অনলাইন ডেস্ক
অস্ট্রিয়ার দানিউব নদীর উত্তরে অবস্থিত একটি পাহাড়ি গ্রামের গির্জার গুহায় শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সংরক্ষিত একটি রহস্যময় মমি অবশেষে বিজ্ঞানের আলোয় উঠে এসেছে। ধারণা করা হতো, মমিটি ১৮ শতকের কোনো ধর্মযাজকের মরদেহ—যিনি সংক্রামক রোগে মারা গিয়েছিলেন এবং পরে কবর থেকে তুলে গির্জার গুহায় স্থানান্তর করা হয়।
আজ শুক্রবার সিএনএন জানিয়েছে, মমিটির চামড়া ও টিস্যু অক্ষত থাকায় এটি অলৌকিকভাবে সংরক্ষিত বলে মনে করতেন অনেকে। অনেক পুণ্যার্থী বিশ্বাস করতেন, এই দেহে আছে নিরাময়ের ক্ষমতা। তবে এক্স-রে স্ক্যানে একটি রহস্যময় বস্তু ধরা পড়ার পর ধারণা করা হচ্ছিল, ওই যাজক হয়তো বিষক্রিয়ায় মারা গিয়েছিলেন।
সম্প্রতি গির্জার গুহায় পানির লিক ধরা পড়ায় সংস্কারকাজ শুরু হয়েছিল। সেই সুযোগে লুডভিগ-ম্যাক্সিমিলিয়ানস ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখের অধ্যাপক আন্দ্রেয়াস নেরলিখ ও তাঁর দল আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে মমিটি বিশ্লেষণ করে। সিটি স্ক্যান, রেডিও কার্বন ডেটিং ও রাসায়নিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে তারা মমিটির পরিচয় ও সংরক্ষণের রহস্য উন্মোচন করে।
গবেষণায় জানা যায়, মমিটি ফ্রান্জ জেভিয়ার সিডলার ফন রোজেনেগ নামের এক অভিজাত ধর্মযাজকের। তিনি ১৭৪৬ সালে মাত্র ৩৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর দেহ কবর দেওয়া হয়নি। সম্ভবত অন্যত্র পাঠানোর জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছিল।
সবচেয়ে চমকপ্রদ তথ্য হচ্ছে, তাঁর শরীরে কোনো কাটাছেঁড়া হয়নি; বরং পায়ুপথের মাধ্যমে তাঁর পেট ও পেলভিক অঞ্চলে কাঠের টুকরো, কাপড়, লিনেন, হেম্প ও দস্তা ক্লোরাইড দেওয়া হয়েছিল। এই উপাদানগুলো পানি শোষণ করে এবং ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে, ফলে দেহটি বাতাসে শুকানো অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষিত থেকেছে।
মমিটির খাদ্যাভ্যাস বিশ্লেষণেও দেখা যায়, তিনি ভালো মানের খাবার খেতেন। যেমন শস্য ও প্রচুর মাংস। একজন গ্রামীণ ধর্মযাজকের জীবনের সঙ্গে বিষয়টির মিল রয়েছে। মৃত্যুর সময় তিনি সম্ভবত যক্ষ্মায় আক্রান্ত ছিলেন এবং ফুসফুসে রক্তক্ষরণে মারা যান।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এই আবিষ্কার থেকে এটাই প্রমাণিত হয়, ইউরোপেও বিভিন্ন ধরনের সংরক্ষণ পদ্ধতি ছিল, যেগুলো আগে অজানা ছিল। এই গবেষণা ভবিষ্যতে ঐতিহাসিক স্বাস্থ্য, জীবনধারা ও সংস্কৃতি বুঝতে সাহায্য করবে।
অস্ট্রিয়ার দানিউব নদীর উত্তরে অবস্থিত একটি পাহাড়ি গ্রামের গির্জার গুহায় শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সংরক্ষিত একটি রহস্যময় মমি অবশেষে বিজ্ঞানের আলোয় উঠে এসেছে। ধারণা করা হতো, মমিটি ১৮ শতকের কোনো ধর্মযাজকের মরদেহ—যিনি সংক্রামক রোগে মারা গিয়েছিলেন এবং পরে কবর থেকে তুলে গির্জার গুহায় স্থানান্তর করা হয়।
আজ শুক্রবার সিএনএন জানিয়েছে, মমিটির চামড়া ও টিস্যু অক্ষত থাকায় এটি অলৌকিকভাবে সংরক্ষিত বলে মনে করতেন অনেকে। অনেক পুণ্যার্থী বিশ্বাস করতেন, এই দেহে আছে নিরাময়ের ক্ষমতা। তবে এক্স-রে স্ক্যানে একটি রহস্যময় বস্তু ধরা পড়ার পর ধারণা করা হচ্ছিল, ওই যাজক হয়তো বিষক্রিয়ায় মারা গিয়েছিলেন।
সম্প্রতি গির্জার গুহায় পানির লিক ধরা পড়ায় সংস্কারকাজ শুরু হয়েছিল। সেই সুযোগে লুডভিগ-ম্যাক্সিমিলিয়ানস ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখের অধ্যাপক আন্দ্রেয়াস নেরলিখ ও তাঁর দল আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে মমিটি বিশ্লেষণ করে। সিটি স্ক্যান, রেডিও কার্বন ডেটিং ও রাসায়নিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে তারা মমিটির পরিচয় ও সংরক্ষণের রহস্য উন্মোচন করে।
গবেষণায় জানা যায়, মমিটি ফ্রান্জ জেভিয়ার সিডলার ফন রোজেনেগ নামের এক অভিজাত ধর্মযাজকের। তিনি ১৭৪৬ সালে মাত্র ৩৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর দেহ কবর দেওয়া হয়নি। সম্ভবত অন্যত্র পাঠানোর জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছিল।
সবচেয়ে চমকপ্রদ তথ্য হচ্ছে, তাঁর শরীরে কোনো কাটাছেঁড়া হয়নি; বরং পায়ুপথের মাধ্যমে তাঁর পেট ও পেলভিক অঞ্চলে কাঠের টুকরো, কাপড়, লিনেন, হেম্প ও দস্তা ক্লোরাইড দেওয়া হয়েছিল। এই উপাদানগুলো পানি শোষণ করে এবং ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে, ফলে দেহটি বাতাসে শুকানো অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষিত থেকেছে।
মমিটির খাদ্যাভ্যাস বিশ্লেষণেও দেখা যায়, তিনি ভালো মানের খাবার খেতেন। যেমন শস্য ও প্রচুর মাংস। একজন গ্রামীণ ধর্মযাজকের জীবনের সঙ্গে বিষয়টির মিল রয়েছে। মৃত্যুর সময় তিনি সম্ভবত যক্ষ্মায় আক্রান্ত ছিলেন এবং ফুসফুসে রক্তক্ষরণে মারা যান।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এই আবিষ্কার থেকে এটাই প্রমাণিত হয়, ইউরোপেও বিভিন্ন ধরনের সংরক্ষণ পদ্ধতি ছিল, যেগুলো আগে অজানা ছিল। এই গবেষণা ভবিষ্যতে ঐতিহাসিক স্বাস্থ্য, জীবনধারা ও সংস্কৃতি বুঝতে সাহায্য করবে।
ইরানের পারমাণবিক সংস্থা মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়েছে, বলেছে তাদের পরমাণু শিল্প বন্ধ হবে না। সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইরানের পারমাণবিক সংস্থা দেশটির তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়েছে এবং তাদের পরমাণু কর্মসূচি ‘কখনোই’ বন্ধ না করার অঙ্গ
১৭ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা করেছে বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প এই হামলাগুলোকে একটি ‘দর্শনীয় সামরিক সাফল্য’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন’ হয়ে গেছে।
২৮ মিনিট আগেইরানের ৩ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করার সময় বি–২ বোমারু বিমান ও সাবমেরিন ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনটাই দাবি করেছেন মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজের উপস্থাপক শন হ্যানিটি। তাঁর দাবি, ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলোতে বাংকার বাস্টার বোমা ফেলা হয়েছে এবং সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র সহযোগে হামলা করা হয়
৪২ মিনিট আগেফোরদো, ইস্পাহান এবং নাতাঞ্জে মার্কিন হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইরানি কর্মকর্তারা। তবে ক্ষয়ক্ষতি কেমন হয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি তারা। ইরানের আধা-সরকারি তাসনিম বার্তা সংস্থা নিশ্চিত করেছিল, যুক্তরাষ্ট্র ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে