অনলাইন ডেস্ক
ভারতের হায়দরাবাদে রাসায়নিক কারখানায় বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩২ জন। আজ মঙ্গলবার, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে। এডিটিভির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। এ বিস্ফোরণকে তেলেঙ্গানার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ শিল্প দুর্যোগ বলে অভিহিত করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনো ভবনটিতে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় সকালে হায়দরাবাদ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে সঙ্গারেড্ডি জেলার পশমাইলারাম শিল্প এলাকায় সিগাচি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ফার্মাসিউটিক্যাল কারখানায় একটি ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। পাশামাইলারাম শিল্পাঞ্চলে সিগাচি ইন্ডাস্ট্রিজের কেমিক্যাল উৎপাদন ও গবেষণা কেন্দ্রে এই বিস্ফোরণ হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি বড় বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। সঙ্গে সঙ্গেই আকাশে উঠতে দেখা যায় কালো ধোঁয়া।
জানা গেছে, একটি রাসায়নিক রিঅ্যাক্টরের ভেতরেই এই বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে কারখানার অন্য অংশে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৩৫ কর্মী, যাদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন।
কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, কারখানাটির ২৭ কর্মী এখনো নিখোঁজ। তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ), হায়দরাবাদ দুর্যোগ মোকাবিলা ও সম্পদ সুরক্ষা সংস্থা (এইচওয়াইআরএএ) এবং পুলিশ। কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, নিখোঁজ কর্মীদের বেশির ভাগই মধ্যে বিহার, উত্তর প্রদেশ এবং ওড়িশার পরিযায়ী শ্রমিক।
দুর্ঘটনায় সময় কারখানার ভেতর ১০৮ জন কর্মী ছিল। স্থানীয়রা বলছেন, পাঁচ কিলোমিটার দূর থেকেও শোনা গেছে বিস্ফোরণের শব্দ। ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগুন নেভাতে ব্যবহার করা হয়েছে মোট ১৫টি অগ্নিনির্বাপক ইঞ্জিন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতই ছিল যে শ্রমিকেরা আক্ষরিক অর্থেই আকাশে ছিটকে কয়েক মিটার দূরে গিয়ে পড়েন। নিহতদের অনেকের দেহ বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে বা এতটাই পুড়ে গেছে যে শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে মৃতদের পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষা চালাচ্ছে প্রশাসন।
মুখ্যমন্ত্রী এ. রেভন্থ রেড্ডির আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে। পরে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসারত আহতদের সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী দামোদর রাজা নারসিমা গতকাল সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এখনো বিস্ফোরণের সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৪০-৪৫ বছর পুরোনো এবং এটি মাইক্রোক্রিস্টালাইন সেলুলোজ উৎপাদন করে।
শ্রমমন্ত্রী জি. বিবেক বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে একে কোনো রিয়্যাক্টর বিস্ফোরণ বলে মনে হচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, এয়ার ড্রায়ার ব্যবস্থায় কোনো সমস্যা থেকেই বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
এদিকে, রাজ্য সরকার দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটিতে থাকবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিশেষ মুখ্যসচিব, শ্রম দপ্তরের প্রধান সচিব, স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান সচিব এবং ফায়ার সার্ভিসের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল (এডিজিপি)। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় নিয়েও সুপারিশ করবে কমিটি।
ভারতের হায়দরাবাদে রাসায়নিক কারখানায় বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩২ জন। আজ মঙ্গলবার, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে। এডিটিভির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। এ বিস্ফোরণকে তেলেঙ্গানার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ শিল্প দুর্যোগ বলে অভিহিত করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনো ভবনটিতে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় সকালে হায়দরাবাদ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে সঙ্গারেড্ডি জেলার পশমাইলারাম শিল্প এলাকায় সিগাচি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ফার্মাসিউটিক্যাল কারখানায় একটি ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। পাশামাইলারাম শিল্পাঞ্চলে সিগাচি ইন্ডাস্ট্রিজের কেমিক্যাল উৎপাদন ও গবেষণা কেন্দ্রে এই বিস্ফোরণ হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি বড় বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। সঙ্গে সঙ্গেই আকাশে উঠতে দেখা যায় কালো ধোঁয়া।
জানা গেছে, একটি রাসায়নিক রিঅ্যাক্টরের ভেতরেই এই বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে কারখানার অন্য অংশে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৩৫ কর্মী, যাদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন।
কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, কারখানাটির ২৭ কর্মী এখনো নিখোঁজ। তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ), হায়দরাবাদ দুর্যোগ মোকাবিলা ও সম্পদ সুরক্ষা সংস্থা (এইচওয়াইআরএএ) এবং পুলিশ। কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, নিখোঁজ কর্মীদের বেশির ভাগই মধ্যে বিহার, উত্তর প্রদেশ এবং ওড়িশার পরিযায়ী শ্রমিক।
দুর্ঘটনায় সময় কারখানার ভেতর ১০৮ জন কর্মী ছিল। স্থানীয়রা বলছেন, পাঁচ কিলোমিটার দূর থেকেও শোনা গেছে বিস্ফোরণের শব্দ। ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগুন নেভাতে ব্যবহার করা হয়েছে মোট ১৫টি অগ্নিনির্বাপক ইঞ্জিন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতই ছিল যে শ্রমিকেরা আক্ষরিক অর্থেই আকাশে ছিটকে কয়েক মিটার দূরে গিয়ে পড়েন। নিহতদের অনেকের দেহ বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে বা এতটাই পুড়ে গেছে যে শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে মৃতদের পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষা চালাচ্ছে প্রশাসন।
মুখ্যমন্ত্রী এ. রেভন্থ রেড্ডির আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে। পরে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসারত আহতদের সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী দামোদর রাজা নারসিমা গতকাল সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এখনো বিস্ফোরণের সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৪০-৪৫ বছর পুরোনো এবং এটি মাইক্রোক্রিস্টালাইন সেলুলোজ উৎপাদন করে।
শ্রমমন্ত্রী জি. বিবেক বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে একে কোনো রিয়্যাক্টর বিস্ফোরণ বলে মনে হচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, এয়ার ড্রায়ার ব্যবস্থায় কোনো সমস্যা থেকেই বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
এদিকে, রাজ্য সরকার দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটিতে থাকবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিশেষ মুখ্যসচিব, শ্রম দপ্তরের প্রধান সচিব, স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান সচিব এবং ফায়ার সার্ভিসের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল (এডিজিপি)। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় নিয়েও সুপারিশ করবে কমিটি।
মিয়ানমারের জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং নিশ্চিত করেছেন, তাঁর সরকার রাশিয়া থেকে হেলিকপ্টার সংগ্রহ অব্যাহত রেখেছে। চার বছরের বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধে বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে এসব হেলিকপ্টার থেকে মারাত্মক হামলা অব্যাহত থাকলেও রাশিয়া থেকে এগুলো কেনা অব্যাহত রয়েছে। থাইল্যান্ড থেকে প্রকাশিত মিয়ানমারের
৪১ মিনিট আগেভয়াবহ বন্যার কবলে ভারতের হিমাচল প্রদেশ। কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে তৈরি হয়েছে এ বন্যা পরিস্থিতি। সবশেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত তিনজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন কমপক্ষে ৯ জন। তবে, এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেফাত্তুওয়ালা গ্রাম। পাকিস্তান সীমান্তবর্তী একটি ভারতীয় গ্রাম। অবস্থিত পাঞ্জাব রাজ্যে। এই গ্রামে একটি পরিত্যক্ত এয়ারস্ট্রিপ বা বিমান অবতরণকেন্দ্র ছিল ভারতীয় বিমানবাহিনী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি নিয়মিতই ব্যবহৃত হতো। কিন্তু যুদ্ধ শেষ হলে তা পরিত্যক্ত হয়। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত দেখে সেই এয়ারস্ট্রিপটির
১ ঘণ্টা আগেভারতে ১৯ বছর বয়সী এক তরুণীকে গলা কেটে হত্যা করেছে অভিষেক কষ্টি নামে এক যুবক। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের একটি হাসপাতালে ঘটেছে এ ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে