আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতে নারী ও পুরুষের ক্যানসার আক্রান্ত ও মৃত্যুহারে দেখা যাচ্ছে অদ্ভুত এক বৈপরীত্য। দেশটিতে নারীরা বেশি ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন কিন্তু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি।
দেশের সর্বশেষ ক্যানসার রেজিস্ট্রির একটি সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। সমীক্ষাটিতে দেখা গেছে, নতুন ক্যানসার আক্রান্তদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি নারী, অথচ ক্যানসারে মৃতদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যাই বেশি।
বিশ্বের গড় পরিস্থিতি থেকে ভারত এখানে ব্যতিক্রমী। ওয়ার্ল্ড ক্যানসার রিসার্চ ফান্ডের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে গড়ে প্রায় ১৯৭ জন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে পুরুষের হার ছিল বেশি। যেখানে প্রতি এক লাখ পুরুষের মধ্যে ২১২ জন ক্যানসার আক্রান্ত, সেখানে ১ লাখ নারীর মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৮৬।
ওই বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ২ কোটি মানুষের ক্যানসার ধরা পড়ে। যার মধ্যে পুরুষ প্রায় এক কোটি তিন লাখ এবং নারী প্রায় ৯৭ লাখ। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাব্য ঝুঁকি নারী ও পুরুষদের মধ্যে প্রায় সমান।
ভারতে নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় স্তন, জরায়ু এবং ডিম্বাশয়ের ক্যানসার। নারী ক্যানসার রোগীদের মধ্যে ৪০ শতাংশ স্তন এবং জরায়ুর ক্যানসারে আক্রান্ত।
জরায়ুমুখ ক্যানসারের প্রধান কারণ হিসেবে মানব প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি)-এর মতো সংক্রমণকে দায়ী করা হলেও স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যানসার সাধারণত হরমোন-সম্পর্কিত কারণে বাড়ে। হরমোনজনিত এই ক্যানসার বাড়ার পেছনে জীবনযাত্রার পরিবর্তনও জড়িত। যার মধ্যে রয়েছে—বেশি বয়সে গর্ভধারণ, কম স্তন্যপান করানো, স্থূলতা এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন।
অন্যদিকে, পুরুষদের মধ্যে মুখগহ্বর, ফুসফুস ও প্রোস্টেট ক্যানসারই বেশি দেখা যায়। পুরুষদের প্রতিরোধযোগ্য ক্যানসারের ৪০ শতাংশ হয় তামাক সেবনের কারণে, যার মধ্যে মুখগহ্বর ও ফুসফুস ক্যানসার সবচেয়ে বেশি।
এ কারণে প্রশ্ন উঠছে ভারতে এমনটা কেন ঘটছে? এর কারণ কি নারীদের ক্যানসার আগে ধরা পড়া? না কি পুরুষদের যে ধরনের ক্যানসার হয় সেগুলো প্রকৃতিগতভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে? নাকি ধূমপান ও তামাক চিবানোর মতো অভ্যাস তাদের মৃত্যুঝুঁকি বাড়াচ্ছে? নাকি পুরুষ ও নারীর মধ্যে চিকিৎসা-সুবিধা, সচেতনতা ও সেবাপ্রাপ্তির পার্থক্যেও কি উত্তর লুকিয়ে আছে?
বলা হচ্ছে, সচেতনতামূলক প্রচার এবং উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার কারণে নারীদের সাধারণত যে ক্যানসারগুলো দেখা যায়, সেগুলো প্রায়শই আগে শনাক্ত করা যায়।
ক্যানসার সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর উপাদানের সংস্পর্শে আসা থেকে শুরু করে রোগ শনাক্ত হওয়া পর্যন্ত সময়ের ব্যবধান বেশি হওয়ায়, এই ধরনের ক্যানসার চিকিৎসায় ভালো করা সম্ভব হয়।
এ কারণে, নারীদের মধ্যে ক্যানসারে মৃত্যুহারও তুলনামূলক কম।
অন্যদিকে পুরুষদের অবস্থা তুলনামূলক খারাপ। তাদের ক্যানসারগুলো সাধারণত জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত। পুরুষদের তামাক সেবন ও মদ্যপানের কারণে ফুসফুস ও মুখের ক্যানসার হয়। এ ধরনের ক্যানসার অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং চিকিৎসায় ভালো হওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে।
আর পুরুষেরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো বা দ্রুত চিকিৎসা নিতে চিকিৎসকের কাছে যেতে তেমন আগ্রহী হয় না। যার ফলে ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা নারীদের তুলনায় কম হলেও পুরুষদের মধ্যে মৃত্যুহার এবং জটিলতা বেশি।
এ প্রসঙ্গে ক্যানসার বিশেষজ্ঞ এবং নন-প্রফিট সংস্থা সেন্টার ফর হেলথ ইনোভেশন অ্যান্ড পলিসি (সিএইচআইপি) ফাউন্ডেশনের প্রধান রবি মেহরোত্রা বলেন, ‘নারীস্বাস্থ্য এখন জনস্বাস্থ্য প্রচারণার বড় একটি অগ্রাধিকার হয়ে উঠেছে, যা একদিকে সুফল বয়ে আনলেও অন্যদিকে পুরুষদের ক্ষেত্রে ঘাটতি তৈরি করছে। বেশি সচেতনতা ও নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ের কারণে নারীদের ক্যানসার আগেভাগেই শনাক্ত হয়। কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে আলোচনা সচরাচর তামাক ও মুখগহ্বর ক্যানসারের বাইরে যায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘নারীরা প্রজনন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কোনো না কোনো সময়ে চিকিৎসকের কাছে যান। কিন্তু অনেক পুরুষই আছেন, যারা হয়তো জীবনে কখনো চিকিৎসকের কাছে যাননি।’
সংখ্যাগুলো খতিয়ে দেখলে ক্যানসারের আসল চিত্র স্পষ্ট হয়। ভারতে এ রোগের মাত্রা অঞ্চলভেদে অসমভাবে ছড়িয়ে রয়েছে, তেমনি ভিন্ন ভিন্ন ক্যানসারেও পার্থক্য স্পষ্ট।
দেশজুড়ে ৪৩টি রেজিস্ট্রির তথ্য বলছে, ভারতে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১১ জনের জীবদ্দশায় কোনো না কোনো সময়ে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। শুধু ২০২৪ সালেই দেশে আনুমানিক ১৫ লাখ ৬০ হাজার নতুন ক্যানসার শনাক্ত এবং ৮ লাখ ৭৪ হাজার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
দুর্গম ও পাহাড়ি উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভারতের ক্যানসারের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত। মিজোরামের আইজল জেলায় ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি জাতীয় গড়ের চেয়ে দ্বিগুণ। চিকিৎসকেরা বলছেন, এর বেশিরভাগই জীবনযাত্রার কারণে ঘটে।
আসামের কাছাড় ক্যানসার হাসপাতাল এবং গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান আর. রবি কান্নান বলেন, ‘উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর বেশিরভাগ ক্যানসারের মূল কারণ জীবনযাত্রার ধরন। এ এলাকার মানুষ প্রচুর তামাক সেবন করে। যা দেশের অন্য যেকোনো অঞ্চলের চেয়ে অনেক বেশি।’
ড. কান্নান আরও বলেন, ‘আসামের বরাক ভ্যালিতে মূলত পান-গুটখা চিবানো প্রচলিত, আর এর ২৫ কিলোমিটার দূরের মিজোরামে সিগারেট বা ধূমপান বেশি। আর মদ্যপান, সুপারি খাওয়া তো আছেই। আবার অঞ্চলভেদে মাংস রান্নার ধরনও শরীরে প্রভাব ফেলে। খাদ্যাভ্যাস ও রান্নার ধরনই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এখানে কোনো বিশেষ ক্যানসার-সৃষ্টিকারী জিন নেই। বংশগত ক্যানসারের হারও ভারতের অন্য অংশগুলোর চেয়ে এখানে বেশি নয়।’
তবে ক্যানসারের এই প্রবণতা শুধু উত্তর-পূর্বেই সীমাবদ্ধ নয়। ভারত শাসিত কাশ্মীরের শ্রীনগর পুরুষদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যানসারের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে, আর দক্ষিণের হায়দরাবাদ স্তন ক্যানসারে এগিয়ে আছে। বয়সজনিত পার্থক্য বিবেচনা করার পরেও, রাজধানী দিল্লির পুরুষদের মধ্যে সব ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার অন্যান্য অঞ্চলের পুরুষদের তুলনায় বেশি।
মুখের ক্যানসারের ক্ষেত্রে দেশের ১৪টি জনসংখ্যাভিত্তিক রেজিস্ট্রি পুরুষদের মধ্যে এবং চারটি নারীদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির তথ্য জানিয়েছে।
ভারতের এই ঝুঁকির চিত্র আসলে বৃহত্তর এক বাস্তবতারই প্রতিফলন। ক্যানসার একইসঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে সর্বজনীন আবার সবচেয়ে বৈষম্যমূলক রোগ। ভারতের রাজ্যভেদে যে বৈষম্য দেখা যায়, তা বৈশ্বিক বিভাজনের প্রতিচ্ছবি। যে বৈষম্য ভৌগোলিক অবস্থান, আয় এবং চিকিৎসার সুযোগের কারণে সৃষ্ট।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যমতে, ধনী দেশগুলোতে প্রতি ১২ জন নারীর মধ্যে একজন জীবদ্দশায় স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন, তবে তাদের মধ্যে মাত্র ৭১ জনে একজন এ রোগে মারা যান।
অন্যদিকে দরিদ্র দেশগুলোতে চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। প্রতি ২৭ জন নারীর মধ্যে একজন ক্যানসার শনাক্ত করার সুযোগ পান, কিন্তু মৃত্যুহার দাঁড়ায় প্রতি ৪৮ জনে একজনের।
আন্তর্জাতিক ক্যানসার গবেষণা সংস্থা (আইএআরসি)-এর ক্যানসার সার্ভেইলেন্স শাখার ডেপুটি প্রধান ইসাবেল সোরজোমাতারাম বলেন, ‘ম্ন মানব উন্নয়ন সূচক (এইচডিআই) সম্পন্ন দেশগুলোতে নারীদের স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা উচ্চ এইচডিআই দেশগুলোর নারীদের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম। কিন্তু দেরিতে রোগ নির্ণয় এবং মানসম্মত চিকিৎসার অপ্রতুলতার কারণে এই রোগে তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি।
এর বাইরেও রয়েছে নানা বৈষম্য। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির মতে, যুক্তরাষ্ট্রে নেটিভ আমেরিকানদের ক্যানসারে মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি। কিডনি, লিভার পাকস্থলী এবং জরায়ু ক্যানসারে তাদের মৃত্যুহার শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় দুই থেকে তিন গুণ বেশি। একইভাবে প্রোস্টেট, পাকস্থলি এবং জরায়ু ক্যানসারে কৃষ্ণাঙ্গদের মৃত্যুহার শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় দ্বিগুণ।
ভারতে ক্যানসারের বোঝা কেবল বাড়ছেই না, বরং এটি আরও জটিল হয়ে উঠছে। রেজিস্ট্রি থেকে পাওয়া তথ্য এক পরিবর্তনশীল সমাজের প্রতিফলন দেখাচ্ছে যেখানে দীর্ঘায়ু, জীবনযাত্রা এবং পরিবেশ স্বাস্থ্যের ঝুঁকিগুলোকে নতুনভাবে রূপ দিচ্ছে।
তবুও এই পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে অনেক প্রশ্নই অমীমাংসিত থেকে যাচ্ছে, যা সুনির্দিষ্ট প্রতিরোধ ব্যবস্থা, দ্রুত রোগ নির্ণয় এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার মতো অভ্যাস পরিবর্তনের জরুরি প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে।

ভারতে নারী ও পুরুষের ক্যানসার আক্রান্ত ও মৃত্যুহারে দেখা যাচ্ছে অদ্ভুত এক বৈপরীত্য। দেশটিতে নারীরা বেশি ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন কিন্তু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি।
দেশের সর্বশেষ ক্যানসার রেজিস্ট্রির একটি সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। সমীক্ষাটিতে দেখা গেছে, নতুন ক্যানসার আক্রান্তদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি নারী, অথচ ক্যানসারে মৃতদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যাই বেশি।
বিশ্বের গড় পরিস্থিতি থেকে ভারত এখানে ব্যতিক্রমী। ওয়ার্ল্ড ক্যানসার রিসার্চ ফান্ডের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে গড়ে প্রায় ১৯৭ জন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে পুরুষের হার ছিল বেশি। যেখানে প্রতি এক লাখ পুরুষের মধ্যে ২১২ জন ক্যানসার আক্রান্ত, সেখানে ১ লাখ নারীর মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৮৬।
ওই বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ২ কোটি মানুষের ক্যানসার ধরা পড়ে। যার মধ্যে পুরুষ প্রায় এক কোটি তিন লাখ এবং নারী প্রায় ৯৭ লাখ। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাব্য ঝুঁকি নারী ও পুরুষদের মধ্যে প্রায় সমান।
ভারতে নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় স্তন, জরায়ু এবং ডিম্বাশয়ের ক্যানসার। নারী ক্যানসার রোগীদের মধ্যে ৪০ শতাংশ স্তন এবং জরায়ুর ক্যানসারে আক্রান্ত।
জরায়ুমুখ ক্যানসারের প্রধান কারণ হিসেবে মানব প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি)-এর মতো সংক্রমণকে দায়ী করা হলেও স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যানসার সাধারণত হরমোন-সম্পর্কিত কারণে বাড়ে। হরমোনজনিত এই ক্যানসার বাড়ার পেছনে জীবনযাত্রার পরিবর্তনও জড়িত। যার মধ্যে রয়েছে—বেশি বয়সে গর্ভধারণ, কম স্তন্যপান করানো, স্থূলতা এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন।
অন্যদিকে, পুরুষদের মধ্যে মুখগহ্বর, ফুসফুস ও প্রোস্টেট ক্যানসারই বেশি দেখা যায়। পুরুষদের প্রতিরোধযোগ্য ক্যানসারের ৪০ শতাংশ হয় তামাক সেবনের কারণে, যার মধ্যে মুখগহ্বর ও ফুসফুস ক্যানসার সবচেয়ে বেশি।
এ কারণে প্রশ্ন উঠছে ভারতে এমনটা কেন ঘটছে? এর কারণ কি নারীদের ক্যানসার আগে ধরা পড়া? না কি পুরুষদের যে ধরনের ক্যানসার হয় সেগুলো প্রকৃতিগতভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে? নাকি ধূমপান ও তামাক চিবানোর মতো অভ্যাস তাদের মৃত্যুঝুঁকি বাড়াচ্ছে? নাকি পুরুষ ও নারীর মধ্যে চিকিৎসা-সুবিধা, সচেতনতা ও সেবাপ্রাপ্তির পার্থক্যেও কি উত্তর লুকিয়ে আছে?
বলা হচ্ছে, সচেতনতামূলক প্রচার এবং উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার কারণে নারীদের সাধারণত যে ক্যানসারগুলো দেখা যায়, সেগুলো প্রায়শই আগে শনাক্ত করা যায়।
ক্যানসার সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর উপাদানের সংস্পর্শে আসা থেকে শুরু করে রোগ শনাক্ত হওয়া পর্যন্ত সময়ের ব্যবধান বেশি হওয়ায়, এই ধরনের ক্যানসার চিকিৎসায় ভালো করা সম্ভব হয়।
এ কারণে, নারীদের মধ্যে ক্যানসারে মৃত্যুহারও তুলনামূলক কম।
অন্যদিকে পুরুষদের অবস্থা তুলনামূলক খারাপ। তাদের ক্যানসারগুলো সাধারণত জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত। পুরুষদের তামাক সেবন ও মদ্যপানের কারণে ফুসফুস ও মুখের ক্যানসার হয়। এ ধরনের ক্যানসার অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং চিকিৎসায় ভালো হওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে।
আর পুরুষেরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো বা দ্রুত চিকিৎসা নিতে চিকিৎসকের কাছে যেতে তেমন আগ্রহী হয় না। যার ফলে ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা নারীদের তুলনায় কম হলেও পুরুষদের মধ্যে মৃত্যুহার এবং জটিলতা বেশি।
এ প্রসঙ্গে ক্যানসার বিশেষজ্ঞ এবং নন-প্রফিট সংস্থা সেন্টার ফর হেলথ ইনোভেশন অ্যান্ড পলিসি (সিএইচআইপি) ফাউন্ডেশনের প্রধান রবি মেহরোত্রা বলেন, ‘নারীস্বাস্থ্য এখন জনস্বাস্থ্য প্রচারণার বড় একটি অগ্রাধিকার হয়ে উঠেছে, যা একদিকে সুফল বয়ে আনলেও অন্যদিকে পুরুষদের ক্ষেত্রে ঘাটতি তৈরি করছে। বেশি সচেতনতা ও নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ের কারণে নারীদের ক্যানসার আগেভাগেই শনাক্ত হয়। কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে আলোচনা সচরাচর তামাক ও মুখগহ্বর ক্যানসারের বাইরে যায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘নারীরা প্রজনন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কোনো না কোনো সময়ে চিকিৎসকের কাছে যান। কিন্তু অনেক পুরুষই আছেন, যারা হয়তো জীবনে কখনো চিকিৎসকের কাছে যাননি।’
সংখ্যাগুলো খতিয়ে দেখলে ক্যানসারের আসল চিত্র স্পষ্ট হয়। ভারতে এ রোগের মাত্রা অঞ্চলভেদে অসমভাবে ছড়িয়ে রয়েছে, তেমনি ভিন্ন ভিন্ন ক্যানসারেও পার্থক্য স্পষ্ট।
দেশজুড়ে ৪৩টি রেজিস্ট্রির তথ্য বলছে, ভারতে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১১ জনের জীবদ্দশায় কোনো না কোনো সময়ে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। শুধু ২০২৪ সালেই দেশে আনুমানিক ১৫ লাখ ৬০ হাজার নতুন ক্যানসার শনাক্ত এবং ৮ লাখ ৭৪ হাজার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
দুর্গম ও পাহাড়ি উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভারতের ক্যানসারের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত। মিজোরামের আইজল জেলায় ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি জাতীয় গড়ের চেয়ে দ্বিগুণ। চিকিৎসকেরা বলছেন, এর বেশিরভাগই জীবনযাত্রার কারণে ঘটে।
আসামের কাছাড় ক্যানসার হাসপাতাল এবং গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান আর. রবি কান্নান বলেন, ‘উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর বেশিরভাগ ক্যানসারের মূল কারণ জীবনযাত্রার ধরন। এ এলাকার মানুষ প্রচুর তামাক সেবন করে। যা দেশের অন্য যেকোনো অঞ্চলের চেয়ে অনেক বেশি।’
ড. কান্নান আরও বলেন, ‘আসামের বরাক ভ্যালিতে মূলত পান-গুটখা চিবানো প্রচলিত, আর এর ২৫ কিলোমিটার দূরের মিজোরামে সিগারেট বা ধূমপান বেশি। আর মদ্যপান, সুপারি খাওয়া তো আছেই। আবার অঞ্চলভেদে মাংস রান্নার ধরনও শরীরে প্রভাব ফেলে। খাদ্যাভ্যাস ও রান্নার ধরনই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এখানে কোনো বিশেষ ক্যানসার-সৃষ্টিকারী জিন নেই। বংশগত ক্যানসারের হারও ভারতের অন্য অংশগুলোর চেয়ে এখানে বেশি নয়।’
তবে ক্যানসারের এই প্রবণতা শুধু উত্তর-পূর্বেই সীমাবদ্ধ নয়। ভারত শাসিত কাশ্মীরের শ্রীনগর পুরুষদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যানসারের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে, আর দক্ষিণের হায়দরাবাদ স্তন ক্যানসারে এগিয়ে আছে। বয়সজনিত পার্থক্য বিবেচনা করার পরেও, রাজধানী দিল্লির পুরুষদের মধ্যে সব ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার অন্যান্য অঞ্চলের পুরুষদের তুলনায় বেশি।
মুখের ক্যানসারের ক্ষেত্রে দেশের ১৪টি জনসংখ্যাভিত্তিক রেজিস্ট্রি পুরুষদের মধ্যে এবং চারটি নারীদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির তথ্য জানিয়েছে।
ভারতের এই ঝুঁকির চিত্র আসলে বৃহত্তর এক বাস্তবতারই প্রতিফলন। ক্যানসার একইসঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে সর্বজনীন আবার সবচেয়ে বৈষম্যমূলক রোগ। ভারতের রাজ্যভেদে যে বৈষম্য দেখা যায়, তা বৈশ্বিক বিভাজনের প্রতিচ্ছবি। যে বৈষম্য ভৌগোলিক অবস্থান, আয় এবং চিকিৎসার সুযোগের কারণে সৃষ্ট।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যমতে, ধনী দেশগুলোতে প্রতি ১২ জন নারীর মধ্যে একজন জীবদ্দশায় স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন, তবে তাদের মধ্যে মাত্র ৭১ জনে একজন এ রোগে মারা যান।
অন্যদিকে দরিদ্র দেশগুলোতে চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। প্রতি ২৭ জন নারীর মধ্যে একজন ক্যানসার শনাক্ত করার সুযোগ পান, কিন্তু মৃত্যুহার দাঁড়ায় প্রতি ৪৮ জনে একজনের।
আন্তর্জাতিক ক্যানসার গবেষণা সংস্থা (আইএআরসি)-এর ক্যানসার সার্ভেইলেন্স শাখার ডেপুটি প্রধান ইসাবেল সোরজোমাতারাম বলেন, ‘ম্ন মানব উন্নয়ন সূচক (এইচডিআই) সম্পন্ন দেশগুলোতে নারীদের স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা উচ্চ এইচডিআই দেশগুলোর নারীদের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম। কিন্তু দেরিতে রোগ নির্ণয় এবং মানসম্মত চিকিৎসার অপ্রতুলতার কারণে এই রোগে তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি।
এর বাইরেও রয়েছে নানা বৈষম্য। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির মতে, যুক্তরাষ্ট্রে নেটিভ আমেরিকানদের ক্যানসারে মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি। কিডনি, লিভার পাকস্থলী এবং জরায়ু ক্যানসারে তাদের মৃত্যুহার শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় দুই থেকে তিন গুণ বেশি। একইভাবে প্রোস্টেট, পাকস্থলি এবং জরায়ু ক্যানসারে কৃষ্ণাঙ্গদের মৃত্যুহার শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় দ্বিগুণ।
ভারতে ক্যানসারের বোঝা কেবল বাড়ছেই না, বরং এটি আরও জটিল হয়ে উঠছে। রেজিস্ট্রি থেকে পাওয়া তথ্য এক পরিবর্তনশীল সমাজের প্রতিফলন দেখাচ্ছে যেখানে দীর্ঘায়ু, জীবনযাত্রা এবং পরিবেশ স্বাস্থ্যের ঝুঁকিগুলোকে নতুনভাবে রূপ দিচ্ছে।
তবুও এই পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে অনেক প্রশ্নই অমীমাংসিত থেকে যাচ্ছে, যা সুনির্দিষ্ট প্রতিরোধ ব্যবস্থা, দ্রুত রোগ নির্ণয় এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার মতো অভ্যাস পরিবর্তনের জরুরি প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতে নারী ও পুরুষের ক্যানসার আক্রান্ত ও মৃত্যুহারে দেখা যাচ্ছে অদ্ভুত এক বৈপরীত্য। দেশটিতে নারীরা বেশি ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন কিন্তু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি।
দেশের সর্বশেষ ক্যানসার রেজিস্ট্রির একটি সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। সমীক্ষাটিতে দেখা গেছে, নতুন ক্যানসার আক্রান্তদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি নারী, অথচ ক্যানসারে মৃতদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যাই বেশি।
বিশ্বের গড় পরিস্থিতি থেকে ভারত এখানে ব্যতিক্রমী। ওয়ার্ল্ড ক্যানসার রিসার্চ ফান্ডের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে গড়ে প্রায় ১৯৭ জন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে পুরুষের হার ছিল বেশি। যেখানে প্রতি এক লাখ পুরুষের মধ্যে ২১২ জন ক্যানসার আক্রান্ত, সেখানে ১ লাখ নারীর মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৮৬।
ওই বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ২ কোটি মানুষের ক্যানসার ধরা পড়ে। যার মধ্যে পুরুষ প্রায় এক কোটি তিন লাখ এবং নারী প্রায় ৯৭ লাখ। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাব্য ঝুঁকি নারী ও পুরুষদের মধ্যে প্রায় সমান।
ভারতে নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় স্তন, জরায়ু এবং ডিম্বাশয়ের ক্যানসার। নারী ক্যানসার রোগীদের মধ্যে ৪০ শতাংশ স্তন এবং জরায়ুর ক্যানসারে আক্রান্ত।
জরায়ুমুখ ক্যানসারের প্রধান কারণ হিসেবে মানব প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি)-এর মতো সংক্রমণকে দায়ী করা হলেও স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যানসার সাধারণত হরমোন-সম্পর্কিত কারণে বাড়ে। হরমোনজনিত এই ক্যানসার বাড়ার পেছনে জীবনযাত্রার পরিবর্তনও জড়িত। যার মধ্যে রয়েছে—বেশি বয়সে গর্ভধারণ, কম স্তন্যপান করানো, স্থূলতা এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন।
অন্যদিকে, পুরুষদের মধ্যে মুখগহ্বর, ফুসফুস ও প্রোস্টেট ক্যানসারই বেশি দেখা যায়। পুরুষদের প্রতিরোধযোগ্য ক্যানসারের ৪০ শতাংশ হয় তামাক সেবনের কারণে, যার মধ্যে মুখগহ্বর ও ফুসফুস ক্যানসার সবচেয়ে বেশি।
এ কারণে প্রশ্ন উঠছে ভারতে এমনটা কেন ঘটছে? এর কারণ কি নারীদের ক্যানসার আগে ধরা পড়া? না কি পুরুষদের যে ধরনের ক্যানসার হয় সেগুলো প্রকৃতিগতভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে? নাকি ধূমপান ও তামাক চিবানোর মতো অভ্যাস তাদের মৃত্যুঝুঁকি বাড়াচ্ছে? নাকি পুরুষ ও নারীর মধ্যে চিকিৎসা-সুবিধা, সচেতনতা ও সেবাপ্রাপ্তির পার্থক্যেও কি উত্তর লুকিয়ে আছে?
বলা হচ্ছে, সচেতনতামূলক প্রচার এবং উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার কারণে নারীদের সাধারণত যে ক্যানসারগুলো দেখা যায়, সেগুলো প্রায়শই আগে শনাক্ত করা যায়।
ক্যানসার সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর উপাদানের সংস্পর্শে আসা থেকে শুরু করে রোগ শনাক্ত হওয়া পর্যন্ত সময়ের ব্যবধান বেশি হওয়ায়, এই ধরনের ক্যানসার চিকিৎসায় ভালো করা সম্ভব হয়।
এ কারণে, নারীদের মধ্যে ক্যানসারে মৃত্যুহারও তুলনামূলক কম।
অন্যদিকে পুরুষদের অবস্থা তুলনামূলক খারাপ। তাদের ক্যানসারগুলো সাধারণত জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত। পুরুষদের তামাক সেবন ও মদ্যপানের কারণে ফুসফুস ও মুখের ক্যানসার হয়। এ ধরনের ক্যানসার অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং চিকিৎসায় ভালো হওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে।
আর পুরুষেরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো বা দ্রুত চিকিৎসা নিতে চিকিৎসকের কাছে যেতে তেমন আগ্রহী হয় না। যার ফলে ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা নারীদের তুলনায় কম হলেও পুরুষদের মধ্যে মৃত্যুহার এবং জটিলতা বেশি।
এ প্রসঙ্গে ক্যানসার বিশেষজ্ঞ এবং নন-প্রফিট সংস্থা সেন্টার ফর হেলথ ইনোভেশন অ্যান্ড পলিসি (সিএইচআইপি) ফাউন্ডেশনের প্রধান রবি মেহরোত্রা বলেন, ‘নারীস্বাস্থ্য এখন জনস্বাস্থ্য প্রচারণার বড় একটি অগ্রাধিকার হয়ে উঠেছে, যা একদিকে সুফল বয়ে আনলেও অন্যদিকে পুরুষদের ক্ষেত্রে ঘাটতি তৈরি করছে। বেশি সচেতনতা ও নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ের কারণে নারীদের ক্যানসার আগেভাগেই শনাক্ত হয়। কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে আলোচনা সচরাচর তামাক ও মুখগহ্বর ক্যানসারের বাইরে যায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘নারীরা প্রজনন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কোনো না কোনো সময়ে চিকিৎসকের কাছে যান। কিন্তু অনেক পুরুষই আছেন, যারা হয়তো জীবনে কখনো চিকিৎসকের কাছে যাননি।’
সংখ্যাগুলো খতিয়ে দেখলে ক্যানসারের আসল চিত্র স্পষ্ট হয়। ভারতে এ রোগের মাত্রা অঞ্চলভেদে অসমভাবে ছড়িয়ে রয়েছে, তেমনি ভিন্ন ভিন্ন ক্যানসারেও পার্থক্য স্পষ্ট।
দেশজুড়ে ৪৩টি রেজিস্ট্রির তথ্য বলছে, ভারতে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১১ জনের জীবদ্দশায় কোনো না কোনো সময়ে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। শুধু ২০২৪ সালেই দেশে আনুমানিক ১৫ লাখ ৬০ হাজার নতুন ক্যানসার শনাক্ত এবং ৮ লাখ ৭৪ হাজার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
দুর্গম ও পাহাড়ি উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভারতের ক্যানসারের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত। মিজোরামের আইজল জেলায় ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি জাতীয় গড়ের চেয়ে দ্বিগুণ। চিকিৎসকেরা বলছেন, এর বেশিরভাগই জীবনযাত্রার কারণে ঘটে।
আসামের কাছাড় ক্যানসার হাসপাতাল এবং গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান আর. রবি কান্নান বলেন, ‘উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর বেশিরভাগ ক্যানসারের মূল কারণ জীবনযাত্রার ধরন। এ এলাকার মানুষ প্রচুর তামাক সেবন করে। যা দেশের অন্য যেকোনো অঞ্চলের চেয়ে অনেক বেশি।’
ড. কান্নান আরও বলেন, ‘আসামের বরাক ভ্যালিতে মূলত পান-গুটখা চিবানো প্রচলিত, আর এর ২৫ কিলোমিটার দূরের মিজোরামে সিগারেট বা ধূমপান বেশি। আর মদ্যপান, সুপারি খাওয়া তো আছেই। আবার অঞ্চলভেদে মাংস রান্নার ধরনও শরীরে প্রভাব ফেলে। খাদ্যাভ্যাস ও রান্নার ধরনই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এখানে কোনো বিশেষ ক্যানসার-সৃষ্টিকারী জিন নেই। বংশগত ক্যানসারের হারও ভারতের অন্য অংশগুলোর চেয়ে এখানে বেশি নয়।’
তবে ক্যানসারের এই প্রবণতা শুধু উত্তর-পূর্বেই সীমাবদ্ধ নয়। ভারত শাসিত কাশ্মীরের শ্রীনগর পুরুষদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যানসারের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে, আর দক্ষিণের হায়দরাবাদ স্তন ক্যানসারে এগিয়ে আছে। বয়সজনিত পার্থক্য বিবেচনা করার পরেও, রাজধানী দিল্লির পুরুষদের মধ্যে সব ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার অন্যান্য অঞ্চলের পুরুষদের তুলনায় বেশি।
মুখের ক্যানসারের ক্ষেত্রে দেশের ১৪টি জনসংখ্যাভিত্তিক রেজিস্ট্রি পুরুষদের মধ্যে এবং চারটি নারীদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির তথ্য জানিয়েছে।
ভারতের এই ঝুঁকির চিত্র আসলে বৃহত্তর এক বাস্তবতারই প্রতিফলন। ক্যানসার একইসঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে সর্বজনীন আবার সবচেয়ে বৈষম্যমূলক রোগ। ভারতের রাজ্যভেদে যে বৈষম্য দেখা যায়, তা বৈশ্বিক বিভাজনের প্রতিচ্ছবি। যে বৈষম্য ভৌগোলিক অবস্থান, আয় এবং চিকিৎসার সুযোগের কারণে সৃষ্ট।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যমতে, ধনী দেশগুলোতে প্রতি ১২ জন নারীর মধ্যে একজন জীবদ্দশায় স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন, তবে তাদের মধ্যে মাত্র ৭১ জনে একজন এ রোগে মারা যান।
অন্যদিকে দরিদ্র দেশগুলোতে চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। প্রতি ২৭ জন নারীর মধ্যে একজন ক্যানসার শনাক্ত করার সুযোগ পান, কিন্তু মৃত্যুহার দাঁড়ায় প্রতি ৪৮ জনে একজনের।
আন্তর্জাতিক ক্যানসার গবেষণা সংস্থা (আইএআরসি)-এর ক্যানসার সার্ভেইলেন্স শাখার ডেপুটি প্রধান ইসাবেল সোরজোমাতারাম বলেন, ‘ম্ন মানব উন্নয়ন সূচক (এইচডিআই) সম্পন্ন দেশগুলোতে নারীদের স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা উচ্চ এইচডিআই দেশগুলোর নারীদের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম। কিন্তু দেরিতে রোগ নির্ণয় এবং মানসম্মত চিকিৎসার অপ্রতুলতার কারণে এই রোগে তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি।
এর বাইরেও রয়েছে নানা বৈষম্য। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির মতে, যুক্তরাষ্ট্রে নেটিভ আমেরিকানদের ক্যানসারে মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি। কিডনি, লিভার পাকস্থলী এবং জরায়ু ক্যানসারে তাদের মৃত্যুহার শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় দুই থেকে তিন গুণ বেশি। একইভাবে প্রোস্টেট, পাকস্থলি এবং জরায়ু ক্যানসারে কৃষ্ণাঙ্গদের মৃত্যুহার শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় দ্বিগুণ।
ভারতে ক্যানসারের বোঝা কেবল বাড়ছেই না, বরং এটি আরও জটিল হয়ে উঠছে। রেজিস্ট্রি থেকে পাওয়া তথ্য এক পরিবর্তনশীল সমাজের প্রতিফলন দেখাচ্ছে যেখানে দীর্ঘায়ু, জীবনযাত্রা এবং পরিবেশ স্বাস্থ্যের ঝুঁকিগুলোকে নতুনভাবে রূপ দিচ্ছে।
তবুও এই পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে অনেক প্রশ্নই অমীমাংসিত থেকে যাচ্ছে, যা সুনির্দিষ্ট প্রতিরোধ ব্যবস্থা, দ্রুত রোগ নির্ণয় এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার মতো অভ্যাস পরিবর্তনের জরুরি প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে।

ভারতে নারী ও পুরুষের ক্যানসার আক্রান্ত ও মৃত্যুহারে দেখা যাচ্ছে অদ্ভুত এক বৈপরীত্য। দেশটিতে নারীরা বেশি ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন কিন্তু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি।
দেশের সর্বশেষ ক্যানসার রেজিস্ট্রির একটি সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। সমীক্ষাটিতে দেখা গেছে, নতুন ক্যানসার আক্রান্তদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি নারী, অথচ ক্যানসারে মৃতদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যাই বেশি।
বিশ্বের গড় পরিস্থিতি থেকে ভারত এখানে ব্যতিক্রমী। ওয়ার্ল্ড ক্যানসার রিসার্চ ফান্ডের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে গড়ে প্রায় ১৯৭ জন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে পুরুষের হার ছিল বেশি। যেখানে প্রতি এক লাখ পুরুষের মধ্যে ২১২ জন ক্যানসার আক্রান্ত, সেখানে ১ লাখ নারীর মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৮৬।
ওই বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ২ কোটি মানুষের ক্যানসার ধরা পড়ে। যার মধ্যে পুরুষ প্রায় এক কোটি তিন লাখ এবং নারী প্রায় ৯৭ লাখ। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাব্য ঝুঁকি নারী ও পুরুষদের মধ্যে প্রায় সমান।
ভারতে নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় স্তন, জরায়ু এবং ডিম্বাশয়ের ক্যানসার। নারী ক্যানসার রোগীদের মধ্যে ৪০ শতাংশ স্তন এবং জরায়ুর ক্যানসারে আক্রান্ত।
জরায়ুমুখ ক্যানসারের প্রধান কারণ হিসেবে মানব প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি)-এর মতো সংক্রমণকে দায়ী করা হলেও স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যানসার সাধারণত হরমোন-সম্পর্কিত কারণে বাড়ে। হরমোনজনিত এই ক্যানসার বাড়ার পেছনে জীবনযাত্রার পরিবর্তনও জড়িত। যার মধ্যে রয়েছে—বেশি বয়সে গর্ভধারণ, কম স্তন্যপান করানো, স্থূলতা এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন।
অন্যদিকে, পুরুষদের মধ্যে মুখগহ্বর, ফুসফুস ও প্রোস্টেট ক্যানসারই বেশি দেখা যায়। পুরুষদের প্রতিরোধযোগ্য ক্যানসারের ৪০ শতাংশ হয় তামাক সেবনের কারণে, যার মধ্যে মুখগহ্বর ও ফুসফুস ক্যানসার সবচেয়ে বেশি।
এ কারণে প্রশ্ন উঠছে ভারতে এমনটা কেন ঘটছে? এর কারণ কি নারীদের ক্যানসার আগে ধরা পড়া? না কি পুরুষদের যে ধরনের ক্যানসার হয় সেগুলো প্রকৃতিগতভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে? নাকি ধূমপান ও তামাক চিবানোর মতো অভ্যাস তাদের মৃত্যুঝুঁকি বাড়াচ্ছে? নাকি পুরুষ ও নারীর মধ্যে চিকিৎসা-সুবিধা, সচেতনতা ও সেবাপ্রাপ্তির পার্থক্যেও কি উত্তর লুকিয়ে আছে?
বলা হচ্ছে, সচেতনতামূলক প্রচার এবং উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার কারণে নারীদের সাধারণত যে ক্যানসারগুলো দেখা যায়, সেগুলো প্রায়শই আগে শনাক্ত করা যায়।
ক্যানসার সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর উপাদানের সংস্পর্শে আসা থেকে শুরু করে রোগ শনাক্ত হওয়া পর্যন্ত সময়ের ব্যবধান বেশি হওয়ায়, এই ধরনের ক্যানসার চিকিৎসায় ভালো করা সম্ভব হয়।
এ কারণে, নারীদের মধ্যে ক্যানসারে মৃত্যুহারও তুলনামূলক কম।
অন্যদিকে পুরুষদের অবস্থা তুলনামূলক খারাপ। তাদের ক্যানসারগুলো সাধারণত জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত। পুরুষদের তামাক সেবন ও মদ্যপানের কারণে ফুসফুস ও মুখের ক্যানসার হয়। এ ধরনের ক্যানসার অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং চিকিৎসায় ভালো হওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে।
আর পুরুষেরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো বা দ্রুত চিকিৎসা নিতে চিকিৎসকের কাছে যেতে তেমন আগ্রহী হয় না। যার ফলে ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা নারীদের তুলনায় কম হলেও পুরুষদের মধ্যে মৃত্যুহার এবং জটিলতা বেশি।
এ প্রসঙ্গে ক্যানসার বিশেষজ্ঞ এবং নন-প্রফিট সংস্থা সেন্টার ফর হেলথ ইনোভেশন অ্যান্ড পলিসি (সিএইচআইপি) ফাউন্ডেশনের প্রধান রবি মেহরোত্রা বলেন, ‘নারীস্বাস্থ্য এখন জনস্বাস্থ্য প্রচারণার বড় একটি অগ্রাধিকার হয়ে উঠেছে, যা একদিকে সুফল বয়ে আনলেও অন্যদিকে পুরুষদের ক্ষেত্রে ঘাটতি তৈরি করছে। বেশি সচেতনতা ও নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ের কারণে নারীদের ক্যানসার আগেভাগেই শনাক্ত হয়। কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে আলোচনা সচরাচর তামাক ও মুখগহ্বর ক্যানসারের বাইরে যায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘নারীরা প্রজনন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কোনো না কোনো সময়ে চিকিৎসকের কাছে যান। কিন্তু অনেক পুরুষই আছেন, যারা হয়তো জীবনে কখনো চিকিৎসকের কাছে যাননি।’
সংখ্যাগুলো খতিয়ে দেখলে ক্যানসারের আসল চিত্র স্পষ্ট হয়। ভারতে এ রোগের মাত্রা অঞ্চলভেদে অসমভাবে ছড়িয়ে রয়েছে, তেমনি ভিন্ন ভিন্ন ক্যানসারেও পার্থক্য স্পষ্ট।
দেশজুড়ে ৪৩টি রেজিস্ট্রির তথ্য বলছে, ভারতে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১১ জনের জীবদ্দশায় কোনো না কোনো সময়ে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। শুধু ২০২৪ সালেই দেশে আনুমানিক ১৫ লাখ ৬০ হাজার নতুন ক্যানসার শনাক্ত এবং ৮ লাখ ৭৪ হাজার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
দুর্গম ও পাহাড়ি উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভারতের ক্যানসারের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত। মিজোরামের আইজল জেলায় ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি জাতীয় গড়ের চেয়ে দ্বিগুণ। চিকিৎসকেরা বলছেন, এর বেশিরভাগই জীবনযাত্রার কারণে ঘটে।
আসামের কাছাড় ক্যানসার হাসপাতাল এবং গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান আর. রবি কান্নান বলেন, ‘উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর বেশিরভাগ ক্যানসারের মূল কারণ জীবনযাত্রার ধরন। এ এলাকার মানুষ প্রচুর তামাক সেবন করে। যা দেশের অন্য যেকোনো অঞ্চলের চেয়ে অনেক বেশি।’
ড. কান্নান আরও বলেন, ‘আসামের বরাক ভ্যালিতে মূলত পান-গুটখা চিবানো প্রচলিত, আর এর ২৫ কিলোমিটার দূরের মিজোরামে সিগারেট বা ধূমপান বেশি। আর মদ্যপান, সুপারি খাওয়া তো আছেই। আবার অঞ্চলভেদে মাংস রান্নার ধরনও শরীরে প্রভাব ফেলে। খাদ্যাভ্যাস ও রান্নার ধরনই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এখানে কোনো বিশেষ ক্যানসার-সৃষ্টিকারী জিন নেই। বংশগত ক্যানসারের হারও ভারতের অন্য অংশগুলোর চেয়ে এখানে বেশি নয়।’
তবে ক্যানসারের এই প্রবণতা শুধু উত্তর-পূর্বেই সীমাবদ্ধ নয়। ভারত শাসিত কাশ্মীরের শ্রীনগর পুরুষদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যানসারের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে, আর দক্ষিণের হায়দরাবাদ স্তন ক্যানসারে এগিয়ে আছে। বয়সজনিত পার্থক্য বিবেচনা করার পরেও, রাজধানী দিল্লির পুরুষদের মধ্যে সব ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার অন্যান্য অঞ্চলের পুরুষদের তুলনায় বেশি।
মুখের ক্যানসারের ক্ষেত্রে দেশের ১৪টি জনসংখ্যাভিত্তিক রেজিস্ট্রি পুরুষদের মধ্যে এবং চারটি নারীদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির তথ্য জানিয়েছে।
ভারতের এই ঝুঁকির চিত্র আসলে বৃহত্তর এক বাস্তবতারই প্রতিফলন। ক্যানসার একইসঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে সর্বজনীন আবার সবচেয়ে বৈষম্যমূলক রোগ। ভারতের রাজ্যভেদে যে বৈষম্য দেখা যায়, তা বৈশ্বিক বিভাজনের প্রতিচ্ছবি। যে বৈষম্য ভৌগোলিক অবস্থান, আয় এবং চিকিৎসার সুযোগের কারণে সৃষ্ট।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যমতে, ধনী দেশগুলোতে প্রতি ১২ জন নারীর মধ্যে একজন জীবদ্দশায় স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন, তবে তাদের মধ্যে মাত্র ৭১ জনে একজন এ রোগে মারা যান।
অন্যদিকে দরিদ্র দেশগুলোতে চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। প্রতি ২৭ জন নারীর মধ্যে একজন ক্যানসার শনাক্ত করার সুযোগ পান, কিন্তু মৃত্যুহার দাঁড়ায় প্রতি ৪৮ জনে একজনের।
আন্তর্জাতিক ক্যানসার গবেষণা সংস্থা (আইএআরসি)-এর ক্যানসার সার্ভেইলেন্স শাখার ডেপুটি প্রধান ইসাবেল সোরজোমাতারাম বলেন, ‘ম্ন মানব উন্নয়ন সূচক (এইচডিআই) সম্পন্ন দেশগুলোতে নারীদের স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা উচ্চ এইচডিআই দেশগুলোর নারীদের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম। কিন্তু দেরিতে রোগ নির্ণয় এবং মানসম্মত চিকিৎসার অপ্রতুলতার কারণে এই রোগে তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি।
এর বাইরেও রয়েছে নানা বৈষম্য। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির মতে, যুক্তরাষ্ট্রে নেটিভ আমেরিকানদের ক্যানসারে মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি। কিডনি, লিভার পাকস্থলী এবং জরায়ু ক্যানসারে তাদের মৃত্যুহার শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় দুই থেকে তিন গুণ বেশি। একইভাবে প্রোস্টেট, পাকস্থলি এবং জরায়ু ক্যানসারে কৃষ্ণাঙ্গদের মৃত্যুহার শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় দ্বিগুণ।
ভারতে ক্যানসারের বোঝা কেবল বাড়ছেই না, বরং এটি আরও জটিল হয়ে উঠছে। রেজিস্ট্রি থেকে পাওয়া তথ্য এক পরিবর্তনশীল সমাজের প্রতিফলন দেখাচ্ছে যেখানে দীর্ঘায়ু, জীবনযাত্রা এবং পরিবেশ স্বাস্থ্যের ঝুঁকিগুলোকে নতুনভাবে রূপ দিচ্ছে।
তবুও এই পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে অনেক প্রশ্নই অমীমাংসিত থেকে যাচ্ছে, যা সুনির্দিষ্ট প্রতিরোধ ব্যবস্থা, দ্রুত রোগ নির্ণয় এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার মতো অভ্যাস পরিবর্তনের জরুরি প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে।

ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সম্প্রতি নেটওয়ার্ক ১৮-এর গ্রুপ এডিটর-ইন-চিফ রাহুল যোশীর সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারে বিহার বিধানসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং দেশের প্রতিরক্ষা খাতে স্বনির্ভরতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন তিনি।
২৮ মিনিট আগে
শুক্রবার ইস্তাম্বুলের প্রসিকিউটর অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই তালিকায় ৩৭ জনের নাম রয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ, জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামির। সম্পূর্ণ তালিকা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
২ ঘণ্টা আগে
ঐতিহাসিক এই অচলাবস্থার মধ্যে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার (এটিসি) ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় কর্মীরা বেতন ছাড়াই কাজ করে চলেছেন। তবে বেতন না পাওয়ায় কর্মীদের মধ্যে অসুস্থতা এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য অন্য কাজ খুঁজে নেওয়ার প্রবণতা বাড়ায় কর্মীদের উপস্থিতি মারাত্মকভাবে কমে গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের জন্য ভিসাপ্রার্থীদের মধ্যে যাঁদের ডায়াবেটিস বা স্থূলতার মতো স্বাস্থ্য সমস্যা আছে, তাঁদের আবেদন বাতিল হতে পারে—এমন একটি নির্দেশনা জারি করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) নতুন এ নির্দেশিকা জারি করে, যেখানে বল
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারত প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আরও ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। দিল্লি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের উত্তেজনা চায় না।
ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সম্প্রতি নেটওয়ার্ক ১৮-এর গ্রুপ এডিটর-ইন-চিফ রাহুল যোশীর সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারে বিহার বিধানসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং দেশের প্রতিরক্ষা খাতে স্বনির্ভরতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন তিনি।
ভারত প্রধানত পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কাজ করত, ভারতের সমস্যা ছিল পাকিস্তানের সঙ্গে। কিন্তু গালওয়ানের ঘটনার পর চীনের সঙ্গেও ভারতের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হলো। এখন বাংলাদেশ। তাহলে কি বলা যায় যে তিন দিকেই একধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়েছে? ভারতের জন্য কি তিনটি ফ্রন্ট খুলে গেছে? ভারত কীভাবে এর মোকাবিলা করবে?
এমন প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সামনে যত সমস্যা বা চ্যালেঞ্জ আসুক না কেন...সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা ভারতের আছে। আমরা প্রতিটি কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারি এবং সমাধান খুঁজে বের করতে পারি। তবে আমরা এমন মানুষ, যারা শান্তিতে বিশ্বাসী, আমরা অস্থিরতা চাই না। যদিও এর মানে এই নয় যে ভারত ভিতু। যদি ভারতের সার্বভৌমত্বের ক্ষতি হয়, তবে ভারত তার কঠিন জবাব দেবে। আমি শুধু এটুকুই বলতে চাই। আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোতেও পরিস্থিতি শান্ত এবং স্বাভাবিক থাকা উচিত, এটাই আমাদের ভাবনা। আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর কথা বলতে গেলে, আমরা তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। আমাদের নেতা অটল-জি (সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ি) বারবার বলতেন, আমাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে এবং মনে রাখতে হবে যে জীবনে আপনি বন্ধু পরিবর্তন করতে পারেন, কিন্তু আপনি কখনো আপনার প্রতিবেশীদের পরিবর্তন করতে পারেন না।’
প্রতিবেশী দেশ নিয়ে ভারতের অবস্থান সম্পর্কিত প্রশ্নে রাজনাথ সিং বলেন, চীনের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর কয়েকটি স্থানে উত্তেজনা হয়েছে। তিনি চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘চীন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আগ্রহী এবং সামরিক স্তরের বৈঠক চালিয়ে যেতে চায়।’
আফগানিস্তান-পাকিস্তানের মধ্যে ডুরান্ড লাইন নিয়ে চলমান বিরোধকে ভারত তাদের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে মনে করে উল্লেখ করে রাজনাথ সিং বলেন, ভারত তাদের মধ্যকার আলোচনায় হস্তক্ষেপ করতে চায় না। ভারত এই সংঘাতে উসকানি দিচ্ছে—পাকিস্তানের এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেও উড়িয়ে দেন তিনি।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা সফরের সময় এক পাকিস্তানি জেনারেলকে একটি মানচিত্রে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখিয়েছেন বলে দাবি করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। যদিও বাংলাদেশ সরকার এটি ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে। এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে রাজনাথ সিং বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
তিন দিকে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক ক্রমেই বৈরী ভাবাপন্ন হয়ে ওঠা নিয়ে রাজনাথ সিং বলেন, ‘ভারত সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সক্ষমতা রাখে। ভারত শান্তি চায়, তবে দেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হলে ভারত কড়া জবাব দেবে।’
বিহার নির্বাচন
বিহারের নির্বাচনী পরিবেশ প্রসঙ্গে রাজনাথ সিং জানান, জনসভাগুলোতে ভোটারদের সাড়া দেখে তিনি নিশ্চিত যে রাজ্যে এনডিএ সরকার গঠিত হবে। তাঁর অনুমান, এনডিএ জোট দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা (১৬০টির বেশি আসন) পেতে পারে।
তিনি স্পষ্ট করে দেন, যেহেতু এই নির্বাচন নিতীশ কুমারের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তাই তিনিই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন—এটা স্বাভাবিক। তবে উপমুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে ভবিষ্যতে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রাজনাথ সিং দাবি করেন, নিতীশ কুমারের শাসনে আইনশৃঙ্খলা বজায় থাকায় নারীরা খুশি। তিনি মনে করেন, ‘জীবিকা দিদি’ প্রকল্পের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং মদ নিষিদ্ধকরণ নারীদের ভোটকে এনডিএর দিকে টানতে প্রধান ভূমিকা রাখবে। মদ নিষিদ্ধে রাজস্ব ক্ষতির প্রশ্ন উঠলে তিনি বলেন, সামাজিক কুসংস্কার দূর করার জন্য সামান্য রাজস্ব ক্ষতি গ্রহণযোগ্য।
বিহার নির্বাচনে ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) নতুন দলকে ‘নগণ্য ফ্যাক্টর’ হিসেবে অভিহিত করে রাজনাথ সিং দাবি করেন, এই দল কোনো আসন জিততে পারবে না, এরা শুধু ভোট কাটার জন্য মাঠে নেমেছে।
‘অপারেশন সিঁদুর’ প্রসঙ্গে রাজনাথ সিং বলেন, ভারত কখনো যুদ্ধ চায় না। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ আসার পরই এই অভিযান স্থগিত করা হয়, কোনো আন্তর্জাতিক চাপের কারণে নয়।
বিজেপির পরবর্তী সভাপতি নির্বাচন প্রসঙ্গে রাজনাথ সিং বলেন, বিহার নির্বাচনের পরই দলের পরবর্তী সভাপতি ঘোষণা করা হবে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না বলেও দাবি করেন তিনি।

ভারত প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আরও ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। দিল্লি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের উত্তেজনা চায় না।
ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সম্প্রতি নেটওয়ার্ক ১৮-এর গ্রুপ এডিটর-ইন-চিফ রাহুল যোশীর সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারে বিহার বিধানসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং দেশের প্রতিরক্ষা খাতে স্বনির্ভরতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন তিনি।
ভারত প্রধানত পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কাজ করত, ভারতের সমস্যা ছিল পাকিস্তানের সঙ্গে। কিন্তু গালওয়ানের ঘটনার পর চীনের সঙ্গেও ভারতের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হলো। এখন বাংলাদেশ। তাহলে কি বলা যায় যে তিন দিকেই একধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়েছে? ভারতের জন্য কি তিনটি ফ্রন্ট খুলে গেছে? ভারত কীভাবে এর মোকাবিলা করবে?
এমন প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সামনে যত সমস্যা বা চ্যালেঞ্জ আসুক না কেন...সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা ভারতের আছে। আমরা প্রতিটি কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারি এবং সমাধান খুঁজে বের করতে পারি। তবে আমরা এমন মানুষ, যারা শান্তিতে বিশ্বাসী, আমরা অস্থিরতা চাই না। যদিও এর মানে এই নয় যে ভারত ভিতু। যদি ভারতের সার্বভৌমত্বের ক্ষতি হয়, তবে ভারত তার কঠিন জবাব দেবে। আমি শুধু এটুকুই বলতে চাই। আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোতেও পরিস্থিতি শান্ত এবং স্বাভাবিক থাকা উচিত, এটাই আমাদের ভাবনা। আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর কথা বলতে গেলে, আমরা তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। আমাদের নেতা অটল-জি (সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ি) বারবার বলতেন, আমাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে এবং মনে রাখতে হবে যে জীবনে আপনি বন্ধু পরিবর্তন করতে পারেন, কিন্তু আপনি কখনো আপনার প্রতিবেশীদের পরিবর্তন করতে পারেন না।’
প্রতিবেশী দেশ নিয়ে ভারতের অবস্থান সম্পর্কিত প্রশ্নে রাজনাথ সিং বলেন, চীনের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর কয়েকটি স্থানে উত্তেজনা হয়েছে। তিনি চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘চীন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আগ্রহী এবং সামরিক স্তরের বৈঠক চালিয়ে যেতে চায়।’
আফগানিস্তান-পাকিস্তানের মধ্যে ডুরান্ড লাইন নিয়ে চলমান বিরোধকে ভারত তাদের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে মনে করে উল্লেখ করে রাজনাথ সিং বলেন, ভারত তাদের মধ্যকার আলোচনায় হস্তক্ষেপ করতে চায় না। ভারত এই সংঘাতে উসকানি দিচ্ছে—পাকিস্তানের এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেও উড়িয়ে দেন তিনি।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা সফরের সময় এক পাকিস্তানি জেনারেলকে একটি মানচিত্রে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখিয়েছেন বলে দাবি করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। যদিও বাংলাদেশ সরকার এটি ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে। এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে রাজনাথ সিং বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
তিন দিকে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক ক্রমেই বৈরী ভাবাপন্ন হয়ে ওঠা নিয়ে রাজনাথ সিং বলেন, ‘ভারত সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সক্ষমতা রাখে। ভারত শান্তি চায়, তবে দেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হলে ভারত কড়া জবাব দেবে।’
বিহার নির্বাচন
বিহারের নির্বাচনী পরিবেশ প্রসঙ্গে রাজনাথ সিং জানান, জনসভাগুলোতে ভোটারদের সাড়া দেখে তিনি নিশ্চিত যে রাজ্যে এনডিএ সরকার গঠিত হবে। তাঁর অনুমান, এনডিএ জোট দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা (১৬০টির বেশি আসন) পেতে পারে।
তিনি স্পষ্ট করে দেন, যেহেতু এই নির্বাচন নিতীশ কুমারের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তাই তিনিই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন—এটা স্বাভাবিক। তবে উপমুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে ভবিষ্যতে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রাজনাথ সিং দাবি করেন, নিতীশ কুমারের শাসনে আইনশৃঙ্খলা বজায় থাকায় নারীরা খুশি। তিনি মনে করেন, ‘জীবিকা দিদি’ প্রকল্পের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং মদ নিষিদ্ধকরণ নারীদের ভোটকে এনডিএর দিকে টানতে প্রধান ভূমিকা রাখবে। মদ নিষিদ্ধে রাজস্ব ক্ষতির প্রশ্ন উঠলে তিনি বলেন, সামাজিক কুসংস্কার দূর করার জন্য সামান্য রাজস্ব ক্ষতি গ্রহণযোগ্য।
বিহার নির্বাচনে ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) নতুন দলকে ‘নগণ্য ফ্যাক্টর’ হিসেবে অভিহিত করে রাজনাথ সিং দাবি করেন, এই দল কোনো আসন জিততে পারবে না, এরা শুধু ভোট কাটার জন্য মাঠে নেমেছে।
‘অপারেশন সিঁদুর’ প্রসঙ্গে রাজনাথ সিং বলেন, ভারত কখনো যুদ্ধ চায় না। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ আসার পরই এই অভিযান স্থগিত করা হয়, কোনো আন্তর্জাতিক চাপের কারণে নয়।
বিজেপির পরবর্তী সভাপতি নির্বাচন প্রসঙ্গে রাজনাথ সিং বলেন, বিহার নির্বাচনের পরই দলের পরবর্তী সভাপতি ঘোষণা করা হবে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না বলেও দাবি করেন তিনি।

ভারতে নারী ও পুরুষের ক্যানসার আক্রান্ত ও মৃত্যুহারে দেখা যাচ্ছে অদ্ভুত এক বৈপরীত্য। দেশটিতে নারীরা বেশি ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন কিন্তু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শুক্রবার ইস্তাম্বুলের প্রসিকিউটর অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই তালিকায় ৩৭ জনের নাম রয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ, জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামির। সম্পূর্ণ তালিকা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
২ ঘণ্টা আগে
ঐতিহাসিক এই অচলাবস্থার মধ্যে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার (এটিসি) ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় কর্মীরা বেতন ছাড়াই কাজ করে চলেছেন। তবে বেতন না পাওয়ায় কর্মীদের মধ্যে অসুস্থতা এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য অন্য কাজ খুঁজে নেওয়ার প্রবণতা বাড়ায় কর্মীদের উপস্থিতি মারাত্মকভাবে কমে গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের জন্য ভিসাপ্রার্থীদের মধ্যে যাঁদের ডায়াবেটিস বা স্থূলতার মতো স্বাস্থ্য সমস্যা আছে, তাঁদের আবেদন বাতিল হতে পারে—এমন একটি নির্দেশনা জারি করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) নতুন এ নির্দেশিকা জারি করে, যেখানে বল
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তাঁর প্রশাসনের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন ইসরায়েলি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে তুরস্ক।
শুক্রবার ইস্তাম্বুলের প্রসিকিউটর অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই তালিকায় ৩৭ জনের নাম রয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ, জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামির। সম্পূর্ণ তালিকা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
তুরস্কের অভিযোগ, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের এসব কর্মকর্তা ‘গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ পরিকল্পিতভাবে সংঘটিত’ করেছেন। গাজাকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে এবং মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে হামলায় ৫০০ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। এ ছাড়া ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি ইসরায়েলি সৈন্যরা ইচ্ছাকৃতভাবে চিকিৎসা সরঞ্জাম নষ্ট করেছিল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গত মার্চে গাজা উপত্যকায় তুরস্ক নির্মিত তুর্কি-ফিলিস্তিনি মৈত্রী হাসপাতালটি ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়।
অন্যদিকে ইসরায়েল এই পরোয়ানাকে ‘জনসংযোগের কৌশল’ বলে নিন্দা করেছে। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সার ‘এক্স’ প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, ‘স্বৈরাচারী এরদোয়ানের (তুরস্কের প্রেসিডেন্ট) সাম্প্রতিক জনসংযোগের কৌশল ইসরায়েল দৃঢ়ভাবে এবং ঘৃণার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করছে।’
এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। তারা এটিকে একটি ‘প্রশংসনীয় পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। হামাসের মতে, এটি ‘ন্যায়বিচার, মানবতা ও ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধের প্রতি তুরস্কের জনগণ ও তাদের নেতাদের আন্তরিক অবস্থানকে নিশ্চিত করে, যা তাঁদের নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে যুক্ত করেছে।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) নেতানিয়াহু এবং তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রায় এক বছর পর তুরস্ক এই ঘোষণা দিল। গত বছর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলাতেও যোগ দিয়েছিল তুরস্ক।
গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া ইসরায়েলের অভিযানে কমপক্ষে ৬৮ হাজার ৮৭৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং এক লাখ ৭০ হাজার ৬৭৯ জন আহত হয়েছেন। বর্তমানে ধ্বংসস্তূপে পরিণত গাজায় গত ১০ অক্টোবর থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আঞ্চলিক শান্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এক ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তাঁর প্রশাসনের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন ইসরায়েলি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে তুরস্ক।
শুক্রবার ইস্তাম্বুলের প্রসিকিউটর অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই তালিকায় ৩৭ জনের নাম রয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ, জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামির। সম্পূর্ণ তালিকা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
তুরস্কের অভিযোগ, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের এসব কর্মকর্তা ‘গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ পরিকল্পিতভাবে সংঘটিত’ করেছেন। গাজাকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে এবং মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে হামলায় ৫০০ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। এ ছাড়া ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি ইসরায়েলি সৈন্যরা ইচ্ছাকৃতভাবে চিকিৎসা সরঞ্জাম নষ্ট করেছিল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গত মার্চে গাজা উপত্যকায় তুরস্ক নির্মিত তুর্কি-ফিলিস্তিনি মৈত্রী হাসপাতালটি ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়।
অন্যদিকে ইসরায়েল এই পরোয়ানাকে ‘জনসংযোগের কৌশল’ বলে নিন্দা করেছে। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সার ‘এক্স’ প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, ‘স্বৈরাচারী এরদোয়ানের (তুরস্কের প্রেসিডেন্ট) সাম্প্রতিক জনসংযোগের কৌশল ইসরায়েল দৃঢ়ভাবে এবং ঘৃণার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করছে।’
এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। তারা এটিকে একটি ‘প্রশংসনীয় পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। হামাসের মতে, এটি ‘ন্যায়বিচার, মানবতা ও ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধের প্রতি তুরস্কের জনগণ ও তাদের নেতাদের আন্তরিক অবস্থানকে নিশ্চিত করে, যা তাঁদের নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে যুক্ত করেছে।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) নেতানিয়াহু এবং তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রায় এক বছর পর তুরস্ক এই ঘোষণা দিল। গত বছর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলাতেও যোগ দিয়েছিল তুরস্ক।
গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া ইসরায়েলের অভিযানে কমপক্ষে ৬৮ হাজার ৮৭৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং এক লাখ ৭০ হাজার ৬৭৯ জন আহত হয়েছেন। বর্তমানে ধ্বংসস্তূপে পরিণত গাজায় গত ১০ অক্টোবর থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আঞ্চলিক শান্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এক ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে।

ভারতে নারী ও পুরুষের ক্যানসার আক্রান্ত ও মৃত্যুহারে দেখা যাচ্ছে অদ্ভুত এক বৈপরীত্য। দেশটিতে নারীরা বেশি ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন কিন্তু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সম্প্রতি নেটওয়ার্ক ১৮-এর গ্রুপ এডিটর-ইন-চিফ রাহুল যোশীর সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারে বিহার বিধানসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং দেশের প্রতিরক্ষা খাতে স্বনির্ভরতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন তিনি।
২৮ মিনিট আগে
ঐতিহাসিক এই অচলাবস্থার মধ্যে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার (এটিসি) ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় কর্মীরা বেতন ছাড়াই কাজ করে চলেছেন। তবে বেতন না পাওয়ায় কর্মীদের মধ্যে অসুস্থতা এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য অন্য কাজ খুঁজে নেওয়ার প্রবণতা বাড়ায় কর্মীদের উপস্থিতি মারাত্মকভাবে কমে গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের জন্য ভিসাপ্রার্থীদের মধ্যে যাঁদের ডায়াবেটিস বা স্থূলতার মতো স্বাস্থ্য সমস্যা আছে, তাঁদের আবেদন বাতিল হতে পারে—এমন একটি নির্দেশনা জারি করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) নতুন এ নির্দেশিকা জারি করে, যেখানে বল
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারের দীর্ঘমেয়াদি অচলাবস্থার (শাটডাউন) সরাসরি প্রভাব পড়ল দেশের আকাশপথে। জরুরি নির্দেশে ৪০টি বৃহত্তম বিমানবন্দরে বিমান চলাচল কমানোর সরকারি সিদ্ধান্তের প্রথম দিনেই ৫ হাজারের বেশি মার্কিন ফ্লাইট বাতিল অথবা বিলম্বিত হয়েছে। বিনা বেতনে কাজ করতে বাধ্য হওয়া এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় কর্মীদের ওপর চাপ কমাতে এই নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
ঐতিহাসিক এই অচলাবস্থার মধ্যে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার (এটিসি) ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় কর্মীরা বেতন ছাড়াই কাজ করে চলেছেন। তবে বেতন না পাওয়ায় কর্মীদের মধ্যে অসুস্থতা এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য অন্য কাজ খুঁজে নেওয়ার প্রবণতা বাড়ায় কর্মীদের উপস্থিতি মারাত্মকভাবে কমে গেছে। ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরি নির্দেশ জারি করে প্রাথমিকভাবে ৪ শতাংশ ফ্লাইট কমানোর নির্দেশ দিয়েছে, যা আগামী সপ্তাহের মধ্যে ১০ শতাংশে উন্নীত করা হবে।
নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, শিকাগো এবং ওয়াশিংটন ডিসির মতো প্রধান বিমানবন্দরগুলোতে এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে। এফএএ জানিয়েছে, কর্মীদের চরম ক্লান্তির মধ্যেও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পরিবহন মন্ত্রী শন ডাফি বিবিসিকে জানান, আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোর কারণে আপাতত আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে এই কাটছাঁটের প্রভাব পড়েনি। তবে তিনি ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সতর্ক করেছেন, অচলাবস্থা চলতে থাকলে ফ্লাইট কমানোর হার ২০ শতাংশেও পৌঁছতে পারে।
এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা, যারা দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম এই অচলাবস্থার মধ্যে বেতন ছাড়াই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন, তাঁদের পরিস্থিতি ভয়াবহ। ন্যাশনাল এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নিক ড্যানিয়েলস ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, কন্ট্রোলারদের রাজনৈতিক অচলাবস্থার ‘দাবার ঘুঁটি’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা কাজ চালিয়ে যাব, কিন্তু নিজেদের পকেটে টাকা ঢোকাতে পারব না। সরকারকে চালু করার জন্য কংগ্রেসকে উদ্যোগ নিতে হবে।’
বিমানযাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার। ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আটলান্টা যাওয়ার পথে জো সুলিভান নামে এক যাত্রী জানতে পারেন তাঁর ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, ফলে তাঁকে ১২ ঘণ্টা পর অন্য ফ্লাইটে রি-বুক করতে হয়। এর কারণে তিনি কাজিনের বিয়ের আগের দিনের সব পরিকল্পনা বাতিল করতে বাধ্য হন।
আরিয়ানা জাকোভলজেভিচ, কেন্দ্র সরকারের এখন বেতনহীন কর্মী। তিনি হতাশ হয়ে বলেন, ‘আমি এই মাত্র কলেজ থেকে পাস করেছি। এটাই ছিল আমার প্রথম চাকরি। ভাবিনি এমন হবে।’ যাত্রী বেন সসেদা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘বেতনহীন কর্মীদের হাতে জীবন সঁপে দেওয়া মানসিক চাপ সৃষ্টি করছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের থেকে সেরা পরিষেবা আশা করছি, কিন্তু তারা তাদের পরিবারের মুখে খাবার জোগানোর চিন্তা করছেন। সরকারের উচিত দ্রুত এর সমাধান করা।’
এদিকে সরকারের অচলাবস্থার ৩৯ তম দিনেও সংকট কাটেনি। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে সমঝোতা হলেও তা বাস্তবে রূপায়িত হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। ডেমোক্র্যাটরা স্বাস্থ্যসেবা ভর্তুকি সম্প্রসারণের দাবিতে অনড়, রিপাবলিকানরা এটি মেনে নিতে রাজি নন।
অপর দিকে, সিনেট মেজরিটি লিডার জন থুন জানিয়েছেন, একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য কাজ সপ্তাহান্তে চলবে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিনেটের ‘ফিলিবাস্টার’ নিয়ম বাতিল করে ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন ছাড়াই বিল পাস করার জন্য রিপাবলিকানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। যদিও এই প্রস্তাবে উভয় দলের অধিকাংশ সিনেটরের সমর্থন নেই।
এই অচলাবস্থার কারণে শুধু আকাশপথেই নয়, খাদ্য সহায়তা কর্মসূচিসহ সারা দেশে নজিরবিহীন ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। কবে এই অচলাবস্থা শেষ হবে, তার কোনো স্পষ্ট ইঙ্গিত এখনো পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই অচলাবস্থার মধ্যে সেনাবাহিনীর বেতন দেওয়ার জন্য এক বন্ধু তাঁকে বিপুল অর্থ অনুদান দিয়েছেন। কিন্তু সেই বন্ধুর পরিচয় তিনি প্রকাশ করেননি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারের দীর্ঘমেয়াদি অচলাবস্থার (শাটডাউন) সরাসরি প্রভাব পড়ল দেশের আকাশপথে। জরুরি নির্দেশে ৪০টি বৃহত্তম বিমানবন্দরে বিমান চলাচল কমানোর সরকারি সিদ্ধান্তের প্রথম দিনেই ৫ হাজারের বেশি মার্কিন ফ্লাইট বাতিল অথবা বিলম্বিত হয়েছে। বিনা বেতনে কাজ করতে বাধ্য হওয়া এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় কর্মীদের ওপর চাপ কমাতে এই নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
ঐতিহাসিক এই অচলাবস্থার মধ্যে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার (এটিসি) ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় কর্মীরা বেতন ছাড়াই কাজ করে চলেছেন। তবে বেতন না পাওয়ায় কর্মীদের মধ্যে অসুস্থতা এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য অন্য কাজ খুঁজে নেওয়ার প্রবণতা বাড়ায় কর্মীদের উপস্থিতি মারাত্মকভাবে কমে গেছে। ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরি নির্দেশ জারি করে প্রাথমিকভাবে ৪ শতাংশ ফ্লাইট কমানোর নির্দেশ দিয়েছে, যা আগামী সপ্তাহের মধ্যে ১০ শতাংশে উন্নীত করা হবে।
নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, শিকাগো এবং ওয়াশিংটন ডিসির মতো প্রধান বিমানবন্দরগুলোতে এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে। এফএএ জানিয়েছে, কর্মীদের চরম ক্লান্তির মধ্যেও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পরিবহন মন্ত্রী শন ডাফি বিবিসিকে জানান, আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোর কারণে আপাতত আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে এই কাটছাঁটের প্রভাব পড়েনি। তবে তিনি ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সতর্ক করেছেন, অচলাবস্থা চলতে থাকলে ফ্লাইট কমানোর হার ২০ শতাংশেও পৌঁছতে পারে।
এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা, যারা দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম এই অচলাবস্থার মধ্যে বেতন ছাড়াই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন, তাঁদের পরিস্থিতি ভয়াবহ। ন্যাশনাল এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নিক ড্যানিয়েলস ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, কন্ট্রোলারদের রাজনৈতিক অচলাবস্থার ‘দাবার ঘুঁটি’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা কাজ চালিয়ে যাব, কিন্তু নিজেদের পকেটে টাকা ঢোকাতে পারব না। সরকারকে চালু করার জন্য কংগ্রেসকে উদ্যোগ নিতে হবে।’
বিমানযাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার। ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আটলান্টা যাওয়ার পথে জো সুলিভান নামে এক যাত্রী জানতে পারেন তাঁর ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, ফলে তাঁকে ১২ ঘণ্টা পর অন্য ফ্লাইটে রি-বুক করতে হয়। এর কারণে তিনি কাজিনের বিয়ের আগের দিনের সব পরিকল্পনা বাতিল করতে বাধ্য হন।
আরিয়ানা জাকোভলজেভিচ, কেন্দ্র সরকারের এখন বেতনহীন কর্মী। তিনি হতাশ হয়ে বলেন, ‘আমি এই মাত্র কলেজ থেকে পাস করেছি। এটাই ছিল আমার প্রথম চাকরি। ভাবিনি এমন হবে।’ যাত্রী বেন সসেদা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘বেতনহীন কর্মীদের হাতে জীবন সঁপে দেওয়া মানসিক চাপ সৃষ্টি করছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের থেকে সেরা পরিষেবা আশা করছি, কিন্তু তারা তাদের পরিবারের মুখে খাবার জোগানোর চিন্তা করছেন। সরকারের উচিত দ্রুত এর সমাধান করা।’
এদিকে সরকারের অচলাবস্থার ৩৯ তম দিনেও সংকট কাটেনি। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে সমঝোতা হলেও তা বাস্তবে রূপায়িত হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। ডেমোক্র্যাটরা স্বাস্থ্যসেবা ভর্তুকি সম্প্রসারণের দাবিতে অনড়, রিপাবলিকানরা এটি মেনে নিতে রাজি নন।
অপর দিকে, সিনেট মেজরিটি লিডার জন থুন জানিয়েছেন, একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য কাজ সপ্তাহান্তে চলবে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিনেটের ‘ফিলিবাস্টার’ নিয়ম বাতিল করে ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন ছাড়াই বিল পাস করার জন্য রিপাবলিকানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। যদিও এই প্রস্তাবে উভয় দলের অধিকাংশ সিনেটরের সমর্থন নেই।
এই অচলাবস্থার কারণে শুধু আকাশপথেই নয়, খাদ্য সহায়তা কর্মসূচিসহ সারা দেশে নজিরবিহীন ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। কবে এই অচলাবস্থা শেষ হবে, তার কোনো স্পষ্ট ইঙ্গিত এখনো পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই অচলাবস্থার মধ্যে সেনাবাহিনীর বেতন দেওয়ার জন্য এক বন্ধু তাঁকে বিপুল অর্থ অনুদান দিয়েছেন। কিন্তু সেই বন্ধুর পরিচয় তিনি প্রকাশ করেননি।

ভারতে নারী ও পুরুষের ক্যানসার আক্রান্ত ও মৃত্যুহারে দেখা যাচ্ছে অদ্ভুত এক বৈপরীত্য। দেশটিতে নারীরা বেশি ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন কিন্তু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সম্প্রতি নেটওয়ার্ক ১৮-এর গ্রুপ এডিটর-ইন-চিফ রাহুল যোশীর সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারে বিহার বিধানসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং দেশের প্রতিরক্ষা খাতে স্বনির্ভরতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন তিনি।
২৮ মিনিট আগে
শুক্রবার ইস্তাম্বুলের প্রসিকিউটর অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই তালিকায় ৩৭ জনের নাম রয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ, জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামির। সম্পূর্ণ তালিকা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের জন্য ভিসাপ্রার্থীদের মধ্যে যাঁদের ডায়াবেটিস বা স্থূলতার মতো স্বাস্থ্য সমস্যা আছে, তাঁদের আবেদন বাতিল হতে পারে—এমন একটি নির্দেশনা জারি করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) নতুন এ নির্দেশিকা জারি করে, যেখানে বল
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের জন্য ভিসাপ্রার্থীদের মধ্যে যাঁদের ডায়াবেটিস বা স্থূলতার মতো স্বাস্থ্য সমস্যা আছে, তাঁদের আবেদন বাতিল হতে পারে—এমন একটি নির্দেশনা জারি করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) নতুন এ নির্দেশিকা জারি করে, যেখানে বলা হয়েছে, এ ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত আবেদনকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘পাবলিক চার্জ’ বা অর্থনৈতিকভাবে বোঝা হয়ে উঠতে পারেন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ক্ষয় করতে পারেন। তাই যুক্তরাষ্ট্রে আসার আগে এসব বিষয় যাচাই করতে হবে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম কেএফএফ হেলথ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ নির্দেশনা মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোতে নোটিশ আকারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে মার্কিন ভিসাপ্রক্রিয়ায় সংক্রামক রোগ, টিকাদানের ইতিহাস, মানসিক অবস্থা ও শারীরিক সুস্থতার মতো বিষয়গুলোই বিবেচনায় নেওয়া হতো। তবে নতুন এই নীতিমালায় আরও কিছু স্বাস্থ্য সমস্যাকে যুক্ত করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আবেদনকারীর স্বাস্থ্য বিবেচনা করতে হবে। কিছু রোগের (যেমন হৃদ্রোগ, শ্বাসযন্ত্র, ক্যানসার, ডায়াবেটিস, মেটাবলিক, স্নায়বিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা) চিকিৎসার জন্য কয়েক লাখ ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ভিসা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আবেদনকারী চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে সক্ষম কি না, তা মূল্যায়ন করতে হবে।
অলাভজনক আইনি সহায়তা সংস্থা ক্যাথলিক লিগ্যাল ইমিগ্রেশন নেটওয়ার্কের সিনিয়র অ্যাটর্নি চার্লস হুইলার বলেছেন, যদিও এ নির্দেশনা সব ধরনের ভিসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, তবে এটি মূলত স্থায়ী বসবাসের (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি) আবেদনকারীদের ওপরই প্রয়োগ করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হুইলার আরও বলেন, চিকিৎসাসংক্রান্ত বিষয়গুলো মূল্যায়নের ক্ষমতা ভিসা কর্মকর্তাদের ওপর ন্যস্ত করাটা উদ্বেগজনক। তাঁরা চিকিৎসক নন, এ ক্ষেত্রে তাঁদের কোনো অভিজ্ঞতা নেই আর তাঁদের নিজস্ব ধারণা বা পক্ষপাতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া অনুচিত।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আবেদনকারীর কি আজীবন চিকিৎসার খরচ বহনের মতো পর্যাপ্ত আর্থিক সামর্থ্য আছে, যাতে তিনি সরকারি সহায়তা বা দীর্ঘমেয়াদি প্রতিষ্ঠানভিত্তিক সেবার প্রয়োজন ছাড়াই জীবন যাপন করতে পারেন? বিষয়টি অবশ্যই যাচাই করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, আবেদনকারীর পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যের দিকও বিবেচনা করতে হবে। যেমন সন্তান বা প্রবীণ অভিভাবকের কোনো শারীরিক অক্ষমতা, দীর্ঘস্থায়ী রোগ বা বিশেষ যত্নের প্রয়োজন আছে কি না। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনো নির্ভরশীল সদস্যের (ডিপেনডেন্ট) এমন কোনো শারীরিক বা মানসিক অবস্থা আছে কি না, যার কারণে আবেদনকারীর কাজে কোনো প্রভাব পড়তে পারে?
জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিবাসন আইনজীবী সোফিয়া জেনোভেস বলেন, এ নির্দেশিকায় আবেদনকারীদের চিকিৎসা ইতিহাসের ভিত্তিতে তাঁদের চিকিৎসা ব্যয়ের সম্ভাবনা ও যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থানের সক্ষমতা যাচাই করতে ভিসা কর্মকর্তাদের উৎসাহিত করা হয়েছে; যাতে তাঁরা বুঝতে পারেন, যুক্তরাষ্ট্রে আসার আবেদনকারী এ ধরনের কোনো জটিলতায় না পড়েন।
সার্বিকভাবে, স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত আবেদনকারীরা যুক্তরাষ্ট্রে এসে যেন ‘পাবলিক চার্জ’ বা অর্থনৈতিকভাবে বোঝা হয়ে না ওঠেন, তা এড়াতে এই নতুন নিয়ম।

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের জন্য ভিসাপ্রার্থীদের মধ্যে যাঁদের ডায়াবেটিস বা স্থূলতার মতো স্বাস্থ্য সমস্যা আছে, তাঁদের আবেদন বাতিল হতে পারে—এমন একটি নির্দেশনা জারি করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) নতুন এ নির্দেশিকা জারি করে, যেখানে বলা হয়েছে, এ ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত আবেদনকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘পাবলিক চার্জ’ বা অর্থনৈতিকভাবে বোঝা হয়ে উঠতে পারেন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ক্ষয় করতে পারেন। তাই যুক্তরাষ্ট্রে আসার আগে এসব বিষয় যাচাই করতে হবে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম কেএফএফ হেলথ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ নির্দেশনা মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোতে নোটিশ আকারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে মার্কিন ভিসাপ্রক্রিয়ায় সংক্রামক রোগ, টিকাদানের ইতিহাস, মানসিক অবস্থা ও শারীরিক সুস্থতার মতো বিষয়গুলোই বিবেচনায় নেওয়া হতো। তবে নতুন এই নীতিমালায় আরও কিছু স্বাস্থ্য সমস্যাকে যুক্ত করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আবেদনকারীর স্বাস্থ্য বিবেচনা করতে হবে। কিছু রোগের (যেমন হৃদ্রোগ, শ্বাসযন্ত্র, ক্যানসার, ডায়াবেটিস, মেটাবলিক, স্নায়বিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা) চিকিৎসার জন্য কয়েক লাখ ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ভিসা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আবেদনকারী চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে সক্ষম কি না, তা মূল্যায়ন করতে হবে।
অলাভজনক আইনি সহায়তা সংস্থা ক্যাথলিক লিগ্যাল ইমিগ্রেশন নেটওয়ার্কের সিনিয়র অ্যাটর্নি চার্লস হুইলার বলেছেন, যদিও এ নির্দেশনা সব ধরনের ভিসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, তবে এটি মূলত স্থায়ী বসবাসের (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি) আবেদনকারীদের ওপরই প্রয়োগ করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হুইলার আরও বলেন, চিকিৎসাসংক্রান্ত বিষয়গুলো মূল্যায়নের ক্ষমতা ভিসা কর্মকর্তাদের ওপর ন্যস্ত করাটা উদ্বেগজনক। তাঁরা চিকিৎসক নন, এ ক্ষেত্রে তাঁদের কোনো অভিজ্ঞতা নেই আর তাঁদের নিজস্ব ধারণা বা পক্ষপাতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া অনুচিত।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আবেদনকারীর কি আজীবন চিকিৎসার খরচ বহনের মতো পর্যাপ্ত আর্থিক সামর্থ্য আছে, যাতে তিনি সরকারি সহায়তা বা দীর্ঘমেয়াদি প্রতিষ্ঠানভিত্তিক সেবার প্রয়োজন ছাড়াই জীবন যাপন করতে পারেন? বিষয়টি অবশ্যই যাচাই করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, আবেদনকারীর পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যের দিকও বিবেচনা করতে হবে। যেমন সন্তান বা প্রবীণ অভিভাবকের কোনো শারীরিক অক্ষমতা, দীর্ঘস্থায়ী রোগ বা বিশেষ যত্নের প্রয়োজন আছে কি না। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনো নির্ভরশীল সদস্যের (ডিপেনডেন্ট) এমন কোনো শারীরিক বা মানসিক অবস্থা আছে কি না, যার কারণে আবেদনকারীর কাজে কোনো প্রভাব পড়তে পারে?
জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিবাসন আইনজীবী সোফিয়া জেনোভেস বলেন, এ নির্দেশিকায় আবেদনকারীদের চিকিৎসা ইতিহাসের ভিত্তিতে তাঁদের চিকিৎসা ব্যয়ের সম্ভাবনা ও যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থানের সক্ষমতা যাচাই করতে ভিসা কর্মকর্তাদের উৎসাহিত করা হয়েছে; যাতে তাঁরা বুঝতে পারেন, যুক্তরাষ্ট্রে আসার আবেদনকারী এ ধরনের কোনো জটিলতায় না পড়েন।
সার্বিকভাবে, স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত আবেদনকারীরা যুক্তরাষ্ট্রে এসে যেন ‘পাবলিক চার্জ’ বা অর্থনৈতিকভাবে বোঝা হয়ে না ওঠেন, তা এড়াতে এই নতুন নিয়ম।

ভারতে নারী ও পুরুষের ক্যানসার আক্রান্ত ও মৃত্যুহারে দেখা যাচ্ছে অদ্ভুত এক বৈপরীত্য। দেশটিতে নারীরা বেশি ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন কিন্তু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সম্প্রতি নেটওয়ার্ক ১৮-এর গ্রুপ এডিটর-ইন-চিফ রাহুল যোশীর সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারে বিহার বিধানসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং দেশের প্রতিরক্ষা খাতে স্বনির্ভরতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন তিনি।
২৮ মিনিট আগে
শুক্রবার ইস্তাম্বুলের প্রসিকিউটর অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই তালিকায় ৩৭ জনের নাম রয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ, জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামির। সম্পূর্ণ তালিকা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
২ ঘণ্টা আগে
ঐতিহাসিক এই অচলাবস্থার মধ্যে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার (এটিসি) ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় কর্মীরা বেতন ছাড়াই কাজ করে চলেছেন। তবে বেতন না পাওয়ায় কর্মীদের মধ্যে অসুস্থতা এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য অন্য কাজ খুঁজে নেওয়ার প্রবণতা বাড়ায় কর্মীদের উপস্থিতি মারাত্মকভাবে কমে গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে