আজকের পত্রিকা ডেস্ক
জনপ্রিয় টেনিস তারকা রাধিকা যাদবকে (২৫) গুলি করে হত্যার ঘটনায় কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, রাধিকার বাবা দীপক যাদব (৪৯) বিপুল সম্পত্তির মালিক। প্রতি মাসে এসব সম্পত্তি থেকে তাঁর আয় ১৫ থেকে ১৭ লাখ টাকা। এ ছাড়া গুরুগ্রামের (আগে গুরুগাঁও) বিলাসবহুল ফার্ম হাউস ও একটি লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র—এসব দীপক যাদবের আর্থিক সচ্ছলতার চিত্র তুলে ধরে।
কিন্তু পুলিশ ও গুরুগ্রামের স্থানীয় অধিবাসীদের মতে, মেয়ের জনপ্রিয়তা ও অর্থনৈতিক সচ্ছলতার কারণে দীপক যাদবকে স্থানীয় প্রতিবেশীদের কটু কথা হজম করতে হচ্ছিল। মেয়ের আয়ের ওপর নির্ভরশীল তিনি, এমন সব কথাও শুনতে হচ্ছিল দীপককে। কিন্তু দীপকের নিজের যে পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে, তাতে মনে হয় না তাঁকে মেয়ের আয়ের ওপর নির্ভর করতে হতো। বিষয়টি হত্যাকাণ্ডের রহস্যকে আরও ঘনীভূত করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। রাধিকা তখন সকালের নাশতা তৈরি করছিলেন, দীপক সে সময় মেয়েকে লক্ষ্য করে পাঁচটি গুলি চালান। এর মধ্যে তিনটি গুলি রাধিকার শরীরে বিদ্ধ হয়। ঘটনার পরপরই রাধিকাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে দীপক যাদব নিজেই মেয়ের হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। বর্তমানে তিনি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন।
এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওয়াজিরাবাদ গ্রামের (দীপকের নিজ গ্রাম) এক ব্যক্তি জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তির অর্থাৎ রাধিকার বাবার গুরুগ্রামে একাধিক সম্পত্তি রয়েছে। তিনি প্রতি মাসে ১৫-১৭ লাখ টাকা ভাড়া বাবদ আয় করেন। ওই ব্যক্তি এনডিটিভিকে জানান, গুরুগ্রামজুড়ে দীপকের বেশ কিছু সম্পত্তি রয়েছে। তাঁর একটি বিলাসবহুল ফার্ম হাউসও রয়েছে এবং গ্রামের সবাই জানেন যে তিনি ধনী।
দীপক তাঁর মেয়েকে হত্যা করতে লাইসেন্স করা পয়েন্ট-থ্রি টু বোরের একটি রিভলবার ব্যবহার করেন। এই আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যাপারে ওই ব্যক্তি বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ ও টাকা থাকলেই শুধু এ ধরনের অস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়া যায়। কোনো সাধারণ মানুষের পক্ষে এটা সম্ভব নয়।
তাহলে রাধিকাকে কেন হত্যা করলেন দীপক? স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, মাসখানেক ধরে পারিবারিক টানাপোড়েনের কারণে এই হত্যাকাণ্ড হতে পারে। প্রাথমিকভাবে আর্থিকভাবে রাধিকার স্বাধীনতা, ইনস্টাগ্রাম রিল ও একটি মিউজিক ভিডিওতে তাঁর উপস্থিতিই দীপককে ক্ষুব্ধ করেছিল বলে জানা যায়। দীপক পুলিশকে বলেছেন, ওয়াজিরাবাদ গ্রামের লোকেরা তাঁর মেয়ের উপার্জনের ওপর নির্ভরতা নিয়ে তাঁকে বারবার কটূক্তি করতেন। এ কারণে তিনি রাধিকাকে তাঁর টেনিস একাডেমি বন্ধ করার কথাও বলেছিলেন।
তবে, দীপকের এই স্বীকারোক্তি স্থানীয় কিছু মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন। স্থানীয় এক ব্যক্তি এনডিটিভিকে বলেন, দীপকের নিজেরই যখন এত টাকা আছে, তখন গ্রামের কে বলবে যে তিনি মেয়ের টাকায় চলেন? দীপক খুব পরিশীলিত মানুষ। তিনি তাঁর মেয়েকে টেনিস শেখানোর জন্য নিজের পড়াশোনাও ছেড়ে দিয়েছিলেন। তিনি তাঁর মেয়ের জন্য ২ লাখ টাকার টেনিস র্যাকেট কিনে দিয়েছিলেন। তিনি তাঁর মেয়েকে খুব ভালোবাসতেন। হত্যাকাণ্ডের পেছনে হয়তো ব্যক্তিগত কোনো কারণ থাকতে পারে, টেনিস বা টেনিস একাডেমি নয়।
প্রসঙ্গত, রাধিকার টেনিস একাডেমিটি গুরুগ্রামের সেক্টর ৫৭-তে অবস্থিত। একাডেমি খোলার পর থেকেই দীপক তাঁর মেয়ের জনপ্রিয়তা ও আর্থিক সচ্ছলতার প্রতি অসন্তোষ পোষণ করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
রাধিকার মৃত্যুতে অভিযোগ করেছেন দীপক যাদবের ভাই, অর্থাৎ রাধিকার চাচা। তিনি জানান, দীপক যাদব তাঁর বড় ভাই। তাঁরা একই বাড়ির পৃথক তলায় থাকেন। ঘটনার দিন সকালে তিনি গুলির শব্দ শুনতে পান। ওপরের তলায় গিয়ে রাধিকাকে রান্নাঘরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। ড্রয়িংরুমে রিভলবারটি পড়ে ছিল। রাধিকাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
জনপ্রিয় টেনিস তারকা রাধিকা যাদবকে (২৫) গুলি করে হত্যার ঘটনায় কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, রাধিকার বাবা দীপক যাদব (৪৯) বিপুল সম্পত্তির মালিক। প্রতি মাসে এসব সম্পত্তি থেকে তাঁর আয় ১৫ থেকে ১৭ লাখ টাকা। এ ছাড়া গুরুগ্রামের (আগে গুরুগাঁও) বিলাসবহুল ফার্ম হাউস ও একটি লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র—এসব দীপক যাদবের আর্থিক সচ্ছলতার চিত্র তুলে ধরে।
কিন্তু পুলিশ ও গুরুগ্রামের স্থানীয় অধিবাসীদের মতে, মেয়ের জনপ্রিয়তা ও অর্থনৈতিক সচ্ছলতার কারণে দীপক যাদবকে স্থানীয় প্রতিবেশীদের কটু কথা হজম করতে হচ্ছিল। মেয়ের আয়ের ওপর নির্ভরশীল তিনি, এমন সব কথাও শুনতে হচ্ছিল দীপককে। কিন্তু দীপকের নিজের যে পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে, তাতে মনে হয় না তাঁকে মেয়ের আয়ের ওপর নির্ভর করতে হতো। বিষয়টি হত্যাকাণ্ডের রহস্যকে আরও ঘনীভূত করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। রাধিকা তখন সকালের নাশতা তৈরি করছিলেন, দীপক সে সময় মেয়েকে লক্ষ্য করে পাঁচটি গুলি চালান। এর মধ্যে তিনটি গুলি রাধিকার শরীরে বিদ্ধ হয়। ঘটনার পরপরই রাধিকাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে দীপক যাদব নিজেই মেয়ের হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। বর্তমানে তিনি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন।
এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওয়াজিরাবাদ গ্রামের (দীপকের নিজ গ্রাম) এক ব্যক্তি জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তির অর্থাৎ রাধিকার বাবার গুরুগ্রামে একাধিক সম্পত্তি রয়েছে। তিনি প্রতি মাসে ১৫-১৭ লাখ টাকা ভাড়া বাবদ আয় করেন। ওই ব্যক্তি এনডিটিভিকে জানান, গুরুগ্রামজুড়ে দীপকের বেশ কিছু সম্পত্তি রয়েছে। তাঁর একটি বিলাসবহুল ফার্ম হাউসও রয়েছে এবং গ্রামের সবাই জানেন যে তিনি ধনী।
দীপক তাঁর মেয়েকে হত্যা করতে লাইসেন্স করা পয়েন্ট-থ্রি টু বোরের একটি রিভলবার ব্যবহার করেন। এই আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যাপারে ওই ব্যক্তি বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ ও টাকা থাকলেই শুধু এ ধরনের অস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়া যায়। কোনো সাধারণ মানুষের পক্ষে এটা সম্ভব নয়।
তাহলে রাধিকাকে কেন হত্যা করলেন দীপক? স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, মাসখানেক ধরে পারিবারিক টানাপোড়েনের কারণে এই হত্যাকাণ্ড হতে পারে। প্রাথমিকভাবে আর্থিকভাবে রাধিকার স্বাধীনতা, ইনস্টাগ্রাম রিল ও একটি মিউজিক ভিডিওতে তাঁর উপস্থিতিই দীপককে ক্ষুব্ধ করেছিল বলে জানা যায়। দীপক পুলিশকে বলেছেন, ওয়াজিরাবাদ গ্রামের লোকেরা তাঁর মেয়ের উপার্জনের ওপর নির্ভরতা নিয়ে তাঁকে বারবার কটূক্তি করতেন। এ কারণে তিনি রাধিকাকে তাঁর টেনিস একাডেমি বন্ধ করার কথাও বলেছিলেন।
তবে, দীপকের এই স্বীকারোক্তি স্থানীয় কিছু মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন। স্থানীয় এক ব্যক্তি এনডিটিভিকে বলেন, দীপকের নিজেরই যখন এত টাকা আছে, তখন গ্রামের কে বলবে যে তিনি মেয়ের টাকায় চলেন? দীপক খুব পরিশীলিত মানুষ। তিনি তাঁর মেয়েকে টেনিস শেখানোর জন্য নিজের পড়াশোনাও ছেড়ে দিয়েছিলেন। তিনি তাঁর মেয়ের জন্য ২ লাখ টাকার টেনিস র্যাকেট কিনে দিয়েছিলেন। তিনি তাঁর মেয়েকে খুব ভালোবাসতেন। হত্যাকাণ্ডের পেছনে হয়তো ব্যক্তিগত কোনো কারণ থাকতে পারে, টেনিস বা টেনিস একাডেমি নয়।
প্রসঙ্গত, রাধিকার টেনিস একাডেমিটি গুরুগ্রামের সেক্টর ৫৭-তে অবস্থিত। একাডেমি খোলার পর থেকেই দীপক তাঁর মেয়ের জনপ্রিয়তা ও আর্থিক সচ্ছলতার প্রতি অসন্তোষ পোষণ করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
রাধিকার মৃত্যুতে অভিযোগ করেছেন দীপক যাদবের ভাই, অর্থাৎ রাধিকার চাচা। তিনি জানান, দীপক যাদব তাঁর বড় ভাই। তাঁরা একই বাড়ির পৃথক তলায় থাকেন। ঘটনার দিন সকালে তিনি গুলির শব্দ শুনতে পান। ওপরের তলায় গিয়ে রাধিকাকে রান্নাঘরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। ড্রয়িংরুমে রিভলবারটি পড়ে ছিল। রাধিকাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
ওয়াশিংটনে ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈঠকে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, তুরস্কের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে দেশটির কাছে আবারও নিজেদের তৈরি উন্নত এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পাঁচ বছরের শিশু টিম হ্রিশচুক কল্পনাও করেনি, তার স্কুলজীবনের প্রথম দিনটি কাটাতে হবে ভূগর্ভস্থ আশ্রয়ে। ২ সেপ্টেম্বর সকালে যখন বিমান হামলার সাইরেন বাজল, তখন সে এবং তার সহপাঠীরা ক্লাসরুম ছেড়ে সোজা চলে যায় বাংকারে।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রায় ৬০ বছর পর প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিলেন সিরিয়ার কোনো নেতা। এ নেতা আর কেউ নন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারা। তাঁর এ যাত্রা এক অপ্রত্যাশিত মাইলফলক। একসময় আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামে পরিচিত শারা ছিলেন সিরিয়ার আল-কায়েদা শাখার নেতা।
৪ ঘণ্টা আগেব্যবসার সংকট কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে কফি জায়ান্ট স্টারবাকস। কোম্পানিটি ঘোষণা দিয়েছে, তাদের কয়েক শ ক্যাফে বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং সদর দপ্তরে নতুন করে ছাঁটাই করা হবে। এসব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান সিইও ব্রায়ান নিকোলের নেতৃত্বে।
৫ ঘণ্টা আগে