
ভারতের রাষ্ট্রদ্রোহ আইন ও আইনটির ‘যথেচ্ছ’ প্রয়োগ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ। দণ্ডবিধির রাষ্ট্রদ্রোহ সংক্রান্ত ১২৪এ ধারাকে তাঁরা এমন এক করাতের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যেটি একটি কাঠের টুকরা কাটার বদলে গোটা বন উজার করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
আজ বৃহস্পতিবার একটি মামলার শুনানিকালে সুপ্রিমকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদ্রোহ আইনকে ‘ঔপনিবেশিক আইন’ আখ্যা দিয়ে বিচারকেরা মনে করিয়ে দেন, ব্রিটিশ আমলে এই আইন অসীম ক্ষমতার উৎস ছিল এবং ব্যাপকভাবে অপব্যবহার করা হতো। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও এই আইনের সত্যিই কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে কি–না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সুপ্রিমকোর্ট বেঞ্চ।
আজ রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়ে প্রধান যে পাঁচটি পর্যবেক্ষণ বিচারকেরা দিয়েছেন সেটি সংক্ষেপে এরকম:
প্রধান বিচারপতি এনভি রমন বলেছেন, আপত্তির বিষয় হলো, এটি ঔপনিবেশিক আইন। ঠিক এমন আইনই ব্রিটিশরা মহাত্মা গান্ধীর কণ্ঠরোধ করার জন্য ব্যবহার করতো। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও কি এমন একটি আইন আমাদের দরকার আছে?
অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেনুগোপালকে উদ্দেশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের উদ্বেগের জায়গাটি হলো, এই আইনের অপব্যবহার এবং প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো জবাবদিহিতা না থাকা। আপনি যদি এমন অভিযোগের বিষয়ে ইতিহাস ঘেঁটে দেখেন তাহলে দেখবেন, খুব কমই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার খুবই কম।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা কেন্দ্র সরকার বা কোনো রাজ্যকে দোষ দিচ্ছি না। কিন্তু দেখুন, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬এ ধারা কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, কতোগুলো দুর্ভাগা মানুষ এর শিকার হয়েছেন এবং এর কোনো জবাবদিহিতা নেই।
সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলেন, এটা যেন এক পুলিশ কর্মকর্তা একটি গ্রামের সব লোককে এবং সব সমস্যা ঠিকঠাক করে দিতে চাইলে সেখানে ব্যবহার করতে পারেন ১২৪এ ধারা। যেটিকে মানুষ ভয় পায়।
প্রধান বিচারপতি বলেন, এই আইনকে ছুতার মিস্ত্রির সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। এটির ব্যাপক অপব্যবহার হয়। রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের ব্যবহার এমন যেন, সেই ছুতার মিস্ত্রিকে কাঠের একটি ছোট টুকরা কাটার জন্য একটি করাত ধরিয়ে দেওয়া হলো আর তিনি সেটি নিয়ে পুরো একটি বনই উজাড় করে দিলেন।

ভারতের রাষ্ট্রদ্রোহ আইন ও আইনটির ‘যথেচ্ছ’ প্রয়োগ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ। দণ্ডবিধির রাষ্ট্রদ্রোহ সংক্রান্ত ১২৪এ ধারাকে তাঁরা এমন এক করাতের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যেটি একটি কাঠের টুকরা কাটার বদলে গোটা বন উজার করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
আজ বৃহস্পতিবার একটি মামলার শুনানিকালে সুপ্রিমকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদ্রোহ আইনকে ‘ঔপনিবেশিক আইন’ আখ্যা দিয়ে বিচারকেরা মনে করিয়ে দেন, ব্রিটিশ আমলে এই আইন অসীম ক্ষমতার উৎস ছিল এবং ব্যাপকভাবে অপব্যবহার করা হতো। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও এই আইনের সত্যিই কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে কি–না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সুপ্রিমকোর্ট বেঞ্চ।
আজ রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়ে প্রধান যে পাঁচটি পর্যবেক্ষণ বিচারকেরা দিয়েছেন সেটি সংক্ষেপে এরকম:
প্রধান বিচারপতি এনভি রমন বলেছেন, আপত্তির বিষয় হলো, এটি ঔপনিবেশিক আইন। ঠিক এমন আইনই ব্রিটিশরা মহাত্মা গান্ধীর কণ্ঠরোধ করার জন্য ব্যবহার করতো। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও কি এমন একটি আইন আমাদের দরকার আছে?
অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেনুগোপালকে উদ্দেশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের উদ্বেগের জায়গাটি হলো, এই আইনের অপব্যবহার এবং প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো জবাবদিহিতা না থাকা। আপনি যদি এমন অভিযোগের বিষয়ে ইতিহাস ঘেঁটে দেখেন তাহলে দেখবেন, খুব কমই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার খুবই কম।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা কেন্দ্র সরকার বা কোনো রাজ্যকে দোষ দিচ্ছি না। কিন্তু দেখুন, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬এ ধারা কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, কতোগুলো দুর্ভাগা মানুষ এর শিকার হয়েছেন এবং এর কোনো জবাবদিহিতা নেই।
সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলেন, এটা যেন এক পুলিশ কর্মকর্তা একটি গ্রামের সব লোককে এবং সব সমস্যা ঠিকঠাক করে দিতে চাইলে সেখানে ব্যবহার করতে পারেন ১২৪এ ধারা। যেটিকে মানুষ ভয় পায়।
প্রধান বিচারপতি বলেন, এই আইনকে ছুতার মিস্ত্রির সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। এটির ব্যাপক অপব্যবহার হয়। রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের ব্যবহার এমন যেন, সেই ছুতার মিস্ত্রিকে কাঠের একটি ছোট টুকরা কাটার জন্য একটি করাত ধরিয়ে দেওয়া হলো আর তিনি সেটি নিয়ে পুরো একটি বনই উজাড় করে দিলেন।

গাজায় যুদ্ধবিরতির এক মাস পেরিয়ে গেলেও ফিলিস্তিনিদের জীবনে কোনো পরিবর্তন আসেনি। গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকার বাসিন্দা মানার জেন্দিয়া এখনো বাস্তুচ্যুত। পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন দেইর আল-বালাহ এলাকায়।
১ ঘণ্টা আগে
বাণিজ্য চুক্তির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে আশা দিয়েছেন। তিনি দেশটির সঙ্গে একটি ন্যায্য চুক্তির ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি জানিয়েছেন, শিগগির এই চুক্তি হতে পারে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির লালকেল্লার কাছে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট দেশজুড়ে সমলিঙ্গ বিবাহ বৈধ করার রায় বাতিলের একটি আহ্বান নাকচ করে দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার আদালত কোনো মন্তব্য না করেই কেনটাকির সাবেক কোর্ট ক্লার্ক কিম ডেভিসের করা আবেদন খারিজ করে দেন।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধবিরতির এক মাস পেরিয়ে গেলেও ফিলিস্তিনিদের জীবনে কোনো পরিবর্তন আসেনি। গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকার বাসিন্দা মানার জেন্দিয়া এখনো বাস্তুচ্যুত। পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন দেইর আল-বালাহ এলাকায়।
জেন্দিয়া বলেন, যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে ১১ অক্টোবর, কিন্তু তাঁর এলাকার বেশির ভাগ অংশ এখনো ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। তিনি বলেন, ‘চুক্তির দুই সপ্তাহ পরই আমাদের আশ্রয় নেওয়া জায়গায় ভয়াবহ বোমাবর্ষণ হয়। আমার বোন তখন সেখানেই মারা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওর স্বামী যুদ্ধের শুরুতেই মারা গিয়েছিল। সন্তানদের একাই লালনপালন করছিল। গাজা শহরে যখন হামলা বেড়ে গেল, তখন সন্তানদের নিয়ে মাঝ গাজায় একটি তাঁবুতে আশ্রয় নেয়। কিন্তু সেখানেই ও মারা গেল। এখন ওর সন্তানদের মা-বাবা কেউ বেঁচে নেই।’
জেন্দিয়ার মতো অনেক ফিলিস্তিনি মনে করে, যুদ্ধবিরতির পরও গণহত্যা থামেনি। তিনি বলেন, ‘গণহত্যা শুধু গণমাধ্যমে থেমেছে। তারা (গণমাধ্যম) কথা বলা বন্ধ করেছে, কিন্তু আমাদের জন্য এটা এখনো চলছে।’
গাজায় এখনো ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা চলছে। প্রায় প্রতিদিন গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে বাড়িঘর ধ্বংস হচ্ছে। গোলাগুলি ও গুলিবর্ষণে সাধারণ মানুষ নিহত হচ্ছে। আকাশে ড্রোন ঘুরছে, বাজছে আতঙ্ক ছড়ানো শব্দ। ইসরায়েলি অবরোধের কারণে খাদ্য ও ওষুধের সংকটও আগের মতোই রয়েছে। দিনে গড়ে মাত্র ১৫০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে দেওয়া হয়, যেখানে চুক্তিতে ছিল ৬০০টি। তার বেশির ভাগেই অপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও ওষুধ, জরুরি জিনিসপত্র এখনো মজুত ঘাটতিতে।
যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ২৪২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, তাদের মধ্যে বহু শিশু রয়েছে। এ ছাড়া রাফাহ সীমান্ত এখনো বন্ধ। ফলে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের মিসরে নেওয়া যাচ্ছে না।
জেন্দিয়া জানান, তিনি তাঁর স্বামীকে হারিয়েছেন প্রথম বছরের ‘আটা হত্যাকাণ্ডে’। সেদিন ত্রাণের জন্য অপেক্ষারত সাধারণ মানুষের ওপর ইসরায়েলি সেনারা গুলি চালিয়েছিল। এখন তিনি তিন সন্তান ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের নিয়ে গাজা শহরের এক স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দেইর আল-বালাহের পূর্ব দিকে ছিলাম। যুদ্ধবিরতি শুরু হলে ভাবলাম, গাজা শহর বা এখানে—যেখানেই থাকি, তাঁবুতেই থাকতে হবে। তাই থাকা ঠিক করেছিলাম। কিন্তু প্রতিদিন সকালে বোমা পড়ত। নিরাপত্তা পাইনি। তাই শহরের কেন্দ্রে চলে এসেছি।’
তবু শান্তি ফেরেনি বলে জানান এই ফিলিস্তিনি নারী। তিনি আরও জানেন, ‘আমি খাবার মজুত করে রাখি। ভয় হয়, আবার অবরোধ কড়াকড়ি হবে, ক্ষুধা ফিরে আসবে। প্রতিদিন সকালে পূর্ব দিক থেকে বিস্ফোরণের শব্দ আসে। প্রতিদিন নতুন হামলা, নতুন লাশ।
যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় এখন নতুন আতঙ্ক—ইসরায়েলি ড্রোন। ৩০ বছর বয়সী আনাস মুঈন বলেন, ‘তিন দিন আগে ড্রোনটা আমার বাড়ির ওপর ঘুরছিল। ওরা যে রেকর্ডিং বাজায়, তাতে ইচ্ছে করেই বিকৃতি আনা হয়। শব্দগুলো স্পষ্ট না, বিকট। মনে হয় ভয় ধরানোর জন্যই এমন করছে।’
আনাস মুঈন বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির সময় এসব ড্রোন আমাদের মনে করিয়ে দেয়—সেনারা কাছেই আছে, নজর রাখছে। ওরা বলছে, বন্দীদের দেহ হস্তান্তর করো, ‘যুদ্ধবিরতি মানো। কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষ, এসব আমাদের দায়িত্ব নয়।’
বাসিন্দারা জানান, এখন দেখা ড্রোনগুলো আগের ছোট কোয়াডকপ্টার নয়। এগুলোর আকার বড়, দেখতে ইসরায়েলের আরএ-০১ মডেলের মতো, কিছুটা পরিবর্তিত নকশায়। মুঈন বলেন, ‘এগুলো অনেক উঁচুতে ওড়ে, আকারে ত্রিভুজাকার। আগে এমন ড্রোন আত্মঘাতী হামলায় ব্যবহার হতে দেখেছি। এবার এটা ভয় ছড়ানো বার্তা দিচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, যেকোনো মুহূর্তে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।’
ইসরায়েলি ড্রোন এখনো লিফলেট ফেলছে গাজার বিভিন্ন স্থানে। গত রোববারের লিফলেটে হামাসের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো হয়। মুঈন বলেন, ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের পাশাপাশি স্থল হামলাও বেড়েছে।’
১৯ অক্টোবর ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ভেঙে রাফাহতে বিমান হামলা চালায়। ওই দিন দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার পর তারা পাল্টা হামলায় ১০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে, আহত হয় আরও ১৫০ জন। মুঈন বলেন, ‘ইসরায়েলি সেনারা এখনো গাজার অনেক ভেতরে অবস্থান করছে। সামরিক যান আমার বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটারের মধ্যেই, অথচ আমি শহরের কেন্দ্রেই থাকি।’
মুঈন যোগ করেন, ‘এগুলো কেবল মাঝেমধ্যে হামলা নয়, প্রতিদিনের রুটিন। বিমান হামলা, গোলাবর্ষণ আর এত গুলিবর্ষণ হয় যে একে প্রায় উন্মত্ত বলা যায়। কখনো দেখা যায়, এক সৈন্য টানা ১৫ মিনিট গুলি চালিয়ে যাচ্ছে।’

গাজায় যুদ্ধবিরতির এক মাস পেরিয়ে গেলেও ফিলিস্তিনিদের জীবনে কোনো পরিবর্তন আসেনি। গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকার বাসিন্দা মানার জেন্দিয়া এখনো বাস্তুচ্যুত। পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন দেইর আল-বালাহ এলাকায়।
জেন্দিয়া বলেন, যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে ১১ অক্টোবর, কিন্তু তাঁর এলাকার বেশির ভাগ অংশ এখনো ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। তিনি বলেন, ‘চুক্তির দুই সপ্তাহ পরই আমাদের আশ্রয় নেওয়া জায়গায় ভয়াবহ বোমাবর্ষণ হয়। আমার বোন তখন সেখানেই মারা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওর স্বামী যুদ্ধের শুরুতেই মারা গিয়েছিল। সন্তানদের একাই লালনপালন করছিল। গাজা শহরে যখন হামলা বেড়ে গেল, তখন সন্তানদের নিয়ে মাঝ গাজায় একটি তাঁবুতে আশ্রয় নেয়। কিন্তু সেখানেই ও মারা গেল। এখন ওর সন্তানদের মা-বাবা কেউ বেঁচে নেই।’
জেন্দিয়ার মতো অনেক ফিলিস্তিনি মনে করে, যুদ্ধবিরতির পরও গণহত্যা থামেনি। তিনি বলেন, ‘গণহত্যা শুধু গণমাধ্যমে থেমেছে। তারা (গণমাধ্যম) কথা বলা বন্ধ করেছে, কিন্তু আমাদের জন্য এটা এখনো চলছে।’
গাজায় এখনো ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা চলছে। প্রায় প্রতিদিন গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে বাড়িঘর ধ্বংস হচ্ছে। গোলাগুলি ও গুলিবর্ষণে সাধারণ মানুষ নিহত হচ্ছে। আকাশে ড্রোন ঘুরছে, বাজছে আতঙ্ক ছড়ানো শব্দ। ইসরায়েলি অবরোধের কারণে খাদ্য ও ওষুধের সংকটও আগের মতোই রয়েছে। দিনে গড়ে মাত্র ১৫০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে দেওয়া হয়, যেখানে চুক্তিতে ছিল ৬০০টি। তার বেশির ভাগেই অপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও ওষুধ, জরুরি জিনিসপত্র এখনো মজুত ঘাটতিতে।
যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ২৪২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, তাদের মধ্যে বহু শিশু রয়েছে। এ ছাড়া রাফাহ সীমান্ত এখনো বন্ধ। ফলে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের মিসরে নেওয়া যাচ্ছে না।
জেন্দিয়া জানান, তিনি তাঁর স্বামীকে হারিয়েছেন প্রথম বছরের ‘আটা হত্যাকাণ্ডে’। সেদিন ত্রাণের জন্য অপেক্ষারত সাধারণ মানুষের ওপর ইসরায়েলি সেনারা গুলি চালিয়েছিল। এখন তিনি তিন সন্তান ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের নিয়ে গাজা শহরের এক স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দেইর আল-বালাহের পূর্ব দিকে ছিলাম। যুদ্ধবিরতি শুরু হলে ভাবলাম, গাজা শহর বা এখানে—যেখানেই থাকি, তাঁবুতেই থাকতে হবে। তাই থাকা ঠিক করেছিলাম। কিন্তু প্রতিদিন সকালে বোমা পড়ত। নিরাপত্তা পাইনি। তাই শহরের কেন্দ্রে চলে এসেছি।’
তবু শান্তি ফেরেনি বলে জানান এই ফিলিস্তিনি নারী। তিনি আরও জানেন, ‘আমি খাবার মজুত করে রাখি। ভয় হয়, আবার অবরোধ কড়াকড়ি হবে, ক্ষুধা ফিরে আসবে। প্রতিদিন সকালে পূর্ব দিক থেকে বিস্ফোরণের শব্দ আসে। প্রতিদিন নতুন হামলা, নতুন লাশ।
যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় এখন নতুন আতঙ্ক—ইসরায়েলি ড্রোন। ৩০ বছর বয়সী আনাস মুঈন বলেন, ‘তিন দিন আগে ড্রোনটা আমার বাড়ির ওপর ঘুরছিল। ওরা যে রেকর্ডিং বাজায়, তাতে ইচ্ছে করেই বিকৃতি আনা হয়। শব্দগুলো স্পষ্ট না, বিকট। মনে হয় ভয় ধরানোর জন্যই এমন করছে।’
আনাস মুঈন বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির সময় এসব ড্রোন আমাদের মনে করিয়ে দেয়—সেনারা কাছেই আছে, নজর রাখছে। ওরা বলছে, বন্দীদের দেহ হস্তান্তর করো, ‘যুদ্ধবিরতি মানো। কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষ, এসব আমাদের দায়িত্ব নয়।’
বাসিন্দারা জানান, এখন দেখা ড্রোনগুলো আগের ছোট কোয়াডকপ্টার নয়। এগুলোর আকার বড়, দেখতে ইসরায়েলের আরএ-০১ মডেলের মতো, কিছুটা পরিবর্তিত নকশায়। মুঈন বলেন, ‘এগুলো অনেক উঁচুতে ওড়ে, আকারে ত্রিভুজাকার। আগে এমন ড্রোন আত্মঘাতী হামলায় ব্যবহার হতে দেখেছি। এবার এটা ভয় ছড়ানো বার্তা দিচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, যেকোনো মুহূর্তে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।’
ইসরায়েলি ড্রোন এখনো লিফলেট ফেলছে গাজার বিভিন্ন স্থানে। গত রোববারের লিফলেটে হামাসের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো হয়। মুঈন বলেন, ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের পাশাপাশি স্থল হামলাও বেড়েছে।’
১৯ অক্টোবর ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ভেঙে রাফাহতে বিমান হামলা চালায়। ওই দিন দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার পর তারা পাল্টা হামলায় ১০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে, আহত হয় আরও ১৫০ জন। মুঈন বলেন, ‘ইসরায়েলি সেনারা এখনো গাজার অনেক ভেতরে অবস্থান করছে। সামরিক যান আমার বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটারের মধ্যেই, অথচ আমি শহরের কেন্দ্রেই থাকি।’
মুঈন যোগ করেন, ‘এগুলো কেবল মাঝেমধ্যে হামলা নয়, প্রতিদিনের রুটিন। বিমান হামলা, গোলাবর্ষণ আর এত গুলিবর্ষণ হয় যে একে প্রায় উন্মত্ত বলা যায়। কখনো দেখা যায়, এক সৈন্য টানা ১৫ মিনিট গুলি চালিয়ে যাচ্ছে।’

আপত্তির বিষয় হলো, এটি ঔপনিবেশিক আইন। ঠিক এমন আইনই ব্রিটিশরা মহাত্মা গান্ধীর কণ্ঠরোধ করার জন্য ব্যবহার করতো। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও কি এমন একটি আইন আমাদের দরকার আছে?
১৫ জুলাই ২০২১
বাণিজ্য চুক্তির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে আশা দিয়েছেন। তিনি দেশটির সঙ্গে একটি ন্যায্য চুক্তির ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি জানিয়েছেন, শিগগির এই চুক্তি হতে পারে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির লালকেল্লার কাছে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট দেশজুড়ে সমলিঙ্গ বিবাহ বৈধ করার রায় বাতিলের একটি আহ্বান নাকচ করে দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার আদালত কোনো মন্তব্য না করেই কেনটাকির সাবেক কোর্ট ক্লার্ক কিম ডেভিসের করা আবেদন খারিজ করে দেন।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাণিজ্য চুক্তির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে আশা দিয়েছেন। তিনি দেশটির সঙ্গে একটি ন্যায্য চুক্তির ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি জানিয়েছেন, শিগগির এই চুক্তি হতে পারে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে একটি নতুন চুক্তি হতে চলেছে। এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্ক আরও বিস্তৃত হবে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি রপ্তানি বাড়বে এবং গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হবে।
হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ভারতে নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সার্জিও গোরের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা একটি ন্যায্য চুক্তির দিকে এগোচ্ছি, এটি একটি ন্যায্য বাণিজ্য চুক্তি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি করছি, যা আগেরগুলোর চেয়ে অনেক ভিন্ন।’ ট্রাম্প আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা চুক্তির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছি।’
এর আগে গত আগস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া থেকে তেল কেনার ‘শাস্তি’ হিসেবে ভারতের ওপর আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। এর ফলে ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর মোট শুল্কের পরিমাণ ৫০ শতাংশে দাঁড়ায়। যা চীনের চেয়ে ২০ শতাংশ এবং পাকিস্তানের চেয়ে ৩১ শতাংশ বেশি।
সে সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, ভারত সরকার সরাসরি বা পরোক্ষভাবে রুশ ফেডারেশন থেকে তেল আমদানি করছে... আমার বিচার অনুযায়ী, ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ‘‘অ্যাড ভ্যালোরেম ডিউটি’’ আরোপ করা প্রয়োজন।’ প্রসঙ্গত, অ্যাড ভ্যালোরেম ডিউটি বা শুল্ক বলতে এমন এক ধরনের আমদানি শুল্ক বা কর বোঝায়, যা আমদানি করা পণ্যের মোট মূল্যের ওপর ভিত্তি করে গণনা করা হয়। এটি সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হয়।

বাণিজ্য চুক্তির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে আশা দিয়েছেন। তিনি দেশটির সঙ্গে একটি ন্যায্য চুক্তির ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি জানিয়েছেন, শিগগির এই চুক্তি হতে পারে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে একটি নতুন চুক্তি হতে চলেছে। এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্ক আরও বিস্তৃত হবে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি রপ্তানি বাড়বে এবং গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হবে।
হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ভারতে নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সার্জিও গোরের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা একটি ন্যায্য চুক্তির দিকে এগোচ্ছি, এটি একটি ন্যায্য বাণিজ্য চুক্তি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি করছি, যা আগেরগুলোর চেয়ে অনেক ভিন্ন।’ ট্রাম্প আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা চুক্তির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছি।’
এর আগে গত আগস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া থেকে তেল কেনার ‘শাস্তি’ হিসেবে ভারতের ওপর আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। এর ফলে ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর মোট শুল্কের পরিমাণ ৫০ শতাংশে দাঁড়ায়। যা চীনের চেয়ে ২০ শতাংশ এবং পাকিস্তানের চেয়ে ৩১ শতাংশ বেশি।
সে সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, ভারত সরকার সরাসরি বা পরোক্ষভাবে রুশ ফেডারেশন থেকে তেল আমদানি করছে... আমার বিচার অনুযায়ী, ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ‘‘অ্যাড ভ্যালোরেম ডিউটি’’ আরোপ করা প্রয়োজন।’ প্রসঙ্গত, অ্যাড ভ্যালোরেম ডিউটি বা শুল্ক বলতে এমন এক ধরনের আমদানি শুল্ক বা কর বোঝায়, যা আমদানি করা পণ্যের মোট মূল্যের ওপর ভিত্তি করে গণনা করা হয়। এটি সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হয়।

আপত্তির বিষয় হলো, এটি ঔপনিবেশিক আইন। ঠিক এমন আইনই ব্রিটিশরা মহাত্মা গান্ধীর কণ্ঠরোধ করার জন্য ব্যবহার করতো। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও কি এমন একটি আইন আমাদের দরকার আছে?
১৫ জুলাই ২০২১
গাজায় যুদ্ধবিরতির এক মাস পেরিয়ে গেলেও ফিলিস্তিনিদের জীবনে কোনো পরিবর্তন আসেনি। গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকার বাসিন্দা মানার জেন্দিয়া এখনো বাস্তুচ্যুত। পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন দেইর আল-বালাহ এলাকায়।
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির লালকেল্লার কাছে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট দেশজুড়ে সমলিঙ্গ বিবাহ বৈধ করার রায় বাতিলের একটি আহ্বান নাকচ করে দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার আদালত কোনো মন্তব্য না করেই কেনটাকির সাবেক কোর্ট ক্লার্ক কিম ডেভিসের করা আবেদন খারিজ করে দেন।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির লালকেল্লার কাছে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, বিস্ফোরণের আগে গাড়িটি অন্তত তিন ঘণ্টা ধরে ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিল।
দিল্লি পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের নাম সালমান ও দেবেন্দর। দুজনই অতীতে বিস্ফোরণে ব্যবহৃত হুন্দাই আই-২০ গাড়িটির মালিক ছিলেন। গাড়িটির বিক্রির পুরো ইতিহাস এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে, যাতে সূত্র খুঁজে পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তদন্তকারীরা এখনো নিশ্চিত করেননি, এটি সন্ত্রাসী হামলা ছিল কি না। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, ‘সব দিক থেকেই তদন্ত চলছে।’
গাড়ির মালিকানা নিয়ে তদন্ত
হরিয়ানার গুরগাঁও পুলিশের মুখপাত্র সন্দীপ কুমার বলেন, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়িটি প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দা সালমানের নামে নিবন্ধিত ছিল। এটি ২০১৩ সালের সাদা রঙের গাড়ি।
তিনি বলেন, ‘প্রায় দেড় বছর আগে সালমান গাড়িটি দিল্লির ওখলা এলাকার বাসিন্দা দেবেন্দরের কাছে বিক্রি করেন। আমরা সালমানকে দিল্লি পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।’
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, দেবেন্দরকেও আটক করা হয়েছে। উভয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পরবর্তী বিক্রির ধাপগুলো জানতে এবং পুরো মালিকানা-শৃঙ্খল স্পষ্ট করতে।
গুরগাঁও পুলিশের মুখপাত্র আরও জানান, গাড়িটি পরে অম্বালার কারও কাছেও বিক্রি করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক তথ্য মিলেছে। তবে বিস্তারিত এখনো সংগ্রহ করা হচ্ছে।
সালমানের স্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, আর্থিক সমস্যার কারণে তাঁদের পরিবার গাড়িটি বিক্রি করতে বাধ্য হয়। সালমান গুরগাঁওয়ের শান্তিনগরে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে থাকেন।
বিস্ফোরণটি ঘটে রোববার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে, লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে সুবাস মার্গের ট্রাফিক সিগন্যালে। ঘটনাস্থলে মুহূর্তেই আগুন ধরে যায়, আশপাশে থাকা গাড়িগুলো ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে। মৃতদেহ ও ধ্বংসাবশেষে ভরে যায় রাস্তাটি। আহত ব্যক্তিদের লোডলি নিয়াজি জয়প্রকাশ (এলএনজেপি) হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঘটনার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘হুন্দাই আই-২০ মডেলের গাড়িটিই বিস্ফোরিত হয়েছে। আমরা সব সম্ভাবনাই বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করছি। ফলাফল জনগণের সামনে আনা হবে।’
এদিকে প্রকাশিত সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা রঙের ওই হুন্দাই আই-২০ গাড়িটি বেলা ৩টা ১৯ মিনিটে লালকেল্লার পার্কিং লটে প্রবেশ করে এবং প্রায় তিন ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে বেরিয়ে যায়। গাড়িটির নম্বর ছিল এইচআর ২৬সিই ৭৬৭৪।
একটি ছবিতে দেখা যায়, চালকের হাত জানালার বাইরে রাখা অবস্থায় গাড়িটি পার্কিং লটে ঢুকছে। অন্য একটি ছবিতে দেখা যায়, গাড়িটি রাজধানীর ব্যস্ত রাস্তায় চলাচল করছে।
ফরেনসিক প্রমাণ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দিল্লি পুলিশ ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন ইউএপিএ (Unlawful Activities Prevention Act) অনুযায়ী মামলা দায়ের করেছে।
বিস্ফোরণের পর দিল্লি ও আশপাশের রাজ্যগুলো—মুম্বাই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, জয়পুর, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, হায়দরাবাদ, উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখন্ডে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আজ দ্বিতীয় ও শেষ দফার ভোট গ্রহণ চলা বিহারেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
একই দিনে রাজধানী থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে হরিয়ানার ফারিদাবাদে ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়, যা পুরো ঘটনায় নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির লালকেল্লার কাছে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, বিস্ফোরণের আগে গাড়িটি অন্তত তিন ঘণ্টা ধরে ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিল।
দিল্লি পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের নাম সালমান ও দেবেন্দর। দুজনই অতীতে বিস্ফোরণে ব্যবহৃত হুন্দাই আই-২০ গাড়িটির মালিক ছিলেন। গাড়িটির বিক্রির পুরো ইতিহাস এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে, যাতে সূত্র খুঁজে পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তদন্তকারীরা এখনো নিশ্চিত করেননি, এটি সন্ত্রাসী হামলা ছিল কি না। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, ‘সব দিক থেকেই তদন্ত চলছে।’
গাড়ির মালিকানা নিয়ে তদন্ত
হরিয়ানার গুরগাঁও পুলিশের মুখপাত্র সন্দীপ কুমার বলেন, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়িটি প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দা সালমানের নামে নিবন্ধিত ছিল। এটি ২০১৩ সালের সাদা রঙের গাড়ি।
তিনি বলেন, ‘প্রায় দেড় বছর আগে সালমান গাড়িটি দিল্লির ওখলা এলাকার বাসিন্দা দেবেন্দরের কাছে বিক্রি করেন। আমরা সালমানকে দিল্লি পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।’
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, দেবেন্দরকেও আটক করা হয়েছে। উভয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পরবর্তী বিক্রির ধাপগুলো জানতে এবং পুরো মালিকানা-শৃঙ্খল স্পষ্ট করতে।
গুরগাঁও পুলিশের মুখপাত্র আরও জানান, গাড়িটি পরে অম্বালার কারও কাছেও বিক্রি করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক তথ্য মিলেছে। তবে বিস্তারিত এখনো সংগ্রহ করা হচ্ছে।
সালমানের স্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, আর্থিক সমস্যার কারণে তাঁদের পরিবার গাড়িটি বিক্রি করতে বাধ্য হয়। সালমান গুরগাঁওয়ের শান্তিনগরে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে থাকেন।
বিস্ফোরণটি ঘটে রোববার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে, লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে সুবাস মার্গের ট্রাফিক সিগন্যালে। ঘটনাস্থলে মুহূর্তেই আগুন ধরে যায়, আশপাশে থাকা গাড়িগুলো ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে। মৃতদেহ ও ধ্বংসাবশেষে ভরে যায় রাস্তাটি। আহত ব্যক্তিদের লোডলি নিয়াজি জয়প্রকাশ (এলএনজেপি) হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঘটনার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘হুন্দাই আই-২০ মডেলের গাড়িটিই বিস্ফোরিত হয়েছে। আমরা সব সম্ভাবনাই বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করছি। ফলাফল জনগণের সামনে আনা হবে।’
এদিকে প্রকাশিত সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা রঙের ওই হুন্দাই আই-২০ গাড়িটি বেলা ৩টা ১৯ মিনিটে লালকেল্লার পার্কিং লটে প্রবেশ করে এবং প্রায় তিন ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে বেরিয়ে যায়। গাড়িটির নম্বর ছিল এইচআর ২৬সিই ৭৬৭৪।
একটি ছবিতে দেখা যায়, চালকের হাত জানালার বাইরে রাখা অবস্থায় গাড়িটি পার্কিং লটে ঢুকছে। অন্য একটি ছবিতে দেখা যায়, গাড়িটি রাজধানীর ব্যস্ত রাস্তায় চলাচল করছে।
ফরেনসিক প্রমাণ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দিল্লি পুলিশ ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন ইউএপিএ (Unlawful Activities Prevention Act) অনুযায়ী মামলা দায়ের করেছে।
বিস্ফোরণের পর দিল্লি ও আশপাশের রাজ্যগুলো—মুম্বাই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, জয়পুর, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, হায়দরাবাদ, উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখন্ডে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আজ দ্বিতীয় ও শেষ দফার ভোট গ্রহণ চলা বিহারেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
একই দিনে রাজধানী থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে হরিয়ানার ফারিদাবাদে ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়, যা পুরো ঘটনায় নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

আপত্তির বিষয় হলো, এটি ঔপনিবেশিক আইন। ঠিক এমন আইনই ব্রিটিশরা মহাত্মা গান্ধীর কণ্ঠরোধ করার জন্য ব্যবহার করতো। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও কি এমন একটি আইন আমাদের দরকার আছে?
১৫ জুলাই ২০২১
গাজায় যুদ্ধবিরতির এক মাস পেরিয়ে গেলেও ফিলিস্তিনিদের জীবনে কোনো পরিবর্তন আসেনি। গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকার বাসিন্দা মানার জেন্দিয়া এখনো বাস্তুচ্যুত। পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন দেইর আল-বালাহ এলাকায়।
১ ঘণ্টা আগে
বাণিজ্য চুক্তির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে আশা দিয়েছেন। তিনি দেশটির সঙ্গে একটি ন্যায্য চুক্তির ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি জানিয়েছেন, শিগগির এই চুক্তি হতে পারে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট দেশজুড়ে সমলিঙ্গ বিবাহ বৈধ করার রায় বাতিলের একটি আহ্বান নাকচ করে দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার আদালত কোনো মন্তব্য না করেই কেনটাকির সাবেক কোর্ট ক্লার্ক কিম ডেভিসের করা আবেদন খারিজ করে দেন।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট দেশজুড়ে সমলিঙ্গ বিবাহ বৈধ করার রায় বাতিলের একটি আহ্বান নাকচ করে দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার আদালত কোনো মন্তব্য না করেই কেনটাকির সাবেক কোর্ট ক্লার্ক কিম ডেভিসের করা আবেদন খারিজ করে দেন।
‘ওবারফেল বনাম হজেস’ নামে পরিচিত ওই মামলার নথি থেকে জানা যায়, কেনটাকির সাবেক কোর্ট ক্লার্ক কিম ডেভিস ২০১৫ সালে এক সমলিঙ্গ দম্পতির বিবাহের লাইসেন্স দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ওই দম্পতি মামলা করলে সুপ্রিম কোর্ট কিম ডেভিসকে ৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ ও আইনজীবীর ফি পরিশোধের নির্দেশ দেন। এর পাশাপাশি আদালতের আদেশ অবমাননার দায়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
হিউম্যান রাইটস ক্যাম্পেইনের সভাপতি কেলি রবিনসন আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আজ সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছেন, অন্যদের সাংবিধানিক অধিকার অস্বীকার করার পরিণতি ভোগ করতেই হবে।’
২০১৫ সালে কিম ডেভিস দেশজুড়ে আলোচনায় আসেন কেনটাকির রোয়ান কাউন্টিতে সমলিঙ্গ দম্পতিদের বিবাহ লাইসেন্স দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে। তিনি দাবি করেন, তাঁর ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে তিনি আদালতের নির্দেশ মানতে পারছেন না।
ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তাঁকে আদালত অবমাননার দায়ে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তাঁর অফিসের অন্য কর্মীরা তাঁর অনুপস্থিতিতে লাইসেন্স দেওয়া শুরু করলে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এরপর কেনটাকি রাজ্য একটি আইন পাস করে, যাতে রাজ্যের সব কোর্ট ক্লার্কের নাম বিবাহ লাইসেন্স দেওয়ার কাজ থেকে বাদ দেওয়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট দেশজুড়ে সমলিঙ্গ বিবাহ বৈধ করার রায় বাতিলের একটি আহ্বান নাকচ করে দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার আদালত কোনো মন্তব্য না করেই কেনটাকির সাবেক কোর্ট ক্লার্ক কিম ডেভিসের করা আবেদন খারিজ করে দেন।
‘ওবারফেল বনাম হজেস’ নামে পরিচিত ওই মামলার নথি থেকে জানা যায়, কেনটাকির সাবেক কোর্ট ক্লার্ক কিম ডেভিস ২০১৫ সালে এক সমলিঙ্গ দম্পতির বিবাহের লাইসেন্স দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ওই দম্পতি মামলা করলে সুপ্রিম কোর্ট কিম ডেভিসকে ৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ ও আইনজীবীর ফি পরিশোধের নির্দেশ দেন। এর পাশাপাশি আদালতের আদেশ অবমাননার দায়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
হিউম্যান রাইটস ক্যাম্পেইনের সভাপতি কেলি রবিনসন আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আজ সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছেন, অন্যদের সাংবিধানিক অধিকার অস্বীকার করার পরিণতি ভোগ করতেই হবে।’
২০১৫ সালে কিম ডেভিস দেশজুড়ে আলোচনায় আসেন কেনটাকির রোয়ান কাউন্টিতে সমলিঙ্গ দম্পতিদের বিবাহ লাইসেন্স দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে। তিনি দাবি করেন, তাঁর ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে তিনি আদালতের নির্দেশ মানতে পারছেন না।
ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তাঁকে আদালত অবমাননার দায়ে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তাঁর অফিসের অন্য কর্মীরা তাঁর অনুপস্থিতিতে লাইসেন্স দেওয়া শুরু করলে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এরপর কেনটাকি রাজ্য একটি আইন পাস করে, যাতে রাজ্যের সব কোর্ট ক্লার্কের নাম বিবাহ লাইসেন্স দেওয়ার কাজ থেকে বাদ দেওয়া হয়।

আপত্তির বিষয় হলো, এটি ঔপনিবেশিক আইন। ঠিক এমন আইনই ব্রিটিশরা মহাত্মা গান্ধীর কণ্ঠরোধ করার জন্য ব্যবহার করতো। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও কি এমন একটি আইন আমাদের দরকার আছে?
১৫ জুলাই ২০২১
গাজায় যুদ্ধবিরতির এক মাস পেরিয়ে গেলেও ফিলিস্তিনিদের জীবনে কোনো পরিবর্তন আসেনি। গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকার বাসিন্দা মানার জেন্দিয়া এখনো বাস্তুচ্যুত। পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন দেইর আল-বালাহ এলাকায়।
১ ঘণ্টা আগে
বাণিজ্য চুক্তির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে আশা দিয়েছেন। তিনি দেশটির সঙ্গে একটি ন্যায্য চুক্তির ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি জানিয়েছেন, শিগগির এই চুক্তি হতে পারে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির লালকেল্লার কাছে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে