নির্বাচনের পর গত সোমবার শুরু হয়েছে ভারতের অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশন। টানা ১০ দিনের এই অধিবেশনের প্রথম দিন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে পাল্টাপাল্টি স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো সংসদ। তবে এসব স্লোগানের কিছু ছিল ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে। বিজেপির সংসদ সদস্যদের ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানের বিপরীতে বিরোধীরা বন্দে মাতরম, জয় হিন্দ, জয় বাংলা, জয় মমতাসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সংসদ সদস্যের মুখে ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনিও উচ্চারিত হয়। গতকাল মঙ্গলবার অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে ‘জয় ফিলিস্তিন’ স্লোগান দিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন সর্বভারতীয় মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) প্রেসিডেন্ট আসাদুদ্দিন ওয়াইসি।
আজ বুধবার ভারতীয় বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল অষ্টাদশ লোকসভার অধিবেশনে নিজের শপথ গ্রহণ শেষ করে এআইএমআইএম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়াইসি স্লোগান দেন, ‘জয় ভিম, জয় মিম, জয় তেলিঙ্গানা, জয় ফিলিস্তিন।’
ওয়াইসির স্লোগানের শেষ অংশে অপ্রত্যাশিতভাবে ‘জয় ফিলিস্তিন’ শব্দটি ব্যবহারের আপত্তি জানিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানান ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সংসদ সদস্যরা। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করা বিজেপির রাধা মোহন সিং ঘোষণা করেন, ওয়াইসির স্লোগানটি সরকারি রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে কয়েক মিনিটের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের জন্য শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে স্থবিরতাও দেখা দেয়। পরে অবশ্য যথারীতি অনুষ্ঠান চলতে থাকে।
বিতর্কের সময় মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করে হায়দরাবাদ থেকে পঞ্চমবারের মতো বিজয়ী সংসদ সদস্য আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বিজেপির আপত্তির কারণ জানতে চান। পরবর্তীকালে তিনি সাংবাদিকদের কাছেও দাবি করেন, তাঁর স্লোগান ‘জয় ভিম, জয় মিম, জয় তেলিঙ্গানা, জয় প্যালেস্টাইন’-এর মধ্যে ভুল কিছু ছিল না। ওই স্লোগানের মধ্যে ভারতের সংবিধান পরিপন্থী কিছু ছিল না বলে উল্লেখ করেন তিনি। একটি নিপীড়িত জাতি হিসেবে ফিলিস্তিনিদের প্রসঙ্গ টেনেছেন তিনি। ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে মহাত্মা গান্ধী কী বলেছিলেন, সেই বিষয়টিও পড়ে দেখার আহ্বান জানান এআইএমআইএম নেতা।
জানা যায়, ঐতিহাসিকভাবেই ফিলিস্তিনিদের প্রতি রাষ্ট্রীয় সহমর্মিতা ও সমর্থন পোষণ করে ভারত। তবে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে গত তিন দশকে ইসরায়েলের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে দেশটির। এর ফলে দেশটির ক্ষমতাসীন সরকারগুলো সব সময়ই ইসরায়েলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সম্পর্ক এবং ফিলিস্তিনের প্রতি ঐতিহাসিক সমর্থন, এই দুটি বিষয়ের মধ্যে সতর্কভাবে ভারসাম্য রক্ষা করার চেষ্টা করে আসছে।
নির্বাচনের পর গত সোমবার শুরু হয়েছে ভারতের অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশন। টানা ১০ দিনের এই অধিবেশনের প্রথম দিন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে পাল্টাপাল্টি স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো সংসদ। তবে এসব স্লোগানের কিছু ছিল ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে। বিজেপির সংসদ সদস্যদের ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানের বিপরীতে বিরোধীরা বন্দে মাতরম, জয় হিন্দ, জয় বাংলা, জয় মমতাসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সংসদ সদস্যের মুখে ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনিও উচ্চারিত হয়। গতকাল মঙ্গলবার অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে ‘জয় ফিলিস্তিন’ স্লোগান দিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন সর্বভারতীয় মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) প্রেসিডেন্ট আসাদুদ্দিন ওয়াইসি।
আজ বুধবার ভারতীয় বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল অষ্টাদশ লোকসভার অধিবেশনে নিজের শপথ গ্রহণ শেষ করে এআইএমআইএম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়াইসি স্লোগান দেন, ‘জয় ভিম, জয় মিম, জয় তেলিঙ্গানা, জয় ফিলিস্তিন।’
ওয়াইসির স্লোগানের শেষ অংশে অপ্রত্যাশিতভাবে ‘জয় ফিলিস্তিন’ শব্দটি ব্যবহারের আপত্তি জানিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানান ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সংসদ সদস্যরা। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করা বিজেপির রাধা মোহন সিং ঘোষণা করেন, ওয়াইসির স্লোগানটি সরকারি রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে কয়েক মিনিটের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের জন্য শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে স্থবিরতাও দেখা দেয়। পরে অবশ্য যথারীতি অনুষ্ঠান চলতে থাকে।
বিতর্কের সময় মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করে হায়দরাবাদ থেকে পঞ্চমবারের মতো বিজয়ী সংসদ সদস্য আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বিজেপির আপত্তির কারণ জানতে চান। পরবর্তীকালে তিনি সাংবাদিকদের কাছেও দাবি করেন, তাঁর স্লোগান ‘জয় ভিম, জয় মিম, জয় তেলিঙ্গানা, জয় প্যালেস্টাইন’-এর মধ্যে ভুল কিছু ছিল না। ওই স্লোগানের মধ্যে ভারতের সংবিধান পরিপন্থী কিছু ছিল না বলে উল্লেখ করেন তিনি। একটি নিপীড়িত জাতি হিসেবে ফিলিস্তিনিদের প্রসঙ্গ টেনেছেন তিনি। ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে মহাত্মা গান্ধী কী বলেছিলেন, সেই বিষয়টিও পড়ে দেখার আহ্বান জানান এআইএমআইএম নেতা।
জানা যায়, ঐতিহাসিকভাবেই ফিলিস্তিনিদের প্রতি রাষ্ট্রীয় সহমর্মিতা ও সমর্থন পোষণ করে ভারত। তবে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে গত তিন দশকে ইসরায়েলের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে দেশটির। এর ফলে দেশটির ক্ষমতাসীন সরকারগুলো সব সময়ই ইসরায়েলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সম্পর্ক এবং ফিলিস্তিনের প্রতি ঐতিহাসিক সমর্থন, এই দুটি বিষয়ের মধ্যে সতর্কভাবে ভারসাম্য রক্ষা করার চেষ্টা করে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাহাড়ের ভেতরে গড়ে ওঠা এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথে মাটি জমে থাকতে দেখা
২৬ মিনিট আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
৩৯ মিনিট আগেইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর প্রথম প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তিনি এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) গুরুতর লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—এই
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন হামলার পর এবার সবার চোখ ইরানের দিকে। এই হামলার পাল্টা আঘাত হিসেবে কী করতে যাচ্ছে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের এই দেশটি। ইসরায়েলি হামলায় শীর্ষ নেতাদের হারানো এবং নতুন করে দায়িত্ব সমর্পণ করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া খামেনি এবার মার্কিন আঘাতের পাল্টা জবাব কীভাবে দেবেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় সবাই।
১ ঘণ্টা আগে