Ajker Patrika

যুক্তরাজ্যে শিক্ষক–সহপাঠীকে ছুরিকাঘাত, ১৪ বছরের কিশোরীর ১৫ বছরের জেল

অনলাইন ডেস্ক
ছুরিকাঘাতের আগে স্কুলের করিডরে ফিয়োনা ইলিয়াসের সঙ্গে কথা বলছে কিশোরী। ছবি: সংগৃহীত
ছুরিকাঘাতের আগে স্কুলের করিডরে ফিয়োনা ইলিয়াসের সঙ্গে কথা বলছে কিশোরী। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের ওয়েলসে দুই শিক্ষক এবং এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতের অপরাধে ১৫ বছরের কারাদণ্ড পেল ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী। গত বছর এপ্রিলে ওয়েলসের ওয়েলশ কাউন্টির কারমাথেনশায়ারের একটি স্কুলে ঘটে এ ঘটনা। ফিয়োনা ইলিয়াস এবং লিজ হপকিনস নামের দুই শিক্ষককে একটি মাল্টি পারপাস টুল দিয়ে জখম করে ওই কিশোরী। ঘটনার সময় তার বয়স ছিল ১৩ বছর। এখনো মেয়েটি প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

প্রসিকিউটর উইলিয়াম হিউজেস কেসির দেওয়া তথ্যমতে, সবচেয়ে গুরুতর আহত হন শিক্ষক লিজ হপকিন্স। তাঁর ঘাড়, হাঁটু, পায়ের নিচের অংশ, বুক ও কাঁধের নিচে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, আক্রমণের আগে মেয়েটি তার বন্ধুদের বলেছিল, সে এমন কিছু করতে যাচ্ছে যার জন্য তাকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে। ঘটনাটি শিক্ষিকা ফিয়োনা ইলিয়াসকে কেন্দ্র করেই ঘটবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিল সে।

আদলতে প্রদর্শিত সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বন্ধু ও সহপাঠীদের কথা বলার একপর্যায়ে স্কুলের হলরুমে অন্য শিক্ষার্থীদের একটি ছুরি দেখায় কিশোরী। কিছুক্ষণ পর শিক্ষক ফিয়োনা ইলিয়াসের পেছন পেছন হলরুম থেকে বেরিয়ে যায়। দুই হাত পকেটে ঢুকিয়ে রেখে শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় মেয়েটিকে। হঠাৎ ছুরি বের করে ফিয়োনার ওপর আক্রমণ শুরু করে। তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন আরেক শিক্ষক হপকিনস। তখন তাঁকেও গুরুতরভাবে জখম করে ওই শিক্ষার্থী। পরে অন্য শিক্ষকেরা তাকে আটকানোর চেষ্টা করলে সে দৌড়ে পালায়। পালানোর আগে স্কুলের আরেক শিক্ষার্থীকেও ছুরিকাঘাত করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মেয়েটি ছুরি বের করে চিৎকার করে বলেছিল, ‘আমি তোদের খুন করব।’

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, হামলার আগে সে অস্বাভাবিক আচরণ করছিল। হলরুমে প্রবেশ করে সে একটি পর্দার আড়ালে প্রায় আধা ঘণ্টা বসে ছিল। একসময় মাটিতে ক্রমাগত ছুরিকাঘাত করতে দেখা যায় তাকে।

পুলিশের তথ্যমতে, ঘটনার পর পুলিশ ভ্যানে বসে সে ব্যঙ্গ করে বলে, ‘হায়! আমি ওদের ছুরি মেরেছি!’ সে আরও বলে, ‘আমার মনে হয় গণমাধ্যমগুলোতে খবর হবে এটা, তখন আমাকে অনেকেই চিনবে। তারকা হওয়ার দারুণ একটা উপায় এটা।’ কিন্তু এর কিছুক্ষণ পর সে আবার ভেঙে পড়ে। আঘাতপ্রাপ্তরা বেঁচে আছে কিনা জানতে চেয়ে সে বলে, ‘পরিবারকে কীভাবে মুখ দেখাব আমি!’

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, শিক্ষকদের আঘাত করতে যে মাল্টি পারপাস টুলটি ব্যবহার করেছে ওই শিক্ষার্থী, সেটি তার বাবার ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

নতুন মেট্রো নয়, রুট বাড়ানোর চিন্তা

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত