প্রতিনিধি
কলকাতা: ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যকে ফের ভাগ করার দাবিকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিজেপির আলিপুরদুয়ার থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের সদস্য জন বার্লার দাবি, উত্তরের সাত জেলাকে নিয়ে ‘উত্তরবঙ্গ’ পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। এর আগে দার্জিলিং জেলাকে পৃথক ‘গোর্খাল্যান্ড’ রাজ্য হিসেবে ঘোষণার দাবিতেও আন্দোলন হয়েছিল।
বিজেপি সাংসদের রাজ্যভাগের দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছে। বাম ও কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও রাজ্য ভাগের দাবির কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, রাজ্যভাগের দাবি তাঁদের নয়। ব্যক্তিগতভাবে বার্লা এই দাবি করে থাকতে পারেন।
পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, দার্জিলিং ও মালদহ জেলায় বিজেপির প্রভাব বেশি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এখানকার আটটি আসনের মধ্যে সাতটিতেই জিতে বিজেপি। অপর আসনটি পায় কংগ্রেস। তৃণমূল খাতাই খুলতে পারেনি এখানে। দক্ষিণের বাকি ৩৪টি আসনের মধ্যে বিজেপির দখলে যায় মাত্র ১১টি আসন। ২২টি আসনেই জিতে তৃণমূল। একটি আসন পায় কংগ্রেস।
সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটে উত্তরের ৫৪টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৩০টিতে জয়ী হয়। বাকি ২৪টি আসন পায় তৃণমূল। রাজ্যের বাকি অংশে বিজেপি অনেকটাই পিছিয়ে ছিল।
এই অবস্থায় তৃণমূলের আশঙ্কা, ভোটে হেরে রাজ্যভাগ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বিজেপি। বিজেপি সাংসদ বার্লা সেই আশঙ্কার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেন। তাঁর মতে, উত্তরের জেলাগুলো উন্নয়নের জন্য পৃথক রাজ্য চাই। তাই পৃথক উত্তরবঙ্গ-এর দাবিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। জাতীয় সংসদেও বিষয়টি তুলবেন।
তবে রাজ্যভাগের এই দাবিকে বিজেপিরও অনেকে মানতে নারাজ। কারণ, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাঙালির আবেগ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়ও বিরোধিতা করেছেন রাজ্যভাগের দাবিকে।
বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের পাল্টা অভিযোগ, বিজেপির বদনাম করার জন্যই তৃণমূল ষড়যন্ত্র করছে। দিলীপ ঘোষ যাই বলুন না কেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফকথা, ‘প্রাণ থাকতে বাংলাকে (পশ্চিমবঙ্গ) ভাগ হতে দেব না। দেখি, কার কতো হিম্মত, বাংলাকে ভাগ করে!’
তৃণমূলের পক্ষ থেকে সুখেন্দুশেখর রায় জানিয়েছেন, প্রতিটি জেলায় রাজ্য ভাগের চক্রান্তের বিরুদ্ধে তাঁরা আন্দোলনে নামছেন। বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যও জানিয়েছেন, রাজ্যভাগের কোনো ‘অশুভ উদ্যোগ’ বামপন্থীরা মানবে না। রাজ্যভাগের ‘ঘৃণ্য চক্রান্ত’ রুখতে কংগ্রেস সর্বতোভাবে লড়াই করবে বলে জানিয়েছেন রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরিও।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয়বার দিল্লিতে ক্ষমতায় এসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার জম্মু ও কাশ্মীরকে দুভাগ করে। একটি পূর্ণ রাজ্যকে ভেঙে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত রাজ্য করা হয়। দেশ জুড়ে প্রতিবাদ হলেও কাশ্মীরের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের আটক রেখে রাজ্যভাগ করে মোদি সরকার। সেই অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে মমতার হুঁশিয়ারি, ‘বাংলায় এসব চলবে না। কিছুতেই রাজ্যভাগ মানবেন না রাজ্যের মানুষ।’ প্রয়োজনে আন্দোলনের হুমকিও দেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর আগামী মঙ্গলবারই উত্তরের জেলাগুলো সফরে যাওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে সেই সফর বাতিল করা হয়েছে।
কলকাতা: ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যকে ফের ভাগ করার দাবিকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিজেপির আলিপুরদুয়ার থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের সদস্য জন বার্লার দাবি, উত্তরের সাত জেলাকে নিয়ে ‘উত্তরবঙ্গ’ পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। এর আগে দার্জিলিং জেলাকে পৃথক ‘গোর্খাল্যান্ড’ রাজ্য হিসেবে ঘোষণার দাবিতেও আন্দোলন হয়েছিল।
বিজেপি সাংসদের রাজ্যভাগের দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছে। বাম ও কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও রাজ্য ভাগের দাবির কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, রাজ্যভাগের দাবি তাঁদের নয়। ব্যক্তিগতভাবে বার্লা এই দাবি করে থাকতে পারেন।
পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, দার্জিলিং ও মালদহ জেলায় বিজেপির প্রভাব বেশি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এখানকার আটটি আসনের মধ্যে সাতটিতেই জিতে বিজেপি। অপর আসনটি পায় কংগ্রেস। তৃণমূল খাতাই খুলতে পারেনি এখানে। দক্ষিণের বাকি ৩৪টি আসনের মধ্যে বিজেপির দখলে যায় মাত্র ১১টি আসন। ২২টি আসনেই জিতে তৃণমূল। একটি আসন পায় কংগ্রেস।
সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটে উত্তরের ৫৪টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৩০টিতে জয়ী হয়। বাকি ২৪টি আসন পায় তৃণমূল। রাজ্যের বাকি অংশে বিজেপি অনেকটাই পিছিয়ে ছিল।
এই অবস্থায় তৃণমূলের আশঙ্কা, ভোটে হেরে রাজ্যভাগ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বিজেপি। বিজেপি সাংসদ বার্লা সেই আশঙ্কার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেন। তাঁর মতে, উত্তরের জেলাগুলো উন্নয়নের জন্য পৃথক রাজ্য চাই। তাই পৃথক উত্তরবঙ্গ-এর দাবিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। জাতীয় সংসদেও বিষয়টি তুলবেন।
তবে রাজ্যভাগের এই দাবিকে বিজেপিরও অনেকে মানতে নারাজ। কারণ, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাঙালির আবেগ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়ও বিরোধিতা করেছেন রাজ্যভাগের দাবিকে।
বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের পাল্টা অভিযোগ, বিজেপির বদনাম করার জন্যই তৃণমূল ষড়যন্ত্র করছে। দিলীপ ঘোষ যাই বলুন না কেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফকথা, ‘প্রাণ থাকতে বাংলাকে (পশ্চিমবঙ্গ) ভাগ হতে দেব না। দেখি, কার কতো হিম্মত, বাংলাকে ভাগ করে!’
তৃণমূলের পক্ষ থেকে সুখেন্দুশেখর রায় জানিয়েছেন, প্রতিটি জেলায় রাজ্য ভাগের চক্রান্তের বিরুদ্ধে তাঁরা আন্দোলনে নামছেন। বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যও জানিয়েছেন, রাজ্যভাগের কোনো ‘অশুভ উদ্যোগ’ বামপন্থীরা মানবে না। রাজ্যভাগের ‘ঘৃণ্য চক্রান্ত’ রুখতে কংগ্রেস সর্বতোভাবে লড়াই করবে বলে জানিয়েছেন রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরিও।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয়বার দিল্লিতে ক্ষমতায় এসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার জম্মু ও কাশ্মীরকে দুভাগ করে। একটি পূর্ণ রাজ্যকে ভেঙে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত রাজ্য করা হয়। দেশ জুড়ে প্রতিবাদ হলেও কাশ্মীরের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের আটক রেখে রাজ্যভাগ করে মোদি সরকার। সেই অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে মমতার হুঁশিয়ারি, ‘বাংলায় এসব চলবে না। কিছুতেই রাজ্যভাগ মানবেন না রাজ্যের মানুষ।’ প্রয়োজনে আন্দোলনের হুমকিও দেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর আগামী মঙ্গলবারই উত্তরের জেলাগুলো সফরে যাওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে সেই সফর বাতিল করা হয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক আবারও উত্তেজনার কেন্দ্রে এসে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের একটি মন্তব্যকে ঘিরে এই উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছে। আসিম মুনির প্রকাশ্যে ভারতের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনার কথা তুলেছেন, যার কড়া জবাব দিয়েছে ভারত।
১৮ মিনিট আগেপূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের বিস্তৃত অঞ্চল নিয়ে গঠিত ডনবাস। এই অঞ্চলটি নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সংঘাত তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, ডনবাস হারালে তা ইউক্রেনের জন্য ‘বিধ্বংসী পরিণতি’ বয়ে আনতে পারে।
২৬ মিনিট আগেআদালত নির্দেশ দিয়েছেন, প্রত্যেকের নামের সঙ্গে বাদ দেওয়ার কারণও উল্লেখ করতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে। এর পাশাপাশি আধার কার্ডকে ভোটার তালিকা সংশোধনের বৈধ প্রমাণপত্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে একটি আলাদা বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। এর মাধ্যমে প্যান, রেশন, ভোটার কার্ডসহ মোট ১১টি বৈ
১ ঘণ্টা আগেট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের আগে আলোচনায় এসেছে তাঁদের ‘বৈঠকের স্থান’। বার্তা সংস্থা এপি বলছে, স্নায়ুযুদ্ধের সময় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের হুমকি মোকাবিলায় ব্যবহৃত একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন ট্রাম্প।
২ ঘণ্টা আগে