আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতকে আরও কিছু এস-৪০০ সরবরাহ করতে যাচ্ছে রাশিয়া। এর আগে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে প্রথমবারের মতো এ প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিল ভারত। পরে এ সিস্টেমকে আকাশের ‘অভেদ্য ঢাল’ হিসেবে বর্ণনা করেন ভারতীয় সেনারা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন করে এস-৪০০ ডেলিভারির বিষয়ে ইতিমধ্যে ভারত-রাশিয়া আলোচনা চলছে।
প্রসঙ্গত, এস-৪০০ একধরনের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। এটি শত্রুর কার্যকলাপ ৬০০ কিলোমিটার দূর থেকে শনাক্ত করতে পারে এবং একসঙ্গে ১০০টির বেশি লক্ষ্য ট্র্যাক করতে পারে। প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূর থেকে আঘাত হানতে সক্ষম এস-৪০০। বোমারুবিমান, যুদ্ধবিমান, ড্রোন, আর্লি ওয়ার্নিং এয়ারক্রাফট ও ব্যালিস্টিক মিসাইল ধ্বংস করতে পারে। এর প্রতিটি রেজিমেন্টে থাকে আটটি লঞ্চ ভেহিকল, প্রতিটিতে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র টিউব। রাশিয়ার তৈরি এ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা মনে করা হয়।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়া এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থার আরও দুটি ইউনিট ভারতকে সরবরাহ করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে একটি ইউনিট ২০২৬ সালে এবং অন্যটি ২০২৭ সালে সরবরাহ করা হতে পারে। এগুলো ২০১৮ সালে ভারতের দেওয়া পাঁচ ইউনিটের অর্ডারের বাকি দুটি। এগুলোর সরবরাহ দেরি হওয়ায় বিষয়টি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের রাশিয়া সফরে এবং সাম্প্রতিক ভারত-রাশিয়া বৈঠকেও তোলা হয়।
এ ছাড়া ভারত আরও এস-৪০০ কেনার পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে, যা দেশটির উচ্চাভিলাষী ‘সুদর্শন চক্র’ প্রকল্পের অংশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে এ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেছিলেন। এতে উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা, নজরদারি, সাইবার সুরক্ষা ও বেশ কয়েক ধাপে প্রতিরক্ষা কাঠামো অন্তর্ভুক্ত থাকবে—যা ইসরায়েলের আয়রন ডোমের মতো কাজ করবে।
এ বিষয়ে রুশ ফেডারেল সার্ভিস ফর মিলিটারি-টেকনিক্যাল কো-অপারেশনের প্রধান দিমিত্রি শুগায়েভ রুশ সংবাদমাধ্যম তাসকে বলেন, ‘ভারতের কাছে ইতিমধ্যে আমাদের এস-৪০০ সিস্টেম আছে। এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বাড়ানো সম্ভব। অর্থাৎ নতুন ডেলিভারি আসছে। বর্তমানে আমরা আলোচনার পর্যায়ে আছি।’
ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান এপি সিং একে ‘গেমচেঞ্জার’ হিসেবে অভিহিত করেন, বিশেষ করে, অপারেশন সিঁদুরের সময়ে এর কার্যকারিতার পর। এপি সিং জানান, পাকিস্তান একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলেও সেগুলো এস-৪০০ ভেদ করতে পারেনি।
পাকিস্তান ও চীনের হুমকি মোকাবিলায় ভারত ২০১৮ সালে ৩৯ হাজার কোটি রুপির চুক্তিতে পাঁচটি এস-৪০০ সিস্টেম কিনেছিল। রাশিয়া ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে তিনটি ইউনিট সরবরাহ করেছে—এগুলো আদমপুর (পাঞ্জাব), পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে মোতায়েন রয়েছে। অন্য দুটি এখনো আসেনি। তবে রাশিয়া ইতিমধ্যে নতুন ডেলিভারি শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এস-৪০০ কেবল প্রতিরক্ষা কৌশলেরই অংশ নয়, বরং ভারত-রাশিয়া ঘনিষ্ঠ সহযোগিতারও প্রতীক। সম্প্রতি চীনে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) সম্মেলনের ফাঁকে দুই দেশের নেতার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কও চোখে পড়েছে। সেখানে রাশিয়া সবদিক থেকে ভারতের অবস্থানকে স্বীকৃতি দিয়েছে। বিশেষত, যুক্তরাষ্ট্রের চাপ সত্ত্বেও মস্কো থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে রুশ সমর্থন ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতকে আরও কিছু এস-৪০০ সরবরাহ করতে যাচ্ছে রাশিয়া। এর আগে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে প্রথমবারের মতো এ প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিল ভারত। পরে এ সিস্টেমকে আকাশের ‘অভেদ্য ঢাল’ হিসেবে বর্ণনা করেন ভারতীয় সেনারা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন করে এস-৪০০ ডেলিভারির বিষয়ে ইতিমধ্যে ভারত-রাশিয়া আলোচনা চলছে।
প্রসঙ্গত, এস-৪০০ একধরনের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। এটি শত্রুর কার্যকলাপ ৬০০ কিলোমিটার দূর থেকে শনাক্ত করতে পারে এবং একসঙ্গে ১০০টির বেশি লক্ষ্য ট্র্যাক করতে পারে। প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূর থেকে আঘাত হানতে সক্ষম এস-৪০০। বোমারুবিমান, যুদ্ধবিমান, ড্রোন, আর্লি ওয়ার্নিং এয়ারক্রাফট ও ব্যালিস্টিক মিসাইল ধ্বংস করতে পারে। এর প্রতিটি রেজিমেন্টে থাকে আটটি লঞ্চ ভেহিকল, প্রতিটিতে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র টিউব। রাশিয়ার তৈরি এ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা মনে করা হয়।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়া এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থার আরও দুটি ইউনিট ভারতকে সরবরাহ করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে একটি ইউনিট ২০২৬ সালে এবং অন্যটি ২০২৭ সালে সরবরাহ করা হতে পারে। এগুলো ২০১৮ সালে ভারতের দেওয়া পাঁচ ইউনিটের অর্ডারের বাকি দুটি। এগুলোর সরবরাহ দেরি হওয়ায় বিষয়টি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের রাশিয়া সফরে এবং সাম্প্রতিক ভারত-রাশিয়া বৈঠকেও তোলা হয়।
এ ছাড়া ভারত আরও এস-৪০০ কেনার পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে, যা দেশটির উচ্চাভিলাষী ‘সুদর্শন চক্র’ প্রকল্পের অংশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে এ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেছিলেন। এতে উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা, নজরদারি, সাইবার সুরক্ষা ও বেশ কয়েক ধাপে প্রতিরক্ষা কাঠামো অন্তর্ভুক্ত থাকবে—যা ইসরায়েলের আয়রন ডোমের মতো কাজ করবে।
এ বিষয়ে রুশ ফেডারেল সার্ভিস ফর মিলিটারি-টেকনিক্যাল কো-অপারেশনের প্রধান দিমিত্রি শুগায়েভ রুশ সংবাদমাধ্যম তাসকে বলেন, ‘ভারতের কাছে ইতিমধ্যে আমাদের এস-৪০০ সিস্টেম আছে। এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বাড়ানো সম্ভব। অর্থাৎ নতুন ডেলিভারি আসছে। বর্তমানে আমরা আলোচনার পর্যায়ে আছি।’
ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান এপি সিং একে ‘গেমচেঞ্জার’ হিসেবে অভিহিত করেন, বিশেষ করে, অপারেশন সিঁদুরের সময়ে এর কার্যকারিতার পর। এপি সিং জানান, পাকিস্তান একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলেও সেগুলো এস-৪০০ ভেদ করতে পারেনি।
পাকিস্তান ও চীনের হুমকি মোকাবিলায় ভারত ২০১৮ সালে ৩৯ হাজার কোটি রুপির চুক্তিতে পাঁচটি এস-৪০০ সিস্টেম কিনেছিল। রাশিয়া ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে তিনটি ইউনিট সরবরাহ করেছে—এগুলো আদমপুর (পাঞ্জাব), পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে মোতায়েন রয়েছে। অন্য দুটি এখনো আসেনি। তবে রাশিয়া ইতিমধ্যে নতুন ডেলিভারি শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এস-৪০০ কেবল প্রতিরক্ষা কৌশলেরই অংশ নয়, বরং ভারত-রাশিয়া ঘনিষ্ঠ সহযোগিতারও প্রতীক। সম্প্রতি চীনে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) সম্মেলনের ফাঁকে দুই দেশের নেতার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কও চোখে পড়েছে। সেখানে রাশিয়া সবদিক থেকে ভারতের অবস্থানকে স্বীকৃতি দিয়েছে। বিশেষত, যুক্তরাষ্ট্রের চাপ সত্ত্বেও মস্কো থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে রুশ সমর্থন ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সবশেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত আজ বৃহস্পতিবার অবরুদ্ধ উপত্যকা গাজায় প্রাণ গেছে আরও ৩৭ ফিলিস্তিনির, যাদের মধ্যে ২২ জনই উপত্যকার সবচেয়ে বড় নগরী গাজা সিটির বাসিন্দা। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিহতের তালিকায় রয়েছে চার ত্রাণপ্রত্যাশীও।
২ মিনিট আগেঅঙ্গ প্রতিস্থাপন ও আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার মাধ্যমে সম্ভব অমরত্ব অর্জন! বেইজিংয়ে সামরিক কুচকাওয়াজের মাঠে যাওয়ার সময় চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের সঙ্গে আলাপকালে এমন আশা ব্যক্ত করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভুলবশত তাদের দুজনের এই কথোপকথন প্রচার করেছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি।
১ ঘণ্টা আগেরুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ দুই ঘণ্টা বৈঠকের পর কিম জং উনের ব্যক্তিগত স্টাফরা বৈঠকের কক্ষটি নিখুঁতভাবে পরিষ্কার করেছে। চায়ের কাপ, টেবিল, চেয়ারের হাতল থেকে শুরু করে কিম জং উন ছুঁয়েছে এমন প্রতিটি জিনিস বিশেষ যত্নের সঙ্গে পরিষ্কার করা হয়েছে যাতে কোথাও কিমের কোনো চিহ্ন না থাকে।
২ ঘণ্টা আগে‘ইউফোরিয়া’ খ্যাত অভিনেত্রী সিডনি সুইনিকে দিয়ে বিজ্ঞাপনের কারণে বেশ বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছিল আমেরিকান ঈগল। জনপ্রিয় মার্কিন পোশাক ও আনুষঙ্গিক পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান আমেরিকান ঈগল আউটফিটার্স, যা সাধারণত আমেরিকান ঈগল নামে পরিচিত।
৩ ঘণ্টা আগে