জর্ডানের আম্মান থেকে লন্ডনগামী একটি ফ্লাইটে যাত্রী ছিলেন যুক্তরাজ্যের চিকিৎসক হাসান খান। কিন্তু মাঝ আকাশেও রোগীর সেবায় তাঁকে গলদঘর্ম হতে হয়েছে। গত শনিবার সকালের সেই ফ্লাইটে মাঝ আকাশে এক মায়ের প্রসবব্যথা শুরু হলে ফুটফুটে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিতে সহায়তা করেন হাসান।
আজ সোমবার এ বিষয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জর্ডান থেকে লন্ডনগামী ফ্লাইটটি আকাশে ওড়ার দুই ঘণ্টার মধ্যে বিমানের ক্রুরা চিকিৎসক হাসানের কাছে ছুটে যান। তাঁরা প্রসবব্যথায় কাতর এক মায়ের কথা জানান তাঁকে।
অ্যাসেক্সের ব্যাসিলডন হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক হাসান জানান, তিনি প্রসবব্যথায় কাতর ওই নারীকে বিমানের ককপিটের বাইরে মেঝেতে শুয়ে থাকা অবস্থায় দেখেন। ততক্ষণে সন্তানসম্ভবা ওই মায়ের জল ভেঙে গিয়েছিল। প্রাথমিক অবস্থায় সন্তানসম্ভবা মা ঘাবড়ে গেলেও হাসান তাঁকে অনুবাদকের সাহায্যে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন যে সন্তান জন্ম দেওয়ায় তাঁর কিছুটা অভিজ্ঞতা রয়েছে। পরে তাঁর আশ্বাস পেয়ে ওই নারীর আতঙ্ক কেটে যায় এবং বেশ সুস্থ-সবল এক মেয়ের জন্ম দেন।
ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা হাসানকে সে সময় জানান, সদ্য জন্ম নেওয়া ওই মেয়েটি এখন পর্যন্ত কোনো বাণিজ্যিক ফ্লাইটে জন্ম নেওয়া ৭৫তম শিশু।
ডাক্তার হাসান জানান, ৩৮ বছর বয়সী ওই মা ও তাঁর শিশুকে যেন দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া যায়—সে জন্য তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে উইজ এয়ারের ওই বিমানটিকে দক্ষিণ ইতালির ব্রিন্ডিসি বিমানবন্দরে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এর ফলে ফ্লাইটটি লন্ডনে পৌঁছাতে চার ঘণ্টা দেরি হয়ে যায়। দেরি হয় হাসানের কর্মস্থলে পৌঁছাতেও। পরে তিনি দেরি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করলে কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে নেয় এবং শিশুটির অবস্থা সম্পর্কে জানতে চায়।
বিষয়টিকে অলৌকিক আখ্যা দিয়ে হাসান আরও জানান, জর্ডানের ওই নারী ইংরেজি বলতে পারেন না। ফলে সন্তান জন্মের সময় তাঁকে একজন অনুবাদকের সহযোগিতা নিতে হয়। এ সময় শিশুটিকে পরিপূর্ণ সুস্থ অবস্থায় রাখতে তিনি ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের কাছে নবজাতকের আকারের অক্সিজেন মাস্ক, নাভির জন্য একটি ক্ল্যাম্প এবং একটি স্টেথোস্কোপ চেয়েছিলেন। কিন্তু এসবের কোনো কিছুই বিমানে ছিল না। বলা যায়, জন্মের পরের মুহূর্তে সামান্য একটি তোয়ালে ছাড়া শিশুটির ভাগ্যে আর কিছুই জোটেনি।
ইতালির যে হাসপাতালে মা ও শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয়, সেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা দুজনই এখন ভালো আছে।
জর্ডানের আম্মান থেকে লন্ডনগামী একটি ফ্লাইটে যাত্রী ছিলেন যুক্তরাজ্যের চিকিৎসক হাসান খান। কিন্তু মাঝ আকাশেও রোগীর সেবায় তাঁকে গলদঘর্ম হতে হয়েছে। গত শনিবার সকালের সেই ফ্লাইটে মাঝ আকাশে এক মায়ের প্রসবব্যথা শুরু হলে ফুটফুটে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিতে সহায়তা করেন হাসান।
আজ সোমবার এ বিষয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জর্ডান থেকে লন্ডনগামী ফ্লাইটটি আকাশে ওড়ার দুই ঘণ্টার মধ্যে বিমানের ক্রুরা চিকিৎসক হাসানের কাছে ছুটে যান। তাঁরা প্রসবব্যথায় কাতর এক মায়ের কথা জানান তাঁকে।
অ্যাসেক্সের ব্যাসিলডন হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক হাসান জানান, তিনি প্রসবব্যথায় কাতর ওই নারীকে বিমানের ককপিটের বাইরে মেঝেতে শুয়ে থাকা অবস্থায় দেখেন। ততক্ষণে সন্তানসম্ভবা ওই মায়ের জল ভেঙে গিয়েছিল। প্রাথমিক অবস্থায় সন্তানসম্ভবা মা ঘাবড়ে গেলেও হাসান তাঁকে অনুবাদকের সাহায্যে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন যে সন্তান জন্ম দেওয়ায় তাঁর কিছুটা অভিজ্ঞতা রয়েছে। পরে তাঁর আশ্বাস পেয়ে ওই নারীর আতঙ্ক কেটে যায় এবং বেশ সুস্থ-সবল এক মেয়ের জন্ম দেন।
ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা হাসানকে সে সময় জানান, সদ্য জন্ম নেওয়া ওই মেয়েটি এখন পর্যন্ত কোনো বাণিজ্যিক ফ্লাইটে জন্ম নেওয়া ৭৫তম শিশু।
ডাক্তার হাসান জানান, ৩৮ বছর বয়সী ওই মা ও তাঁর শিশুকে যেন দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া যায়—সে জন্য তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে উইজ এয়ারের ওই বিমানটিকে দক্ষিণ ইতালির ব্রিন্ডিসি বিমানবন্দরে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এর ফলে ফ্লাইটটি লন্ডনে পৌঁছাতে চার ঘণ্টা দেরি হয়ে যায়। দেরি হয় হাসানের কর্মস্থলে পৌঁছাতেও। পরে তিনি দেরি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করলে কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে নেয় এবং শিশুটির অবস্থা সম্পর্কে জানতে চায়।
বিষয়টিকে অলৌকিক আখ্যা দিয়ে হাসান আরও জানান, জর্ডানের ওই নারী ইংরেজি বলতে পারেন না। ফলে সন্তান জন্মের সময় তাঁকে একজন অনুবাদকের সহযোগিতা নিতে হয়। এ সময় শিশুটিকে পরিপূর্ণ সুস্থ অবস্থায় রাখতে তিনি ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের কাছে নবজাতকের আকারের অক্সিজেন মাস্ক, নাভির জন্য একটি ক্ল্যাম্প এবং একটি স্টেথোস্কোপ চেয়েছিলেন। কিন্তু এসবের কোনো কিছুই বিমানে ছিল না। বলা যায়, জন্মের পরের মুহূর্তে সামান্য একটি তোয়ালে ছাড়া শিশুটির ভাগ্যে আর কিছুই জোটেনি।
ইতালির যে হাসপাতালে মা ও শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয়, সেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা দুজনই এখন ভালো আছে।
তাঁর ভাষ্য, ইরানের রাজনৈতিক শাসন টিকে গেছে এবং সম্ভবত আরও শক্ত অবস্থানে পৌঁছেছে। দেশটির মানুষ এখন আধ্যাত্মিক নেতৃত্বের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। এমনকি যারা আগে নির্লিপ্ত ছিল বা বিরোধিতা করত, তারাও এখন এই নেতৃত্বের পাশে দাঁড়াচ্ছে।
২২ মিনিট আগে৪৫ মিনিটের এই ফোনালাপের উদ্যোগ এসেছিল ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের কাছ থেকে। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পরেই তিনি এই উদ্যোগ নেন।
৩০ মিনিট আগেখোররামশহর-৪ বা খাইবার ক্ষেপণাস্ত্রকে ইরানের চতুর্থ প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে ধরা হয়। এটি শব্দের গতির চেয়ে ১৬ গুণ বেশি গতিতে বায়ুমণ্ডলের বাইরে এবং শব্দের গতির চেয়ে ৮ গুণ বেশি গতিতে বায়ুমণ্ডলের ভেতরে চলতে সক্ষম। উচ্চ গতি এবং কৌশলগত সক্ষমতার জন্য এটিকে শনাক্ত ও প্রতিহত করা কঠিন...
৩৪ মিনিট আগেইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া ও স্পেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলার যে দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা যে যুক্তিই তুলে ধরা হোক না কেন, তা আন্তর্জা
৪২ মিনিট আগে