রাশিয়ার সঙ্গে দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ শেষ করতে ‘তুলনামূলক পরিকল্পনা’ প্রস্তুত করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গতকাল শুক্রবার তিনি বলেছেন, কীভাবে চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করা যায় সে বিষয়ে একটি তুলনামূলক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন তিনি।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট নাতাশা পির্ক মুজারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জেলেনস্কি। পরে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি এই পরিকল্পনা প্রস্তুতের কথা জানান।
বর্তমান সময়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধে কোনো আলোচনা চলছে না এবং দুই দেশের প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের জেলেনস্কি যে ধরনের বক্তব্য জনসমক্ষে দিচ্ছেন তাতে মনে হচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে কোনো শান্তি আসবে এমনটা ভাবাও কষ্টকর। এই অবস্থায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্য আশার আলো হয়ে এসেছে।
কিয়েভের সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, ‘যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে আমাদের এমন একটি পরিকল্পনা প্রস্তুত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমন একটি পরিকল্পনা প্রস্তুত করতে হবে যা বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ সমর্থন করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা কূটনৈতিক পথে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
চলতি মাসের শুরুতে ইউক্রেনের জেলেনস্কি মিত্র দেশ সুইজারল্যান্ডের আয়োজনে একটি শান্তি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। এই সম্মেলনে ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোই যোগ দিয়েছিল এবং সেখানে রাশিয়াকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। মূলত ইউক্রেনের অবস্থানের প্রতি পশ্চিমাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করতেই এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল।
সুইজারল্যান্ডের জুরিখে অনুষ্ঠিত সেই সম্মেলনে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ দেশই ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার প্রতি জোর আরোপ করে। কিন্তু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ঠিক একই সময়ে দাবি করেন, ইউক্রেন যদি রাশিয়ার দখল করা অঞ্চলের দাবি ছেড়ে দেয়, তবেই শান্তি আলোচনা হতে পারে এবং তৎক্ষণাৎ যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যাবে।
তবে ইউক্রেন বারবার বলেছে, শান্তি আলোচনা শুরুর আগে রাশিয়াকে অবশ্যই ইউক্রেনের কাছ থেকে দখল করা অঞ্চল থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি ২০১৪ সালে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত ক্রিমিয়া উপদ্বীপকেও মস্কোকে ছেড়ে দিতে হবে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে জেলেনস্কি বলেন, তিনি কয়েক মাসের মধ্যে একটি ‘বিশদ পরিকল্পনা’ উপস্থাপন করবেন। ইউক্রেনের সামরিক ও বেসামরিক প্রাণহানির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের কাছে খুব বেশি সময় নেই।’
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনের রণক্ষেত্রে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবারও একটি গ্রাম দখল করেছে রুশ সেনারা। রাশিয়া বর্তমানে ইউক্রেনের এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে। বিপরীতে ইউক্রেনের সেনাসংখ্যা ক্রমেই কমে যাচ্ছে এবং অস্ত্র-গোলাবারুদও ফুরিয়ে আসছে। ফলে রণক্ষেত্রে রাশিয়ার বিপরীতে ইউক্রেন ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে।
রাশিয়ার সঙ্গে দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ শেষ করতে ‘তুলনামূলক পরিকল্পনা’ প্রস্তুত করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গতকাল শুক্রবার তিনি বলেছেন, কীভাবে চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করা যায় সে বিষয়ে একটি তুলনামূলক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন তিনি।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট নাতাশা পির্ক মুজারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জেলেনস্কি। পরে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি এই পরিকল্পনা প্রস্তুতের কথা জানান।
বর্তমান সময়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধে কোনো আলোচনা চলছে না এবং দুই দেশের প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের জেলেনস্কি যে ধরনের বক্তব্য জনসমক্ষে দিচ্ছেন তাতে মনে হচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে কোনো শান্তি আসবে এমনটা ভাবাও কষ্টকর। এই অবস্থায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্য আশার আলো হয়ে এসেছে।
কিয়েভের সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, ‘যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে আমাদের এমন একটি পরিকল্পনা প্রস্তুত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমন একটি পরিকল্পনা প্রস্তুত করতে হবে যা বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ সমর্থন করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা কূটনৈতিক পথে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
চলতি মাসের শুরুতে ইউক্রেনের জেলেনস্কি মিত্র দেশ সুইজারল্যান্ডের আয়োজনে একটি শান্তি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। এই সম্মেলনে ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোই যোগ দিয়েছিল এবং সেখানে রাশিয়াকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। মূলত ইউক্রেনের অবস্থানের প্রতি পশ্চিমাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করতেই এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল।
সুইজারল্যান্ডের জুরিখে অনুষ্ঠিত সেই সম্মেলনে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ দেশই ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার প্রতি জোর আরোপ করে। কিন্তু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ঠিক একই সময়ে দাবি করেন, ইউক্রেন যদি রাশিয়ার দখল করা অঞ্চলের দাবি ছেড়ে দেয়, তবেই শান্তি আলোচনা হতে পারে এবং তৎক্ষণাৎ যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যাবে।
তবে ইউক্রেন বারবার বলেছে, শান্তি আলোচনা শুরুর আগে রাশিয়াকে অবশ্যই ইউক্রেনের কাছ থেকে দখল করা অঞ্চল থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি ২০১৪ সালে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত ক্রিমিয়া উপদ্বীপকেও মস্কোকে ছেড়ে দিতে হবে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে জেলেনস্কি বলেন, তিনি কয়েক মাসের মধ্যে একটি ‘বিশদ পরিকল্পনা’ উপস্থাপন করবেন। ইউক্রেনের সামরিক ও বেসামরিক প্রাণহানির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের কাছে খুব বেশি সময় নেই।’
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনের রণক্ষেত্রে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবারও একটি গ্রাম দখল করেছে রুশ সেনারা। রাশিয়া বর্তমানে ইউক্রেনের এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে। বিপরীতে ইউক্রেনের সেনাসংখ্যা ক্রমেই কমে যাচ্ছে এবং অস্ত্র-গোলাবারুদও ফুরিয়ে আসছে। ফলে রণক্ষেত্রে রাশিয়ার বিপরীতে ইউক্রেন ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে।
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর দুই বৈরী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান। সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) ছয় দিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গুলির ঘটনা ঘটছে। সীমান্তে জোরদার করা হয়েছে সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি। কূটনীতিক বহিষ্কারসহ...
২ ঘণ্টা আগেইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াইয়ের জন্য ১৫ হাজার সেনাসদস্য পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। তাঁদের মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও ৪ সহস্রাধিক। সব মিলিয়ে মোট হতাহতের সংখ্যা ৪ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএসের এক গোপন...
৩ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধের ঘটনায় চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে ভারতের বিমান সংস্থাগুলো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআই বলছে, এ ঘটনায় দেশটির এয়ারলাইনসগুলোর বাড়তি খরচ মাসে ৩০৭ কোটি রুপি ছাড়িয়ে যেতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগেভারতের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, পাকিস্তান কোনো উত্তেজনা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেবে না, তবে ভারত উসকানি দিলে তার দাঁতভাঙা জবাব দেবে।
৬ ঘণ্টা আগে