অনলাইন ডেস্ক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তাঁর দেশ কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে কল্পনাতীত শাস্তি দেবে। তিনি বলেছেন, এই হামলায় মদদদাতাদেরও শাস্তি দেওয়া হবে। আজ বৃহস্পতিবার বিহারের মধুবানিতে এক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন মোদি।
গত মঙ্গলবার ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর মধ্যে ২৫ জন ভারতীয় ও একজন নেপালি। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দুদিন পর তিনি এই কড়া বার্তা দিলেন। অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতি নীরব শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন মোদি। পরে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা যেভাবে নির্দোষ পর্যটকদের নির্মম ও বর্বরভাবে হত্যা করেছে, তাতে গোটা দেশ ব্যথিত।
মোদি বলেন, পুরো দেশ শোকাহতদের পরিবারের পাশে আছে। সরকার আহত ব্যক্তিদের সুস্থতা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। কেউ ছেলে হারিয়েছেন, কেউ ভাই, কেউ জীবনসঙ্গী। কেউ বাংলায় কথা বলতেন, কেউ কন্নড়, কেউ মারাঠি, কেউ ওড়িয়া, কেউ গুজরাটি, আর কেউ ছিলেন বিহারের ছেলে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারগিল থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত শোক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। এই হামলা শুধু নিরীহ পর্যটকদের ওপর নয়, দেশের শত্রুরা ভারতের আত্মার ওপর আঘাত হানার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। তিনি বলেন, হামলাকারী সন্ত্রাসীরা, পরিকল্পনাকারীরা এমন শাস্তি পাবে, যা তারা কল্পনাও করতে পারবে না। সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্য যা অবশিষ্ট আছে, তা গুঁড়িয়ে দেওয়ার সময় এসেছে। ১৪০ কোটি মানুষের আকাঙ্ক্ষা সন্ত্রাসের হোতাদের কোমর ভেঙে দেবে। মূলত পাকিস্তানকে ইঙ্গিত করেই ছিল তাঁর এই মন্তব্য।
ভাষণের একপর্যায়ে মোদি ইংরেজিতে বলেন, ‘আমি পুরো বিশ্বকে বলছি, ভারত প্রতিটি সন্ত্রাসী ও তাদের মদদদাতাদের চিহ্নিত করবে, খুঁজে বের করবে এবং শাস্তি দেবে। আমরা পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত তাদের ধাওয়া করব। সন্ত্রাসবাদ ভারতের মনোবল ভাঙতে পারবে না। সন্ত্রাসবাদের বিচার হবেই।’
মোদি আরও বলেন, ‘ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সব প্রচেষ্টা চালানো হবে। পুরো জাতি এই সংকল্পে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যারা মানবতায় বিশ্বাস করে, তারা সবাই আমাদের সঙ্গে আছে। এই সময়ে যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, সেইসব দেশের জনগণ ও তাদের নেতাদের আমি ধন্যবাদ জানাই।’
গত মঙ্গলবার বিকেলে হামলার পর সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে ফিরে আসেন মোদি। কাশ্মীরে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে জঘন্য এই হামলার প্রথম প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এর নেপথ্যে যারা আছে, তাদের রেহাই দেওয়া হবে না।
গত রাতে মোদি নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সেখানে কেন্দ্র সরকার কূটনৈতিকভাবে পাকিস্তানকে শায়েস্তা করার সিদ্ধান্ত নেয়। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, তারা সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে এবং আটারি-ওয়াঘা সমন্বিত চেকপোস্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ভারত আরও বলেছে, সার্ক ভিসা অব্যাহতি প্রকল্পের আওতায় পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারতে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে না এবং পাকিস্তানের হাইকমিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টাদের ভারতে ‘পারসোনা নন গ্রাটা’ বা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি ১ মের মধ্যে হাইকমিশনগুলোর সামগ্রিক জনবল ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০-এ নামিয়ে আনতে হবে বলে জানিয়েছে।
এর আগে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছিলেন, সন্ত্রাসবাদের প্রতি ভারতের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু এই হামলার অপরাধীদের কাছেই পৌঁছাব না, নেপথ্যের হোতাদেরও ছাড়ব না...অভিযুক্ত ব্যক্তিরা শিগগির কঠোর ও স্পষ্ট জবাব দেখতে পাবে, আমি দেশকে আশ্বস্ত করতে চাই।’
আরও পড়ুন—
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তাঁর দেশ কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে কল্পনাতীত শাস্তি দেবে। তিনি বলেছেন, এই হামলায় মদদদাতাদেরও শাস্তি দেওয়া হবে। আজ বৃহস্পতিবার বিহারের মধুবানিতে এক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন মোদি।
গত মঙ্গলবার ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর মধ্যে ২৫ জন ভারতীয় ও একজন নেপালি। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দুদিন পর তিনি এই কড়া বার্তা দিলেন। অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতি নীরব শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন মোদি। পরে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা যেভাবে নির্দোষ পর্যটকদের নির্মম ও বর্বরভাবে হত্যা করেছে, তাতে গোটা দেশ ব্যথিত।
মোদি বলেন, পুরো দেশ শোকাহতদের পরিবারের পাশে আছে। সরকার আহত ব্যক্তিদের সুস্থতা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। কেউ ছেলে হারিয়েছেন, কেউ ভাই, কেউ জীবনসঙ্গী। কেউ বাংলায় কথা বলতেন, কেউ কন্নড়, কেউ মারাঠি, কেউ ওড়িয়া, কেউ গুজরাটি, আর কেউ ছিলেন বিহারের ছেলে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারগিল থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত শোক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। এই হামলা শুধু নিরীহ পর্যটকদের ওপর নয়, দেশের শত্রুরা ভারতের আত্মার ওপর আঘাত হানার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। তিনি বলেন, হামলাকারী সন্ত্রাসীরা, পরিকল্পনাকারীরা এমন শাস্তি পাবে, যা তারা কল্পনাও করতে পারবে না। সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্য যা অবশিষ্ট আছে, তা গুঁড়িয়ে দেওয়ার সময় এসেছে। ১৪০ কোটি মানুষের আকাঙ্ক্ষা সন্ত্রাসের হোতাদের কোমর ভেঙে দেবে। মূলত পাকিস্তানকে ইঙ্গিত করেই ছিল তাঁর এই মন্তব্য।
ভাষণের একপর্যায়ে মোদি ইংরেজিতে বলেন, ‘আমি পুরো বিশ্বকে বলছি, ভারত প্রতিটি সন্ত্রাসী ও তাদের মদদদাতাদের চিহ্নিত করবে, খুঁজে বের করবে এবং শাস্তি দেবে। আমরা পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত তাদের ধাওয়া করব। সন্ত্রাসবাদ ভারতের মনোবল ভাঙতে পারবে না। সন্ত্রাসবাদের বিচার হবেই।’
মোদি আরও বলেন, ‘ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সব প্রচেষ্টা চালানো হবে। পুরো জাতি এই সংকল্পে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যারা মানবতায় বিশ্বাস করে, তারা সবাই আমাদের সঙ্গে আছে। এই সময়ে যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, সেইসব দেশের জনগণ ও তাদের নেতাদের আমি ধন্যবাদ জানাই।’
গত মঙ্গলবার বিকেলে হামলার পর সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে ফিরে আসেন মোদি। কাশ্মীরে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে জঘন্য এই হামলার প্রথম প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এর নেপথ্যে যারা আছে, তাদের রেহাই দেওয়া হবে না।
গত রাতে মোদি নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সেখানে কেন্দ্র সরকার কূটনৈতিকভাবে পাকিস্তানকে শায়েস্তা করার সিদ্ধান্ত নেয়। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, তারা সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে এবং আটারি-ওয়াঘা সমন্বিত চেকপোস্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ভারত আরও বলেছে, সার্ক ভিসা অব্যাহতি প্রকল্পের আওতায় পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারতে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে না এবং পাকিস্তানের হাইকমিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টাদের ভারতে ‘পারসোনা নন গ্রাটা’ বা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি ১ মের মধ্যে হাইকমিশনগুলোর সামগ্রিক জনবল ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০-এ নামিয়ে আনতে হবে বলে জানিয়েছে।
এর আগে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছিলেন, সন্ত্রাসবাদের প্রতি ভারতের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু এই হামলার অপরাধীদের কাছেই পৌঁছাব না, নেপথ্যের হোতাদেরও ছাড়ব না...অভিযুক্ত ব্যক্তিরা শিগগির কঠোর ও স্পষ্ট জবাব দেখতে পাবে, আমি দেশকে আশ্বস্ত করতে চাই।’
আরও পড়ুন—
সব জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দিয়ে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে জড়ালই যুক্তরাষ্ট্র। আজ রোববার, মধ্যপ্রাচ্যের স্থানীয় সময় ভোরে ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্র— ফোরদো, নাতানজ ও ইস্পাহানে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই স্থাপনাগুলোতে গত শুক্রবার ইসরায়েলও হামলা চালিয়েছিল।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রকে কেন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ানো হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তার কৈফিয়ত চেয়েছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক শুমার। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া তিনি কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার স্পষ্ট জবাব জানতে চেয়েছেন ওই ডেমোক্র্যাট নেতা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাহাড়ের ভেতরে গড়ে ওঠা এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথে মাটি জমে থাকতে দেখা
৪ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
৪ ঘণ্টা আগে