কয়েক দশক ধরে চলা যুদ্ধে বিপর্যস্ত আফগানিস্তানের অর্থনীতি। ভেঙে পড়েছে দেশটির অবকাঠামো। নিত্যদিন দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে দেশটির জনগণ। এরই মধ্যে গত ১৫ আগস্ট পুনরায় আফগানিস্তান দখল করেছে তালেবান। সব ক্ষেত্রেই দেশটিতে দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়। ফলে মানুষের মধ্যে নতুন করে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। আতঙ্কে দেশ ছাড়ায় বিভিন্ন দেশে বাড়ছে আফগান শরণার্থীর সংখ্যা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সামনে এই সংখ্যা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বরাবরের মতো উদ্বেগ জানিয়ে আসছে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় দেশগুলো। আর তাই আজ মঙ্গলবার দেশটির চলমান সমস্যা নিয়ে একটি বিশেষ সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি। ভার্চুয়াল এই সম্মেলনে জি-২০ দেশের নেতারা অংশ নিচ্ছেন।
সম্মেলনে আলোচনার বিষয়বস্তু হচ্ছে, আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও দেশটিতে থাকা হাজার হাজার পশ্চিমা-সহযোগী আফগানদের অন্য দেশে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার উপায় খুঁজে বের করা।
এ সম্পর্কিত এক আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে দ্রাঘি বলেন, আফগানদের মানবিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করাই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য। সন্ত্রাসবাদ ছাড়াও দেশটির মানুষের চলাচলের স্বাধীনতার বিষয়টি আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু।
সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এতে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এ ছাড়া রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের থাকা নিয়েও রয়েছে সংশয়।
এক কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, পশ্চিমাদের আঙুল মূলত তালেবান শাসন ব্যবস্থার দিকে। নারী স্বাধীনতার বিষয়ে তাঁদের অবস্থান বেশ কঠোর। তবে চীন ও রাশিয়া তালেবানের নিজস্ব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে নারাজ। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের এই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। অনেক রাষ্ট্রের তালেবানের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপনে অনিচ্ছা থাকায় আফগানিস্তানের সংকট মোকাবিলায় জাতিসংঘকেই মূল ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করেন গুতেরেস। আফগানিস্তানে সহায়তা পাঠাতে ধনী দেশগুলোর সঙ্গে জাতিসংঘ যোগাযোগ রাখছে। এরই মধ্যে এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, আফগানিস্তান ও তার আশপাশের দেশের জন্য তারা আরও ৮১ কোটি মার্কিন ডলারের তহবিল পাঠাবে। জাতিসংঘ এটা নিশ্চিত করেছে যে, এই তহবিল তালেবানের হাতে দেওয়া হবে না।
রয়টার্স জানায়, বিপর্যস্ত আফগানিস্তানের ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। বেতনহীন হয়ে পড়েছে দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা। তা ছাড়া খাদ্যের দাম নাগরিকদের ধরাছোঁয়ার বাইরে।
গতকাল সোমবার নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের গুতেরেস বলেন, আফগানিস্তানের অর্ধেকের বেশি মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। বিশেষ করে শীত এলে দেশটির নারী ও শিশুরা আরও ঝুঁকির মুখে পড়বে। তাই তাদের মানবিক সহায়তা জরুরি হয়ে পড়েছে।
চীন বরাবরই প্রকাশ্যে আফগানিস্তানের ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে। শুধু তাই নয়, দেশটির জন্য আন্তর্জাতিক সাহায্যের বিলিয়ন ডলার কাবুলের কাছে ফেরত দেওয়ার দাবিও জানিয়েছে তারা। তবে মঙ্গলবারের এই সম্মেলনে এই বিষয়গুলো আলোচনার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। অন্যদিকে আরেক কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, সম্মেলনে পাকিস্তান ও ইরানকে আমন্ত্রণ জানানো না হলেও কাতারকে ডাকা হয়েছে। তালেবান ও পশ্চিমাদের মধ্যে আলোচনায় কাতার মধ্যস্থতাকারী দেশ হিসেবে ছিল বলেই তারা ডাক পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
তালেবান পুনরায় ক্ষমতা দখলের পর সম্প্রতি কাতারে মার্কিন ও তালেবান কর্মকর্তাদের প্রথম মুখোমুখি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর কয়েক দিন পর আবার আফগানিস্তান ইস্যুতে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের এই সম্মেলনের আহ্বায়ক জি-২০ জোটের বর্তমান নেতৃত্বদানকারী দেশ ইতালি।
উল্লেখ্য, আগামী ৩০-৩১ অক্টোবর ইতালির রোমে জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে আলোচনার মূল বিষয় হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা মহামারি, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও অপুষ্টি মোকাবিলার মতো বিষয়গুলো থাকবে।
কয়েক দশক ধরে চলা যুদ্ধে বিপর্যস্ত আফগানিস্তানের অর্থনীতি। ভেঙে পড়েছে দেশটির অবকাঠামো। নিত্যদিন দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে দেশটির জনগণ। এরই মধ্যে গত ১৫ আগস্ট পুনরায় আফগানিস্তান দখল করেছে তালেবান। সব ক্ষেত্রেই দেশটিতে দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়। ফলে মানুষের মধ্যে নতুন করে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। আতঙ্কে দেশ ছাড়ায় বিভিন্ন দেশে বাড়ছে আফগান শরণার্থীর সংখ্যা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সামনে এই সংখ্যা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বরাবরের মতো উদ্বেগ জানিয়ে আসছে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় দেশগুলো। আর তাই আজ মঙ্গলবার দেশটির চলমান সমস্যা নিয়ে একটি বিশেষ সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি। ভার্চুয়াল এই সম্মেলনে জি-২০ দেশের নেতারা অংশ নিচ্ছেন।
সম্মেলনে আলোচনার বিষয়বস্তু হচ্ছে, আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও দেশটিতে থাকা হাজার হাজার পশ্চিমা-সহযোগী আফগানদের অন্য দেশে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার উপায় খুঁজে বের করা।
এ সম্পর্কিত এক আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে দ্রাঘি বলেন, আফগানদের মানবিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করাই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য। সন্ত্রাসবাদ ছাড়াও দেশটির মানুষের চলাচলের স্বাধীনতার বিষয়টি আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু।
সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এতে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এ ছাড়া রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের থাকা নিয়েও রয়েছে সংশয়।
এক কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, পশ্চিমাদের আঙুল মূলত তালেবান শাসন ব্যবস্থার দিকে। নারী স্বাধীনতার বিষয়ে তাঁদের অবস্থান বেশ কঠোর। তবে চীন ও রাশিয়া তালেবানের নিজস্ব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে নারাজ। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের এই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। অনেক রাষ্ট্রের তালেবানের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপনে অনিচ্ছা থাকায় আফগানিস্তানের সংকট মোকাবিলায় জাতিসংঘকেই মূল ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করেন গুতেরেস। আফগানিস্তানে সহায়তা পাঠাতে ধনী দেশগুলোর সঙ্গে জাতিসংঘ যোগাযোগ রাখছে। এরই মধ্যে এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, আফগানিস্তান ও তার আশপাশের দেশের জন্য তারা আরও ৮১ কোটি মার্কিন ডলারের তহবিল পাঠাবে। জাতিসংঘ এটা নিশ্চিত করেছে যে, এই তহবিল তালেবানের হাতে দেওয়া হবে না।
রয়টার্স জানায়, বিপর্যস্ত আফগানিস্তানের ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। বেতনহীন হয়ে পড়েছে দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা। তা ছাড়া খাদ্যের দাম নাগরিকদের ধরাছোঁয়ার বাইরে।
গতকাল সোমবার নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের গুতেরেস বলেন, আফগানিস্তানের অর্ধেকের বেশি মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। বিশেষ করে শীত এলে দেশটির নারী ও শিশুরা আরও ঝুঁকির মুখে পড়বে। তাই তাদের মানবিক সহায়তা জরুরি হয়ে পড়েছে।
চীন বরাবরই প্রকাশ্যে আফগানিস্তানের ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে। শুধু তাই নয়, দেশটির জন্য আন্তর্জাতিক সাহায্যের বিলিয়ন ডলার কাবুলের কাছে ফেরত দেওয়ার দাবিও জানিয়েছে তারা। তবে মঙ্গলবারের এই সম্মেলনে এই বিষয়গুলো আলোচনার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। অন্যদিকে আরেক কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, সম্মেলনে পাকিস্তান ও ইরানকে আমন্ত্রণ জানানো না হলেও কাতারকে ডাকা হয়েছে। তালেবান ও পশ্চিমাদের মধ্যে আলোচনায় কাতার মধ্যস্থতাকারী দেশ হিসেবে ছিল বলেই তারা ডাক পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
তালেবান পুনরায় ক্ষমতা দখলের পর সম্প্রতি কাতারে মার্কিন ও তালেবান কর্মকর্তাদের প্রথম মুখোমুখি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর কয়েক দিন পর আবার আফগানিস্তান ইস্যুতে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের এই সম্মেলনের আহ্বায়ক জি-২০ জোটের বর্তমান নেতৃত্বদানকারী দেশ ইতালি।
উল্লেখ্য, আগামী ৩০-৩১ অক্টোবর ইতালির রোমে জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে আলোচনার মূল বিষয় হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা মহামারি, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও অপুষ্টি মোকাবিলার মতো বিষয়গুলো থাকবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের সঙ্গে আজ মঙ্গলবার (১৩ মে) একটি কৌশলগত অর্থনৈতিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রায় ১৪২ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের অস্ত্র চুক্তি।
১ ঘণ্টা আগে২০১৬ সালের অক্টোবরে প্যারিসে এক ভয়াবহ ডাকাতির শিকার হন মার্কিন রিয়েলিটি তারকা কিম কারদাশিয়ান। সেই ঘটনার বিচারে চলমান মামলায় আজ মঙ্গলবার আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে আবেগে ভেঙে পড়েন তিনি। আদালতে কিম জানান, ঘটনার সময় তিনি নিশ্চিত ছিলেন, তাঁকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হবে।
২ ঘণ্টা আগেনির্দোষ হয়েও প্রায় চার দশক ধরে জেল খাটছেন পিটার সুলিভান। শেষ পর্যন্ত তিনি মুক্তি পেলেন। ধারণা করা হচ্ছে, ব্রিটেনের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে দীর্ঘতম ভুল রায়। ১৯৮৭ সালে ২১ বছর বয়সী ডায়ান সিনডালকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন সুলিভান।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে ইতিহাসের অন্যতম বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে ঘোষণা করেছে হোয়াইট হাউস। চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সরবরাহ করবে, যার মূল্য প্রায় ১৪২ বিলিয়ন ডলার।
৩ ঘণ্টা আগে