গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো ইসরায়েলের ধ্বংসযজ্ঞের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন সম্প্রতি দ্বিতীয় মেয়াদের স্পেনের প্রধানমন্ত্রিত্ব গ্রহণ করা পেদ্রো সানচেজ। ইসরায়েলও পাল্টা অভিযোগ করেছিল তার বিরুদ্ধে। দুই দেশের মধ্যকার সাম্প্রতিক কূটনৈতিক বৈরিতার জেরে এবার স্পেন থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করছে ইসরায়েল।
আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। সেখানে বলা হয়, ইসরায়েল কর্তৃক আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করা নিয়ে মন্তব্য করে দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক বিরোধ আরও গভীর করেছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। তিনি বলেছিলেন, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলছে কিনা তা নিয়ে তার গুরুতর সন্দেহ রয়েছে।
বিবিসি বলছে, স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলে স্পেনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো তাকে তিরস্কারের জন্য তলব করা হলো।
সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন বলেছেন, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী কাজ করছে ও সেই কাজ চালিয়ে যাবে। সব জিম্মিকে উদ্ধার করা এবং গাজা থেকে হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাবে ইসরায়েল।
স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেন তিনি। পেদ্রো সানচেজের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় স্পেনে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত রডিকা রেডিয়ান-গর্ডনকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন।
এর কয়েক দিন আগেই গাজায় সামরিক অভিযানের সময় ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে হত্যার বিষয়ে ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করেছিলেন পেদ্রো সানচেজ। স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রীর সেই মন্তব্যকে আপত্তিকর বলে নিন্দা জানিয়েছিল ইসরায়েল। তারা দাবি করেছে, ইসরায়েলে রক্তক্ষয়ী হামলা চালানো হামাসকে নির্মূল করতেই চালানো হয়েছে অভিযান।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ এবং বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার ডি ক্রু গত সপ্তাহে ইসরায়েল সফর করেছেন। সেখানে পেদ্রো সানচেজ বলেন, ইসরায়েল সেনাবাহিনীর হামলায় যে পরিমাণ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন তা মানা যায় না। হামাসের হামলার জবাবে কয়েক হাজার শিশুসহ নিরীহ বেসামরিক মানুষের মৃত্যু কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন। তিনি দাবি করেছেন, স্পেন ও বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী ‘মিথ্যা তথ্য’ ছড়াচ্ছেন এবং সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন দিচ্ছেন। ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পেন ও বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূতদের তেল আবিবে ডেকে তখন তীব্র নিন্দা জানানোর হুমকিও দেন।
মানবতা বিরোধী অপরাধের সকল দায়ভার স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ এবং বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার ডি ক্রু হামাসকে দেননি বলেও দাবি করা হয় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এক বিবৃতিতে।
ইসরায়েলের এই প্রতিক্রিয়ার জবাবে স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেস গত শুক্রবার স্পেন এবং বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অভিযোগকে ‘মিথ্যা’ এবং ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এলি কোহেনের করা ‘সন্ত্রাসবাদে সমর্থন’ দেওয়ার অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় আলবারেস বলেন, ‘এর জবাব দেওয়া হবে।’
গত শুক্রবার মিসর থেকে পেদ্রো সানচেজ ঘোষণা করেন যে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির জন্য ইইউ পর্যায়ে চেষ্টা চালাবে স্পেন। অন্য দেশগুলো এতে সম্মত না হলেও তিনি একতরফাভাবে এই স্বীকৃতি দেবেন।
ইইউ কাউন্সিলের বর্তমান সভাপতি হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিত্ব করছে স্পেন। দেশটি ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারিতে এই পদ বেলজিয়ামের কাছে স্থানান্তর করবে।
গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো ইসরায়েলের ধ্বংসযজ্ঞের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন সম্প্রতি দ্বিতীয় মেয়াদের স্পেনের প্রধানমন্ত্রিত্ব গ্রহণ করা পেদ্রো সানচেজ। ইসরায়েলও পাল্টা অভিযোগ করেছিল তার বিরুদ্ধে। দুই দেশের মধ্যকার সাম্প্রতিক কূটনৈতিক বৈরিতার জেরে এবার স্পেন থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করছে ইসরায়েল।
আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। সেখানে বলা হয়, ইসরায়েল কর্তৃক আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করা নিয়ে মন্তব্য করে দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক বিরোধ আরও গভীর করেছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। তিনি বলেছিলেন, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলছে কিনা তা নিয়ে তার গুরুতর সন্দেহ রয়েছে।
বিবিসি বলছে, স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলে স্পেনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো তাকে তিরস্কারের জন্য তলব করা হলো।
সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন বলেছেন, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী কাজ করছে ও সেই কাজ চালিয়ে যাবে। সব জিম্মিকে উদ্ধার করা এবং গাজা থেকে হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাবে ইসরায়েল।
স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেন তিনি। পেদ্রো সানচেজের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় স্পেনে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত রডিকা রেডিয়ান-গর্ডনকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন।
এর কয়েক দিন আগেই গাজায় সামরিক অভিযানের সময় ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে হত্যার বিষয়ে ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করেছিলেন পেদ্রো সানচেজ। স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রীর সেই মন্তব্যকে আপত্তিকর বলে নিন্দা জানিয়েছিল ইসরায়েল। তারা দাবি করেছে, ইসরায়েলে রক্তক্ষয়ী হামলা চালানো হামাসকে নির্মূল করতেই চালানো হয়েছে অভিযান।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ এবং বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার ডি ক্রু গত সপ্তাহে ইসরায়েল সফর করেছেন। সেখানে পেদ্রো সানচেজ বলেন, ইসরায়েল সেনাবাহিনীর হামলায় যে পরিমাণ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন তা মানা যায় না। হামাসের হামলার জবাবে কয়েক হাজার শিশুসহ নিরীহ বেসামরিক মানুষের মৃত্যু কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন। তিনি দাবি করেছেন, স্পেন ও বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী ‘মিথ্যা তথ্য’ ছড়াচ্ছেন এবং সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন দিচ্ছেন। ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পেন ও বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূতদের তেল আবিবে ডেকে তখন তীব্র নিন্দা জানানোর হুমকিও দেন।
মানবতা বিরোধী অপরাধের সকল দায়ভার স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ এবং বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার ডি ক্রু হামাসকে দেননি বলেও দাবি করা হয় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এক বিবৃতিতে।
ইসরায়েলের এই প্রতিক্রিয়ার জবাবে স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেস গত শুক্রবার স্পেন এবং বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অভিযোগকে ‘মিথ্যা’ এবং ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এলি কোহেনের করা ‘সন্ত্রাসবাদে সমর্থন’ দেওয়ার অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় আলবারেস বলেন, ‘এর জবাব দেওয়া হবে।’
গত শুক্রবার মিসর থেকে পেদ্রো সানচেজ ঘোষণা করেন যে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির জন্য ইইউ পর্যায়ে চেষ্টা চালাবে স্পেন। অন্য দেশগুলো এতে সম্মত না হলেও তিনি একতরফাভাবে এই স্বীকৃতি দেবেন।
ইইউ কাউন্সিলের বর্তমান সভাপতি হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিত্ব করছে স্পেন। দেশটি ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারিতে এই পদ বেলজিয়ামের কাছে স্থানান্তর করবে।
‘এই লোক বলেন এক কথা, করেন ঠিক আরেকটা’—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে বাংকার বাস্টার বোমা ফেলবেন কি না, তা নিয়ে যখন ব্যাপক গুঞ্জন; তখনই এ মন্তব্য করেন এক রাজনৈতিক ভাষ্যকার। ট্রাম্পের কাজকর্মের ধরন সম্পর্কে তাঁর এ কথায় একমত লোকের অভাব হবে না, তা ভরসা নিয়েই বলা যায়। আর জনমনের সেই ধারণা সত্যি
৫ ঘণ্টা আগেইরানের ফোরদো পরমাণু স্থাপনার মূল কার্যক্রম চলত পাহাড়ের ৮০ থেকে ৯০ মিটার নিচে। ইরানের কোম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে এই স্থাপনার অবস্থান। বলা হয়ে থাকে, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মূল কার্যক্রম চলত এ কেন্দ্রে। এটি ছাড়াও শনিবার দিবাগত রাতে আরও দুটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী।
৫ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র থেকে সরাসরি ইরানে গিয়ে হামলা চালাল বি-টু বোমারু বিমান। দেশটির মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে গত শনিবার দিবাগত রাতে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় এই বিমান। এর মধ্য দিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বহরে থাকা অন্যতম সেরা বোমারু বিমানটি।
৫ ঘণ্টা আগেইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে গত শনিবার দিবাগত রাতে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, খুব সফলভাবে অভিযানটি পরিচালিত হয়েছে। তবে ইরানের দাবি, মার্কিন বোমায় পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
৫ ঘণ্টা আগে