আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তাদের বহুল প্রত্যাশিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) চূড়ান্ত করার পথে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারপরও ব্রাসেলস নতুন কৌশলগত এজেন্ডা প্রকাশ করেছে—যেখানে প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা খাতে নয়াদিল্লির সঙ্গে সহযোগিতা জোরদারের পরিকল্পনা রয়েছে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন, ‘আমাদের নতুন ইইউ-ভারত কৌশল যৌথ স্বার্থ ও অভিন্ন মূল্যবোধের ভিত্তিতে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।’ নথিতে সাইবার ও সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সাপ্লাই চেইন স্থিতিশীলতা, ডিজিটাল উদ্ভাবন, ব্যবসায় ফোরাম, শিক্ষার্থী ও শ্রমিক বিনিময়সহ আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে ত্রিপক্ষীয় অংশীদারত্বের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
মূল লক্ষ্য হলো—এই বছরের মধ্যেই একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করা। ভন ডার লিয়েন এই চুক্তিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধরনের উদ্যোগ’ বলে উল্লেখ করেছেন। বর্তমানে ইইউ-ই ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। ইইউ-এর বাণিজ্য কমিশনার মারোস সেফকোভিচ মনে করেন, এই চুক্তি শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করে বিপুল সম্ভাবনা উন্মুক্ত করবে।
তবে ইউরোপীয় পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কায়া ক্যালাস সতর্ক করে বলেছেন, ভারতের রাশিয়া থেকে তেল কেনা এবং রুশ সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণ সম্পর্ক উন্নয়নের পথে বড় বাধা। সম্প্রতি ন্যাটো সীমান্তের কাছে অনুষ্ঠিত ‘জাপাদ ২০২৫’ মহড়ায় ভারতীয় সেনারাও যোগ দেয়। ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার সুযোগে ভারত রাশিয়া থেকে ব্যাপক হারে ডিসকাউন্টে তেলও কিনছে।
ক্যালাস বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে এসব কর্মকাণ্ড বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তবে প্রশ্ন হলো, আমরা কি এই শূন্যস্থান অন্য কারও হাতে ছেড়ে দেব, নাকি নিজেরাই পূরণ করব।’ তবে তিনি এটাও স্বীকার করেন, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্ক একেবারে ছিন্ন হওয়ার প্রত্যাশা করা অবাস্তব। তবে আলোচনায় এসব মতপার্থক্যের সমাধান অপরিহার্য।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নতুন কাঠামোকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘এটি যৌথ অঙ্গীকার, অভিন্ন লক্ষ্য ও দায়িত্বের প্রতিফলন।’ এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্টকে জন্মদিনের শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। মোদির দপ্তর জানিয়েছে, উভয় পক্ষ পারস্পরিক সমৃদ্ধি ও নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা জোরদারে একসঙ্গে কাজ করবে। তিনি আগামী বছর ভারতে ইইউ-ভারত সম্মেলন আয়োজনের আমন্ত্রণও জানান।
কৌশলগত এজেন্ডায় জলবায়ু পরিবর্তন, সবুজ জ্বালানি, ডিকার্বনাইজেশন, ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর এবং ইইউ-এর গ্লোবাল গেটওয়ে অবকাঠামো উদ্যোগে সহযোগিতা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি তথ্য নিরাপত্তা চুক্তি, গোপন নথি বিনিময় ও স্টার্টআপ অংশীদারত্বের সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হবে।
সবশেষে, এজেন্ডাটি কার্যকর করতে ইইউ-এর ২৭টি সদস্য রাষ্ট্রের অনুমোদন প্রয়োজন, যা ২০২৬ সালের শুরুর সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তাদের বহুল প্রত্যাশিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) চূড়ান্ত করার পথে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারপরও ব্রাসেলস নতুন কৌশলগত এজেন্ডা প্রকাশ করেছে—যেখানে প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা খাতে নয়াদিল্লির সঙ্গে সহযোগিতা জোরদারের পরিকল্পনা রয়েছে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন, ‘আমাদের নতুন ইইউ-ভারত কৌশল যৌথ স্বার্থ ও অভিন্ন মূল্যবোধের ভিত্তিতে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।’ নথিতে সাইবার ও সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সাপ্লাই চেইন স্থিতিশীলতা, ডিজিটাল উদ্ভাবন, ব্যবসায় ফোরাম, শিক্ষার্থী ও শ্রমিক বিনিময়সহ আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে ত্রিপক্ষীয় অংশীদারত্বের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
মূল লক্ষ্য হলো—এই বছরের মধ্যেই একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করা। ভন ডার লিয়েন এই চুক্তিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধরনের উদ্যোগ’ বলে উল্লেখ করেছেন। বর্তমানে ইইউ-ই ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। ইইউ-এর বাণিজ্য কমিশনার মারোস সেফকোভিচ মনে করেন, এই চুক্তি শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করে বিপুল সম্ভাবনা উন্মুক্ত করবে।
তবে ইউরোপীয় পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কায়া ক্যালাস সতর্ক করে বলেছেন, ভারতের রাশিয়া থেকে তেল কেনা এবং রুশ সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণ সম্পর্ক উন্নয়নের পথে বড় বাধা। সম্প্রতি ন্যাটো সীমান্তের কাছে অনুষ্ঠিত ‘জাপাদ ২০২৫’ মহড়ায় ভারতীয় সেনারাও যোগ দেয়। ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার সুযোগে ভারত রাশিয়া থেকে ব্যাপক হারে ডিসকাউন্টে তেলও কিনছে।
ক্যালাস বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে এসব কর্মকাণ্ড বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তবে প্রশ্ন হলো, আমরা কি এই শূন্যস্থান অন্য কারও হাতে ছেড়ে দেব, নাকি নিজেরাই পূরণ করব।’ তবে তিনি এটাও স্বীকার করেন, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্ক একেবারে ছিন্ন হওয়ার প্রত্যাশা করা অবাস্তব। তবে আলোচনায় এসব মতপার্থক্যের সমাধান অপরিহার্য।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নতুন কাঠামোকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘এটি যৌথ অঙ্গীকার, অভিন্ন লক্ষ্য ও দায়িত্বের প্রতিফলন।’ এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্টকে জন্মদিনের শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। মোদির দপ্তর জানিয়েছে, উভয় পক্ষ পারস্পরিক সমৃদ্ধি ও নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা জোরদারে একসঙ্গে কাজ করবে। তিনি আগামী বছর ভারতে ইইউ-ভারত সম্মেলন আয়োজনের আমন্ত্রণও জানান।
কৌশলগত এজেন্ডায় জলবায়ু পরিবর্তন, সবুজ জ্বালানি, ডিকার্বনাইজেশন, ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর এবং ইইউ-এর গ্লোবাল গেটওয়ে অবকাঠামো উদ্যোগে সহযোগিতা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি তথ্য নিরাপত্তা চুক্তি, গোপন নথি বিনিময় ও স্টার্টআপ অংশীদারত্বের সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হবে।
সবশেষে, এজেন্ডাটি কার্যকর করতে ইইউ-এর ২৭টি সদস্য রাষ্ট্রের অনুমোদন প্রয়োজন, যা ২০২৬ সালের শুরুর সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তাদের বহুল প্রত্যাশিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) চূড়ান্ত করার পথে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারপরও ব্রাসেলস নতুন কৌশলগত এজেন্ডা প্রকাশ করেছে—যেখানে প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা খাতে নয়াদিল্লির সঙ্গে সহযোগিতা জোরদারের পরিকল্পনা রয়েছে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন, ‘আমাদের নতুন ইইউ-ভারত কৌশল যৌথ স্বার্থ ও অভিন্ন মূল্যবোধের ভিত্তিতে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।’ নথিতে সাইবার ও সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সাপ্লাই চেইন স্থিতিশীলতা, ডিজিটাল উদ্ভাবন, ব্যবসায় ফোরাম, শিক্ষার্থী ও শ্রমিক বিনিময়সহ আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে ত্রিপক্ষীয় অংশীদারত্বের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
মূল লক্ষ্য হলো—এই বছরের মধ্যেই একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করা। ভন ডার লিয়েন এই চুক্তিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধরনের উদ্যোগ’ বলে উল্লেখ করেছেন। বর্তমানে ইইউ-ই ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। ইইউ-এর বাণিজ্য কমিশনার মারোস সেফকোভিচ মনে করেন, এই চুক্তি শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করে বিপুল সম্ভাবনা উন্মুক্ত করবে।
তবে ইউরোপীয় পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কায়া ক্যালাস সতর্ক করে বলেছেন, ভারতের রাশিয়া থেকে তেল কেনা এবং রুশ সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণ সম্পর্ক উন্নয়নের পথে বড় বাধা। সম্প্রতি ন্যাটো সীমান্তের কাছে অনুষ্ঠিত ‘জাপাদ ২০২৫’ মহড়ায় ভারতীয় সেনারাও যোগ দেয়। ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার সুযোগে ভারত রাশিয়া থেকে ব্যাপক হারে ডিসকাউন্টে তেলও কিনছে।
ক্যালাস বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে এসব কর্মকাণ্ড বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তবে প্রশ্ন হলো, আমরা কি এই শূন্যস্থান অন্য কারও হাতে ছেড়ে দেব, নাকি নিজেরাই পূরণ করব।’ তবে তিনি এটাও স্বীকার করেন, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্ক একেবারে ছিন্ন হওয়ার প্রত্যাশা করা অবাস্তব। তবে আলোচনায় এসব মতপার্থক্যের সমাধান অপরিহার্য।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নতুন কাঠামোকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘এটি যৌথ অঙ্গীকার, অভিন্ন লক্ষ্য ও দায়িত্বের প্রতিফলন।’ এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্টকে জন্মদিনের শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। মোদির দপ্তর জানিয়েছে, উভয় পক্ষ পারস্পরিক সমৃদ্ধি ও নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা জোরদারে একসঙ্গে কাজ করবে। তিনি আগামী বছর ভারতে ইইউ-ভারত সম্মেলন আয়োজনের আমন্ত্রণও জানান।
কৌশলগত এজেন্ডায় জলবায়ু পরিবর্তন, সবুজ জ্বালানি, ডিকার্বনাইজেশন, ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর এবং ইইউ-এর গ্লোবাল গেটওয়ে অবকাঠামো উদ্যোগে সহযোগিতা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি তথ্য নিরাপত্তা চুক্তি, গোপন নথি বিনিময় ও স্টার্টআপ অংশীদারত্বের সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হবে।
সবশেষে, এজেন্ডাটি কার্যকর করতে ইইউ-এর ২৭টি সদস্য রাষ্ট্রের অনুমোদন প্রয়োজন, যা ২০২৬ সালের শুরুর সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তাদের বহুল প্রত্যাশিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) চূড়ান্ত করার পথে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারপরও ব্রাসেলস নতুন কৌশলগত এজেন্ডা প্রকাশ করেছে—যেখানে প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা খাতে নয়াদিল্লির সঙ্গে সহযোগিতা জোরদারের পরিকল্পনা রয়েছে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন, ‘আমাদের নতুন ইইউ-ভারত কৌশল যৌথ স্বার্থ ও অভিন্ন মূল্যবোধের ভিত্তিতে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।’ নথিতে সাইবার ও সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সাপ্লাই চেইন স্থিতিশীলতা, ডিজিটাল উদ্ভাবন, ব্যবসায় ফোরাম, শিক্ষার্থী ও শ্রমিক বিনিময়সহ আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে ত্রিপক্ষীয় অংশীদারত্বের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
মূল লক্ষ্য হলো—এই বছরের মধ্যেই একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করা। ভন ডার লিয়েন এই চুক্তিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধরনের উদ্যোগ’ বলে উল্লেখ করেছেন। বর্তমানে ইইউ-ই ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। ইইউ-এর বাণিজ্য কমিশনার মারোস সেফকোভিচ মনে করেন, এই চুক্তি শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করে বিপুল সম্ভাবনা উন্মুক্ত করবে।
তবে ইউরোপীয় পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কায়া ক্যালাস সতর্ক করে বলেছেন, ভারতের রাশিয়া থেকে তেল কেনা এবং রুশ সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণ সম্পর্ক উন্নয়নের পথে বড় বাধা। সম্প্রতি ন্যাটো সীমান্তের কাছে অনুষ্ঠিত ‘জাপাদ ২০২৫’ মহড়ায় ভারতীয় সেনারাও যোগ দেয়। ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার সুযোগে ভারত রাশিয়া থেকে ব্যাপক হারে ডিসকাউন্টে তেলও কিনছে।
ক্যালাস বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে এসব কর্মকাণ্ড বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তবে প্রশ্ন হলো, আমরা কি এই শূন্যস্থান অন্য কারও হাতে ছেড়ে দেব, নাকি নিজেরাই পূরণ করব।’ তবে তিনি এটাও স্বীকার করেন, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্ক একেবারে ছিন্ন হওয়ার প্রত্যাশা করা অবাস্তব। তবে আলোচনায় এসব মতপার্থক্যের সমাধান অপরিহার্য।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নতুন কাঠামোকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘এটি যৌথ অঙ্গীকার, অভিন্ন লক্ষ্য ও দায়িত্বের প্রতিফলন।’ এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্টকে জন্মদিনের শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। মোদির দপ্তর জানিয়েছে, উভয় পক্ষ পারস্পরিক সমৃদ্ধি ও নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা জোরদারে একসঙ্গে কাজ করবে। তিনি আগামী বছর ভারতে ইইউ-ভারত সম্মেলন আয়োজনের আমন্ত্রণও জানান।
কৌশলগত এজেন্ডায় জলবায়ু পরিবর্তন, সবুজ জ্বালানি, ডিকার্বনাইজেশন, ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর এবং ইইউ-এর গ্লোবাল গেটওয়ে অবকাঠামো উদ্যোগে সহযোগিতা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি তথ্য নিরাপত্তা চুক্তি, গোপন নথি বিনিময় ও স্টার্টআপ অংশীদারত্বের সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হবে।
সবশেষে, এজেন্ডাটি কার্যকর করতে ইইউ-এর ২৭টি সদস্য রাষ্ট্রের অনুমোদন প্রয়োজন, যা ২০২৬ সালের শুরুর সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনের তরুণ হেইডেন ফিশার এক বছর আগে চলে যান অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। নিউজিল্যান্ডে প্রতি সপ্তাহে তাঁকে আয়ের অর্ধেকটাই খরচ করতে হতো বাজারে। অস্ট্রেলিয়ায় অবশ্য একই পণ্য তিনি এক-চতুর্থাংশ মূল্য দিয়ে কিনতে পারছেন।
১১ মিনিট আগে
সম্প্রতি ইসরায়েলি সেনাদের হাতে আটক এক ফিলিস্তিনি বন্দীর নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটির সাবেক সামরিক প্রসিকিউটর মেজর জেনারেল ইয়িফাত তমার-ইয়েরুশালমিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি পুলিশ।
২১ মিনিট আগে
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর কানাডার কড়াকড়ির কারণে ভারতের আবেদনকারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে। সরকারি তথ্য বলছে, একসময় পছন্দের গন্তব্য হলেও কানাডা এখন ভারতীয় শিক্ষার্থীদের কাছে সেই আকর্ষণ হারাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
মাত্র ২৫ বছর বয়সে নিজের নাম লাহোর হাইকোর্টের নথিতে দেখে খানিকটা শঙ্কিত হয়েছিলেন মাহনুর ওমর। কিন্তু ‘মাহনুর ওমর বনাম পাকিস্তান ফেডারেশন’ মামলার প্রথম শুনানি হওয়ার পর থেকেই রাওয়ালপিন্ডির এই তরুণ আইনজীবী আলোচনায় উঠে এসেছেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনের তরুণ হেইডেন ফিশার এক বছর আগে চলে যান অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। নিউজিল্যান্ডে প্রতি সপ্তাহে তাঁকে আয়ের অর্ধেকটাই খরচ করতে হতো বাজারে। অস্ট্রেলিয়ায় অবশ্য একই পণ্য তিনি এক-চতুর্থাংশ মূল্য দিয়ে কিনতে পারছেন।
সিডনিতে একটি একটি বইয়ের দোকানে কাজ করা ফিশার বলেন, ‘অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পথে হাঁটছি এখন—যেটা ওয়েলিংটনে অসম্ভব মনে হয়েছিল।’
স্ট্যাটস এনজেড-এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত গত এক বছরে নিউজিল্যান্ডের ৭৩ হাজার ৯০০ নাগরিক দেশ ছেড়েছেন। এই পরিসংখ্যানটি নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। তবে দেশ ছেড়ে যাওয়া এসব মানুষের মধ্যে ৫৮ শতাংশই গেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। ২০২৪ সালে নিউজিল্যান্ড থেকে অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসী হয়েছেন ৩০ হাজার মানুষ, যা গত এক দশকের মধ্যে সর্বাধিক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিউজিল্যান্ড এই ‘মেধা পাচার’ এর প্রভাব নিয়ে চিন্তিত হলেও অস্ট্রেলিয়া এতে লাভবান হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাইগ্রেশন হাবের পরিচালক অ্যালান গ্যামলেন বলেন, ‘১৯৭০-এর দশক থেকে অস্ট্রেলিয়ার দিকে মানুষের প্রবাহ বেড়েছে। নিউজিল্যান্ডের অর্থনীতি দুর্বল এবং বৈশ্বিক ধাক্কায় বেশি প্রভাবিত হয়।’
তিনি জানান, মাথাপিছু জিডিপিতে দুই দেশের পার্থক্যই এই প্রবণতার জন্য দায়ী। অস্ট্রেলিয়ায় যেখানে মাথাপিছু আয় প্রায় ৬৪ হাজার ৪০০ ডলার, নিউজিল্যান্ডে তা মাত্র ৪৮ হাজার ডলার।
২২ বছর বয়সী জেনিভিভ ফালটন চলতি বছরের জানুয়ারিতে ওয়েলিংটন থেকে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে গেছেন। আগে ঘণ্টায় তিনি ২২.৭০ নিউজিল্যান্ড ডলার আয় করতেন। এখন তাঁর আয় দ্বিগুণ। এতে তিনি কম সময় কাজ করেও তাঁর পছন্দের ইলাস্ট্রেশনের পেশায় মন দিতে পারছেন। অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার প্রেরণাটুকু তিনি তাঁর ভাইয়ের কাছ থেকে পেয়েছিলেন। তাঁর ভাই একজন ওয়েল্ডার। দুই বছর আগে তিনি মেলবোর্নে গিয়ে বোনকে বলেছিলেন, ‘এখানে কাজও বেশি, টাকাও পাগল করা।’
একইভাবে, ঐতিহ্যবাহী সামোয়ান ট্যাটু শিল্পী টাইলা ভায়াউ বলেন, ‘অকল্যান্ড (নিউজিল্যান্ডের শহর) এখন আর আমার বেড়ে ওঠা শহরের মতো নেই। জীবনযাত্রার ব্যয় ও বাড়ির দাম সেখানে এমন পর্যায়ে যে, ফেরার চিন্তা করাও অসম্ভব।’ তিনি এখন পরিবারসহ অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে স্থায়ী হয়েছেন।
অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের তরুণ অ্যান্ডি ফেকনি জানান, তাঁর সিডনিতে যাওয়া সম্পূর্ণ ক্যারিয়ারভিত্তিক সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় সুযোগ অনেক বেশি, বিশেষ করে পেশাগতভাবে।’
গবেষণায় দেখা গেছে, নিউজিল্যান্ড থেকে যারা অস্ট্রেলিয়ায় যান তাঁদের ৮০ শতাংশই অস্ট্রেলিয়ার বড় শহরগুলোতে বসবাস করেন। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন ও গোল্ড কোস্টে এক-তৃতীয়াংশের বেশি নিউজিল্যান্ডের প্রবাসীরা থাকেন। এরপরই তাঁদের পছন্দের শহরের মধ্যে রয়েছে মেলবোর্ন ও সিডনি।
গল্পের শুরুতে যার কথা বলা হয়েছিল, সেই হেইডেন ফিশার বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড সুন্দর দেশ ঠিকই। কিন্তু সুন্দর পাহাড় ভাড়া আর বিল পরিশোধ করে না।’

নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনের তরুণ হেইডেন ফিশার এক বছর আগে চলে যান অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। নিউজিল্যান্ডে প্রতি সপ্তাহে তাঁকে আয়ের অর্ধেকটাই খরচ করতে হতো বাজারে। অস্ট্রেলিয়ায় অবশ্য একই পণ্য তিনি এক-চতুর্থাংশ মূল্য দিয়ে কিনতে পারছেন।
সিডনিতে একটি একটি বইয়ের দোকানে কাজ করা ফিশার বলেন, ‘অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পথে হাঁটছি এখন—যেটা ওয়েলিংটনে অসম্ভব মনে হয়েছিল।’
স্ট্যাটস এনজেড-এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত গত এক বছরে নিউজিল্যান্ডের ৭৩ হাজার ৯০০ নাগরিক দেশ ছেড়েছেন। এই পরিসংখ্যানটি নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। তবে দেশ ছেড়ে যাওয়া এসব মানুষের মধ্যে ৫৮ শতাংশই গেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। ২০২৪ সালে নিউজিল্যান্ড থেকে অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসী হয়েছেন ৩০ হাজার মানুষ, যা গত এক দশকের মধ্যে সর্বাধিক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিউজিল্যান্ড এই ‘মেধা পাচার’ এর প্রভাব নিয়ে চিন্তিত হলেও অস্ট্রেলিয়া এতে লাভবান হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাইগ্রেশন হাবের পরিচালক অ্যালান গ্যামলেন বলেন, ‘১৯৭০-এর দশক থেকে অস্ট্রেলিয়ার দিকে মানুষের প্রবাহ বেড়েছে। নিউজিল্যান্ডের অর্থনীতি দুর্বল এবং বৈশ্বিক ধাক্কায় বেশি প্রভাবিত হয়।’
তিনি জানান, মাথাপিছু জিডিপিতে দুই দেশের পার্থক্যই এই প্রবণতার জন্য দায়ী। অস্ট্রেলিয়ায় যেখানে মাথাপিছু আয় প্রায় ৬৪ হাজার ৪০০ ডলার, নিউজিল্যান্ডে তা মাত্র ৪৮ হাজার ডলার।
২২ বছর বয়সী জেনিভিভ ফালটন চলতি বছরের জানুয়ারিতে ওয়েলিংটন থেকে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে গেছেন। আগে ঘণ্টায় তিনি ২২.৭০ নিউজিল্যান্ড ডলার আয় করতেন। এখন তাঁর আয় দ্বিগুণ। এতে তিনি কম সময় কাজ করেও তাঁর পছন্দের ইলাস্ট্রেশনের পেশায় মন দিতে পারছেন। অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার প্রেরণাটুকু তিনি তাঁর ভাইয়ের কাছ থেকে পেয়েছিলেন। তাঁর ভাই একজন ওয়েল্ডার। দুই বছর আগে তিনি মেলবোর্নে গিয়ে বোনকে বলেছিলেন, ‘এখানে কাজও বেশি, টাকাও পাগল করা।’
একইভাবে, ঐতিহ্যবাহী সামোয়ান ট্যাটু শিল্পী টাইলা ভায়াউ বলেন, ‘অকল্যান্ড (নিউজিল্যান্ডের শহর) এখন আর আমার বেড়ে ওঠা শহরের মতো নেই। জীবনযাত্রার ব্যয় ও বাড়ির দাম সেখানে এমন পর্যায়ে যে, ফেরার চিন্তা করাও অসম্ভব।’ তিনি এখন পরিবারসহ অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে স্থায়ী হয়েছেন।
অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের তরুণ অ্যান্ডি ফেকনি জানান, তাঁর সিডনিতে যাওয়া সম্পূর্ণ ক্যারিয়ারভিত্তিক সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় সুযোগ অনেক বেশি, বিশেষ করে পেশাগতভাবে।’
গবেষণায় দেখা গেছে, নিউজিল্যান্ড থেকে যারা অস্ট্রেলিয়ায় যান তাঁদের ৮০ শতাংশই অস্ট্রেলিয়ার বড় শহরগুলোতে বসবাস করেন। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন ও গোল্ড কোস্টে এক-তৃতীয়াংশের বেশি নিউজিল্যান্ডের প্রবাসীরা থাকেন। এরপরই তাঁদের পছন্দের শহরের মধ্যে রয়েছে মেলবোর্ন ও সিডনি।
গল্পের শুরুতে যার কথা বলা হয়েছিল, সেই হেইডেন ফিশার বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড সুন্দর দেশ ঠিকই। কিন্তু সুন্দর পাহাড় ভাড়া আর বিল পরিশোধ করে না।’

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তাদের বহুল প্রত্যাশিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) চূড়ান্ত করার পথে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারপরও ব্রাসেলস নতুন কৌশলগত এজেন্ডা প্রকাশ করেছে—যেখানে প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা খাতে নয়াদিল্লির সঙ্গে সহযোগিতা জোরদারের
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সম্প্রতি ইসরায়েলি সেনাদের হাতে আটক এক ফিলিস্তিনি বন্দীর নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটির সাবেক সামরিক প্রসিকিউটর মেজর জেনারেল ইয়িফাত তমার-ইয়েরুশালমিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি পুলিশ।
২১ মিনিট আগে
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর কানাডার কড়াকড়ির কারণে ভারতের আবেদনকারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে। সরকারি তথ্য বলছে, একসময় পছন্দের গন্তব্য হলেও কানাডা এখন ভারতীয় শিক্ষার্থীদের কাছে সেই আকর্ষণ হারাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
মাত্র ২৫ বছর বয়সে নিজের নাম লাহোর হাইকোর্টের নথিতে দেখে খানিকটা শঙ্কিত হয়েছিলেন মাহনুর ওমর। কিন্তু ‘মাহনুর ওমর বনাম পাকিস্তান ফেডারেশন’ মামলার প্রথম শুনানি হওয়ার পর থেকেই রাওয়ালপিন্ডির এই তরুণ আইনজীবী আলোচনায় উঠে এসেছেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সম্প্রতি ইসরায়েলি সেনাদের হাতে আটক এক ফিলিস্তিনি বন্দীর নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটির সাবেক সামরিক প্রসিকিউটর মেজর জেনারেল ইয়িফাত তমার-ইয়েরুশালমিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি পুলিশ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা দেশটির জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রীর বরাতে জানিয়েছে, আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে তাঁকে আটক করা হয়। ঘটনাটি ঘিরে দেশজুড়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
ভিডিওটি ফাঁসের পর তমার-ইয়েরুশালমি পদত্যাগ করেন ও আত্মগোপন করেন। পরে তাঁকে আটক করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ ঘটনাকে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে ‘গুরুতর ক্ষতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
জানা গেছে, গতকাল রোববার নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর কয়েক ঘণ্টা নিখোঁজ ছিলেন তমার-ইয়েরুশালমি। এতে তাঁর আত্মহত্যাচেষ্টা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমে প্রকাশিত তাঁর পদত্যাগপত্রে তমার-ইয়েরুশালমি স্বীকার করেন, তাঁর কার্যালয়ই গত বছর ভিডিওটি গণমাধ্যমে সরবরাহ করেছিল। পরে ওই ঘটনায় পাঁচ রিজার্ভ সেনাকে বন্দীদের প্রতি অমানবিক আচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।
আজ টেলিগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির বলেন, গতকাল রোববার রাতের ঘটনার পর সিদ্ধান্ত হয়েছে, তমার-ইয়েরুশালমিকে যেখানে রাখা হয়েছে, সেই আটককেন্দ্রে তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়া হবে। তবে তাঁকে কোন অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, তেল আবিবের এক আদালত আগামী বুধবার দুপুর পর্যন্ত তাঁর রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কান জানিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে ‘প্রতারণা, আস্থাভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিচারপ্রক্রিয়ায় বাধা ও সরকারি তথ্য ফাঁসের’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ঘটনায় সাবেক প্রধান সামরিক প্রসিকিউটর কর্নেল মাতান সলোমেশকেও আজ রাতে আটক করা হয় এবং তাঁকেও আদালতে হাজির করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনা রেডিও।
এর আগে গত শুক্রবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, দক্ষিণ ইসরায়েলের সদে তেইমান সামরিক ঘাঁটির ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় তমার-ইয়েরুশালমি পদত্যাগ করেছেন।
এ মামলার সূত্রপাত ২০২৪ সালের আগস্টে, যখন ইসরায়েলের চ্যানেল-১২ সদে তেইমান ঘাঁটির একটি নজরদারি ফুটেজ সম্প্রচার করে। ঘাঁটিটি গাজা যুদ্ধের সময় আটক ফিলিস্তিনিদের রাখার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল। ফুটেজে দেখা যায়, সেনারা অবৈধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত, যদিও দৃশ্যটি সরাসরি দেখা যায়নি, কারণ, সৈন্যরা ঢাল ধরে সেটি আড়াল করে রেখেছিল।
ভিডিওটি একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম প্রচার করে, যা বিশ্বজুড়ে, এমনকি ইসরায়েলের ভেতরেও বিক্ষোভের জন্ম দেয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে জানায়, পাঁচ রিজার্ভ সেনাকে সদে তেইমান ঘাঁটিতে বন্দী নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, তারা এক বন্দীকে গুরুতর নির্যাতন করেছে। ওই বন্দীর নিতম্বে ধারালো বস্তু ঢুকিয়ে দিয়েছে, যা তাঁর মলদ্বারের কাছ পর্যন্ত পৌঁছেছিল।
সেনাবাহিনী আরও জানায়, নির্যাতনের ফলে ওই বন্দীর পাঁজরের হাড় ফেটে যায়, ফুসফুসে ছিদ্র হয় এবং মলদ্বার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, নির্যাতনের ঘটনাটি ২০২৪ সালের ৫ জুলাই দক্ষিণ ইসরায়েলের সদে তেইমান সামরিক ঘাঁটিতে তল্লাশির সময় ঘটে।
গতকাল মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘এই ভিডিও ফাঁস ইসরায়েলের ইতিহাসে একটি ভয়াবহ ঘটনা। এটি আমাদের রাষ্ট্রের ভাবমূর্তিতে বড় আঘাত।’

সম্প্রতি ইসরায়েলি সেনাদের হাতে আটক এক ফিলিস্তিনি বন্দীর নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটির সাবেক সামরিক প্রসিকিউটর মেজর জেনারেল ইয়িফাত তমার-ইয়েরুশালমিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি পুলিশ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা দেশটির জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রীর বরাতে জানিয়েছে, আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে তাঁকে আটক করা হয়। ঘটনাটি ঘিরে দেশজুড়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
ভিডিওটি ফাঁসের পর তমার-ইয়েরুশালমি পদত্যাগ করেন ও আত্মগোপন করেন। পরে তাঁকে আটক করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ ঘটনাকে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে ‘গুরুতর ক্ষতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
জানা গেছে, গতকাল রোববার নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর কয়েক ঘণ্টা নিখোঁজ ছিলেন তমার-ইয়েরুশালমি। এতে তাঁর আত্মহত্যাচেষ্টা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমে প্রকাশিত তাঁর পদত্যাগপত্রে তমার-ইয়েরুশালমি স্বীকার করেন, তাঁর কার্যালয়ই গত বছর ভিডিওটি গণমাধ্যমে সরবরাহ করেছিল। পরে ওই ঘটনায় পাঁচ রিজার্ভ সেনাকে বন্দীদের প্রতি অমানবিক আচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।
আজ টেলিগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির বলেন, গতকাল রোববার রাতের ঘটনার পর সিদ্ধান্ত হয়েছে, তমার-ইয়েরুশালমিকে যেখানে রাখা হয়েছে, সেই আটককেন্দ্রে তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়া হবে। তবে তাঁকে কোন অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, তেল আবিবের এক আদালত আগামী বুধবার দুপুর পর্যন্ত তাঁর রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কান জানিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে ‘প্রতারণা, আস্থাভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিচারপ্রক্রিয়ায় বাধা ও সরকারি তথ্য ফাঁসের’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ঘটনায় সাবেক প্রধান সামরিক প্রসিকিউটর কর্নেল মাতান সলোমেশকেও আজ রাতে আটক করা হয় এবং তাঁকেও আদালতে হাজির করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনা রেডিও।
এর আগে গত শুক্রবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, দক্ষিণ ইসরায়েলের সদে তেইমান সামরিক ঘাঁটির ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় তমার-ইয়েরুশালমি পদত্যাগ করেছেন।
এ মামলার সূত্রপাত ২০২৪ সালের আগস্টে, যখন ইসরায়েলের চ্যানেল-১২ সদে তেইমান ঘাঁটির একটি নজরদারি ফুটেজ সম্প্রচার করে। ঘাঁটিটি গাজা যুদ্ধের সময় আটক ফিলিস্তিনিদের রাখার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল। ফুটেজে দেখা যায়, সেনারা অবৈধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত, যদিও দৃশ্যটি সরাসরি দেখা যায়নি, কারণ, সৈন্যরা ঢাল ধরে সেটি আড়াল করে রেখেছিল।
ভিডিওটি একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম প্রচার করে, যা বিশ্বজুড়ে, এমনকি ইসরায়েলের ভেতরেও বিক্ষোভের জন্ম দেয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে জানায়, পাঁচ রিজার্ভ সেনাকে সদে তেইমান ঘাঁটিতে বন্দী নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, তারা এক বন্দীকে গুরুতর নির্যাতন করেছে। ওই বন্দীর নিতম্বে ধারালো বস্তু ঢুকিয়ে দিয়েছে, যা তাঁর মলদ্বারের কাছ পর্যন্ত পৌঁছেছিল।
সেনাবাহিনী আরও জানায়, নির্যাতনের ফলে ওই বন্দীর পাঁজরের হাড় ফেটে যায়, ফুসফুসে ছিদ্র হয় এবং মলদ্বার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, নির্যাতনের ঘটনাটি ২০২৪ সালের ৫ জুলাই দক্ষিণ ইসরায়েলের সদে তেইমান সামরিক ঘাঁটিতে তল্লাশির সময় ঘটে।
গতকাল মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘এই ভিডিও ফাঁস ইসরায়েলের ইতিহাসে একটি ভয়াবহ ঘটনা। এটি আমাদের রাষ্ট্রের ভাবমূর্তিতে বড় আঘাত।’

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তাদের বহুল প্রত্যাশিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) চূড়ান্ত করার পথে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারপরও ব্রাসেলস নতুন কৌশলগত এজেন্ডা প্রকাশ করেছে—যেখানে প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা খাতে নয়াদিল্লির সঙ্গে সহযোগিতা জোরদারের
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনের তরুণ হেইডেন ফিশার এক বছর আগে চলে যান অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। নিউজিল্যান্ডে প্রতি সপ্তাহে তাঁকে আয়ের অর্ধেকটাই খরচ করতে হতো বাজারে। অস্ট্রেলিয়ায় অবশ্য একই পণ্য তিনি এক-চতুর্থাংশ মূল্য দিয়ে কিনতে পারছেন।
১১ মিনিট আগে
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর কানাডার কড়াকড়ির কারণে ভারতের আবেদনকারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে। সরকারি তথ্য বলছে, একসময় পছন্দের গন্তব্য হলেও কানাডা এখন ভারতীয় শিক্ষার্থীদের কাছে সেই আকর্ষণ হারাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
মাত্র ২৫ বছর বয়সে নিজের নাম লাহোর হাইকোর্টের নথিতে দেখে খানিকটা শঙ্কিত হয়েছিলেন মাহনুর ওমর। কিন্তু ‘মাহনুর ওমর বনাম পাকিস্তান ফেডারেশন’ মামলার প্রথম শুনানি হওয়ার পর থেকেই রাওয়ালপিন্ডির এই তরুণ আইনজীবী আলোচনায় উঠে এসেছেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর কানাডার কড়াকড়ির কারণে ভারতের আবেদনকারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে। সরকারি তথ্য বলছে, একসময় পছন্দের গন্তব্য হলেও কানাডা এখন ভারতীয় শিক্ষার্থীদের কাছে সেই আকর্ষণ হারাচ্ছে। ২০২৫ সালের শুরুতে কানাডা পরপর দ্বিতীয় বছরের মতো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পারমিট বা ভিসার সংখ্যা কমিয়েছে, যা মূলত সাময়িক অভিবাসীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও স্টুডেন্ট ভিসা জালিয়াতি ঠেকানোর বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া কানাডার অভিবাসন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের আগস্টে ভারতীয় আবেদনকারীদের প্রায় ৭৫ শতাংশের স্টুডেন্ট ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে (প্রতি ৪ জন আবেদনকারীর ৩ জনেরই বাতিল)। ২০২৩ সালের আগস্টে এই হার ছিল মাত্র ৩২ শতাংশ। তুলনামূলকভাবে একই সময়ে সামগ্রিকভাবে গড়ে ৪০ শতাংশ এবং চীনা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ২৪ শতাংশ আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।
সরকারি তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের আগস্টে যেখানে ২০ হাজার ৯০০ ভারতীয় শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন, ২০২৫ সালের আগস্টে সে সংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র ৪ হাজার ৫১৫ জনে।
গত এক দশক ধরে কানাডায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রধান উৎস ছিল ভারত। অথচ এখন ভারতীয় শিক্ষার্থীরাই হয়েছেন সবচেয়ে বেশি ভিসা প্রত্যাখ্যানের শিকার।
এই প্রত্যাখ্যানের ঢেউ এসেছে এমন সময়, যখন গত এক বছরের বেশি সময় ধরে কানাডা ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। ২০২৩ সালে কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ করেছিলেন, ভারতের সরকার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সারে শহরে এক কানাডিয়ান নাগরিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত। তবে ভারত বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
২০২৩ সালে কানাডার অভিবাসন বিভাগ প্রায় ১ হাজার ৫৫০টি জাল আবেদনপত্র শনাক্ত করে, যার বেশির ভাগই এসেছিল ভারত থেকে। এরপর ২০২৪ সালে স্টুডেন্ট ভিসা যাচাইয়ে আরও শক্তিশালী ব্যবস্থা চালু করে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। ওই বছর প্রায় ১৪ হাজারের বেশি জাল আবেদনপত্র শনাক্ত করা হয়—যা সব দেশের আবেদনকারীদের মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল। এ কারণে কানাডা এখন বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত যাচাইব্যবস্থা চালু করেছে এবং অর্থনৈতিক যোগ্যতার মানদণ্ডও বাড়িয়েছে।
এদিকে অটোয়ায় ভারতীয় দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের আবেদন প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে। স্টুডেন্ট ভিসা প্রদান সম্পূর্ণরূপে কানাডার নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে দূতাবাস বলেছে, বিশ্বের মানসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের অন্যতম উৎস ভারত। কানাডার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অতীতে এই প্রতিভা ও একাডেমিক উৎকর্ষতা থেকে ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছে।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিতা আনন্দ গত অক্টোবরে ভারত সফরের সময় রয়টার্সকে বলেন, তাঁর সরকার অভিবাসনব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও কানাডা চায় ভারতীয় শিক্ষার্থীরা যেন দেশটিতে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন।
শিক্ষা–ভিসা সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান বর্ডার পাসের কর্মকর্তা মাইকেল পিয়েত্রোকার্লো বলেন, এখন আবেদনকারীদের ওপর আগের চেয়ে অনেক বেশি যাচাই-বাছাই চলছে। শুধু ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখানো এখন যথেষ্ট নয়, আবেদনকারীদের প্রমাণ করতে হচ্ছে টাকার উৎস কী।
কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত তিন থেকে চার বছরে ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুই-তৃতীয়াংশ কমে গেছে। এ ছাড়া রেজিনা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাসকাচেওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়েও ভারতীয় শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা কমেছে বলে জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক শিখ ছাত্র সমিতির প্রতিষ্ঠাতা জসপ্রীত সিংহ যান্ত্রিক প্রকৌশলে পড়তে ২০১৫ সালে ভারত থেকে কানাডায় আসেন। তিনি বলেন, একসময় সরকার নতুনদের উদ্দেশে প্রচারণা চালাত—Study, Work, Stay (পড়ো, কাজ করো, থাকো)। কিন্তু এখন সেই মনোভাব একেবারে বদলে গেছে।
জসপ্রীত সিংহ আরও বলেন, ‘আমি জানি, প্রতারণা এখন বড় সমস্যা। তাই ভিসা প্রত্যাখ্যানের খবর শুনে অবাক হইনি। তবে কানাডায় স্থায়ীভাবে থাকা বা কাজ পাওয়া এখন এত কঠিন হয়ে গেছে যে, এটা ভেবেই এখন অনেকে খুশি।’

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর কানাডার কড়াকড়ির কারণে ভারতের আবেদনকারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে। সরকারি তথ্য বলছে, একসময় পছন্দের গন্তব্য হলেও কানাডা এখন ভারতীয় শিক্ষার্থীদের কাছে সেই আকর্ষণ হারাচ্ছে। ২০২৫ সালের শুরুতে কানাডা পরপর দ্বিতীয় বছরের মতো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পারমিট বা ভিসার সংখ্যা কমিয়েছে, যা মূলত সাময়িক অভিবাসীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও স্টুডেন্ট ভিসা জালিয়াতি ঠেকানোর বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া কানাডার অভিবাসন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের আগস্টে ভারতীয় আবেদনকারীদের প্রায় ৭৫ শতাংশের স্টুডেন্ট ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে (প্রতি ৪ জন আবেদনকারীর ৩ জনেরই বাতিল)। ২০২৩ সালের আগস্টে এই হার ছিল মাত্র ৩২ শতাংশ। তুলনামূলকভাবে একই সময়ে সামগ্রিকভাবে গড়ে ৪০ শতাংশ এবং চীনা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ২৪ শতাংশ আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।
সরকারি তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের আগস্টে যেখানে ২০ হাজার ৯০০ ভারতীয় শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন, ২০২৫ সালের আগস্টে সে সংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র ৪ হাজার ৫১৫ জনে।
গত এক দশক ধরে কানাডায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রধান উৎস ছিল ভারত। অথচ এখন ভারতীয় শিক্ষার্থীরাই হয়েছেন সবচেয়ে বেশি ভিসা প্রত্যাখ্যানের শিকার।
এই প্রত্যাখ্যানের ঢেউ এসেছে এমন সময়, যখন গত এক বছরের বেশি সময় ধরে কানাডা ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। ২০২৩ সালে কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ করেছিলেন, ভারতের সরকার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সারে শহরে এক কানাডিয়ান নাগরিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত। তবে ভারত বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
২০২৩ সালে কানাডার অভিবাসন বিভাগ প্রায় ১ হাজার ৫৫০টি জাল আবেদনপত্র শনাক্ত করে, যার বেশির ভাগই এসেছিল ভারত থেকে। এরপর ২০২৪ সালে স্টুডেন্ট ভিসা যাচাইয়ে আরও শক্তিশালী ব্যবস্থা চালু করে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। ওই বছর প্রায় ১৪ হাজারের বেশি জাল আবেদনপত্র শনাক্ত করা হয়—যা সব দেশের আবেদনকারীদের মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল। এ কারণে কানাডা এখন বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত যাচাইব্যবস্থা চালু করেছে এবং অর্থনৈতিক যোগ্যতার মানদণ্ডও বাড়িয়েছে।
এদিকে অটোয়ায় ভারতীয় দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের আবেদন প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে। স্টুডেন্ট ভিসা প্রদান সম্পূর্ণরূপে কানাডার নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে দূতাবাস বলেছে, বিশ্বের মানসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের অন্যতম উৎস ভারত। কানাডার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অতীতে এই প্রতিভা ও একাডেমিক উৎকর্ষতা থেকে ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছে।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিতা আনন্দ গত অক্টোবরে ভারত সফরের সময় রয়টার্সকে বলেন, তাঁর সরকার অভিবাসনব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও কানাডা চায় ভারতীয় শিক্ষার্থীরা যেন দেশটিতে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন।
শিক্ষা–ভিসা সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান বর্ডার পাসের কর্মকর্তা মাইকেল পিয়েত্রোকার্লো বলেন, এখন আবেদনকারীদের ওপর আগের চেয়ে অনেক বেশি যাচাই-বাছাই চলছে। শুধু ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখানো এখন যথেষ্ট নয়, আবেদনকারীদের প্রমাণ করতে হচ্ছে টাকার উৎস কী।
কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত তিন থেকে চার বছরে ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুই-তৃতীয়াংশ কমে গেছে। এ ছাড়া রেজিনা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাসকাচেওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়েও ভারতীয় শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা কমেছে বলে জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক শিখ ছাত্র সমিতির প্রতিষ্ঠাতা জসপ্রীত সিংহ যান্ত্রিক প্রকৌশলে পড়তে ২০১৫ সালে ভারত থেকে কানাডায় আসেন। তিনি বলেন, একসময় সরকার নতুনদের উদ্দেশে প্রচারণা চালাত—Study, Work, Stay (পড়ো, কাজ করো, থাকো)। কিন্তু এখন সেই মনোভাব একেবারে বদলে গেছে।
জসপ্রীত সিংহ আরও বলেন, ‘আমি জানি, প্রতারণা এখন বড় সমস্যা। তাই ভিসা প্রত্যাখ্যানের খবর শুনে অবাক হইনি। তবে কানাডায় স্থায়ীভাবে থাকা বা কাজ পাওয়া এখন এত কঠিন হয়ে গেছে যে, এটা ভেবেই এখন অনেকে খুশি।’

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তাদের বহুল প্রত্যাশিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) চূড়ান্ত করার পথে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারপরও ব্রাসেলস নতুন কৌশলগত এজেন্ডা প্রকাশ করেছে—যেখানে প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা খাতে নয়াদিল্লির সঙ্গে সহযোগিতা জোরদারের
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনের তরুণ হেইডেন ফিশার এক বছর আগে চলে যান অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। নিউজিল্যান্ডে প্রতি সপ্তাহে তাঁকে আয়ের অর্ধেকটাই খরচ করতে হতো বাজারে। অস্ট্রেলিয়ায় অবশ্য একই পণ্য তিনি এক-চতুর্থাংশ মূল্য দিয়ে কিনতে পারছেন।
১১ মিনিট আগে
সম্প্রতি ইসরায়েলি সেনাদের হাতে আটক এক ফিলিস্তিনি বন্দীর নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটির সাবেক সামরিক প্রসিকিউটর মেজর জেনারেল ইয়িফাত তমার-ইয়েরুশালমিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি পুলিশ।
২১ মিনিট আগে
মাত্র ২৫ বছর বয়সে নিজের নাম লাহোর হাইকোর্টের নথিতে দেখে খানিকটা শঙ্কিত হয়েছিলেন মাহনুর ওমর। কিন্তু ‘মাহনুর ওমর বনাম পাকিস্তান ফেডারেশন’ মামলার প্রথম শুনানি হওয়ার পর থেকেই রাওয়ালপিন্ডির এই তরুণ আইনজীবী আলোচনায় উঠে এসেছেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মাত্র ২৫ বছর বয়সে নিজের নাম লাহোর হাইকোর্টের নথিতে দেখে খানিকটা শঙ্কিত হয়েছিলেন মাহনুর ওমর। কিন্তু ‘মাহনুর ওমর বনাম পাকিস্তান ফেডারেশন’ মামলার প্রথম শুনানি হওয়ার পর থেকেই রাওয়ালপিন্ডির এই তরুণ আইনজীবী আলোচনায় উঠে এসেছেন। তিনি পাকিস্তানের তথাকথিত ‘পিরিয়ড ট্যাক্স’ এর বিরুদ্ধে লড়ছেন, যা নারীদের জন্য অত্যন্ত অন্যায্য এক ব্যবস্থা হিসেবে সমালোচিত।
সোমবার (৩ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, পাকিস্তানে স্যানিটারি প্যাডের ওপর আরোপিত উচ্চ কর ও শুল্কের কারণে এসব পণ্য অনেক নারীর নাগালের বাইরে। ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, এসব কর পণ্যের খুচরা দামে প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি ঘটায়। এক জরিপে দেখা গেছে, গ্রামীণ নারীদের মাত্র ১৬.২ শতাংশ নিয়মিত প্যাড ব্যবহার করতে পারেন। অথচ দেশটির সরকার ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে গবাদিপশুর বীর্য, দুধ ও চিজের মতো জিনিসকে করমুক্ত করেছে। আর নারীদের ঋতুকালীন স্বাস্থ্যরক্ষার পণ্যগুলোকে বিলাসদ্রব্য হিসেবে করের আওতায় রেখেছে।
ওমর প্রশ্ন তুলেছেন, ‘যখন দেশে নারী মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও জন প্রতিনিধিরা রয়েছেন, তখন কীভাবে এমন লিঙ্গ-অন্ধ নীতি প্রশ্নহীনভাবে পাস হয়? এটা যদি ভুলেও হয়ে থাকে, তবুও সংশোধন জরুরি।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও ইউনিসেফ বলছে, মাসিক স্বাস্থ্য একটি মানবাধিকারের অংশ। কিন্তু পাকিস্তানে গরিব নারী ও স্কুলছাত্রীদের জন্য এটি এখনো কষ্টকর বাস্তবতা।
ওমরের মামলায় সহায়তা দিচ্ছে ‘মাহওয়ারি জাস্টিস’ নামে একটি তরুণ নেতৃত্বাধীন সংগঠন যা ঋতুচক্রকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা দেয় ও দরিদ্র নারীদের মধ্যে স্যানিটারি পণ্য বিতরণ করে। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার পর সংগঠনটি গড়ে ওঠে। কারণ সে সময় হাজারো নারী নিরাপদ বিকল্পের অভাবে নোংরা কাপড় ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছিলেন।
আইনজীবী আহসান জেহাঙ্গির খানের মতে, ‘নারীদের একটি জৈবিক প্রক্রিয়ার জন্য কর আরোপ করা মানে তাদের মর্যাদা হরণ করা।’ গবেষণায় দেখা গেছে, পাকিস্তানে প্রতি পাঁচজন মেয়ের একজন মাসিকের সময় স্কুল মিস করে। এ ছাড়া, অপরিচ্ছন্ন কাপড় ব্যবহারে সংক্রমণ ও প্রজনন সমস্যার ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়।
সরকার এখনো মামলাটির জবাব দেয়নি। তবে মাহনুর ওমরের আশা—রায় যদি অনুকূলে আসে, তাহলে শুধু প্যাডের দামই কমবে না, বরং পাকিস্তানি সমাজে নারীদের ঋতুচক্র নিয়ে ট্যাবু ও নীরবতার সংস্কৃতিও ভাঙবে। তিনি বলেন, ‘সমস্যা মাসিক নয়, বরং সমাজের সেই নীরবতা, যা এটিকে অদৃশ্য করে রেখেছে।’

মাত্র ২৫ বছর বয়সে নিজের নাম লাহোর হাইকোর্টের নথিতে দেখে খানিকটা শঙ্কিত হয়েছিলেন মাহনুর ওমর। কিন্তু ‘মাহনুর ওমর বনাম পাকিস্তান ফেডারেশন’ মামলার প্রথম শুনানি হওয়ার পর থেকেই রাওয়ালপিন্ডির এই তরুণ আইনজীবী আলোচনায় উঠে এসেছেন। তিনি পাকিস্তানের তথাকথিত ‘পিরিয়ড ট্যাক্স’ এর বিরুদ্ধে লড়ছেন, যা নারীদের জন্য অত্যন্ত অন্যায্য এক ব্যবস্থা হিসেবে সমালোচিত।
সোমবার (৩ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, পাকিস্তানে স্যানিটারি প্যাডের ওপর আরোপিত উচ্চ কর ও শুল্কের কারণে এসব পণ্য অনেক নারীর নাগালের বাইরে। ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, এসব কর পণ্যের খুচরা দামে প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি ঘটায়। এক জরিপে দেখা গেছে, গ্রামীণ নারীদের মাত্র ১৬.২ শতাংশ নিয়মিত প্যাড ব্যবহার করতে পারেন। অথচ দেশটির সরকার ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে গবাদিপশুর বীর্য, দুধ ও চিজের মতো জিনিসকে করমুক্ত করেছে। আর নারীদের ঋতুকালীন স্বাস্থ্যরক্ষার পণ্যগুলোকে বিলাসদ্রব্য হিসেবে করের আওতায় রেখেছে।
ওমর প্রশ্ন তুলেছেন, ‘যখন দেশে নারী মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও জন প্রতিনিধিরা রয়েছেন, তখন কীভাবে এমন লিঙ্গ-অন্ধ নীতি প্রশ্নহীনভাবে পাস হয়? এটা যদি ভুলেও হয়ে থাকে, তবুও সংশোধন জরুরি।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও ইউনিসেফ বলছে, মাসিক স্বাস্থ্য একটি মানবাধিকারের অংশ। কিন্তু পাকিস্তানে গরিব নারী ও স্কুলছাত্রীদের জন্য এটি এখনো কষ্টকর বাস্তবতা।
ওমরের মামলায় সহায়তা দিচ্ছে ‘মাহওয়ারি জাস্টিস’ নামে একটি তরুণ নেতৃত্বাধীন সংগঠন যা ঋতুচক্রকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা দেয় ও দরিদ্র নারীদের মধ্যে স্যানিটারি পণ্য বিতরণ করে। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার পর সংগঠনটি গড়ে ওঠে। কারণ সে সময় হাজারো নারী নিরাপদ বিকল্পের অভাবে নোংরা কাপড় ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছিলেন।
আইনজীবী আহসান জেহাঙ্গির খানের মতে, ‘নারীদের একটি জৈবিক প্রক্রিয়ার জন্য কর আরোপ করা মানে তাদের মর্যাদা হরণ করা।’ গবেষণায় দেখা গেছে, পাকিস্তানে প্রতি পাঁচজন মেয়ের একজন মাসিকের সময় স্কুল মিস করে। এ ছাড়া, অপরিচ্ছন্ন কাপড় ব্যবহারে সংক্রমণ ও প্রজনন সমস্যার ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়।
সরকার এখনো মামলাটির জবাব দেয়নি। তবে মাহনুর ওমরের আশা—রায় যদি অনুকূলে আসে, তাহলে শুধু প্যাডের দামই কমবে না, বরং পাকিস্তানি সমাজে নারীদের ঋতুচক্র নিয়ে ট্যাবু ও নীরবতার সংস্কৃতিও ভাঙবে। তিনি বলেন, ‘সমস্যা মাসিক নয়, বরং সমাজের সেই নীরবতা, যা এটিকে অদৃশ্য করে রেখেছে।’

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তাদের বহুল প্রত্যাশিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) চূড়ান্ত করার পথে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারপরও ব্রাসেলস নতুন কৌশলগত এজেন্ডা প্রকাশ করেছে—যেখানে প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা খাতে নয়াদিল্লির সঙ্গে সহযোগিতা জোরদারের
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনের তরুণ হেইডেন ফিশার এক বছর আগে চলে যান অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। নিউজিল্যান্ডে প্রতি সপ্তাহে তাঁকে আয়ের অর্ধেকটাই খরচ করতে হতো বাজারে। অস্ট্রেলিয়ায় অবশ্য একই পণ্য তিনি এক-চতুর্থাংশ মূল্য দিয়ে কিনতে পারছেন।
১১ মিনিট আগে
সম্প্রতি ইসরায়েলি সেনাদের হাতে আটক এক ফিলিস্তিনি বন্দীর নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটির সাবেক সামরিক প্রসিকিউটর মেজর জেনারেল ইয়িফাত তমার-ইয়েরুশালমিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি পুলিশ।
২১ মিনিট আগে
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর কানাডার কড়াকড়ির কারণে ভারতের আবেদনকারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে। সরকারি তথ্য বলছে, একসময় পছন্দের গন্তব্য হলেও কানাডা এখন ভারতীয় শিক্ষার্থীদের কাছে সেই আকর্ষণ হারাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে