ভারতের সবচেয়ে সম্মানিত ও মানবদরদী শিল্পপতিদের একজন রতন নাভাল টাটা বা রতন এন টাটা। গতকাল বুধবার তিনি ৮৬ বছর বয়সে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। গত কয়েক দিন ধরেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল।
রতন টাটা ১৯৯১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ২১ বছর টাটা গ্রুপকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে টাটা গ্রুপের মূলধন ৫০০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ১০ হাজার কোটি ডলারে। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে টাটা গ্রুপকে পৌঁছে দিয়েছেন। তবে কেবল শিল্পক্ষেত্রেই নয়, ভারতকে তিনি এগিয়ে নিয়েছেন অন্যভাবেও। দেশে এবং দেশের বাইরে তিনি ‘সবার আগে ভারত এবং ভারতীয়রা’—এই নীতির ব্যাপক প্রচার-প্রসার করেছেন।
রতন এন টাটা মুম্বাইয়ের একটি পারসি পরিবারে জন্ম নেন ১৯৩৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর। শৈশবেই তাঁর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়। এরপর তাঁকে লালনপালন করেন তাঁর দাদি নওয়াজবাই টাটা। রতন টাটা যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটি ও হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।
পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে রতন টাটা ১৯৬১ সালে টাটা স্টিলে যোগদান করেন। সে সময় তিনি সাধারণ শ্রমিকদের সঙ্গেই অফিস করতেন। দীর্ঘ সময় তিনি সাধারণ শ্রমিকদের সঙ্গে কাজ করেছেন। আর বিষয়টি তাঁকে মানুষকে বোঝার অসাধারণ দক্ষতা দেয়, যা পরবর্তী সময়ে টাটা গ্রুপের সম্প্রসারণে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
রতন টাটা তাঁর পূর্বসূরি জাহাঙ্গীর রতনজি দাদাভাই টাটা বা জেআরডি টাটার স্থলাভিষিক্ত হন ১৯৯১ সালে। সে সময় ভারতের অন্যতম কনগ্লোরামেট বা শিল্পগোষ্ঠী ছিল টাটা গ্রুপ, যার বার্ষিক আয় ছিল ৫ বিলিয়ন তথা ৫০০ কোটি ডলার। কিন্তু রতন টাটার মিশনারি নেতৃত্ব টাটাকে ভারতের গণ্ডি থেকে বের করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দেয় এবং ২০১২ সাল নাগাদ গ্রুপের বার্ষিক আয় বেড়ে দাঁড়ায় ১০০ বিলিয়ন ডলারে। রতন টাটার নেতৃত্বেই টাটা গ্রুপ বিশ্বের শতাধিক দেশে বিভিন্ন ব্যবসায়—স্টিল থেকে শুরু করে মোটরগাড়ি হয়ে আইটি এবং অন্যান্য পণ্য সম্প্রসারণ করে।
রতন টাটার নেতৃত্বে টাটা গ্রুপ ২০০০ সালে প্রথম কোনো ভারতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করে। সে বছর টাটা গ্রুপ ৪৫ কোটি ডলারের বিনিময়ে ব্রিটিশ চা কোম্পানি টেটলিকে কিনে নেয়। এর মধ্যে বিশ্ববাজারে ভারতীয় কোম্পানির যাত্রা শুরু হয়।
এরপর ২০০৭ সালে টাটা গ্রুপ ব্রিটিশ-ডাচ স্টিল উৎপাদনকারী কোম্পানি কোরাস কিনে নেয় ১৩ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে। পরে এর নামকরণ করা হয় টাটা স্টিল ইউরোপ। এই কোম্পানি কিনে নেওয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ স্টিল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয় টাটা।
কোরাস কিনে নেওয়ার এক বছর পর টাটা গ্রুপ রতন টাটার নেতৃত্বে আরও একটি দারুণ উদ্যোগ নেয়। এবার প্রতিষ্ঠানটি ব্রিটেনের আইকনিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার কিনে নেয়। ২০০৮ সালে ২৩০ কোটি ডলারের বিনিময়ে টাটা গ্রুপ জাগুয়ারকে অধিগ্রহণ করে। এর মধ্য দিয়ে টাটা গ্রুপ বৈশ্বিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।
জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার কিনে নেওয়ার বছরই (২০০৮ সালে) টাটা গ্রুপ ভারতে ‘টাটা ন্যানো’ গাড়ি নামায়। মূলত টাটার ‘সবার আগে ভারত ও ভারতীয়রা’—এই নীতির প্রতিফলন ছিল এটি। এই প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল মূলত বিশ্বের সবচেয়ে কমদামি গাড়ি উৎপাদন, যার মূল্য ছিল মাত্র ১ লাখ রুপি। তবে এই উদ্যোগ বাণিজ্যিক সফলতার মুখ দেখেনি।
ভারতের সবচেয়ে সম্মানিত ও মানবদরদী শিল্পপতিদের একজন রতন নাভাল টাটা বা রতন এন টাটা। গতকাল বুধবার তিনি ৮৬ বছর বয়সে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। গত কয়েক দিন ধরেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল।
রতন টাটা ১৯৯১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ২১ বছর টাটা গ্রুপকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে টাটা গ্রুপের মূলধন ৫০০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ১০ হাজার কোটি ডলারে। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে টাটা গ্রুপকে পৌঁছে দিয়েছেন। তবে কেবল শিল্পক্ষেত্রেই নয়, ভারতকে তিনি এগিয়ে নিয়েছেন অন্যভাবেও। দেশে এবং দেশের বাইরে তিনি ‘সবার আগে ভারত এবং ভারতীয়রা’—এই নীতির ব্যাপক প্রচার-প্রসার করেছেন।
রতন এন টাটা মুম্বাইয়ের একটি পারসি পরিবারে জন্ম নেন ১৯৩৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর। শৈশবেই তাঁর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়। এরপর তাঁকে লালনপালন করেন তাঁর দাদি নওয়াজবাই টাটা। রতন টাটা যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটি ও হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।
পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে রতন টাটা ১৯৬১ সালে টাটা স্টিলে যোগদান করেন। সে সময় তিনি সাধারণ শ্রমিকদের সঙ্গেই অফিস করতেন। দীর্ঘ সময় তিনি সাধারণ শ্রমিকদের সঙ্গে কাজ করেছেন। আর বিষয়টি তাঁকে মানুষকে বোঝার অসাধারণ দক্ষতা দেয়, যা পরবর্তী সময়ে টাটা গ্রুপের সম্প্রসারণে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
রতন টাটা তাঁর পূর্বসূরি জাহাঙ্গীর রতনজি দাদাভাই টাটা বা জেআরডি টাটার স্থলাভিষিক্ত হন ১৯৯১ সালে। সে সময় ভারতের অন্যতম কনগ্লোরামেট বা শিল্পগোষ্ঠী ছিল টাটা গ্রুপ, যার বার্ষিক আয় ছিল ৫ বিলিয়ন তথা ৫০০ কোটি ডলার। কিন্তু রতন টাটার মিশনারি নেতৃত্ব টাটাকে ভারতের গণ্ডি থেকে বের করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দেয় এবং ২০১২ সাল নাগাদ গ্রুপের বার্ষিক আয় বেড়ে দাঁড়ায় ১০০ বিলিয়ন ডলারে। রতন টাটার নেতৃত্বেই টাটা গ্রুপ বিশ্বের শতাধিক দেশে বিভিন্ন ব্যবসায়—স্টিল থেকে শুরু করে মোটরগাড়ি হয়ে আইটি এবং অন্যান্য পণ্য সম্প্রসারণ করে।
রতন টাটার নেতৃত্বে টাটা গ্রুপ ২০০০ সালে প্রথম কোনো ভারতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করে। সে বছর টাটা গ্রুপ ৪৫ কোটি ডলারের বিনিময়ে ব্রিটিশ চা কোম্পানি টেটলিকে কিনে নেয়। এর মধ্যে বিশ্ববাজারে ভারতীয় কোম্পানির যাত্রা শুরু হয়।
এরপর ২০০৭ সালে টাটা গ্রুপ ব্রিটিশ-ডাচ স্টিল উৎপাদনকারী কোম্পানি কোরাস কিনে নেয় ১৩ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে। পরে এর নামকরণ করা হয় টাটা স্টিল ইউরোপ। এই কোম্পানি কিনে নেওয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ স্টিল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয় টাটা।
কোরাস কিনে নেওয়ার এক বছর পর টাটা গ্রুপ রতন টাটার নেতৃত্বে আরও একটি দারুণ উদ্যোগ নেয়। এবার প্রতিষ্ঠানটি ব্রিটেনের আইকনিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার কিনে নেয়। ২০০৮ সালে ২৩০ কোটি ডলারের বিনিময়ে টাটা গ্রুপ জাগুয়ারকে অধিগ্রহণ করে। এর মধ্য দিয়ে টাটা গ্রুপ বৈশ্বিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।
জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার কিনে নেওয়ার বছরই (২০০৮ সালে) টাটা গ্রুপ ভারতে ‘টাটা ন্যানো’ গাড়ি নামায়। মূলত টাটার ‘সবার আগে ভারত ও ভারতীয়রা’—এই নীতির প্রতিফলন ছিল এটি। এই প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল মূলত বিশ্বের সবচেয়ে কমদামি গাড়ি উৎপাদন, যার মূল্য ছিল মাত্র ১ লাখ রুপি। তবে এই উদ্যোগ বাণিজ্যিক সফলতার মুখ দেখেনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ১০০ দিন হলো। সম্প্রতি তিনি বেশ জমকালোভাবেই তাঁর ১০০তম দিন পূর্তি উদ্যাপন করেছেন। অনুষ্ঠানে তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে কোনো কিছুই তাঁকে ‘থামাতে পারবে না।’
১৮ মিনিট আগেএকজন স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠাতা সম্প্রতি ভারতে একটি পাসপোর্ট অফিসে গিয়েছিলেন। সেখানে থ্রি–কোয়ার্টার পরার কারণে এক যুবককে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বলে একটি ভিডিও তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। এরপরই এ নিয়ে আলোচনা–সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
৩৯ মিনিট আগেগত ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে খেমকাকে মূলত ‘লো–প্রোফাইল’ বা কম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত দপ্তরগুলোতেই পদায়ন করা হয়েছে। কর্মজীবনে তিনি চারবার শুধু রাজ্য সরকারের আর্কাইভস দপ্তরেই কাজ করেছে। চারবারের তিনবারই বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে।
১ ঘণ্টা আগেজম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত এবং পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। দুই দেশের বাণিজ্য বন্ধ। কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। সিন্দু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত, অপর দিকে সিমলা চুক্তি স্থগিত করেছে পাকিস্তান।
৩ ঘণ্টা আগে