আজকের পত্রিকা ডেস্ক
রাশিয়া শিগগিরই ইলন মাস্কের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা ‘স্টারলিংক’-এর প্রতিদ্বন্দ্বী আনবে। আধুনিক মহাকাশ দৌড়ে পিছিয়ে পড়া থেকে বের হয়ে আসার জন্যই এই উদ্যোগ। গতকাল বুধবার এমনটাই জানিয়েছেন রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থার প্রধান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
স্টারলিংকের দাবি, বর্তমানে তাদের নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্যাটেলাইট কনস্টেলেশন বা নক্ষত্রপুঞ্জ রয়েছে। কোম্পানিটির মালিকানায় ৮ হাজারেরও বেশি স্যাটেলাইট আছে। রুশ কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন, মহাকাশযান উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে মাস্ক যে বিপ্লব ঘটিয়েছেন, তা রাশিয়ার জন্য বড় ক্ষতির কারণ হয়েছে।
রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমসের প্রধান ৩৯ বছর বয়সী দিমিত্রি বাকানভ রুশ টিভি সঞ্চালক ভ্লাদিমির সলোভিওভকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন, সংস্থাটিকে এখন আর ‘জড়তা’র মধ্যে চললে হবে না, নতুন প্রজন্মের মেধাবী তরুণদের আকৃষ্ট করতে হবে।
তিনি জানান, রাশিয়া এখন স্টারলিংকের বিকল্প গড়ে তুলছে। মাস্কের স্পেসএক্স পরিচালিত স্টারলিংক নিম্ন-কক্ষপথের (লোয়ার অরবিটাল) স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেট সরবরাহ করে, যা দূরবর্তী অঞ্চল ও যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধরত ইউক্রেনীয় বাহিনীও স্টারলিংকের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করছে।
বাকানভ বলেন, ‘কয়েকটি পরীক্ষামূলক স্যাটেলাইট কক্ষপথে পাঠানো হয়েছে এবং সেগুলোর ভিত্তিতে উৎপাদিত সংস্করণে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আমরা দ্রুতগতিতেই এই পথে এগোচ্ছি।’ তিনি জানান, রুশ মহাকাশ সংস্থা ‘ব্যুরো—১৪৪০’ একটি লোয়ার অরবিটাল স্যাটেলাইট সিস্টেম তৈরি করছে, যা দিয়ে বৈশ্বিক ব্রডব্যান্ড ডেটা সরবরাহ সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়া অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছে। যেমন—২০০২ সালে মস্কো সফরে গিয়ে ইলন মাস্ক যখন মহাকাশযান উৎক্ষেপণের জন্য আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চেয়েছিলেন, রাশিয়া তখন তাকে গুরুত্বই দেয়নি।
অ্যাশলি ভ্যান্স লিখিত ইলন মাস্কের জীবনী অনুযায়ী, সে সময় রাশিয়ানরা মাস্ককে বিশ্বাসযোগ্য মনে করেনি। এই অপমানই মাস্ককে নতুন পথ খুঁজতে বাধ্য করে—যার ফলাফল হলো রাশিয়ার তুলনায় অনেক কম খরচে উৎক্ষেপণ সেবা দেওয়া।
মহাশূন্যে প্রতিযোগিতার শুরুর দিকেই পশ্চিমা বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। ১৯৫৭ সালে তারা প্রথম স্যাটেলাইট স্পুৎনিক-১ কক্ষপথে পাঠায়। এরপর ১৯৬১ সালে সোভিয়েত নভোচারী ইউরি গ্যাগারিন মহাশূন্যে পা রাখা প্রথম মানুষ হন।
কিন্তু ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পড়ার পর থেকে রাশিয়ার মহাকাশ কর্মসূচি অর্থাভাব, দুর্নীতি আর তরুণ প্রকৌশলীদের ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত অভিযোগে জর্জরিত হয়ে পড়ে। ২০২৩ সালের আগস্টে চাঁদে রাশিয়ার মানববিহীন লুনা-২৫ মিশন ভেঙে পড়ায় তাদের মহাকাশ নেতৃত্বের স্বপ্নে বড় ধাক্কা লাগে।
বাকানভ এর আগে ছিলেন ‘গোনেৎস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান, যা রাশিয়ার একটি ছোট স্যাটেলাইট যোগাযোগ ব্যবস্থা পরিচালনা করে। এসব স্যাটেলাইট মূলত সরকারি কাজে ব্যবহার করা হয়।
রাশিয়া শিগগিরই ইলন মাস্কের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা ‘স্টারলিংক’-এর প্রতিদ্বন্দ্বী আনবে। আধুনিক মহাকাশ দৌড়ে পিছিয়ে পড়া থেকে বের হয়ে আসার জন্যই এই উদ্যোগ। গতকাল বুধবার এমনটাই জানিয়েছেন রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থার প্রধান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
স্টারলিংকের দাবি, বর্তমানে তাদের নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্যাটেলাইট কনস্টেলেশন বা নক্ষত্রপুঞ্জ রয়েছে। কোম্পানিটির মালিকানায় ৮ হাজারেরও বেশি স্যাটেলাইট আছে। রুশ কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন, মহাকাশযান উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে মাস্ক যে বিপ্লব ঘটিয়েছেন, তা রাশিয়ার জন্য বড় ক্ষতির কারণ হয়েছে।
রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমসের প্রধান ৩৯ বছর বয়সী দিমিত্রি বাকানভ রুশ টিভি সঞ্চালক ভ্লাদিমির সলোভিওভকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন, সংস্থাটিকে এখন আর ‘জড়তা’র মধ্যে চললে হবে না, নতুন প্রজন্মের মেধাবী তরুণদের আকৃষ্ট করতে হবে।
তিনি জানান, রাশিয়া এখন স্টারলিংকের বিকল্প গড়ে তুলছে। মাস্কের স্পেসএক্স পরিচালিত স্টারলিংক নিম্ন-কক্ষপথের (লোয়ার অরবিটাল) স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেট সরবরাহ করে, যা দূরবর্তী অঞ্চল ও যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধরত ইউক্রেনীয় বাহিনীও স্টারলিংকের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করছে।
বাকানভ বলেন, ‘কয়েকটি পরীক্ষামূলক স্যাটেলাইট কক্ষপথে পাঠানো হয়েছে এবং সেগুলোর ভিত্তিতে উৎপাদিত সংস্করণে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আমরা দ্রুতগতিতেই এই পথে এগোচ্ছি।’ তিনি জানান, রুশ মহাকাশ সংস্থা ‘ব্যুরো—১৪৪০’ একটি লোয়ার অরবিটাল স্যাটেলাইট সিস্টেম তৈরি করছে, যা দিয়ে বৈশ্বিক ব্রডব্যান্ড ডেটা সরবরাহ সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়া অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছে। যেমন—২০০২ সালে মস্কো সফরে গিয়ে ইলন মাস্ক যখন মহাকাশযান উৎক্ষেপণের জন্য আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চেয়েছিলেন, রাশিয়া তখন তাকে গুরুত্বই দেয়নি।
অ্যাশলি ভ্যান্স লিখিত ইলন মাস্কের জীবনী অনুযায়ী, সে সময় রাশিয়ানরা মাস্ককে বিশ্বাসযোগ্য মনে করেনি। এই অপমানই মাস্ককে নতুন পথ খুঁজতে বাধ্য করে—যার ফলাফল হলো রাশিয়ার তুলনায় অনেক কম খরচে উৎক্ষেপণ সেবা দেওয়া।
মহাশূন্যে প্রতিযোগিতার শুরুর দিকেই পশ্চিমা বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। ১৯৫৭ সালে তারা প্রথম স্যাটেলাইট স্পুৎনিক-১ কক্ষপথে পাঠায়। এরপর ১৯৬১ সালে সোভিয়েত নভোচারী ইউরি গ্যাগারিন মহাশূন্যে পা রাখা প্রথম মানুষ হন।
কিন্তু ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পড়ার পর থেকে রাশিয়ার মহাকাশ কর্মসূচি অর্থাভাব, দুর্নীতি আর তরুণ প্রকৌশলীদের ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত অভিযোগে জর্জরিত হয়ে পড়ে। ২০২৩ সালের আগস্টে চাঁদে রাশিয়ার মানববিহীন লুনা-২৫ মিশন ভেঙে পড়ায় তাদের মহাকাশ নেতৃত্বের স্বপ্নে বড় ধাক্কা লাগে।
বাকানভ এর আগে ছিলেন ‘গোনেৎস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান, যা রাশিয়ার একটি ছোট স্যাটেলাইট যোগাযোগ ব্যবস্থা পরিচালনা করে। এসব স্যাটেলাইট মূলত সরকারি কাজে ব্যবহার করা হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফরের প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল লন্ডন। গতকাল বুধবার রাজধানীর রাজপথে নেমে আসে কয়েক হাজার মানুষ। যদিও রাজধানী থেকে পশ্চিমে উইন্ডসর ক্যাসেলের বাইরে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে অপেক্ষাকৃত ছোট একটি ভিড়ও জড়ো হয়েছিল।
২৮ মিনিট আগেভারতের মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়গুলোতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শৈশব জীবন নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়গুলোতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত এই চলচ্চিত্রটি দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন থেকে
২ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় উপস্থাপক ও কমেডিয়ান জিমি কিমেলের লেট নাইট টক শো ‘জিমি কিমেল লাইভ’-এর সম্প্রচার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে ডিজনি মালিকানাধীন টেলিভিশন চ্যানেল এবিসি। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ রক্ষণশীল রাজনৈতিক কর্মী ও বিতার্কিক চার্লি কার্কের সন্দেহভাজন হত্যাকারীকে ঘিরে কিমেলের সাম্প্রতিক মন্তব্যের পর এ সিদ্
৩ ঘণ্টা আগেসিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে নিরাপত্তা সংক্রান্ত আলোচনাকে ‘জরুরি’ হিসেবে দেখা হচ্ছে এবং আগামী ‘কয়েক দিনের মধ্যে’ এই আলোচনার ফলাফল প্রকাশিত হতে পারে। গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এই মন্তব্য করেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে