রাশিয়ার বিরুদ্ধে জিততে পাঁচ দফার একটি ‘বিজয় পরিকল্পনা’ প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার দেশটির পার্লামেন্টে এই পরিকল্পনা তুলে ধরেন তিনি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিত্র দেশগুলোর তরফ থেকে প্রত্যাশিত সাহায্য পেতে ব্যর্থ হওয়ার পরপরই এই পরিকল্পনা তুলে ধরলেন তিনি।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, জেলেনস্কির বিজয় পরিকল্পনায় পাঁচ দফা ছাড়াও তিনটি গোপন দফা আছে। এই দফাগুলো কেবল ইউক্রেনের মিত্রদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। পার্লামেন্টে জেলেনস্কি বলেছেন, এই প্রস্তাব রাশিয়ার সঙ্গে ভবিষ্যতে শান্তি আলোচনার পথ স্থাপন করবে এবং চলমান যুদ্ধ শেষ করতে ইউক্রেনের অবস্থানকে শক্তিশালী করবে।
জেলেনস্কি প্রস্তাবিত এই পরিকল্পনার প্রাণকেন্দ্রে আছে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা। এ ছাড়া এই পরিকল্পনায় ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা শক্তিশালীকরণ, একটি অ-পারমাণবিক কৌশলগত প্রতিরোধ প্যাকেজ বাস্তবায়ন এবং ইউক্রেনের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।
নিজ দেশের আইনপ্রণেতা ও মিত্র দেশগুলোর প্রতি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমরা যদি এখনই এই বিজয় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করি, তাহলে পরের বছরের মধ্যে যুদ্ধ শেষ করতে সক্ষম হতে পারব।’
গত সেপ্টেম্বরে হোয়াইট হাউসে সফরের সময় জেলেনস্কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে এই বিজয় পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। বাইডেন প্রশাসন সেই সফরের সময় ইউক্রেনের জন্য অতিরিক্ত সহায়তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু রাশিয়ার গভীরে আঘাত করার জন্য পশ্চিমা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি।
চলতি সপ্তাহে জেলেনস্কি জানান, তিনি এই বিজয় পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি ও জার্মানি ও ন্যাটোর নেতাদের সঙ্গে আলাপ করেছেন। কিন্তু তাঁরা কেউ সেই পরিকল্পনা সমর্থন করেছেন এমনটা জানা যায়নি। এদিকে, ইউক্রেনের বিজয় পরিকল্পনা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, প্রকৃত শান্তি পরিকল্পনা কিয়েভকে ‘সংযত করবে’ এবং এই বাস্তবতা উপলব্ধি করাবে যে, ‘তারা যে নীতি অনুসরণ করছে তা অসার।’
যা আছে এই পাঁচ দফা বিজয় পরিকল্পনায়
প্রস্তাবিত বিজয় পরিকল্পনার প্রথম দফাই হলো—ইউক্রেনের ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করা। ইউক্রেন দীর্ঘদিন ধরে এই চেষ্টা করে আসছে। তাঁর পরিকল্পনার দ্বিতীয় দফায় ইউক্রেনের প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করার রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে, আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার উন্নতি এবং রাশিয়ার অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার জন্য দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের লক্ষ্যে মিত্র দেশগুলোর অনুমতি লাভ।
জেলেনস্কির পরিকল্পনার তৃতীয় দফায় রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের অভিযান অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়েছে। কিয়েভের বিশেষজ্ঞরা বিষয়টিকে রাশিয়ার সঙ্গে দর-কষাকষির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার বলে মনে করছেন। পার্লামেন্টে জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেন রাশিয়ার দখল করা এক ইঞ্চি জমিও ছাড় দেবে না।
বিজয় পরিকল্পনার চতুর্থাংশ দফায় ইউক্রেনের মাটিতে একটি বিস্তৃত অপারমাণবিক কৌশলগত প্রতিরোধ প্যাকেজ মোতায়েন করার একটি নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা রাশিয়ার যেকোনো সামরিক হুমকি থেকে ইউক্রেনকে রক্ষা করতে যথেষ্ট হবে। তবে এ বিষয়ে তিনি কোনো বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করেননি।
পাঁচ দফার চূড়ান্ত দফা হলো ইউক্রেনের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বাড়ানো এবং যুদ্ধোত্তর পরিকল্পনার দিকে তাকানো। জেলেনস্কি যুক্তি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর শক্তি ও অভিজ্ঞতা যুদ্ধের পরে ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করতে এবং শেষ পর্যন্ত ইউরোপে নির্দিষ্ট মার্কিন বাহিনীকে প্রতিস্থাপন করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে জিততে পাঁচ দফার একটি ‘বিজয় পরিকল্পনা’ প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার দেশটির পার্লামেন্টে এই পরিকল্পনা তুলে ধরেন তিনি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিত্র দেশগুলোর তরফ থেকে প্রত্যাশিত সাহায্য পেতে ব্যর্থ হওয়ার পরপরই এই পরিকল্পনা তুলে ধরলেন তিনি।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, জেলেনস্কির বিজয় পরিকল্পনায় পাঁচ দফা ছাড়াও তিনটি গোপন দফা আছে। এই দফাগুলো কেবল ইউক্রেনের মিত্রদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। পার্লামেন্টে জেলেনস্কি বলেছেন, এই প্রস্তাব রাশিয়ার সঙ্গে ভবিষ্যতে শান্তি আলোচনার পথ স্থাপন করবে এবং চলমান যুদ্ধ শেষ করতে ইউক্রেনের অবস্থানকে শক্তিশালী করবে।
জেলেনস্কি প্রস্তাবিত এই পরিকল্পনার প্রাণকেন্দ্রে আছে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা। এ ছাড়া এই পরিকল্পনায় ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা শক্তিশালীকরণ, একটি অ-পারমাণবিক কৌশলগত প্রতিরোধ প্যাকেজ বাস্তবায়ন এবং ইউক্রেনের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।
নিজ দেশের আইনপ্রণেতা ও মিত্র দেশগুলোর প্রতি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমরা যদি এখনই এই বিজয় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করি, তাহলে পরের বছরের মধ্যে যুদ্ধ শেষ করতে সক্ষম হতে পারব।’
গত সেপ্টেম্বরে হোয়াইট হাউসে সফরের সময় জেলেনস্কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে এই বিজয় পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। বাইডেন প্রশাসন সেই সফরের সময় ইউক্রেনের জন্য অতিরিক্ত সহায়তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু রাশিয়ার গভীরে আঘাত করার জন্য পশ্চিমা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি।
চলতি সপ্তাহে জেলেনস্কি জানান, তিনি এই বিজয় পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি ও জার্মানি ও ন্যাটোর নেতাদের সঙ্গে আলাপ করেছেন। কিন্তু তাঁরা কেউ সেই পরিকল্পনা সমর্থন করেছেন এমনটা জানা যায়নি। এদিকে, ইউক্রেনের বিজয় পরিকল্পনা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, প্রকৃত শান্তি পরিকল্পনা কিয়েভকে ‘সংযত করবে’ এবং এই বাস্তবতা উপলব্ধি করাবে যে, ‘তারা যে নীতি অনুসরণ করছে তা অসার।’
যা আছে এই পাঁচ দফা বিজয় পরিকল্পনায়
প্রস্তাবিত বিজয় পরিকল্পনার প্রথম দফাই হলো—ইউক্রেনের ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করা। ইউক্রেন দীর্ঘদিন ধরে এই চেষ্টা করে আসছে। তাঁর পরিকল্পনার দ্বিতীয় দফায় ইউক্রেনের প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করার রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে, আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার উন্নতি এবং রাশিয়ার অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার জন্য দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের লক্ষ্যে মিত্র দেশগুলোর অনুমতি লাভ।
জেলেনস্কির পরিকল্পনার তৃতীয় দফায় রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের অভিযান অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়েছে। কিয়েভের বিশেষজ্ঞরা বিষয়টিকে রাশিয়ার সঙ্গে দর-কষাকষির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার বলে মনে করছেন। পার্লামেন্টে জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেন রাশিয়ার দখল করা এক ইঞ্চি জমিও ছাড় দেবে না।
বিজয় পরিকল্পনার চতুর্থাংশ দফায় ইউক্রেনের মাটিতে একটি বিস্তৃত অপারমাণবিক কৌশলগত প্রতিরোধ প্যাকেজ মোতায়েন করার একটি নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা রাশিয়ার যেকোনো সামরিক হুমকি থেকে ইউক্রেনকে রক্ষা করতে যথেষ্ট হবে। তবে এ বিষয়ে তিনি কোনো বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করেননি।
পাঁচ দফার চূড়ান্ত দফা হলো ইউক্রেনের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বাড়ানো এবং যুদ্ধোত্তর পরিকল্পনার দিকে তাকানো। জেলেনস্কি যুক্তি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর শক্তি ও অভিজ্ঞতা যুদ্ধের পরে ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করতে এবং শেষ পর্যন্ত ইউরোপে নির্দিষ্ট মার্কিন বাহিনীকে প্রতিস্থাপন করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে মন্দিরে দেয়াল ধসে অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। স্থানীয় সময় আজ বুধবার ভোরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দেয়াল ধসে পড়ার কারণ এখনো জানা যায়নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৯ মিনিট আগেভারত আগামী ২৪-৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাবে বলে দাবি করেছেন দেশটির তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে এই দাবি করেন তারার। তবে তিনি তাঁর দাবির পক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করেননি। কেবল গোয়েন্দা তথ্যের কথা বলেছেন।
২৭ মিনিট আগেভারত অভিযোগ করেছে, পাকিস্তানি সেনারা আন্তর্জাতিক সীমানা পেরিয়ে ভেতরে ঢুকে গুলি চালিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো সীমান্তে গুলি চালাল পাকিস্তানি সেনারা। পাল্টা জবাব দেওয়ারও দাবি করেছে ভারত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেকাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা ঘিরে প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন দুই দেশের নেতারা। কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে টানা পাঁচ রাতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
১০ ঘণ্টা আগে