অনলাইন ডেস্ক
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃষ্টিতে ভিজে কলকাতায় এক বিশাল প্রতিবাদ মিছিল করেছেন। বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোতে বাংলাভাষী মানুষের ওপর কথিত হয়রানির প্রতিবাদে তিনি তাঁর বাঙালি পরিচয়ের রাজনীতিকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছেন। খবর ইন্ডিয়া টুডের।
কলকাতার কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এই প্রতিবাদ মিছিলে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) শীর্ষস্থানীয় সব নেতা ছিলেন। অবিরাম বৃষ্টির মধ্যেও প্রায় ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ পথে তৃণমূল নেত্রী ও অন্য নেতারা হাঁটেন। এ সময় ‘বিজেপি, ছি ছি’ স্লোগানে মুখরিত হয় এলাকা।
র্যালির পর সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে মমতা কেন্দ্রকে তাঁকে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। তিনি বলেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমি এখন থেকে আরও বেশি বাংলায় কথা বলব। আমাকে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখুন। বিজেপি, খেলা হবে। অপেক্ষা করুন।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, ওডিশায় পরিযায়ী শ্রমিকদের আটক, ভাষাগত প্রোফাইলিং ও দিল্লিতে উচ্ছেদ অভিযানের খবর টিএমসি ও বিজেপির মধ্যে সর্বশেষ উত্তেজনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সম্প্রতি ওডিশার ঝারসুগুডায় ৪৪৪ জন সন্দেহভাজন বাংলাদেশি নাগরিককে আটকের ঘটনায় এই প্রতিবাদ মিছিলের সূত্রপাত। টিএমসি দাবি করেছে, তাঁদের মধ্যে ২০০ জনই পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিক। টিএমসি মুহূর্তটি কাজে লাগাতে দেরি করেনি। তারা বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের অধিকার ও মর্যাদার পক্ষে রাস্তায় নেমে এসেছে। কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২২ লাখ বাংলাভাষী শ্রমিক ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করেন বলে জানা গেছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘বিজেপি সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, সন্দেহভাজন বাংলাদেশি নাগরিকদের গ্রেপ্তার করে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখতে হবে। এটি সব বিজেপিশাসিত রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। আমরা সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করব। যারা বাংলায় কথা বলে, তাদের সবাইকে কীভাবে জেলে পাঠাবেন?’
মমতা আরও বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকদের আইডি কার্ড আছে। তাদের দক্ষতা আছে বলেই তারা অন্য রাজ্যে কাজ করছে। তাদের কাজ করাবে, কিন্তু বাংলায় কথা বললেই গ্রেপ্তার করবে? আপনাদের এই অধিকার কে দিয়েছে? বাংলা কি ভারতের অংশ নয়?’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ‘রাস্তার রাজনীতিতে’ ফিরে আসার সময়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য সফরের কয়েক দিন আগে ঘটল। এই ঘটনা ইঙ্গিত দেয়, টিএমসি ২০২৬ সালের নির্বাচনে আক্রমণাত্মক বিজেপিকে মোকাবিলায় বাঙালি গর্বের আবেগপূর্ণ ইস্যুটিকে পুনরুজ্জীবিত করার পরিকল্পনা করছে।
এর আগে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এটি দারুণ কাজ করেছিল। সে ময় টিএমসি ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’ স্লোগানের মাধ্যমে উপজাতীয়তাবাদী আবেগ জাগিয়ে তুলেছিল। এটি বিজেপির আক্রমণাত্মক হিন্দুত্ববাদী প্রচারকে ভোঁতা করতে সাহায্য করেছিল।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃষ্টিতে ভিজে কলকাতায় এক বিশাল প্রতিবাদ মিছিল করেছেন। বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোতে বাংলাভাষী মানুষের ওপর কথিত হয়রানির প্রতিবাদে তিনি তাঁর বাঙালি পরিচয়ের রাজনীতিকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছেন। খবর ইন্ডিয়া টুডের।
কলকাতার কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এই প্রতিবাদ মিছিলে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) শীর্ষস্থানীয় সব নেতা ছিলেন। অবিরাম বৃষ্টির মধ্যেও প্রায় ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ পথে তৃণমূল নেত্রী ও অন্য নেতারা হাঁটেন। এ সময় ‘বিজেপি, ছি ছি’ স্লোগানে মুখরিত হয় এলাকা।
র্যালির পর সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে মমতা কেন্দ্রকে তাঁকে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। তিনি বলেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমি এখন থেকে আরও বেশি বাংলায় কথা বলব। আমাকে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখুন। বিজেপি, খেলা হবে। অপেক্ষা করুন।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, ওডিশায় পরিযায়ী শ্রমিকদের আটক, ভাষাগত প্রোফাইলিং ও দিল্লিতে উচ্ছেদ অভিযানের খবর টিএমসি ও বিজেপির মধ্যে সর্বশেষ উত্তেজনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সম্প্রতি ওডিশার ঝারসুগুডায় ৪৪৪ জন সন্দেহভাজন বাংলাদেশি নাগরিককে আটকের ঘটনায় এই প্রতিবাদ মিছিলের সূত্রপাত। টিএমসি দাবি করেছে, তাঁদের মধ্যে ২০০ জনই পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিক। টিএমসি মুহূর্তটি কাজে লাগাতে দেরি করেনি। তারা বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের অধিকার ও মর্যাদার পক্ষে রাস্তায় নেমে এসেছে। কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২২ লাখ বাংলাভাষী শ্রমিক ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করেন বলে জানা গেছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘বিজেপি সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, সন্দেহভাজন বাংলাদেশি নাগরিকদের গ্রেপ্তার করে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখতে হবে। এটি সব বিজেপিশাসিত রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। আমরা সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করব। যারা বাংলায় কথা বলে, তাদের সবাইকে কীভাবে জেলে পাঠাবেন?’
মমতা আরও বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকদের আইডি কার্ড আছে। তাদের দক্ষতা আছে বলেই তারা অন্য রাজ্যে কাজ করছে। তাদের কাজ করাবে, কিন্তু বাংলায় কথা বললেই গ্রেপ্তার করবে? আপনাদের এই অধিকার কে দিয়েছে? বাংলা কি ভারতের অংশ নয়?’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ‘রাস্তার রাজনীতিতে’ ফিরে আসার সময়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য সফরের কয়েক দিন আগে ঘটল। এই ঘটনা ইঙ্গিত দেয়, টিএমসি ২০২৬ সালের নির্বাচনে আক্রমণাত্মক বিজেপিকে মোকাবিলায় বাঙালি গর্বের আবেগপূর্ণ ইস্যুটিকে পুনরুজ্জীবিত করার পরিকল্পনা করছে।
এর আগে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এটি দারুণ কাজ করেছিল। সে ময় টিএমসি ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’ স্লোগানের মাধ্যমে উপজাতীয়তাবাদী আবেগ জাগিয়ে তুলেছিল। এটি বিজেপির আক্রমণাত্মক হিন্দুত্ববাদী প্রচারকে ভোঁতা করতে সাহায্য করেছিল।
কেনিয়ার মাই-মাহিউ শহরে ১৩ বছর বয়সী শিশুরাও যৌন-বাণিজ্যের শিকার—বিবিসি আফ্রিকা আইয়ের গোপন অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এমনই এক নির্মম বাস্তবতা। শহরটির অবস্থান একটি ব্যস্ত ট্রানজিট পয়েন্টে। এর ফলে এখানে প্রতিদিন প্রচুর ট্রাক আসা-যাওয়া করে।
২১ মিনিট আগেভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই এর জন্য অভিবাসী, বিশেষ করে ভারতীয় সম্প্রদায়ের মানুষকে দায়ী করছেন। একজন মন্তব্য করেন, ‘গুজরাটি, পাঞ্জাবি, গোয়ানিজরা যুক্তরাজ্যের জন্য এক ঝামেলা। ট্রাম্পের উচিত দ্রুত যুক্তরাজ্য দখল করা।’ আরও একজন লিখেছেন, ‘ভারতের সম্মান নষ্ট করার জন্য অন্য দেশের
১ ঘণ্টা আগেপরিবারের অমতে বিয়ে করায় বিয়ের এক বছর পর গুলি করে হত্যা করা হলো এক পাকিস্তানি দম্পতিকে। গতকাল রোববার পাঞ্জাব প্রদেশের রাজনপুর জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের তথ্যমতে, নিহত দুজনের নাম সাকলাইন এবং আয়েশা। হত্যাকারী নিহত আয়েশার ভাই বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ডন। হত্যাকারীকে আটক করা হয়েছে বলে
৩ ঘণ্টা আগেঝাড়খন্ডের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী, আদিবাসী আন্দোলনের অগ্রপথিক এবং ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) প্রধান শিবু সোরেন মারা গেছেন। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা ও কিডনির জটিলতায় দীর্ঘদিন লড়াইয়ের পর আজ সোমবার সকালে দিল্লির গঙ্গা রাম হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
৪ ঘণ্টা আগে