ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর মন্ত্রীরা আলোচনা করছেন কীভাবে রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি সরবরাহের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো যায়। গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বের উন্নত দেশগুলো রাশিয়ার ওপর নানা রকম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। বিভিন্ন খাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও এত দিন রাশিয়ার জ্বালানি খাত সেই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ছিল না।
তবে সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো—রাশিয়ার তেল-গ্যাসের সবচেয়ে বড় ক্রেতা—রাশিয়ার জ্বালানি বিশেষ করে গ্যাসের ওপর থেকে নির্ভরতা কমাতে চাইছে। তবে, এ নিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যেই অনৈক্য রয়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মানি স্বীকার করেছে যে রাশিয়ার ওপর জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয় নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো এখনো বিভক্ত। দেশটির জ্বালানি মন্ত্রী বলেছেন, তাঁর দেশ চলতি বছরে শেষ নাগাদ রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে কিন্তু গ্যাসের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নয়। আরেক দেশ, হাঙ্গেরি আবারও জানিয়েছে, তারা রুশ তেল-গ্যাস কোনোটারই ওপরই নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে নয়।
ইউরোপের দেশগুলোই রাশিয়ার গ্যাসের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এককভাবে রাশিয়ার রপ্তানি করা গ্যাসের প্রায় ৪১ শতাংশ কিনে থাকে। আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার (আইইএ) হিসাব অনুসারে ২০২০ সালে জার্মানি রাশিয়ার গ্যাসের শীর্ষ আমদানিকারক ছিল। সে বছর জার্মানি রাশিয়া থেকে ৪২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস কিনেছিল। তালিকার দ্বিতীয়তে আছে ইতালি। সে বছর ইতালি কিনেছিল ২৯ দশমিক ২ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস। তালিকার তিন নম্বরে থাকা দেশটির নাম বেলারুশ। দেশটি রাশিয়া থেকে ২০২০ সালে ১৮ দশমিক ৮ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস কিনেছিলে।
বেলারুশের চেয়ে রাশিয়ার গ্যাস ক্রয়ে খুব বেশি পিছিয়ে নেই তুরস্ক এবং নেদারল্যান্ডসও। দেশ দুটি যথাক্রমে ১৬ দশমিক ২ বিলিয়ন ঘনমিটার এবং ১৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস কিনেছিল রাশিয়ার কাছ থেকে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অবরোধ আরোপে নারাজ হাঙ্গেরি কিনেছে ১১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস। হাঙ্গেরির প্রায় কাছাকাছি পরিমাণ গ্যাস কিনেছিল কাজাখস্তান। দেশটি ওই বছর ১০ দশমিক ২ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস কিনেছিল।
রাশিয়ার বৈরী দেশ পোল্যান্ড এবং মিত্র দেশ চীন প্রায় সমপরিমাণ গ্যাস কিনেছিল রাশিয়া থেকে। দেশ দুটি যথাক্রমে ৯ দশমিক ৬ বিলিয়ন ঘনমিটার এবং ৯ দশমিক ২ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস কিনেছিল রাশিয়া থেকে। রাশিয়া থেকে গ্যাস ক্রয়ের তালিকা থেকে বাদ যায়নি আরেক রুশ বৈরী দেশ জাপানও। দেশটি রাশিয়ার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক গ্যাস কিনে থাকে। আইইএ-এর দেওয়া তথ্য অনুসারে জাপান রাশিয়া থেকে ৮ দশমিক ৮ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস কিনে থাকে।
মোটা দাগে, ইউক্রেন সংকট শুরু হওয়ার আগে, এসব দেশই রাশিয়ার রপ্তানিকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের সিংহভাগ কিনত। প্রতি বছর ক্রমান্বয়ে রুশ গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে এসব দেশগুলোতে। জার্মানি এবং হাঙ্গেরি যেমনটা জানিয়েছে তারা রাশিয়ার গ্যাস আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতে পারবে না। একই রকম অবস্থা অন্যান্য দেশগুলোরও। ফলে, এসব দেশে শিগগিরই রুশ গ্যাসের নির্ভরতা কমছে না বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের।
সূত্র: বিবিসি
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর মন্ত্রীরা আলোচনা করছেন কীভাবে রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি সরবরাহের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো যায়। গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বের উন্নত দেশগুলো রাশিয়ার ওপর নানা রকম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। বিভিন্ন খাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও এত দিন রাশিয়ার জ্বালানি খাত সেই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ছিল না।
তবে সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো—রাশিয়ার তেল-গ্যাসের সবচেয়ে বড় ক্রেতা—রাশিয়ার জ্বালানি বিশেষ করে গ্যাসের ওপর থেকে নির্ভরতা কমাতে চাইছে। তবে, এ নিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যেই অনৈক্য রয়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মানি স্বীকার করেছে যে রাশিয়ার ওপর জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয় নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো এখনো বিভক্ত। দেশটির জ্বালানি মন্ত্রী বলেছেন, তাঁর দেশ চলতি বছরে শেষ নাগাদ রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে কিন্তু গ্যাসের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নয়। আরেক দেশ, হাঙ্গেরি আবারও জানিয়েছে, তারা রুশ তেল-গ্যাস কোনোটারই ওপরই নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে নয়।
ইউরোপের দেশগুলোই রাশিয়ার গ্যাসের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এককভাবে রাশিয়ার রপ্তানি করা গ্যাসের প্রায় ৪১ শতাংশ কিনে থাকে। আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার (আইইএ) হিসাব অনুসারে ২০২০ সালে জার্মানি রাশিয়ার গ্যাসের শীর্ষ আমদানিকারক ছিল। সে বছর জার্মানি রাশিয়া থেকে ৪২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস কিনেছিল। তালিকার দ্বিতীয়তে আছে ইতালি। সে বছর ইতালি কিনেছিল ২৯ দশমিক ২ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস। তালিকার তিন নম্বরে থাকা দেশটির নাম বেলারুশ। দেশটি রাশিয়া থেকে ২০২০ সালে ১৮ দশমিক ৮ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস কিনেছিলে।
বেলারুশের চেয়ে রাশিয়ার গ্যাস ক্রয়ে খুব বেশি পিছিয়ে নেই তুরস্ক এবং নেদারল্যান্ডসও। দেশ দুটি যথাক্রমে ১৬ দশমিক ২ বিলিয়ন ঘনমিটার এবং ১৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস কিনেছিল রাশিয়ার কাছ থেকে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অবরোধ আরোপে নারাজ হাঙ্গেরি কিনেছে ১১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস। হাঙ্গেরির প্রায় কাছাকাছি পরিমাণ গ্যাস কিনেছিল কাজাখস্তান। দেশটি ওই বছর ১০ দশমিক ২ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস কিনেছিল।
রাশিয়ার বৈরী দেশ পোল্যান্ড এবং মিত্র দেশ চীন প্রায় সমপরিমাণ গ্যাস কিনেছিল রাশিয়া থেকে। দেশ দুটি যথাক্রমে ৯ দশমিক ৬ বিলিয়ন ঘনমিটার এবং ৯ দশমিক ২ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস কিনেছিল রাশিয়া থেকে। রাশিয়া থেকে গ্যাস ক্রয়ের তালিকা থেকে বাদ যায়নি আরেক রুশ বৈরী দেশ জাপানও। দেশটি রাশিয়ার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক গ্যাস কিনে থাকে। আইইএ-এর দেওয়া তথ্য অনুসারে জাপান রাশিয়া থেকে ৮ দশমিক ৮ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস কিনে থাকে।
মোটা দাগে, ইউক্রেন সংকট শুরু হওয়ার আগে, এসব দেশই রাশিয়ার রপ্তানিকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের সিংহভাগ কিনত। প্রতি বছর ক্রমান্বয়ে রুশ গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে এসব দেশগুলোতে। জার্মানি এবং হাঙ্গেরি যেমনটা জানিয়েছে তারা রাশিয়ার গ্যাস আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতে পারবে না। একই রকম অবস্থা অন্যান্য দেশগুলোরও। ফলে, এসব দেশে শিগগিরই রুশ গ্যাসের নির্ভরতা কমছে না বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের।
সূত্র: বিবিসি
বিদেশে জন্ম নেওয়া ৮৬ লাখ অস্ট্রেলিয়ানের মধ্যে শুধু চীনেই জন্মগ্রহণকারীর সংখ্যা ৭ লাখ ১২০। এর আগে ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ৬১ হাজার। করোনা মহামারির সময় (২০২০ ও ২০২১ সাল) সীমান্ত বন্ধ থাকায় চীনে জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ান শিশুর সংখ্যা তুলনামূলক বেশ কম ছিল।
১ ঘণ্টা আগেডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ১০০ দিন হলো। সম্প্রতি তিনি বেশ জমকালোভাবেই তাঁর ১০০তম দিন পূর্তি উদ্যাপন করেছেন। অনুষ্ঠানে তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে কোনো কিছুই তাঁকে ‘থামাতে পারবে না।’
২ ঘণ্টা আগেএকজন স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠাতা সম্প্রতি ভারতে একটি পাসপোর্ট অফিসে গিয়েছিলেন। সেখানে থ্রি–কোয়ার্টার পরার কারণে এক যুবককে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বলে একটি ভিডিও তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। এরপরই এ নিয়ে আলোচনা–সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগেগত ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে খেমকাকে মূলত ‘লো–প্রোফাইল’ বা কম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত দপ্তরগুলোতেই পদায়ন করা হয়েছে। কর্মজীবনে তিনি চারবার শুধু রাজ্য সরকারের আর্কাইভস দপ্তরেই কাজ করেছে। চারবারের তিনবারই বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে।
৩ ঘণ্টা আগে