১৯৯৯ সালে ভারতীয় একটি যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা নিয়ে নেটফ্লিক্সে একটি ওয়েব সিরিজ মুক্তি পেয়েছে। ‘আইসি ৮১৪’ নামের এই সিরিজ পরিচালনা করেছেন অনুভব সিনহা। মূলত ওই নামেরই একটি বিমান নেপালের কাঠমান্ডু থেকে দিল্লি যাওয়ার পথে ছিনতাই করে আফগানিস্তানের কান্দাহারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ভারতের জেলে আটক থাকা বেশ কয়েকজন জঙ্গির মুক্তির দাবিতেই ওই ছিনতাই করা হয়।
বিমান ছিনতাইয়ের পর আট দিন ধরে চলে আলোচনা। একপর্যায়ে বিমানের যাত্রীদের ছেড়ে দেওয়ার শর্তে ভারত সরকার মাসুদ আজহারসহ তিন জঙ্গিকে মুক্তি দেয়। মুক্তির পর জয়শ-ই-মোহাম্মদ গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আজহার। পরবর্তী সময়ে ভারতে বেশ কয়েকটি হামলার জন্য তাঁর বাহিনীকে দায়ী করা হয়। মাসুদ আজহারকে সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণাও করে জাতিসংঘ।
আজহারসহ এবং অন্যান্য জঙ্গিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তটি ভারতে এখনো বিতর্কিত। বিরোধীরা প্রায় সময়ই এ ঘটনার জন্য বর্তমানে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) সমালোচনায় বিদ্ধ করে। কারণ, ১৯৯৯ সালে এই দলটিই ভারতের ক্ষমতায় ছিল। এবার ওই ঘটনা নিয়ে নির্মিত সিরিজ নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছয় পর্বের ওই সিরিজ ‘ফ্লাইট ইনটু ফিয়ার: দ্য ক্যাপ্টেনস স্টোরি’ নামে দেবী শরণের লেখা একটি বই এবং সাংবাদিক শ্রীঞ্জয় চৌধুরীর তথ্য অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে। ছিনতাই হওয়া বিমানটির ক্যাপ্টেন ছিলেন দেবী শরণ।
গত সপ্তাহে মুক্তি পাওয়া সিরিজটি শুরু হয়েছে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছিনতাইকারীদের ফ্লাইটে ওঠার মধ্য দিয়ে। উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই পাঁচ জঙ্গি ঘোষণা করে, ১১ জন ক্রু, ১৭৯ জন যাত্রীসহ বিমানটি তারা ছিনতাই করেছে।
সিরিজটিতে ছিনতাইকারী, ক্রু ও যাত্রীদের মধ্যে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা এবং বিষয়টি সমাধানের জন্য ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তাদের কাজের মুহূর্তগুলো দেখানো হয়েছে। তবে সিরিজ মুক্তি পাওয়ার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই সিরিজে দেখানো ছিনতাইকারীদের নাম নিয়ে আপত্তি জানাতে শুরু করে। সিরিজে দেখা যায়, ছিনতাইকারীরা একে অপরকে ভোলা এবং শংকরের মতো সাধারণ হিন্দু নামে সম্বোধন করছেন। যদিও তাঁদের প্রকৃত নামগুলো ছিল ইব্রাহিম আতহার, শহীদ আখতার সাঈদ, সানি আহমেদ কাজী, মিস্ত্রি জহুর ইব্রাহিম এবং শাকির। তাঁরা সবাই ছিলেন মুসলিম এবং পাকিস্তানের নাগরিক।
হিন্দু নাম ব্যবহারের বিষয়ে এক্সে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য মত দিয়েছেন, সিরিজে ছিনতাইকারীদের ‘অমুসলিম’ উপনাম ব্যবহার করে চলচ্চিত্রনির্মাতারা বোঝাতে চেয়েছেন, হিন্দুরাই আইসি-৮১৪ হাইজ্যাক করেছে।
একটি হিন্দু ডানপন্থী সংগঠন দিল্লির আদালতে এই সিরিজ নিষিদ্ধ করার জন্য মামলাও করেছে। মামলার আবেদনে চলচ্চিত্র নির্মাতাকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিকৃত করা এবং ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোকে ভুলভাবে উপস্থাপন করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে নেটফ্লিক্স কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে নেটফ্লিক্স এবং ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় মন্তব্যের জন্য বিবিসির অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
এদিকে বিতর্কের মধ্যে অনেকে সিরিজটি এবং এর পরিচালকের পক্ষ নিয়ে মত প্রকাশ করছেন। তাঁদের যুক্তি হলো, ঘটনার সময় ছিনতাইকারীরা একে অপরকে হিন্দু নামেই সম্বোধন করেছিলেন। ২০০০ সালে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল। বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ছিনতাইয়ের সময় যাত্রীরা ছিনতাইকারীদের যথাক্রমে চিফ, ডাক্তার, বার্গার, ভোলা এবং শংকর নামে শনাক্ত করেছিল। তাঁরা একে অপরকে এসব নামেই সম্বোধন করছিলেন।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং এটি নিয়ে রিপোর্ট করা সাংবাদিকেরাও অতীতে ছিনতাইকারীদের ছদ্মনাম ব্যবহারের বিষয়টি সমর্থন করেছেন।
১৯৯৯ সালে ভারতীয় একটি যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা নিয়ে নেটফ্লিক্সে একটি ওয়েব সিরিজ মুক্তি পেয়েছে। ‘আইসি ৮১৪’ নামের এই সিরিজ পরিচালনা করেছেন অনুভব সিনহা। মূলত ওই নামেরই একটি বিমান নেপালের কাঠমান্ডু থেকে দিল্লি যাওয়ার পথে ছিনতাই করে আফগানিস্তানের কান্দাহারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ভারতের জেলে আটক থাকা বেশ কয়েকজন জঙ্গির মুক্তির দাবিতেই ওই ছিনতাই করা হয়।
বিমান ছিনতাইয়ের পর আট দিন ধরে চলে আলোচনা। একপর্যায়ে বিমানের যাত্রীদের ছেড়ে দেওয়ার শর্তে ভারত সরকার মাসুদ আজহারসহ তিন জঙ্গিকে মুক্তি দেয়। মুক্তির পর জয়শ-ই-মোহাম্মদ গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আজহার। পরবর্তী সময়ে ভারতে বেশ কয়েকটি হামলার জন্য তাঁর বাহিনীকে দায়ী করা হয়। মাসুদ আজহারকে সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণাও করে জাতিসংঘ।
আজহারসহ এবং অন্যান্য জঙ্গিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তটি ভারতে এখনো বিতর্কিত। বিরোধীরা প্রায় সময়ই এ ঘটনার জন্য বর্তমানে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) সমালোচনায় বিদ্ধ করে। কারণ, ১৯৯৯ সালে এই দলটিই ভারতের ক্ষমতায় ছিল। এবার ওই ঘটনা নিয়ে নির্মিত সিরিজ নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছয় পর্বের ওই সিরিজ ‘ফ্লাইট ইনটু ফিয়ার: দ্য ক্যাপ্টেনস স্টোরি’ নামে দেবী শরণের লেখা একটি বই এবং সাংবাদিক শ্রীঞ্জয় চৌধুরীর তথ্য অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে। ছিনতাই হওয়া বিমানটির ক্যাপ্টেন ছিলেন দেবী শরণ।
গত সপ্তাহে মুক্তি পাওয়া সিরিজটি শুরু হয়েছে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছিনতাইকারীদের ফ্লাইটে ওঠার মধ্য দিয়ে। উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই পাঁচ জঙ্গি ঘোষণা করে, ১১ জন ক্রু, ১৭৯ জন যাত্রীসহ বিমানটি তারা ছিনতাই করেছে।
সিরিজটিতে ছিনতাইকারী, ক্রু ও যাত্রীদের মধ্যে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা এবং বিষয়টি সমাধানের জন্য ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তাদের কাজের মুহূর্তগুলো দেখানো হয়েছে। তবে সিরিজ মুক্তি পাওয়ার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই সিরিজে দেখানো ছিনতাইকারীদের নাম নিয়ে আপত্তি জানাতে শুরু করে। সিরিজে দেখা যায়, ছিনতাইকারীরা একে অপরকে ভোলা এবং শংকরের মতো সাধারণ হিন্দু নামে সম্বোধন করছেন। যদিও তাঁদের প্রকৃত নামগুলো ছিল ইব্রাহিম আতহার, শহীদ আখতার সাঈদ, সানি আহমেদ কাজী, মিস্ত্রি জহুর ইব্রাহিম এবং শাকির। তাঁরা সবাই ছিলেন মুসলিম এবং পাকিস্তানের নাগরিক।
হিন্দু নাম ব্যবহারের বিষয়ে এক্সে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য মত দিয়েছেন, সিরিজে ছিনতাইকারীদের ‘অমুসলিম’ উপনাম ব্যবহার করে চলচ্চিত্রনির্মাতারা বোঝাতে চেয়েছেন, হিন্দুরাই আইসি-৮১৪ হাইজ্যাক করেছে।
একটি হিন্দু ডানপন্থী সংগঠন দিল্লির আদালতে এই সিরিজ নিষিদ্ধ করার জন্য মামলাও করেছে। মামলার আবেদনে চলচ্চিত্র নির্মাতাকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিকৃত করা এবং ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোকে ভুলভাবে উপস্থাপন করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে নেটফ্লিক্স কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে নেটফ্লিক্স এবং ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় মন্তব্যের জন্য বিবিসির অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
এদিকে বিতর্কের মধ্যে অনেকে সিরিজটি এবং এর পরিচালকের পক্ষ নিয়ে মত প্রকাশ করছেন। তাঁদের যুক্তি হলো, ঘটনার সময় ছিনতাইকারীরা একে অপরকে হিন্দু নামেই সম্বোধন করেছিলেন। ২০০০ সালে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল। বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ছিনতাইয়ের সময় যাত্রীরা ছিনতাইকারীদের যথাক্রমে চিফ, ডাক্তার, বার্গার, ভোলা এবং শংকর নামে শনাক্ত করেছিল। তাঁরা একে অপরকে এসব নামেই সম্বোধন করছিলেন।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং এটি নিয়ে রিপোর্ট করা সাংবাদিকেরাও অতীতে ছিনতাইকারীদের ছদ্মনাম ব্যবহারের বিষয়টি সমর্থন করেছেন।
ভারতের ছত্তিশগড় হাইকোর্ট সম্প্রতি একটি যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন। এই রায়ে প্রমাণিত হয়েছে, ন্যায়বিচার পেতে দেরি হলেও তা কখনো অস্বীকার করা হয় না।
২৫ মিনিট আগেসোনম ওয়াংচুক একজন জলবায়ু কর্মী এবং পেশায় একজন যান্ত্রিক প্রকৌশলী। ২০১৮ সালে তিনি র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৮ সালে তিনি সেকমল স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন, যার প্রধান লক্ষ্য ছিল লাদাখি শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস পুনর্গঠন।
১ ঘণ্টা আগেঅস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এবিসি-কে সাংবাদিক অ্যান্টোনেট লাটুফকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করার দায়ে আদালত ১ লাখ ৫০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার জরিমানা দিতে আদেশ দিয়েছেন। বাংলায় দেশে মুদ্রায় যা ১ কোটি ২০ লাখ টাকারও বেশি। তবে এই ক্ষতিপূরণের আগেও তাঁকে আরও ৭০ হাজার ডলার (৫৬ লাখ টাকারও বেশি) দিয়েছিল...
২ ঘণ্টা আগেওড়িশার বাসিন্দা পার্থসারথি নামে জন্ম নেওয়া এই ব্যক্তি গত ১৬ বছর ধরে নারীদের ওপর নানাভাবে যৌন নির্যাতন চালাচ্ছেন। ২০০৯ এবং ২০১৬ সালেও তাঁর বিরুদ্ধে দুটি যৌন হেনস্তার মামলা হয়েছিল, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ভয়ংকর ব্যাপার হলো, ২০১৬ সালের মামলাটি বসন্ত কুঞ্জের একই আশ্রমের একজন তরুণী দায়ের করেছিলে
৩ ঘণ্টা আগে