আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতের রাজনীতিতে সম্প্রতি ভোট চুরির অভিযোগ ঘিরে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করছে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) এমন কিছু অনিয়ম করেছে যা শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) পক্ষে গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিরোধী এমপিরা ভারতের সংসদে নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে আলোচনার দাবি জানালে অধিবেশন মুলতবি করা হয়। এর আগের দিন, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীসহ কয়েক ডজন বিরোধী নেতা দিল্লিতে ইসিআই-এর কার্যালয়ের দিকে মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের আটক করে।
তবে এই উত্তেজনার সূত্রপাত গত ৭ আগস্ট। সেদিন দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে রাহুল গান্ধী প্রথমবারের মতো ‘ভোট চুরি’ নিয়ে অভিযোগ তোলেন এবং এরপর থেকেই শতাধিক বিরোধী সংসদ সদস্য তাঁকে সমর্থন জানিয়ে পাশে দাঁড়ান।
রাহুল গান্ধী দাবি করেছেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে ব্যাপক ভোট কারচুপি হয়েছে। তিনি ইসিআই-এর সরবরাহ করা তথ্যের ভিত্তিতে এমন অভিযোগ করেন। তাঁর মতে, শুধুমাত্র বেঙ্গালুরুর মহাদেবপুরা এলাকার ভোটার তালিকায়ই এক লাখের বেশি ভুয়া নাম রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দ্বৈত ভোটার, অবৈধ ঠিকানা এবং এক ঠিকানায় অস্বাভাবিক সংখ্যক ভোটার নিবন্ধন।
উদাহরণ হিসেবে ‘শকুন রানি’ নামে এক ভোটারের কথা বলেন রাহুল। ওই নারী নাকি দুবার ভোট দিয়েছেন। ইসিআই অবশ্য এই দাবি অস্বীকার করেছে। এ ছাড়া রাহুলের অভিযোগ, ভোটকেন্দ্রগুলোর সিসিটিভি ফুটেজ মুছে ফেলা হয়েছে এবং এক ঠিকানায় ৮০ জন ভোটার নিবন্ধনের মতো ঘটনা ঘটেছে।
রাহুল গান্ধীর হিসাব অনুযায়ী, এসব অনিয়মে কংগ্রেস অন্তত ৪৮টি আসন হেরেছে। কংগ্রেস ২০২৪ এর নির্বাচনে ৯৯টি আসন পেলেও বিজেপি পেয়েছে ২৪০ টি। তিনি ইসিআইকে ডিজিটাল ভোটার তালিকা প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন যাতে সাধারণ মানুষ ও নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলো তা নিরীক্ষা করতে পারে।
এদিকে ভারতের নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাহুলের অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তাঁকে শপথ পত্রসহ প্রমাণ দিতে বা জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছে। কর্ণাটক রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় কংগ্রেস কোনো আনুষ্ঠানিক আপত্তি দেয়নি।
বিজেপি নেতারাও ভোট চুরির অভিযোগ নাকচ করে বলছেন, এ ধরনের বক্তব্য গণতন্ত্রকে আঘাত করছে। ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এমন অভিযোগকে ‘গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। আর কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান অভিযোগ করেছেন, বিরোধীরা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করছে।
গত ১২ আগস্ট রাহুল গান্ধী তাঁর অভিযোগকে আরও জোরালো করে বলেন—ভোট কারচুপি ‘জাতীয় পর্যায়ে এবং পরিকল্পিতভাবে’ হচ্ছে। বিহারের ভোটার তালিকায় ১২৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তির নাম পাওয়ার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘এ রকম অসংখ্য ঘটনা রয়েছে। আবহি পিকচার বাকি হ্যায়।’
ভারতের রাজনীতিতে সম্প্রতি ভোট চুরির অভিযোগ ঘিরে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করছে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) এমন কিছু অনিয়ম করেছে যা শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) পক্ষে গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিরোধী এমপিরা ভারতের সংসদে নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে আলোচনার দাবি জানালে অধিবেশন মুলতবি করা হয়। এর আগের দিন, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীসহ কয়েক ডজন বিরোধী নেতা দিল্লিতে ইসিআই-এর কার্যালয়ের দিকে মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের আটক করে।
তবে এই উত্তেজনার সূত্রপাত গত ৭ আগস্ট। সেদিন দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে রাহুল গান্ধী প্রথমবারের মতো ‘ভোট চুরি’ নিয়ে অভিযোগ তোলেন এবং এরপর থেকেই শতাধিক বিরোধী সংসদ সদস্য তাঁকে সমর্থন জানিয়ে পাশে দাঁড়ান।
রাহুল গান্ধী দাবি করেছেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে ব্যাপক ভোট কারচুপি হয়েছে। তিনি ইসিআই-এর সরবরাহ করা তথ্যের ভিত্তিতে এমন অভিযোগ করেন। তাঁর মতে, শুধুমাত্র বেঙ্গালুরুর মহাদেবপুরা এলাকার ভোটার তালিকায়ই এক লাখের বেশি ভুয়া নাম রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দ্বৈত ভোটার, অবৈধ ঠিকানা এবং এক ঠিকানায় অস্বাভাবিক সংখ্যক ভোটার নিবন্ধন।
উদাহরণ হিসেবে ‘শকুন রানি’ নামে এক ভোটারের কথা বলেন রাহুল। ওই নারী নাকি দুবার ভোট দিয়েছেন। ইসিআই অবশ্য এই দাবি অস্বীকার করেছে। এ ছাড়া রাহুলের অভিযোগ, ভোটকেন্দ্রগুলোর সিসিটিভি ফুটেজ মুছে ফেলা হয়েছে এবং এক ঠিকানায় ৮০ জন ভোটার নিবন্ধনের মতো ঘটনা ঘটেছে।
রাহুল গান্ধীর হিসাব অনুযায়ী, এসব অনিয়মে কংগ্রেস অন্তত ৪৮টি আসন হেরেছে। কংগ্রেস ২০২৪ এর নির্বাচনে ৯৯টি আসন পেলেও বিজেপি পেয়েছে ২৪০ টি। তিনি ইসিআইকে ডিজিটাল ভোটার তালিকা প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন যাতে সাধারণ মানুষ ও নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলো তা নিরীক্ষা করতে পারে।
এদিকে ভারতের নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাহুলের অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তাঁকে শপথ পত্রসহ প্রমাণ দিতে বা জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছে। কর্ণাটক রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় কংগ্রেস কোনো আনুষ্ঠানিক আপত্তি দেয়নি।
বিজেপি নেতারাও ভোট চুরির অভিযোগ নাকচ করে বলছেন, এ ধরনের বক্তব্য গণতন্ত্রকে আঘাত করছে। ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এমন অভিযোগকে ‘গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। আর কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান অভিযোগ করেছেন, বিরোধীরা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করছে।
গত ১২ আগস্ট রাহুল গান্ধী তাঁর অভিযোগকে আরও জোরালো করে বলেন—ভোট কারচুপি ‘জাতীয় পর্যায়ে এবং পরিকল্পিতভাবে’ হচ্ছে। বিহারের ভোটার তালিকায় ১২৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তির নাম পাওয়ার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘এ রকম অসংখ্য ঘটনা রয়েছে। আবহি পিকচার বাকি হ্যায়।’
ব্রিজিতের জন্ম পুরুষ হিসেবে হয়েছিল—এমন তথ্য প্রচার করেন ডানপন্থী ইনফ্লুয়েন্সার ক্যান্ডেস ওয়েন্স। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন মাখোঁ দম্পতি। তাঁদের আইনজীবী জানিয়েছেন, এ মামলায় তাঁরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আদালতে উপস্থাপন করবেন। এদিকে ওয়েন্সের আইনজীবীরা মামলাটি খারিজ করার জন্য একটি আবেদন করেছেন।
৭ ঘণ্টা আগেনেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশটির মার্কস ও লেনিন পন্থী কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিএন–ইউএমএল) চেয়ারম্যান কেপি শর্মা অলি অবশেষে সেনাবাহিনীর সুরক্ষা থেকে বেরিয়ে এসেছেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি শিবপুরীতে অবস্থিত নেপাল আর্মির স্টাফ কলেজে অবস্থান করছিলেন।
৭ ঘণ্টা আগেট্রাম্প স্বীকার করেন, তিনি ভেবেছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধান করা ‘সহজ’ হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, তিনি শেষ পর্যন্ত এ সমস্যার সমাধান করবেন।
৮ ঘণ্টা আগেনেপালের খ্যাতনামা চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. সন্দুক রুইত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি তাঁর রোগীদের ছেড়ে মন্ত্রী হতে চান না। মঙ্গলবার সকালে নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি কাঠমান্ডুর তিলগঙ্গা চক্ষু ইনস্টিটিউটে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
৯ ঘণ্টা আগে