Ajker Patrika

সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের শিকার কাশ্মীরে নিহত নৌসেনার স্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৫ মে ২০২৫, ১৬: ৪৩
শান্তির আহ্বান জানিয়ে নেটিজেনদের তোপের মুখে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত কর্মকর্তার স্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত
শান্তির আহ্বান জানিয়ে নেটিজেনদের তোপের মুখে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত কর্মকর্তার স্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট বিনয় নারওয়াল। স্বামীর নিথর দেহের পাশে নির্বাক বসে থাকা স্ত্রী হিমাংশি নারওয়ালের ছবি অনেকের অশ্রু ঝরিয়েছে।

কিন্তু হিমাংশিই এখন ভারতে সামাজিকমাধ্যমে ট্রলের শিকার হচ্ছেন। তাঁর অপরাধ, তিনি হামলার পর প্রথমবার জনসমক্ষে এসে মুসলিম ও কাশ্মীরিদের প্রতি বিদ্বেষ না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন!

এ নিয়ে অবশ্য তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে ভারতের জাতীয় নারী কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকে এক্স-এ পোস্ট করে বলা হয়েছে, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। লেফটেন্যান্ট বিনয় নারওয়ালকে তাঁর ধর্ম জিজ্ঞাসা করে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় পুরো দেশ শোকাহত ও ক্ষুব্ধ। নিহত বিনয় নারওয়ালের স্ত্রী হিমাংশি নারওয়ালকে একটি মন্তব্যের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় যেভাবে কটাক্ষ করা হচ্ছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও দুর্ভাগ্যজনক। কারও মতামতের বিরোধিতা করা যেতে পারে, তবে তারও একটা শালীনতা থাকা জরুরি। বিশেষ করে সাংবিধানিক সীমা মেনে চলাটা খুবই জরুরি।’

নারী কমিশনের চেয়ারপারসন বিজয়া রাহাতকরও পৃথকভাবে এক্সে জানান, হিমাংশি নারওয়ালের বক্তব্য কারও অপছন্দ হতে পারে, কিন্তু তাই বলে তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হবে, এটা মোটেও ঠিক নয়।

উল্লেখ্য, বিনয় ও হিমাংশি নারওয়াল কিছু দিন আগেই বিয়ে করেছিলেন। তাঁরা কাশ্মীরে মূলত মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন। সেখানেই গত ২২ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন ২৬ বছর বয়সী ওই নৌ কর্মকর্তা। হামলায় আরও ২৫ জনের মৃত্যু হয়। যাদের মধ্যে ছিলেন এক নেপালি নাগরিকও।

এ ঘটনার পর সামাজিকমাধ্যমে কাশ্মীরি ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। এরই জেরে সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান হিমাংশি। তিনি বলেন, ‘আমি শুধু চাই, গোটা দেশ ওর (বিনয়) জন্য প্রার্থনা করুক, যাতে ওর আত্মা শান্তি পায়। কাশ্মীরি ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে যেভাবে ঘৃণা বাড়ছে, তা আমরা চাই না। শুধু শান্তি চাই।’

এই বক্তব্যের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর উদ্দেশে শুরু হয় কটাক্ষ ও ব্যক্তিগত আক্রমণ। কেউ কেউ তাঁর ব্যক্তিজীবন নিয়েও কুরুচিকর মন্তব্য করতে শুরু করেন। কেউ কেউ আবার দাবি জানান, বিনয়ের পেনশন যেন তাঁর স্ত্রীকে না দেওয়া হয়। তবে নারী কমিশনের পাশাপাশি এই ট্রলিংয়ের বিরুদ্ধে সরব প্রতিবাদ জানাচ্ছেন আরও অনেকে। কর্তৃপক্ষকে এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাখাইনে মানবিক করিডর: জান্তার আপত্তিতে সরকারে দ্বিধা

মানবিক করিডরে বাংলাদেশের ফায়দা কী

রোগী দেখতে হবে কমপক্ষে ১০ মিনিট, অতিদরিদ্রদের জন্য বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা

সন্ধ্যায় বাজারে গিয়ে নিখোঁজ, ভোরে কালভার্টের নিচে মিলল নারীর লাশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইচ্ছেমতো’ ব্যয়, দুই বছরে রাষ্ট্রের ক্ষতি ৩৮৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত