Ajker Patrika

ইউক্রেনে ন্যাটো সৈন্য পাঠানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না মাখোঁ

আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১: ৫০
ইউক্রেনে ন্যাটো সৈন্য পাঠানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না মাখোঁ

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বলেছেন, রাশিয়ার বিপরীতে লড়াইরত ইউক্রেনে ন্যাটো সৈন্য পাঠানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। গতকাল সোমবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে এক সংবাদ সম্মেলনে মাখোঁ এ কথা বলেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

প্যারিসে ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়ার জন্য ইউরোপীয় নেতাদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠক শেষে মাখোঁ এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘অফিশিয়ালি এখনো সেখানে (ইউক্রেনে) সেনা পাঠানোর বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঐকমত্য হয়নি...তবে সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাশিয়া যেন এই যুদ্ধে না জিততে পারে, তা নিশ্চিত করতে যা যা করা প্রয়োজন আমরা করব।’ 

ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘রাশিয়ার পরাজয় ইউরোপের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য।’ এ সময় তিনি নিশ্চিত করেন যে, ইউক্রেনে পশ্চিমা বিশ্বের সেনা পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে উন্মুক্ত ও সরাসরি আলোচনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘সেনা পাঠানোর বিষয়টি যদি কার্যকর হবে বলে মনে করা হয়, সে ক্ষেত্রে সবই সম্ভব।’

স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো সম্মেলনে প্রথমবারের মতো বিষয়টি উত্থাপন করেন। প্যারিস সম্মেলন শুরুর আগে রবার্ট ফিকো একটি ‘গোপন নথির’ কথা জানিয়েছিলেন। সেখানে বলা হয়েছিল, ন্যাটো সামরিক জোট ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি সদস্য দেশ দ্বিপক্ষীয় বিবেচনায় ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে। 

এদিকে, পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রদোস্লাভ সিকোরস্কি জানিয়েছেন, বিশ্বমঞ্চে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসযোগ্যতা হুমকির মুখে। মার্কিন কংগ্রেস যদি ইউক্রেনে সহায়তা বিল পাসে ব্যর্থ হয়, তবে বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলবে। 

সিএনএনের সাংবাদিক ফরিদ জাকারিয়ার টক শো ‘ফরিদ জাকারিয়া জিপিএস’-এ রদোস্লাভ সিকোরস্কি বলেন, অস্ত্র ও গোলাবারুদের সংকটের কারণে ইউক্রেন রণক্ষেত্রে বর্তমানে নিজেদের কেবল রক্ষা করে যাচ্ছে এবং পরাজয় বরণ করছে।

পোলিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা অস্ত্রের সংকটে ভুগছে। আভদিভকার আশপাশে তাদের পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয় যে তাদের গোলাবারুদ কমে আট ভাগের এক ভাগে নেমে এসেছে।’ এ সময় তিনি রণক্ষেত্রে ইউক্রেনের এই অবস্থার জন্য রিপাবলিকান পার্টিকে দায়ী করেছেন।

তবে মার্কিন তহবিল ছাড়ের বিষয়ে মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার মাইক জনসনের কাছে তাঁর বার্তা কী হবে জানতে চাইলে সিকোরস্কি বলেন, ‘আমি বলব...এটি ইউক্রেনের ভাগ্য, এটি ইউক্রেনের নির্যাতিত মানুষের ভবিষ্যৎ, যারা আপনার দেশের কাছে সহায়তা চায়। তবে এটি একই সঙ্গে আপনার দেশের বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্নও।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত