Ajker Patrika

পাকিস্তানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তির পর সৌদি আরবকে যা মনে করিয়ে দিল ভারত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। ছবি: পিটিআই
সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। ছবি: পিটিআই

পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে একটি কৌশলগত প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, ‘দুই দেশের কোনোটির ওপর আগ্রাসনকে উভয়ের ওপর আগ্রাসন হিসেবে বিবেচনা করা হবে’। এই চুক্তির প্রতিক্রিয়ায় ভারত জানিয়েছে, তারা আশা করে সৌদি আরব ‘পারস্পরিক স্বার্থ ও সংবেদনশীলতা’র বিষয়টি মাথায় রাখবে।

আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এই বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘ভারত ও সৌদি আরবের মধ্যে একটি বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারত্ব রয়েছে, যা গত কয়েক বছরে আরও গভীর হয়েছে। আমরা আশা করি, সৌদি আরব আমাদের কৌশলগত অংশীদারত্বের পাশাপাশি পারস্পরিক স্বার্থ ও সংবেদনশীলতার বিষয়টি মাথায় রাখবে।’

এর আগে গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে জয়সওয়াল বলেন, ‘এই চুক্তির বিষয়ে আমাদের সরকার অবগত ছিল। এর প্রভাব আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার ওপর কীভাবে পড়ে, আমরা তা পর্যালোচনা করব।’

গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদ এই ‘কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি’ স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষরের সময় শেহবাজ শরিফের সঙ্গে ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।

চুক্তি স্বাক্ষরের পর পাকিস্তান ও সৌদি আরবের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তিটি ‘উভয় দেশের নিরাপত্তা জোরদার করার যৌথ প্রতিশ্রুতি’ প্রতিফলিত করে। এর লক্ষ্য হলো, ‘দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার দিকগুলো উন্নত করা এবং যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা’।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের একটি প্রধান মিত্র এবং দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। ১৯৪৭ সালের আগস্টে স্বাধীনতা লাভের পর প্রথম যেসব দেশ পাকিস্তানকে স্বীকৃতি দেয়, সেগুলোর মধ্যে সৌদি আরব অন্যতম। ১৯৫১ সালে দুই দেশ একটি ‘মৈত্রী চুক্তি’ করেছিল। এই চুক্তিই মূলত দুই দেশের মধ্যে প্রথমবারের মতো কৌশলগত, রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার ভিত্তি স্থাপন করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত