মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তপ্ত এক বৈঠকের পর যুক্তরাজ্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে দেখা করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ডাউনিং স্ট্রিটে এক বৈঠক শেষে স্টারমার জানালেন, জেলেনস্কি ‘যুক্তরাজ্যের পূর্ণ সমর্থন’ পাচ্ছেন। প্রত্যুত্তরে জেলেনস্কি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তাঁর দেশ ‘এমন বন্ধু’ পেয়ে খুশি।
এ বৈঠকে জেলেনস্কি ও স্টারমার ইউক্রেনের সামরিক সরঞ্জামের জন্য ২.২৬ বিলিয়ন পাউন্ডের একটি ঋণ চুক্তি সই করেছেন। এই ঋণ রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ থেকে অর্জিত মুনাফা দিয়ে পরিশোধ করা হবে। গত অক্টোবরে এই ঋণ প্রথম ঘোষণা করা হয়েছিল।
ডাউনিং স্ট্রিট বৈঠকের পর জেলেনস্কি যুক্তরাজ্যের ‘অসাধারণ’ সমর্থনের প্রশংসা করেন, বিশেষ করে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে জব্দ করা সম্পদ থেকে অর্থায়ন করা ২.২৬ বিলিয়ন পাউন্ডের ঋণের বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই অর্থ ইউক্রেনেই অস্ত্র উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হবে এবং ঘোষণা দেন, ‘এটাই প্রকৃত ন্যায়বিচার—যে যুদ্ধ শুরু করেছে, তাকেই এর মূল্য দিতে হবে।’
শনিবারের এ বৈঠকের পর স্টারমার ট্রাম্প ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে কথা বলেন।
তবে ট্রাম্প-জেলেনস্কির উত্তপ্ত বৈঠক এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের কঠোর অবস্থানের আশঙ্কা এখন এই বৈঠকগুলোর গুরুত্বকে ছাপিয়ে গেছে।
সাম্প্রতিক সময়গুলোতে স্টারমার নিজেকে যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপ সম্পর্কের একটি সেতুবন্ধ হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন। জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের আগের দিনও তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা করেন।
স্টারমার ইউক্রেনের জন্য মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকাও পালনের চেষ্টা করছেন, বিশেষ করে দেশটি যখন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেতে চাইছে। গত শুক্রবার ট্রাম্প ও জেলেনস্কির উত্তপ্ত বাগ্বিতণ্ডার পরপরই সেদিন সন্ধ্যায় তাঁদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন স্টারমার।
গতকাল শনিবার ডাউনিং স্ট্রিটে জেলেনস্কির সফর ছিল স্টারমারের জন্য একটি সুযোগ, যেখানে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধের পরও ইউক্রেনের প্রতি তাঁর অব্যাহত সমর্থন প্রদর্শন করতে পেরেছেন।
স্টারমার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে বলেন, ‘এটি যুক্তরাজ্যের জনগণের সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ। তারা দেখাতে চায়, তারা আপনাকে এবং ইউক্রেনকে কতটা সমর্থন করে। যত দিনই লাগুক না কেন, আমরা আপনার ও ইউক্রেনের পাশে আছি। জেলেনস্কি জবাবে বলেন, ‘আমি আপনাকে ও যুক্তরাজ্যের জনগণকে ধন্যবাদ জানাই যুদ্ধের শুরু থেকেই এমন বিশাল সমর্থনের জন্য।’
মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবারের বিতর্কের পর ট্রাম্প ইউক্রেনের জন্য সহায়তা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার কথা বিবেচনা করছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, স্টারমার আজ রোববার লন্ডনে ইউরোপীয় নেতাদের একটি সম্মেলনের আয়োজন করতে চলেছেন, যেখানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ও ইউরোপের সামগ্রিক প্রতিরক্ষা নিয়ে আলোচনা হবে।
একই সময়ে ইউরোপীয় নেতারা প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, যুক্তরাজ্যের সামরিক বাহিনী বর্তমানে প্রসারিত প্রতিরক্ষার ভূমিকা গ্রহণের জন্য যথেষ্ট প্রস্তুত নয়।
এই সম্মেলনে যোগ দেবেন স্টারমার এবং জেলেনস্কির সঙ্গে থাকবেন ফ্রান্স, জার্মানি ও পোল্যান্ডের নেতারা, ইউরোপীয় কমিশন ও ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রধানেরা এবং ন্যাটোর মহাসচিব। ওভাল অফিসের বিতর্ক ইউক্রেনের সংকটাপন্ন প্রেসিডেন্টের প্রতি ইউরোপীয় মিত্রদের পক্ষ থেকে জোরালো সমর্থনের আহ্বান সৃষ্টি করেছে।
রোববারের আলোচনার প্রধান বিষয়গুলোর মধ্যে থাকবে—যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাকে সীমিত করার পর ইউরোপের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানো এবং ইউক্রেনের জন্য হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা অর্জন করা, যা যেকোনো শান্তিচুক্তির অংশ হতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তপ্ত এক বৈঠকের পর যুক্তরাজ্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে দেখা করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ডাউনিং স্ট্রিটে এক বৈঠক শেষে স্টারমার জানালেন, জেলেনস্কি ‘যুক্তরাজ্যের পূর্ণ সমর্থন’ পাচ্ছেন। প্রত্যুত্তরে জেলেনস্কি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তাঁর দেশ ‘এমন বন্ধু’ পেয়ে খুশি।
এ বৈঠকে জেলেনস্কি ও স্টারমার ইউক্রেনের সামরিক সরঞ্জামের জন্য ২.২৬ বিলিয়ন পাউন্ডের একটি ঋণ চুক্তি সই করেছেন। এই ঋণ রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ থেকে অর্জিত মুনাফা দিয়ে পরিশোধ করা হবে। গত অক্টোবরে এই ঋণ প্রথম ঘোষণা করা হয়েছিল।
ডাউনিং স্ট্রিট বৈঠকের পর জেলেনস্কি যুক্তরাজ্যের ‘অসাধারণ’ সমর্থনের প্রশংসা করেন, বিশেষ করে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে জব্দ করা সম্পদ থেকে অর্থায়ন করা ২.২৬ বিলিয়ন পাউন্ডের ঋণের বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই অর্থ ইউক্রেনেই অস্ত্র উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হবে এবং ঘোষণা দেন, ‘এটাই প্রকৃত ন্যায়বিচার—যে যুদ্ধ শুরু করেছে, তাকেই এর মূল্য দিতে হবে।’
শনিবারের এ বৈঠকের পর স্টারমার ট্রাম্প ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে কথা বলেন।
তবে ট্রাম্প-জেলেনস্কির উত্তপ্ত বৈঠক এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের কঠোর অবস্থানের আশঙ্কা এখন এই বৈঠকগুলোর গুরুত্বকে ছাপিয়ে গেছে।
সাম্প্রতিক সময়গুলোতে স্টারমার নিজেকে যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপ সম্পর্কের একটি সেতুবন্ধ হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন। জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের আগের দিনও তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা করেন।
স্টারমার ইউক্রেনের জন্য মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকাও পালনের চেষ্টা করছেন, বিশেষ করে দেশটি যখন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেতে চাইছে। গত শুক্রবার ট্রাম্প ও জেলেনস্কির উত্তপ্ত বাগ্বিতণ্ডার পরপরই সেদিন সন্ধ্যায় তাঁদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন স্টারমার।
গতকাল শনিবার ডাউনিং স্ট্রিটে জেলেনস্কির সফর ছিল স্টারমারের জন্য একটি সুযোগ, যেখানে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধের পরও ইউক্রেনের প্রতি তাঁর অব্যাহত সমর্থন প্রদর্শন করতে পেরেছেন।
স্টারমার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে বলেন, ‘এটি যুক্তরাজ্যের জনগণের সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ। তারা দেখাতে চায়, তারা আপনাকে এবং ইউক্রেনকে কতটা সমর্থন করে। যত দিনই লাগুক না কেন, আমরা আপনার ও ইউক্রেনের পাশে আছি। জেলেনস্কি জবাবে বলেন, ‘আমি আপনাকে ও যুক্তরাজ্যের জনগণকে ধন্যবাদ জানাই যুদ্ধের শুরু থেকেই এমন বিশাল সমর্থনের জন্য।’
মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবারের বিতর্কের পর ট্রাম্প ইউক্রেনের জন্য সহায়তা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার কথা বিবেচনা করছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, স্টারমার আজ রোববার লন্ডনে ইউরোপীয় নেতাদের একটি সম্মেলনের আয়োজন করতে চলেছেন, যেখানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ও ইউরোপের সামগ্রিক প্রতিরক্ষা নিয়ে আলোচনা হবে।
একই সময়ে ইউরোপীয় নেতারা প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, যুক্তরাজ্যের সামরিক বাহিনী বর্তমানে প্রসারিত প্রতিরক্ষার ভূমিকা গ্রহণের জন্য যথেষ্ট প্রস্তুত নয়।
এই সম্মেলনে যোগ দেবেন স্টারমার এবং জেলেনস্কির সঙ্গে থাকবেন ফ্রান্স, জার্মানি ও পোল্যান্ডের নেতারা, ইউরোপীয় কমিশন ও ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রধানেরা এবং ন্যাটোর মহাসচিব। ওভাল অফিসের বিতর্ক ইউক্রেনের সংকটাপন্ন প্রেসিডেন্টের প্রতি ইউরোপীয় মিত্রদের পক্ষ থেকে জোরালো সমর্থনের আহ্বান সৃষ্টি করেছে।
রোববারের আলোচনার প্রধান বিষয়গুলোর মধ্যে থাকবে—যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাকে সীমিত করার পর ইউরোপের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানো এবং ইউক্রেনের জন্য হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা অর্জন করা, যা যেকোনো শান্তিচুক্তির অংশ হতে পারে।
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা ঘিরে প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন দুই দেশের নেতারা। কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে টানা পাঁচ রাতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
৭ ঘণ্টা আগেকানাডার ফেডারেল নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির নেতৃত্বাধীন লিবারেল পার্টি প্রচারণার শেষ সপ্তাহে অপ্রত্যাশিতভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা চতুর্থবারের মতো জয়লাভ করেছে। এর মাধ্যমে দলটি আরও চার বছরের জন্য দেশটির শাসনভার গ্রহণ করতে চলেছে। এই ঐতিহাসিক জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট
৭ ঘণ্টা আগেভারতের গুজরাটে গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভোররাত থেকে সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাত পর্যন্ত ৬ হাজার ৫০০ মানুষকে আটক করেছে পুলিশ, যাদের তারা বাংলাদেশি নাগরিক বলে সন্দেহ করছে। তবে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক বিকাশ সহায় সোমবার জানিয়েছেন, নথিপত্রের ভিত্তিতে নিশ্চিতভাবে ৪৫০ জন বাংলাদেশিকে তাঁরা চিহ্নিত করতে পেরেছেন
৯ ঘণ্টা আগেউত্তর-পূর্ব চীনের একটি রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অন্তত ২২ জন নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
৯ ঘণ্টা আগে