আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের মোদি সরকারের সদ্য পাস হওয়া ‘শান্তি’ বিল নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। দলের প্রবীণ নেতা ও রাজ্যসভার সংসদ সদস্য জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে এবং তাদের স্বার্থ রক্ষা করতেই এই বিতর্কিত বিলটি সংসদে জোরপূর্বক পাস করা হয়েছে।
জয়রাম রমেশের দাবি, এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পরমাণু খাতে বিদেশি সরবরাহকারীদের দায়বদ্ধতা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা দীর্ঘদিনের জাতীয় ঐকমত্যের পরিপন্থী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জয়রাম রমেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট (এনডিএএ) ২০২৬’-এর প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
তিনি বলেন, ট্রাম্প স্বাক্ষরিত ৩ হাজার ১০০ পৃষ্ঠার ওই মার্কিন আইনের ১৯১২ নম্বর পৃষ্ঠায় ভারতের ‘পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন’ নিয়ে দ্বিপক্ষীয় পর্যালোচনার স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু আমাদের নতুন বিলে সেটা নেই।
জয়রাম রমেশ বলেন, ‘এখন আমরা নিশ্চিত যে প্রধানমন্ত্রী কেন চলতি সপ্তাহেই “শান্তি” বিলটি পাস করার জন্য এত তাড়াহুড়ো করলেন। এটি তাঁর একসময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর (ট্রাম্প) সঙ্গে সুসম্পর্ক বা শান্তি ফিরিয়ে আনার একটি প্রচেষ্টা মাত্র।’
কটাক্ষ করে তিনি বলেন, শান্তি বিলটিকে আসলে ‘ট্রাম্প অ্যাক্ট’ বলা উচিত। এর পূর্ণরূপ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন—‘দ্য রিঅ্যাক্টর ইউস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রমিজ অ্যাক্ট’।
কী আছে এই ‘শান্তি’ বিলে
মোদি সরকারের দাবি, ‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার ভারতের পরমাণু শক্তি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। তাঁর মতে, এই বিলের লক্ষ্য হলো—১৯৬২ সালের পারমাণবিক শক্তি আইনের ভিত্তিতে আধুনিক প্রযুক্তি, অর্থনীতি ও জ্বালানি বাস্তবতার সঙ্গে ভারতের পারমাণবিক কাঠামোকে আধুনিক করা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিল পাস হওয়াকে একটি ‘রূপান্তরমূলক মুহূর্ত’ বলে উল্লেখ করেন।
বিলটির মূল লক্ষ্য হলো—ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্রুত বাড়ানো। বর্তমানে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন উৎপাদন সক্ষমতা ৮ দশমিক ২ গিগাওয়াট। মোদি সরকার ২০৪৭ সালের মধ্যে তা ১০০ গিগাওয়াটে নিতে চায়। এ ছাড়া ভারতের ২০৭০ সালের মধ্য নেট জিরো লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং পাশাপাশি ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি গড়ার সঙ্গেও এটি সম্পর্কযুক্ত।
তবে বিরোধীরা বলছেন, নতুন এই বিলের মাধ্যম ১৯৬২ সালের পরমাণু শক্তি আইন ও ২০১০ সালের পরমাণু ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ক বেসামরিক দায়বদ্ধতা আইন (সিভিল লাইয়াবিলিটি ফর নিউক্লিয়ার ড্যামেজ আইন) বাতিল হয়ে গেছে।
বিরোধীদের প্রধান অভিযোগ, নতুন আইনে পারমাণবিক দুর্ঘটনায় সরঞ্জাম সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতা-সংক্রান্ত কঠোর ধারাগুলো শিথিল করা হয়েছে। এখন কোনো দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দায় মূলত অপারেটরের ওপরই বর্তাবে।
সংসদে বিলটি পাসের সময় কংগ্রেসসহ অন্য বিরোধী দলগুলো দাবি করেছিল, বিলটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হোক। কিন্তু সরকার সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে এবং বিরোধীদের ওয়াকআউটের মধ্যেই বিলটি পাস হয়ে যায়।
বিরোধীদের মতে, ২০১০ সালে যখন ইউপিএ সরকার পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন এনেছিল, তখন বিজেপিই সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতার দাবিতে অনড় ছিল। এখন সেই বিজেপিই ক্ষমতায় এসে বিদেশি সংস্থাগুলোকে ছাড় দিতে আইন শিথিল করছে, যা জনস্বার্থের পরিপন্থী।

ভারতের মোদি সরকারের সদ্য পাস হওয়া ‘শান্তি’ বিল নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। দলের প্রবীণ নেতা ও রাজ্যসভার সংসদ সদস্য জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে এবং তাদের স্বার্থ রক্ষা করতেই এই বিতর্কিত বিলটি সংসদে জোরপূর্বক পাস করা হয়েছে।
জয়রাম রমেশের দাবি, এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পরমাণু খাতে বিদেশি সরবরাহকারীদের দায়বদ্ধতা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা দীর্ঘদিনের জাতীয় ঐকমত্যের পরিপন্থী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জয়রাম রমেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট (এনডিএএ) ২০২৬’-এর প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
তিনি বলেন, ট্রাম্প স্বাক্ষরিত ৩ হাজার ১০০ পৃষ্ঠার ওই মার্কিন আইনের ১৯১২ নম্বর পৃষ্ঠায় ভারতের ‘পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন’ নিয়ে দ্বিপক্ষীয় পর্যালোচনার স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু আমাদের নতুন বিলে সেটা নেই।
জয়রাম রমেশ বলেন, ‘এখন আমরা নিশ্চিত যে প্রধানমন্ত্রী কেন চলতি সপ্তাহেই “শান্তি” বিলটি পাস করার জন্য এত তাড়াহুড়ো করলেন। এটি তাঁর একসময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর (ট্রাম্প) সঙ্গে সুসম্পর্ক বা শান্তি ফিরিয়ে আনার একটি প্রচেষ্টা মাত্র।’
কটাক্ষ করে তিনি বলেন, শান্তি বিলটিকে আসলে ‘ট্রাম্প অ্যাক্ট’ বলা উচিত। এর পূর্ণরূপ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন—‘দ্য রিঅ্যাক্টর ইউস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রমিজ অ্যাক্ট’।
কী আছে এই ‘শান্তি’ বিলে
মোদি সরকারের দাবি, ‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার ভারতের পরমাণু শক্তি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। তাঁর মতে, এই বিলের লক্ষ্য হলো—১৯৬২ সালের পারমাণবিক শক্তি আইনের ভিত্তিতে আধুনিক প্রযুক্তি, অর্থনীতি ও জ্বালানি বাস্তবতার সঙ্গে ভারতের পারমাণবিক কাঠামোকে আধুনিক করা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিল পাস হওয়াকে একটি ‘রূপান্তরমূলক মুহূর্ত’ বলে উল্লেখ করেন।
বিলটির মূল লক্ষ্য হলো—ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্রুত বাড়ানো। বর্তমানে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন উৎপাদন সক্ষমতা ৮ দশমিক ২ গিগাওয়াট। মোদি সরকার ২০৪৭ সালের মধ্যে তা ১০০ গিগাওয়াটে নিতে চায়। এ ছাড়া ভারতের ২০৭০ সালের মধ্য নেট জিরো লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং পাশাপাশি ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি গড়ার সঙ্গেও এটি সম্পর্কযুক্ত।
তবে বিরোধীরা বলছেন, নতুন এই বিলের মাধ্যম ১৯৬২ সালের পরমাণু শক্তি আইন ও ২০১০ সালের পরমাণু ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ক বেসামরিক দায়বদ্ধতা আইন (সিভিল লাইয়াবিলিটি ফর নিউক্লিয়ার ড্যামেজ আইন) বাতিল হয়ে গেছে।
বিরোধীদের প্রধান অভিযোগ, নতুন আইনে পারমাণবিক দুর্ঘটনায় সরঞ্জাম সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতা-সংক্রান্ত কঠোর ধারাগুলো শিথিল করা হয়েছে। এখন কোনো দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দায় মূলত অপারেটরের ওপরই বর্তাবে।
সংসদে বিলটি পাসের সময় কংগ্রেসসহ অন্য বিরোধী দলগুলো দাবি করেছিল, বিলটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হোক। কিন্তু সরকার সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে এবং বিরোধীদের ওয়াকআউটের মধ্যেই বিলটি পাস হয়ে যায়।
বিরোধীদের মতে, ২০১০ সালে যখন ইউপিএ সরকার পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন এনেছিল, তখন বিজেপিই সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতার দাবিতে অনড় ছিল। এখন সেই বিজেপিই ক্ষমতায় এসে বিদেশি সংস্থাগুলোকে ছাড় দিতে আইন শিথিল করছে, যা জনস্বার্থের পরিপন্থী।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের মোদি সরকারের সদ্য পাস হওয়া ‘শান্তি’ বিল নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। দলের প্রবীণ নেতা ও রাজ্যসভার সংসদ সদস্য জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে এবং তাদের স্বার্থ রক্ষা করতেই এই বিতর্কিত বিলটি সংসদে জোরপূর্বক পাস করা হয়েছে।
জয়রাম রমেশের দাবি, এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পরমাণু খাতে বিদেশি সরবরাহকারীদের দায়বদ্ধতা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা দীর্ঘদিনের জাতীয় ঐকমত্যের পরিপন্থী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জয়রাম রমেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট (এনডিএএ) ২০২৬’-এর প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
তিনি বলেন, ট্রাম্প স্বাক্ষরিত ৩ হাজার ১০০ পৃষ্ঠার ওই মার্কিন আইনের ১৯১২ নম্বর পৃষ্ঠায় ভারতের ‘পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন’ নিয়ে দ্বিপক্ষীয় পর্যালোচনার স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু আমাদের নতুন বিলে সেটা নেই।
জয়রাম রমেশ বলেন, ‘এখন আমরা নিশ্চিত যে প্রধানমন্ত্রী কেন চলতি সপ্তাহেই “শান্তি” বিলটি পাস করার জন্য এত তাড়াহুড়ো করলেন। এটি তাঁর একসময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর (ট্রাম্প) সঙ্গে সুসম্পর্ক বা শান্তি ফিরিয়ে আনার একটি প্রচেষ্টা মাত্র।’
কটাক্ষ করে তিনি বলেন, শান্তি বিলটিকে আসলে ‘ট্রাম্প অ্যাক্ট’ বলা উচিত। এর পূর্ণরূপ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন—‘দ্য রিঅ্যাক্টর ইউস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রমিজ অ্যাক্ট’।
কী আছে এই ‘শান্তি’ বিলে
মোদি সরকারের দাবি, ‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার ভারতের পরমাণু শক্তি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। তাঁর মতে, এই বিলের লক্ষ্য হলো—১৯৬২ সালের পারমাণবিক শক্তি আইনের ভিত্তিতে আধুনিক প্রযুক্তি, অর্থনীতি ও জ্বালানি বাস্তবতার সঙ্গে ভারতের পারমাণবিক কাঠামোকে আধুনিক করা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিল পাস হওয়াকে একটি ‘রূপান্তরমূলক মুহূর্ত’ বলে উল্লেখ করেন।
বিলটির মূল লক্ষ্য হলো—ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্রুত বাড়ানো। বর্তমানে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন উৎপাদন সক্ষমতা ৮ দশমিক ২ গিগাওয়াট। মোদি সরকার ২০৪৭ সালের মধ্যে তা ১০০ গিগাওয়াটে নিতে চায়। এ ছাড়া ভারতের ২০৭০ সালের মধ্য নেট জিরো লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং পাশাপাশি ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি গড়ার সঙ্গেও এটি সম্পর্কযুক্ত।
তবে বিরোধীরা বলছেন, নতুন এই বিলের মাধ্যম ১৯৬২ সালের পরমাণু শক্তি আইন ও ২০১০ সালের পরমাণু ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ক বেসামরিক দায়বদ্ধতা আইন (সিভিল লাইয়াবিলিটি ফর নিউক্লিয়ার ড্যামেজ আইন) বাতিল হয়ে গেছে।
বিরোধীদের প্রধান অভিযোগ, নতুন আইনে পারমাণবিক দুর্ঘটনায় সরঞ্জাম সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতা-সংক্রান্ত কঠোর ধারাগুলো শিথিল করা হয়েছে। এখন কোনো দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দায় মূলত অপারেটরের ওপরই বর্তাবে।
সংসদে বিলটি পাসের সময় কংগ্রেসসহ অন্য বিরোধী দলগুলো দাবি করেছিল, বিলটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হোক। কিন্তু সরকার সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে এবং বিরোধীদের ওয়াকআউটের মধ্যেই বিলটি পাস হয়ে যায়।
বিরোধীদের মতে, ২০১০ সালে যখন ইউপিএ সরকার পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন এনেছিল, তখন বিজেপিই সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতার দাবিতে অনড় ছিল। এখন সেই বিজেপিই ক্ষমতায় এসে বিদেশি সংস্থাগুলোকে ছাড় দিতে আইন শিথিল করছে, যা জনস্বার্থের পরিপন্থী।

ভারতের মোদি সরকারের সদ্য পাস হওয়া ‘শান্তি’ বিল নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। দলের প্রবীণ নেতা ও রাজ্যসভার সংসদ সদস্য জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে এবং তাদের স্বার্থ রক্ষা করতেই এই বিতর্কিত বিলটি সংসদে জোরপূর্বক পাস করা হয়েছে।
জয়রাম রমেশের দাবি, এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পরমাণু খাতে বিদেশি সরবরাহকারীদের দায়বদ্ধতা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা দীর্ঘদিনের জাতীয় ঐকমত্যের পরিপন্থী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জয়রাম রমেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট (এনডিএএ) ২০২৬’-এর প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
তিনি বলেন, ট্রাম্প স্বাক্ষরিত ৩ হাজার ১০০ পৃষ্ঠার ওই মার্কিন আইনের ১৯১২ নম্বর পৃষ্ঠায় ভারতের ‘পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন’ নিয়ে দ্বিপক্ষীয় পর্যালোচনার স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু আমাদের নতুন বিলে সেটা নেই।
জয়রাম রমেশ বলেন, ‘এখন আমরা নিশ্চিত যে প্রধানমন্ত্রী কেন চলতি সপ্তাহেই “শান্তি” বিলটি পাস করার জন্য এত তাড়াহুড়ো করলেন। এটি তাঁর একসময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর (ট্রাম্প) সঙ্গে সুসম্পর্ক বা শান্তি ফিরিয়ে আনার একটি প্রচেষ্টা মাত্র।’
কটাক্ষ করে তিনি বলেন, শান্তি বিলটিকে আসলে ‘ট্রাম্প অ্যাক্ট’ বলা উচিত। এর পূর্ণরূপ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন—‘দ্য রিঅ্যাক্টর ইউস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রমিজ অ্যাক্ট’।
কী আছে এই ‘শান্তি’ বিলে
মোদি সরকারের দাবি, ‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার ভারতের পরমাণু শক্তি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। তাঁর মতে, এই বিলের লক্ষ্য হলো—১৯৬২ সালের পারমাণবিক শক্তি আইনের ভিত্তিতে আধুনিক প্রযুক্তি, অর্থনীতি ও জ্বালানি বাস্তবতার সঙ্গে ভারতের পারমাণবিক কাঠামোকে আধুনিক করা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিল পাস হওয়াকে একটি ‘রূপান্তরমূলক মুহূর্ত’ বলে উল্লেখ করেন।
বিলটির মূল লক্ষ্য হলো—ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্রুত বাড়ানো। বর্তমানে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন উৎপাদন সক্ষমতা ৮ দশমিক ২ গিগাওয়াট। মোদি সরকার ২০৪৭ সালের মধ্যে তা ১০০ গিগাওয়াটে নিতে চায়। এ ছাড়া ভারতের ২০৭০ সালের মধ্য নেট জিরো লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং পাশাপাশি ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি গড়ার সঙ্গেও এটি সম্পর্কযুক্ত।
তবে বিরোধীরা বলছেন, নতুন এই বিলের মাধ্যম ১৯৬২ সালের পরমাণু শক্তি আইন ও ২০১০ সালের পরমাণু ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ক বেসামরিক দায়বদ্ধতা আইন (সিভিল লাইয়াবিলিটি ফর নিউক্লিয়ার ড্যামেজ আইন) বাতিল হয়ে গেছে।
বিরোধীদের প্রধান অভিযোগ, নতুন আইনে পারমাণবিক দুর্ঘটনায় সরঞ্জাম সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতা-সংক্রান্ত কঠোর ধারাগুলো শিথিল করা হয়েছে। এখন কোনো দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দায় মূলত অপারেটরের ওপরই বর্তাবে।
সংসদে বিলটি পাসের সময় কংগ্রেসসহ অন্য বিরোধী দলগুলো দাবি করেছিল, বিলটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হোক। কিন্তু সরকার সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে এবং বিরোধীদের ওয়াকআউটের মধ্যেই বিলটি পাস হয়ে যায়।
বিরোধীদের মতে, ২০১০ সালে যখন ইউপিএ সরকার পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন এনেছিল, তখন বিজেপিই সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতার দাবিতে অনড় ছিল। এখন সেই বিজেপিই ক্ষমতায় এসে বিদেশি সংস্থাগুলোকে ছাড় দিতে আইন শিথিল করছে, যা জনস্বার্থের পরিপন্থী।

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
১৫ মিনিট আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনার তোড়জোড় চললেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর মূল লক্ষ্য থেকে একচুলও সরে আসেননি। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, পুতিন এখনো পুরো ইউক্রেন দখল এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ইউরোপীয় দেশগুলোর...
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত শুক্রবার যে নথিগুলো প্রকাশ করেছে, তাতে জেফরি এপস্টেইনের যৌন নিপীড়নের জন্য মানুষ পাঠিয়ে কীভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে জোগাড় করতেন, তার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। তদন্ত নথিগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ফোজ দো ইগুয়াসুতে দক্ষিণ আমেরিকার আঞ্চলিক জোট ‘মারকোসুর’-এর শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে লুলা এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ভেনেজুয়েলায় সশস্ত্র হস্তক্ষেপ একটি মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নেবে। এটি এমন একটি নজির সৃষ্টি করবে, যা বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি।’
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে রোববার (২১ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা সম্প্রতি আরও বেড়েছে। গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াতকারী সব নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘অবরোধ’ আরোপের নির্দেশ দেন। ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপকে নিকোলাস মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর নতুন কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভেনেজুয়েলার অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি তেল খাতকে লক্ষ্য করেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
লুলা স্মরণ করিয়ে দেন, ফকল্যান্ডস যুদ্ধের চার দশকেরও বেশি সময় পর দক্ষিণ আমেরিকা আবারও অন্য মহাদেশীয় কোনো শক্তির সামরিক উপস্থিতির আশঙ্কায় ভুগছে। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকা আবার এমন এক ভূতের ছায়ায় পড়ছে, যেখানে এই অঞ্চলের বাইরে থেকে আসা সামরিক শক্তি আমাদের শান্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই লাতিন আমেরিকার দুই বৃহত্তম অর্থনীতির শীর্ষ নেতা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম ভেনেজুয়েলা পরিস্থিতিতে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে গত শনিবারের বক্তব্যে লুলা আরও কঠোর দেখিয়েছেন।
‘মারকোসুর’ সম্মেলন শেষে দেওয়া এক যৌথ ঘোষণায় লাতিন আমেরিকার নেতারা ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক নীতি ও মানবাধিকার রক্ষায় শান্তিপূর্ণ পথেই অগ্রসর হওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। এই ঘোষণায় আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও পানামার প্রেসিডেন্টদের পাশাপাশি বলিভিয়া, ইকুয়েডর ও পেরুর শীর্ষ কর্মকর্তারাও সমর্থন জানান।

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ফোজ দো ইগুয়াসুতে দক্ষিণ আমেরিকার আঞ্চলিক জোট ‘মারকোসুর’-এর শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে লুলা এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ভেনেজুয়েলায় সশস্ত্র হস্তক্ষেপ একটি মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নেবে। এটি এমন একটি নজির সৃষ্টি করবে, যা বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি।’
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে রোববার (২১ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা সম্প্রতি আরও বেড়েছে। গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াতকারী সব নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘অবরোধ’ আরোপের নির্দেশ দেন। ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপকে নিকোলাস মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর নতুন কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভেনেজুয়েলার অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি তেল খাতকে লক্ষ্য করেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
লুলা স্মরণ করিয়ে দেন, ফকল্যান্ডস যুদ্ধের চার দশকেরও বেশি সময় পর দক্ষিণ আমেরিকা আবারও অন্য মহাদেশীয় কোনো শক্তির সামরিক উপস্থিতির আশঙ্কায় ভুগছে। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকা আবার এমন এক ভূতের ছায়ায় পড়ছে, যেখানে এই অঞ্চলের বাইরে থেকে আসা সামরিক শক্তি আমাদের শান্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই লাতিন আমেরিকার দুই বৃহত্তম অর্থনীতির শীর্ষ নেতা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম ভেনেজুয়েলা পরিস্থিতিতে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে গত শনিবারের বক্তব্যে লুলা আরও কঠোর দেখিয়েছেন।
‘মারকোসুর’ সম্মেলন শেষে দেওয়া এক যৌথ ঘোষণায় লাতিন আমেরিকার নেতারা ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক নীতি ও মানবাধিকার রক্ষায় শান্তিপূর্ণ পথেই অগ্রসর হওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। এই ঘোষণায় আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও পানামার প্রেসিডেন্টদের পাশাপাশি বলিভিয়া, ইকুয়েডর ও পেরুর শীর্ষ কর্মকর্তারাও সমর্থন জানান।

‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
১ দিন আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনার তোড়জোড় চললেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর মূল লক্ষ্য থেকে একচুলও সরে আসেননি। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, পুতিন এখনো পুরো ইউক্রেন দখল এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ইউরোপীয় দেশগুলোর...
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত শুক্রবার যে নথিগুলো প্রকাশ করেছে, তাতে জেফরি এপস্টেইনের যৌন নিপীড়নের জন্য মানুষ পাঠিয়ে কীভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে জোগাড় করতেন, তার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। তদন্ত নথিগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতেও ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে। পকেটে টান পড়তে যাচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। ২৬ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে স্বস্তির খবর হলো, লোকাল ট্রেনের ভাড়া অপরিবর্তিত থাকছে। মূলত দূরপাল্লার যাত্রীদের জন্যই এই বাড়তি ভাড়া কার্যকর হবে।
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের (নন-এসি) যাত্রীদের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়বে দুই পয়সা। এসি কোচ বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচের ক্ষেত্রেও কিলোমিটার প্রতি দুই পয়সা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
তবে যদি কোনো যাত্রী নন-এসি কোচে ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন, নতুন নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে আগের চেয়ে ১০ রুপি বেশি ভাড়া দিতে হবে।
কেন এই ভাড়া বৃদ্ধি
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত এক দশকে রেলপথ সম্প্রসারণের ফলে জনবল এবং অন্যান্য ব্যয় বহুগুণ বেড়েছে। রেলওয়ের বর্তমান জনবল ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি রুপিতে এবং পেনশনের পেছনে খরচ হচ্ছে ৬০ হাজার কোটি রুপি। সব মিলিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট পরিচালনা ব্যয় বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি রুপি।
যাত্রীদের ভাড়া ও পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে খরচ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে রেলওয়ে। এর আগে গত জুলাই মাসেও ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল (নন-এসিতে এক পয়সা ও এসিতে দুই পয়সা)। তারও আগে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি বড় ধরনের ভাড়া বৃদ্ধি কার্যকর করা হয়েছিল, যেখানে এসি কোচে ভাড়া বেড়েছিল কিলোমিটার প্রতি চার পয়সা পর্যন্ত।
রেলওয়ে কর্মকর্তাদের মতে, উন্নত সেবা এবং ক্রমবর্ধমান ব্যয় মেটাতে এই সামান্য ভাড়া বৃদ্ধি অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এই ভাড়া বৃদ্ধির ফলে রেলওয়ের বার্ষিক আয় প্রায় ৬০০ কোটি রুপি বাড়বে।

ভারতেও ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে। পকেটে টান পড়তে যাচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। ২৬ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে স্বস্তির খবর হলো, লোকাল ট্রেনের ভাড়া অপরিবর্তিত থাকছে। মূলত দূরপাল্লার যাত্রীদের জন্যই এই বাড়তি ভাড়া কার্যকর হবে।
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের (নন-এসি) যাত্রীদের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়বে দুই পয়সা। এসি কোচ বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচের ক্ষেত্রেও কিলোমিটার প্রতি দুই পয়সা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
তবে যদি কোনো যাত্রী নন-এসি কোচে ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন, নতুন নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে আগের চেয়ে ১০ রুপি বেশি ভাড়া দিতে হবে।
কেন এই ভাড়া বৃদ্ধি
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত এক দশকে রেলপথ সম্প্রসারণের ফলে জনবল এবং অন্যান্য ব্যয় বহুগুণ বেড়েছে। রেলওয়ের বর্তমান জনবল ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি রুপিতে এবং পেনশনের পেছনে খরচ হচ্ছে ৬০ হাজার কোটি রুপি। সব মিলিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট পরিচালনা ব্যয় বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি রুপি।
যাত্রীদের ভাড়া ও পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে খরচ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে রেলওয়ে। এর আগে গত জুলাই মাসেও ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল (নন-এসিতে এক পয়সা ও এসিতে দুই পয়সা)। তারও আগে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি বড় ধরনের ভাড়া বৃদ্ধি কার্যকর করা হয়েছিল, যেখানে এসি কোচে ভাড়া বেড়েছিল কিলোমিটার প্রতি চার পয়সা পর্যন্ত।
রেলওয়ে কর্মকর্তাদের মতে, উন্নত সেবা এবং ক্রমবর্ধমান ব্যয় মেটাতে এই সামান্য ভাড়া বৃদ্ধি অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এই ভাড়া বৃদ্ধির ফলে রেলওয়ের বার্ষিক আয় প্রায় ৬০০ কোটি রুপি বাড়বে।

‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
১ দিন আগে
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
১৫ মিনিট আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনার তোড়জোড় চললেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর মূল লক্ষ্য থেকে একচুলও সরে আসেননি। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, পুতিন এখনো পুরো ইউক্রেন দখল এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ইউরোপীয় দেশগুলোর...
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত শুক্রবার যে নথিগুলো প্রকাশ করেছে, তাতে জেফরি এপস্টেইনের যৌন নিপীড়নের জন্য মানুষ পাঠিয়ে কীভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে জোগাড় করতেন, তার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। তদন্ত নথিগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনার তোড়জোড় চললেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর মূল লক্ষ্য থেকে একচুলও সরে আসেননি। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, পুতিন এখনো পুরো ইউক্রেন দখল এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ইউরোপীয় দেশগুলোর নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন দেখছেন।
গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের সঙ্গে পরিচিত ছয়টি সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর প্রকাশ করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর শান্তি আলোচকেরা বারবার দাবি করছেন, পুতিন এই যুদ্ধ শেষ করতে আগ্রহী। তবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করার সময় পুতিনের যে লক্ষ্য ছিল, তা এখনো অপরিবর্তিত। তিনি কেবল ইউক্রেন নয়, বরং ন্যাটোর জোটভুক্ত বাল্টিক দেশগুলো ও পোল্যান্ডের মতো অঞ্চলের জন্যও হুমকি।
ট্রাম্প প্রশাসন চলমান যুদ্ধের ইতি টানার ব্যাপারে আশাবাদী হলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সর্বশেষ প্রতিবেদন (সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ প্রস্তুতকৃত) বলছে, পুতিন দীর্ঘমেয়াদি আগ্রাসনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এদিকে ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার ও বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বর্তমানে ইউক্রেন, রাশিয়া ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ২০ দফার একটি শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছেন।
সম্প্রতি বার্লিনে অনুষ্ঠিত আলোচনায় ইউক্রেনকে ন্যাটোর বাইরে কিন্তু ‘আর্টিকেল ৫’-এর মতো শক্তিশালী নিরাপত্তা গ্যারান্টি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর অধীনে ইউক্রেনের সীমান্তে ইউরোপীয় বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে। পাশাপাশি ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে সেনার সংখ্যা সর্বোচ্চ ৮ লাখে সীমাবদ্ধ রাখার প্রস্তাব রয়েছে, তবে রাশিয়া একে আরও কমানোর দাবি তুলছে।
আলোচনার সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দখল করা ভূখণ্ড। অভিযোগ উঠেছে যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে দনবাসের অন্য অংশ (দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক) থেকে সেনা সরিয়ে নিতে চাপ দিচ্ছেন।
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেন কোনোভাবেই তাদের সার্বভৌম ভূখণ্ড রাশিয়ার হাতে তুলে দেবে না। তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা গ্যারান্টি বাস্তবে কতটা কার্যকর হবে, তার উত্তর এখনো আমি পাইনি।’
মার্কিন গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড অবশ্য ভিন্ন কথা বলছেন। তিনি দাবি করেছেন, রাশিয়া ইউরোপের সঙ্গে বড় কোনো যুদ্ধে জড়াতে চায় না এবং বর্তমানে তাদের সেই সক্ষমতাও নেই। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও স্বীকার করেছেন, পুতিন কি সত্যিই চুক্তি করতে চান, না পুরো দেশ দখল করতে চান—তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনার তোড়জোড় চললেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর মূল লক্ষ্য থেকে একচুলও সরে আসেননি। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, পুতিন এখনো পুরো ইউক্রেন দখল এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ইউরোপীয় দেশগুলোর নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন দেখছেন।
গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের সঙ্গে পরিচিত ছয়টি সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর প্রকাশ করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর শান্তি আলোচকেরা বারবার দাবি করছেন, পুতিন এই যুদ্ধ শেষ করতে আগ্রহী। তবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করার সময় পুতিনের যে লক্ষ্য ছিল, তা এখনো অপরিবর্তিত। তিনি কেবল ইউক্রেন নয়, বরং ন্যাটোর জোটভুক্ত বাল্টিক দেশগুলো ও পোল্যান্ডের মতো অঞ্চলের জন্যও হুমকি।
ট্রাম্প প্রশাসন চলমান যুদ্ধের ইতি টানার ব্যাপারে আশাবাদী হলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সর্বশেষ প্রতিবেদন (সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ প্রস্তুতকৃত) বলছে, পুতিন দীর্ঘমেয়াদি আগ্রাসনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এদিকে ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার ও বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বর্তমানে ইউক্রেন, রাশিয়া ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ২০ দফার একটি শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছেন।
সম্প্রতি বার্লিনে অনুষ্ঠিত আলোচনায় ইউক্রেনকে ন্যাটোর বাইরে কিন্তু ‘আর্টিকেল ৫’-এর মতো শক্তিশালী নিরাপত্তা গ্যারান্টি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর অধীনে ইউক্রেনের সীমান্তে ইউরোপীয় বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে। পাশাপাশি ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে সেনার সংখ্যা সর্বোচ্চ ৮ লাখে সীমাবদ্ধ রাখার প্রস্তাব রয়েছে, তবে রাশিয়া একে আরও কমানোর দাবি তুলছে।
আলোচনার সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দখল করা ভূখণ্ড। অভিযোগ উঠেছে যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে দনবাসের অন্য অংশ (দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক) থেকে সেনা সরিয়ে নিতে চাপ দিচ্ছেন।
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেন কোনোভাবেই তাদের সার্বভৌম ভূখণ্ড রাশিয়ার হাতে তুলে দেবে না। তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা গ্যারান্টি বাস্তবে কতটা কার্যকর হবে, তার উত্তর এখনো আমি পাইনি।’
মার্কিন গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড অবশ্য ভিন্ন কথা বলছেন। তিনি দাবি করেছেন, রাশিয়া ইউরোপের সঙ্গে বড় কোনো যুদ্ধে জড়াতে চায় না এবং বর্তমানে তাদের সেই সক্ষমতাও নেই। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও স্বীকার করেছেন, পুতিন কি সত্যিই চুক্তি করতে চান, না পুরো দেশ দখল করতে চান—তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
১ দিন আগে
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
১৫ মিনিট আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত শুক্রবার যে নথিগুলো প্রকাশ করেছে, তাতে জেফরি এপস্টেইনের যৌন নিপীড়নের জন্য মানুষ পাঠিয়ে কীভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে জোগাড় করতেন, তার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। তদন্ত নথিগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত শুক্রবার যে নথিগুলো প্রকাশ করেছে, তাতে জেফরি এপস্টেইনের যৌন নিপীড়নের জন্য মানুষ পাঠিয়ে কীভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে জোগাড় করতেন, তার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। তদন্ত নথিগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে। বিশেষ করে তরুণী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের তাঁকে সরবরাহ করার প্রক্রিয়া এতে স্পষ্ট হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, নথিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়কালে বিচার বিভাগের দীর্ঘদিন ধরে প্রতীক্ষিত প্রকাশনার অংশ। তবে এই প্রকাশনা আংশিক এবং ব্যাপকভাবে সম্পাদিত হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে।
প্রকাশিত নথিগুলোর মধ্যে একটি নথি বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। নথিটির নম্বর ইএফটিএ–০০০০৪১৭৯। এতে রয়েছে এফবিআইয়ের একটি প্রমাণ-সংক্রান্ত কভার শিট এবং ১৩ পৃষ্ঠার হাতে লেখা তদন্ত নোট। ২০১৯ সালের ২ মে নেওয়া এক সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এসব নোট তৈরি করা হয়। সাক্ষাৎকারদাতার পরিচয় এবং নথির কিছু অংশ গোপন রাখা হয়েছে।
তবে নোটগুলোতে কয়েকটি বিষয় স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে মেয়েদের নিয়োগ, ‘ম্যাসাজ’-এর আড়ালে যৌন নিপীড়ন এবং বয়স ও গায়ের রং নিয়ে এপস্টেইনের নির্দিষ্ট পছন্দ। নোট অনুযায়ী সাক্ষী বলেন, ‘ (এই অংশ মুছে ফেলা হয়েছে)–এর বন্ধুদের বন্ধু। বড় ব্রাজিলিয়ান গ্রুপ। খুবই মরিয়া সময় যাচ্ছে। মেয়েদের সংখ্যা ফুরিয়ে আসছিল।’ নোটে জেফরি এপস্টেইনকে ‘জেই’ আদ্যক্ষরে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই তথাকথিত ‘মরিয়া সময়ে’ একজন ‘বাদামি ত্বকের ডমিনিকান’ মেয়েকে আনা হয়েছিল। কিন্তু নোটে বলা হয়েছে, ‘জেই স্প্যানিশ বা গাঢ় রঙের মেয়ে চায়নি।’ যিনি অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের এপস্টেইনের কাছে নিয়ে আসতেন, তাঁর পরিচয় নথিতে গোপন রাখা হয়েছে। ওই ব্যক্তি এপস্টেইনকে জানান, তিনি তাঁর জন্য ‘তরুণী মেয়েদের’ নিয়ে আসছেন। তবে এপস্টেইন অভিযোগ করেন, ‘হ্যাঁ, কিন্তু বাদামি রঙের না।’
সাক্ষী জানান, তিনি নিশ্চিত নন এপস্টেইন ওই জোগাড়দারকে কোনো অর্থ দিয়েছিলেন কি না। তবে মেয়েটিকে অর্থ দেওয়া হয়েছিল। নোটে আরও উল্লেখ আছে, একটি বাথরুমে ঘটে যাওয়া ঘটনার। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘বাথটাবের কাছে স্তন ও যোনি…সে শাওয়ারে ঢুকে পড়ে এবং তাকে বলে, সে যেন এমন মেয়েদের না আনে যাদের সে পছন্দ করে না…তাকে বলে, খুঁজে যেতে।’
আরও বলা হয়, ‘একপর্যায়ে (নাম মুছে ফেলা হয়েছে) তাকে একটি মেয়ের পরিচয়পত্র চাইতে দেখেছে।’ নোট অনুযায়ী, এপস্টেইন নিশ্চিত হতে চেয়েছিলেন মেয়েটি ১৮ বছরের নিচে কি না। কারণ আগে বেশি বয়সী মেয়েদের আনার ঘটনায় তাঁর আস্থা নষ্ট হয়েছিল।
নোটে সাক্ষী যৌন নিপীড়নের বিবরণও দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, এপস্টেইন ‘অদ্ভুত শব্দ করতেন’ এবং ভুক্তভোগীদের ‘রূঢ়ভাবে’ স্পর্শ করতেন। নথিটিতে কয়েকজন মেয়ের ছবি সংযুক্ত রয়েছে। নোট অনুযায়ী, তাদের বয়স ১৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। ছবিগুলোতে তাদের শহরের বিভিন্ন জায়গায় এবং সৈকতে বিকিনিতে দেখা যায়। নোটে নিউইয়র্কের একাধিক স্থানের উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে আছে ম্যানহাটনের ৪১ তম স্ট্রিটের একটি অ্যাপার্টমেন্ট, রচেস্টার, ব্রাইটন বিচ এবং একটি হাইস্কুল প্রম।
সাক্ষীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে নোটে থাকা তথ্য এপস্টেইনের ব্রাজিলের শিশুদের প্রতি আগ্রহের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। ফেডারেল অভিযোগপত্রে ‘মাইনর ভিকটিম–১’ হিসেবে চিহ্নিত ব্রাজিলের অভিবাসী মারিনা লাসেরদা ছিলেন মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। তিনি গত সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে কথা বলেন। তিনি জানান, ১৪ বছর বয়স থেকে এপস্টেইনের হাতে নির্যাতনের শিকার হন। তিনি আরও বলেন, এপস্টেইনের সঙ্গে তিনি একাধিকবার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেখেছেন। তবে ট্রাম্প এপস্টেইনের কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতেন বলে অস্বীকার করেছেন।
লাসেরদার সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই শেষ পর্যন্ত এপস্টেইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে ২০১৯ সালে নিউইয়র্কের একটি কারাগারে এপস্টেইন আত্মহত্যা করেন। এপস্টেইনের সহযোগী জ্যাঁ-লুক ব্রুনেল, যিনি তাঁর অর্থায়নে একটি মডেলিং এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, ২০২২ সালে ফ্রান্সে গ্রেপ্তার হন। তাঁর বিরুদ্ধে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের পাচার ও ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি এপস্টেইনের জন্য এক হাজারের বেশি মেয়ে ও তরুণী সরবরাহ করেছিলেন।
২০১৯ সালের এপ্রিলে ব্রুনেল ব্রাজিলের একটি মডেলিং এজেন্সিতে যান, যেটির সঙ্গে তাঁর কোম্পানির আগে কাজ ছিল। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন মডেল পাঠানোর উদ্দেশ্যেই এই সফর করা হয় বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। এপস্টেইনের মৃত্যুর পর তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও দণ্ডিত ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েলকেও ব্রাজিলের রিভিয়েরা এলাকায় দেখা গেছে বলে জানা যায়। ২০২২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্যারিসের একটি কারাগারে জ্যাঁ-লুক ব্রুনেল আত্মহত্যা করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত শুক্রবার যে নথিগুলো প্রকাশ করেছে, তাতে জেফরি এপস্টেইনের যৌন নিপীড়নের জন্য মানুষ পাঠিয়ে কীভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে জোগাড় করতেন, তার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। তদন্ত নথিগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে। বিশেষ করে তরুণী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের তাঁকে সরবরাহ করার প্রক্রিয়া এতে স্পষ্ট হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, নথিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়কালে বিচার বিভাগের দীর্ঘদিন ধরে প্রতীক্ষিত প্রকাশনার অংশ। তবে এই প্রকাশনা আংশিক এবং ব্যাপকভাবে সম্পাদিত হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে।
প্রকাশিত নথিগুলোর মধ্যে একটি নথি বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। নথিটির নম্বর ইএফটিএ–০০০০৪১৭৯। এতে রয়েছে এফবিআইয়ের একটি প্রমাণ-সংক্রান্ত কভার শিট এবং ১৩ পৃষ্ঠার হাতে লেখা তদন্ত নোট। ২০১৯ সালের ২ মে নেওয়া এক সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এসব নোট তৈরি করা হয়। সাক্ষাৎকারদাতার পরিচয় এবং নথির কিছু অংশ গোপন রাখা হয়েছে।
তবে নোটগুলোতে কয়েকটি বিষয় স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে মেয়েদের নিয়োগ, ‘ম্যাসাজ’-এর আড়ালে যৌন নিপীড়ন এবং বয়স ও গায়ের রং নিয়ে এপস্টেইনের নির্দিষ্ট পছন্দ। নোট অনুযায়ী সাক্ষী বলেন, ‘ (এই অংশ মুছে ফেলা হয়েছে)–এর বন্ধুদের বন্ধু। বড় ব্রাজিলিয়ান গ্রুপ। খুবই মরিয়া সময় যাচ্ছে। মেয়েদের সংখ্যা ফুরিয়ে আসছিল।’ নোটে জেফরি এপস্টেইনকে ‘জেই’ আদ্যক্ষরে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই তথাকথিত ‘মরিয়া সময়ে’ একজন ‘বাদামি ত্বকের ডমিনিকান’ মেয়েকে আনা হয়েছিল। কিন্তু নোটে বলা হয়েছে, ‘জেই স্প্যানিশ বা গাঢ় রঙের মেয়ে চায়নি।’ যিনি অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের এপস্টেইনের কাছে নিয়ে আসতেন, তাঁর পরিচয় নথিতে গোপন রাখা হয়েছে। ওই ব্যক্তি এপস্টেইনকে জানান, তিনি তাঁর জন্য ‘তরুণী মেয়েদের’ নিয়ে আসছেন। তবে এপস্টেইন অভিযোগ করেন, ‘হ্যাঁ, কিন্তু বাদামি রঙের না।’
সাক্ষী জানান, তিনি নিশ্চিত নন এপস্টেইন ওই জোগাড়দারকে কোনো অর্থ দিয়েছিলেন কি না। তবে মেয়েটিকে অর্থ দেওয়া হয়েছিল। নোটে আরও উল্লেখ আছে, একটি বাথরুমে ঘটে যাওয়া ঘটনার। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘বাথটাবের কাছে স্তন ও যোনি…সে শাওয়ারে ঢুকে পড়ে এবং তাকে বলে, সে যেন এমন মেয়েদের না আনে যাদের সে পছন্দ করে না…তাকে বলে, খুঁজে যেতে।’
আরও বলা হয়, ‘একপর্যায়ে (নাম মুছে ফেলা হয়েছে) তাকে একটি মেয়ের পরিচয়পত্র চাইতে দেখেছে।’ নোট অনুযায়ী, এপস্টেইন নিশ্চিত হতে চেয়েছিলেন মেয়েটি ১৮ বছরের নিচে কি না। কারণ আগে বেশি বয়সী মেয়েদের আনার ঘটনায় তাঁর আস্থা নষ্ট হয়েছিল।
নোটে সাক্ষী যৌন নিপীড়নের বিবরণও দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, এপস্টেইন ‘অদ্ভুত শব্দ করতেন’ এবং ভুক্তভোগীদের ‘রূঢ়ভাবে’ স্পর্শ করতেন। নথিটিতে কয়েকজন মেয়ের ছবি সংযুক্ত রয়েছে। নোট অনুযায়ী, তাদের বয়স ১৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। ছবিগুলোতে তাদের শহরের বিভিন্ন জায়গায় এবং সৈকতে বিকিনিতে দেখা যায়। নোটে নিউইয়র্কের একাধিক স্থানের উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে আছে ম্যানহাটনের ৪১ তম স্ট্রিটের একটি অ্যাপার্টমেন্ট, রচেস্টার, ব্রাইটন বিচ এবং একটি হাইস্কুল প্রম।
সাক্ষীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে নোটে থাকা তথ্য এপস্টেইনের ব্রাজিলের শিশুদের প্রতি আগ্রহের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। ফেডারেল অভিযোগপত্রে ‘মাইনর ভিকটিম–১’ হিসেবে চিহ্নিত ব্রাজিলের অভিবাসী মারিনা লাসেরদা ছিলেন মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। তিনি গত সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে কথা বলেন। তিনি জানান, ১৪ বছর বয়স থেকে এপস্টেইনের হাতে নির্যাতনের শিকার হন। তিনি আরও বলেন, এপস্টেইনের সঙ্গে তিনি একাধিকবার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেখেছেন। তবে ট্রাম্প এপস্টেইনের কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতেন বলে অস্বীকার করেছেন।
লাসেরদার সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই শেষ পর্যন্ত এপস্টেইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে ২০১৯ সালে নিউইয়র্কের একটি কারাগারে এপস্টেইন আত্মহত্যা করেন। এপস্টেইনের সহযোগী জ্যাঁ-লুক ব্রুনেল, যিনি তাঁর অর্থায়নে একটি মডেলিং এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, ২০২২ সালে ফ্রান্সে গ্রেপ্তার হন। তাঁর বিরুদ্ধে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের পাচার ও ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি এপস্টেইনের জন্য এক হাজারের বেশি মেয়ে ও তরুণী সরবরাহ করেছিলেন।
২০১৯ সালের এপ্রিলে ব্রুনেল ব্রাজিলের একটি মডেলিং এজেন্সিতে যান, যেটির সঙ্গে তাঁর কোম্পানির আগে কাজ ছিল। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন মডেল পাঠানোর উদ্দেশ্যেই এই সফর করা হয় বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। এপস্টেইনের মৃত্যুর পর তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও দণ্ডিত ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েলকেও ব্রাজিলের রিভিয়েরা এলাকায় দেখা গেছে বলে জানা যায়। ২০২২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্যারিসের একটি কারাগারে জ্যাঁ-লুক ব্রুনেল আত্মহত্যা করেন।

‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
১ দিন আগে
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
১৫ মিনিট আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনার তোড়জোড় চললেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর মূল লক্ষ্য থেকে একচুলও সরে আসেননি। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, পুতিন এখনো পুরো ইউক্রেন দখল এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ইউরোপীয় দেশগুলোর...
২ ঘণ্টা আগে