৩ শতাংশ করপোরেট ক্লায়েন্ট, শিল্প এবং অন্যান্য সংস্থা এবং বাড়ির জন্য। ভারতের নতুন নিয়ম অনুযায়ী সিসিটিভি ক্যামেরায় টেম্পার-প্রুফ ঘের থাকতে হবে। পাশাপাশি শক্তিশালী ম্যালওয়্যার শনাক্তকরণ এবং এনক্রিপশন থাকতে হবে। সিসি ক্যামেরা প্রস্তুতকারক দুটি কোম্পানি দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উৎপাদক সংস্থাগুলোকে সোর্স কোড পরীক্ষা করার সফটওয়্যার সরঞ্জাম পরিচালনা করতে হবে এবং সরকারি পরীক্ষাগারে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
নতুন নিয়ম ভারতের পরীক্ষাগারগুলোকে উৎপাদক কোম্পানির কাছে সোর্স কোড চাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, এটি ভারতীয় কর্মকর্তাদের বিদেশে ডিভাইস প্রস্তুতকারকদের কারখানা পরিদর্শন এবং সাইবার দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য যেসব স্থাপনা আছে সেগুলোও পরিদর্শন করার ক্ষমতা দেয়।
চীনা কোম্পানি ইনফিনোভার ভারতীয় শাখা গত মাসে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে জানায়, এ ধরনের ‘প্রয়োজনীয়তা চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।’ ইনফিনোভার বিপণন কর্মকর্তা সুমিত চানানা ১০ এপ্রিল এক ই-মেইলে বলেন, ‘সোর্স কোড শেয়ারিং, ফার্মওয়্যার আপগ্রেডের পরে পুনরায় পরীক্ষা এবং একাধিক কারখানা নিরীক্ষার মতো প্রত্যাশাগুলো অভ্যন্তরীণ সময়সীমাকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে।’
একই দিনে তাইওয়ানভিত্তিক ভিভোটেকের ভারত শাখার কর্মকর্তা সঞ্জীব গুলাটি ভারতীয় কর্মকর্তাদের সতর্ক করে বলেন, এমনটা হলে ‘চলমান সব প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে।’ তিনি এ মাসে রয়টার্সকে জানান, ভিভোটেক পণ্যের আবেদন জমা দিয়েছে এবং আশা করছে ‘শিগগিরই ছাড়পত্র পাবে।’
ভারতে নজরদারি সরঞ্জাম পরীক্ষাকারী সংস্থা হলো স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন টেস্টিং অ্যান্ড কোয়ালিটি সার্টিফিকেশন ডিরেক্টরেট। এটি তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন। সংস্থাটির ১৫টি পরীক্ষাগার রয়েছে যা একসঙ্গে ২৮টি আবেদন পর্যালোচনা করতে পারে এবং প্রতি আবেদনে সর্বোচ্চ ১০টি পর্যন্ত মডেল যাচাই করানো যেতে পারে।
সরকারি তথ্য বলছে, আজ ২৮ মে পর্যন্ত বিভিন্ন প্রস্তুতকারকের শত শত মডেল পরীক্ষার জন্য সংস্থাটিতে ৩৪২টি আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩৭টি নতুন। এর মধ্যে ৩৫ টির পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, যার মধ্যে শুধু একটি বিদেশি সংস্থার। ভারতের সিপি প্লাস রয়টার্সকে জানিয়েছে, তারা তাদের ফ্ল্যাগশিপ ক্যামেরাগুলোর ছাড়পত্র পেয়েছে তবে আরও বেশ কয়েকটি মডেল ছাড়পত্রের অপেক্ষায় রয়েছে।
দাহুয়া বলেছে, তারাও পরীক্ষার জন্য ডিভাইস জমা দিয়েছে, কিন্তু ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত পণ্যগুলোর ‘ব্যবসায়িক ধারাবাহিকতা’ বজায় রাখার অনুমতি দিতে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে—ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের ওপর আইএসআইএসের হামলার জবাব আমরা দেব। যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর আবারও হামলা হয় সেটার জবাও আমরা দেব।’
এর আগে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকেন্দ্রিক কমান্ড ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, আইসিসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। সেন্টকম আরও বলেছে, ‘বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল। সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়। সানা আরও জানায়, আহত ব্যক্তিদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে—ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের ওপর আইএসআইএসের হামলার জবাব আমরা দেব। যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর আবারও হামলা হয় সেটার জবাও আমরা দেব।’
এর আগে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকেন্দ্রিক কমান্ড ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, আইসিসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। সেন্টকম আরও বলেছে, ‘বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল। সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়। সানা আরও জানায়, আহত ব্যক্তিদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

বিশ্বজুড়ে নজরদারি সরঞ্জাম উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো সম্প্রতি ভারত সরকারের নতুন নিরাপত্তা বিধি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে। নতুন নিয়মে সিসিটিভি ক্যামেরা প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোকে তাদের হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং সোর্স কোড ভারতের সরকারি পরীক্ষাগারে মূল্যায়নের জন্য জমা দিতে হবে। সরকারি নথি এবং সংস্থার...
২৮ মে ২০২৫
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই আইভি লীগ ক্যাম্পাসে শনিবার যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।
রোড আইল্যান্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও পলাতক। তারা হামলাকারীকে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করেছেন, যিনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্মাইলি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা প্রতিক্রিয়াকারীদের কাছে ৯১১ কল আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পারে। স্মাইলি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আজ বিকেলে দুইজন ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, যদিও তারা রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এই আঘাত বা হতাহতের খবর জানি। তবে যেমনটি আমি উল্লেখ করেছি—এবং জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ—এই সংখ্যাগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’
চলমান তদন্তের ওপর জোর দিয়ে স্মাইলি নিহতদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাক্সটন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি এমন একটি দিন যা আমরা আশা করেছিলাম যেন আমাদের সম্প্রদায়ে কখনও না আসে। এটি আমাদের সকলের জন্য গভীরভাবে হৃদয়বিদারক।’ তিনি ক্যাম্পাসের সবাইকে সতর্ক থাকার এবং লকডাউন প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো সমস্ত দরজা তালাবদ্ধ রাখা এবং ক্যাম্পাস জুড়ে কোনো চলাচল না করা নিশ্চিত করা।’
শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম জরুরি সতর্কতা জারি করে জানায়, বারাস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে একজন বন্দুকধারী রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সতর্কবার্তায় বলে, ‘দরজা লক করুন, ফোন নীরব করুন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকুন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন—দৌড়ান, যদি আপনি আক্রান্ত স্থানে থাকেন তবে নিরাপদে সরে যান; লুকান, যদি সরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আড়াল নিন; প্রতিরোধ করুন, শেষ অবলম্বন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন।’
প্রভিডেন্সের পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ও’হারা বলেন, ‘তারা ভবনটিতে পদ্ধতিগতভাবে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে সে সময় কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা সেই ভবনটি খালি করতে সক্ষম হন এবং সেই ভবনের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে দেন।’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন কীভাবে ভবনে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সে হোপ স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় সময় ৫ টা ২৭ মিনিটে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি জানায়, গভর্নর স্ট্রিটের কাছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্স ল্যাব থেকে প্রায় দুটি ব্লক দূরে, গুলি চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না, কারণ অনলাইনে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছিল।
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাথমিক ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল যে, একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা লিখেছিল, ’পুলিশের হেফাজতে কোনো সন্দেহভাজন নেই এবং তারা সন্দেহভাজনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’
স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর ফেডারেল এজেন্টরাও যোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই আইভি লীগ ক্যাম্পাসে শনিবার যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।
রোড আইল্যান্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও পলাতক। তারা হামলাকারীকে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করেছেন, যিনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্মাইলি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা প্রতিক্রিয়াকারীদের কাছে ৯১১ কল আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পারে। স্মাইলি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আজ বিকেলে দুইজন ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, যদিও তারা রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এই আঘাত বা হতাহতের খবর জানি। তবে যেমনটি আমি উল্লেখ করেছি—এবং জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ—এই সংখ্যাগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’
চলমান তদন্তের ওপর জোর দিয়ে স্মাইলি নিহতদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাক্সটন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি এমন একটি দিন যা আমরা আশা করেছিলাম যেন আমাদের সম্প্রদায়ে কখনও না আসে। এটি আমাদের সকলের জন্য গভীরভাবে হৃদয়বিদারক।’ তিনি ক্যাম্পাসের সবাইকে সতর্ক থাকার এবং লকডাউন প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো সমস্ত দরজা তালাবদ্ধ রাখা এবং ক্যাম্পাস জুড়ে কোনো চলাচল না করা নিশ্চিত করা।’
শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম জরুরি সতর্কতা জারি করে জানায়, বারাস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে একজন বন্দুকধারী রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সতর্কবার্তায় বলে, ‘দরজা লক করুন, ফোন নীরব করুন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকুন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন—দৌড়ান, যদি আপনি আক্রান্ত স্থানে থাকেন তবে নিরাপদে সরে যান; লুকান, যদি সরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আড়াল নিন; প্রতিরোধ করুন, শেষ অবলম্বন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন।’
প্রভিডেন্সের পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ও’হারা বলেন, ‘তারা ভবনটিতে পদ্ধতিগতভাবে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে সে সময় কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা সেই ভবনটি খালি করতে সক্ষম হন এবং সেই ভবনের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে দেন।’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন কীভাবে ভবনে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সে হোপ স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় সময় ৫ টা ২৭ মিনিটে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি জানায়, গভর্নর স্ট্রিটের কাছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্স ল্যাব থেকে প্রায় দুটি ব্লক দূরে, গুলি চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না, কারণ অনলাইনে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছিল।
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাথমিক ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল যে, একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা লিখেছিল, ’পুলিশের হেফাজতে কোনো সন্দেহভাজন নেই এবং তারা সন্দেহভাজনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’
স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর ফেডারেল এজেন্টরাও যোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

বিশ্বজুড়ে নজরদারি সরঞ্জাম উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো সম্প্রতি ভারত সরকারের নতুন নিরাপত্তা বিধি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে। নতুন নিয়মে সিসিটিভি ক্যামেরা প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোকে তাদের হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং সোর্স কোড ভারতের সরকারি পরীক্ষাগারে মূল্যায়নের জন্য জমা দিতে হবে। সরকারি নথি এবং সংস্থার...
২৮ মে ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গতকাল শনিবারের এই হামলায় ৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।
হামাস কোনো বিবৃতিতে রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, গাজা সিটির বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে আঘাত হানা হয়েছে এবং এটিকে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, এই কমান্ডার হামাসের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন, যা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলার অন্যতম স্থপতি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
যদি সাদ নিহত হন, তবে চলতি বছরের অক্টোবরে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি হবে হামাসের একজন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ-পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড। এক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাদকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী বাহিনীর প্রধান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
হামাসের সূত্রগুলো তাকে ইজ আল-দিন আল-হাদ্দাদের পরে এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-কমান্ডার হিসেবেও বর্ণনা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাদ হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলোর মধ্যে একটি।
ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি মোড়ে একটি গাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা জানায়নি এবং স্পষ্ট নয় যে এই হামলাটিই সেই হামলা কি না, যেখানে কথিত হামাসের সদস্য নিহত হয়েছিলেন।
গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা প্রায় ৮০০ বার পৌঁছেছে এবং কমপক্ষে ৩৮৬ জনকে হত্যা করেছে, যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল এখনো ছিটমহলটিতে বেশির ভাগ সাহায্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা, জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, অর্থাৎ দখলদার শক্তি হিসেবে এর বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গতকাল শনিবারের এই হামলায় ৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।
হামাস কোনো বিবৃতিতে রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, গাজা সিটির বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে আঘাত হানা হয়েছে এবং এটিকে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, এই কমান্ডার হামাসের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন, যা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলার অন্যতম স্থপতি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
যদি সাদ নিহত হন, তবে চলতি বছরের অক্টোবরে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি হবে হামাসের একজন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ-পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড। এক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাদকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী বাহিনীর প্রধান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
হামাসের সূত্রগুলো তাকে ইজ আল-দিন আল-হাদ্দাদের পরে এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-কমান্ডার হিসেবেও বর্ণনা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাদ হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলোর মধ্যে একটি।
ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি মোড়ে একটি গাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা জানায়নি এবং স্পষ্ট নয় যে এই হামলাটিই সেই হামলা কি না, যেখানে কথিত হামাসের সদস্য নিহত হয়েছিলেন।
গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা প্রায় ৮০০ বার পৌঁছেছে এবং কমপক্ষে ৩৮৬ জনকে হত্যা করেছে, যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল এখনো ছিটমহলটিতে বেশির ভাগ সাহায্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা, জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, অর্থাৎ দখলদার শক্তি হিসেবে এর বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে।

বিশ্বজুড়ে নজরদারি সরঞ্জাম উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো সম্প্রতি ভারত সরকারের নতুন নিরাপত্তা বিধি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে। নতুন নিয়মে সিসিটিভি ক্যামেরা প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোকে তাদের হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং সোর্স কোড ভারতের সরকারি পরীক্ষাগারে মূল্যায়নের জন্য জমা দিতে হবে। সরকারি নথি এবং সংস্থার...
২৮ মে ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।
সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।
আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।
সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।
আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

বিশ্বজুড়ে নজরদারি সরঞ্জাম উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো সম্প্রতি ভারত সরকারের নতুন নিরাপত্তা বিধি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে। নতুন নিয়মে সিসিটিভি ক্যামেরা প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোকে তাদের হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং সোর্স কোড ভারতের সরকারি পরীক্ষাগারে মূল্যায়নের জন্য জমা দিতে হবে। সরকারি নথি এবং সংস্থার...
২৮ মে ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে