Ajker Patrika

সাংবাদিক হত্যায় সাজাপ্রাপ্ত পুলিশকে ক্ষমা করে যুদ্ধে পাঠিয়েছেন পুতিন

আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ২৩: ৪০
সাংবাদিক হত্যায় সাজাপ্রাপ্ত পুলিশকে ক্ষমা করে যুদ্ধে পাঠিয়েছেন পুতিন

ইউক্রেন যুদ্ধে যাওয়ার শর্তে সাজাপ্রাপ্ত সাবেক পুলিশ সদস্যকে মুক্তি দিয়েছে রাশিয়া কর্তৃপক্ষ। ২০০৬ সালে অনুসন্ধানী সাংবাদিক আনা পোলিৎকোভস্কায়াকে হত্যার দায়ে তাঁর কারাদণ্ড হয়েছিল। আজ মঙ্গলবার অভিযুক্ত সাবেক পুলিশ সদস্য সের্গেই খাদঝিকুরবানোভের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর আইনজীবী। 

পোলিৎকোভস্কায়ার হত্যার দায়ে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজনের মধ্যে খাদঝিকুরবানোভ একজন। পোলিৎকোভস্কায়া স্বাধীন সংবাদপত্র নোভায়া গ্যাজেটার কর্মী ছিলেন। ৪৮ বছর বয়সী এ সংবাদকর্মীকে তাঁর মস্কোর বাড়ির লিফটে গুলি করে হত্যা করা হয়।       

আইনজীবী অ্যালেক্সেই মিখালচিককে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘খাদঝিকুরবানোভকে ইউক্রেনের বিশেষ সামরিক অভিযানে বিশেষ বাহিনীর যোদ্ধা হিসেবে অংশ নেওয়ার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে বলা হয়। যা তিনি তাতে রাজি হন। চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর তাঁকে প্রেসিডেনশিয়াল ফরমানে ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’  

আইনজীবী বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে খাদঝিকুরবানোভ আরেকটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন এবং এখনো ইউক্রেনে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছেন।’  

গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়া হাজারো সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠিয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। সমালোচকেরা বলেন, এই দাগি আসামিদের মধ্যে অনেকে মুক্তি পাওয়ার পর নতুন করে অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে।   

২০০৯ সালে আদালত প্রথম পোলিৎকোভস্কায়া হত্যার অভিযোগ থেকে খাদঝিকুরবানোভকে বেকসুর খালাস দেয়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তাঁকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।   

খাদঝিকুরবানোভের আইনজীবী বলেন, সাজা মওকুফ না হলে তাঁকে অন্তত ২০৩০ সাল পর্যন্ত কারাগারে থাকতে হতো। 

ক্রেমলিনের স্পষ্ট সমালোচনার জন্য সাংবাদিক পোলিৎকোভস্কায়া বেশ পরিচিত ছিলেন। এ ছাড়া তিনি চেচেন নেতা রমজান কাদিরভের ক্ষমতার অপব্যবহারের কঠোর সমালোচনা ও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উত্থান নিয়ে বই লিখেছেন। 

এ হত্যাকাণ্ডের জন্য খাদঝিকুরবানোভ ও অন্য চারজনের সাজা হলেও মানবাধিকার বিষয়ক ইউরোপীয় আদালত ২০১৮ সালে এ অপরাধের পেছনের মূল হোতাকে চিহ্নিত করায় ব্যর্থতার কারণে রুশ তদন্তকারীদের নিন্দা জানায়।      

এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সাবেক প্রেমিকাকে নৃশংসভাবে হত্যার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত এক যুবককে ইউক্রেন যুদ্ধে যাওয়ার শর্তে ক্ষমা করে দেওয়ার খবর বেশ আলোচিত হয়।  

ক্রেমলিন গত সপ্তাহে ইউক্রেন যুদ্ধে বন্দীদের ব্যবহারের কথা স্বীকার করে বলেছে, অপরাধীদের যারা ‘যুদ্ধক্ষেত্রে রক্ত দিয়ে অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত করে’ তাদের ক্ষমা করা যেতে পারে।

বন্দী অধিকার সংস্থার প্রধান ওলগা রোমানোভা বলেন, ‘রাশিয়া সম্ভবত কারাগার থেকে প্রায় ১ লাখ বন্দীকে যুদ্ধে পাঠিয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত