কলকাতা প্রতিনিধি
ভারতের রাজধানীতে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সফর ঘিরে শুরু হয়েছে বিস্তর বিতর্ক। কারণ একদিকে এই সফরকে বলা হচ্ছে ‘কূটনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন’, অন্যদিকে দেশের বিশিষ্টজনদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন—বিশ্বের সবচেয়ে নারীবিদ্বেষী গোষ্ঠীর প্রতিনিধিকে এত উষ্ণ অভ্যর্থনা কেন দেওয়া হলো। এর মধ্যে বিশিষ্ট চিত্রনাট্যকার ও গীতিকার জাভেদ আখতার তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন—‘আমি লজ্জায় মাথা নিচু করি, যখন দেখি তালেবান প্রতিনিধিকে এমন সম্মান দেওয়া হচ্ছে, যাদের বিরুদ্ধে এই দেশই একসময় সন্ত্রাসবাদ রোধে মুখর ছিল।’ তাঁর এই বক্তব্য এখন দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্র।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ ছাড়পত্রে ছয় দিনের ভারত সফরে পৌঁছান মুত্তাকি। বিশেষ ছাড়পত্র দেওয়ার কারণ হলো, ২০০১ সাল থেকে তাঁর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। এই নিষেধাজ্ঞার অধীনে তাঁর ভ্রমণ, সম্পদ ও অস্ত্র কেনাবেচায় কড়া বিধিনিষেধ ছিল। এবার প্রথমবারের মতো সেই নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে তুলে নেওয়া হয়েছে কূটনৈতিক পরামর্শ বিনিময়ের স্বার্থে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে—এই কূটনীতি কি নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়?
বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা আনার জন্য ভারত বাস্তবতা মেনে চলেছে। সীমান্তপারের নিরাপত্তা, মধ্য এশিয়ার যোগাযোগ এবং আঞ্চলিক প্রভাব ধরে রাখতে কাবুলের বর্তমান প্রশাসনের সঙ্গে সংলাপ চালু রাখা জরুরি বলে মনে করছে নীতি–নির্ধারক মহল। তবু এই বাস্তবতার ভেতরেই উঠে আসছে মানবিকতার প্রশ্ন—যে শাসকগোষ্ঠী মেয়েদের শিক্ষা নিষিদ্ধ করেছে, সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করেছে, তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত মেলানো কতটা নৈতিক?
তালেবান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে মুত্তাকি দিল্লিতে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, কূটনীতিক এবং ব্যবসায়ী মহলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে সবচেয়ে বিতর্কিত হয়েছে তাঁর প্রথম সংবাদ সম্মেলন, যেখানে কোনো নারী সাংবাদিকদের প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিরোধী নেতারা একে ‘অগ্রহণযোগ্য’ এবং ‘নারীর প্রতি অবমাননা’ বলে মন্তব্য করেন। প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনও বিষয়টির নিন্দা জানায়।
পরিস্থিতি সামলাতে গত রোববার (১২ অক্টোবর) মুত্তাকি আরেকটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন, যেখানে কয়েকজন নারী সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘প্রথম বৈঠকটি হঠাৎ নির্ধারিত হয়েছিল, তালিকা তৈরি করতে ভুল হয়েছিল, এতে অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।’ কিন্তু সমালোচকেরা বলছেন, ‘যাদের দেশে মেয়েদের শিক্ষা নিষিদ্ধ, তাদের পক্ষ থেকে এই ব্যাখ্যা কেবল একটি ছদ্মবেশ।’
এদিকে তালেবানবিরোধী বুদ্ধিজীবী মহলে নতুন আরেকটি বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মুত্তাকিকে নিয়ে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ভূমিকাকেও তাঁরা প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে দারুল উলুম দেওবন্দ মুত্তাকিকে যে সম্মান দিয়েছে, তা জাভেদ আখতারের ভাষায় ‘লজ্জার বিষয়’। তিনি বলেছেন, “দেওবন্দের মতো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এই ধরনের ‘ইসলামিক হিরোকে’ স্বাগত জানানো মানবতা ও শিক্ষার প্রতি আঘাত।”
এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মুত্তাকির সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন বা অতিথি বাছাইয়ে জড়িত ছিল না। কিন্তু রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সরকারের নীরবতা একপ্রকার সম্মতি নির্দেশ করছে। বিশেষ করে, যখন আন্তর্জাতিক মহল এখনো তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি, তখন এমন সফর ভারতের ‘নৈতিক অবস্থান’ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
ভারতের দক্ষিণ এশীয় বিশ্লেষকেরা বলছেন, কাবুলের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখলে ভূরাজনীতির সমীকরণে ভারত পিছিয়ে পড়বে। চীন ও পাকিস্তান ইতিমধ্যে কাবুলে সক্রিয়, তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় থাকতে এই সংলাপ কৌশলগতভাবে জরুরি। কিন্তু নাগরিক সমাজ মনে করছে, রাষ্ট্রীয় কৌশলের আড়ালে যদি মানবাধিকারবোধ উপেক্ষিত হয়, তবে সেই লাভ দীর্ঘস্থায়ী হবে না।
একদিকে তালেবানের নিষ্ঠুর শাসন, অন্যদিকে বাস্তবতার কূটনীতি—এই দ্বৈততার মধ্যেই ভারতীয় সমাজ এখন নৈতিক সংকটে পড়েছে। এ অবস্থায় ‘কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ—কৌশল না মূল্যবোধ? ’ এই প্রশ্নটাই এখন জনমনে সবচেয়ে বেশি প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।
ভারতের রাজধানীতে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সফর ঘিরে শুরু হয়েছে বিস্তর বিতর্ক। কারণ একদিকে এই সফরকে বলা হচ্ছে ‘কূটনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন’, অন্যদিকে দেশের বিশিষ্টজনদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন—বিশ্বের সবচেয়ে নারীবিদ্বেষী গোষ্ঠীর প্রতিনিধিকে এত উষ্ণ অভ্যর্থনা কেন দেওয়া হলো। এর মধ্যে বিশিষ্ট চিত্রনাট্যকার ও গীতিকার জাভেদ আখতার তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন—‘আমি লজ্জায় মাথা নিচু করি, যখন দেখি তালেবান প্রতিনিধিকে এমন সম্মান দেওয়া হচ্ছে, যাদের বিরুদ্ধে এই দেশই একসময় সন্ত্রাসবাদ রোধে মুখর ছিল।’ তাঁর এই বক্তব্য এখন দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্র।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ ছাড়পত্রে ছয় দিনের ভারত সফরে পৌঁছান মুত্তাকি। বিশেষ ছাড়পত্র দেওয়ার কারণ হলো, ২০০১ সাল থেকে তাঁর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। এই নিষেধাজ্ঞার অধীনে তাঁর ভ্রমণ, সম্পদ ও অস্ত্র কেনাবেচায় কড়া বিধিনিষেধ ছিল। এবার প্রথমবারের মতো সেই নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে তুলে নেওয়া হয়েছে কূটনৈতিক পরামর্শ বিনিময়ের স্বার্থে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে—এই কূটনীতি কি নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়?
বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা আনার জন্য ভারত বাস্তবতা মেনে চলেছে। সীমান্তপারের নিরাপত্তা, মধ্য এশিয়ার যোগাযোগ এবং আঞ্চলিক প্রভাব ধরে রাখতে কাবুলের বর্তমান প্রশাসনের সঙ্গে সংলাপ চালু রাখা জরুরি বলে মনে করছে নীতি–নির্ধারক মহল। তবু এই বাস্তবতার ভেতরেই উঠে আসছে মানবিকতার প্রশ্ন—যে শাসকগোষ্ঠী মেয়েদের শিক্ষা নিষিদ্ধ করেছে, সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করেছে, তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত মেলানো কতটা নৈতিক?
তালেবান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে মুত্তাকি দিল্লিতে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, কূটনীতিক এবং ব্যবসায়ী মহলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে সবচেয়ে বিতর্কিত হয়েছে তাঁর প্রথম সংবাদ সম্মেলন, যেখানে কোনো নারী সাংবাদিকদের প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিরোধী নেতারা একে ‘অগ্রহণযোগ্য’ এবং ‘নারীর প্রতি অবমাননা’ বলে মন্তব্য করেন। প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনও বিষয়টির নিন্দা জানায়।
পরিস্থিতি সামলাতে গত রোববার (১২ অক্টোবর) মুত্তাকি আরেকটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন, যেখানে কয়েকজন নারী সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘প্রথম বৈঠকটি হঠাৎ নির্ধারিত হয়েছিল, তালিকা তৈরি করতে ভুল হয়েছিল, এতে অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।’ কিন্তু সমালোচকেরা বলছেন, ‘যাদের দেশে মেয়েদের শিক্ষা নিষিদ্ধ, তাদের পক্ষ থেকে এই ব্যাখ্যা কেবল একটি ছদ্মবেশ।’
এদিকে তালেবানবিরোধী বুদ্ধিজীবী মহলে নতুন আরেকটি বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মুত্তাকিকে নিয়ে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ভূমিকাকেও তাঁরা প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে দারুল উলুম দেওবন্দ মুত্তাকিকে যে সম্মান দিয়েছে, তা জাভেদ আখতারের ভাষায় ‘লজ্জার বিষয়’। তিনি বলেছেন, “দেওবন্দের মতো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এই ধরনের ‘ইসলামিক হিরোকে’ স্বাগত জানানো মানবতা ও শিক্ষার প্রতি আঘাত।”
এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মুত্তাকির সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন বা অতিথি বাছাইয়ে জড়িত ছিল না। কিন্তু রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সরকারের নীরবতা একপ্রকার সম্মতি নির্দেশ করছে। বিশেষ করে, যখন আন্তর্জাতিক মহল এখনো তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি, তখন এমন সফর ভারতের ‘নৈতিক অবস্থান’ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
ভারতের দক্ষিণ এশীয় বিশ্লেষকেরা বলছেন, কাবুলের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখলে ভূরাজনীতির সমীকরণে ভারত পিছিয়ে পড়বে। চীন ও পাকিস্তান ইতিমধ্যে কাবুলে সক্রিয়, তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় থাকতে এই সংলাপ কৌশলগতভাবে জরুরি। কিন্তু নাগরিক সমাজ মনে করছে, রাষ্ট্রীয় কৌশলের আড়ালে যদি মানবাধিকারবোধ উপেক্ষিত হয়, তবে সেই লাভ দীর্ঘস্থায়ী হবে না।
একদিকে তালেবানের নিষ্ঠুর শাসন, অন্যদিকে বাস্তবতার কূটনীতি—এই দ্বৈততার মধ্যেই ভারতীয় সমাজ এখন নৈতিক সংকটে পড়েছে। এ অবস্থায় ‘কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ—কৌশল না মূল্যবোধ? ’ এই প্রশ্নটাই এখন জনমনে সবচেয়ে বেশি প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।
কলকাতা প্রতিনিধি
ভারতের রাজধানীতে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সফর ঘিরে শুরু হয়েছে বিস্তর বিতর্ক। কারণ একদিকে এই সফরকে বলা হচ্ছে ‘কূটনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন’, অন্যদিকে দেশের বিশিষ্টজনদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন—বিশ্বের সবচেয়ে নারীবিদ্বেষী গোষ্ঠীর প্রতিনিধিকে এত উষ্ণ অভ্যর্থনা কেন দেওয়া হলো। এর মধ্যে বিশিষ্ট চিত্রনাট্যকার ও গীতিকার জাভেদ আখতার তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন—‘আমি লজ্জায় মাথা নিচু করি, যখন দেখি তালেবান প্রতিনিধিকে এমন সম্মান দেওয়া হচ্ছে, যাদের বিরুদ্ধে এই দেশই একসময় সন্ত্রাসবাদ রোধে মুখর ছিল।’ তাঁর এই বক্তব্য এখন দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্র।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ ছাড়পত্রে ছয় দিনের ভারত সফরে পৌঁছান মুত্তাকি। বিশেষ ছাড়পত্র দেওয়ার কারণ হলো, ২০০১ সাল থেকে তাঁর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। এই নিষেধাজ্ঞার অধীনে তাঁর ভ্রমণ, সম্পদ ও অস্ত্র কেনাবেচায় কড়া বিধিনিষেধ ছিল। এবার প্রথমবারের মতো সেই নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে তুলে নেওয়া হয়েছে কূটনৈতিক পরামর্শ বিনিময়ের স্বার্থে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে—এই কূটনীতি কি নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়?
বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা আনার জন্য ভারত বাস্তবতা মেনে চলেছে। সীমান্তপারের নিরাপত্তা, মধ্য এশিয়ার যোগাযোগ এবং আঞ্চলিক প্রভাব ধরে রাখতে কাবুলের বর্তমান প্রশাসনের সঙ্গে সংলাপ চালু রাখা জরুরি বলে মনে করছে নীতি–নির্ধারক মহল। তবু এই বাস্তবতার ভেতরেই উঠে আসছে মানবিকতার প্রশ্ন—যে শাসকগোষ্ঠী মেয়েদের শিক্ষা নিষিদ্ধ করেছে, সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করেছে, তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত মেলানো কতটা নৈতিক?
তালেবান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে মুত্তাকি দিল্লিতে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, কূটনীতিক এবং ব্যবসায়ী মহলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে সবচেয়ে বিতর্কিত হয়েছে তাঁর প্রথম সংবাদ সম্মেলন, যেখানে কোনো নারী সাংবাদিকদের প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিরোধী নেতারা একে ‘অগ্রহণযোগ্য’ এবং ‘নারীর প্রতি অবমাননা’ বলে মন্তব্য করেন। প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনও বিষয়টির নিন্দা জানায়।
পরিস্থিতি সামলাতে গত রোববার (১২ অক্টোবর) মুত্তাকি আরেকটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন, যেখানে কয়েকজন নারী সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘প্রথম বৈঠকটি হঠাৎ নির্ধারিত হয়েছিল, তালিকা তৈরি করতে ভুল হয়েছিল, এতে অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।’ কিন্তু সমালোচকেরা বলছেন, ‘যাদের দেশে মেয়েদের শিক্ষা নিষিদ্ধ, তাদের পক্ষ থেকে এই ব্যাখ্যা কেবল একটি ছদ্মবেশ।’
এদিকে তালেবানবিরোধী বুদ্ধিজীবী মহলে নতুন আরেকটি বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মুত্তাকিকে নিয়ে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ভূমিকাকেও তাঁরা প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে দারুল উলুম দেওবন্দ মুত্তাকিকে যে সম্মান দিয়েছে, তা জাভেদ আখতারের ভাষায় ‘লজ্জার বিষয়’। তিনি বলেছেন, “দেওবন্দের মতো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এই ধরনের ‘ইসলামিক হিরোকে’ স্বাগত জানানো মানবতা ও শিক্ষার প্রতি আঘাত।”
এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মুত্তাকির সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন বা অতিথি বাছাইয়ে জড়িত ছিল না। কিন্তু রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সরকারের নীরবতা একপ্রকার সম্মতি নির্দেশ করছে। বিশেষ করে, যখন আন্তর্জাতিক মহল এখনো তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি, তখন এমন সফর ভারতের ‘নৈতিক অবস্থান’ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
ভারতের দক্ষিণ এশীয় বিশ্লেষকেরা বলছেন, কাবুলের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখলে ভূরাজনীতির সমীকরণে ভারত পিছিয়ে পড়বে। চীন ও পাকিস্তান ইতিমধ্যে কাবুলে সক্রিয়, তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় থাকতে এই সংলাপ কৌশলগতভাবে জরুরি। কিন্তু নাগরিক সমাজ মনে করছে, রাষ্ট্রীয় কৌশলের আড়ালে যদি মানবাধিকারবোধ উপেক্ষিত হয়, তবে সেই লাভ দীর্ঘস্থায়ী হবে না।
একদিকে তালেবানের নিষ্ঠুর শাসন, অন্যদিকে বাস্তবতার কূটনীতি—এই দ্বৈততার মধ্যেই ভারতীয় সমাজ এখন নৈতিক সংকটে পড়েছে। এ অবস্থায় ‘কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ—কৌশল না মূল্যবোধ? ’ এই প্রশ্নটাই এখন জনমনে সবচেয়ে বেশি প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।
ভারতের রাজধানীতে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সফর ঘিরে শুরু হয়েছে বিস্তর বিতর্ক। কারণ একদিকে এই সফরকে বলা হচ্ছে ‘কূটনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন’, অন্যদিকে দেশের বিশিষ্টজনদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন—বিশ্বের সবচেয়ে নারীবিদ্বেষী গোষ্ঠীর প্রতিনিধিকে এত উষ্ণ অভ্যর্থনা কেন দেওয়া হলো। এর মধ্যে বিশিষ্ট চিত্রনাট্যকার ও গীতিকার জাভেদ আখতার তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন—‘আমি লজ্জায় মাথা নিচু করি, যখন দেখি তালেবান প্রতিনিধিকে এমন সম্মান দেওয়া হচ্ছে, যাদের বিরুদ্ধে এই দেশই একসময় সন্ত্রাসবাদ রোধে মুখর ছিল।’ তাঁর এই বক্তব্য এখন দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্র।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ ছাড়পত্রে ছয় দিনের ভারত সফরে পৌঁছান মুত্তাকি। বিশেষ ছাড়পত্র দেওয়ার কারণ হলো, ২০০১ সাল থেকে তাঁর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। এই নিষেধাজ্ঞার অধীনে তাঁর ভ্রমণ, সম্পদ ও অস্ত্র কেনাবেচায় কড়া বিধিনিষেধ ছিল। এবার প্রথমবারের মতো সেই নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে তুলে নেওয়া হয়েছে কূটনৈতিক পরামর্শ বিনিময়ের স্বার্থে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে—এই কূটনীতি কি নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়?
বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা আনার জন্য ভারত বাস্তবতা মেনে চলেছে। সীমান্তপারের নিরাপত্তা, মধ্য এশিয়ার যোগাযোগ এবং আঞ্চলিক প্রভাব ধরে রাখতে কাবুলের বর্তমান প্রশাসনের সঙ্গে সংলাপ চালু রাখা জরুরি বলে মনে করছে নীতি–নির্ধারক মহল। তবু এই বাস্তবতার ভেতরেই উঠে আসছে মানবিকতার প্রশ্ন—যে শাসকগোষ্ঠী মেয়েদের শিক্ষা নিষিদ্ধ করেছে, সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করেছে, তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত মেলানো কতটা নৈতিক?
তালেবান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে মুত্তাকি দিল্লিতে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, কূটনীতিক এবং ব্যবসায়ী মহলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে সবচেয়ে বিতর্কিত হয়েছে তাঁর প্রথম সংবাদ সম্মেলন, যেখানে কোনো নারী সাংবাদিকদের প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিরোধী নেতারা একে ‘অগ্রহণযোগ্য’ এবং ‘নারীর প্রতি অবমাননা’ বলে মন্তব্য করেন। প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনও বিষয়টির নিন্দা জানায়।
পরিস্থিতি সামলাতে গত রোববার (১২ অক্টোবর) মুত্তাকি আরেকটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন, যেখানে কয়েকজন নারী সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘প্রথম বৈঠকটি হঠাৎ নির্ধারিত হয়েছিল, তালিকা তৈরি করতে ভুল হয়েছিল, এতে অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।’ কিন্তু সমালোচকেরা বলছেন, ‘যাদের দেশে মেয়েদের শিক্ষা নিষিদ্ধ, তাদের পক্ষ থেকে এই ব্যাখ্যা কেবল একটি ছদ্মবেশ।’
এদিকে তালেবানবিরোধী বুদ্ধিজীবী মহলে নতুন আরেকটি বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মুত্তাকিকে নিয়ে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ভূমিকাকেও তাঁরা প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে দারুল উলুম দেওবন্দ মুত্তাকিকে যে সম্মান দিয়েছে, তা জাভেদ আখতারের ভাষায় ‘লজ্জার বিষয়’। তিনি বলেছেন, “দেওবন্দের মতো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এই ধরনের ‘ইসলামিক হিরোকে’ স্বাগত জানানো মানবতা ও শিক্ষার প্রতি আঘাত।”
এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মুত্তাকির সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন বা অতিথি বাছাইয়ে জড়িত ছিল না। কিন্তু রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সরকারের নীরবতা একপ্রকার সম্মতি নির্দেশ করছে। বিশেষ করে, যখন আন্তর্জাতিক মহল এখনো তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি, তখন এমন সফর ভারতের ‘নৈতিক অবস্থান’ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
ভারতের দক্ষিণ এশীয় বিশ্লেষকেরা বলছেন, কাবুলের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখলে ভূরাজনীতির সমীকরণে ভারত পিছিয়ে পড়বে। চীন ও পাকিস্তান ইতিমধ্যে কাবুলে সক্রিয়, তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় থাকতে এই সংলাপ কৌশলগতভাবে জরুরি। কিন্তু নাগরিক সমাজ মনে করছে, রাষ্ট্রীয় কৌশলের আড়ালে যদি মানবাধিকারবোধ উপেক্ষিত হয়, তবে সেই লাভ দীর্ঘস্থায়ী হবে না।
একদিকে তালেবানের নিষ্ঠুর শাসন, অন্যদিকে বাস্তবতার কূটনীতি—এই দ্বৈততার মধ্যেই ভারতীয় সমাজ এখন নৈতিক সংকটে পড়েছে। এ অবস্থায় ‘কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ—কৌশল না মূল্যবোধ? ’ এই প্রশ্নটাই এখন জনমনে সবচেয়ে বেশি প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।
মাদাগাস্কারের সামরিক বাহিনী দেশটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে বলে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) জাতীয় রেডিওতে ঘোষণা দিয়েছেন সেনা কর্নেল মাইকেল র্যান্ড্রিয়ানিরিনা। জেন-জি আন্দোলনের জের ধরে প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রি রজুয়েলিনা দেশ ত্যাগ করার পর এই ঘোষণা এসেছে।
১৩ মিনিট আগেগাজা ও মিসরের মধ্যে অবস্থিত রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়েই মূলত গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানো হয়। কিন্তু এই ক্রসিং এখনো খুলে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। এর ফলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবিক সহায়তার প্রবাহ কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
৪৩ মিনিট আগেমিসরে অনুষ্ঠিত গাজা সম্মেলনে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনিকে দেখে ‘বিউটিফুল’ বা ‘সুন্দরী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনের মঞ্চে একমাত্র নারী নেতা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেলোনি।
২ ঘণ্টা আগেভারতের পুনে শহরে পুলিশি তৎপরতায় উদ্ধার হলেন দুই বাংলাদেশি তরুণী। উদ্ধারের আগে এদের মধ্যে একজন সরাসরি পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করে জানিয়েছিলেন, শহরের কাত্রজ এলাকায় তাঁকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
মাদাগাস্কারের সামরিক বাহিনী দেশটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে বলে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) জাতীয় রেডিওতে ঘোষণা দিয়েছেন সেনা কর্নেল মাইকেল র্যান্ড্রিয়ানিরিনা। জেন-জি আন্দোলনের জের ধরে প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রি রজুয়েলিনা দেশ ত্যাগ করার পর এই ঘোষণা এসেছে।
কর্নেল র্যান্ড্রিয়ানিরিনা বলেন, ‘আমরা ক্ষমতা গ্রহণ করেছি।’ তিনি জানান, সেনাবাহিনী দেশের সব রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বিলুপ্ত করছে, তবে জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ—ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিকে বহাল রেখেছে। কয়েক মিনিট আগেই এই সংসদ রজুয়েলিনাকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছে।
সিএনএন জানিয়েছে, ৫১ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট রজুয়েলিনা মাদাগাস্কারের সংসদ ভেঙে দেওয়ার অধ্যাদেশ জারি করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ক্রমবর্ধমান আন্দোলনের মুখে তিনি ফরাসি সামরিক বিমানে চড়ে দেশ ছাড়েন। তবে তিনি দাবি করেছেন, প্রাণনাশের হুমকির কারণে তিনি নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন এবং পদত্যাগ করেননি।
রয়টার্স জানিয়েছে, বিরোধী শিবির ও সামরিক সূত্রগুলো রজুয়েলিনার দেশ ত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে এর আগে সংসদের বৈঠককে অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করে রজুয়েলিনার অভিশংসনকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করেছিল এই কার্যালয়।
দেশটিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ প্রথমে পানি ও বিদ্যুৎ সংকটের প্রতিবাদে শুরু হলেও দ্রুত তা সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। দুর্নীতি, খারাপ শাসন ও মৌলিক সেবার অভাবের অভিযোগে ক্ষুব্ধ তরুণেরা রাজধানী আন্তানানারিভোর ঐতিহাসিক স্কয়ারে জড়ো হয়ে বিক্ষোভে নামে।
দেশটির ফরাসি ঔপনিবেশিক স্থাপত্যে ঘেরা রাস্তায় হাজারো মানুষ নাচে, গান গায় এবং রজুয়েলিনাকে ‘ফরাসি দালাল’ আখ্যা দিয়ে পোস্টার প্রদর্শন করে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এ ঘটনায় বলেছেন, ‘সংবিধানিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।’ তবে তিনি স্বীকার করেন, তরুণ প্রজন্মের ক্ষোভ বাস্তব এবং তা সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা উচিত নয়।
বিক্ষোভের দিনগুলোতে প্রেসিডেন্ট রজুয়েলিনা সামরিক বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট ক্যাপস্যাট-এর সমর্থন হারিয়েছিলেন। এই ইউনিটই ২০০৯ সালের অভ্যুত্থানে তাঁকে দেশটির ক্ষমতায় এনেছিল। গত সপ্তাহে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা ‘ক্যাপস্যাট’ ইউনিট জানায়, তারা আর বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালাবে না, বরং তাদের নিরাপত্তা দেবে। তাদের এই অবস্থান রজুয়েলিনার পতনের পথ আরও সুগম করে।
৩ কোটি জনসংখ্যার দ্বীপরাষ্ট্র মাদাগাস্কারের তিন-চতুর্থাংশ মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর থেকে দেশটির মাথাপিছু আয় বাড়েনি; বরং ৪৫ শতাংশ কমে গেছে।
মাদাগাস্কারের সামরিক বাহিনী দেশটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে বলে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) জাতীয় রেডিওতে ঘোষণা দিয়েছেন সেনা কর্নেল মাইকেল র্যান্ড্রিয়ানিরিনা। জেন-জি আন্দোলনের জের ধরে প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রি রজুয়েলিনা দেশ ত্যাগ করার পর এই ঘোষণা এসেছে।
কর্নেল র্যান্ড্রিয়ানিরিনা বলেন, ‘আমরা ক্ষমতা গ্রহণ করেছি।’ তিনি জানান, সেনাবাহিনী দেশের সব রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বিলুপ্ত করছে, তবে জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ—ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিকে বহাল রেখেছে। কয়েক মিনিট আগেই এই সংসদ রজুয়েলিনাকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছে।
সিএনএন জানিয়েছে, ৫১ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট রজুয়েলিনা মাদাগাস্কারের সংসদ ভেঙে দেওয়ার অধ্যাদেশ জারি করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ক্রমবর্ধমান আন্দোলনের মুখে তিনি ফরাসি সামরিক বিমানে চড়ে দেশ ছাড়েন। তবে তিনি দাবি করেছেন, প্রাণনাশের হুমকির কারণে তিনি নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন এবং পদত্যাগ করেননি।
রয়টার্স জানিয়েছে, বিরোধী শিবির ও সামরিক সূত্রগুলো রজুয়েলিনার দেশ ত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে এর আগে সংসদের বৈঠককে অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করে রজুয়েলিনার অভিশংসনকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করেছিল এই কার্যালয়।
দেশটিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ প্রথমে পানি ও বিদ্যুৎ সংকটের প্রতিবাদে শুরু হলেও দ্রুত তা সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। দুর্নীতি, খারাপ শাসন ও মৌলিক সেবার অভাবের অভিযোগে ক্ষুব্ধ তরুণেরা রাজধানী আন্তানানারিভোর ঐতিহাসিক স্কয়ারে জড়ো হয়ে বিক্ষোভে নামে।
দেশটির ফরাসি ঔপনিবেশিক স্থাপত্যে ঘেরা রাস্তায় হাজারো মানুষ নাচে, গান গায় এবং রজুয়েলিনাকে ‘ফরাসি দালাল’ আখ্যা দিয়ে পোস্টার প্রদর্শন করে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এ ঘটনায় বলেছেন, ‘সংবিধানিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।’ তবে তিনি স্বীকার করেন, তরুণ প্রজন্মের ক্ষোভ বাস্তব এবং তা সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা উচিত নয়।
বিক্ষোভের দিনগুলোতে প্রেসিডেন্ট রজুয়েলিনা সামরিক বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট ক্যাপস্যাট-এর সমর্থন হারিয়েছিলেন। এই ইউনিটই ২০০৯ সালের অভ্যুত্থানে তাঁকে দেশটির ক্ষমতায় এনেছিল। গত সপ্তাহে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা ‘ক্যাপস্যাট’ ইউনিট জানায়, তারা আর বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালাবে না, বরং তাদের নিরাপত্তা দেবে। তাদের এই অবস্থান রজুয়েলিনার পতনের পথ আরও সুগম করে।
৩ কোটি জনসংখ্যার দ্বীপরাষ্ট্র মাদাগাস্কারের তিন-চতুর্থাংশ মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর থেকে দেশটির মাথাপিছু আয় বাড়েনি; বরং ৪৫ শতাংশ কমে গেছে।
ভারতের রাজধানীতে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সফর ঘিরে শুরু হয়েছে বিস্তর বিতর্ক। কারণ একদিকে এই সফরকে বলা হচ্ছে ‘কূটনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন’, অন্যদিকে দেশের বিশিষ্টজনদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন—বিশ্বের সবচেয়ে নারীবিদ্বেষী গোষ্ঠীর প্রতিনিধিকে এত উষ্ণ অভ্যর্থনা কেন দেওয়া হলো।
৪ ঘণ্টা আগেগাজা ও মিসরের মধ্যে অবস্থিত রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়েই মূলত গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানো হয়। কিন্তু এই ক্রসিং এখনো খুলে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। এর ফলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবিক সহায়তার প্রবাহ কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
৪৩ মিনিট আগেমিসরে অনুষ্ঠিত গাজা সম্মেলনে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনিকে দেখে ‘বিউটিফুল’ বা ‘সুন্দরী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনের মঞ্চে একমাত্র নারী নেতা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেলোনি।
২ ঘণ্টা আগেভারতের পুনে শহরে পুলিশি তৎপরতায় উদ্ধার হলেন দুই বাংলাদেশি তরুণী। উদ্ধারের আগে এদের মধ্যে একজন সরাসরি পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করে জানিয়েছিলেন, শহরের কাত্রজ এলাকায় তাঁকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
গাজা ও মিসরের মধ্যে অবস্থিত রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়েই মূলত গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানো হয়। কিন্তু এই ক্রসিং এখনো খুলে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। এর ফলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবিক সহায়তার প্রবাহ কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ক্রসিং খুলে না দেওয়ার তথ্যটি মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) তিন ইসরায়েলি কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। তাঁরা জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে হামাস তাদের হাতে থাকা নিহত জিম্মিদের মরদেহ হস্তান্তর না করায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কত দিন সীমান্ত বন্ধ থাকবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
এর আগে হামাস জানিয়েছিল, গাজার সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা ধ্বংসস্তূপের ভেতরে সব কবরস্থান চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। তাই নিহত কিছু জিম্মির লাশ উদ্ধারে সময় লাগছে।
জানা গেছে, নিহত ২৪ জন জিম্মির পরিবারের সদস্যরা তাঁদের প্রিয়জনের মরদেহ ফেরত পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। সোমবার (১৩ অক্টোবর) হামাস মাত্র চারজনের মরদেহ ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করেছে। অন্য মরদেহগুলো কখন ফেরত দেওয়া হবে, তা স্পষ্ট নয়।
যে চারজন নিহত জিম্মির মরদেহ ফেরত এসেছে, তাঁদের মধ্যে ইলুজ ও জোশির মরদেহ আনুষ্ঠানিকভাবে শনাক্ত করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস দ্বারা অপহৃত হওয়ার সময় এই দুই তরুণ ২০-এর কোঠায় ছিলেন।
গাই ইলুজ ইসরায়েলের নোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যাল থেকে অপহৃত হয়েছিলেন আর নেপালের ছাত্র বিপিন জোশি একটি বোমা আশ্রয়কেন্দ্র থেকে অপহৃত হন।
ইসরায়েল জানিয়েছে, বন্দিদশায় যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়ায় ইলুজ মারা যান। অন্যদিকে যুদ্ধের প্রথম দিকেই হামাসের হাতে খুন হন জোশি।
গাজা ও মিসরের মধ্যে অবস্থিত রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়েই মূলত গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানো হয়। কিন্তু এই ক্রসিং এখনো খুলে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। এর ফলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবিক সহায়তার প্রবাহ কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ক্রসিং খুলে না দেওয়ার তথ্যটি মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) তিন ইসরায়েলি কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। তাঁরা জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে হামাস তাদের হাতে থাকা নিহত জিম্মিদের মরদেহ হস্তান্তর না করায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কত দিন সীমান্ত বন্ধ থাকবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
এর আগে হামাস জানিয়েছিল, গাজার সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা ধ্বংসস্তূপের ভেতরে সব কবরস্থান চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। তাই নিহত কিছু জিম্মির লাশ উদ্ধারে সময় লাগছে।
জানা গেছে, নিহত ২৪ জন জিম্মির পরিবারের সদস্যরা তাঁদের প্রিয়জনের মরদেহ ফেরত পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। সোমবার (১৩ অক্টোবর) হামাস মাত্র চারজনের মরদেহ ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করেছে। অন্য মরদেহগুলো কখন ফেরত দেওয়া হবে, তা স্পষ্ট নয়।
যে চারজন নিহত জিম্মির মরদেহ ফেরত এসেছে, তাঁদের মধ্যে ইলুজ ও জোশির মরদেহ আনুষ্ঠানিকভাবে শনাক্ত করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস দ্বারা অপহৃত হওয়ার সময় এই দুই তরুণ ২০-এর কোঠায় ছিলেন।
গাই ইলুজ ইসরায়েলের নোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যাল থেকে অপহৃত হয়েছিলেন আর নেপালের ছাত্র বিপিন জোশি একটি বোমা আশ্রয়কেন্দ্র থেকে অপহৃত হন।
ইসরায়েল জানিয়েছে, বন্দিদশায় যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়ায় ইলুজ মারা যান। অন্যদিকে যুদ্ধের প্রথম দিকেই হামাসের হাতে খুন হন জোশি।
ভারতের রাজধানীতে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সফর ঘিরে শুরু হয়েছে বিস্তর বিতর্ক। কারণ একদিকে এই সফরকে বলা হচ্ছে ‘কূটনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন’, অন্যদিকে দেশের বিশিষ্টজনদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন—বিশ্বের সবচেয়ে নারীবিদ্বেষী গোষ্ঠীর প্রতিনিধিকে এত উষ্ণ অভ্যর্থনা কেন দেওয়া হলো।
৪ ঘণ্টা আগেমাদাগাস্কারের সামরিক বাহিনী দেশটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে বলে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) জাতীয় রেডিওতে ঘোষণা দিয়েছেন সেনা কর্নেল মাইকেল র্যান্ড্রিয়ানিরিনা। জেন-জি আন্দোলনের জের ধরে প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রি রজুয়েলিনা দেশ ত্যাগ করার পর এই ঘোষণা এসেছে।
১৩ মিনিট আগেমিসরে অনুষ্ঠিত গাজা সম্মেলনে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনিকে দেখে ‘বিউটিফুল’ বা ‘সুন্দরী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনের মঞ্চে একমাত্র নারী নেতা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেলোনি।
২ ঘণ্টা আগেভারতের পুনে শহরে পুলিশি তৎপরতায় উদ্ধার হলেন দুই বাংলাদেশি তরুণী। উদ্ধারের আগে এদের মধ্যে একজন সরাসরি পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করে জানিয়েছিলেন, শহরের কাত্রজ এলাকায় তাঁকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
মিসরে অনুষ্ঠিত গাজা সম্মেলনে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনিকে দেখে ‘বিউটিফুল’ বা ‘সুন্দরী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনের মঞ্চে একমাত্র নারী নেতা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেলোনি।
সিএনএন জানিয়েছে, মেলোনিকে ‘সুন্দরী’ বলার পর ৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প নিজেই স্বীকার করেন, এই মন্তব্য তাঁকে যৌন বৈষম্যের অভিযোগে অভিযুক্ত করতে পারে। বক্তৃতার মাঝখানেই তিনি বলেন, ‘আমি জানি, এটা বলা ঠিক নয়। কারণ সাধারণত এমন মন্তব্য করলে রাজনীতিকদের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়। তবু বলছি—তিনি এক সুন্দর তরুণী।’
মিসরে অনুষ্ঠিত গাজা সম্মেলনে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা নিয়ে বক্তব্য রাখার সময় ট্রাম্পের পেছনেই পডিয়ামে দাঁড়িয়ে ছিলেন মেলোনি। ট্রাম্পের মন্তব্যটি শুনে উপস্থিত অনেকেই হাসলেও, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি দ্রুত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
সমালোচকেরা বলছেন, ট্রাম্পের এমন মন্তব্য নারীর প্রতি অবমাননাকর এবং আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চে অনুপযুক্ত। অন্যদিকে তাঁর সমর্থকেরা দাবি করছেন, এটি নিছক সৌজন্য ও প্রশংসা ছাড়া কিছু নয়।
এদিকে ডানপন্থী রাজনৈতিক নেতৃত্বের জন্য পরিচিত মেলোনি অবশ্য নিজের বক্তব্যে ট্রাম্পের মন্তব্যের কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি; বরং তিনি নেতৃত্ব, রক্ষণশীল মূল্যবোধ ও জাতীয় অগ্রাধিকারের ওপর গুরুত্ব দেন।
ঘটনাটি শুধু ট্রাম্পের বিতর্কিত বক্তব্যের ধারাবাহিকতাই নয়, বরং বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক সংস্কৃতির পার্থক্য ও ভাষার সামাজিক প্রভাব সম্পর্কেও নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
মিসরে অনুষ্ঠিত গাজা সম্মেলনে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনিকে দেখে ‘বিউটিফুল’ বা ‘সুন্দরী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনের মঞ্চে একমাত্র নারী নেতা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেলোনি।
সিএনএন জানিয়েছে, মেলোনিকে ‘সুন্দরী’ বলার পর ৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প নিজেই স্বীকার করেন, এই মন্তব্য তাঁকে যৌন বৈষম্যের অভিযোগে অভিযুক্ত করতে পারে। বক্তৃতার মাঝখানেই তিনি বলেন, ‘আমি জানি, এটা বলা ঠিক নয়। কারণ সাধারণত এমন মন্তব্য করলে রাজনীতিকদের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়। তবু বলছি—তিনি এক সুন্দর তরুণী।’
মিসরে অনুষ্ঠিত গাজা সম্মেলনে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা নিয়ে বক্তব্য রাখার সময় ট্রাম্পের পেছনেই পডিয়ামে দাঁড়িয়ে ছিলেন মেলোনি। ট্রাম্পের মন্তব্যটি শুনে উপস্থিত অনেকেই হাসলেও, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি দ্রুত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
সমালোচকেরা বলছেন, ট্রাম্পের এমন মন্তব্য নারীর প্রতি অবমাননাকর এবং আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চে অনুপযুক্ত। অন্যদিকে তাঁর সমর্থকেরা দাবি করছেন, এটি নিছক সৌজন্য ও প্রশংসা ছাড়া কিছু নয়।
এদিকে ডানপন্থী রাজনৈতিক নেতৃত্বের জন্য পরিচিত মেলোনি অবশ্য নিজের বক্তব্যে ট্রাম্পের মন্তব্যের কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি; বরং তিনি নেতৃত্ব, রক্ষণশীল মূল্যবোধ ও জাতীয় অগ্রাধিকারের ওপর গুরুত্ব দেন।
ঘটনাটি শুধু ট্রাম্পের বিতর্কিত বক্তব্যের ধারাবাহিকতাই নয়, বরং বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক সংস্কৃতির পার্থক্য ও ভাষার সামাজিক প্রভাব সম্পর্কেও নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ভারতের রাজধানীতে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সফর ঘিরে শুরু হয়েছে বিস্তর বিতর্ক। কারণ একদিকে এই সফরকে বলা হচ্ছে ‘কূটনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন’, অন্যদিকে দেশের বিশিষ্টজনদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন—বিশ্বের সবচেয়ে নারীবিদ্বেষী গোষ্ঠীর প্রতিনিধিকে এত উষ্ণ অভ্যর্থনা কেন দেওয়া হলো।
৪ ঘণ্টা আগেমাদাগাস্কারের সামরিক বাহিনী দেশটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে বলে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) জাতীয় রেডিওতে ঘোষণা দিয়েছেন সেনা কর্নেল মাইকেল র্যান্ড্রিয়ানিরিনা। জেন-জি আন্দোলনের জের ধরে প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রি রজুয়েলিনা দেশ ত্যাগ করার পর এই ঘোষণা এসেছে।
১৩ মিনিট আগেগাজা ও মিসরের মধ্যে অবস্থিত রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়েই মূলত গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানো হয়। কিন্তু এই ক্রসিং এখনো খুলে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। এর ফলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবিক সহায়তার প্রবাহ কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
৪৩ মিনিট আগেভারতের পুনে শহরে পুলিশি তৎপরতায় উদ্ধার হলেন দুই বাংলাদেশি তরুণী। উদ্ধারের আগে এদের মধ্যে একজন সরাসরি পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করে জানিয়েছিলেন, শহরের কাত্রজ এলাকায় তাঁকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেকলকাতা প্রতিনিধি
ভারতের পুনে শহরে পুলিশি তৎপরতায় উদ্ধার হলেন দুই বাংলাদেশি তরুণী। উদ্ধারের আগে এদের মধ্যে একজন সরাসরি পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করে জানিয়েছিলেন, শহরের কাত্রজ এলাকায় তাঁকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে। পরে দ্রুত পদক্ষেপে পুলিশ সেখানে পৌঁছায় এবং সেখান থেকে পাওয়া সূত্রে আম্বেগাঁও-পাঠার এলাকায় আরও এক বাংলাদেশি তরুণীকে উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া দুজনের বয়স যথাক্রমে ২২ ও ২০ বছর।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে—দুজনকেই ‘বিউটি পারলারের চাকরি’ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করা হয়। পরে তাঁদের দেহ ব্যবসার চক্রে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় পুনের ধনকাওয়াদি এলাকার বাসিন্দা রজু পাটিলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আদালত তাঁকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে এবং এই পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহে তাঁর স্ত্রীকেও খোঁজা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মামলাটি ‘অবৈধ পাচার প্রতিরোধ আইন’ (পিআইটিএ) এর অধীনে দায়ের করা হয়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে কাদের মাধ্যমে দুই বাংলাদেশি তরুণীকে ভারতে পাচার করা হয়েছে, তা খুঁজে বের করাই এখন তদন্তের মূল লক্ষ্য। বর্তমানে উদ্ধার হওয়া দুই তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, মানসিক সহায়তা এবং নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী পুলিশ ইন্সপেক্টর স্বপ্নিল পাটিল ও সিনিয়র ইন্সপেক্টর রাহুলকুমার খিলারে। তাঁরা স্বল্প সময়ের মধ্যেই দুটি উদ্ধার অভিযান সম্পন্ন করেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ঘটনাই শুধু নয়—গত কয়েক মাসে বুধওয়ার পেথ, কাত্রজ ও আম্বেগাঁও এলাকায় একই ধরনের পাচারের ঘটনা ধরা পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভুয়া চাকরির বিজ্ঞাপন, অননুমোদিত এজেন্ট এবং স্থানীয় দালালদের যোগসাজশে গড়ে উঠছে এই নেটওয়ার্ক।
পুলিশ এই আন্তসীমান্ত পাচারচক্রের শিকড় চিহ্নিত করতে চায় এবং ভবিষ্যতে যেন আর কেউ এমন প্রতারণার ফাঁদে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে চায়।
ভারতের পুনে শহরে পুলিশি তৎপরতায় উদ্ধার হলেন দুই বাংলাদেশি তরুণী। উদ্ধারের আগে এদের মধ্যে একজন সরাসরি পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করে জানিয়েছিলেন, শহরের কাত্রজ এলাকায় তাঁকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে। পরে দ্রুত পদক্ষেপে পুলিশ সেখানে পৌঁছায় এবং সেখান থেকে পাওয়া সূত্রে আম্বেগাঁও-পাঠার এলাকায় আরও এক বাংলাদেশি তরুণীকে উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া দুজনের বয়স যথাক্রমে ২২ ও ২০ বছর।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে—দুজনকেই ‘বিউটি পারলারের চাকরি’ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করা হয়। পরে তাঁদের দেহ ব্যবসার চক্রে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় পুনের ধনকাওয়াদি এলাকার বাসিন্দা রজু পাটিলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আদালত তাঁকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে এবং এই পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহে তাঁর স্ত্রীকেও খোঁজা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মামলাটি ‘অবৈধ পাচার প্রতিরোধ আইন’ (পিআইটিএ) এর অধীনে দায়ের করা হয়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে কাদের মাধ্যমে দুই বাংলাদেশি তরুণীকে ভারতে পাচার করা হয়েছে, তা খুঁজে বের করাই এখন তদন্তের মূল লক্ষ্য। বর্তমানে উদ্ধার হওয়া দুই তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, মানসিক সহায়তা এবং নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী পুলিশ ইন্সপেক্টর স্বপ্নিল পাটিল ও সিনিয়র ইন্সপেক্টর রাহুলকুমার খিলারে। তাঁরা স্বল্প সময়ের মধ্যেই দুটি উদ্ধার অভিযান সম্পন্ন করেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ঘটনাই শুধু নয়—গত কয়েক মাসে বুধওয়ার পেথ, কাত্রজ ও আম্বেগাঁও এলাকায় একই ধরনের পাচারের ঘটনা ধরা পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভুয়া চাকরির বিজ্ঞাপন, অননুমোদিত এজেন্ট এবং স্থানীয় দালালদের যোগসাজশে গড়ে উঠছে এই নেটওয়ার্ক।
পুলিশ এই আন্তসীমান্ত পাচারচক্রের শিকড় চিহ্নিত করতে চায় এবং ভবিষ্যতে যেন আর কেউ এমন প্রতারণার ফাঁদে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে চায়।
ভারতের রাজধানীতে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সফর ঘিরে শুরু হয়েছে বিস্তর বিতর্ক। কারণ একদিকে এই সফরকে বলা হচ্ছে ‘কূটনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন’, অন্যদিকে দেশের বিশিষ্টজনদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন—বিশ্বের সবচেয়ে নারীবিদ্বেষী গোষ্ঠীর প্রতিনিধিকে এত উষ্ণ অভ্যর্থনা কেন দেওয়া হলো।
৪ ঘণ্টা আগেমাদাগাস্কারের সামরিক বাহিনী দেশটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে বলে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) জাতীয় রেডিওতে ঘোষণা দিয়েছেন সেনা কর্নেল মাইকেল র্যান্ড্রিয়ানিরিনা। জেন-জি আন্দোলনের জের ধরে প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রি রজুয়েলিনা দেশ ত্যাগ করার পর এই ঘোষণা এসেছে।
১৩ মিনিট আগেগাজা ও মিসরের মধ্যে অবস্থিত রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়েই মূলত গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানো হয়। কিন্তু এই ক্রসিং এখনো খুলে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। এর ফলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবিক সহায়তার প্রবাহ কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
৪৩ মিনিট আগেমিসরে অনুষ্ঠিত গাজা সম্মেলনে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনিকে দেখে ‘বিউটিফুল’ বা ‘সুন্দরী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনের মঞ্চে একমাত্র নারী নেতা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেলোনি।
২ ঘণ্টা আগে