
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের শিক্ষানীতির সমালোচনাকারী শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের ওপর নজরদারি করছে যুক্তরাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অন্তত ৯ জন বিশেষজ্ঞ তাঁদের ওপর নজরদারির নথিপত্র জোগাড় করেছেন। কারও কারও ক্ষেত্রে এই নথির আকার প্রায় ৬০ পৃষ্ঠা। এর মধ্যে এক বিশেষজ্ঞ কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেন, তার বিস্তারিত উল্লেখসহ বড় একটি এক্সেল স্প্রেডশিট পেয়েছেন।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের অনুসন্ধানী বিভাগ অবজারভার এসব নথিপত্র প্রকাশ করেছে।
একটি শিক্ষা সম্মেলনের দুজন পূর্বনির্ধারিত বিশেষজ্ঞ বক্তা সরকারের শিক্ষানীতির সমালোচক হওয়ায় সেই সম্মেলনই বাতিল করে দিয়েছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
প্রারম্ভিক শৈশবের ওপর লেখা সর্বাধিক বিক্রীত বইয়ের সহলেখক রুথ সোয়েইলস ও অ্যারন ব্র্যাডবারি গত মার্চে সরকারি অর্থায়নে আয়োজিত এক সম্মেলনে অভিভাবক ও নার্সারি কর্মীদের উদ্দেশে বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল। তবে সম্মেলনের কয়েক দিন আগেই আয়োজকেরা জানান, তাঁরা প্রধান বক্তা হিসেবে অনুপযুক্ত হওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মেলনটি বাতিল করে দিয়েছে।
শেষ পর্যন্ত সোয়েইলস ও ব্র্যাডবারি আইনি পদক্ষেপের হুমকি দেওয়ার পর সম্মেলনটি আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়। যদিও তাঁরা বক্তব্যে কী বলেন, তার ওপর নজরদারি করার জন্য একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
নটিংহাম ট্রেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রারম্ভিক শৈশব বিষয়ের প্রধান প্রভাষক ব্র্যাডবারি দ্য অবজারভারকে বলেন, ‘আমি আয়োজকদের কাছ থেকে একটা ফোনকল পাই, যেখানে আমাকে বলা হয়, আমরা বক্তা হওয়ার কারণে কিছু উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। আমরা সরকারি নীতির সমালোচনা করায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের অনুপযুক্ত বলে মনে করে।’
ব্র্যাডবারি বলেন, ‘এ আলোচনায় অংশ নিতে পারব না শোনার পর মনে হয়েছিল আমরা স্বৈরতন্ত্রে আছি, গণতন্ত্রে নয়। সেখানে আমাদের লালনপালন ও প্রারম্ভিক শিশু বিকাশ নিয়ে আলোচনা করার কথা, সেটি রাশিয়ার অভিযান নিয়ে গোপন কোনো আলোচনা তো নয়!’
সোয়েইলস একজন স্বাধীন পরামর্শদাতা। তিনি স্কুল ও নার্সারিগুলোয় শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষাদানের বিষয়ে পরামর্শ দেন। তাঁর ওপর নজরদারির খবরে তিনি এতটাই অবাক হন যে, পরে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাঁর ওপর কোনো নথি তৈরি করে থাকলে তা প্রকাশ করার দাবি জানান আবেদনে।
এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত গ্রীষ্মের শেষে সোয়েইলস জানতে পারেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাঁর ওপর নজরদারির নথি তৈরি করেছে। এই নথিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্তরাজ্যের স্কুলগুলোর পরিদর্শক প্রতিষ্ঠান অফস্টেডের বিরুদ্ধে তাঁর সমালোচনামূলক পোস্টের তালিকা দেওয়া ছিল। এ ছাড়া শিশুদের শেখানোর জন্য সরকারের নির্দেশনা প্রচার না করে শিক্ষাবিদদের লেখা নির্দেশনামূলক পোস্ট দেওয়া ‘লাইক’ সংখ্যার তথ্যও সেই নথিতে উল্লেখ ছিল।
সোয়েইলস বলেন, ‘তারা আমাকে চুপ করিয়ে দিতে চেয়েছে। তারা যা করেছে তাতে আমার আয়-উপার্জন বন্ধ করে দিতে পারত এবং এখনো বন্ধ করতে পারে।’
সোয়েইলসের পর আরও অনেক শিক্ষাবিদ তাঁদের ওপর নজরদারির নথি প্রকাশের আবেদন করেন। এসব আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অন্তত ৯ জন শিক্ষাবিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের কর্মকাণ্ড এবং তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গির ওপর তৈরি ‘অতি দীর্ঘ’ নথি হাতে পান। কয়েকজন প্রধান শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় ব্যক্তিত্ব এখনো তাঁদের ওপর তৈরি নথি হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন।
লিডস ট্রিনিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও শিক্ষা মনস্তত্ত্ববিদ ড. প্যাম জারভিস বলেন, তাঁর আবেদনের পর তাঁকে ৪০ পৃষ্ঠার এক দীর্ঘ নথি পাঠানো হয়েছে। এই নথিতে কর্মকর্তারা তাঁর টুইট, বিশেষ করে চার বছর বয়সী শিশুদের স্কুলের প্রাথমিক বছরের বেসলাইন মূল্যায়নের জন্য সরকারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের সমালোচনার কথা উল্লেখ রয়েছে।
প্যাম বলেন, ‘আমার ওপর নজরদারির বিষয়টি আমাকে বেশ ক্ষুব্ধ করেছে। এখন আমার এ কাজ আরও বেশি করে চালিয়ে যেতে হবে। তাদের জানা উচিত, আমি আমৃত্যু এভাবেই কথা বলে যাব।’
আধুনিক ভাষা বিশেষজ্ঞ কারমেল ও’হ্যাগান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে একটি ই-মেইল বার্তা পান। বার্তায় তাঁর বিরুদ্ধে টুইটারে নিজস্ব মতামত চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। এ ছাড়া তিনি একটি এক্সেল স্প্রেডশিট পান, যেখানে তিনি কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তা উল্লেখ করা ছিল। ৩৭ পৃষ্ঠার এই নথিতে তাঁকে নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের ই-মেইল বার্তাকে ‘শিশুসুলভ ও আক্রোশপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেছেন কারমেল ও’হ্যাগান।
এ বিষয়ে জটিল প্রায়োগিক ভাষাতত্ত্বের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ড. ইয়ান কুশিং বলেন, ‘আমার কাছে যে বিষয়টি সবচেয়ে উদ্বেগজনক মনে হচ্ছে তা হলো, সরকার এমন সময় নজরদারি প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সময় ও অর্থ অপচয় করেছে, যখন স্কুলগুলো অর্থনৈতিক দুর্দশা ও জীবনযাত্রার ব্য়য় নিয়ে সংকটে রয়েছে।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয় কেন সমালোচকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষাবিদদের কর্মকাণ্ডের ওপর নজরদারি করছে এবং সেই সবের নথিপত্র সংরক্ষণ করেছে—দ্য অবজারভারের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হলে তার কোনো জবাব কেউ দেননি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের শিক্ষানীতির সমালোচনাকারী শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের ওপর নজরদারি করছে যুক্তরাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অন্তত ৯ জন বিশেষজ্ঞ তাঁদের ওপর নজরদারির নথিপত্র জোগাড় করেছেন। কারও কারও ক্ষেত্রে এই নথির আকার প্রায় ৬০ পৃষ্ঠা। এর মধ্যে এক বিশেষজ্ঞ কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেন, তার বিস্তারিত উল্লেখসহ বড় একটি এক্সেল স্প্রেডশিট পেয়েছেন।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের অনুসন্ধানী বিভাগ অবজারভার এসব নথিপত্র প্রকাশ করেছে।
একটি শিক্ষা সম্মেলনের দুজন পূর্বনির্ধারিত বিশেষজ্ঞ বক্তা সরকারের শিক্ষানীতির সমালোচক হওয়ায় সেই সম্মেলনই বাতিল করে দিয়েছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
প্রারম্ভিক শৈশবের ওপর লেখা সর্বাধিক বিক্রীত বইয়ের সহলেখক রুথ সোয়েইলস ও অ্যারন ব্র্যাডবারি গত মার্চে সরকারি অর্থায়নে আয়োজিত এক সম্মেলনে অভিভাবক ও নার্সারি কর্মীদের উদ্দেশে বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল। তবে সম্মেলনের কয়েক দিন আগেই আয়োজকেরা জানান, তাঁরা প্রধান বক্তা হিসেবে অনুপযুক্ত হওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মেলনটি বাতিল করে দিয়েছে।
শেষ পর্যন্ত সোয়েইলস ও ব্র্যাডবারি আইনি পদক্ষেপের হুমকি দেওয়ার পর সম্মেলনটি আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়। যদিও তাঁরা বক্তব্যে কী বলেন, তার ওপর নজরদারি করার জন্য একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
নটিংহাম ট্রেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রারম্ভিক শৈশব বিষয়ের প্রধান প্রভাষক ব্র্যাডবারি দ্য অবজারভারকে বলেন, ‘আমি আয়োজকদের কাছ থেকে একটা ফোনকল পাই, যেখানে আমাকে বলা হয়, আমরা বক্তা হওয়ার কারণে কিছু উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। আমরা সরকারি নীতির সমালোচনা করায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের অনুপযুক্ত বলে মনে করে।’
ব্র্যাডবারি বলেন, ‘এ আলোচনায় অংশ নিতে পারব না শোনার পর মনে হয়েছিল আমরা স্বৈরতন্ত্রে আছি, গণতন্ত্রে নয়। সেখানে আমাদের লালনপালন ও প্রারম্ভিক শিশু বিকাশ নিয়ে আলোচনা করার কথা, সেটি রাশিয়ার অভিযান নিয়ে গোপন কোনো আলোচনা তো নয়!’
সোয়েইলস একজন স্বাধীন পরামর্শদাতা। তিনি স্কুল ও নার্সারিগুলোয় শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষাদানের বিষয়ে পরামর্শ দেন। তাঁর ওপর নজরদারির খবরে তিনি এতটাই অবাক হন যে, পরে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাঁর ওপর কোনো নথি তৈরি করে থাকলে তা প্রকাশ করার দাবি জানান আবেদনে।
এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত গ্রীষ্মের শেষে সোয়েইলস জানতে পারেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাঁর ওপর নজরদারির নথি তৈরি করেছে। এই নথিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্তরাজ্যের স্কুলগুলোর পরিদর্শক প্রতিষ্ঠান অফস্টেডের বিরুদ্ধে তাঁর সমালোচনামূলক পোস্টের তালিকা দেওয়া ছিল। এ ছাড়া শিশুদের শেখানোর জন্য সরকারের নির্দেশনা প্রচার না করে শিক্ষাবিদদের লেখা নির্দেশনামূলক পোস্ট দেওয়া ‘লাইক’ সংখ্যার তথ্যও সেই নথিতে উল্লেখ ছিল।
সোয়েইলস বলেন, ‘তারা আমাকে চুপ করিয়ে দিতে চেয়েছে। তারা যা করেছে তাতে আমার আয়-উপার্জন বন্ধ করে দিতে পারত এবং এখনো বন্ধ করতে পারে।’
সোয়েইলসের পর আরও অনেক শিক্ষাবিদ তাঁদের ওপর নজরদারির নথি প্রকাশের আবেদন করেন। এসব আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অন্তত ৯ জন শিক্ষাবিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের কর্মকাণ্ড এবং তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গির ওপর তৈরি ‘অতি দীর্ঘ’ নথি হাতে পান। কয়েকজন প্রধান শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় ব্যক্তিত্ব এখনো তাঁদের ওপর তৈরি নথি হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন।
লিডস ট্রিনিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও শিক্ষা মনস্তত্ত্ববিদ ড. প্যাম জারভিস বলেন, তাঁর আবেদনের পর তাঁকে ৪০ পৃষ্ঠার এক দীর্ঘ নথি পাঠানো হয়েছে। এই নথিতে কর্মকর্তারা তাঁর টুইট, বিশেষ করে চার বছর বয়সী শিশুদের স্কুলের প্রাথমিক বছরের বেসলাইন মূল্যায়নের জন্য সরকারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের সমালোচনার কথা উল্লেখ রয়েছে।
প্যাম বলেন, ‘আমার ওপর নজরদারির বিষয়টি আমাকে বেশ ক্ষুব্ধ করেছে। এখন আমার এ কাজ আরও বেশি করে চালিয়ে যেতে হবে। তাদের জানা উচিত, আমি আমৃত্যু এভাবেই কথা বলে যাব।’
আধুনিক ভাষা বিশেষজ্ঞ কারমেল ও’হ্যাগান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে একটি ই-মেইল বার্তা পান। বার্তায় তাঁর বিরুদ্ধে টুইটারে নিজস্ব মতামত চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। এ ছাড়া তিনি একটি এক্সেল স্প্রেডশিট পান, যেখানে তিনি কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তা উল্লেখ করা ছিল। ৩৭ পৃষ্ঠার এই নথিতে তাঁকে নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের ই-মেইল বার্তাকে ‘শিশুসুলভ ও আক্রোশপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেছেন কারমেল ও’হ্যাগান।
এ বিষয়ে জটিল প্রায়োগিক ভাষাতত্ত্বের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ড. ইয়ান কুশিং বলেন, ‘আমার কাছে যে বিষয়টি সবচেয়ে উদ্বেগজনক মনে হচ্ছে তা হলো, সরকার এমন সময় নজরদারি প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সময় ও অর্থ অপচয় করেছে, যখন স্কুলগুলো অর্থনৈতিক দুর্দশা ও জীবনযাত্রার ব্য়য় নিয়ে সংকটে রয়েছে।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয় কেন সমালোচকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষাবিদদের কর্মকাণ্ডের ওপর নজরদারি করছে এবং সেই সবের নথিপত্র সংরক্ষণ করেছে—দ্য অবজারভারের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হলে তার কোনো জবাব কেউ দেননি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের শিক্ষানীতির সমালোচনাকারী শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের ওপর নজরদারি করছে যুক্তরাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অন্তত ৯ জন বিশেষজ্ঞ তাঁদের ওপর নজরদারির নথিপত্র জোগাড় করেছেন। কারও কারও ক্ষেত্রে এই নথির আকার প্রায় ৬০ পৃষ্ঠা। এর মধ্যে এক বিশেষজ্ঞ কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেন, তার বিস্তারিত উল্লেখসহ বড় একটি এক্সেল স্প্রেডশিট পেয়েছেন।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের অনুসন্ধানী বিভাগ অবজারভার এসব নথিপত্র প্রকাশ করেছে।
একটি শিক্ষা সম্মেলনের দুজন পূর্বনির্ধারিত বিশেষজ্ঞ বক্তা সরকারের শিক্ষানীতির সমালোচক হওয়ায় সেই সম্মেলনই বাতিল করে দিয়েছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
প্রারম্ভিক শৈশবের ওপর লেখা সর্বাধিক বিক্রীত বইয়ের সহলেখক রুথ সোয়েইলস ও অ্যারন ব্র্যাডবারি গত মার্চে সরকারি অর্থায়নে আয়োজিত এক সম্মেলনে অভিভাবক ও নার্সারি কর্মীদের উদ্দেশে বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল। তবে সম্মেলনের কয়েক দিন আগেই আয়োজকেরা জানান, তাঁরা প্রধান বক্তা হিসেবে অনুপযুক্ত হওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মেলনটি বাতিল করে দিয়েছে।
শেষ পর্যন্ত সোয়েইলস ও ব্র্যাডবারি আইনি পদক্ষেপের হুমকি দেওয়ার পর সম্মেলনটি আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়। যদিও তাঁরা বক্তব্যে কী বলেন, তার ওপর নজরদারি করার জন্য একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
নটিংহাম ট্রেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রারম্ভিক শৈশব বিষয়ের প্রধান প্রভাষক ব্র্যাডবারি দ্য অবজারভারকে বলেন, ‘আমি আয়োজকদের কাছ থেকে একটা ফোনকল পাই, যেখানে আমাকে বলা হয়, আমরা বক্তা হওয়ার কারণে কিছু উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। আমরা সরকারি নীতির সমালোচনা করায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের অনুপযুক্ত বলে মনে করে।’
ব্র্যাডবারি বলেন, ‘এ আলোচনায় অংশ নিতে পারব না শোনার পর মনে হয়েছিল আমরা স্বৈরতন্ত্রে আছি, গণতন্ত্রে নয়। সেখানে আমাদের লালনপালন ও প্রারম্ভিক শিশু বিকাশ নিয়ে আলোচনা করার কথা, সেটি রাশিয়ার অভিযান নিয়ে গোপন কোনো আলোচনা তো নয়!’
সোয়েইলস একজন স্বাধীন পরামর্শদাতা। তিনি স্কুল ও নার্সারিগুলোয় শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষাদানের বিষয়ে পরামর্শ দেন। তাঁর ওপর নজরদারির খবরে তিনি এতটাই অবাক হন যে, পরে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাঁর ওপর কোনো নথি তৈরি করে থাকলে তা প্রকাশ করার দাবি জানান আবেদনে।
এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত গ্রীষ্মের শেষে সোয়েইলস জানতে পারেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাঁর ওপর নজরদারির নথি তৈরি করেছে। এই নথিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্তরাজ্যের স্কুলগুলোর পরিদর্শক প্রতিষ্ঠান অফস্টেডের বিরুদ্ধে তাঁর সমালোচনামূলক পোস্টের তালিকা দেওয়া ছিল। এ ছাড়া শিশুদের শেখানোর জন্য সরকারের নির্দেশনা প্রচার না করে শিক্ষাবিদদের লেখা নির্দেশনামূলক পোস্ট দেওয়া ‘লাইক’ সংখ্যার তথ্যও সেই নথিতে উল্লেখ ছিল।
সোয়েইলস বলেন, ‘তারা আমাকে চুপ করিয়ে দিতে চেয়েছে। তারা যা করেছে তাতে আমার আয়-উপার্জন বন্ধ করে দিতে পারত এবং এখনো বন্ধ করতে পারে।’
সোয়েইলসের পর আরও অনেক শিক্ষাবিদ তাঁদের ওপর নজরদারির নথি প্রকাশের আবেদন করেন। এসব আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অন্তত ৯ জন শিক্ষাবিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের কর্মকাণ্ড এবং তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গির ওপর তৈরি ‘অতি দীর্ঘ’ নথি হাতে পান। কয়েকজন প্রধান শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় ব্যক্তিত্ব এখনো তাঁদের ওপর তৈরি নথি হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন।
লিডস ট্রিনিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও শিক্ষা মনস্তত্ত্ববিদ ড. প্যাম জারভিস বলেন, তাঁর আবেদনের পর তাঁকে ৪০ পৃষ্ঠার এক দীর্ঘ নথি পাঠানো হয়েছে। এই নথিতে কর্মকর্তারা তাঁর টুইট, বিশেষ করে চার বছর বয়সী শিশুদের স্কুলের প্রাথমিক বছরের বেসলাইন মূল্যায়নের জন্য সরকারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের সমালোচনার কথা উল্লেখ রয়েছে।
প্যাম বলেন, ‘আমার ওপর নজরদারির বিষয়টি আমাকে বেশ ক্ষুব্ধ করেছে। এখন আমার এ কাজ আরও বেশি করে চালিয়ে যেতে হবে। তাদের জানা উচিত, আমি আমৃত্যু এভাবেই কথা বলে যাব।’
আধুনিক ভাষা বিশেষজ্ঞ কারমেল ও’হ্যাগান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে একটি ই-মেইল বার্তা পান। বার্তায় তাঁর বিরুদ্ধে টুইটারে নিজস্ব মতামত চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। এ ছাড়া তিনি একটি এক্সেল স্প্রেডশিট পান, যেখানে তিনি কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তা উল্লেখ করা ছিল। ৩৭ পৃষ্ঠার এই নথিতে তাঁকে নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের ই-মেইল বার্তাকে ‘শিশুসুলভ ও আক্রোশপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেছেন কারমেল ও’হ্যাগান।
এ বিষয়ে জটিল প্রায়োগিক ভাষাতত্ত্বের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ড. ইয়ান কুশিং বলেন, ‘আমার কাছে যে বিষয়টি সবচেয়ে উদ্বেগজনক মনে হচ্ছে তা হলো, সরকার এমন সময় নজরদারি প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সময় ও অর্থ অপচয় করেছে, যখন স্কুলগুলো অর্থনৈতিক দুর্দশা ও জীবনযাত্রার ব্য়য় নিয়ে সংকটে রয়েছে।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয় কেন সমালোচকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষাবিদদের কর্মকাণ্ডের ওপর নজরদারি করছে এবং সেই সবের নথিপত্র সংরক্ষণ করেছে—দ্য অবজারভারের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হলে তার কোনো জবাব কেউ দেননি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের শিক্ষানীতির সমালোচনাকারী শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের ওপর নজরদারি করছে যুক্তরাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অন্তত ৯ জন বিশেষজ্ঞ তাঁদের ওপর নজরদারির নথিপত্র জোগাড় করেছেন। কারও কারও ক্ষেত্রে এই নথির আকার প্রায় ৬০ পৃষ্ঠা। এর মধ্যে এক বিশেষজ্ঞ কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেন, তার বিস্তারিত উল্লেখসহ বড় একটি এক্সেল স্প্রেডশিট পেয়েছেন।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের অনুসন্ধানী বিভাগ অবজারভার এসব নথিপত্র প্রকাশ করেছে।
একটি শিক্ষা সম্মেলনের দুজন পূর্বনির্ধারিত বিশেষজ্ঞ বক্তা সরকারের শিক্ষানীতির সমালোচক হওয়ায় সেই সম্মেলনই বাতিল করে দিয়েছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
প্রারম্ভিক শৈশবের ওপর লেখা সর্বাধিক বিক্রীত বইয়ের সহলেখক রুথ সোয়েইলস ও অ্যারন ব্র্যাডবারি গত মার্চে সরকারি অর্থায়নে আয়োজিত এক সম্মেলনে অভিভাবক ও নার্সারি কর্মীদের উদ্দেশে বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল। তবে সম্মেলনের কয়েক দিন আগেই আয়োজকেরা জানান, তাঁরা প্রধান বক্তা হিসেবে অনুপযুক্ত হওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মেলনটি বাতিল করে দিয়েছে।
শেষ পর্যন্ত সোয়েইলস ও ব্র্যাডবারি আইনি পদক্ষেপের হুমকি দেওয়ার পর সম্মেলনটি আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়। যদিও তাঁরা বক্তব্যে কী বলেন, তার ওপর নজরদারি করার জন্য একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
নটিংহাম ট্রেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রারম্ভিক শৈশব বিষয়ের প্রধান প্রভাষক ব্র্যাডবারি দ্য অবজারভারকে বলেন, ‘আমি আয়োজকদের কাছ থেকে একটা ফোনকল পাই, যেখানে আমাকে বলা হয়, আমরা বক্তা হওয়ার কারণে কিছু উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। আমরা সরকারি নীতির সমালোচনা করায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের অনুপযুক্ত বলে মনে করে।’
ব্র্যাডবারি বলেন, ‘এ আলোচনায় অংশ নিতে পারব না শোনার পর মনে হয়েছিল আমরা স্বৈরতন্ত্রে আছি, গণতন্ত্রে নয়। সেখানে আমাদের লালনপালন ও প্রারম্ভিক শিশু বিকাশ নিয়ে আলোচনা করার কথা, সেটি রাশিয়ার অভিযান নিয়ে গোপন কোনো আলোচনা তো নয়!’
সোয়েইলস একজন স্বাধীন পরামর্শদাতা। তিনি স্কুল ও নার্সারিগুলোয় শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষাদানের বিষয়ে পরামর্শ দেন। তাঁর ওপর নজরদারির খবরে তিনি এতটাই অবাক হন যে, পরে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাঁর ওপর কোনো নথি তৈরি করে থাকলে তা প্রকাশ করার দাবি জানান আবেদনে।
এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত গ্রীষ্মের শেষে সোয়েইলস জানতে পারেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাঁর ওপর নজরদারির নথি তৈরি করেছে। এই নথিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্তরাজ্যের স্কুলগুলোর পরিদর্শক প্রতিষ্ঠান অফস্টেডের বিরুদ্ধে তাঁর সমালোচনামূলক পোস্টের তালিকা দেওয়া ছিল। এ ছাড়া শিশুদের শেখানোর জন্য সরকারের নির্দেশনা প্রচার না করে শিক্ষাবিদদের লেখা নির্দেশনামূলক পোস্ট দেওয়া ‘লাইক’ সংখ্যার তথ্যও সেই নথিতে উল্লেখ ছিল।
সোয়েইলস বলেন, ‘তারা আমাকে চুপ করিয়ে দিতে চেয়েছে। তারা যা করেছে তাতে আমার আয়-উপার্জন বন্ধ করে দিতে পারত এবং এখনো বন্ধ করতে পারে।’
সোয়েইলসের পর আরও অনেক শিক্ষাবিদ তাঁদের ওপর নজরদারির নথি প্রকাশের আবেদন করেন। এসব আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অন্তত ৯ জন শিক্ষাবিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের কর্মকাণ্ড এবং তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গির ওপর তৈরি ‘অতি দীর্ঘ’ নথি হাতে পান। কয়েকজন প্রধান শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় ব্যক্তিত্ব এখনো তাঁদের ওপর তৈরি নথি হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন।
লিডস ট্রিনিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও শিক্ষা মনস্তত্ত্ববিদ ড. প্যাম জারভিস বলেন, তাঁর আবেদনের পর তাঁকে ৪০ পৃষ্ঠার এক দীর্ঘ নথি পাঠানো হয়েছে। এই নথিতে কর্মকর্তারা তাঁর টুইট, বিশেষ করে চার বছর বয়সী শিশুদের স্কুলের প্রাথমিক বছরের বেসলাইন মূল্যায়নের জন্য সরকারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের সমালোচনার কথা উল্লেখ রয়েছে।
প্যাম বলেন, ‘আমার ওপর নজরদারির বিষয়টি আমাকে বেশ ক্ষুব্ধ করেছে। এখন আমার এ কাজ আরও বেশি করে চালিয়ে যেতে হবে। তাদের জানা উচিত, আমি আমৃত্যু এভাবেই কথা বলে যাব।’
আধুনিক ভাষা বিশেষজ্ঞ কারমেল ও’হ্যাগান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে একটি ই-মেইল বার্তা পান। বার্তায় তাঁর বিরুদ্ধে টুইটারে নিজস্ব মতামত চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। এ ছাড়া তিনি একটি এক্সেল স্প্রেডশিট পান, যেখানে তিনি কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তা উল্লেখ করা ছিল। ৩৭ পৃষ্ঠার এই নথিতে তাঁকে নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের ই-মেইল বার্তাকে ‘শিশুসুলভ ও আক্রোশপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেছেন কারমেল ও’হ্যাগান।
এ বিষয়ে জটিল প্রায়োগিক ভাষাতত্ত্বের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ড. ইয়ান কুশিং বলেন, ‘আমার কাছে যে বিষয়টি সবচেয়ে উদ্বেগজনক মনে হচ্ছে তা হলো, সরকার এমন সময় নজরদারি প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সময় ও অর্থ অপচয় করেছে, যখন স্কুলগুলো অর্থনৈতিক দুর্দশা ও জীবনযাত্রার ব্য়য় নিয়ে সংকটে রয়েছে।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয় কেন সমালোচকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষাবিদদের কর্মকাণ্ডের ওপর নজরদারি করছে এবং সেই সবের নথিপত্র সংরক্ষণ করেছে—দ্য অবজারভারের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হলে তার কোনো জবাব কেউ দেননি।

ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা। শহরটির বাতাসের মান ‘সিভিয়ার বা গুরুতর’ শ্রেণিতেই আটকে আছে বেশ কয়েক দিন ধরে। আজ রোববার সকালের ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি) জানায়, সকাল ৬টায় দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই ছিল ৪৬২।
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা। শহরটির বাতাসের মান ‘সিভিয়ার বা গুরুতর’ শ্রেণিতেই আটকে আছে বেশ কয়েক দিন ধরে। আজ রোববার সকালের ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি) জানায়, সকাল ৬টায় দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই ছিল ৪৬২।
দিল্লির ৪০টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সব কটিতেই বাতাসের দূষণ নির্দেশক সূচক ‘লাল’, অর্থাৎ বাতাসের মান ‘গুরুতর’ পর্যায়ে রয়েছে। উত্তর-পশ্চিম দিল্লির রোহিণীতে একিউআই রেকর্ড করা হয়েছে ৪৯৯। সেখানে প্রধান দূষক ছিল পার্টিকুলেট ম্যাটার ২.৫ বা পিএম ২.৫ কণা। এর পরেই আছে জাহাঙ্গীরপুরী ও বিবেক বিহার, যেখানে একিউআই ছিল ৪৯৫।
স্মগ বা ধোঁয়াশার কারণে দিল্লির একাধিক এলাকায় দৃষ্টিসীমা কমে গেছে। পূর্ব দিল্লির পাটপারগঞ্জ থেকে পাওয়া দৃশ্যে দেখা যায়, সকাল ৬টায় সেখানে একিউআই ছিল ৪৮৮ এবং মানুষজন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে ধীরে গাড়ি চালাচ্ছেন।
একিউআই বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স হলো—জনস্বাস্থ্যের একটি সূচক, যার মাধ্যমে বাতাসে দূষণের মাত্রা বা বায়ুর গুণমান সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে জানানো হয়। সিপিসিবির তথ্য অনুযায়ী, কোনো এলাকার একিউআই নির্ধারণে আটটি দূষককে প্রধান সূচক হিসেবে ধরা হয়। এগুলো হলো পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএস) ১০, পিএম ২.৫, ওজোন, সালফার ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, সিসা এবং অ্যামোনিয়া।
সিপিসিবি জানায়, একিউআই যদি ০ থেকে ৫০—এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো।’ ৫১ থেকে ১০০ হলে ‘সন্তোষজনক’, ১০১ থেকে ২০০ ‘মাঝারি’, ২০১ থেকে ৩০০ ‘খারাপ’, ৩০১ থেকে ৪০০ ‘অত্যন্ত খারাপ’ এবং ৪০১ থেকে ৫০০ হলে তা ‘গুরুতর’ হিসেবে ধরা হয়। এই প্রতিটি স্তরই দূষণের মাত্রা এবং তার সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থ্যঝুঁকির ইঙ্গিত দেয়। যেমন, একিউআই যদি ‘গুরুতর’ পর্যায়ে থাকে, তাহলে তা সুস্থ মানুষের জন্যও বিপজ্জনক। এ অবস্থায় বাইরে বের হওয়া বা খোলা জায়গায় শরীরচর্চা না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এই অবস্থায় দিল্লির দূষণ বর্তমানে একিউআইয়ের সর্বোচ্চ সীমা ৫০০ ছাড়াতে পারে কী—এই প্রশ্নও সামনে এসেছে। ভারতের একিউআই স্কেল সর্বোচ্চ ৫০০ পর্যন্ত নির্ধারিত। অর্থাৎ ৫০০-এর বেশি হলে সেটিও ‘গুরুতর’ শ্রেণির মধ্যেই ধরা হয়, যা একটি জনস্বাস্থ্য জরুরি পরিস্থিতির ইঙ্গিত দেয়।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড স্টাডিজের চেয়ার প্রফেসর অধ্যাপক ড. গুফরান বেগ বলেন, ‘৪০০-এর ওপরে একিউআই অত্যন্ত বিপজ্জনক। ধরে নেওয়া হয়, একিউআই ৫০০ আর একিউআই ৯০০-এর স্বাস্থ্যগত প্রভাব প্রায় একই। তাই বেশি সংখ্যা দেখিয়ে মানুষকে আতঙ্কিত করার প্রয়োজন নেই।’
তবে এনভায়রোক্যাটালিস্টসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান বিশ্লেষক সুনীল দাহিয়া বলেন, একিউআই ৫০০-তে সীমাবদ্ধ রাখার পেছনে কোনো বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই, যদিও প্রযুক্তিগতভাবে এর চেয়েও বেশি মান নির্ণয় করা সম্ভব। তাঁর ভাষায়, ‘এটা ঠিক যে, দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব তুলনামূলক কম ঘনত্বে বেশি হয় এবং খুব উচ্চ ঘনত্বে বাড়লেও তা ধীরে বাড়ে। কিন্তু তাৎক্ষণিক ঝুঁকি তখন অনেক বেশি হয়। বিশেষ করে দূষণ হঠাৎ খুব বেড়ে গেলে হৃদ্রোগী, শ্বাসকষ্টে ভোগা মানুষ এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য তা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বা চিকিৎসাজনিত জরুরি অবস্থার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। খড় পোড়ানোর মৌসুম বা দীপাবলির সময় আমরা এমন পরিস্থিতি বারবার দেখেছি।’
দিল্লিতে বাড়তে থাকা বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে শনিবার বায়ু মান ব্যবস্থাপনা কমিশন গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান বা গ্র্যাপ-এর তৃতীয় ধাপের বিধিনিষেধ জারি করে। পরে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সেটি আরও কঠোর করে গ্র্যাপ-৪ কার্যকর করা হয়।
একিউআই হঠাৎ খারাপ হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সংস্থাটি জানায়, উত্তর-পশ্চিম ভারতে ধেয়ে আসা দুর্বল পশ্চিমা ঝঞ্ঝাই ছিল এর প্রধান কারণ, স্থানীয় নির্গমন নয়। কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান আবহাওয়াজনিত পরিস্থিতিতে বাতাসের গতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে, অনেক সময় একেবারেই স্থির হয়ে পড়ছে। বাতাসের দিক পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে ঘুরেছে এবং নিম্ন বায়ুমণ্ডলে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়েছে। শীতকালীন এ ধরনের পরিস্থিতি ধোঁয়াশা ও কুয়াশা তৈরির জন্য অনুকূল, ফলে দূষকগুলো সহজে ছড়িয়ে না পড়ে ভূপৃষ্ঠের কাছেই আটকে থাকে। এই বিরূপ আবহাওয়ার কারণেই হঠাৎ করে বায়ুর মানের অবনতি ঘটেছে।
গ্র্যাপ-৪-এর আওতায় একাধিক কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। দিল্লিতে অপ্রয়োজনীয় ট্রাকের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে যেসব ট্রাক জরুরি পণ্য বা পরিষেবা বহন করে, অথবা এলএনজি, সিএনজি, বিদ্যুৎ চালিত কিংবা বিএস-ফাইভ ডিজেলে চলে, সেগুলো এর বাইরে থাকবে। দিল্লিতে নিবন্ধিত মাঝারি ও ভারী পণ্যবাহী ডিজেলচালিত যানবাহন, বিশেষ করে বিএস-৪ ও তার আগের মানের যান, নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধু জরুরি পরিষেবায় ব্যবহৃত যানবাহন এ ক্ষেত্রে ছাড় পাবে। দিল্লির বাইরে নিবন্ধিত হালকা বাণিজ্যিক যান, যেগুলো ইভি, সিএনজি বা বিএস-৬ ডিজেল মান পূরণ করে না, সেগুলোর প্রবেশও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া সব ধরনের নির্মাণ ও ভাঙচুর কার্যক্রম, এমনকি মহাসড়কের মতো সরকারি প্রকল্পও সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লি ও ভারতের কেন্দ্রীয় রাজধানী অঞ্চল যেসব রাজ্যের মধ্যে পড়েছে সেসব রাজ্যের সরকারগুলোতে ষষ্ঠ থেকে নবম এবং একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সশরীরে ক্লাসের বদলে অনলাইন ক্লাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। সরকারি, পৌর এবং বেসরকারি দপ্তরগুলোকে অন্তত ৫০ শতাংশ কর্মী দিয়ে ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালুর সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি অফিসের সময় ধাপে ধাপে নির্ধারণ করার কথাও বলা হয়েছে, যাতে ব্যস্ত সময়ের যানজট ও দূষণ কিছুটা কমানো যায়।

ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা। শহরটির বাতাসের মান ‘সিভিয়ার বা গুরুতর’ শ্রেণিতেই আটকে আছে বেশ কয়েক দিন ধরে। আজ রোববার সকালের ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি) জানায়, সকাল ৬টায় দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই ছিল ৪৬২।
দিল্লির ৪০টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সব কটিতেই বাতাসের দূষণ নির্দেশক সূচক ‘লাল’, অর্থাৎ বাতাসের মান ‘গুরুতর’ পর্যায়ে রয়েছে। উত্তর-পশ্চিম দিল্লির রোহিণীতে একিউআই রেকর্ড করা হয়েছে ৪৯৯। সেখানে প্রধান দূষক ছিল পার্টিকুলেট ম্যাটার ২.৫ বা পিএম ২.৫ কণা। এর পরেই আছে জাহাঙ্গীরপুরী ও বিবেক বিহার, যেখানে একিউআই ছিল ৪৯৫।
স্মগ বা ধোঁয়াশার কারণে দিল্লির একাধিক এলাকায় দৃষ্টিসীমা কমে গেছে। পূর্ব দিল্লির পাটপারগঞ্জ থেকে পাওয়া দৃশ্যে দেখা যায়, সকাল ৬টায় সেখানে একিউআই ছিল ৪৮৮ এবং মানুষজন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে ধীরে গাড়ি চালাচ্ছেন।
একিউআই বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স হলো—জনস্বাস্থ্যের একটি সূচক, যার মাধ্যমে বাতাসে দূষণের মাত্রা বা বায়ুর গুণমান সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে জানানো হয়। সিপিসিবির তথ্য অনুযায়ী, কোনো এলাকার একিউআই নির্ধারণে আটটি দূষককে প্রধান সূচক হিসেবে ধরা হয়। এগুলো হলো পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএস) ১০, পিএম ২.৫, ওজোন, সালফার ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, সিসা এবং অ্যামোনিয়া।
সিপিসিবি জানায়, একিউআই যদি ০ থেকে ৫০—এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো।’ ৫১ থেকে ১০০ হলে ‘সন্তোষজনক’, ১০১ থেকে ২০০ ‘মাঝারি’, ২০১ থেকে ৩০০ ‘খারাপ’, ৩০১ থেকে ৪০০ ‘অত্যন্ত খারাপ’ এবং ৪০১ থেকে ৫০০ হলে তা ‘গুরুতর’ হিসেবে ধরা হয়। এই প্রতিটি স্তরই দূষণের মাত্রা এবং তার সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থ্যঝুঁকির ইঙ্গিত দেয়। যেমন, একিউআই যদি ‘গুরুতর’ পর্যায়ে থাকে, তাহলে তা সুস্থ মানুষের জন্যও বিপজ্জনক। এ অবস্থায় বাইরে বের হওয়া বা খোলা জায়গায় শরীরচর্চা না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এই অবস্থায় দিল্লির দূষণ বর্তমানে একিউআইয়ের সর্বোচ্চ সীমা ৫০০ ছাড়াতে পারে কী—এই প্রশ্নও সামনে এসেছে। ভারতের একিউআই স্কেল সর্বোচ্চ ৫০০ পর্যন্ত নির্ধারিত। অর্থাৎ ৫০০-এর বেশি হলে সেটিও ‘গুরুতর’ শ্রেণির মধ্যেই ধরা হয়, যা একটি জনস্বাস্থ্য জরুরি পরিস্থিতির ইঙ্গিত দেয়।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড স্টাডিজের চেয়ার প্রফেসর অধ্যাপক ড. গুফরান বেগ বলেন, ‘৪০০-এর ওপরে একিউআই অত্যন্ত বিপজ্জনক। ধরে নেওয়া হয়, একিউআই ৫০০ আর একিউআই ৯০০-এর স্বাস্থ্যগত প্রভাব প্রায় একই। তাই বেশি সংখ্যা দেখিয়ে মানুষকে আতঙ্কিত করার প্রয়োজন নেই।’
তবে এনভায়রোক্যাটালিস্টসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান বিশ্লেষক সুনীল দাহিয়া বলেন, একিউআই ৫০০-তে সীমাবদ্ধ রাখার পেছনে কোনো বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই, যদিও প্রযুক্তিগতভাবে এর চেয়েও বেশি মান নির্ণয় করা সম্ভব। তাঁর ভাষায়, ‘এটা ঠিক যে, দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব তুলনামূলক কম ঘনত্বে বেশি হয় এবং খুব উচ্চ ঘনত্বে বাড়লেও তা ধীরে বাড়ে। কিন্তু তাৎক্ষণিক ঝুঁকি তখন অনেক বেশি হয়। বিশেষ করে দূষণ হঠাৎ খুব বেড়ে গেলে হৃদ্রোগী, শ্বাসকষ্টে ভোগা মানুষ এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য তা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বা চিকিৎসাজনিত জরুরি অবস্থার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। খড় পোড়ানোর মৌসুম বা দীপাবলির সময় আমরা এমন পরিস্থিতি বারবার দেখেছি।’
দিল্লিতে বাড়তে থাকা বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে শনিবার বায়ু মান ব্যবস্থাপনা কমিশন গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান বা গ্র্যাপ-এর তৃতীয় ধাপের বিধিনিষেধ জারি করে। পরে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সেটি আরও কঠোর করে গ্র্যাপ-৪ কার্যকর করা হয়।
একিউআই হঠাৎ খারাপ হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সংস্থাটি জানায়, উত্তর-পশ্চিম ভারতে ধেয়ে আসা দুর্বল পশ্চিমা ঝঞ্ঝাই ছিল এর প্রধান কারণ, স্থানীয় নির্গমন নয়। কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান আবহাওয়াজনিত পরিস্থিতিতে বাতাসের গতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে, অনেক সময় একেবারেই স্থির হয়ে পড়ছে। বাতাসের দিক পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে ঘুরেছে এবং নিম্ন বায়ুমণ্ডলে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়েছে। শীতকালীন এ ধরনের পরিস্থিতি ধোঁয়াশা ও কুয়াশা তৈরির জন্য অনুকূল, ফলে দূষকগুলো সহজে ছড়িয়ে না পড়ে ভূপৃষ্ঠের কাছেই আটকে থাকে। এই বিরূপ আবহাওয়ার কারণেই হঠাৎ করে বায়ুর মানের অবনতি ঘটেছে।
গ্র্যাপ-৪-এর আওতায় একাধিক কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। দিল্লিতে অপ্রয়োজনীয় ট্রাকের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে যেসব ট্রাক জরুরি পণ্য বা পরিষেবা বহন করে, অথবা এলএনজি, সিএনজি, বিদ্যুৎ চালিত কিংবা বিএস-ফাইভ ডিজেলে চলে, সেগুলো এর বাইরে থাকবে। দিল্লিতে নিবন্ধিত মাঝারি ও ভারী পণ্যবাহী ডিজেলচালিত যানবাহন, বিশেষ করে বিএস-৪ ও তার আগের মানের যান, নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধু জরুরি পরিষেবায় ব্যবহৃত যানবাহন এ ক্ষেত্রে ছাড় পাবে। দিল্লির বাইরে নিবন্ধিত হালকা বাণিজ্যিক যান, যেগুলো ইভি, সিএনজি বা বিএস-৬ ডিজেল মান পূরণ করে না, সেগুলোর প্রবেশও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া সব ধরনের নির্মাণ ও ভাঙচুর কার্যক্রম, এমনকি মহাসড়কের মতো সরকারি প্রকল্পও সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লি ও ভারতের কেন্দ্রীয় রাজধানী অঞ্চল যেসব রাজ্যের মধ্যে পড়েছে সেসব রাজ্যের সরকারগুলোতে ষষ্ঠ থেকে নবম এবং একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সশরীরে ক্লাসের বদলে অনলাইন ক্লাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। সরকারি, পৌর এবং বেসরকারি দপ্তরগুলোকে অন্তত ৫০ শতাংশ কর্মী দিয়ে ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালুর সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি অফিসের সময় ধাপে ধাপে নির্ধারণ করার কথাও বলা হয়েছে, যাতে ব্যস্ত সময়ের যানজট ও দূষণ কিছুটা কমানো যায়।

শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কার্যক্রমের ওপর নজরদারি করছে যুক্তরাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অন্তত ৯ জন বিশেষজ্ঞ তাঁদের ওপর নজরদারির নথিপত্র জোগাড় করেছেন। কারও কারও ক্ষেত্রে এই নথির আকার প্রায় ৬০ পৃষ্ঠা। এর মধ্যে এক বিশেষজ্ঞ কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেন তার বিস্তারিত উল্লেখসহ বড় একটি এক্সেল
০২ অক্টোবর ২০২৩
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে—ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের ওপর আইএসআইএসের হামলার জবাব আমরা দেব। যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর আবারও হামলা হয় সেটার জবাও আমরা দেব।’
এর আগে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকেন্দ্রিক কমান্ড ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, আইসিসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। সেন্টকম আরও বলেছে, ‘বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল। সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়। সানা আরও জানায়, আহত ব্যক্তিদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে—ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের ওপর আইএসআইএসের হামলার জবাব আমরা দেব। যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর আবারও হামলা হয় সেটার জবাও আমরা দেব।’
এর আগে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকেন্দ্রিক কমান্ড ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, আইসিসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। সেন্টকম আরও বলেছে, ‘বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল। সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়। সানা আরও জানায়, আহত ব্যক্তিদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কার্যক্রমের ওপর নজরদারি করছে যুক্তরাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অন্তত ৯ জন বিশেষজ্ঞ তাঁদের ওপর নজরদারির নথিপত্র জোগাড় করেছেন। কারও কারও ক্ষেত্রে এই নথির আকার প্রায় ৬০ পৃষ্ঠা। এর মধ্যে এক বিশেষজ্ঞ কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেন তার বিস্তারিত উল্লেখসহ বড় একটি এক্সেল
০২ অক্টোবর ২০২৩
ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা। শহরটির বাতাসের মান ‘সিভিয়ার বা গুরুতর’ শ্রেণিতেই আটকে আছে বেশ কয়েক দিন ধরে। আজ রোববার সকালের ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি) জানায়, সকাল ৬টায় দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই ছিল ৪৬২।
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই আইভি লীগ ক্যাম্পাসে শনিবার যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।
রোড আইল্যান্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও পলাতক। তারা হামলাকারীকে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করেছেন, যিনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্মাইলি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা প্রতিক্রিয়াকারীদের কাছে ৯১১ কল আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পারে। স্মাইলি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আজ বিকেলে দুইজন ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, যদিও তারা রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এই আঘাত বা হতাহতের খবর জানি। তবে যেমনটি আমি উল্লেখ করেছি—এবং জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ—এই সংখ্যাগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’
চলমান তদন্তের ওপর জোর দিয়ে স্মাইলি নিহতদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাক্সটন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি এমন একটি দিন যা আমরা আশা করেছিলাম যেন আমাদের সম্প্রদায়ে কখনও না আসে। এটি আমাদের সকলের জন্য গভীরভাবে হৃদয়বিদারক।’ তিনি ক্যাম্পাসের সবাইকে সতর্ক থাকার এবং লকডাউন প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো সমস্ত দরজা তালাবদ্ধ রাখা এবং ক্যাম্পাস জুড়ে কোনো চলাচল না করা নিশ্চিত করা।’
শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম জরুরি সতর্কতা জারি করে জানায়, বারাস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে একজন বন্দুকধারী রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সতর্কবার্তায় বলে, ‘দরজা লক করুন, ফোন নীরব করুন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকুন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন—দৌড়ান, যদি আপনি আক্রান্ত স্থানে থাকেন তবে নিরাপদে সরে যান; লুকান, যদি সরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আড়াল নিন; প্রতিরোধ করুন, শেষ অবলম্বন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন।’
প্রভিডেন্সের পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ও’হারা বলেন, ‘তারা ভবনটিতে পদ্ধতিগতভাবে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে সে সময় কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা সেই ভবনটি খালি করতে সক্ষম হন এবং সেই ভবনের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে দেন।’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন কীভাবে ভবনে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সে হোপ স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় সময় ৫ টা ২৭ মিনিটে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি জানায়, গভর্নর স্ট্রিটের কাছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্স ল্যাব থেকে প্রায় দুটি ব্লক দূরে, গুলি চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না, কারণ অনলাইনে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছিল।
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাথমিক ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল যে, একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা লিখেছিল, ’পুলিশের হেফাজতে কোনো সন্দেহভাজন নেই এবং তারা সন্দেহভাজনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’
স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর ফেডারেল এজেন্টরাও যোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই আইভি লীগ ক্যাম্পাসে শনিবার যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।
রোড আইল্যান্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও পলাতক। তারা হামলাকারীকে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করেছেন, যিনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্মাইলি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা প্রতিক্রিয়াকারীদের কাছে ৯১১ কল আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পারে। স্মাইলি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আজ বিকেলে দুইজন ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, যদিও তারা রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এই আঘাত বা হতাহতের খবর জানি। তবে যেমনটি আমি উল্লেখ করেছি—এবং জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ—এই সংখ্যাগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’
চলমান তদন্তের ওপর জোর দিয়ে স্মাইলি নিহতদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাক্সটন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি এমন একটি দিন যা আমরা আশা করেছিলাম যেন আমাদের সম্প্রদায়ে কখনও না আসে। এটি আমাদের সকলের জন্য গভীরভাবে হৃদয়বিদারক।’ তিনি ক্যাম্পাসের সবাইকে সতর্ক থাকার এবং লকডাউন প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো সমস্ত দরজা তালাবদ্ধ রাখা এবং ক্যাম্পাস জুড়ে কোনো চলাচল না করা নিশ্চিত করা।’
শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম জরুরি সতর্কতা জারি করে জানায়, বারাস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে একজন বন্দুকধারী রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সতর্কবার্তায় বলে, ‘দরজা লক করুন, ফোন নীরব করুন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকুন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন—দৌড়ান, যদি আপনি আক্রান্ত স্থানে থাকেন তবে নিরাপদে সরে যান; লুকান, যদি সরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আড়াল নিন; প্রতিরোধ করুন, শেষ অবলম্বন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন।’
প্রভিডেন্সের পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ও’হারা বলেন, ‘তারা ভবনটিতে পদ্ধতিগতভাবে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে সে সময় কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা সেই ভবনটি খালি করতে সক্ষম হন এবং সেই ভবনের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে দেন।’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন কীভাবে ভবনে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সে হোপ স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় সময় ৫ টা ২৭ মিনিটে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি জানায়, গভর্নর স্ট্রিটের কাছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্স ল্যাব থেকে প্রায় দুটি ব্লক দূরে, গুলি চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না, কারণ অনলাইনে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছিল।
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাথমিক ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল যে, একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা লিখেছিল, ’পুলিশের হেফাজতে কোনো সন্দেহভাজন নেই এবং তারা সন্দেহভাজনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’
স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর ফেডারেল এজেন্টরাও যোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কার্যক্রমের ওপর নজরদারি করছে যুক্তরাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অন্তত ৯ জন বিশেষজ্ঞ তাঁদের ওপর নজরদারির নথিপত্র জোগাড় করেছেন। কারও কারও ক্ষেত্রে এই নথির আকার প্রায় ৬০ পৃষ্ঠা। এর মধ্যে এক বিশেষজ্ঞ কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেন তার বিস্তারিত উল্লেখসহ বড় একটি এক্সেল
০২ অক্টোবর ২০২৩
ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা। শহরটির বাতাসের মান ‘সিভিয়ার বা গুরুতর’ শ্রেণিতেই আটকে আছে বেশ কয়েক দিন ধরে। আজ রোববার সকালের ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি) জানায়, সকাল ৬টায় দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই ছিল ৪৬২।
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গতকাল শনিবারের এই হামলায় ৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।
হামাস কোনো বিবৃতিতে রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, গাজা সিটির বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে আঘাত হানা হয়েছে এবং এটিকে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, এই কমান্ডার হামাসের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন, যা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলার অন্যতম স্থপতি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
যদি সাদ নিহত হন, তবে চলতি বছরের অক্টোবরে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি হবে হামাসের একজন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ-পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড। এক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাদকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী বাহিনীর প্রধান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
হামাসের সূত্রগুলো তাকে ইজ আল-দিন আল-হাদ্দাদের পরে এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-কমান্ডার হিসেবেও বর্ণনা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাদ হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলোর মধ্যে একটি।
ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি মোড়ে একটি গাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা জানায়নি এবং স্পষ্ট নয় যে এই হামলাটিই সেই হামলা কি না, যেখানে কথিত হামাসের সদস্য নিহত হয়েছিলেন।
গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা প্রায় ৮০০ বার পৌঁছেছে এবং কমপক্ষে ৩৮৬ জনকে হত্যা করেছে, যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল এখনো ছিটমহলটিতে বেশির ভাগ সাহায্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা, জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, অর্থাৎ দখলদার শক্তি হিসেবে এর বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গতকাল শনিবারের এই হামলায় ৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।
হামাস কোনো বিবৃতিতে রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, গাজা সিটির বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে আঘাত হানা হয়েছে এবং এটিকে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, এই কমান্ডার হামাসের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন, যা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলার অন্যতম স্থপতি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
যদি সাদ নিহত হন, তবে চলতি বছরের অক্টোবরে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি হবে হামাসের একজন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ-পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড। এক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাদকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী বাহিনীর প্রধান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
হামাসের সূত্রগুলো তাকে ইজ আল-দিন আল-হাদ্দাদের পরে এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-কমান্ডার হিসেবেও বর্ণনা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাদ হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলোর মধ্যে একটি।
ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি মোড়ে একটি গাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা জানায়নি এবং স্পষ্ট নয় যে এই হামলাটিই সেই হামলা কি না, যেখানে কথিত হামাসের সদস্য নিহত হয়েছিলেন।
গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা প্রায় ৮০০ বার পৌঁছেছে এবং কমপক্ষে ৩৮৬ জনকে হত্যা করেছে, যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল এখনো ছিটমহলটিতে বেশির ভাগ সাহায্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা, জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, অর্থাৎ দখলদার শক্তি হিসেবে এর বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে।

শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কার্যক্রমের ওপর নজরদারি করছে যুক্তরাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অন্তত ৯ জন বিশেষজ্ঞ তাঁদের ওপর নজরদারির নথিপত্র জোগাড় করেছেন। কারও কারও ক্ষেত্রে এই নথির আকার প্রায় ৬০ পৃষ্ঠা। এর মধ্যে এক বিশেষজ্ঞ কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেন তার বিস্তারিত উল্লেখসহ বড় একটি এক্সেল
০২ অক্টোবর ২০২৩
ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা। শহরটির বাতাসের মান ‘সিভিয়ার বা গুরুতর’ শ্রেণিতেই আটকে আছে বেশ কয়েক দিন ধরে। আজ রোববার সকালের ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি) জানায়, সকাল ৬টায় দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই ছিল ৪৬২।
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে