Ajker Patrika

বিয়ের ১০ দিন আগে গয়না-নগদ টাকাসহ মেয়ের হবু স্বামীর সঙ্গে পালালেন মা

অনলাইন ডেস্ক
হবু জামাতা রাহুলের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন শিবানীর মা অনিতা। ছবি: সংগৃহীত
হবু জামাতা রাহুলের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন শিবানীর মা অনিতা। ছবি: সংগৃহীত

শিবানী নামে উত্তর প্রদেশের এক তরুণীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল আর মাত্র ১০ দিন পর। নিমন্ত্রণপত্রও ছাপানো হয়ে গিয়েছিল, আত্মীয়-স্বজনদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ঠিক তখনই আসে এক অপ্রত্যাশিত মোড়। কারণ, শিবানীর মা তাঁর হবু জামাইয়ের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন। এই ঘটনা শিবানী ও তাঁর পুরো পরিবারকে হতবাক করে দিয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, উত্তর প্রদেশের আলিগড়ের মাদরাক থানা এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা শিবানী। তিনি জানান, তাঁর মা অনিতা কেবল তাঁর হবু স্বামীর সঙ্গেই পালাননি বরং বাড়িতে থাকা নগদ সাড়ে ৩ লাখ টাকার বেশি এবং ৫ লাখ টাকার বেশি মূল্যের গয়নাও নিয়ে গেছেন।

শিবানী বলেন, ‘আগামী ১৬ এপ্রিল আমার রাহুল নামে একজনের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, আর আমার মা রোববার তাঁর সঙ্গে পালিয়ে গেছেন। গত তিন-চার মাস ধরে রাহুল ও আমার মা ফোনে অনেক কথা বলতেন। আমাদের আলমারিতে নগদ সাড়ে ৩ লাখ টাকা এবং ৫ লাখ টাকার বেশি মূল্যের গয়না ছিল। মা তাঁর কথা মতোই সবকিছু করেছেন। এমনকি ১০ টাকাও ফেলে যাননি। আমার মা আমাদের সব টাকা নিয়ে গেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন তিনি যা খুশি করতে পারেন, আমাদের কিছু যায় আসে না। আমরা শুধু চাই আমাদের টাকা ও গয়না ফেরত দেওয়া হোক।’

শিবানীর বাবা জিতেন্দ্র কুমার জানান, তিনি বেঙ্গালুরুতে ব্যবসা করেন এবং শুনেছিলেন অনিতা তাঁর হবু জামাইয়ের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলতেন, কিন্তু যেহেতু বিয়ের তারিখ খুব কাছেই ছিল তাই তিনি কিছু বলেননি। তিনি এখন স্ত্রীর নিখোঁজ হওয়ার ডায়েরি করেছেন।

জিতেন্দ্র কুমার বলেন, ‘ওই লোকটি আমার মেয়ের সঙ্গে কথা বলত না, শুধু আমার স্ত্রীর সঙ্গেই কথা বলত। আমি ব্যবসার জন্য বেঙ্গালুরুতে থাকি। শুনেছি গত তিন মাস ধরে তারা প্রতিদিন ২২ ঘণ্টা করে কথা বলত। আমার সন্দেহ হয়েছিল। কিন্তু, বিয়ের তারিখ কাছে আসায় কিছু বলিনি। অনিতা ৬ এপ্রিল ওই লোকের সঙ্গে পালিয়েছে এবং আমাদের সমস্ত নগদ টাকা ও গয়না নিয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি অনিতাকে বহুবার ফোন করেছিলাম, কিন্তু তাঁর ফোন বন্ধ ছিল। আমি ওই লোকটিকেও ফোন করেছিলাম, কিন্তু সে বারবার অস্বীকার করে যে—অনিতা তার সঙ্গে আছে। কয়েক ঘণ্টা পর, অবশেষে সে বলে যে আমি নাকি ২০ বছর ধরে আমার স্ত্রীকে কষ্ট দিয়েছি এবং আমাকে তাকে ভুলে যাওয়া উচিত। এরপর তাদের দুজনেরই ফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়।’

মাদরাক থানার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘একটি নিখোঁজ ডায়েরি নথিভুক্ত করা হয়েছে। আমরা একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত