আজকের পত্রিকা ডেস্ক
গত জুন মাসে হঠাৎ শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে জর্জিয়া টেইলরের। সারা শরীরে র্যাশ ওঠে আর ফুলে যায়। পায়ে ব্যথা হতে থাকে কিন্তু কী কারণে ব্যথা হচ্ছে না বুঝতে পারছিলেন না যুক্তরাজ্যের এই তরুণী। এ অবস্থায় চিকিৎসকের কাছে গেলে অ্যালার্জি ভেবে তাঁকে সে অনুযায়ী ওষুধ দেওয়া হয়। ওষুধ কাজ না করায় আরও খারাপ অবস্থা হয় তাঁর। ফের হাসপাতালে গেলেও প্রাণ নিয়ে ফেরা হয়নি ২৪ বছর বয়সী জর্জিয়ার।
প্রথমে জর্জিয়ার আঙুলে র্যাশ দেখা দিতে শুরু করে। সে সময় তিনি মনে করেছিলেন আংটির কারণে এমনটা হয়েছে। পরের মাসে তিনি দেখতে পান, মুখ ফুলে যাচ্ছে সঙ্গে চোখের নিচে ফোলাভাব দেখা যাচ্ছে। হাতেও নতুন করে র্যাশ হয়েছে।
এ অবস্থা দেখে পারিবারিক চিকিৎসকের কাছে যান জর্জিয়া। ওই চিকিৎসক এই উপসর্গগুলোকে অ্যালার্জি ভেবে সে অনুযায়ী ওষুধ দেন।
কিন্তু সেসব ওষুধ সেবনের পর জর্জিয়ার অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় স্থানীয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যান তিনি। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা অস্বাভাবিক কিছু ধরা না পড়ায় আগের ওষুধ দিয়েই তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
চলতি বছরের শুরুর দিকে পরিবারের সঙ্গে গ্রিসে বেড়াতে যান জর্জিয়া। সেখানে তাঁর ডান পায়ের পেশিতে তীব্র ব্যথা শুরু হয়, হাঁটতেও কষ্ট হচ্ছিল। মুখের ফোলাভাব কিছুটা কমলেও হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে দেখে তাঁর মা বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েন।
জর্জিয়া টেইলরের পরিবার জানায়, গত ২০ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টার দিকে চিকিৎসকের কাছে যান তিনি। এর কিছুক্ষণ পরই তাঁর মায়ের কাছে বার্তা পাঠান যে তাঁকে হাসপাতালে যেতে হবে। অ্যাম্বুলেন্সে করে জর্জিয়াকে কার্ডিফের ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল অব ওয়েলসে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই হাসপাতালে পরদিন মারা যান তিনি।
সে সময়ের কথা স্মরণ করে জর্জিয়ার মা নিকোলা বলছিলেন, ‘আমরা হাসপাতালে পৌঁছানোর পর এত দ্রুত সবকিছু ঘটছিল।’
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে লন্ডন ম্যারাথনে অংশ নিয়েছিলেন এই তরুণী। কোনো ধরনের শারীরিক অসুস্থতাও ছিল না তাঁর। টেইলরের বাবা-মা বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না এটা সত্যি। ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আমাদের শুধু মনে হয়, এটা কীভাবে ঘটল?’
প্রিয়জনদের চোখে এক অসাধারণ প্রাণবন্ত ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন জর্জিয়া। হাসিতে ঘর ভরিয়ে রাখতেন সবসময়। তাঁর মৃত্যুতে সবার মাঝে শোক নেমে আসে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর এই তরুণীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ৯০০-রও বেশি মানুষ উপস্থিত হয়ে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
জর্জিয়ার মা বলছিলেন, “ওর বন্ধুরা সবাই শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় বলেছিল, ‘তুমি জর্জিয়াকে ২৪ বছর ধরে চিনো বা মাত্র ২৪ মিনিট, ওকে না ভালোবেসে থাকা অসম্ভব ছিল। সবাই বলেছে, ও ছিল সেই মানুষ, যাকে পাশে পেলে মন শান্ত হয়ে যেত, যার সঙ্গে যেকোনো বিষয়ে কথা বলা যেত।’
জর্জিয়ার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধার পরিবর্তে ‘টু উইশ’ নামে একটি দাতব্য সংস্থায় অনুদান দেওয়ার অনুরোধ করেছে তাঁর পরিবার। ওই দাতব্য সংস্থাটি ২৫ বছর বা তাঁর কম বয়সী কোনো প্রিয়জনকে হারানো পরিবারগুলোকে সহায়তা করে।
জর্জিয়া টেইলরের মৃত্যুর কারণ এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
গত জুন মাসে হঠাৎ শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে জর্জিয়া টেইলরের। সারা শরীরে র্যাশ ওঠে আর ফুলে যায়। পায়ে ব্যথা হতে থাকে কিন্তু কী কারণে ব্যথা হচ্ছে না বুঝতে পারছিলেন না যুক্তরাজ্যের এই তরুণী। এ অবস্থায় চিকিৎসকের কাছে গেলে অ্যালার্জি ভেবে তাঁকে সে অনুযায়ী ওষুধ দেওয়া হয়। ওষুধ কাজ না করায় আরও খারাপ অবস্থা হয় তাঁর। ফের হাসপাতালে গেলেও প্রাণ নিয়ে ফেরা হয়নি ২৪ বছর বয়সী জর্জিয়ার।
প্রথমে জর্জিয়ার আঙুলে র্যাশ দেখা দিতে শুরু করে। সে সময় তিনি মনে করেছিলেন আংটির কারণে এমনটা হয়েছে। পরের মাসে তিনি দেখতে পান, মুখ ফুলে যাচ্ছে সঙ্গে চোখের নিচে ফোলাভাব দেখা যাচ্ছে। হাতেও নতুন করে র্যাশ হয়েছে।
এ অবস্থা দেখে পারিবারিক চিকিৎসকের কাছে যান জর্জিয়া। ওই চিকিৎসক এই উপসর্গগুলোকে অ্যালার্জি ভেবে সে অনুযায়ী ওষুধ দেন।
কিন্তু সেসব ওষুধ সেবনের পর জর্জিয়ার অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় স্থানীয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যান তিনি। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা অস্বাভাবিক কিছু ধরা না পড়ায় আগের ওষুধ দিয়েই তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
চলতি বছরের শুরুর দিকে পরিবারের সঙ্গে গ্রিসে বেড়াতে যান জর্জিয়া। সেখানে তাঁর ডান পায়ের পেশিতে তীব্র ব্যথা শুরু হয়, হাঁটতেও কষ্ট হচ্ছিল। মুখের ফোলাভাব কিছুটা কমলেও হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে দেখে তাঁর মা বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েন।
জর্জিয়া টেইলরের পরিবার জানায়, গত ২০ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টার দিকে চিকিৎসকের কাছে যান তিনি। এর কিছুক্ষণ পরই তাঁর মায়ের কাছে বার্তা পাঠান যে তাঁকে হাসপাতালে যেতে হবে। অ্যাম্বুলেন্সে করে জর্জিয়াকে কার্ডিফের ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল অব ওয়েলসে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই হাসপাতালে পরদিন মারা যান তিনি।
সে সময়ের কথা স্মরণ করে জর্জিয়ার মা নিকোলা বলছিলেন, ‘আমরা হাসপাতালে পৌঁছানোর পর এত দ্রুত সবকিছু ঘটছিল।’
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে লন্ডন ম্যারাথনে অংশ নিয়েছিলেন এই তরুণী। কোনো ধরনের শারীরিক অসুস্থতাও ছিল না তাঁর। টেইলরের বাবা-মা বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না এটা সত্যি। ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আমাদের শুধু মনে হয়, এটা কীভাবে ঘটল?’
প্রিয়জনদের চোখে এক অসাধারণ প্রাণবন্ত ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন জর্জিয়া। হাসিতে ঘর ভরিয়ে রাখতেন সবসময়। তাঁর মৃত্যুতে সবার মাঝে শোক নেমে আসে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর এই তরুণীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ৯০০-রও বেশি মানুষ উপস্থিত হয়ে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
জর্জিয়ার মা বলছিলেন, “ওর বন্ধুরা সবাই শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় বলেছিল, ‘তুমি জর্জিয়াকে ২৪ বছর ধরে চিনো বা মাত্র ২৪ মিনিট, ওকে না ভালোবেসে থাকা অসম্ভব ছিল। সবাই বলেছে, ও ছিল সেই মানুষ, যাকে পাশে পেলে মন শান্ত হয়ে যেত, যার সঙ্গে যেকোনো বিষয়ে কথা বলা যেত।’
জর্জিয়ার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধার পরিবর্তে ‘টু উইশ’ নামে একটি দাতব্য সংস্থায় অনুদান দেওয়ার অনুরোধ করেছে তাঁর পরিবার। ওই দাতব্য সংস্থাটি ২৫ বছর বা তাঁর কম বয়সী কোনো প্রিয়জনকে হারানো পরিবারগুলোকে সহায়তা করে।
জর্জিয়া টেইলরের মৃত্যুর কারণ এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
কয়েক বছর আগেও রাজনীতিতে তাঁর আগ্রহ ছিল না। কিন্তু প্রিয় নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য শোনার পর তিনি রাজনীতির দিকে আকৃষ্ট হন। তাঁর ভাষায়, ‘মোদিজি যুব সমাজের জন্য অনুপ্রেরণা। তাঁর নেতৃত্বে কাজ করতে পারাটা আমার সৌভাগ্য।’
১ ঘণ্টা আগেইরাকে ৩৫ হাজার বন্দীকে সাধারণ ক্ষমার মাধ্যমে কারাগার ও আটক কেন্দ্র থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। পাশাপাশি চুরি ও দুর্নীতির ৩৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেগত শনিবার রাতের প্রবল বজ্রবৃষ্টি ভারতের উত্তরের জেলাগুলোতে ভয়াবহ বিপর্যয় বয়ে এনেছে। দার্জিলিং, মিরিক, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে এখন শুধু ধস, ভাঙন আর হাহাকারের চিত্র। মাত্র ১২ ঘণ্টায় প্রায় ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কটাক্ষের কড়া জবাব দিয়েছেন সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ জানানোয় ট্রাম্পকে ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগে