Ajker Patrika

ফের উত্তপ্ত মণিপুর, ওত পেতে থাকা বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত ২ ভারতীয় সেনা

কলকাতা প্রতিনিধি  
আহত সেনাসদস্যদের ইম্ফলের আরআইএমএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত
আহত সেনাসদস্যদের ইম্ফলের আরআইএমএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত

ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুর। আজ সন্ধ্যায় মণিপুরের ইম্ফল শহরের উপকণ্ঠে ওত পেতে থাকা বন্দুকধারীদের গুলিতে আসাম রাইফেলসের দুই জওয়ান নিহত ও আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ঘটনার পরপরই আহত সেনাদের দ্রুত উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় আঞ্চলিক চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান ইম্ফল আরআইএমএস হাসপাতালে।

সেনা সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে আসাম রাইফেলসের একটি ৪০৭-টাটা গাড়ি তাদের পাতসই কোম্পানির অপারেশনাল বেস থেকে নামবল বেসের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় অজ্ঞাতনামা বন্দুকধারীরা অতর্কিত হামলা চালায়।

হামলার স্থানটি ইম্ফল ও চূড়াচান্দপুরের মাঝামাঝি এলাকায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক সপ্তাহ আগে এ রাস্তা দিয়ে মণিপুরে গিয়েছিলেন। সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নামবল সবল লাইখাই এলাকায় মহাসড়কের ধারে ‘ডিনোটিফায়েড জোনে’ অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা এই অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আসাম রাইফেলসের দুই জওয়ান শহীদ ও পাঁচজন আহত হয়েছেন।

এখন পর্যন্ত কোনো সংগঠন দায় স্বীকার করেনি, তবে নিরাপত্তা বাহিনী আশপাশের এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে।

মণিপুরের গভর্নর অজয় কুমার ভাল্লা এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত সৈন্যদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও আন্তরিক সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। তিনি আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। ভাল্লা বলেন, এ ধরনের সহিংসতা কোনো পরিস্থিতিতেই সহ্য করা হবে না এবং এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মণিপুরের ১৩টি থানা এলাকা ছাড়া পুরো রাজ্যেই সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (আফস্পা বা আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ারস অ্যাক্ট) কার্যকর রয়েছে। নামবল এলাকাটি বিষ্ণুপুর জেলার অধীনে, যা আফস্পার আওতার বাইরে। চলতি বছরের মার্চে এই আইনের মেয়াদ আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছিল, চলতি সেপ্টেম্বরের শেষে আবারও তা পর্যালোচনায় আসবে।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিষিদ্ধ সংগঠনের তালিকা অনুযায়ী, মণিপুরে নয়টি নিষিদ্ধ মেইতেই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী রয়েছে। অতীতেও আসাম রাইফেলসের ওপর হামলার জন্য তারা দায়ী ছিল, যার মধ্যে ২০২১ সালের নভেম্বরে চূড়াচান্দপুর জেলায় এক অতর্কিত হামলায় কর্নেল বিপ্লব ত্রিপাঠি, তাঁর স্ত্রী ও ছেলের হত্যাকাণ্ডও অন্তর্ভুক্ত। ওই হামলায় কর্নেল বিপ্লব ত্রিপাঠি, তাঁর স্ত্রী, তাঁদের ছেলে ও কুইক রিঅ্যাকশন টিমের তিন জওয়ান নিহত হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মাঝ আকাশে হাত ভাঙল বিমানের কেবিন ক্রুর, অঙ্গহানির আশঙ্কা

বাংলাদেশ ভ্রমণে উচ্চমাত্রার সতর্কতা জারি করল কানাডা

এরদোয়ানকে খলিফা উমর (রা.)-এর সঙ্গে খ্রিষ্টানদের চুক্তিপত্রের প্রতিলিপি উপহার দিলেন জেরুজালেমের পাদরি

আ.লীগের মিছিল না ঠেকিয়ে খাওয়াদাওয়া, তিন পুলিশ কর্মকর্তা ক্লোজড

রাজশাহীতে পিস্তল হাতে ভাইরাল ছাত্রলীগ নেতা, পুলিশের দাবি—নজরে আসেনি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত